মায়াতলীর মোড়ে পর্ব-১৪

0
27

#মায়াতলীর_মোড়ে – [১৪]
লাবিবা ওয়াহিদ

[কপি সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ]

নরম সকাল। মিষ্টি রোদের ছটা বদ্ধ ঘরজুড়ে প্রবেশ করেছে এলোমেলো ভাবে। যতটুকুই পর্দার ফাঁক-ফোঁকর পেয়েছে ততটাই সুযোগ লুফে নিয়েছে আলোরা। সকালের রোদ কখনো উত্তাপময় হয় না। খুব মিষ্টি এবং নরম হয় এই রোদটুকু। শীতলতা ভাব থাকে এর মাঝে। এই সময়টায় যেন উত্তাপ ছড়ানোর তাড়া নেই। এলার্জির ওষুধ নাকি নরম বিছানা— মাহারিনের বেশ গভীর এবং আরামদায়ক ঘুম হলো। সে পিটপিট করে চোখ মেলে চাইতেও নিজেকে কম্ফোর্টারের ভেতরে কোনো একজনের বাহুডোরে আবদ্ধ অবস্থায় পেল। চমকে উঠল সে। পরপর ভালো করে চাইতেই বুঝল সে তাহমিদের বুকে। তাহমিদ এক হাতে তাকে আগলে নিয়ে ঘুমাচ্ছে। তাহমিদকে দেখেই মাহারিনের মস্তিষ্ক পুরোদমে জেগে ওঠে, মনে পড়ে সে গতকালই বিয়ে করে আজ তাহমিদের ঘরে অবস্থান করছে।

মাহারিন ছুটতে চাইলো তার হাতের বন্ধন থেকে। কিন্তু ঘুমের মধ্যেও যেন তাহমিদ বেশ সচল। চোর যেন পালাতে না পারে এমন ভাবেই নিজের সাথে জড়িয়ে রেখেছে মাহারিনকে। এতে তার ভারী রাগ হয়। তাহমিদের নাক চেপে ধরে যাতে সে নিঃশ্বাস নিতে না পারে। মাহারিনের অবশ্য এত কষ্ট করতে হয়নি। সে নাক চেপে ধরতেই তাহমিদ চোখ খুলে ফেলে। পরপর মাথা নুইয়ে সদ্য বিবাহিত নতুন বউয়ের দিকে তাকায়। মিষ্টি একফালি রোদ মাহারিনের মুখে এসে পড়েছে। তা দেখে মুগ্ধ হয় সে। মাহারিন তাহমিদের এহেম নজর দেখে আবার ছটফট করে ছাড়া পাবার জন্যে। এতক্ষণে মুখ খুলে সে,
–“আপনার সাহস তো কম না আমাকে এভাবে ঝাপটে ধরেছেন! ছাড়েন বলছি। আরেক হাত ভাঙার শখ জেগেছে বুঝি?”

তাহমিদ ঠোঁট বাঁকিয়ে হেসে বলল,
–“হাউ ফানি! যেই মেয়ে আমার এক হাতের বন্ধন থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারছে না সে আমার হাত ভাঙার হুমকি দিচ্ছে। বোকা কী তুমি নাকি আমি?”

–“শাট আপ, ছাড়ুন আমায়।”

–“নিজে ঘুমের ঘোরে আমার কাছে এসেছে অথচ নিজেই এখন এমন ভাব ধরছে যেন অপরাধী আমি।”

মাহারিন চট করে তাকাল তাহমিদের দিকে। কুঁচকানো ভ্রু দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে বিশেষ বিশ্বাস করেনি তাহমিদের কথা। তা বুঝতে পেরে বলল,
–“বউকে মিথ্যে বলার মতো এত বড়ো অন্যায় আমি করতে পারি বলো?”

–“এসব অযথা কথা ছাড়ুন, সঙ্গে আমাকেও।”

তাহমিদ মাহারিনকে তো ছাড়লই না, উলটো মাহারিনের গালে চুমু দিয়ে বলল,
–“যাও, ছেড়ে দিলাম। তবে সারাজীবনের মতো নয়।”

মাহারিন বোকা বনে তাহমিদের দিকে সেভাবেই চেয়ে রইল। তা দেখে তাহমিদ চোখ টিপ দিয়ে উঠে বসে। মাহারিন ততক্ষণে তাকে গালমন্দ করতে করতে দ্রুত ওয়াশরুমে ঢুকে যায়।

মাহারিন শাড়ি এবং থ্রি-পিছ নিয়ে বসে আছে। সে বেশ চিন্তিত এই মুহূর্তে কোনটা পরবে। শাড়িই পরতে হয় জানে, তবে শাড়িতে সে অভ্যস্ত নয়। নতুন পরিবেশে তাই শাড়ি পরা নিয়ে ভীষণ ভয়। তাহমিদ কিংবা অন্যকেউও আশেপাশে নেই যে তাই তার এই কনফিউশন দূর করে দিবে। তাই অনেক ভাবনা-চিন্তার পর গর্জিয়াছ থ্রি-পিছটাই বেছে নিল। এটাও লাল টকটকে। তাই বিশেষ অসুবিধা হবে না বলে তার বিশ্বাস।

থ্রি-পিছ পরে বেরিয়ে আসতেই দেখল পারভীন হাসি-মুখে বিছানায় বসে। হাতে দুকাপ চা। শাশুড়িকে এভাবে রুমে থাকতে দেখে সে ভীষণ লজ্জা পেল। নিয়মানুসারে তার নিচে গিয়ে শাশুড়ির সাথে দেখা করার কথা। অথচ এটা সেটার চক্করে সে এখনো তাহমিদের ঘরে বিচরণ করছে। মাহারিন অপ্রস্তুত গলায় সালাম দিল শাশুড়িকে। পারভীন বিনয়ের সাথে সালামের উত্তর নিয়ে বললেন,
–“আমার বউমাকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছিল। তাই ভাবলাম চা নিয়ে বউমার কাছেই চলে আসি। এসো, পাশে বসো।”

মাহারিন বাধ্য মেয়ের মতো শাশুড়ির পাশে এসে বসল। মিনমিন করে বলল,
–“আপনি আজ এমনিতেই ব্যস্ত, কী দরকার ছিল আসার? আমি তো নিচেই যাচ্ছিলাম।”

পারভীন হাসলেন। মাহারিনের মাথায় মমতার সাথে হাত বুলিয়ে বললেন,
–“এই সময়টায় একটু সমস্যা পোহাতে হয়, তা আমি বুঝি। বাড়িতে এমন কাউকে তুমি ভরসা করতে পারবে না যতটা আমার সাথে পারবে। এজন্য এই দিকটা খেয়াল করেই অন্তত মিনিট দশেকের জন্য এখানে আসা। এই মিনিট দশেকের জন্য ব্যস্ততা এতটাও বাড়বে না, তাই এসব নিয়ে চিন্তা করিও না।”

মাহারিন ভীষণ অবাক হয়, পাশাপাশি মুগ্ধও হয় শাশুড়ির আচরণে। শাশুড়ি তাকে একদিনেই আগলে নিয়েছেন, তাও এতটা গভীর ভাবে। পারভীন একজন বিচক্ষণ, শিক্ষিত মহিলা। সেটা সহসা তার নিরহংকার, আন্তরিক ব্যবহারেই ভীষণ উপলব্ধি করা যাচ্ছে। পারভীনই মাহারিনকে পরামর্শ দিলেন আজকের দিনে শাড়ি পরতে। তবে মাহারিন মুখ ছোটো করে বলল,
–“একা একা শাড়ি পরতে পারি না মা। পিন ছুটে যায়।”

পারভীন এমন ভাবে ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দিলেন যেন এটা কোনো সমস্যাই না।
–“ভয় পেয়ো না, আমি সাহায্য করছি।”

বিয়ের পরের প্রথম সকালে বোধ হয় কোনো মেয়েই কল্পনা করতে পারে না এভাবে শাশুড়ির সাহায্য পাবে। তাই সহসা পারভীন তাকে হতবাকই করে গেলেন। পরের মেয়েকে এত সহজে যে আগলে নিতে পারে সে নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ। এই ভালো মানুষের ছেলে কী করে এই বাজে বকা তাহমিদ হলো বুঝে পেল না।

পারভীন বের হলেন আর তাহমিদ প্রবেশ করল ঘরে। তাহমিদ ফ্রেশ হয়েছে তবে গায়ের কাপড় বদলায়নি। তা মাহারিন দেখেও না দেখার ভান করেও সফল হলো না। তাহমিদ তার পেছনে দাঁড়িয়ে বলল,
–“আমার পাঞ্জাবিটা চেঞ্জ করতে সাহায্য করো।”

মাহারিন তাকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করে আপনমনে সাজতে ব্যস্ত। তা ভালো ভাবে বুঝতে পেরে তাহমিদ বলল,
–“আমার পাঞ্জাবিতে কিন্তু লিপস্টিকের ছাপ আছে। তুমি কী চাচ্ছ নিজ থেকে লজ্জার শিকার হতে? চাইলে বলো, এই পাঞ্জাবি নিয়ে আমি ঘুরতে রাজি।”

মাহারিন তড়িৎ পিছে ফিরে চাইল। চোখ জোড়ায় বিস্ময়। তৎক্ষণাৎ তাহমিদের পাঞ্জাবি জুড়ে সতর্ক নজর ফেলল। তাহমিদ বাঁকা হেসে নিজেই কলারের দিকটা দেখাল। মাহারিনের তখন লজ্জায় জুবুথুবু অবস্থা। লিপস্টিক দেয়নি অথচ লিপ বামের দাগ কেমন করে অফোয়েড পাঞ্জাবিতে বসে গেছে। হয়তো ঘুমের মধ্যে নড়াচড়া করতে গিয়ে এই অকাজটা হয়ে গিয়েছে। তাহমিদ আবারও বলল,
–“যাই গিয়ে দেখিয়েই আসি.. অলরেডি আমার ভাই দেখে ফেলেছে। ওর থেকেই আমি জানতে পেরেছি।”

মাহারিন এতদিকে ধ্যান না দিয়ে দ্রুত তাহমিদকে সাহায্য করল। তাহমিদ যে তখন মিটিমিটি হাসছিল তা মাহারিন ভালো করেই দেখেছে। কিন্তু সে নিরুপায়, কিছুতেই এই লোকটাকে গোল খাওয়াতে পারছে না। উলটো সে নিজেই নিজের পাতা ফাঁদে পা হরকাচ্ছে। এত ধুরন্ধর হতে কে বলেছে এই লোককে? ধুর!

মাহারিন এবং তাহমিদ একসাথে নিচে নামল। আত্নীয়-স্বজন একদম ঘিরে রেখেছে তাদের। পারভীনই ওদের থেকে ছেলে-বউকে আলাদা করে খাবার টেবিলে নিয়ে গেলেন। সবাই আগেই নাস্তা সেরে ফেলেছে। তারেক সাহেব নাস্তা করেই ছুটেছেন রিসিপশনের ব্যবস্থা তদারকি করতে। তারেক সাহেব নিজের কাজগুলো নিজে দেখতেই পছন্দ করেন। সেখানে প্রথম ছেলের বিয়ে, ছেলে-মেয়েদের বিষয়ে তিনি কোনো কম্প্রোমাইজ করেন না।

রিসিপশন আগামীকাল হবে। তাহিয়াও এতক্ষণে উঠে খাবার টেবিলে বসেছে। তাহিয়া গুনগুন করে বলল,
–“ঘুম কেমন হলো ভাবী?”

তাহমিদ শুনেও না শোনার ভান ধরে আছে। মাহারিন আড়চোখে তাহমিদের দিকে তাকিয়ে বলল, “ভালো।”
টেবিলে বসে মাহারিনের চোখ চড়কগাছ। পারভীন একা হাতে নতুন বউয়ের জন্য এলাহি কাণ্ড ঘটিয়ে রেখেছেন। এত এত খাবারের আইটেম। যাকে পারভীনের ভাষায় বউ আপ্যায়ন বলে। সে জামাই আপ্যায়ন দেখেছে, কিন্তু কখনো বউ আপ্যায়ন দেখেনি। এই ব্যাপারটা তার কাছে নতুন। সব মাহারিনের পছন্দের হলেও সে শুকনো ঢোঁক গিলে। এত খাবার আদৌ তার গলা দিয়ে নামবে তো? তাহমিদ তো বলেই বসল,
–“কী গো আম্মা! আমার বউটাকে আজই মোটা করার ধান্দায় আছ নাকি?”

–“চুপ কর। একটু খেলে কেউ মোটা হয় না। আর ওর মোটা হওয়ারই উচিত। দেখেছিস মুখটা শুকিয়ে কেমন হয়ে গিয়েছে? এই বউমা, বসে কেন? খাওয়া শুরু করো।”

সকলের আদরে, স্নেহে মাহারিনের পুরো দিনটা কেটে যায়। তাহমিদ তেমন একটা তার কাছে আসতে পারেনি কাজিন এবং বন্ধুদের চক্করে। তারা যেন মাহারিনের কাছে যাওয়াই হারাম করে রেখেছে। বন্ধুদের হাস্যরসে তাহমিদ শুধু শক্ত গলায় ধমক কিংবা বকাই দিতে পেরেছে। কিন্তু এরা বুঝি এতই সোজা মানুষ? মাহারিন অবশ্য হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছে।

এই বাড়িতে আসার পরও মাহারিন তাহমিদের ভাইকে দেখেনি। এই ব্যাপারটা তার ভারী অদ্ভুত লাগছে। সকলের মুখে মুখেই তাহমিদের ভাইয়ের নাম, অথচ মাহারিন তার দর্শন পাচ্ছে না। এ নিয়ে তার মাঝে কৌতুহল তীব্র। রাতে মাহারিন নিজের ঘরে একা বসে ছিল। তাহিয়া এবং তার কাজিনরা মিলে তখন ছাদে চুলার ব্যবস্থা করছে। আচমকাই আজ বারবিকিউ করার ভূত চেপেছে কয়েকজনের মধ্যে। এজন্য এই বিয়ে বাড়িতেই বড়ো কথা অমান্য করে নিজেদের মতো সব কাজ সেরে ফেলছে। শুনেছে ছাদে নাকি আলাদা লাইটিং-এরও ব্যবস্থা থাকছে। তারেক সাহেবের অনুমতিতেই হচ্ছে সব। তিনি ভীষণ খোলা মনের মানুষ। কেউ তার কাছে আবদার করলে তিনি ফেরাতে পারেন না। তাই তো এবার সবাই এই ব্যাপারে বিপক্ষে থাকা সত্ত্বেও তারেক সাহেবের অনুমতিতেই সব করার সাহস পাচ্ছে।

তাহমিদ তখন মাহারিনের কাছে এলো। তখন তার কানে ফোন। কথার ফর্মালিটিতেই বোঝা যাচ্ছে কোনো পেশেন্টের বিষয়ে কথোপকথন চলছে। কানে ফোন থাকলেও তার চোখ-জোড়া ঘুরে ফিরে সেই মাহারিনেই আটকাচ্ছে। এতে মাহারিন বিরক্ত হয়ে বলল,
–“এভাবে দেখছেন কেন? যেন চোর আপনি?”

তাহমিদ কথা বলতে বলতেই হাসে। মাহারিনের উত্তর দিতে যেন ভীষণ তাড়া তার। এজন্য কথোপকথনে ইতি টেনে মাহারিনের পাশে এসে বসল সে। মিনমিন করে বলল,
–“আমি তাকালে তুমি এত ছ্যাৎ করে উঠো কেন বুঝলাম না! আমি ছাড়া তোমার দিকে তাকানোর সাহস কার?”

–“এভাবে দেখবেন না, ব্যাস।”

–“কেন? প্রেমে পড়ে যাচ্ছ নাকি?”

–“হাহা, প্রেম? অসম্ভব।”

–“অসম্ভব যে সম্ভব হয়ে বসা তা এখনো টের পাচ্ছ না বোকা মেয়ে।”

মাহারিন ভ্রু কুচকে কিছু বলতে যাবে ওমনি কারেন্ট চলে গেল। আলোকসজ্জায় সজ্জিত বাড়ি নিমিষেই ঘুটঘুটে অন্ধকারপুরিতে পরিণত হয়। মাহারিনের গা শিউরে ওঠে আচমকা এরকম হওয়ায়। তাহমিদের হাতে ফোন থাকায় সে ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে চিন্তিত গলায় বলল,
–“হঠাৎ কী হলো?”

–“আমি কী করে জানব? আমি তো আপনার সাথেই বসা।”

তাহমিদের চিন্তা কাটল না। কী মনে করে উঠে দাঁড়ায় সে। মাহারিনের গলা শুকিয়ে আসে তা দেখে। ভয়াতুর গলায় বলল,
–“দাঁড়ালেন কেন? কোথায় যাবেন?”

–“তুমি বসো। আমি দেখে আসছি, নিচ থেকে সড়গোলও শোনা যাচ্ছে।”

তাহমিদ যেতে নিলে মাহারিন তার হাত ধরে আটকে বলল,
–“যাওয়া লাগবে না। আমি একা।”

–“কেন? ভয় পাচ্ছ? মাহারিন আবার ভয়ও পায়?”

শ্লেষ মেরে বলা কথাটা গায়ে লাগল মাহারিনের। তখনই তাহমিদের হাত ছেড়ে অন্যদিকে ফিরে বলল,
–“যেখানে খুশি যান।”

তাহমিদ হাসল। বলল, “বেড বক্সে তোমার ফোন আছে, সেটার ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে নাও। আমি যাব আর আসব।”

তাহমিদ গেল ত গেলই, তার আর খবর পাওয়া গেল না। এদিকে মাহারিন ভয়ে আড়ষ্ট। বেড-বক্স অনেক হাতড়ে ফোনটা পেয়েছে। অনেকক্ষণ হওয়ার পরেও যখন দেখল তাহমিদ আসছে না তখন রুমের বাইরে করিডোরে চাকার শব্দ হচ্ছে। অন্ধকার, শব্দহীন পরিবেশে শব্দটা কেমন ভয়ানক হয়ে বিঁধছে কানে। মাহারিন শুরুতে ভয় পেলেও আচমকা তার মাথায় এলো তাহমিদ তাকে ভয় দেখাচ্ছে সম্ভবত। এজন্য মাহারিনের মাথায় জেদ চেপে বসল। সেও ফোনের ফ্ল্যাশ বন্ধ করে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসল। উদ্দেশ্য, তাহমিদকে সে উলটো ভয় দেখাবে। চাকার শব্দটা ক্ষীণ হয়ে এসেছে, সঙ্গে ফিসফিসের শব্দও আসছে। যেন তাহমিদের গলা শুনতে পেল সে।

তাহমিদকে খপ করে ধরবে ভেবে ফ্ল্যাশ অন করতেই দুই দুজন তাহমিদ একসাথে দেখতে পেল সে। একজন বসা এবং একজন দাঁড়ানো। দুজনই তড়িৎ মাহারিনের দিকে তাকিয়েছে। মাহারিন এতটাই ভয় পেল যে এক চিৎকারে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল।

চলবে~~