শ্যামাবতী প্রেয়সী পর্ব-১৩

0
27

#শ্যামাবতী_প্রেয়সী
#পর্বঃ ১৩
#জেসমিন_জেমি

শিকদার বাড়ীর তিন গিন্নি রান্না ঘরে ব্যস্ত। মেয়ে আর মেয়ের জামাই ফিরেছে আজ। সন্ধ্যায় মেয়ের জামাইয়ের ফ্লাইট।এভাবে হুট করে চলে যাবে শশুর বাড়ী থেকে কোনো জামাই আদর না পেয়ে এটা হতে পারে? বাড়ীর বড় জামাই বলে কথা। যদিও এর আগে এহতিশামকে আপ্যায়ন করেছে তবে তখন ছিলো শিকদার বাড়ীর মেহমান আর এখন সম্পর্ক পাল্টেছে এখন সে বাড়ীর বড় জামাই। মাহমুদ শিকদার আর মিরাজ শিকদার সকালে গিয়েই বাজার করে এনেছে। পুরো শিকদার মহল সুস্বাদু সব খাবারের গন্ধে মো মো করছে। লিভিংরুমে এহতিশাম, মেহতাব, মাহদুল শিকদার, মাহমুদ শিকদার কোনো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছে। পরী বুঝলো না এতো তারাহুরো করে ফেরার কি প্রয়োজন ছিলো? ওই বাড়ী থেকে আসার সময় আলিশা মেয়েটা মন খারাপ ছিলো সে পরীকে আসতেই দিবে না। পরীর আলিশার জন্য খুব খারাপ লাগছে। পরী ফ্রেশ হয়ে গোলাপি রঙের সালওয়ার কামিজ পড়লো। আয়নার সামনে দাঁড়ালো। আয়রা বেগম আজ পরীকে বুকে জড়িয়েছে কপালে চুমু এঁকে দিয়েছে। রিপ্ত পরীকে দেখেই পরীর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।আয়নার সামনে দাড়িয়ে মুচকি হাসলো পরী।
আজ পরীর মনে হচ্ছে ওর জীবন আসলেই পাল্টে গেছে। এ যেনো এক নতুন জীবনের সূচনা । সব, সব, সব কিছু পাল্ট গেছে। পরীর অগোছালো এলোমেলো জীবন এহতিশাম নামক মানুষটার জন্য পাল্টে গেছে। আয়নার সামনে দাড়াতেই আয়নায় ভেসে উঠলো এক ফর্সা মুখশ্রী । যে এই মুহুর্তে পরীর দিকেই তাকিয়ে আছে। এহতিশাম ধীরকন্ঠে বললো,

-রোজ।

পরী চটপট ঘুরে দাড়ালো। বললো,
পরী- কোথায় রোজ? কে রোজ?

এহতিশাম হেচকা টানে পরীকে টেনে নিলো একদম কাছে পরী হকচকিয়ে উঠলো। কথা শেষ করতে দিলো না এহতিশাম। পরীর ঠোঁট জোড়ায় আঙুল চেপে ধরলো এহতিশাম ঠোট নাড়িয়ে বললো,
হুস,,,

পরী হতবাক নজরে এহতিশামের চোখে তাকিয়ে আছে। এ লোক হুটহাট কাছে চলে আসে কেনো? পরীর শ্বাস কষ্ট হয়। লোকটা কি পরীকে মা/রার প্লান করছে? এহতিশাম আঙুল সরাতেই পরী ভ্রু কুঁচকে বললো,
সমস্যা কি আপনার এভাবে হুটহাট কাছে চলে আসেন কেনো?

এহতিশাম ভ্রু কুঁচকালো কাছে চলে আসে? কই কাছেই তো এলো না। এহতিশাম ঠোঁট বাঁকালো পরী কিছু একটা শোনার জন্য তাকিয়ে আছে ইশারায় বোঝালো বলুন । এহতিশাম হুট করে পরীর ঠোঁট জোড়া নিজের আয়ত্বে নিয়ে নিলো৷ পরী যেনো আকাশ থেকে পড়লো। সরে যাওয়ার ও কোনো চেষ্টা করলো না অথচ এহতিশাম তাকে ধরে রাখে নি সে চাইলে সরে যেতে পারে। পরীর মাথায় তখন ঘুরছে এটা কি হলো? কি হচ্ছে? এহতিশাম বেশ সময় নিয়ে সরে গেলো এমন ভাবে সরে গেলো যেনো কিছুই হয়নি। পরী ততক্ষণাৎ বাম হাতে ঠোঁট চেপে ধরে থম মে/রে দাঁড়িয়ে রইলো । এহতিশাম যেতে যেতে বললো,

কাছে আসা থেকে শুরু করে সব কিছুর বৈধ অধিকার আছে আমার মিসেস আঁয়াশ।

পরী নিজমনে আওড়ালো,
কি বললো?কি বললো ওই লোকটা?

——-
এহতিশাম চলে যাবার পরে রিপ্তী দৌড়ে এসে জড়িয়ে নিলো পরীকে। পরী এখনো ভাবনায় ডুবে আছে এভাবে হুট করে জড়িয়ে ধরায় পরী হকচকিয়ে উঠলো। রিপ্তী হৈ হৈ করে বললো,
পরি আপা কেমন আছো । কেমন আছো তুমি?

পরী এই মুহুর্তে সব সাইটে রেখে হেঁসে উঠলো, মেয়েটা পরীপা বলতে পা/গল। পরীকে ছাড়া তার চলেই না। রিপ্তী, রীপ্ত দুজনেই পরী বলতে পা/গল। রিপ্তী কলেজ থেকে ফিরেই পরীর রুমে ছুটে এসেছে পড়নে কলেজ ড্রেস চুলে দুটো বেনি গাঁথা। পরী হেসে বললো,
ঠিক আছি তুই কেমন আছিস রিপি সরকার?

রিপ্তী হাসলো,বললো,
এখন অন্নেক ভালো।

তখনি এদিক সেদিক তাকিয়ে রুমে ঢুকলো আমিরা। যেনো কারো থেকে লুকানোর চেষ্টা। আমিরা পরীর রুমে ঢুকেই হাফ ছেড়ে বাঁচলো।
তারপর শুরু হয়ে গেলো রিপ্তীর গল্প। তিনদিন পর পরী আপাকে পেয়েছে সবটা বলতে হবে তো কত কত কথা বাকি তার ৷ তিনজনের বেশ সময় নিয়ে গল্প চললো।

রিপ্তী কিছু মনে পড়ার মতো করে বললো – জানো কি হয়েছে?

পরী কৌতুহল চোখে তাকালো,দুদিকে মাথা নাড়িয়ে বললো,
না বললে জানবো কিভাবে?

রিপ্তী- আনান ভাই কি ফন্দিটাই না এটেছিলো বাবা গো বাবা এহতিশাম ভাই না থাকলে কি যে হতো আল্লাহ মালুম।

আমিরা চট করে রিপ্তীর মাথায় চ/ড় মেরে চোখ ইশারায় কিছু বুঝালো। রিপ্তী বুঝলো না সে চোখ নাড়িয়ে বললো,
মা/রলি কেন?

আমিরা আবারো কিছু বুঝালো কিন্তু রিপ্তী বুঝলো না। পরী বললো,
কি বলছিলো যেনো বল।

রিপ্তী বললো,
আনান ভাই এখন কোথায় শুনবে না?

পরী অবাক চোখে তাকালো, বললো,
কোথায়?

আনান সয়তান ফন্দি এটে এ বাড়ীতে তোমার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলো। সেদিন বড় বাবা বিয়েতে না করায় বাড়ীতে হট্টগোল শুরু হয়ে গিয়েছিলো। তোমার নামে কত খারাপ খারাপ কথা বলেছে। বড় বাবাকে হুমকি ও দিয়েছিলো। কত নিকৃষ্ট মানুষ ওই আনান আপা।কত জগন্য পরিকল্পণা। উনি আমাদের ভাই ভাবতেই লজ্জা লাগছে। এহতিশাম ভাইয়া ঠিক করেছে মে/রে হাত পা ভেঙে দিয়েছে এখন হসপিটালে পড়ে আছে। বলেই শব্দ করে হেসে উঠলো রিপ্তী । আমিরা চোখ পাকিয়ে তাকাতেই রিপ্তী বুঝলো সে ভূল করে ফেলেছে। এসব কথা পরীর কানে যাতে না যায় সবাই বলেছিলো তবে রিপ্তী তো আগে আগে বলে দিয়েছে। এখন? এখন কি হবে?

পরী অবাক হয়ে থম মেড়ে বসে রইলো। কি সব ঘটে যাচ্ছে তার সাথে। পুরো গল্প, সিনেমার মতো।

—-

আমিরা ধীরে ধীরে পা টিপে টিপে মেহতাবের রুমের সামনে দিয়ে যাচ্ছে। এ জীবনে আর মেহতাব নামক মানুষটার সামনে পড়তে চায় না সে।

অ্যাই মেয়ে দাঁড়াও।

কারো কন্ঠস্বর শুনেই পা জোড়া থেমে গেলো আমিরার, সোজা হয়ে দাড়ালো। আমিরার পড়নেও কলেজ ড্রেস। কলেজ থেকে সোজা এখানে এসেছে। এখন রিপ্তীর রুমে যাচ্ছিলো ফ্রেশ হতে মেহতাবের সামনে না পড়ার জন্য কত কিছু করলো অথচ সেই মেহতাবের সামনে পড়তে হলোই আমিরাকে। মেহতাব থমথমে কন্ঠে বললো,

-এদিকে আসো।

আমিরা ধীরপায়ে মাথা নিচু করে দাঁড়ালো। মিনমিনে গলায় বললো,
হ্যা ভাইয়া।

মেহতাব মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ঠোঁট চেপে হাসল। বললো,
আমাকে ভয় পাচ্ছো কেনো? আমি বাঘ নাকি ভাল্লুক?

আমিরা চট করে বললো,
তার থেকে বড় কিছু।

মেহতাব- কি বললে?

আমিরা সাথে সাথে জিব কাটলো, সামনে তাকাতেই দেখলো মেহতাব ওর দিকেই তাকিয়ে আছে৷ আমিরা ভয়ে চুপসে গেলো। ধীরকন্ঠে বললো,
কি, কিছু না ভাইয়া।

মেহতাবের কি হলো কে জানে ধীরকন্ঠে বললো,
যাও।

আমিরা বললো, হু?

মেহতাব একটু জোরে বললো,
-রুমে যাও।

আমিরা আর একমুহূর্ত দেড়ি করলো না একপ্রকার ছুটে চলে গেলো রিপ্তীর রুমে মেহতাব আমিরাকে এভাবে দৌড়াতে দেখে হেঁসে উঠলো৷ ধীরকন্ঠে আওড়ালো,

ইন্টারেস্টিং!

——-

কেটে গেছে ১ মাস।
সময় বহমান। সময় তার গতিতে চলতে থাকে ৷
এহতিশাম চলে গেছে আজ পুরো ১ মাস হলো।
এহতিশাম যেদিন চলে গেলো অদ্ভুত কষ্ট হচ্ছিলো পরীর। পরী জানে না কেনো! কিন্তু ভীষন কষ্ট হচ্ছিলো ৷ হয়তো তাদের মাঝে বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধন থাকায় কিছুটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো মনের অজান্তেই। এক অজানা অচেনা মানুষ হুট করে অনেক কাছের হয়ে গেলো। পুরো একমাসে পরী বেশ বুঝেছে এহতিশাম নামক সেই বিদেশী সাদা বিলাইটাকে সে ভালোবেসে ফেলেছে ভীষন ভীষণ। বিয়ে সম্পর্ক অদ্ভুত ভাবে তৈরি হয়। বিয়ে নামক পবিত্রবন্ধনে অদ্ভুত এক শক্তি আছে পবিত্র শক্তি। দুটো মানুষের মাঝে আত্মিক মিত্রতা খুব সহজেই গড়ে তুলতে পারে এই বিয়ে নামক সম্পর্কটা।

——

আজ বসন্ত। রিপ্তী জেদ ধরেছে শাড়ী পড়বে। তবে সে একা না তার সাথে পরীকেও পড়তে হবে। সেই সাথে আমিরাকেও তারপর তিনজন মিলে ফুসকা খেতে যাবে। শিকদার বাড়ীর সামনে দিয়ে আমিরাকে কলেজে যেতে হয়। রিপ্তী রাতে কল করে বললো শাড়ী কসমেটিক সব কিছু ব্যাগে ভরে আমাদের বাড়ীতে চলে আয় দুজন একসাথে সাজবো। রাত থেকে কল করে করে এ বাসায় এনেছে তবে আমিরার শর্ত হচ্ছে মেহতাব ভাইয়া বাসায় থাকলে সে আসবে না। রিপ্তী বললো, মেহতাব বাসায় নেই সেজন্য আমিরা এসেছে। এ বাসায় এসে শুনলো ওরা কলেজের বসন্ত বরন অনুষ্ঠানে যাবে না।

আমিরা আধঘন্টা যাবৎ চোখ মুখ কুঁচকে রিপ্তীর রুমে বসে আছে। রিপ্তী মায়ের শাড়ী গুলো থেকে শাড়ী বাছাই করছে। আমিরা বললো,
– কলেজে যাবি না তাহলে আমাকে কেনো আসতে বললি?

রিপ্তী মায়ের শাড়ী হাতে নিয়ে বললো,
কারণ আমরা বাড়ীতে বসন্ত বরণ করবোওওওও আমু পাখিইই।

আমিরা বিরক্ত হলো, বললো,
তোর মাথায় এতো বাজে বুদ্ধি কেনো রিপ্তী?
আমি শাড়ী পড়বো না বাসায় যাবো।

আমিরা দ্রুত এ বাড়ী থেকে পালানোর চেষ্টা করলো। সেদিনের পরে মেহতাবকে আমিরা কোনো কারন ছাড়াউ ভয় পায়। আমিরা বুঝতো পারে না কেনো ভয় পায়?

রিপ্তী মুখভার করে বললো,
আমু পাখি তুই শাড়ী পড়বি না?

আমিরা কপাল কুঁচকালো। এই মেয়ে এতো পাজি কেনো আল্লাহ! দুনিয়াবি সব উদ্ভট চিন্তা এই মেয়ের মাথায় ঘুরে। রিপ্তী কিউট ফেইস করে আমিরার দিকেই তাকিয়ে আছে। মাথা নাড়িয়ে রিপ্তী বললো,
বল আমুওও পাখিইই।

আমিরা দীর্ঘশ্বাস ফেললো আল্লাহ কেনো যে এমন তারছ্যাড়া একটা বান্ধবী তার কপালেই দিয়েছিলো কে জানে?

অগত্যা না না করে পরী, আমিরা দুজনেরই রিপ্তীর জেদের কারনে শাড়ী পড়তে রাজি হতে হলো । পরী এহতিশামের দেওয়া সবগুলো শাড়ী বিছানায় রাখলো। এ শাড়ীগুলো এহতিশামের থেকে প্রথম পাওয়া। এরপর অবশ্য এহতিশাম তাকে অনেক কিছু দিয়েছে। এই একমাসে তার একাউন্টে টাকাও পাঠিয়েছে তবে এই শাড়ী,চুড়ি গাজরাগুলো ভীষণ স্পেশাল। পরী শাড়ীগুলো থেকে সোনালি পাড়ের নীল শাড়ীটা হাতে তুলে নিলো। নীল পরীর ভীষন পছন্দের রং। জুলেখা বেগম বেশ সময় নিয়ে তিনজনকে শাড়ী পড়িয়ে দিলেন। পরীকে শাড়ী পড়ানো শেষে জুলেখা বেগম বললো,
মাশা আল্লাহ আমার হুরগুলোর উপর কারো নজর না লাগুক৷

তিনজন একসাথে হেসে উঠলো। আয়রা বেগম দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন পরী চোখ দরজায় যেতেই আয়রা বেগম সরে গেলেন। রিপ্তী ফটাফটো কয়েকটা ফটো ক্লিক করলো। আমিরা রিপ্তীর রুমে গেলো সাজতে পরী হাত ভর্তি চুড়ি পড়লো। চুড়ির রিনঝিন শব্দে পুরো ঘর মেতে উঠলো। পরীর চোখে মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠলো। আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে একবার পরখ করে নিলো৷ শ্যামবর্ণের পরীকে দেখতে বেশ লাগছে। নীল রঙে পরীকে বেশ মানায়। পরী আয়নায় তাকাতেই ভেসে উঠলো এক প্রতিবিম্ব। পরী ভ্রু কুঁচকে ফেললো লোকটা হুটহাট তার কল্পনায় চলে আসে। দূরে থেকেও পরীকে কিভাবে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে।

এহতিশাম বললো,
নীলাম্বরী।

পরী বিরবির করে বললো,
আপনি আবার ও?

এহতিশাম বাঁকা হাসলো বললো,
ডু ইয়্যু মিস মি প্রাণ?

পরী চট করে বললো,
নো।

এহতিশাম হাসলো, বললো,
বাট আই মিস ইউ। আই ব্যাডলি মিস ইউর লি ,,,

পরী ততক্ষণাৎ চোখ বুজে কান চেঁপে ধরলো । বললো,
অসভ্য লোক চুপ করুন।

বেশ কিছুক্ষণ রুমে কারো সারা শব্দ না পেয়ে চোখ মেলে তাকালো পরী। পুরো ঘরে চোখ বুলালো নাহ কাউকে পেলো না। আয়নায় ভেসে উঠা সেই মানুষটাও কোথাও নেই। পরী নিজমনে আওড়ালো,

কল্পনাতেও আপনি সেদিনের মতোই অসভ্য!

বলেই ঠোট চেঁপে ধরলো পরী। সাথে সাথে ফোন টুংটাং আওয়াজে বেজে উঠলো। স্ক্রিনে ভেসে উঠলো এহতিশামের নাম। পরীর ঠোট জোড়া প্রসারিত হলো। ফোন রিসিভ করে চুপ করে রইলো। বেশ সময় পর অপাঁশ থেকে ঘুুমঘুম কন্ঠস্বর ভেসে আসলো।
আই ওয়ান্ট টু হেয়ার ইউর ভয়েস।

পরী কথা বললো না তবুও, এহতিশাম পুনরায় ডাকলো, পরী।

পরী ঠোট কামড়ে হাসলো। বললো,
হু।

এহতিশাম বললো,
ডু ইয়্যু মিস মি নীলাম্বরী ?

পরী চমকালো, ভড়কালো হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। অপাঁশ থেকে এহতিশাম ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললো,

মিস ইউ।

কিছু অনুভূতি হয় ভীষন সুন্দর। পরীর অনুভুতি প্রজাপ্রতির ন্যায় উড়তে লাগলো। পরী এহতিশাম নামক মানুষটার মায়ায় জড়িয়েছে৷ এই যে হুটহাট এহতিশামকে দেখতে ইচ্ছে করে ছুয়ে দিতে ইচ্ছে করে কিন্তু পারে না ছটফট করে এহতিশামের ও কি এমন হয়? সে ও কি এমন ছটপট করে?

চলবে,,,,

(ভুলক্রুটি মার্জনীয়)