#সুখের_আশায়_চেয়ে_থাকি (০৬)
দুপুরে বেশ ভালো ঘুম হয়েছে নাজনীনের। ঘুম থেকে উঠে অভ্যাস ছিল এক কাপ ধোয়া ওঠা গরম চা নিয়ে ব্যালকনিতে বসার। সেখানে পাতা দুটো হাতল দেওেয়া আরাম কেদারায় বসে নিজের লাগানো গাছ আর চারপাশের পরিবেশ দেখতে দেখতে বিকেল কাটিয়ে দিতো। এ অভ্যাস তার বিয়ের পরেই হয়েছিল। রাজন অফিসে থাকতো। আর সে একাকিত্ব বিলাস করতো।
এখন সময় বদলেছে। সবকিছু অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। ঘুম ভেঙে নিজেকে আর তাদের সাজানো বাসার বেডরুমে আবিষ্কার করে না। আজ, এখন, এই মুহুর্তে সে বাবার বাড়িতে। যে বাড়িতে তার জন্ম, বেড়ে ওঠা। যার আনাচকানাচে তার দূরন্ত শৈশবের স্মৃতি রয়ে গেছে। তবুও কেন যেন জড়তা কাজ করে। এ বাড়িতে নিয়ম করে দুইটি বছর থাকা হয় না। দুই বছরে বদলেছে অনেক কিছু। সেও বদলেছে।
স্থান বদলালেও মানুষের অভ্যাসের বদল হয় না। নাজনীন ঘুম থেকে উঠেই কিচেনে চলে গেল। গ্যাস জ্বালিয়ে চুলায় পানি বসিয়ে দিলো। মিনিট খানিকের মধ্যে পানি ফুটতে আরম্ভ করলে নাজনীনের খেয়াল হলো তার তো জানাই নেই কোথায় চা পাতা আর চিনি রাখা। এদিক সেদিকে দৃষ্টি ঘুরিয়েও চোখে পড়ল না। মেয়েটির বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো। সেই সঙ্গে অস্বস্তিও হতে লাগলো। সে তো ভুলেই গিয়েছিল এ কিচেনে তার হাতের ছোঁয়া বহুদিন পড়ে না। এখানে তার মা এবং ভাবির রাজত্ব চলে। আকাশ পাতাল ভাবনায় মনটা ছেয়ে যায়। অন্যদিকে চায়ের পানি টগবগ করে ফুটছে। সামান্য চা পাতা আর চিনির জন্য তার কাউকে ডাকতেও ইচ্ছে করে না। যে মেয়েটি নিজের প্রয়োজনে কাউকে ডাকতে গেলেও বিরক্ত হবে বলে চুপ থাকে। সেই মেয়েটি আজ জীবন যুদ্ধে খুব বাজে ভাবে হেরে যাওয়া একজন মানুষ। যার প্রতিটি অঙ্গে অঙ্গে প্রতারণার আগুনে ঝলসানো।
“কি করছো?”
প্রশ্নসূচক বাক্য কানে যেতেই নাজনীন পিছু ফিরে। চা পাতা না পেয়ে সে কেবলই গ্যাসটা বন্ধ করতে যাচ্ছিলো। ভাইয়ের বউকে দেখে তার অস্বস্তি আরও পাল্লা দিয়ে বাড়ে। নরম স্বরে প্রতিত্তোর বলে, “আসলে চা করতে এসেছিলাম। কিন্তু…..”
“চা পাতা খুজে পাচ্ছো না। তাই তো?”
নাজনীন উপরনিচ মাথায় ঝাকায়।
নাজনীনের ভাবি মেয়েটি মিষ্টি মুখের যুবতী। সে চা পাতা আর চিনি নাজনীনের কাছে দিয়ে বললো, “তাহলে দুই কাপ বানাও। তোমার হাতের চায়ের স্বাদ নেওয়া যাবে। কি বলো?” কথার শেষেই মিষ্টি করে হাসে।
নাজনীন চা বানাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।
এ বাড়িতে ব্যালকনি নেই। দু দশক আগের বাড়িতে মোটামুটি আধুনিকতার ছাপ বহন করলেও বর্তমানের থেকে একটু হলেও পিছিয়ে। নাজনীন চা বানিয়ে ড্রয়িং রুমে আসে। ভাবি টিভি দেখছেন।
নাজনীনের চায়ের কাপ তার দিকে বাড়িয়ে দিলে মিষ্টি হেসে কাপটি হাতে নেয়। নাজনীনের তা দেখে হৃদয় ছ্যাৎ করে ওঠে। একসময় রাজন ও তো তার থেকে এভাবেই মিষ্টি হেসে চা নিত।
চোখ ভরে পানি এলেও নাজনীন কঠোরভাবে তার আবেগকে সংবরণ করে। যেখানে সেখানে আবেগ প্রকাশ করা দূর্বলতার ছাপ। সে হেরে যেতে পারে। কিন্তু দূর্বল নয়।
“তুমি এত অস্বস্তিতে থাকো কেন? কেমন জড়সড় হয়ে থাকো। নিজের বাড়িতে কেউ এভাবে থাকে?”
ভাবির তরফ থেকে প্রশ্নবাক্য ছুড়ে দিলেও নাজনীন কিছুই বলে না। বলার মত কিছু খুজেও পায় না। কেবল ঠোঁট প্রসারিত করে একটু হাসে।
চায়ে চুমুক দিয়ে নাজনীনের ভাবি আবারও বলতে শুরু করে, “নাজনীন, জানো তো! জীবনে যে জিনিসটাকে আমরা বেশি আশকারা দিব সেটাই আমাদের ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। তুমি হয়তো ভেবেছো, আম্মার মত আমি কিছুই জানিনা। কিন্তু আমি সব জানি। তোমার ভাই আমাকে জানিয়েছে। তোমার সাথে আমার সখ্যতা সেভাবে হয়নি ঠিক। কিন্তু তোমার সরল মুখটার প্রতি আমার মায়া জন্মেছে অল্প হলেও। আমি ভীষন দুঃখ পেয়েছি। তোমাকে বুঝ দেওয়ার ভাষা খুজে পাচ্ছিনা। জীবনে এমন অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যা আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হয়। কিন্তু মানতে তো হবেই বলো? এইযে তুমি মন খারাপ করে থাকো। নিজের বাড়িতেও অস্বস্তির সাথে থাকছো। এসবকে তুমি যত পাত্তা দিবে ওরা কিন্তু ততই তোমাকে পেয়ে বসে। তোমার ক্ষতি করবে। এক সময় তুমি হাসতে ভুলে যাবে। কোথাও নিজের বলে কিছুই মনে হবে না। তাই আমি বলি কি, তুমি তোমার বাড়িতে ঠিক সেভাবেই থাকো যেমন বিয়ের আগে ছিলে। সেভাবে মন খুলে বাঁচো যেভাবে আগে বাঁচতে। মনকে বোঝাও। অকৃজ্ঞ, বেইমান মানুষের জন্য তুমি কেন সাফার করবে বলো? তাহলে তো ওরাই জিতে গেল। তোমাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে, প্রতারণা করে তারাই তো বিজয়ী হলো। ওদের পাতা ফাদে পা দিলে তুমিই ডুববে। আমার কথা কি তুমি বুঝতে পেরেছো নাজনীন?”
নাজনীনের বিয়ের কিছুদিন পরেই ওর ভাই বিয়ে করেন। বিয়ের পরে ও রাজনের সঙ্গেই বেশি থাকতো। যার জন্য বাবার বাড়িতে থাকা এবং ভাবির সাথে সখ্যতা কোনটাই সেভাবে হয়ে ওঠেনি। আসতে না আসতেই যাওয়া সময় হয়ে যেত। শুধু ফরমালিটি মেন্টেন করতে যতটুকু বলা। মেয়েটি ভাবতেও পারেনি পরের বাড়ির মেয়েটি তাকে নিয়ে এতটা ভাববে। মনে মনে কৃতজ্ঞতা জানায়। কিন্তু এই কয়টি বাক্যে তার ভাঙা মন বুঝ মানে না। যার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সে কি করে দুটো কথায় নিজেকে সামলাবে। নাজনীনের চোখ বেয়ে পানি গড়াতে থাকে। এবার আর নিজেকে আটকায়। কান্নাভেজা কন্ঠে বলে, “কিন্তু আমি পারছিনা। আমার জায়গাই আপনি হলে পারতেন? ভাবি, আমার মনের মধ্যে প্রতিক্ষণে প্রলয় বইছে। আপনাকে বোঝাতেও পারব না। যে মানুষটা একান্তই আমার নিজের ছিলো তার দেওেয়া আঘাত আমি কিভাবে ভুলব? সে আমাকে ঠকিয়েছে। এবং খুব জঘন্য ভাবে।”
মেয়ে এবং পুত্র বধুর কথাপকথন দূর থেকেই শুনতে পান নাজনীনের পা মাইমুনা বেগম। তিনি যেন সেখানেই স্থির হয়ে যান। মেয়ের সংসার ভাঙার খবরে দিশেহারা হয়ে ওঠেন। ব্লাড প্রেসারের রুগি এ সংবাদে মুহূর্তেই কাহিল হয়ে পড়েন। স্বামীর মন মর্জি বুঝে চলতে গিয়ে তিনি সন্তানদের খুব কাছের ভরসা যোগ্য কেউ হয়ে উঠতে পারেননি। অবসরে এ নিয়ে তিনি আফসোস করতেন বটে। কিন্তু মেয়ের সংসার ভাঙার খবরে নিজেকে আটকাতে পারেন না। আর্তনাদ করে ওঠেন, “ও আল্লাহ! এ আমি কি শুনলাম? মেয়ের সুখের জন্য যে জামাইকে আমি এতটা আদর যত্ন করলাম সেই নাকি আমার সাথে বেইমানি করেছে। আমার সোনার টুকরো মেয়েটার কি হবে?” আহাজারি করতে করতেই ঢুলে পড়েন।
বুলেটের গতিতে মাকে এসে জাপটে ধরে নাজনীনের। নাজনীনের কোলেই তিনি চেতনা হারান। ভাবি এবং নাজনীন মিলে মাইমুনা বেগমকে শোবার রুমে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেন। ঠান্ডা পানি এনে চোখমুখে ছিটিয়ে দেওেয়া হয়।
কিছুক্ষণ পরেই জ্ঞান ফিরে। দূর্বল কন্ঠে মেয়েকে ডাকেন, “এদিকে আয় মা!”
মায়ের দিকেই আগ্রহ ভরা চোখে তাকিয়ে ছিল নাজনীন। কানে মায়ের ডাক পৌছাতেই চেয়ার ছেড়ে উঠে আসে। মায়ের কাছে বসে শুধায়, “এখন কেমন লাগছে মা?”
“এখন একটু ভালো। মাথাটা ঝিমঝিম করে উঠলো। সামলাতে পারলাম না। হ্যাঁ মা, এতকিছু হয়ে গেছে তুই আমাকে একটিবার জানাতে পারলি না? মা কি এতই পর?”
মা মেয়ের আবেগঘন মুহূর্তে নাজনীনের ভাবি একপা দুপা করে রুম ছাড়লো। এখানে সে বেমানান। তাদের স্পেস দিয়ে সরে আসলো।
মাইমুনা বেগম উঠে বসলেন। নাজনীন কিছু না বলে মায়ের কোলে মুখ ডুবিয়ে দিলো। মায়ের শাড়িতে কেমন আদুরে একটা গন্ধ লেগে আছে। নাজনীনের ভালো লাগে।
মাইমুনা বেগম মেয়ের মাথায় বিলি কেঁটে দেন। ঝট হয়ে গিয়েছে মাথার চুল। তিনি মেয়ের উদ্দেশ্যে কোমল কন্ঠে শুধান, “এসব কবে হলো নাজনীন?”
“আমি নিজেও জানিনা মা। সে একদিন আবদার রাখেন দ্বিতীয় বিয়ে করবেন। তার সাথে আমার কথা কাঁটাকাঁটি হয়। আমি মেনে নিতে চাই না। আমাকে সময় দিয়ে তিনি বেড়িয়ে যান বাসা থেকে। রাত থেকে ফিরলেন সকালে। পরদিন রাতে আবারও একই কথা। তাকে আমি বুঝিয়েছি মা। সংসার ভাঙার ইচ্ছে আমার কখনোই ছিল না। সাজানো সংসার আমার। কিন্তু সে আমাকে বোঝেনি। মিনিমাম কদর টুকুও করেননি। আমি আশা হারালাম। পরদিন সকালে সব ছেড়ে যখন বাড়ির উদ্দেশ্যে বেড়ব। তখনই তার প্রেমিকার প্রবেশ। জানতে পারলাম ওই বে””শ্যার পেটে তার বাচ্চা। মা আমি শেষ হয়ে গিয়েছে। সে আমাকে বিষাক্ত ছুড়ি দ্বারা আঘাত করেছে। আমি এ ব্যাথায় শেষ হয়ে যাচ্ছি। কেমনে সহ্য করি?”
মেয়ের হৃদয় ছেড়া কথায় মায়ের মনে ঝড় বয়ে যায়। কি বলে শান্ত করবেন তিনি? মাথায় যে কিছুই ঢোকে না।
“ফাহমিদা! বোনু কোথায়?”
ড্রয়িং রুমে মনম””””রা হয়ে বসে রয়েছে নাজনীনের ভাবি। হঠাৎ স্বামীর কন্ঠস্বরে চোখ তুলে তাকায়। হাতভর্তি খাবারের প্যাকেট নিয়ে দাড়িয়ে আছে এক শ্যাম বর্ণের যুবা পুরুষ। ঘামে জর্জরিত শরীর। চোখ ঘুরিয়ে কিছু একটা খুজে চলেছে। দুজনের চোখে চোখ পড়তেই ভ্রু উচিয়ে ফের শুধায়, “কৈ সে?”
“আম্মার রুমে।”
স্ত্রীর মুখ থেকে জবাব আসতে না আসতেই সে মায়ের রুমের দিকে হাঁটা ধরে। ফাহমিদা তাকে থামায়। বলে, “মা মেয়ে সুখ দুঃখের কথা বলছে। তুমি পরে দেখা করিও। শরীর থেকে বিশ্রী ঘামের গন্ধ আসছে। যাও গিয়ে গোসল করো।”
উৎসুক চোখদুটো ছোট ছোট হয়ে আসে। স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলে, “অপমান করলে?”
“সত্যি কথা বললে বুঝি অপমান করা হয়?”
“শোন মেয়ে, আমি কড়া পারফিউম লাগিয়ে দোকানে গিয়েছি। গায়ে কোন ঘামের গন্ধ নেই। সুন্দর সুবাস আসছে।”
ফাহমিদা নাক কুচকে বলে, “গোসলে যাও। আমি খাবার বাড়ছি।”
নাহিদ ঠাই দাড়িয়ে রই। তা দেখে ফাহমিদা পুনরায় কিছু বলতে নিলে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নাহিদ। ঘটনাটি এত দ্রুত ঘটলো যে ফাহমিদা কিছু বলার সুযোগ পেল না। বিস্ময়ে বেচারীর মুখখানা হা হয়ে গেল। তা দেখে নাহিদ দুষ্টু হেসে বললো, “এটা দরকার ছিল বউ।”
এরপর টুপ করে একটি চুমু দিয়ে রুমের দিকে পা বাড়ালো।
নাহিদ চলে যেতেই ফাহমিদার ঠোঁট প্রসারিত হয়। বিরক্তির ভাব ধরে থাকলেও স্বামীর থেকে এমন হুটহাট আদর তার ভালোই লাগে। মন প্রাণ ভালো লাগায় ছেয়ে থাকে। কিন্তু পরক্ষণেই নাজনীনের কথা মনে পড়তেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। মুখের হাসি মিলিয়ে। নাজনীনের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করলে বুকের মধ্যে ব্যাথা শুরু হয়। নাজনীনের পরিস্থিতিতে না পড়েও মেয়েটির জন্য তার খারাপ লাগে।
আহারে, দাম্পত্য জীবনে তাদেরও নিশ্চয় এমন সুন্দর সুন্দর খুনসুটিময় মুহূর্তের সৃষ্টি হতো!
________________________________
আজকাল পিয়ালি হুটহাট রাজনের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় চলে আসে। নিজের মত রুম ডেকোরেশন করে। শুরুতে রাজন নিষেধ করলেও পিয়ালির হট পিংক নাইট ড্রেসে হার মানে সব নিষেধাজ্ঞা নারী লোভী শীশ্নধারী এই নপুংসক পুরুষ সব ভুলে যায়। ভুলে যায় তার স্ত্রীর সাথে কাটানো দুইটি বছরের কথা।
একটি সপ্তাহ রাজনের জীবনে নাজনীন নেই। সে নিয়ে তার কোন মাথা ব্যাথা নেই। বরং মেয়েটিই ছিল তার মাথা ব্যাথার কারণ। শীঘ্রই বিয়ে করতে চলেছে। তার নিজেকে এখন বাধভাঙা মানুষের মত স্বাধীন লাগে। সে যে তার স্ত্রীকে খুব বাজে ভাবে ঠকিয়েছে। তা নিয়ে তার কোন অনুতাপ নেই। প্রতারকরা হয়তো এমনই। অনুতাপ, অনুতপ্ততা নামক দুটি শব্দ যদি তাদের মন মস্তিষ্কে থাকতো তাহলে হয়তো এহেন জঘন্য অপরাধেও স্বাভাবিক থাকতে পারতো না।
প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে প্রতারকদের কোন বিবেক থাকে না। থাকে নিজের কৃত কর্মের প্রতি সামান্য অনুশোচনা। এদের বোধদ্বয় কখনও হয় না। এরা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর মানুষ। যেকোনো অন্যায় করতেও তাদের বুক কাপে না।
পিয়ালির সঙ্গে মজা মাস্তিতে কাঁটানো এক বিকেলে রাজনের বাসার দরজায় বারংবার ডোর বেল বাজতে থাকে। বিরক্ত হয় দুজনেই। পিয়ালি বলে ওঠে, “তোমার পেয়ারের বউ আসছে নাকি?”
রাজনের কপাল কুচকে যায়। হলেও হতে পারে। সে এখনো তার লিগ্যাল ওয়াইফ। রাজন কোন উত্তর দেয় না।
পিয়ালি আবারও বলে, “আমি কোন কথা শুনতে চাই না বেইব। ঝামেলা গোড়া থেকে নির্মুলের ব্যবস্থা করো। এত টেনশন নিয়ে বাঁচা যায় না। উফ!”
রাজন হাত দিয়ে কপাল ডলতে ডলতে বলে, “তাই করতে হবে।”
অন্যদিকে বারবার কলিংবেল বেজেই চলছে। রাজন চিন্তিত মুখে দরজা খুলতে যায়।
বাড়িওয়ালা কর্তৃক নোটিশ এসেছে। বাসা খালি করতে হবে। তাও এক রাতের মধ্যে।
রাজনের কপালে চিন্তার ভাজ। এমন বিপদে সে ইতিপূর্বে পড়েনি। এক রাতের মধ্যে সে কোথায় বাসা খুজে পাবে?
ইন শা আল্লাহ চলবে…….
লেখনীতে~সুমাইয়া ইসলাম জান্নাতি