প্রাণনাশিনী পর্ব-০৭

0
1

#প্রাণনাশিনী
#পর্ব_০৭
#সুহাসিনি_মিমি

আকারে ছোট খাটো একটি অফিস কক্ষের ন্যায় রুমে আপাতত দাঁড়িয়ে আছে সুবহা। সামনে ডেস্কের সাথে দুটো চেয়ার পাতা। একটায় বসে আছে কাজী সাহেব। সামনে মেলে রাখা মোটা মোটা আকারের খাতা মেলে রাখা। অপরটিতে পায়ের উপর পা তুলে বসে থ্রি কোয়াটার প্যান্ট পরিহিত সেই মানব। সুবহা গুটিয়ে এক কোনায় দাঁড়িয়ে। মনের ভিতর প্রবল ঝড় উঠছে কৌতূহল এর। তোহ একদিকে আবার ভয়েরা বাসা বেঁধেছে। চুপি চুপি লুকিয়ে চুরিয়ে চোরা চোখে বার কয়েক সামনে তাকিয়েও কোনো সুবিধা করে উঠতে পারেনি। লোকটা তখন থেকে একটানা কি নিয়ে যেন কথা বলেই যাচ্ছে অনর্গল। প্রথমে রুমে ঢুকে বান্ধবী নামের সেই স্বার্থবাদী মেয়েটা কে খুঁজেছিলো সুবহা। কিন্তু পুরো রুম জুরেও মেয়েটার কোনো চিহ্ন নেই। কোথায় গেছে কে জানে!

পরপর আবার তাকালো চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বিদ্যমান নাওফিক এর উপর। লোকটার এই অভ্যাস পছন্দ নয় তার। এতো বড় মানুষ হয়ে যেখানে সেখানে এতো ছোট ছোট প্যান্ট পরে চলে আসে। লজ্জা সরম এর ছিটেফোঁটাও নেই বোধহয়। কই তার শ্রেয়ান ভাইও তো এসব ছোট প্যান্ট পরে। তবে বাইরে গেলে তো পাল্টিয়ে যায়। কালো প্যান্ট এর আড়ালে দৃশ্যেমান হলদে ফর্সা পা দুটো যেন না চাইতেও আকর্ষণীয় লাগছে আজ সুবহার কাছে। বেয়াদব চোখ দুটো তার মানা করা সত্ত্বেও বারবার ঘুরে যাচ্ছে সেখানে। সুবহা নিজ চোখ দুটোকে মনে মনে ধমক দিলো আরেকবার। পরপর দরজায় কারো উপস্থিতি পেতেই সেখানে তাকালো। সি এন জি থেকে নেমে সবেই এসে দাঁড়িয়েছে দুজন নর নারী। একজন কে সুবহা চিনে। গ্রামের হানিফ চাচার ছেলে। কিন্তু পাশে বোরকা পরা মেয়েটাকে সুবহা চিনলো নাহ। বোরকায় মুখ আটকানো মেয়েটাকে এক নজর দেখার জন্য কাইকুই করলো সুবহার চঞ্চল মন।

এর মাঝেই ছেলেটা সোজা তাকে পেরিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো নাওফিক এর সামনে। কাজী সাহেব আড় চোখে একবার তাকালেন তাদের দুজনের দিকে। মেয়েটা সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলো। ছেলেটা পুনরায় এগিয়ে এসে মেয়েটার হাত ধরে নিয়ে গেলো নাওফিক এর সামনে। বললো,

–“ভাইকে সালাম দাও!

ছেলেটার আদেশ পাওয়া সবেই মেয়েটা ছোট ছোট কণ্ঠে বললো,

–“আস্সালামুআলাইকুম ভাইয়া!

নাওফিক মৃদ কণ্ঠে বিড়বিরিয়ে সালামের উত্তর নিলো। দুজন কে সাথে দার করিয়ে কাজী সাহেবের উদ্দেশ্য ভরা কণ্ঠে বললো,

–“নিন শুরু করুন।

সুবহার ছোট মাথায় এখন যেন সব আয়ত্তে আসলো। এতক্ষন উল্টাপাল্টা ভাবায় নিজেকেই নিজে আরেকবার ধমক দিল সে।
আদেশ পাওয়া সবেই কাজী সাহেব খাতায় বড় বড় অক্ষরে লিখতে শুরু করে দেয়। কিছুক্ষনে পর ফের প্রশ্ন করে বলে,

–“বাবা! মেয়ে পক্ষের সাক্ষী দিবে কে?

নাওফিক সুবহার দিকে তাকায়। ইশারায় ডেকে বলে,

–“এদিকে আয়!”

সুবহা থম মেরে দাঁড়িয়ে থাকে। এমন অবিচার সে করবে না। সবাই জানলে কি হবে তখন তার? সবথেকে বড় কথা তার মা যদি জানতে পারে সে এমন কিছু করেছে তখন তার পিঠের ছাল রাখবে আদৌ?

–“কিরে এখানে আসতে বলেছি না তোকে? এদিকে আয়। ”

সুবহা নড়লো নাহ। তেজ দেখিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো কপট। নাওফিক এর আদল খানা মুহূর্তেই শক্ত হলো। ত্রস্ত পায়ে ছুটে এলো সুবহার সন্নিকটে। তেজ মিশিয়ে বললো,

–“কানে শুনিস না? ক”বার ডাকলাম।

–“আমি যাবোনা নাওফিক ভাই। এসব ঠিক নাহ। পালিয়ে বিয়ে করা ভালো নয়।অন্যায়, পাপ!”

ছোট্ট সুবহার মুখে এহেন কথা শুনে কপাল কুঁচকে উঠে নাওফিক এর। গভীর দৃষ্টিতে একবার পরখ করে নেয় কালো হিজাবের মাঝে মেয়েটার গোলগাঁল ফর্সা আদল খানা।

–“তোকে কে বলেছে পালিয়ে বিয়ে করা ভালোনা?পাপ হয়? ”

–“বাবা বলেছে!”

সোজাসাপ্টা জবাব সুবহার। নাওফিক নড়েচড়ে দাঁড়ায়। একবার তাকায় ডেস্কের ওদিকটায়। মেয়েটা ছাড়া বাকি দুজনেই এদিকে চেয়ে। তার তাকানোতেই সবাই দৃষ্টি ঘুরিয়ে নেয়।

–“শুন! ওরা দুজন দুজন কে ভালোবাসে। ওদের পরিবারের মধ্যে জামেলা চলছে। বিয়ে ঠিক ছিল। বাপ চাচাদের মধ্যে জামেলা বেঁধে একজন বিয়ে ক্যানসেল করে দিয়েছে। এতে ওদের দোষ কি?

সুবহা নিশ্চুপ রইলো। মুখে কিছু না বললেও মনের ভিতর অঢেল প্রশ্নের জমাট পাকা। নাওফিক ফের বললো,

–“তুই শুধু মেয়ের পক্ষের থেকে সাক্ষী দিবি বুঝসিস?

সুবহা উপর নিচ মাথা নাড়ালো। মৌন সম্মতিতে পুনরায় গিয়ে কাজীর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো নাওফিক। সুবহা ছোট ছোট কদমে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো তার পিছনে। কাজী সাহেব একে একে সমস্ত নিয়ম নীতি শেষে বিয়ের কার্যক্রম শুরু করলেন। একে একে সমস্ত নিয়ম শেষে বিয়ে হতেই চোখে মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠে ছেলেটার। খুশির চোটে উৎফুল্লটা ধরে রাখতে না পরে আকস্মিক ঝাঁপিয়ে পরে নাওফিক এর বুকে।

–“তুই না থাকলে সত্যিই আমি আজ শেষ হয়ে যেতাম ভাই। সারাজীবন এর জন্য ঋণী হয়ে থাকলাম তোর কাছে। এর প্রতিদান আমি কোনোদিন শোধ করতে পারবো নাহ। ”

বলেই ছেড়ে দেয় ছেলেটা। সুবহা বড় বড় চোখে ফেল ফেল করে তাকিয়ে থাকে। এখানে এই লোকের উপর এতো কৃতজ্ঞ হওয়ার কি আছে বুঝে আসেনা তার। শুধু বিয়েই তো পড়িয়েছে। মেয়েটাও বলে উঠলো,

–“ভাইয়া আপনি না থাকলে হয়তো এতক্ষন এ আমার সব শেষ হয়ে যেত। আপনার জন্য আজ আমি ওকে পেয়েছি। আল্লাহ আপনার ভালো করুক। দোয়া করি যেন আপনিও আপনার মনের মানুষের সাথে সারাটাজীবন কাটাতে পারেন। আল্লাহ আপনার মনের সকল মনোবাসনা পূর্ণ করুক!”

মেয়েটার এরূপ কথায় নাওফিক সোজা তাকালো সুবহার বিচলিত মুখের দিকে। ওখানে তাকিয়েই উত্তর করলো,

–“উহু দোয়া টা ঠিক এরকম করো যেন আমার মনের গহীনে থাকা সেই বোকা ফুলটা একটু যলদি বড় হয়ে যায়! ব্যাস তাতেই হবে!”

মেয়েটা কি বুঝলো কে জানে!ঘাড় ঘুরিয়ে সোজা সুবহার দিকে তাকালো। নাওফিক তাড়া দিয়ে বললো,

–“দুটো টিকেট কাঁ”টা আছে। ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে বাইরে আছে। ওখানে পৌঁছে আমায় ইনফর্ম করিস।মেনেজার কে বলে রেখেছি। ওনি সবটা মেনেজ করে রেখেছে। ইনজয় কর। যলদিই দেখা হচ্ছে!”

**

বাইকে দীর্ঘক্ষণ মৌন বসে সুবহা। নির্জন রাস্তায় বাইক চলছে আপন গতিতে। আকাশে মেঘের ভার। বাতাসের তীব্রতায় গাছের পাতা নুইয়ে আসছে। কয়েকটা শুকনো গাছের পাতা এসে পড়েছে সোজা সুবহার মুখের উপর । সময়টা সকাল হলেও আবহাওয়ায় বুঝা যাচ্ছে সন্ধ্যা নেমে এসেছে বোধহয় ধরণীর বুকে। বৃষ্টি ছাড়াই ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। পথ ঘাটের গরু ছাগল গুলোকে তাদের মালিকরা বাড়িতে নিয়ে গেলেও দূর দূরান্ত যাদের বাড়ি তাদের আসতে দেরি হওয়ায় মাঠে থাকা বাকি গরু ছাগল গুলো ডাকছে হাঁক ছেড়ে। তীব্র বাতাসে লোকটার মাথার সিল্কি ঝাঁকড়া চুলগুলো পিছনের দিকে উড়ছে। এর মাঝেই হঠাৎ শুরু হলো মুশল ধারায় বৃষ্টি। আচানক বাইক কোষে নাওফিক। একটু দূরে একটা বড় টিনের ছাউনির ন্যায় পুরোনো জং ধরা টং দোকান। মেইন রাস্তায় বাইক থামিয়ে সেই টং দোকান এর উদ্দেশ্য বাইক ব্রেক কোষে সে। ইতিমধ্যেই শরীরের অনেকটা ভিজে যাতা অবস্থা। বাইক থেকে নেমে সুবহা কে তাড়া দিয়ে বলে,

–“কিরে নামছিস না কেন? নেমে আয়। বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগবে।এই বৃষ্টি ভালো না! যলদি নাম!”

সুবহার মন বৃষ্টিতে ভিজতে চাইলেও নাওফিক এর কথায় ধ্যান ভাঙে। ত্রস্ত পায়ে নেমে দাঁড়ায় বাইক থেকে। দ্রুত গিয়ে আশ্রয় ন্যায় সেই টং দোকানের টিনের চালের নিচে। কালো বোরকা ইতিমধ্যে ভিজে লেগে আছে শরীরের সাথে। বৃষ্টির ঝোপে রাস্তায় কিছু দেখা যাচ্ছেনা স্পষ্ট ভাবে। নাওফিক দৌড়িয়ে এসে সেই টিনের নিচে আশ্রয় নেয়। দুজনের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব। মাথার চুলগুলো হাত দিয়ে ঝাড়তে থাকে। পায়ের কালো পশম গুলো ভিজে লেপ্টে আছে পায়ের সঙ্গে। সুবহা তাকিয়ে থাকে সেই দৃশ্যের দিকে অপলক ভাবে। কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি সৃষ্টি হয় আজ সুবহার মন দুয়ারে। অদ্ভুত এক বিদঘুটে অনুভূতি! নাওফিক কে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে সুবহা। হাত ছেড়ে এবার মাথা দু পাশে কাত করে নেড়ে নেড়ে চুল থেকে পানির স্পর্শ ছড়াচ্ছে লোকটা। সুবহা এতক্ষন বোরকা ঝাড়তে থাকলেও এবার হাত দুটো থেমে যায় তার। পরোক্ষনেই নাওফিক মাথা ঝেড়ে সেখানে তাকাতেই চোখা চোখি হয় দুজনের। সুবহা ইতস্তত হয় এভাবে ধরা পড়াতে। দ্রুত চোখ সরিয়ে নেয়। চোর ধরা পরে যাওয়ার মতো করে মাথা নুইয়ে নিজ কাজে সামিল হয়।

–“ভিজে গেছিস পুরো। বোরকা খুলে
ফেলবি? ঠান্ডা লাগবে তোহ।”

সুবহা ভরকায়। ঢুক গিলে। পরপর উত্তর করে,

–“সমস্যা নেই নাওফিক ভাই। ঠিক আছি আমি।

–“বৃষ্টি কখন থামে বলা যায়না। তুই এক কাজ কর, মাথার হিজাব টা খুলে ফেল। মাথা ভিজে থাকলে ঠান্ডা লাগে তাড়াতাড়ি।

সুবহা দ্বিধায় পরলো। কি করবে কি করবে ভেবে দুনোমোনো মনে দাঁড়িয়ে রইলো। নাওফিক আঁচ করতে পারলো মেয়েটার মনগতির সম্পর্কে। বলল,

–“আমি চলে যাবো? আমি নাহয় বাইকের ওখানে গিয়ে দাঁড়াই?

এর মাঝেই আকস্মিক আকাশ ফেটে বাজ পরলো। কেঁপে উঠলো সুবহা। বৃষ্টি ভালো লাগলেও বাজের শব্দে ভয় পায় ভীষণ। এমনিতেই ঝড়ের তোপে চারো পাশে কিচ্ছু টি দেখা যাচ্ছে না । তারপর আবার এই বৃষ্টির মধ্যে লোকটাকে কিভাবে একা একা চলে যেতে বলবে বৃষ্টিতে ভিজতে? বিবেকে বাঁধলো সুবহার। যদিও সমস্ত কিছুর জন্য দায়ী মাত্র এই লোকটাই তবুও নিজের কোমল হৃদয়ের কাছে হার মানল সে। শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে বলে উঠল,

–“দরকার নেই নাওফিক ভাই! আপনি এখানেই থাকেন প্লিজ!

নাওফিক এর মনে প্রশান্তির জোয়ার উঠলো। মন বাগানে ফুল ফুটলো মেয়েটার এই ছোট্ট কথায়।পুরোনো টিনের চাল ভেদ করে বৃষ্টির কয়েক ফোটা এসে পড়ছে তার উপর। একটু সরে গিয়ে দাঁড়ালো সুবহার পাশে। তবে এখনো দুজনের মধ্যে দূরত্ব।সুবহার শরীর ভিজে স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে। মাথায় পেঁচানো হিজাবের সেইফটি পিনগুলো এক এক করে খুলে হাতে রাখলো । তারপর ধীরে ধীরে হিজাবটা খুলে ফেলল মাথা থেকে। ভেজা চুলগুলো তার গালে লেপ্টে আছে।
ঠান্ডার সমস্যা আছে ওর। এজন্য মা বৃষ্টিতে ভিজতে দেয় না। জানলে তো রীতিমতো ঝড় তুলবে!তাই যতটা সম্ভব নিজেকে সামলে রাখার চেষ্টা করছে। চুলের খোঁপায় গাঁথা ছাইরঙা কাঁকড়াটা খুলে দিল সে। মুহূর্তেই ঢেউখেলানো চুলগুলো ছড়িয়ে পড়ল কাঁধ বেয়ে। ওদিকে এই দৃশ্য তে হৃদস্পন্দন থামলো আরেকজনের।চোখ তুলে চেয়ে রইল সে এক অপার্থিব সৌন্দর্যের দিকে। ১৬ বছরের এক কিশোরীর পানে। মনের মাঝে ঝড় তুললো এই দৃশ্য। এক ভয়ঙ্কর কাল বৈশাখী ঝড়। এই ঝড়ের কাছে সেই ঝড় নিতান্তই মূল্যহীন। বুঁকের ঢুকপুকানি বাড়লো বহুগুনে। বাইরে তুমুল বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ের মাঝে এক নিরিবিলি পরিবেশে দুই নর নারী দাঁড়িয়ে। নারীটি আবার তার বিশেষ কেউ। কালবৈশাখীর গর্জন যেন ম্লান হয়ে গেল এই ভিতরের বিস্ফোরণের কাছে।
চোখ দুটো দ্রুত সরিয়ে নিলো সেখান থেকে। এখানে থাকা আর তার পক্ষে সম্ভব নয়। অসম্ভব। মেয়েটা এতো বড় হয়ে গেলো কবে? সেতো রেখে গিয়েছিলো তার ছোট্ট বাচ্চা সুবহা টাকে। তাহলে এতো বড় হয়ে গেলো এই দু বছরে! ঘন ঘন শ্বাস ফেললো নাওফিক। আকস্মিক ঘটাঘট বড় বড় কদমে বেরিয়ে এলো সেখান থেকে। পকেটে দু হাত গুঁজে যেতে যেতে বলল,

–“আমি বাইকের সামনে আছি। বৃষ্টি কমলে চলে আসিস।

সুবহা থমকে যায় আকস্মিক এভাবে লোকটার বৃষ্টির মাঝে চলে যাওয়াতে। নাওফিক হেটে যায় সামনে। বৃষ্টির ফোটা এসে ভিজিয়ে দিয়েছে লোকটার অস্তিত্ব। ঠিক এই সময়ে দূর থেকে কেউ যেন এই বৃষ্টির মাঝে হাঁক ছাড়ে,

–দূরে দূরে মেঘ যাচ্ছে পুরে , কেন মিললো স্মৃতি দুটোনায়,
জানিনা আমি তা জানিনা, জানিনা আমি তা জানিনা।

চলবে….