গল্প: আ্যবাকাসের প্রণয়।
লেখক: Borhan uddin
নষ্ট মেয়েছেলেদের মতো ওমন খিলখিলিয়ে হাসবি না তো, বিশ্রী লাগে।
কলি মুখ ভার করে তার মাকে বলল, হাসিরও ক্লাসিফিকেশন জানা আছে তোমার? খারাপ মেয়েরা বুঝি খিলখিলিয়ে হাসে ?
কলির মা কপাল কুঁচকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও জবাব দিল, “হু”।
কলি এবার আরো জোরে খিলখিলিয়ে হেসে উঠল, হাসতে হাসতে তার দম বন্ধ হবার দশা তবুও যেন হাসি থামে না।
কলির মা বাধ্য হয়েই ঘর থেকে বেরিয়ে এলো, মেয়ের এমন বিরুদ্ধতা তাকে বেশ আঘাত করে, তাই একমুহূর্ত না ভেবেই মেয়ের বাসা থেকে বেরিয়ে রিক্সা নেয়। উদ্দেশ্য মালিবাগের নিজের বাড়ি।
এমন ভর দুপুরে কোনো মা মেয়ের বাড়ি থেকে খিদে পেটে বেরিয়ে গেলে যেকোনো মেয়ের গলা দিয়ে ঐ দুপুরে ভাত নামার কথা না, তবে কলির নামছে। কচুর লতির সাথে কুচোচিংড়ি দিয়ে রান্না করা তার প্রিয় তরকারিটা সুড়ুৎ সুড়ুৎ করেই নামছে। সুগন্ধি লেবুর টুকরোটার সবটুকু রস চিপে ভাতটা ভালো করে মাখিয়ে নিয়ে মুখে তুলে নিচ্ছে সে ৷ অন্যরকম এক প্রশান্তি কাজ করছে তার।
কলি মানুষটা বেশ নির্লিপ্ত স্বভাবের, খানিকটা কঠিনও বটে। গত সপ্তাহে তার এক কাছের কলিগের মা মারা যাবার সংবাদ শুনে সে ফর্মালিটি রক্ষার্থে সেই কলিগকে বলে ” শক্ত হোন, মন শান্ত করুন”, এই বলে নিজের কাজে মন দেয় আবার। কারো সাথে অর্থের লেনদেন নেই তার, কেউ টাকা ধার চাইলে সোজা মুখের উপর বলে দেয়, “মাই মানি ইজ নট ফর লেন্ড”, অন্য কাউকে খোঁজেন। সমাজে থেকেও সে সমাজের বাইরে, কারো জন্মদিন কিংবা বিয়েতে সে যায় না৷ কারো কাছে সে কৈফিয়ত দেয় না, কারো কাছে দায়বদ্ধও নয় কেবল একজন ছাড়া। তার নাম শিউলি, কলির একমাত্র পাঁচ বছরের মেয়ে। শিউলি তার নিজের মেয়ে না, হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে রেখে যাওয়া এক অজ্ঞাতকুলশীল হলো শিউলি।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই কাজলের মতো গাঢ় রঙা কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে ঝুম বৃষ্টি নেমেছে। শিউলি কলির বুকে মুখ গুঁজে ঘুমাচ্ছে। শিউলির চুলে বিলি কাটতে কাটতে কলি স্মৃতিরোমন্থন করে। মনে পড়ে মামুনের কথা, মামুনও এভাবে কলির বুকে মুখ লুকিয়ে ঘুমিয়ে পড়ত। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ডিপার্টমেন্টের পড়ত ওরা, সবাই ওদের ডাকত শালিকজোড়া বলে। কলির প্রখর মেধা, বিনয়ী স্বভাব, দারুণ গানের গলা, জাদুকরী রান্নার হাত আর লাজুক স্বভাব মামুনের বুকে তীরের বদলে বর্শা হয়ে বিঁধেছিল। ছাড়াবার সাধ্য কিংবা শক্তি কোনোটাই ছিল না, চেষ্টাও করেনি সে, কেবল রক্তক্ষরণেই শান্তি খুঁজত মামুন। এথিকস আর আভিজাত্যে বড়ো হওয়ায় কলিকে মামুন প্রথম বর্ষেই যখন প্রণয়ের ইশারা দেয় তখন কলি মাথা নিচু করে মৃদু স্বরে বলেছিল, ” সম্ভব না”।
এরপর তথাকথিত সেই সিনেম্যাটিক দৃশ্য। মামুনের বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে কলির ছায়া হয়েই কলির পেছন পেছন হাঁটা, প্রতিদিন চিঠি চিরকুটে হাহাকারের জানান দেয়া, এর ওর হাতে ধরে কলির নৈকট্য লাভের আপ্রাণ প্রয়াস।
মামুনের চেষ্টা বৃথা গেল না, কলি গলল একটা সময়ে, মোমের মতোই গলে গিয়ে প্রণয় জ্বলোচ্ছাসে ভেসে গেলো খড়কুটোর মতোন। সানস্ক্রিন ক্রিম ছাড়া, ছাতা ছাড়া রোদে বের না হওয়া কলি তখন ভর দুপুরে মামুনের হাত ধরে রোদে পুড়ে উদ্দেশ্যহীন হেঁটে বেরিয়েছে সারা শহর, ঝুম বৃষ্টিতে রিক্সার হুড তুলে প্রেমিকের ঠোঁটে লম্বা চুমু খেয়ে ভেঙেছে চিরদিনের বিনয়, লাজের দেয়াল। একটা সময় পর যখন সে বুঝল মামুনকে ছাড়া সে প্রচণ্ড অসহায়, একটা মুহূর্তেও মামুনের দূরত্ব তাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে তখন ঘর ছেড়ে সবার বিরুদ্ধে গিয়েই দ্বিতীয় বর্ষেই মামুনকে বিয়ে করে মামুনদের বাড়িতে গিয়ে উঠল।
মামুনের বাড়ির সবাই কলিকে বেশ সমাদরেই গ্রহণ করল। এমন বিনয়ী, লাবণ্যময়ী বড়ো ঘরের মেয়েকে না করবার সাহস তাদের হয়নি।
বিয়ের পর কলি অনুধাবন করল সে স্বর্গে আছে। অন্তরঙ্গতায় রাতটাকে চোখের সামনে দিয়ে ভোর করা, সকালে কোনোমতে নাস্তা সেরে দুজনের ঢুলতে ঢুলতে ক্লাসে যাওয়া, আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে বাড়ি ফেরা। সবই যেন তাকে স্বর্গের মাঝে রেখেছিল। প্রেমে যারা অমিতব্যয়ী হয়, ক্যালকুলেশন করে না, সবটা দিয়ে প্রেমে দেউলিয়া হবার নেশায় পড়ে তারাই কেবল এক অদ্ভুত সুখের দেখা পায়, সর্বস্বান্ত হয়। চতুরেরা কেবল প্রেমে ক্যালকুলেশন করে, মিতব্যয়ী হয়, তারা কখনো সেই অদ্ভুত সুখের দেখা পায় না। প্রেমে কৃপণতা মানে সমুদ্রের তীর ধরে হাঁটা, ডোবার ভয়ে সমুদ্রজলে পা না ভেজানো।
তবে সর্বস্বান্ত হওয়া কলি ডুবল, ভীষণভাবেই ডুবল। বাবা মায়ের জেদের বদলে সে-ও জেদ ধরল, পড়াশোনায় অমনোযোগী হলো, সিজিপিএ কমলো, সেই সাথে কমলো মামুনের পরিবারে তার গ্রহণযোগ্যতাও।
মামুনের পরিবার ভেবেছিল কলির বাবা মা কলিকে একটা সময়ে মেনে নেবে, তার পরিবারের সাথে হিসেবের একটা খাতা খুলে তারাই একতরফাভাবে লাভবান হবে। হলো উল্টোটা, কলির বাবা মা খোঁজই নিল না মেয়ের।
আশাহত মামুনের পরিবারের কাছে কলি এক উটকো ঝামেলায় পরিণত হলো সময়ের সাথেসাথে। তাদের বাঁকা কথায় কলি আহত হতো, দু চোখ বেয়ে টপটপ করে পানি ঝরতো। তবে বিনয় আর লাজুক স্বভাবের কারণে সে মাথা নিচু করেই সব মেনে নিত। মামুন এই সময়টাতে কলির পাশে দাঁড়াবার বদলে কলিকে কেমন যেন এড়িয়ে যেত, বাবা মায়ের ভালো ছেলে হওয়াটাই কলির অপমানের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার কাছে। কলি তখনো বোঝেনি কি এক মস্ত ভুল করে বসেছে সে অভিভাবকহীন মেয়ে ওঠার স্পর্ধা দেখিয়ে। কলি ভুলটা বুঝলো একটু দেরিতে, তখন সে তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা।
অবহেলা, বাঁকা কথা আর তীব্র অপমানের মাঝেও কলির মাঝে আবার প্রাণের ছোঁয়া দিলো নতুন প্রাণের আগমনী বার্তা।
এক রাতে খাবার টেবিলে মামুনের সামনেই কলিকে জানানো হয় এক নির্দয় শর্ত। কলি ভাত চাবানোর বদলে গিলে নেয়, সাথে ঐ কঠিন শর্তও। মামুনের দিকে চাতক পাখি হয়ে ফেলফেল করে তাকিয়ে ছিল, এই বুঝি মামুন ওর হয়ে কিছু একটা বলে। মামুনের ঐদিন কলির ওপর চাপিয়ে দেয়া অন্যায় শর্তর বদলে ইন্টারেস্টিং লাগছিল কলির রান্না করা কই মাছ ভূনা, মামুন খুব শান্ত ভঙ্গিতে মাছের কাঁটা বেছে যাচ্ছিল। যেন আমেরিকা কখনো জাপানে পারমাণবিক বোমা ফেলেনি, হিটলারের হলোকাস্ট এক রূপকথা আর চেঙ্গিস খান যেন এক শান্তির দূত। পৃথিবীতে কেবল শান্তি আর শান্তি, কোথাও কোনো গোলযোগ নেই৷
কলির স্মৃতির রোমন্থনে বাঁধা দেয় তারা মামির ফোনকল। কেবল তার ছোট মামিই তার সাথে যোগাযোগ রাখে, আপদে বিপদে ছুটে আসে কলি না চাইলেও। মামির অনুরোধ উপেক্ষা করতে তার একটু দ্বিধা কাজ করে, মাঝেমধ্যে উপেক্ষাও করতে পারে না।
ফোন ধরতেই ছোটো মামি ফোনের ওপাশ থেকে বলল, সন্ধ্যায় সাতটায় দ্য নিউইয়র্ক রেস্টুরেন্টে চলে আসবি, কথা আছে। কলি কিছু বলার আগেই ফোন কেটে দেয় সে। কলি মুচকি হাসে, তার মামি জানে কলি না করবে তাই উত্তরের আগেই ফোন কেটে দিয়েছে।
চোখ মুছে আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায় কলি। ডিভোর্সের সাত বছরে এসে একটু মুটিয়ে গিয়েছে, তবে খুব বেশি না। কোমর সমান চুল অর্ধেকে এসে ঠেকেছে, কেমন যেন রুক্ষতা ভর করে আছে সারা মুখ জুড়ে। কলি জোর করে হাসার চেষ্টা করে। না, এটা মেকি হাসি, বিশ্রী লাগছে দেখতে।
ছোটো মামি গত চারমাস ধরে একটা ছেলের সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দিতে একশোবারেরও বেশি অনুরোধ করেছে, কলি চায়নি। তবে আজ কলি যাবে, মামিকে সান্ত্বনা দিতে।
কলি একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে উঁচু পদে চাকুরির সুবাদে সময়জ্ঞান নিয়ে খুব সচেতন। সাতটা বাজার মিনিট পাঁচেক আগেই শিউলিকে নিয়ে কলি হাজির। বেশ পরিপাটি রেস্টুরেন্ট, নরম আলো আর সুন্দর একটা সুগন্ধে ভরপুর হয়ে আছে পুরো রেস্টুরেন্ট। ভেতরের দিকটায় পা বাড়াতেই মামির সাথে বসা এক ভদ্রলোককে দেখা গেল।
বয়স তার ত্রিশ ছুঁইছুঁই, শ্যামবর্ণ, উচ্চতায় গড়পড়তা বাঙালি পুরুষের মতোই। প্রথম দর্শনেই আকর্ষণ করবার মতো কোনো বাহ্যিক উপাদান তার মাঝে নেই।
কথাবার্তার ফাঁকে জানা গেল ভদ্রলোকের নাম আব্দুল কাদের, দশম গ্রেডের চাকুরি করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। বাড়ি গাইবান্ধা, আপাতত মা বাবা নিয়ে ঢাকাতেই থাকেন।
কলি কফিতে চুমুক দিতে দিতে তার মামিকে ইশারা করতেই তার মামি শিউলিকে নিয়ে উঠে গেল। কাদের সাহেব যেন এই সুযোগটাই খুঁজছিলেন।
কাদের সাহেব বিনীত গলায় বললেন, আপনার কিছু জানার নেই আমার ব্যাপারে?
কলি কফিতে শেষ চুমুক দিয়ে বলল, না ভাই আমার জিজ্ঞেস করার কিছু নেই। আমি এসেছি আমার মামির শতবারের অনুরোধে। বিয়েশাদি করার ইচ্ছে আমার নেই। আমার মামি হয়তো আপনাকে বারবার অনুরোধ করে এখানে নিয়ে এসেছেন আমার নামে অনেক অতিরঞ্জিত মিথ্যা বলে। তার জন্য দু:খিত।
কাদের সাহেব একটু ধাক্কা খেয়েছেন কলির কথায়, খানিকটা দমে গিয়েছেন৷ মলিন মুখে বললেন, আপনার মামিকে আমিই বলেছিলাম, আপনার মামি আমার কলিগ হওয়ায় আপনার ব্যাপারে প্রতিদিনই কথা হতো। সবকিছু জানার পরেই আমার তুমুল আগ্রহর কারণে উনাকে জ্বালাতন করেছি রোজরোজ যাতে একবার হলেও দেখা করিয়ে দেন।
কলির মায়া হলো লোকটার চেষ্টা দেখে। কলি কাদের সাহেবের চোখে চোখ রেখে বলল, দেখুন ভাই আমি মানুষটা একদম নির্জীব শ্রেণির, পাষাণ আর প্রচণ্ড আত্নকেন্দ্রিক। নিজের বাবা মা মরে গেছে এই খবর শোনার পরেও আমি খুব বেশি কষ্ট পাব না এখন। দুদিন কাঁদব তাও অবসরে, এরপরে আবার নিজের জীবনে বাঁচাতে শুরু করব। যেকোনো সম্পর্কে আবেগ, প্রগাঢ় অনুভূতি জরুরি। আমার কাছ থেকে কোনোটাই পাবেন না আপনি। আপনি বড়ো এক্সিডেন্ট করে হাসপাতালে থাকলেও আমি বলব, গড ব্লেস ইউ৷ আপনার পরিবারের মানুষের জন্য কিংবা আপনার জন্য বিন্দুমাত্র স্যাক্রিফাইস করতে পারব না। আমার মেয়েটা ছাড়া কারো কোনো কিছুতে আমার আগ্রহ জাগে না৷ সম্পর্কে ইফোর্ট জরুরি জিনিস, সেটা আমার কাছ থেকে পাবেন না। সুতরাং আমাকে নিয়ে ভাবনা বন্ধ করে দিন। আপনি ভালো মানুষ না হলে আমার মামি আপনাকে এখানে নিয়ে আসতেন না , আমার মামি মানুষ চেনেন ভালোভাবেই। আমি চাই না একটা ভালো মানুষের জীবন বরবাদ হোক। অন্য কাউকে বিয়ে করুন, সুখী হোন।
কাদের সাহেব উত্তরে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন। কলি সেটার সুযোগ দিলো না। ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নয়শো টাকা বের করে টেবিলের উপর রেখে বলল, বিল হবে বারোশ টাকা মতো, বাকিটা আপনার দিতে হবে।
কাদের সাহেব কলির এমন নির্লিপ্ততায় একটু হচকিয়ে গেছেন৷ কিছু বলতে পারলেন না। কলি দ্রুত পায়ে শিউলিকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো রেস্টুরেন্ট থেকে।
কলি এখন মহাব্যস্ত হয়ে গেছে অফিসের কাজের প্রেশার, শিউলির স্কুলের পরীক্ষা নিয়ে। রোবটের মতো জীবন কলি নিজ ইচ্ছাতেই বেছে নিয়েছে। তার কলিগদের অনেকেই বারে যায়, তথাকথিত বন্ধু নিয়ে বিদেশে যায় ঘুরতে। কলির কাছে এসবের কোনো আবেদন নেই, স্রেফ খামাখা অর্থ, সময় আর চরিত্রের অপচয় মনে হয় এসব।
অফিস শেষে সুপার শপে টুকিটাকি জিনিস কিনতে এসে কাদের সাহেবের সাথে দেখা কলির। কাদের সাহেব একটা কাতলা মাছের দিকে তাকিয়ে কী যেন ভাবছে। কলি এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল তবে কাদের সাহেব কলিকে দেখে ফেলায় কলির পালানো হলো না। কাদের সাহেব চওড়া হাসি হেসে বললেন, আমাকে একটু উপকার করুন প্লিজ। এই মাছটার পেটে ডিম কি অনেক বেশিই হবে? ডিমওয়ালা মাছের স্বাদ কম হয়, দামও অনেক বেশি। বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করবেন?
কলি মানুষ পড়ার যে গোপন গুণ তৈরি করেছে ভীষণভাবে মুখ থুবড়ে পড়ার পর সেই গুণের সাথে অনেকেরই পরিচয় নেই। কাদের সাহেবকে সে গুণের পথ দেখিয়ে কলি গলা নিচু করে বলল, দাম অনুযায়ী এই মাছটা নেয়া উচিত হবে না। মাছটা চাষের মনে হচ্ছে আর পেটভরা ডিম।
কই মাছ কাটা আছে, দেশি ওটা। নিতে পারেন, তেলতেলে ভুনা করলে ভালো লাগবে খেতে।
কাদের সাহেব মুগ্ধতা নিয়ে কলির চোখের দিকে খানিক্ষন তাকিয়ে থাকেন। পুরুষ মানুষের আর্থিক দুর্বলতা যে নারী সৌখনিভাবে উপেক্ষা করে তাকে অস্বস্তিতে ফেলে না সে নারী পুরুষ মানুষের আরেক দুর্বলতা হয়।
কলি বহুদিন বাদে কারো চোখে তাকে ঘিরে মুগ্ধতা আর শ্রদ্ধা দেখে৷ সে বেশিক্ষণ কাদের সাহেবের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে না, ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে নিজের কেনাকাটার দিকে চলে যায়।
ইদানীং কলি নিজের ভেতরে কিছু পরিবর্তন টের পেতে শুরু করেছে।???
চলবে???