#বড় গল্প
#দ্বিতীয় বাসর
পর্ব-এগারো
মাহবুবা বিথী
প্রাডো গাড়িটি গুলশান এক থেকে বের হয়ে মনে হলো পুলিশ প্লাজার দিকে ছুটে চলছে। ঢাকার রাস্তা ঘাট আমি খুব একটা চিনি না। তবে ইউসুফের সাথে আরো একবার এদিকটায় এসেছিলাম। আমার গন্তব্য অফিস টু বাসা। এর বাইরে কোথাও আমার খুব একটা যাওয়া হয় না। সে কারণে মনে হচ্ছে গাড়ি সেদিকেই চলছে। ড্রাইভিং সীটে বসা মানুষটির দিকে আমি বার বার তাকিয়ে দেখছি। পরনে সাদা ফুল স্লিপ শার্ট, যেটা কব্জিতে ভাঁজ দিয়ে গুটিয়ে রাখা হয়েছে। বাঁ হাতে কালো মেটালিক ডিজাইনের উপর কারুকাজ করা রোলেক্স ঘড়ি। কালো ফরমাল প্যান্ট আর পায়ে লেদার শ্যু। নির্মেদ পেশীবহুল শরীরটা পোশাকের উপর ভালোই দৃশ্যমান। আমি জানি ইউসুফ নিয়মিত জিম করে। গায়ের রংটা চাপা হলেও বলতেই হবে বেশ আকর্ষনীয় পুরুষ। জানি না ও আমাকে আজ কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আর কিইবা বলবে কোনো কিছুই বুঝতে পারছি না। গাড়িটা একটা রেস্টুরেন্টের সামনে এসে থামলো। ইউসুফ নেমে গাড়ির দরজা খুলে আমাকে নামতে বললো। এরপর গাড়ি লক করে আমরা দুজনে রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকলাম। দুজনেই মুখোমুখি বসে আছি। ইউসুফ দুগ্লাস পাইনঅ্যাপল জুসের অর্ডার করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওয়েটার এসে দুগ্লাস জুস দিয়ে গেল। আমি স্ট্র দিয়ে ভালো করে জুসটা নাড়িয়ে দিয়ে একচুমুক দিলাম। ইউসুফ যে আমার দিকে তাকিয়ে আছে তা আমি ওর দিকে না তাকিয়ে বুঝতে পারছি। আল্লাহপাক মেয়েদের একটা অদ্ভুত পাওয়ার দিয়েছেন। ভালোবাসার মানুষের পালস ওরা সহজেই বুঝতে পারে। যেমন আমি বুঝতে পারছি। নিরবতা ভঙ্গ করে ইউসুফ বললো,
—-তোমাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। হয়তো সারাদিনের কাজের চাপের কারণে তোমাকে এমন মলিন দেখাচ্ছে। তবে এতে তোমার সৌন্দর্যটা কিন্তু মলিন হয়নি। তোমার ভাসা ভাসা চোখের সৌন্দর্য পুরো অবয়বে ছড়িয়ে পড়েছে। মাথার হেজাবটা খুব সুন্দর করে পড়েছো।
আমার ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছে। তবে পাশাপাশি এক ধরণের ভালোলাগার অনুভূতি আমার পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে।
—জুলেখা, আমাদের বিয়েটা সেরে ফেলতে চাইছি। এতে তোমার কি মত?
—-আপনি জেনে বুঝে আমাকে বিয়ে করছেন তো?
—-অবশ্যই। তোমাকে ভালো না লাগলে এই প্রস্তাব দিতাম না। অফিসের চাকরি দিয়েই দায় সারতাম।
—-তবে আমি চাই আমাদের বিয়েটা খুব সাদামাটাভাবে হয়ে যাক। খুব বেশী লোক ডাকাডাকির দরকার নেই।
—-ঠিক আছে। বিয়েটা ঘরোয়াভাবে হোক এতে আমার কোনো আপত্তি নাই। তবে বিয়ের পর একটা রিসিপশনের আয়োজন তো অবশ্যই করতে হবে। তুমি তো জানো আব্বু এই মুহুর্তে অফিসের কাজে আমেরিকাতে আছে। আব্বুকে জানাবো। দেখি কি বলে? তবে শীঘ্রই আমরা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবো।
ইউসুফের মতের সাথে আমিও একই মত প্রকাশ করলাম। আসলে কি পরিচয়ে ও বাড়িতে থাকবো। ইদানিং খেয়াল করেছি ঘরের স্টাফরা সবাই আমাকে নিয়ে কানাঘুষা করে। মেয়েমানুষের অনেক বিপদ। পরে না জানি আমাকে শুনতে হয় আমি ইউসুফ সাহেবের রক্ষিতা।
রাতের ডিনার সেরে বাসায় ফিরে আসলাম। খুব ক্লান্ত লাগছে। ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে এসে এশার নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
বিয়ের তারিখ নিয়ে ইউসুফের সাথে কথা হওয়াতে আমি অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে আছি। আসলে এভাবে তো চলা যায় না। আমরা যতই বলি পুরুষ নারীর বন্ধুত্ব হয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। মাহরাম ছাড়া যে কোনো পুরুষের সাথে চলাফেরাটা আমার কাছে শোভন নয়। আমার বাবা মা যেহেতু ছিলেন না সে কারণে আমি খুব ছোটোবেলা থেকে এই বিষয়টা মেনে চলার চেষ্টা করি। খুব ছোটোবেলায় আমি আমার মামীর ভাইয়ের কাছে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলাম। সে কারণে যে কোনো পুরুষকে আমি সহজে বিশ্বাস করতে পারি না। একটা ট্রমা কাজ করে। যাই হোক সেদিন অফিস থেকে বের হয়ে উবারের জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ পিছন দিক থেকে খুব পরিচিত কন্ঠস্বর আমার কানে ভেসে আসে।
—জুলি,একটু দাঁড়াও তোমার সাথে কথা আছে।
তাকিয়ে দেখি রাজন আমার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। ওকে খুব বিদ্ধস্ত লাগছিলো। চুলগুলো উস্কখুস্ক। ততক্ষণে উবার চলে এসেছে। রাজন ও খুব দ্রুতগতিতে পা চালিয়ে আমার কাছে চলে এসেছে। অনেক অনুনয় করে বললো,
—-তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো।
অফিসের সামনে এভাবে আমাকে ডেকে দেওয়াতে আমি খুব বিরক্ত বোধ করলাম। যদি অফিসের কেউ দেখে ফেলে তখন এই বিষয়টা নিয়ে গসিপ তৈরী হবে। সে কারণে মেজাজ দেখিয়ে বললাম,
—-তোমার সাথে আমার সব কথা ফুরিয়ে গেছে। আর কিছু অবশিষ্ট নাই।
আমি উবারে উঠে বসলাম। রাজনও জোর করে ওপাশের দরজা খুলে উঠে পড়লো। এরপর আমার হাত ধরে বললো,
—-একটা ভুল না হয় হয়েছে তাই বলে তুমি এভাবে আমাকে পর করে দিবে?
আমি হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম,
—-তুমি আমার হাত ধরলে কোন সাহসে? ডিভোর্সের পর তুমি আমার কাছে একজন পর পুরুষ। আর কি বললে ভুল হয়ে গেছে? আমায় হাসালে। দিনের পর দিন তুমি আমার সাথে ভুল নয় অন্যায় করে গিয়েছো। তার ষোলোকলা পূর্ণ করেছো ইউসুফের সাথে আমায় বিয়ে দিয়ে। একবারও ভাবোনি আমার অসম্মানের কথা। ভালোই হয়েছে এখন মায়ের আঁচলের নীচে থেকে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দাও। দেখো, আমাদের গল্পটা না শেষ হয়ে গিয়েছে। সুতরাং তুমি গাড়ি থেকে নেমে গেলেই আমি খুশী হবো।
—হা আমাদের গল্পটা শেষ হয়ে যায়নি। তুমি ইচ্ছে করেই সমাপ্তিটা টেনে দিয়েছো। যখন তোমার কেউ ছিলো না সেই বিষাদমাখা অতীতে আমি ছিলাম তোমার সুখ। আর আজ আমার একটা ভুলে তুমি কেড়ে নিলে আমার সারাজীবনের সুখ।
—-দেখো তোমার এসব প্যাঁচাল শুনতে আমার ভালো লাগছে না। গাড়ি থেকে নেমে গেলেই আমি খুশী হবো।
রাজন ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বললো। গাড়ি থেকে নামার সময় আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
—-তুমি সুখী হও এই দোয়াই করি। আসি।
ও চলে যাবার পর আমার বুকের ভিতর এক ধরণের কষ্ট অনুভব হলো। যতই ওর সামনে আমি হাঁক ডাক করি না কেন ওতো আমার জীবনের কিছু অংশে আজীবন জড়িয়ে থাকবে। যা আমি কখনও অস্বীকার করতে পারবো না। একসাথে মাওয়া ঘাটে নৌকায় ঘুরে বেড়িয়েছি। দিয়াবাড়ি থেকে শুরু করে মিরপুর বেড়ীবাঁধ তিনশ ফিট ঢাকার কোনো জায়গা বাকি রাখি নাই। সব জায়গায় ও আমাকে সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। অবশ্য সবই হয়েছে বিয়ের আগে ভার্সিটিতে পড়াকালীন সময়ে। বিয়ের পর ও আমাকে নিয়ে কালেভদ্রে বের হতো।
গাড়ি বাসার সামনে চলে এসেছে। গ্যারেজে ইউসুফের গাড়িটা দেখে বুঝলাম ও চলে এসেছে। আমি সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় আমার নিদিষ্ট রুমটায় ঢুকে ব্যাগটা ডিভানে ছুঁড়ে ফেললাম। মাগরিবের আযান শুরু হয়েছে। ওয়াশরুমে গিয়ে ড্রেস চেইঞ্জ করলাম। এরপর ওজু করে এসে নামাজ আদায় করে নিলাম। সারাদিনের ক্লান্তিতে বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিতেই দরজায় নক করার শব্দ শুনতে পেলাম।
—-জুলেখা ঘরে আছো?
—-হুম,আসুন।
ইউসুফ ঘরে এসে ডিভানে বসলো। ওর মুখটা খুব বিমর্ষ দেখাচ্ছে। আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
—-আজ তোমার রুমে সন্ধাকালীন চা,টা তোমার সাথে গল্প করে খাবো।
—-সমস্যা নেই।
ওকে দেখে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে “সামথিং রং”। আচ্ছা,ওকি রাজনকে দেখেছে। রাজন তো অফিসের সামনে থেকেই আমার সাথে উবারে উঠেছে। আমার মনে হলো ওকে আগেই বিষয়টা জানানো উচিত। তা,না হলে ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ থেকে যায়। সে কারনে আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,
—-আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো।
উৎসুক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
—-,নিশ্চিন্তে বলতে পারো।
ততক্ষণে মিনারা খালা রুমে চা আর পাকোড়া নিয়ে এসেছে। টেবিলের উপর সব নামিয়ে রেখে ট্রেটা নিয়ে চলে গেলো।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,
—-বিষয়টা আপনি কিভাবে নিবেন আমি জানি না। তবে আমি স্বচ্ছতার পরিচয় দিতে পছন্দ করি।
ইউসুফ মুচকি হেসে বললো,
—-খুব সিরিয়াস কথা মনে হচ্ছে?
আমি চায়ে চুমুক দিয়ে বললাম,
—-সিরিয়াস কিনা জানি না, তবে ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ থাকতে পারে।
আমাকে চমকে দিয়ে ইউসুফ বললো,
—-রাজন তোমার সাথে দেখা করতে এসেছিলো?
—-হুম,আপনি কিভাবে জানলেন?
—-অফিস থেকে বের হবার সময় ওকে গেটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। তখনই বুঝেছি ও তোমার সাথে হয়তো মিউচুয়াল করতে এসেছে।
আমার রাজনের উপর বিরক্তি আরো বেড়ে গেল। আমি কঠিন স্বরে বললাম,
—-আপনি ঠিক ধরেছেন। মিউচুয়ালের কোনো সম্ভাবনাই নেই। আমার পথ ওর থেকে অনেক আগেই আলাদা হয়ে গেছে। ওর কাছে ফিরে যাওয়া মানে নিজেকে অপমানিত করা।
—-তা ঠিক। তোমাকে না জানিয়ে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার ধারণা তোমারও মত আছে এখানে। কাল বৃহস্পতিবার। পরশু আমি আমাদের বিয়েটা সেরে ফেলতে চাইছি।
আমি অবাক হয়ে বললাম,
—আঙ্কেল তো এখন ফিরেননি।
—-তাতে সমস্যা নেই। আব্বুর সাথে আমার কথা হয়েছে। আব্বুই বলেছে উনার জন্য অপেক্ষা না করে শুভ কাজ দ্রুত সেরে ফেলতে। তাহলে কাল আমরা শপিং এ বের হবো।
—-আমার তো সব কেনাই আছে।
—-তারপরও আমরা শপিং এ বের হবো। তখন তো কিনেছি তোমার জন্য বন্ধু হিসেবে। কাল কিনবো আমার অর্ধাঙ্গিনী হিসাবে।
আমিও আর অমত করিনি। ইউসুফ চলে যাবার পর একটা ভালো লাগা আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেললো। আজ রাজনের সাথে দেখা হওয়াতে ইউসুফকে আমাকে হারিয়ে ফেলার ভাবনায় ধরেছে। এটা ভেবে ভালো লাগছে ও আমাকে হারাতে চায় না। আসলে ভালোবাসার মানুষের কাছে মানুষের এটাই তো চাওয়ার থাকে। সে আমাকে আগলে রাখবে। একটু আহ্লাদে রাখবে। এটুকুই চাওয়ার থাকে। আমি আর কখনও রাজনের কথা ভাববো না। আমার শয়নে স্বপনে আজ থেকে শুধু ইউসুফ থাকবে। বলিষ্ঠ, সুন্দর, যাকে বিশ্বাস করা যায়। ও আমাকে আজ অবিশ্বাস করতে পারতো। করেনি বরং পুরো ঘটনা আমার মুখ থেকে শুনতে চেয়েছে। মানুষটা আমার থেকে সাত আট বছরের বড় হবে। অভিভাবক ছাড়া বড় হওয়া এই আমি আজ একজন অভিভাবক পেয়েছি। রাজন আমার সমবয়সী ছিলো। ভেবেছিলাম বিয়ের পর ওর মা আমার একজন অভিভাবক হবে। কিন্তু তা না হয়ে আমার প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে।
অবশেষে সেই কাঙ্খিত মুহুর্তটি চলে আসলো। আমি পারলারে না গিয়ে বাড়ীতে নিজেই সাজগোজ করে নিয়েছি। একটা লাল টুকটুকে বেনারশী পড়েছি। গতকাল আমি আর ইউসুফ মিরপুর থেকে এই বেনারশীটা কিনে এনেছি। তার সাথে একসেট ভারী গয়না পড়েছি। যেটা আমাকে ঐ সময় বিয়েতে দেওয়া হয়েছিলো। ইউসুফকে ফেরত দিতে চেয়েছিলাম। ও নিতে রাজী হয়নি। আমার কাছে রাখতে বলেছে। কাজী এসে আমাদের বিয়ে পড়িয়ে দিলো। আজকে বাড়ীর সব কাজের লোককে ছুটি দেওয়া হয়েছে। শুধু নীচে কেয়ারটেকার আছে। ইউসুফ বাইরে থেকে বিয়ের খাবার অর্ডার করেছে। কাচ্চি বিরিয়ানী সাথে মুরগীর তন্দুরী, কাবাব,খাসীর রেজালা,জরদা শেষে গোলাপ জামুন। ও আজকে একটা জমকালো শেরওয়ানী পরেছে। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি রুমে এসে বিছানায় বসলাম। বড় নিশ্চিন্ত বোধ করছি। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত বারোটা বাজে। এমনসময় ইউসুফ আমার রুমে আসলো। সাথে সাথে আমার হাটবিট বেড়ে গেলো। ও শেরওয়ানীর পকেট থেকে সেই হীরার আংটিটা আমায় পরিয়ে দিলো। ওর হাতের উষ্ণ স্পর্শে পুরো শরীরটা আন্দোলিত হয়ে উঠলো। এরপর আমার দিকে তাকিয়ে গাঢ় স্বরে বললো,
—-এখন শুক্লপক্ষ চলছে। আকাশে আধফালি চাঁদ উঠেছে। চলো ছাদে গিয়ে বসি। দেখি আমার প্রিয়তমা বেশী সুন্দর নাকি ঐ আধফালি চাঁদ।
ও আমার হাত ধরে ছাদে নিয়ে গেল। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
—-তোমার রুপের কাছে ঐ চাঁদ খুবই নগন্য।
আমি অবাক হয়ে ইউসুফকে দেখছি আর ভাবছি রাজন কখনও কোনোদিন এভাবে আমার রুপের প্রশংসা করেনি। অথচ আমি মনে মনে এরকম একজন প্রেমময় স্বামী আশা করতাম। কিন্তু রাজনকে কখনও এইভাবে আমার পাওয়া হয়নি। এরপর আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
—-আমি আমার জীবনের সব কথা তোমাকে এখনও বলিনি। কিছু কথা গোপন আছে। যা আমার বাবাও জানে না।
—-যা গোপন আছে থাক। এই রাতে আমি সবটা তোমার কাছে শুনতে চাই না।
—-না জুলি তা হয় না। জীবন শুরুর আগে সব কিছু জেনে নেওয়া ভালো।
চলবে