অন্তহীন সন্ধ্যা পর্ব-০১

0
1
অন্তহীন_সন্ধ্যা #সূচনা_পর্ব #মাকামে_মারিয়া

#অন্তহীন_সন্ধ্যা
#সূচনা_পর্ব
#মাকামে_মারিয়া

রাফসান তার সদ্য বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী জুহাইরাকে নিয়ে বর বেশে প্রবেশ করলো বাড়িতে। বাড়ির গেইটে নতুন বউয়ের আগমন ঘটতেই বাড়ির সবার হৈচৈ পড়ে গেলো। কয়েকজনের নতুন বউকে ঘরের তুলার তাড়া, কারো আবার নতুন বউ দেখার তাড়া।

স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে বউ নিয়ে এসেছে এই খবর ফারিনের কান অব্দি গিয়েছে কিন্তু এতে যে তার তেমন আগ্রহ নেই সেটা তার চোখ মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। দুপুরের খাবার মিশকালো সন্ধ্যায় এসে খাচ্ছে ফারিন৷ প্লেটের অবশিষ্ট খাবারটা শেষ করেই সে রুমের উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরলো।

সাধারণত কোনো পুরুষ দ্বিতীয় বিয়ে করলে আশেপাশে কানাঘুঁষা চলে। প্রথম স্ত্রীর নাকচ অবস্থা দেখে মানুষ হাহুতাশ করে। কিন্তু সরকার বাড়িতে সেটার কিছুই হচ্ছে না। প্রথম স্ত্রী ফারিনও ভাবলেশহীন অবস্থায় আছে। যেনো কোনো কিছুই হয়নি।

শ্যামবর্ণ রংয়ের মেয়েটার গা ভর্তি গহনা। টকটকে লাল জামদানি শাড়িটা সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রেখেছে। চোখে মুখে অস্বস্তি। মেয়েটার বয়স বিশ। ইন্টারমিডিয়েট পরিক্ষা দিয়েছে কেবল। এর মধ্যেই রাফসানের দ্বিতীয় বউ হয়ে সরকার বাড়িতে তার আগমন ঘটলো। নাম তার উম্মে জুহাইরা। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের বড় মেয়ে। হুট করে বিয়েটা হলেও বিয়ের কিছু সময় আগে জুহাইরার বাবা সুলাইমান কাঁপা কাঁপা গলায় মেয়েটাকে জানালো ” মা ছেলের এটা দ্বিতীয় বিয়ে। আমরা রাজি, তোর কোনো আপত্তি নেই তো?

টানাপোড়েনের সংসার। মেয়ে হিসেবে দেখতে আহামরি সুন্দরী নয় সে। যে কেউ এসেই বিয়ে করে নিবে এমনটাও নয় বরং বর্তমান পরিস্থিতি হিসেবে জুহাইরার অবস্থা খুবই বিব্রতকর। কেউ কেউ ফিসফিস করে বলছে ” মাইয়ার তো রাজ কপাল গো! এমন ঘরের পোলা আইছে বিয়া করতে! হোক না দ্বিতীয় বউ তাতে সমস্যা কি? জুহাইরা বুঝলো আশেপাশের মানুষের সব কিছুতেই সমস্যা চোখে লাগে আবার সমস্যা লাগেও না।

ছোট কাল থেকে বাবার মুখের উপর কথা বলেনি মেয়েটা। বাবার করা কাজে আজ পর্যন্ত জুহাইরা অসন্তুষ্ট হয়নি। বিয়ের মতো এতো বড় একটা সিদ্ধান্তে সে ঠিক কি বলবে বুঝতে পারেনি। ভাগ্যের দোহাই দিয়ে বিয়েতে রাজি হয়ে গেলেও মাথার মধ্যে প্রশ্ন থেকেই গেলো যে রাফসান ঘরে বউ রেখে আবারো বিয়ে করছে কেনো?

রাফসানের দাদি শ্যামলা বানু লাঠি হাতে কাঁপা কাঁপা পায়ে এগিয়ে এসে বসে থাকা জুহাইরার সামনে বসলো। উদেশ্য নাতবউ দেখবে। যত সাহসী মেয়েই হোক প্রথম প্রথম শশুর বাড়িতে এসে নতজানু হয়ে থাকতে হয়। আর মনের মধ্যে তো অহরহ ভয় থাকেই। এদিকে জুহাইরা এতো বড় বাড়ি আর বাড়ি ভর্তি এতো এতো মানুষজন দেখে অবাক না হয়ে পারছে না। সাথে অস্বস্তি তো আছেই। মনে মনে কেবল ভাবছে ” আব্বা আমারে কই বিয়া দিলো! এতোবড় বাড়ি এতো বড় মানের মানুষজনের কি খুব বেশি দরকার ছিল আমার? আমি মানিয়ে নিতে পারবো এনাদের সঙ্গে!

” মুখটা ওমন গোমড়া করে রাখছোছ কেন রে জমিদারের বেটি? এতো বড় বাড়ির বউ হইয়াও কি মনে আনন্দ নাই?

জুহাইরা ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে আতংকে উঠলো। সামনে বসে থাকা দাদির কথায় আশেপাশে দাঁড়িয়ে বসে থাকা মানুষগুলো মুখ চেপে হাসছে। কিন্তু জুহাইরার বুঝে আসলো না এখানে হাসির কি হলো! আর তারও কি হাসা দরকার? না হাসলে আবার যদি কিছু বলে??

দাদির উদ্দেশ্যে সালাম দিলো সে। শ্যামলা বানু জুহাইরার থুতনিতে হাত রেখে মুখটা উঁচু করে দেখেই কিছুটা মুখ কুঁচকে আওড়ালো ” নাতবউ তো দেখি অমাবস্যার রাইতের লাগান। যাকগে বড়টার যা দেমাক, অতি সুন্দরী বলে আসমানে উইঠা থাকে। মাটিত পা ফালায় না।

ছোটকাল থেকে গায়ের রং নিয়ে কমবেশি কথা শুনতে হয়েছে তাকে। বিয়ে হয়ে নতুন জায়গায় এসেও নিস্তার পেলো না। এ যেনো জন্মান্তর অভিশাপ। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই কটুকথা শুনতেই হবে। একে তো পরিবার ছেড়ে আসার শোক তারউপর এমন কথাবার্তা, জুহাইরা মেনে নিলো এমনটাই ছিল তার নসিবে। চোখের কোণের পানিটা ডান হাতের পিঠের সাহায্যে মুছে নিলো।

বাড়ির হৈচৈ কিছুটা কমে এসেছে। হুট করে বিয়ে হওয়াতে মেহমানদের ততটা আনাগোনা নেই। রাতের খাবার সাজিয়ে কোহিনূর বেগম ডাকলো নতুন বউ, ছেলে মেয়ে সবাইকে। জুহাইরা তখনও বধূ বেশে বসে আছে। প্রস্তুতি মানুষদের মনোভাব সে বুঝতে পারছে না তেমন। কাউকে দেখে মনে হচ্ছে মনোভাব ভালো আবার কিছুক্ষণ পরেই যেন মনে হচ্ছে ভালো নয়। এমন দুটানায় জুহাইরার মাথা ধরে আসলো। সারাদিনের ক্লান্তিতে শরীর অসাড় হয়ে আসছে। খাটে হেলান দিয়ে শুয়ে পড়লো। খেতে ডাকা হয়েছে তবে দু’বারের বেশি ডাকা হয়নি। জুহাইরার মন ভারি হলো। ভাবছে মা তো খেতে না চাইলেও কতোবার করে ডেকে নিতো। অথচ এরা? তাৎক্ষণিক মনকে বুঝালো তারা তো আর মা না, আর না আপন কেউই। কিন্তু সারাজীবন অভিনয় করে যেতে হবে যে তারা আপন। খুবই আপন।

______________

রাতের আকাশে দুই একটা তাঁরা দেখা যাচ্ছে। বাহিরে হিম শীতল মৃদু বাতাস। খোলা জানালা দিয়ে হুহু করে বাতাস আসছে, ঠান্ডা সে-ই বাতাস গায়ে লাগতেই কাঁপুনি চলে আসে। খাটে গোমটা দিয়ে শুয়ে থাকা ঘুমন্ত জুহাইরার শরীরে সেই বাতাস লাগতেই মনে হলো ক্ষত স্থানে কেউ সযত্নে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে। অতি আরামে জুহাইরার ঘুম গাঢ় হলো।

মধ্য রাত, প্রতিদিনকার মতো ফারিন স্বাধীনচেতা নারী। কারো উপর নির্ভরশীল হয়ে চলতে তার বিবেকে বাঁধে। সে নিজেকে স্বাধীন ভাবে বাঁচাতে চায়। মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়াতে চায়। উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে ফারিন মনে করে সংসার করা মানে নিজেকে বন্দী পাখির মতো খাঁচায় আটকে রাখা। স্বামীর কথা মতো চলাফেরা, সাংসারিক ব্যস্ততা কিংবা সংসারের গন্ডিতে সে নিজেকে আটকে রাখতে পারবে না।

একমাত্র মেয়ের হাসবেন্ড বিয়ে করে ফেলেছে সে খবর ইতিমধ্যেই ফারিনের বাবার কানে গিয়েছে। উনি ভিষন উত্তেজিত হয়ে রাফসানকে কল দিলেও রাফসান জানিয়ে দেয় উনি যেন নিজের মেয়ের কাছ থেকে জেনে নেয় সে কেনো দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। ফারিনের বাবা ফারিনের কাছে কল দিয়ে জানতে চাইলেন রাফসান কেনো আবার বিয়ে করেছে? কোনো দিক থেকে কোনো সমস্যা দেখা যাচ্ছে না তাহলে আরেক বিয়ে করার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। বাবার এমন প্রশ্নে ফারিন যথেষ্ট বিরক্ত নিয়ে জানালো ” আব্বু তোমাদের কি সমস্যা হচ্ছে সে বিয়ে করাতে বলো তো?? আমার তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না তাহলে তোমাদের এতো সমস্যা কেন??

ভদ্রলোক ধমকে উঠলো ” জাস্ট শাটআপ ফারিন!! দিন দিন তোমার সাহস বেড়ে যাচ্ছে। নিজের হাসবেন্ড ঘরে বউ রেখে আরেক মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছে অথচ তাতে তোমার খারাপ তো লাগছেই না বরং একটু লজ্জাও লাগছে না।

ফারিন শাসনের মেয়ে নয়। বাবার আদরের মেয়ে সে। এমন ধমকা ধমকি হজম হলো না তার। রেগেমেগে ফোনটা কেটে দিয়ে বিরবির করতে লাগলো ” যত্তসব আনকালচার পাবলিক! সে বিয়ে করেছে এটা তার খুশি। আমারও ইচ্ছে করলে আমিও বিয়ে করবো। এতে সমস্যা টা কোথায়? সবারই স্বাধীনতা রয়েছে। জীবন একটাই সো লেট’স এনজয়!

প্রকৃতির নিস্তব্ধতা জানান দেয় ফারিন অহংকারে বশিভূত। হিতাহিতজ্ঞানশূন্য সে। তার দুনিয়া জুড়ে সংসার নামক কোনো কিছু নেই, তাকে একপ্রকার জোর করে সংসার নামক বেড়াজালে বন্দী করা হয়েছে। কিন্তু যে পাখি খাঁচায় থাকতে চায় না তাকে আদোও বন্দী করে রাখা যায়?

রাত আরো গভীর হলো। খাটের এক কোণায় জুহাইরা এখনো ঘুমে। রাফসান রুমে এসেছে প্রায় এক ঘন্টা হয়েছে। রুমে ঢুকেই ঘুমন্ত স্ত্রীর দিকে নজর গেলো তার। বুঝলো ক্লান্ত থাকায় ঘুমিয়ে গিয়েছে। রাফসান ফ্রেশ হয়ে রুমের মধ্যে পায়চারি করতে লাগলো। মেয়েটার সাথে একটু কথা বলার দরকার ছিল কিন্তু সে তো ঘুমিয়ে আছে, ডাকা উচিৎ হবে? আবার না খেয়েও ঘুমিয়েছে। কি করা যায়?

জুহাইরা একটু নড়েচড়ে উঠলো, মনে হচ্ছে ঘুম হালকা হয়ে গিয়েছে। একটু জাগ্রত হতেই দেখলো ঠিক তার সামনে এক লোক চেয়ার টেনে বসে আছে। জুহাইরা হঠাৎ করে সামনে পুরুষ লোক দেখে ভয় পেলো। একি! উনি কে? তাৎক্ষণিক মন জবাব দিলো উনি তোর হাসবেন্ড! বিয়ে করা জামাই!

জুহাইরার মনে পড়লো তার বিয়ে হয়েছে সন্ধ্যায়। অনেক কাহিনি হওয়ার পর সে ঘুমিয়ে গিয়েছে। ইশশ কি ভুলটা হলো! ঘুমাতে গেলাম কেন? উনাকে কতকিছু জিজ্ঞেস করার আছে। আর আমি কি না ঘুমাচ্ছিলাম। ভাবতেই জুহাইরা লজ্জা পেলো। শাড়ি ঠিক করে উঠে বসতেই ঝিমুতে থাকা রাফসান নড়েচড়ে বসলো। সহজ হওয়ার চেষ্টা করে মুচকি হাসার চেষ্টা করলো।

জুহাইরা কি করবে বুঝতে পারছে না। একে তো নতুন মানুষ, তারউপর তাকে অপেক্ষায় রেখে সে ঘুমাচ্ছিলো। ভিষন বাজে কাজ করে ফেলছে এমন ভাবভঙ্গি করে জুহাইরা মিনমিনে কন্ঠে সালাম দিলো রাফসানকে।

সালামের জবাব নিয়ে রাফসান উঠে এসে খাবার প্লেট সামনে এনে ভাত মাখিয়ে জুহাইরার সামনে লোকমা ধরলো। লজ্জা পেলো মেয়েটা, কি করবে? খাবে? নাকি বলবে নিজের হাতেই খেতে পারবে? না না এসব বললে যদি আবার কিছু মনে করে! ইশশ কি যন্ত্রণায় পড়লাম।

” কি হচ্ছে খাচ্ছো না কেন? হা করো।

রাফসানের ডাকে জুহাইরা আর এক মূহুর্তও না ভেবে এগিয়ে এসে ভাতের লোকমা মুখে পুড়ে নিলো। এমনিতেও খিদে ছিল তাই আর তালবাহানা করতে পারলো না। সে-ই সকালে যে খেয়েছিলো এরপর আর খাওয়া হয়নি। দুপুরেই বিয়ের কথা কানে আসতেই তো নাওয়া খাওয়া সব ভুলে বসে ছিল।

খাওয়া শেষ করে রাফসান জুহাইরাকে ডেকে জানতে চাইলো ” আমার সাথে বিয়ে করে তোমার কোনো সমস্যা হচ্ছে? বা তুমি অখুশি?

জুহাইরা নাক মুখ কুঁচকে মনে মনে ভাবলো ” ইশ আসছে ব্যাডা এতোক্ষণে সম্মতি জানতে! বিয়ের আগেই মেয়ের সম্মতি জানতে হয় রে ব্যাডা। মনে মনে এসব ভাবলেও মুখে বললো ” বেয়াদবি মাফ করবেন, অখুশি হলে কি আমাকে বাড়িতে রেখে আসবেন?

রাফসান ব্রু কুঁচকে আড়চোখে জুহাইরার দিকে তাকালো। মেয়েটার চোখে মুখে দুষ্টমিরা দৌড়াচ্ছে। কেমন মায়া মায়া চেহারা, ঠোঁটের কোনে একটু হাসি,যেই হাসি হৃদয় কেড়ে নিতে সক্ষম। রাফসানের থেকে বয়সে অনেক ছোট এই জুহাইরা। রাফসান আচমকা জুহাইরাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানার দিকে এগুতে এগুতে বলতে লাগলো ” চলো তবে রেখে আসি বাপের বাড়িতে।

জুহাইরা লজ্জায় লাল নীল হতে লাগলো। ব্যাডা যে এমন বজ্জাত তা তো তার সাহেব সুহেব চেহারা দেখে বুঝা যায় না।

স্ত্রীর এমন লজ্জা মুখ দেখে রাফসানের একপ্রকার ভালো লাগছে আরেক প্রকার অবাক হয়ে দেখছে। মেয়েদের লজ্জা রাফসান এ যাবৎ কাল দেখেনি। ফারিনকে যখন বিয়ে করেছিলো,প্রথম রাতে রাফসান হাজারো স্বপ্ন বুনে যখন রুমে ঢুকেছিলো তখনই কাচ ভাঙার মতো রাফসানের হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল।

রুমে ঢুকে দেখলো ফারিন গায়ের শাড়ি খুলে একপ্রকার লুটিয়ে ফেলে রেখেছে একপাশে। গায়ে টিশার্ট পড়ে পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে আরামসে ফোন দেখছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে কারো সাথে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে।

রুমে ঢুকে লাল টুকটুকে বউ দেখার স্বপ্ন টা বিষাদে রূপান্তরিত হয়েছিল। তাও সে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে ভাবলো ছোট মানুষ এতো কিছু বুঝে না। স্নেহ নিয়ে ফারিনকে যখন কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবে ওমনি ফারিন একদম নাকচ করে দিয়ে জানিয়ে দিলো ” কোনো প্রকার স্বামীত্ব দেখাতে আসবেন না। এসব শাড়ি টাড়ি পড়ে থাকতে পারবো না তাই খুলে নিয়েছি। আপনি বরং ঘুমিয়ে যান আমি পরে ঘুমাচ্ছি।

এরপর থেকে রাফসান ফারিনের থেকে কখনো কোনো কিছু আশা করেনি। মায়া মমতা ভালোবাসা কোনো কিছু নয়।

আজ এতোদিন পর এসে জুহাইরার লজ্জা মুখ দেখে রাফসানের যেন আনন্দ ধরে না। মনে হচ্ছে এই বুঝি তার সুখের ঠিকানা। যে সুখের তৃষ্ণায় রাফসান অতল সমুদ্রে হাতড়ে মরতো।

চলবে।