#সংসার_সমরাঙ্গন (১৭)
রূপন্তি রাহমান (ছদ্মনাম)
বিশ্বজয়ের হাসি যেন ঢেউ খেলে গেলো মেহেরুন্নেসার ঠোঁটের কোণে। এক অদ্ভুত তৃপ্তিতে তার বুক ভরে উঠল। এটাই তো চান তিনি—তার কথা মেনে চলবে সবাই, বিশেষ করে তার একমাত্র ছেলে।
তিনি যেমন বলবেন, ঠিক তেমনই চলবে সংসারের নিয়ম। ছেলের বউ যেন তার চোখের ইশারায় ওঠে-বসে। তার কথায় হাসে-কাঁদে। ছেলে যেন মায়ের ইচ্ছার বাইরে কোনো কিছুই না করে। তার ‘হ্যাঁ’-তে হ্যাঁ আর ‘না’-তে না মিলিয়ে চলবে।
‘ওসবের দরকার নেই। তার চেয়ে আমার কথা শোন। দেমাক দেখিয়ে চলে গিয়েছে ভালো হয়েছে। বাপের বাড়ির মানুষের লাথি উষ্ঠা খেয়ে ঠিকই আবার ফিরে আসবে। পরের টা আমি বুঝে নিবো।’
এতকিছুর মাঝে তিনি বেমালুম ভুলে গেলেন মাহমুদের শারীরিক সমস্যার কথা। ঠিক ভুলে যাননি। তিনি মানতে নারাজ। তার দৃঢ় বিশ্বাস রিপোর্টে কোনো ভুল আছে।
‘আবার বিয়ে করবো? না, থাক, দরকার নেই। যদি সেই বউয়ের সাথেও এমন করো? বারবার তো বিয়ে করা সম্ভব না! বরং তনয়াকে তালাক দিয়ে ভবঘুরে হয়ে যাবো। সব তোমার হাতে থাকবে, তুমিও খুশি থাকবে। আমার কথা ভাবতে হবে না কাউকে।’
মেহেরুন্নেসা হতভম্ব হয়ে গেলেন। তিনি ভেবেছিলেন, সবকিছু তার হাতের মুঠোয়, ছেলেও তার ইচ্ছেমতো চলবে। কিন্তু না! তার ধারণা পুরোপুরি ভুল।
চট করে উঠে দাঁড়ায় মাহমুদ। আঙুল চালায় এলোমেলো চুলের ভাঁজে। খপ করে ধরে মেহেরুন্নেসার হাত। তিনি চকিত চোখে তাকালেন। ছেলের চোখমুখ অন্য রকম। ভাবমূর্তি বোঝা মুশকিল। তারপরও মাতৃ চক্ষু বুঝতে চাইলো। কিন্তু ব্যর্থ হয়।
মেহেরুন্নেসাকে টানতে টানতে ড্রয়িংরুমে এনে দাঁড় করায় মাহমুদ। গলা খেঁকিয়ে ডাকে মুনিরাকে।
‘মুনিরা! মুনিরা! দেখ আমি কি নিয়ে এসেছি।’
কারো সাথে কথা বলছিলো সে। মাহমুদের ডাকে কেঁপে উঠে তার শরীর। হাত ফসকে মোবাইল নিচে পড়ে যায় ভয়ে। মোবাইল নিচ থেকে তুলে বালিশের নিচে রেখে কোনোরকম দৌড়ে সে উপস্থিত হয় সেখানে।
‘ক,,,,ক,,কি ভাইয়া?’ -শুকনো ঢোক গিলে সে।
মুনিরার দিকে চেয়ে চমৎকার হাসে মাহমুদ। দ্রুত পায়ে রান্নাঘরে গিয়ে দু’টো প্লেট হাতে ডাইনিং টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ায়। প্যাকেট খুলে দুই প্লেটে বিরিয়ানি নিলো।
‘ভাইয়ের জীবন নরক বানিয়ে দেওয়া টা উদযাপন করবি না? তাড়াতাড়ি আয় ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তো।’ – সাবলীল কন্ঠ তার। ঠোঁটের কোণে লেগে আছে এক চিলতে হাসি।
মুনিরা মায়ের দিকে তাকালো। দেখলো তিনিও কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ছেলের উদ্ভট আচরণে স্তব্ধ।
‘আহ্! মা, দাঁড়িয়ে আছো কেন? নিজের পেটের ছেলের জীবনটা নরক বানিয়ে দেওয়া কি চাট্টিখানি কথা? এতোদিন কষ্ট করলে। আজ একটু আনন্দ করবে না? আসো আসো উদযাপন করো।’
মেহেরুন্নেসা একেবারে স্থির হয়ে গেলেন। শরীরটা যেন পাথরের মতো ভারী হয়ে আসছে। হাত-পা যেন আর নড়তে চায় না। মাহমুদের একেকটা কথা শাণিত ছুরির মতো এসে বুকে বিঁধছে। হৃদয়ের গহীনে বিষ ঢেলে দিচ্ছে বারংবার। চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসছে তার।
মেহেরুন্নেসা কে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মাহমুদ টেনে নিয়ে বসালো। মুনিরাকে ফের বললো,
‘আয় তাড়াতাড়ি। না হলে কিন্তু ভাইয়া রাগ করবো। আয়, আয়।’
মুনিরা হিতাহিত না বুঝে ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে বসলো।
‘আম্মা, খাচ্ছো না কেন খাও।’
মেহেরুন্নেসা অনুভূতিশূন্য। যেন সমস্ত ইন্দ্রিয় কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। চারপাশে কী ঘটছে, কী বলা হচ্ছে—কিছুই যেন আর তার কানে পৌঁছাচ্ছে না। শরীরটা জমে গেছে, হাত-পা অসাড় হয়ে এসেছে, বুকের ভেতর এক অদ্ভুত শুন্যতা। যেন কেউ তার সমস্ত অনুভূতি শুষে নিয়েছে, ফেলে দিয়েছে এক গভীর শূন্যতায়।
‘আজ তৃপ্তি নিয়ে খাও আম্মা। তোমার অনেক দিনের আশা পূরণ হয়েছে।’
‘খাচ্ছো না কেন তুমি?’ -চিৎকার দিয়ে ওঠে অবশিষ্ট বিরিয়ানির প্যাকেট গুলো মেঝেতে ছুঁড়ে মা’রে।
মেহেরুন্নেসা চমকে উঠলো। ভয়ে সিঁটিয়ে গেলো মুনিরা। তটস্থ হয়ে রইলো সে।
নিজের চুল খামচে ধরলো সে। চোখ দু’টো টকটকে লাল তার। ফুলেফেঁপে উঠেছে কপালের শিরা।
‘আমি মা দেখেছি। কিন্তু তোমার মতো স্বার্থপর মা আর দু’টো দেখিনি। তুমি এমন কেন আম্মা? যেখানে মা বাবা সন্তানের সুখশান্তি কামনা করে সেখানে তুমি,,,,,,
দুই বোতল মোজো নিয়ে ফিরলেন খালেকুজ্জামান। মেইনডোরের চাবিটা কোথায় রাখবেন ভেবে পেলেন না। তাই টি-টেবিলের ওপর রেখে এগিয়ে এলেন ডাইনিং এর দিকে।
‘ওমা তোমরা খাওয়া শুরু করে দিয়েছো? খালি বিরিয়ানিতে তো তোমাদের উদযাপন মনঃপুত হবে না। তাই তোমাদের জন্য ঠান্ডা নিয়ে এলাম। তোমাদের সেলিব্রেশন এবার জমবে।’
এগোতে নিলে ফ্লোরের বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে পিছিয়ে গেলেন তিনি।
‘অকারণে মেয়েটাকে অনেক বকেছো। মুখে যা এসেছে তাই বলেছো। আমি নিশ্চুপ ছিলাম সর্বদা। মা তো। মাকে কি কিছু বলা যায়? আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে ভেবেছিলাম। কিন্তু না।’
মাহমুদ হঠাৎ থেমে গেল। সারা শরীর কাঁপছে রাগে আর উত্তেজনায়। বুক দ্রুত ওঠানামা করছে, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। মুখে লালচে আভা, চোখ দুটো জ্বলছে আগুনের মত
‘তোমরা শ্বাশুড়িরা ছেলের বউকে প্রতিদ্বন্দ্বী কেন ভাবো বলো তো?’
মেহেরুন্নেসা ধীরে ধীরে মাথা নুইয়ে ফেলেন। কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। মুখটা ম্লান হয়ে যায়।
‘প্রতিদ্বন্দ্বীই যদি ভাবো তাহলে ছেলেকে বিয়ে করাও কেন? ছেলে কে অবিবাহিত রাখলেই তো হয়। সুখে থাকতে পারবে। ঘটা করে আয়োজন করে আর ঘরে প্রতিদ্বন্দ্বী আসে না।’
‘পুত্রের এতোদিনে সুবুদ্ধি হয়েছে তাহলে?’
মাহমুদ এক পলক খালেকুজ্জামান এর দিকে তাকিয়ে আবারও দৃষ্টি ফেরায় মেহেরুন্নেসার মুখপানে।
‘ছেলেকে বিয়ে দিয়ে কেন অশান্তি করো? কেন ভুল না করা সত্বেও প্রতিটা কাজে কাজে ভুল ধরার চেষ্টা করো? ঘরের বউকে কি একটু ছাড় দেওয়া যায় না? কেন এসব করে ছেলের জীবনটা বিষিয়ে তুলো?’
মাহমুদ হাঁটু ভাঁজ করে মেহেরুন্নেসার সামনে বসলো। চেয়ারটা ঘুরালো তার দিকে। মাথা রাখলো মেহেরুন্নেসার উরুর উপর।
‘বউ আর শ্বাশুড়ির সম্পর্ক তো এমন হওয়ার কথা না। সম্পর্কটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার না হয়ে হবে মা মেয়ের। একটু মিষ্টি শাসন থাকবে। ভালোবাসা থাকবে। ভুল করলে আঙুল ধরে ধরে শুধরে দেওয়া হবে সেই ভুল। এই বন্ডিং টা তোমাদের মাঝে কেন নেই আম্মা?তোমার মেয়েকে দিনের পর দিন কেউ মানসিক অত্যাচার করলে ঠিক এমন করেই কি পৈশাচিক আনন্দ পেতে?’
মুখের রং এক মুহূর্তে ফিকে হয়ে আসে মেহেরুন্নেসার। বুকের ভেতর কিছু একটা মোচড় দিয়ে ওঠে। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
তার কাঁপতে থাকা হাত শাড়ির আঁচল মুঠো করে ধরে। গলার কাছে দলা পাকিয়ে ওঠা কান্না গিলে ফেলেন। কিন্তু চোখের কোণে চিকচিক করা অশ্রু চাপা দিতে পারেন না।
‘তনয়ার উপর তোমার এতো ক্ষোভ কিসের আম্মা?’
প্রশ্ন করেই মেহেরুন্নেসার মুখের দিকে তাকায় সে। উত্তরের আশায়। তিনি ত্বরিত গতিতে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলেন। মাহমুদ ম্লান হেসে নিজেই উত্তর দেয়।
‘বিয়ের দিনের সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য? আম্মা বুকে হাত রেখে বলতে পারবে দোষ টা তোমার না? তনয়ার মায়ের জায়গায় তুমি থাকলে কি করতে? তিনি তো তোমায় প্রথমে কিছু বলেননি। বাড়তি মেহমান কিভাবে আপ্যায়ন করবেন সে চিন্তায় উদগ্রীব ছিলেন। দলবেঁধে অতিরিক্ত মানুষ নিয়ে যখন যাচ্ছিলে মাথায় কি একবারও আসেনি মেয়েটার বাবা নেই?’
মাহমুদ পুনরায় মাথা রাখে মেহেরুন্নেসার উরুতে।
‘মানুষ মন কতো বিচিত্র তাই না আম্মা? তোমার মন পাওয়ার জন্য চাকরি ছাড়লো মেয়েটা। তোমাকে বিশ্রাম দিয়ে সংসারের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিলো। সবাইকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিলো। কিন্তু তোমার মন পেলো না। তার ত্যাগ তোমার চোখে পড়লো না। সংসারের প্রতি একাগ্রতা, আত্মনিবেদন তোমার মন ছুঁতে পারলোনা। অথচ অনাকাঙ্ক্ষিত কি না কি ঘটেছে সেটা তোমার মনে একেবারে আস্তানা গেঁড়ে বসে আছে।’
অনর্গল বলে যায় মাহমুদ। তারপর হঠাৎ থেমে গেলো। গলা শুকিয়ে এসেছে। দীর্ঘদিনের জমে থাকা যন্ত্রণার ভার যেন একেকটি শব্দের সঙ্গে ধীরে ধীরে ঝরে পড়ছে। তবু বলার তৃষ্ণা মিটছে না। বুকের গভীরে এক তীব্র ক্লান্তি জড়ো হচ্ছে। যেন প্রতিটি উচ্চারিত শব্দ তার শক্তি শুষে নিচ্ছে। তবুও থামা যাবে না। থামা চলবে না। আজ তাকে বলতে হবে। আজ যদি না বলে হয়তো আর কখনো বলা হবে না। এই শব্দগুলো, এই অনুভূতিগুলো, তার হৃদয়ের কুঠুরিতে চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। কেউ জানবেও না।
‘বাচ্চার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলো মেয়েটা। সবার অজান্তেই টেস্ট করলাম দুজন। রিপোর্ট সমস্যা ধরা পড়লো আমার। আমি ভয়ে পেয়ে গেলাম। তনয়া আমাকে ছেড়ে যাবে না তো? আমার প্রথম প্রেম সে। আমার প্রথম ভালোবাসা। সে হাতে হাত রেখে অভয় দিলো ছেড়ে যাবে না। দুনিয়া উল্টে যাক তবুও না। তার বাচ্চা লাগবে না। আমি হলেই চলবে তার। ডাক্তার জানালো আমার সমস্যার সমাধান আছে। কিন্তু সময়সাপেক্ষ। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হবে। ও বললো, এসব কাউকে বলার দরকার নেই। পাঁচজন পাঁচ রকমের কথা বলবে। সেই থেকে বাপের বাড়ি যায়নি সে। বাচ্চা লাগবে না আমি হলেই চলবে বলা মেয়েটা বলে বসলো ডিভোর্সের কথা। আমাকে তার চাই না। ক্যান ইউ ইমাজিন আম্মা ঠিক কি পরিমাণ মানসিক অত্যাচার তুমি তাকে করেছো যে সে আমাকে ছাড়তে চাইছে?’
বলতে বলতে টেবিলের কোণায় থাকা গ্লাসটা নিয়ে ভেঙে ফেলে সে। গ্লাসের একটা ভাঙা অংশ ধরে হাতের উপর। যেন এখনই সে আ*ত্মা*হু*তি দিয়ে ফেলবে।
মাহমুদের এহেন আচরনে দিকবিদিকশুন্য হয়ে পড়েন মেহেরুন্নেসা। চোখেমুখে ভেসে ওঠে আতঙ্ক। ভীতি আঁকড়ে ধরে তাকে। মুনিরা একছুটে মাহমুদের পিছনে এসে দাঁড়ায়। ভয়ে হাত পা কাঁপছে তার। কাঁপা কাঁপা স্বরে বলল,
‘ভাইয়া পাগলামি করিস না। ওটা ফেলে দে। আব্বা ভাইয়াকে বুঝান না।’
খালেকুজ্জামান কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালেন না। পূর্বের জায়গায় স্বাভাবিক ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রইলেন।
‘স্ত্রীর প্রতি অন্যায় হওয়া দেখেও চুপ থাকা ব্যর্থ স্বামী আমি। তার চোখে চোখ রাখতে পারি না। যে কারনে পৈশাচিক আনন্দ পেয়ে রাতে শান্তির ঘুম ঘুমাও তুমি, ঠিক একই কারনে অপরাধবোধে ভুগে নির্ঘুম রাত কাটে আমার।’
গ্লাসের টুকরোটা হাত থেকে ফেলে হনহনিয়ে নিজের রুমে চলে যায় মাহমুদ। শব্দযোগে বন্ধ করে দরজা। শব্দের প্রকট এতোটাই ছিলো কেঁপে উঠে মেহেরুন্নেসা। অজানা আতঙ্ক হানা দেয় অন্তরে। অপ্রত্যাশিত এক দৃশ্য ভেসে চোখে। মোচড় দিয়ে ওঠে বুক। ছুটে গেলেন মাহমুদের রুমের সামনে। শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে ধাক্কাতে লাগে দরজা।
‘মাহমুদ! মাহমুদ! বাবা আমার দরজা খোল। আমার ভুল হয়েছে বাবা। তুই যা বলবি আমি তাই শুনবো। উল্টোপাল্টা কিছু করিস না বাবা। আমার মানিক তুই। তোর কিছু হলে আমি বাঁ*চ*বো না।’
মাহমুদ ফিচেল হাসে। নির্জীব গলায় জবাব দেয়,
‘ভয় পেয়ো না আম্মা। আ*ত্ম*হ*ত্যা করবো না। ভালো স্বামী না হতে পারি তবে খারাপ সন্তান নই। তোমাদের প্রতি দায়দায়িত্ব পালন করার জন্য হলেও আমাকে বেঁচে থাকতে হবে।’
মাহমুদের কথায় স্বস্তি পেলেও ভয় কমলো না তার।
‘মাহমুদের মা আজকের পরও যদি তোমার বিবেক জাগ্রত না হয় তবে বুঝে নিও তোমার বিবেক ম*রে গিয়েছে। তুমি তখন আর মানুষের কাতারে পড়ো না।’
#চলবে
ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।