অপ্রিয় তুমি পর্ব-১২

0
288

#অপ্রিয়_তুমি
#পর্ব১২
#আফিয়া_আফরোজ_আহি

“আমি যেমনই হই তোমাকে সারাজীবন আমার সাথেই থাকতে হবে”

বিশাল আকাশ জুড়ে মেঘেদের ভেলা। মেঘদের আড়ালে লুকিয়ে আছে চন্দ্র। দেখে মনে হচ্ছে লুকোচুরি খেলছে বোধ হয়। তেমনই মেহরাবের
বিশাল দেহের আড়ালে চুপটি করে ঘাপটি মেরে রয়েছে উৎসা। নিজ ইচ্ছায় না মেহরাব আঁকড়ে ধরে রেখেছে ওকে নিজের সাথে। উপরোক্ত লাইন খানা বরংবার উৎসার কানে বেজে চলেছে। এর পৃষ্ঠে বলার মতো খুঁজে পায়নি। আদোও কি এর বিপরীতে কিছু বলা সম্ভব? এতটা অধিকার বোধের পৃষ্ঠে উৎসা চুপ মেরে গেছে।

মেহরাব শান্ত নদীর ন্যায় নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে রেখেছে প্রেয়সীকে। যেন এই তার রাগ কন্ট্রোল করার ঔষুধ। নিজের সাইকো সত্ত্বা কে এই মেয়েটার সামনে আনতে চায় নি। এই জন্যই তো এতো আয়োজন করে মুখোশ ধরা। মেহরাব ভালো করেই জানে উৎসার এগুলো পছন্দ না, তাই যথা সম্ভব নিজেকে সামলে রেখেছিলো। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো আর কই? এই যে উৎসা মেহরাবকে ভয় পাচ্ছে, দূরে সরে যেতে চাইছে এখন মেহরাব কি করবে? কিভাবে আটকে রাখবে নিজের প্রেয়সীকে। মেহরাব উৎসাকে আরো কিছুটা নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। পারলে নিজের বুকের মাঝে লুকিয়ে ফেলে।
“কি করছেন কি? আমায় চ্যাপ্টা বানানোর পয়তারা করছেন?”

মেহরাব নেশালো কণ্ঠে বলল,
“উহু, তোমায় নিজের সাথে মিশিয়ে নিতে চাইছি। যেন তুমি আমার থেকে এক বিন্দু দূরেও যেতে না পারো”

উৎসা চেতে উঠে বলল,
“এভাবে আরো কিছুক্ষণ থাকলে আমার হাড়গোর আর নিজেদের জায়গায় থাকবে না। ছাড়ুন তো!”

নিজেকে মেহরাবের বাহু থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো তবে ব্যার্থ হলো। মেহরাব উৎসার কাণ্ড দেখে হাসছে। হাসতে হাসতে বলল,
“আমি নিজ ইচ্ছায় তোমায় বাঁধন থেকে মুক্ত না করলে তোমার এই বাঁধন ছিন্ন করে বের হওয়ার সাধ্যি নেই বউ। তাই ও চেষ্টা করেও লাভ নেই”

উন্মুক্ত হলো মেহারাবের হাতের বাঁধন। উৎসার মনে হলো এতক্ষনে বেচারি শান্তিতে দম নিতে পেরেছে। বিড়বিড় করে বলল,
“এতদিন ইগনোর করে এখন ভালোবাসা দেখাতে এসেছে! ঢং দেখলে বাঁচি না”

বলেই ভেংচি কাটলো। মেহরাব উৎসার কাণ্ডে হেসে উঠলো। মেয়েটার বাচ্চা পনা দেখতে ভালোই লাগে। হাতে টেনে ধরে বলল,
“তুমি শোনো নি? দূরত্ব ভালোবাসা বাড়ায়?”

“ভালোবাসা না ছাই বাড়ায় ছাই”

উৎসা মেজাজ দেখিয়ে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো। আর এদিকে মেহরাব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওর কাণ্ড দেখছে। এই মেয়ে নাকি একটু আগে ওকে ভয় পাচ্ছিলো? কে বলবে ওকে দেখে? তবুও ভালো উৎসা যে স্বাভাবিক হয়েছে এই অনেক। মেহরাব লাইট নিভিয়ে যেয়ে নিজেও শুয়ে পড়লো।
————

উৎসা কলেজে পা রাখতেই দৌড়ে এলো তানজিলা। দৌড়ে আসার ফলে বেচারি হাপিয়ে গেছে। উৎসা ব্যাগ থেকে পানি বের করে দিলো। তানজিলা নিজেকে শান্ত করে বলল,
“কিরে সব ঠিক ঠাক আছে তো? নাকি এখনো রেগে আছিস ভাইয়ার ওপর?”

উৎসা মুখ ভেংচি কেটে বলল,
“তোকে বলতে যাবো কেন? কাল তো দিব্যি আমায় ফেলে ভাইয়ার সাথে ড্যাং ড্যাং করে চলে গিয়েছিলি”

“সরি ইয়ার। না যেয়েই বা কি করবো বল? মেহরাব ভাইয়া যেভাবে ছেলেটা কে মেরেছে দেখা গেল আমি তোকে আমার সাথে নিবো বললে আমাকেও কেলানি দিতো”

উৎসা ভাবুক কণ্ঠে বলল,
“তাও কথা! সাইকো লোক একটা”

তানজিলা উৎসুক কণ্ঠে সুধালো,
“কাল ও কি ঝগড়া করেছিস নাকি?”

“লুচু বেডা ঝগড়া করতে দিলে তো! ঝগড়া শুরুর আগেই ফুল স্টপ বসিয়ে দেয়। গিয়েছিলাম ভাবির রুমে ঘুমাতে। তা আর হলো কই? রীতিমতো গু*ন্ডাদের মতো করে তুলে নিয়ে এসেছে”

তানজিলা আফসোসের সুরে বলল,
“হও রোমান্টিক। এর আমার বেডা? এক নাম্বারের আনরোমান্টিক, শা”লার পোড়া কপাল আমার”

উৎসা সায় জানাতে গিয়ে চমকে উঠলো। কি বলল তানজিলা? ওর বেডা মানে? ও প্রেম করছে? আর উৎসা কিছুই জানে না?
“এক মিনিট তোর বেডা মানে? তু্ই প্রেম করছিস? আমায় বললি না তো! বাহ্ বান্ধবী বাহ্!”

তানজিলা ঢোক গিললো। কি বলতে মুখ ফস্কে কি বলে ফেলেছে নিজেও জানে না। এখন কিছু একটা করে উৎসা কে ভুজূং ভাজুং বোঝাতে হবে। তানজিলা কিছু বলার জন্য মুখ খুলবে তার আগেই ক্লাসের ঘন্টা পড়লো। তানজিলা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো। স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,
“আমার কেউ নেই। আমি পিওর সিঙ্গেল। কথায় কথায় মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে। বাদ দে ক্লাসে যাই চল”

দুজন ক্লাসের দিকে চলে গেল। তবে উৎসার মনের কোণে কোথাও না কোথাও সন্দেহ রয়েই গেল।
—————

কলেজ শেষে বেরিয়েই উৎসার নজর পড়লো কালো প্যান্ট সাফেদ রঙা শার্ট পরিহিত মেহরাবের ওপর। প্রতি দিনের ন্যায় গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে ফোন, খুব মনোযোগ দিয়ে কি যেন করছে। দেখে মনে হচ্ছে আশেপাশের খেয়াল ওর নেই। পুরোপুরি ফোনের মজেছে। হুট্ করেই একটা মেয়ে মেহরাবের কাছে এলো। মেহরাব সেদিকে তাকায়ও নি। ও ফোনেই মত্ত। মেয়েটা মিষ্টি কণ্ঠে বলল,
“এক্সকিউজ মি!”

মেহরাব চোখ তুলে তাকালো। সামনে অপরিচিত মেয়ে দেখে পুনরায় ফোনে মনোনিবেশ করলো।
“জি বলুন। আমি কি আপনাকে চিনি?”

“জি না। তবে আমি আপনাকে চিনি। সেদিন আপনি যখন মা*রা*মা*রি করছিলেন আমি তখন আপনাকে দেখছিলাম। কি সুন্দর ফাইটিং করেন আপনি। আমি তো পুরাই ফিদা হয়ে গেছি”

মেহরাব বিড়বিড় করে বলল,
“যার জন্য মা*রা*মা*রি করলাম সেই সাইকো উপাধি দিলো আর এই মেয়ে ফিদা হয়ে গেছে। যার কাছে পাত্তা চাই সে দেয় না আর বাকি সব আলু, পটল এসে গড়াগড়ি খায়। কি কপাল আমার!”

মুখে বলল,
“ও আচ্ছা”

মেয়েটা পুনরায় উৎসাহিত হয়ে বলল,
“কেউ নিজের বোনের জন্য এভাবে একটা ছেলেকে মারতে পারে আপনাকে না দেখলে জানতামই না। যে নিজের বোনের জন্য এতটা ডেসপারেট সে নিজের বউয়ের জন্য কতোটা ডেসপারেট হবে সেটা ভেবেই আমি শিহরত হচ্ছি”

এক সেকেন্ড! মেয়েটা কি বলল! বোন! ওর বোন কথা থেকে এলো? বাই এনি চান্স মেয়েটা উৎসাকে ওর বোন ভাবছে নাকি?
“বোন! বোন কোথা থেকে এলো?”

“যে মেয়েটার জন্য আপনি মা*রা*মা*রি করলেন সে? মেয়েটা আপনার বোন হয় না?”

ঠিক এই সময়টাতেই আগমন ঘটলো উৎসার। মেহরাব উৎসাকে দেখে ফন্দি আটলো। কেন না উৎসাকে একটু জেলাস ফিল করানো যাক? ওর এক্সপ্রেশন কি হয় সেটা দেখতে চাচ্ছে মেহরাব। ইচ্ছে করেই বলল,
“কি বললেন আরেকবার বলুন, আমি খেয়াল করিনি”

মেয়েটা পুনরায় বলল,
“আপনি যার জন্য মা*রা*মা*রি করলেন সে আপনার বোন হয় না? আপনি আপনার বোনকে অনেক ভালোবেসেন তাই না?”

মেহরাব দাঁত কেলিয়ে বলল,
“হ্যাঁ অনেক ভালোবাসি”

মেয়েটা নেকা সুরে বলল,
“ওও, সো সুইট”

উৎসা জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। দাঁতে দাঁত চেপে ধরলো। ও বোন হয় তাই না? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা। মেহরাবের কাছে গিয়ে চুল টেনে দিয়ে, দুম করে কিল বসিয়ে দিলো ওর পিঠে। দাঁত কেলিয়ে বলল,
“ভাইয়া বাসায় যাবি না? আম্মু ওয়েট করেছে তো চল”

মেহরাব বাক্কেল হয়ে গেল মনে হয়। নিজের বিয়ে করা বউয়ের মুখ থেকে ভাইয়া ডাক শোনার চেয়ে জঘন্য অনুভূতি মনে হয় এই পৃথিবীতে আর নেই। মেহরাবের ইচ্ছে করলো নিজের গালে নিজেই থা*প্পড় দিতে। উৎসা এভাবে রিয়েক্ট করবে ভাবেনি। ও তো ভেবেছে উৎসা রাগ করবে, রাগ করে গাল ফুলাবে, অভিমান করবে, মেহরাব আদুরে কণ্ঠে মান ভাঙাবে। কিন্তু এটা কি হলো? নিজের জালে নিজের ফেঁসে গেছে বেচারা। উৎসা এবার মেহরাবের হাতে চিমটি দিয়ে বলল,
“কি হলো ভাইয়া চল?”

“হ্যাঁ!”

“ভাইয়া বাসায় যাবে না?”

মেয়েটা এগিয়ে এসে উৎসার গাল টেনে দিয়ে বলল,
“ইসস কি কিউট মেয়ে তুমি। তোমার মতো একটা ননদ পেতে কে না চায়?”

উৎসার ইচ্ছে করলো মেয়েটার মাথায় ইট মেরে মাথা ফাটিয়ে ফেলতে। কতো বড় সাহস মেয়েটার ওকেই ওর ননদ বানিয়ে দিচ্ছে। আর মেহরাব? তার খবর তো পড়ে নিবে। আগে এটা কে সাইজ করে নিক। উৎসা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিঃক্ষেপ করলো মেহরাবের পানে। মেহরাব বেচারা শুকনো ঢোক গিললো। এরপর উল্টোপাল্টা কিছু বলল নিঃঘাত ওর কপালে শনি আছে। তাই কথা আর বাড়ালো না। হুট্ করেই উৎসাকে নিজের কাছে টেনে কোমর আঁকড়ে ধরে বলল,
“এটা আমার বউ আপা। কোনো বোন টোন না। আপনি আসতে পারেন”

উৎসার দিকে তাকিয়ে কানে ধরে বলল,
“সরি বউ এই আপাই আমায় উল্টোপাল্টা বলছিলো। তুমি নাকি আমার বোন। আ*স্তা*গ*ফি*রু*ল্লা*হ , না*উ*যু**বি*ল্লা*হ! তুমি আমার বোন হতে যাবে কেন? তুমি আমার কতো ভালোবাসার একটা মাত্র বউ”

মেয়েটা তাজ্জব বনে গেল। ওকে সোজা আপা বানিয়ে দিলো? কিছুটা লজ্জাও পেল। সরি বলে কোনো রকমে কেটে পড়লো। উৎসা নিজেকে মেহরাবরের বাঁধন থেকে ছুটিয়ে নিলো। এক প্রকার ঝাড়ি দিয়ে ওর হাত সরিয়ে দিলো। কোনো কথা না বলে গাড়িতে যেয়ে বসলো। মেহরাব পড়েছে ফ্যাসাদে। বউকে জেলাস ফিল করাতে গিয়ে যে নিজেই ফেঁসে যাবে ভাবেনি। নিজেও গাড়িতে যেয়ে বসলো। গাড়ি স্টার্ট দিতেই উৎসা মুখ খুলল,
“আমি আমাদের বাড়ি যাবো। আমাকে আমাদের বাড়িতে দিয়ে আসবেন”

মেহরাব বলল,
“এখন না যেয়ে সন্ধ্যায় যেও। আমি দিয়ে আসবো”

“আপনি দিয়ে আসবেন নাকি আমি ভাইয়া কে বলবো?”

মেহরাব কপাল চাপড়ালো। কোন দুঃখের যে বউকে খেপাতে গেল। এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
“আমিই নিয়ে যাচ্ছি। তবে শর্ত আছে”

উৎসা ভ্রু কুঁচকে তাকালো। মেহরাব ওই তাকানোতেই চুপ মেরে গেল। মিন মিনে স্বরে বলল,
“আমি এখন দিয়ে আসবো রাতে আসার সময় নিয়ে আসবো। রাজি?”

“আপনার রাজির নিকুচি করেছি। আমি তো আজকে থাকবো”

“এমন করে না বউ। একটু তো রহম করো এই অধমের ওপর”

উৎসা কপালে ভাজ ফেলে জিজ্ঞেস করলো,
“কে আপনার বউ? আমি তো আপনার বোন, আর আপনি আমার সুইট ভাইয়া”

মেহরাব গাড়ি থামালো। উৎসার দিকে ফিরে বলল,
“কি সমস্যা? তখন থেকে ভাইয়া ভাইয়া শুরু করেছো কেন?”

উৎসা কোমরে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলো,
“আমি তো শুরু করেছি? নাকি আপনি শুরু করেছেন?”

মেহরাব এমন ভান ধরলো যেন ও কিছুই জানে না।
“আমি কখন শুরু করলাম?”

“ওই যে মেয়েটার সামনে বলছিলেন”

“মেয়েটা বলেছে তুমি আমার বোন আমি একবারও বলিনি। বলেছি কি?

“সায় জানিয়েছেন তো”

“আমি মেয়েটার কথায় সায় ও জানাই নি, দ্বিমত ও করিনি। আমি শুধু বলেছি, হ্যাঁ ভালোবাসি”,

উৎসা বিড়বিড় করে বলল,
“ভালোবাসা না ছাই। সব আমার জানা আছে। সব লুচু গিরি করার ধান্দা। ধান্দাবাজ একটা”

মুখে বলল,
“আমি অতো কিছু জানি না। আপনি আমার ভাইয়া মানে ভাইয়া”

মেহরাব ঝুঁকে এলো আচমকা। উৎসা কিছু বুঝে ওঠার আগেই অধরে অধর মিলিয়ে দিলো। মিনিট বাদে ছেড়ে দিলো।
“আর বলবে?”

উৎসা মুখ খুলল,
“ভাই…..”

মেহরাব পুনরায় একই কাণ্ড ঘটালো। এবার ছাড়লো দেরি করে। উৎসা মেহরাবের বুকে কিল ঘুসি দিয়ে চলেছে। মেহরাব ছাড়তেই জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে বেচারি হাপিয়ে উঠেছে। মেহরাব উৎসার কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে সুধালো,
“আমি তোমার কি হই?”

উৎসা এবার আর রিস্ক নিলো না। কোনো ভনিতা ছাড়াই বলল,
“বর নামক বর্বর”

মেহরাব হাসলো। মেয়েটা একদম তার মতোই ঘাড়ত্যাড়া। এতো কিছুর পরও সোজা কথা বলবে না। মেহরাব সরে এসে গাড়ি স্টার্ট দিলো। ওর ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি। উৎসা রাগে ফোঁস ফোঁস করছে। মনে মনে মেহরাবের গুষ্টি উদ্ধার করছে। মেহরাব সে সবে পাত্তা দিলো না। গাড়ি এসে থমলো উৎসাদের বাড়ির সামনে। উৎসা খুশি মনে নেমে পড়লো। কতো গুলো দিন বাদে নিজের বাড়িতে এসেছে। যেই মেয়ে বাবা-মাকে রেখে এক দিনের জন্য কোথাও থাকেনি সেখানে কতো গুলো দিন কাটিয়ে এলো। ভেবেই উৎসার বুক চিঁড়ে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। মেহরাবও গাড়ি থেকে নামলো। উৎসা ভিতরে যেতে যেতে বলল,
“কি হলো? আসছেন না কেন?”

মেহরাব গাড়ির সাথে হেলান দিয়েছি দাঁড়ালো। বুকে হাত গুঁজে বলল,
“তুমি যাও, আমি যাবো না। আমার কাজ আছে”

উৎসা সামনে এগোতে নিলে বলল,
“তবে মনে থাকে যেন রাতে কিন্তু নিতে আসবো”

উৎসা পাত্তাই দিলো না ওকে। উল্টো ভেংচি কেটে চলে গেল। মেহরাব ওর যাওয়া দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে গাড়িতে এসে বসলো। অতঃপর গাড়ি স্টার্ট দিয়ে প্রস্থান করলো।

#চলবে?