সে আমার অর্ধাঙ্গিনী পর্ব -১০(শেষ পর্ব)

0
42

সে- আমার -_অর্ধাঙ্গিনী
শেষ অধ্যায়
লেখক রিহান অরণ্য

আমার কপালে চুমু খাবার জন্য এখন লুবনার ইজ্জত যাবার অবস্থা, মিমি আমার বোন কে আলাদা করে ডেকে নিয়ে গেছে সব কিছু বলার জন্য, প্রথমে মিমি বললো তুমি এইসব বলো না, লোকে শুনলে কি বলবে আর ওনি তোমার বড়, তা ছাড়া ওনি তোমার ভাইয়ের পরিচিত এখন আমার বোন জিজ্ঞেস করলো কেমন পরিচিত আমার ভাইয়ের পরিচিত হলে আমি চিনতাম, এইবার মিমি বলেলো এই ডাক্তার মেডাম তোমার ভাবি,সানির বউ,এখন আমার বোন বললো কি বলেন আমার ভাইয়ার বউ যে ছিলো তারে চিনি, আর সে অন্য জনের সাথে চলে গেছে আপনি এসব মিথ্যা কথা বলবেন না আমার ভাইয়ার নামে, মিমি মনে মনে বললো এই পিচ্চি রে কেমনে বুঝবো, এখন মিমি বললো লুবনা নাম টা কি কোন দিন শুনো নাই তোমার ভাইয়ার মুখে,এইবার আমার বোন অবাক হয়ে বললো ওনি লুবনা আপু মানে আমাদের ভাবি, ওনি তো চিটাগং থাকতো, ওনি ও আমার ভাইয়া কে রেখে অন্য যায়গায় বিয়ে করছে, এখন কেন আসলো ওনি এইখানে, আম্মু দেখলে বকাবকি করবে,মিমি বললো তুমি তোমার আম্মু কে কিছু বলবা না,আার লুবনা অন্য কোথাও বিয়ে করেনি,
যদি বিয়ে করতো তাইলে সানির খবর শুনে পাগলের মতো ছুটে আসতো না,এখন পিচ্চি বললো ভাইয়ার খবর ওনি কমনে জানলো,মিমি বললো এসব তোমার জানবার দরকার নাই যাও ভাবি কে নিয়ে কেবিনে যাও,

এইবার আমার বোন গিয়ে লুবার কাছে বললো ভাবি তুমি আমাকে তোমার পরিচয় দাওনি কেন, আমি তো তোমাকে চিনতে পারিনি, আমি সেই ছোট বেলার কথা কেমনে মনে রাখবে বলো, এসব বলতে বলতে লুবনাকে নিয়ে আমার কাছে আসলো, আমি তখন ওদের কথা শুনতে পাচ্ছি কিন্তুু বুঝতে পারছি না কি নিয়ে কথা বলছপ
এখন আমার বোন লুবনা কে একটু পর পর সুযোগ দিয়ে বাহিরে চলে যায়, লুবনা সারাক্ষণ আমার পাশে হাত ধরে বসে থাকে, রাতে আমার বোনকে ঘুমাতে পাঠিয়ে দিছে লুবনা, তখন মামি ও ছিলো সাথে তাই লুবনা বেশিক্ষণ আমার কাছাকাছি থাকতে পারে নি, শেষ রাতের দিকে লুবনা যখন আমার আমার হাত তার বুকে মধ্যে রেখে সাইডে কাত হয়ে শুয়ে আছে তখন আম্মু বাড়ি থেকে রাতের গাড়িতে চলে এসেছে, হাসপাতালে এসেই দেখে লুবনা আমার হাত ধরে ঝিমাচ্ছে, এইটা দেখে আম্মু জিজ্ঞেস করলো কে তুমি, তখন লুবনা চোখ খুলতেই দেখে আম্মু, এখন আম্মু বলে তুমি এখানে কিভাবে আসলে, তুমি কি এই হাসপাতালে ডিউটি করো,এখন মামি ও আসলো বললো কে এই মেয়ে আম্মু বললো এটাই ওই মেয়ে চিটাগেংর,এখন মামি বললো এই মেয়ে তো আজ কয়দিন যাবত এখানে আমরা তো মনে করছি ডাক্তার, এখন লুবনা চুপ করে আছে, আম্মু বললো তুমি কেমনে আসলে বলো,লুবনা বললো আমি খবর পেয়ে এসেছি, এখন আম্মু বললো কে খবর দিলো, এইবার চুপ করে আছে,
আম্মু বললো আমার ছেলের জীবন টা নষ্ট করার জন্য আবার আসলে এইখানে, ওই দিন তো অনেক কথা বলে দিছি তার পরও শুনলে না,চলে আসলে পিছে পিছে,

তুমি চলে যাও সানি সুস্থ হলে তোমার ঠিকানায় ডিভোর্স পাঠিয়ে দিবো যত টাকা লাগে লাগোক,
লুবনা বললো সানি যদি ডিভোর্স জন্য রাজি হয় তাইলে কোন টাকা লাগবে না আন্টি, আমি ঠিকানা দিলাম এ-ই ঠিকানায় ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিবেন, এই সব বলে লুবনা কান্না করতে করতে চলে গেছে,

এখন মামি বললো মেয়েটা তো ভালোই তা ছাড়া সে ডাক্তার, সানির জন্য যেহেতু এসেছে তাইলে ফিরিয়ে দিলা কেন, সানির তো এখন বউ নাই ওরে বাড়ি তুলে নাও,
আম্মু বললো ওই মেয়ে ভালো কিন্তুু ওর ফেমিলি ভালো না আমার ছেলেট আবার বিপদ হতে পারে, এইসব বলে মামিকে থামিয়ে দিছে,

লুবনা চলে গেছে মিমিকে শুধু বলে গেছে আমি চাইলে ও এই মিলন সম্ভব না, এখন মিমি আর আমার বোন আসফোস করে লুবনার জন্য, এই সব কিছু আমি জানতাম না,
হাসপাতালে যতোদিন ছিলাম ততোদিন মিমি কে আমার বোন কে একটু পর পর ফোন দিয়ে খবর নিতো লুবনা,
এখন আমি অনেকটা সুস্থ, কাল বাড়ি চলে যাবো, মাঝেমধ্যে মিমি কে দেখতাম আমাকে কিছু বলার চেষ্টা করতো কিন্তুু পাশে মানুষ থাকার জন্য বলতে পারছে না,
পরের দিন গাড়ি ঠিক করলো আমাকে নিয়ে বাড়ি চলে যাবে, মিমি যেহেতু আমার সাথে কথা বলতে পারছে বা তাই আমার বোন কে সব কিছু বলে দিছে আমি সুস্থ হলে যেন আমাকে সব কিছু বলে,আমার বোন বললো চিন্তা করবেন না আমি সব ঠিক করে দিবো,

আমারা চলে আসলাম বাড়িতে, অনেক দিন হলো ফেসবুকে ঢুকছি না,তাই আজকে একটু ফোনটা নিয়ে ফেসবুকে ঢুকলাম, কারন যে মানুষ টা আমাকে ডিভোর্স দিছে সে আমার ফেসবুকে ঢুকে নাকি দেখার জন্য, চেক করে দেখলাম সে এখনও আমার ফেসবুকে একটিভ আছে, আবার চেক করে দেখলাম আমার পোস্টের কোন রিপলে করছে কি না, গিয়ে দেখি সে ও একটা only me করে একটা পোস্ট করছে,

প্রিয় জামাই জান,

তোমাকে আদর করে আমার মন ভরে নাই, তোমার হাতের ছোঁয়ায় এতোটা পাগল হয়েছি, তুমি যদি আমার চোখের দিকে তাকাতে তাইলে আমি সত্যি তোমার জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিতাম, মিথ্যেে নয় সত্যি বলছি তুমি একবার আমাকে তোমার কাছে টেনে নাও আমি তোমার হয়ে সারাজীবন থাকবো,

এই পোস্ট দেখে আমার মনে রাগ হয়েছে, আমি মনে করছি সে অন্য কাউকে বিয়ে করছে তারে আদর করে আমাকে জানাচ্ছে, এখন মনে মনে ভাবলাম পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দিবো, যেহেতু সে আমাকে ডিভোর্স দিছে তাইলে ওর কাছে আইডি রাখবো না, সাথে সাথে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেললাম,

মনের সব কষ্ট এক সাথে রাখতে আমার বোনকে বললাম কই লেটার, আমার কাছে দে, বোন বললো কিসের লেটার, আমি বলালম ডিভোর্স লেটার, বোন বললো ও দাঁড়াও নিয়ে আসি,
ডিভোর্স লেটার হাতে নিয়ে দেখতে লাগলাম, হঠাৎ দেখি এইটা ওই ১৮ ভাতারির, যে আমাকে তার বাবার বাড়িরতে রেখে নাগরের সাথে পালিয়েছে,

ইস এখন আসফোস লাগছে লুবনার জন্য, কেন যে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে গেলাম,
থাক যা হবার হয়ে গেছে, লুবনা তো অন্য কারো হয়ে গেছে,
এখন নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে, এসব চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে থাকতে চাই,
তাই ভাবলাম এইবার আমি পছন্দ মতো বিয়ে করবো সে যেমনই হোক,

ওই দিকে লুবনার সমস্যা শুরু হয়ে গেছে, যারে বিয়ে করার কথা সে সব সময় লুবনাকে পেসার দিতে থাকে, বার বার বলে চলো ওই ছেলেকে ডিভোর্স দিবার ব্যবস্থা করি,কিন্তুু লুবনা রাজি না, ওই ছেলে ও লুবনার পিছ ছাড়ে না, তাই এইবার লুবনা ও কঠিন সিদ্ধান্ত নিলো,আমার আম্মুর সাতে শেষ বারের মতো কথা বলবে,

সন্ধ্যায় আমি রুমেই বসা আমার বোনের নাম্বারে ফোন এসেছে, বোন ফোন নিয়ে বারান্দায় চলে গেছে, কার সাথে জানি কথা বলছে, একটু পর দেখলাম আম্মু কাছে ফোন নিয়ে গেছে,এখন আম্মু কথা বলছে, অনেক সময় ধরে কথা বলছে এখন ও কথা শেষ হয়না, একটু পর আম্মু কথা শেষ করে আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো চিটাগং ওই মেয়ের সাথে কি তর কোন কথা হয়, যোগাযোগ আছে, আমি বললাম না আম্মু, তবে কিছু দিন আগে শুনছি ওর বাবা মা সবাই মারা গেছে, আম্মু কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে আমার বোন কে নিয়ে অন্য রুমে চলে গেছে, এখন আমার বোন আম্মু কে বুঝাচ্ছে যে লুবনা এখনো তোমার ছেলের বউ, ওনি মিথ্যা বলে নি ওর বাবা মা মা-রা গেছে এটা তোমার ছেলে ও জানে, তোমার ছেলে যদি এখনো ওরে না চাইতো এতো খবর নিতো না, তোমার ছেলে এক্সিডেন্টে করছে এটা কেমনে জানলো ওই মেয়ে, ওরা একে অপরকে ফলো করে তাইলো তুমি কেন মাঝখানে দাঁড়িয়ে বাঁধা দিবা আম্মু, লুবনা ভাবির এখন বিপদ সামনে আমাকে সব বলছে তুমি যদি একবার সামনে গিয়ে বলো লুবনা তোমার ছেলের বউ তাইলে সব সমাধান হয়ে যায়, তোমার ছেলে ও হেপি হবে,

আমার বোনের এমন কথা শুনে, আম্মু একটু পর লুবনা কে ফোন দিছে,ওর থেকে ঠিকানা নিছে, কাল সকালে মামা আর মামি কে পাঠাবে লুবনা কে আনার জন্য, এখন আমার বোন বললো আম্মু এই খবর তুমি ভাইয়া কে বলবা না,আমি ও বলবো না,

সকালে মামা আর মামি গেছে লুবনা কে আনতে, কিন্তুু লুবনা সব কিছু গুছিয়ে আসতে একটু সময় লাগবে তাই রাতের গাড়িতে ওরা আসবে ভোর রাতের দিকে আসবে ওরা সাথে লুবনার বোনকে ও নিয়ে আসবে,

আজকে সারাদিন আম্মু আর বোন ২ জনেই কাজে বিজি, আমার রুম টা ঝাড়ু দিবার জন্য পিচ্চি কে ডেকে আনতে পারিনা আজকে সে নিজেই এসেছে রুম গুছাইয়া দিতে, সারা দিন শুধু আম্মু আর পিচ্চি কি নিয়ে জানি কথা বলে আর আম্মু একটু পর পর দোকানে গিয়ে এটাওটা নিয়ে আসে,

সারদিন পর রাতে দেখলাম আমার রুমটা অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে রাখছে, এই জন্য আমি পিচ্চি কে ৫০০ টাকা দিছি রাতে ওয় টাকা নিয়ে বললো, ভাইয়া আর ৫০০ টাকা দাও 🥺 কালকে আমার একটু কাজে লাগবে, আমি আবার ৫০০ দিলাম এখন দূর দিয়ে চলে গেছে, রাতে খবার খেয়ে ঔষধ খেয়ে আমি শুয়ে পরছি দরজা লাগাই না এখন কারন আমি এখনও সুস্থ হইনি,

রাত ২:৩০ দিকে লুবনা কে নিয়ে মামা আর মামি আসলো,সাথে লুবনার বোন ও, আমি কিন্তু টের পাইনি কারণ ডাক্তার আমাকে ঘুমের ঔষধ ও দিছে,
লুবনা আমাদের বাড়ি এসেই আম্মুর হাত ধরে অনেক কান্না করছে, মামা মামির সামনে, লুবনার বোন আর আমার বোন অনেক দিন পর এক সাথে হ’য়েছে এখন ওরা ২ জন এক সাথে ঘুমাতে গেছে, এখন সবাই এক সাথে বসে আছে,
লুবনার সাহস হচ্ছে না আমি কই সেই টা জিজ্ঞেস করার জন্য,
ওরা এক সাথে বসে সুখ দুঃখের গল্প করতে করতে ফজরের আজান পড়ে গেছে, এখন মামি বলতেছে বউরে ওর রুমে নিয়ে যা, এখন আম্মু বললো ভাবি ( মামি কে বললো ) তুমি দিয়ে যাও ওর রুমে,

মামি লুবনা কে নিয়ে আমার রুমে দিয়ে আসলো, লাইট অন করে দিয়ে গেছে মামি, আমি তখন ও ঘুমে,
লুবনা মনে মনে ভাবতে লাগলো আমি অসুস্থ রাত জাগতে পারি নাই তাই ঘুমাইছি,ওই দিকে যে আমি কিছুই জানি না সেটা ওয় জানে না, লুবনা আমার দিকে তাকিয়ে দেখে আমি ঘুমে তলিয়ে গেছি, তাই সে লাইট অফ করে আমার পাশে বসে আছে কারন শুইবার জায়গা ছিলোনা পুরো খাটে আমি পা ছরিয়ে ঘুমাচ্ছি,

লুবনা তার ফোনের লাইট দিয়ে আমার সারা শরীর টা দেখতে লাগলো কোন কোন জায়গায় আঘাত পাইছি সেই জায়গায় কোন সমস্যা আছে কি না,একটু পর লুবনা আমার পাশেই শুয়ে পরছে,।

সকাল হয়ে গেছে আমার ও ঘুৃম ভেঙে গেছে কিন্তুু কিছু একটা অনুভব করতে লাগলাম কেউ একজন আমার নাভিঁতে হাত দিয়ে আমার বুকের সাইডে শুয়ে আছে, সাথে সাথে আমি লাফ দিয়ে উঠে এক হাতে লুঙ্গি ধরে বাহিরে চলে আসলাম
ভয় পেয়েছি, আমি মনে হয় সপ্ন দেখছি, আম্মুর রুমের কাছে গেলাম দেখি বাহিরে অনেক জুতা, কেউ মনে হয় এসেছে রাতে কারা এসেছে জানি না,আম্মু ও ঘুমাচ্ছে, আবার রুমে গেলাম এইবার লাইট অন করে দেখি সত্যি সত্যি কেউ একজন শুয়ে আছে আমি চেহারা দেখার চেষ্টা করলাম চুলের জন্য দেখতে পারছিনা, যখন এক সাইডে টান দিলাম লুবনা চোখ খুলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি ও ওর দিকে তাকিয়ে আছি,
আমি বার বার বুঝার চেষ্টা করলাম এটা সপ্ন নাকি সত্যি, এইবার লুবনা আমাকে টান দিয়ে ওর বুকে নিয়ে বললো ভয় পাইছো, আমি তার মুখে আঙ্গুল দিয়ে বললাম কামোর দাও
দেখি এটা সপ্ন নাকি সত্যি, লুবনা কামোর দিলে সাথে সাথে হাতটা ওর মুখ থেকে বার করে বলি না এটা সপ্ন না

লুবনা তুমি এখানে কেমনে, লুবনা বললো কেন তুমি কি জানতা না আমাকে তোমার আম্মু তোমার মামা কে দিয়ে নিয়ে এসেছে, আমি বললাম না, আমাকে কেউ বলে নেই, লুবনা বললো তোমাকে তাইলে সারপ্রাইজ দিছে, আমি বললাম আমার মা আামকে এমন সারপ্রাইজ দিবে ভাবতে ও পারিনি,
এখন লুবনা বললো তুমি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকো, আমি দাঁড়িয়ে আছি লুবনা আমাকে সালাম করলো, আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আছি চোক ২ টা ভিজে গেছে সাথে চোখ গুলো লাল হয়ে গেছে আমি বুঝতে পারলাম এসে কান্না করছে + সারারাত ঘুমায় নি, আমি লুবনা কে শক্ত জরিয়ে ধরলাম, আর কপালে চু*মু খেলাম৷ এখন লুবনা আমাকে জরিয়ে ধরলো সাথে সাথে আমি ওরে সরিয়ে দিলাম কারনে আমার পিঠে এখনো ঘা শুকায়নি, লুবনা বললো কি হয়েছে আমি বললাম পিঠে ব্যথা,
এখন লুবনা শুয়ে পরলো আর আমাকে তার উপরে টান দিয়ে শুয়িয়ে দিলো যাতে আমি ব্যথা না পাই, আমি লুবনার পরশ পেয়ে ওর ঠোঁট ২ আলতা করে ছুয়ে দিতে লাগলাম তখন লুবনা বললো আমার এতো সখের পুরুষ তুমি, এই ভাবে তোমাকে কিছুই উপহার দিবোনা, বাসর ঘর সাজিয়ে আমি বউ সেজে তার পর সব কিছু হবে,এই মুহূর্তে তুমি আমার পেশেন্ট আর আমি তোমার মেডাম,চুপচাপ শুয়ে থাকো, লুবনার কথা শুনে ওর দিকে তাকিয়ে ভেংচি কেটে বলালম মেডাম তাইলে হাসপাতালে চলেন এখানে টিপমেন্ট করতে হবে না, লুবনা বললো তুমি কি চুপচাপ শুয়ে থাকবা নাকি তোমার আম্মু কে ডাক দিবো, এইটা বলে লুবনা আমার
নাভিঁতে হাত রেখে শুয়ে আছে, আমি বুজলাম না আমার নাভিঁতে কি এখন যদি জিজ্ঞেস করি তাইলে আবার কিছু যদি বলে,, তাই আমি ও চুপচাপ শুয়ে আছি, সকাল তো হয়ে গেছে
আমি নাস্তা করে ঔষধ খাবো কেমনে সবাই ঘুমাচ্ছে,
এইদিকে লুবনা এমন ভাবে হাত দিয়ে রাখছে একটু নড়াচড়া করলে হাত চলে যাবে অন্য জায়গায়, কি একটা অবস্থা, বাঘকে খুঁচা দিলে আরেক বিপদ, কিছুখন ছটফট করতে করতে লুবনার হাতটা সরিয়ে দিছি, ওয় ঘুমাচ্ছে, আমি বাহিরে বের হয়ে দেখি পিচ্চি টা রান্না করছে আমি গেলাম ওর কাছে, ওয় আমাকে দেখে বললো কেমন দিলাম সারপ্রাইজ, এখন আমার গিফট দাও
আমি বললাম এটা ঠিক না আমি ভয় পাইছি, আর ধন্যবাদ, আর কাল তো ৫০০ টাকার ২ টা নোট দিছি তাইলে আবার কিসের গিফট, পিচ্চি বললো একটু আমার রুমে গিয়ে দেখো কেন ২ টা ৫০০ টাকার নোট নিলাম,
আমি ওর রুমে গিয়ে দেখি আরেক জন শুয়ে আছে, লুবনার ছোট বোন, এখন বুঝতে পারছি বোন আর আম্মু কেন কাল এতো বিজি ছিলো

আম্মু ঘুম থেকে উঠে, আমাদের আত্মীয় স্বজন কে দাওয়াত দিলো, তারা যেন বউ দেখে যায়, সারা দিন ওরা লুবনা কে বউ সাজিয়ে সবাই কে দেখায়ছে, আর বাসর ঘর সাজিয়েছে লুবনার বোন আর আমার বোন মিলে,

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে রুমে ডুকলাম, লুবনাকে সারাদিন তেমন একটা দেখতে পারিনি কারন অনেক মানুষ ছিলো, বাসর ঘরে ডাক্তারনি বসে আসে আমি ভয়ে ভয়ে ওর চারপাশে ঘুরতে লাগলাম কিছু বলার সাহস পাচ্ছি না,
অবশেষে যখন সে ঘোমটা খুললো ভয়ে আমি ওর পায়ে বসে পরছি, লুবানা কে সত্যি অনেক সুন্দর লাগছে, শুধু দেখে যাচ্ছি হাত দিতে পারছি না ভয়ে 🥺 যদি ঝাড়ি মারে,
তার পরেও ভয়ে ভয়ে ওর কাছে গেলাম, একটা চুমু দিলাম আর আমাকে আটকিয়ে দিয়ে বললে ব্যথা পাবা, মনে মনে বলতে লাগালম কেমনডা লাগে,

তার পর ও আমি সাহস নিয়ে ওরে জরিয়ে ধরলাম আর বলাতে লাগলাম তুমি আমার সেই _অর্ধাঙ্গিনী যার জোরা অনেক আগেই লেগেছে, কেউ আলাদা করতে পারেনি,
আমি আর তোমাকে হারাতে চাইনা লুবনা, লুবনাও বললে হারিয়ে যেতে আসিনি তোমার হয়ে থেকে যাবো বলে এসেছি,
এতো বছর পর আজে পূর্নতা হলো, ২ জনে সুখের মুহূর্ত টা কাটিয়ে একাকার হয়ে শুয়ে আছি তখন লুবনা বললো আমাকে এতো ভালোবাসো কেন তুমি, তখন আমি ডাক্তারনি কে বললাম ছেলেরা তার বয়সে বড় আপুদের একটু বেশি ভালোবাসে 🫣 এটা শুনে লুবনা আমার চুল ধরে বললো কি
বললা, আমি বললাম ওমাগো ব্যথা এখন লুবনা আমার মুখ চেপে ধরে বলে এতক্ষণ যে আমি কান্না করে ও ছাড় পাইনি, তখন ব্যথা কই ছিলো, তখন তো ,,,,,,,,

সবাই ভালো থাকবেন, আমাদের পূর্নতা পাওয়াা আগ পরযন্ত
যারা অনেক অপেক্ষা করে গল্পটা পরেছেন সবার জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো, সবাই কমেন্ট করে যানাবেন কেমন হয়েছে, আর অবশ্যই পেইটি ফলো দিয়ে রাখবেন নতুন আরেকটি গল্প আপনাদের কে উপহার দিবো,