রুশো
৩
____________________
ঘণ্টাকয়েক বাদে একযোগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সিরিজ বো–মা হামলার ঘটনায় দেশী-বিদেশী সব নিউজ পোর্টাল ভরে উঠল। হামলার পেছনে সঠিক কারণ আর হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণাও শুনলাম আমি ঘরের কোণে বসে। হতাহতের সংখ্যা সঠিক কতটা, জানার চেষ্টা করিনি তখনো। বরং বলা ভালো গোটা নিউজের এই অংশটুকু জোরজবরদস্তি করে এড়াব বলে নিজের সাথে ফাইট করছিলাম। যদিও কাজটা অসম্ভব ছিল আমার জন্য। আমাদেরই ড্রইংরুমে অনবরত ফুল ভলিউমে বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের খবর পাল্টে পাল্টে দেখছিল মা এতবড় হামলার পরে ঠিক কি কি আপডেট পাওয়া যায়।
শুধু মা বলে নয়, গোটা বাড়ির ভাড়াটেরা বারবার জড়ো হয়ে এসবই আলোচনা করছিল আমাদের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। মাও কতবার ডাকল আমাকে ভয়াবহ নিউজগুলো শোনার জন্য। আমি পারলাম না শুধু চিৎকার করে সবাইকে বলতে,
“প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও তোমরা, এসবের মাঝে আর টেনো না। আমি সহ্য করতে পারছি না। প্লিজ”
সবাই না জানলেও আমার মনের ব্যথা, বুক ভাসানো কান্না আর আর্তনাদের সাক্ষী হয়ে রইল ঘরের এককোণ আর শোবার বালিশটা। সবার মাঝে থেকেও সবার থেকে দূরে, বহুদূরে একবুক নিস্তব্ধতার ভেতরে বসা আমার মস্তিষ্কে বজ্রপাতের ঝলকানির মতো বারবার প্রতিফলিত হচ্ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত ভোরের দৃশ্যটা, কানে বাজছিল ধ্বংসের আর্তনাদ, আর তার ভেতরে.. তার ভেতরে একজনের করুণ আর্তি। যে ঐ ভোর বেলাটায় জোর করে তার এক কামরার ফ্ল্যাটে টেনে নিয়ে গিয়েছিল আমাকে। দু’হাতে পা জড়িয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া যাযাবরের মতো অনুভূতিহীন গলায় বলছিল এই জীবনে আমার শোনা সবচাইতে ঘৃণার একটা গল্প। যে গল্পের মূল চরিত্রে দাঁড়িয়ে ছিল সে আর অপরপ্রান্তে আমি।
রুশোর ব্যাকগ্রাউন্ড ভীষণ কালারফুল; সাকসেস আর এক্সিলেন্সে ভরপুর। বাই বর্ন ব্রিলিয়ান্ট ও। নেভী অফিসার বাবা আর ডাক্তার মায়ের একমাত্র ছেলে। কর্মব্যস্ত বাবা-মায়ের সঙ্গ সেভাবে কোনোদিন না পেলেও ওদের জিন সে ষোলোআনাই পেয়েছিল। তাই তো ছোটবেলা থেকেই সফলতার যে যে সিঁড়িতে পা রেখেছে সেটাকেই আলোকিত করে সামনে এগিয়ে গিয়েছে। এরকম পরিবারে বাচ্চারা হয় নিঃসঙ্গ চুপচাপ, অথচ রুশো, মন খারাপ আর নিঃসঙ্গতার আঘাত কখনো পড়তে দেয়নি নিজের ওপর৷ পড়াশুনো, খেলাধুলো থেকে শুরু করে যেভাবে যেভাবে নিজেকে সামলে নেয়া যায় তার সব করেছে। একটু বড় হতেই পড়েছে ক্যাডেটে, রুলস রেগুলেশন আর এক্সিলেন্ট সার্কেলের সাথে কাটিয়েছে ছয় বছর। বাবা চেয়েছিল কলেজ শেষ হলে রুশো আইএসএসবি দেবে, ডিফেন্সে চলে যাবে। কিন্তু রুশোর আর রুলস রেগুলেশনের জীবন ভালো লাগছিল না। তাই তো সেবার প্রথম বাবার ইচ্ছের পাশ কাটিয়ে জেনারেল লাইনে ফিরে এলো সে। পড়ল দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে। যতটুকু একজন মানুষের প্রয়োজন, তার প্রায় সমস্ত সাফল্য দু’হাতে টেনে নিয়ে ছাব্বিশ বছরে পা রাখল অল্প ক’দিন। ওর জীবনে পরিবর্তনের হাওয়া তখুনি।
সবে সবে একটা কোম্পানিতে ঢুকেছে, ভালো পোস্ট, হাইয়েন্ড স্যালারি। রুশোর ইচ্ছে ছিল জবটা কন্টিনিউ করতে করতে হায়ার স্টাডিজের জন্য বাইরে যাওয়ার প্রিপারেশন নেবে ধীরেসুস্থে। ওর বাবা-মা যদিও নাখোশ ছিল এমন প্ল্যানে; প্রায়ই বলত দেশেই থাকো, বাবা মায়ের সাথেই থাকো। কিন্তু রুশোর হাত থেকে ততদিনে স্নেহের বাঁধন ছুটে গেছে। তাই আরও একবার তাঁদের কথা ডিনাই করে ও নিজেই মতই এগচ্ছিল।
বিপত্তি বাঁধল মাস দুয়েক পর। হুট করে একদিন দুপুরবেলা রুশোর কাছে খবর এলো চট্টগ্রাম পোর্টের কাছে একজনের লাশ পাওয়া গিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সেই ব্যক্তি অন্যকেউ নয় রুশোর বাবা।
রিটায়ারমেন্টের পর তাঁরা ঢাকায় শিফট করলেও বন্ধুদের সাথে কিংবা কিছুটা পলিটিক্যাল ইনভলভমেন্টে উনি যেতেন এদিক সেদিক, রুশোর সেটা জানা ছিল। কিন্তু সেবার বাবা-মায়ের সাথে খানিক রাগারাগির পর আলাদা ফ্ল্যাটে শিফট করার পর ওনাদের কোনো খবরই ছিল না ওর কাছে। যখন এলো তখন..
ও শুরুতে বিশ্বাস করতে পারেনি। ভেবেছিল মার কাছে কেউ মিথ্যে বলেছে। ক্রসচেকিংয়ের জন্য সেদিন অর্ধেক অফিস করেই ছুটে গিয়েছিল ওদের গুলশানের ফ্ল্যাটে। রুশোর মনে হয়তোবা আশা ছিল, টিমটিমে আলোর মতো সামান্য। ভেবেছিল ওকে বাসায় ফিরিয়ে নিতে বাবা-মা ট্রিকস খাটিয়েছে। যদি তাই হয় তাহলে এবার বাপ – ছেলের যুদ্ধ কেউ আটকাতে পারবে না, প্ল্যান করছিল ও মনে মনে।
ভয়াবহ জ্যাম, ট্রাফিক রুলসের বাঁধা এড়িয়ে পাগলের মতো ছুটছিল ওর শোনা মিথ্যের ওপর থেকে পর্দা সরিয়ে দিতে। কিন্তু! সেবার ভাবনাটা আর সত্যি হলো না। গলিতে ঢোকার পরপরই অসংখ্য ভিআইপি কার, প্রেস-মিডিয়া আর ফর্মাল পোশাকের অচেনা মানুষগুলোকে দেখার পর অল্প সময়ে বানিয়ে ফেলা ওর ধারণার কাঁচের পৃথিবী ভেঙেচুরে চুরমার হয়ে গেল। গলি থেকে বাড়ির গেইট পর্যন্ত রুশো আর ড্রাইভ করতে পারছিল না৷ যেন হঠাৎ আসা ঝড়ে ভেঙে পড়ে ওর শরীরের সমস্ত শক্তি নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল।
কথাগুলো আমাকেও যখন বলছিল ও, বারবার থেমে যাচ্ছিল। গলা কাঁপছিল ওর, কাঁপছিল চোখের ভেতরে অনুভূতির টলটলে সাগর। ও হয়তো সেদিনই অনুভব করতে পেরেছিল, গোটা জীবন দু’জন দুই মেরুতে থাকলেও বাপ-ছেলের আত্মা এক বিন্দুতে জুড়ে ছিল; যেটা বেঁচে থাকা অবধি কেউ টের পায়নি। অথচ যখন পেল, তখন আর মূল্য রইল না। ভুল সময়ের ভুল উপলব্ধি।
রুশোর জীবনের ঐ অসহ্যকর দিনটার গল্প আমি আর শুনতে পারছিলাম না। ভালো লাগছিল না আমার। ওর বুদ্ধিদীপ্ত চেহারার আড়ালে ভেঙে পড়া ছেলেটার প্রতিচ্ছবি কল্পনা করতেও অস্থির লাগছিল। একবার ছটফটিয়ে উঠে চলে যাচ্ছিলামই আমি। রুশো আটকাল। দু’হাতে আমার হাত টেনে বসিয়ে হাঁটুর ওপর মাথা রাখল। একটু জিরিয়ে তারপর আবারও শোনালো, ওর অন্ধকার জীবনের বাকি গল্পটুকু।
অবেলায় ঘরে ফিরে প্রেস মিডিয়ার অসংখ্য বাক্যবাণ সহ্য করে অনেক কষ্টে বাবার লাশের কাছে যেতে পেরেছিল রুশো। কাফন সরিয়ে মুখ দেখিয়েছিল কে যেন ওকে, কিন্তু বাবাকে ও ঠিক চিনতে পারেনি। তিন দিন পানির নীচে থাকার পর লাশটা ইতোমধ্যে ডিকমপোজড হতে শুরু করেছিল। চিরকালের ওর মেইনটেইন করে চলা বাবার মুখ, চোখ, গোটা শরীর রক্তহীন ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে শেষ মুহুর্তে একটু ছুঁয়েও দেখতে পারেনি ছেলেটা, হাঁটতে শেখার সময়ের মতো আঙুল ধরে দেখতে পারেনি। পাশে থেকে কেউ বারণ করে দিয়েছিল ওকে। বলেছিল ধরলেই মাংস খুলে আসবে। তবু রুশো বাবাকে একবার অনুভব করতে হাত বাড়িয়েছিল। বারণ ভুলে সাদা কাপড়টা আরেকবার সরিয়েছিল, তখুনি ওর নজরে এসেছিল বাবার গলার ঠিক নীচে বিশ্রী একটা গর্ত। ও জানত না এমন ডিকমপোজড বডি অটোপসি করানো সম্ভব হয়েছিল কিনা! কিন্তু দাগটা অটোপসি থেকে আসার নয়। রুশো বুঝে গিয়েছিল তখুনি, ওর বাবার আকস্মিক মৃত্যু শুধু দুর্ঘটনাই নয়, বিশ্রী কারোর চক্রান্ত; অথবা অনেকের।
কেইসটা আলোড়ন ফেলেছিল গোটা দেশে। অনলাইনে মুভমেন্টও হয়েছিল একজন রিটায়ার্ড অফিসারের আকস্মিক মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে চাপ সৃষ্টি করতে। বেশিদিন টিকতে পারেনি। অটোক্রেসির থাবা শক্তপোক্ত ছিল কিনা! একটা মিথ্যে কেইসের নাটক সাজিয়ে আসামী ধরার প্রহসন হয়েছিল শুধু। রুশো অবাক হয়ে দেখছিল কোত্থেকে ওর বাবার পুরনো এক অফিস কলিগ আর চেনাশোনা মাস্তানদের এ্যারেস্ট করে মিডিয়ার সামনে হম্বিতম্বি করা হলো অনলাইনের প্রেশার সামলাতে না পেরে। অথচ এরা আদৌ গিল্টি কিনা সে বিষয়ে ট্রায়ালে কিছুই স্পষ্ট হলো না। বাইরের মানুষ অবশ্য এসব জানল না। ফলাও করে লেখা হলো, খু-নে-র দু মাসের মাথায় আসামী ধরা পড়েছে, শীঘ্রই কেইসের ফয়সালা হয়ে যাবে। সরাসরি সরকারদলীয় ইনভলভমেন্টে অবশেষে একজন নিষ্ঠাবান অফিসার বিদেহী আত্মা মুক্তি পাবে, আর পরিবার পাবে জাস্টিস। খুব সাজানো গোছানো কতগুলো কথা। গোটা দেশের মানুষ অনায়াসে বিশ্বাসের কালো পট্টি পরে নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে গেল। এদিকে মিথ্যের মোহে বন্দী হয়ে ছটফট করতে লাগল ভিক্টিমের আত্মা আর তার পরিবার কেউ দেখল না।
রুশো অবশ্য থেমে থাকেনি এরপর। হাইকোর্টে অ্যাপিল থেকে শুরু করে ছেলে হিসেবে যা যা প্রয়োজন তার সবই করেছে। এত চেনা মুখ, এত পাওয়ারফুল একজন মানুষ ছিলেন ওর বাবা! সেও আইনের সাদা চোখ দিয়ে ন্যায় পায়নি মানতেই পারছিল না ও। ছেলে এত সহজে সব কি মানা যায়!
________________________
রুশোরা ততদিনে বুঝে ফেলেছে ওর বাবার খু–নের পেছনে নিশ্চয়ই কোনো বড় কারণ লুকিয়ে আছে, যে কারণের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ক্ষমতাসীন অনেকেই, যাদের ও প্রায় সবসময়ই পারিবারিক অনেক ফাংশানে বাবার ক্লোজ ফ্রেন্ড হিসেবে জেনে এসেছে। যদিও স্পেসিফিক কারণ ও কিংবা ওর মা আন্দাজ করতে পারছিল না, তবে জানত আইনের চোখে বিষয়টা পুরোটাই একটা ওপেন সিক্রেট। কীভাবে, কখন, কে ঘটিয়েছিল ভেতরে সবাই জানত। প্রকাশ করেনি শুধু বাইরে।
এলেবেলেভাবে কেটেছিল এভাবে আরও কয়েক মাস। অন্যান্য বিভিন্ন ইস্যুতে চাপা পড়ে মামলাটা যখন পুরোপুরি সব মিডিয়া থেকে হারাতে শুরু করল, তখুনি ভীষণ জেদ চেপে গেল রুশোর। লিগ্যাল অর ইললিগ্যাল, যেকোনো উপায়ে বাবার খু-নিদের তখন ওর চাই ই চাই।
রুশো অবশ্য জানত না, একটা দল দূর থেকে তার ইম্পালসিভ হয়ে ওঠারই অপেক্ষা করছিল এতদিন। কখনো সামনে এসে দেখা দেয়নি, তবে নজর রেখেছিল ওর ওপর প্রত্যেক সেকেন্ড।
তারপর, দীর্ঘ কয়েক মাসের এসব কোর্ট-পুলিশ খেলা যখন থিতিয়ে এলো অবশেষে, রুশোও নিজের ভালো ছেলেটি খোলস ভেঙে প্রতিশোধের নেশায় পাগল হয়ে উঠল, তখনই সুযোগ বুঝে ওই পক্ষও আড়ালের কালো রেখা মাড়িয়ে সামনে এলো। রুশোকে নিজেদের দলে টেনে নেবার সমস্ত বন্দোবস্ত সাজিয়ে যোগাযোগ করল ওর সাথে।
মজার ব্যাপার হলো এরাও সরকার দলীয়ই ছিল। ওয়ান পার্টি ওয়ান রুলে সুবিধে করতে না পেরে অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি স্বার্থে দলের সাথে বিট্রে করছিল। ওদের দরকার ছিল শক্ত কিছু হাতিয়ারের। চাইলেই ওরা গুণ্ডা মাস্তান লেলিয়ে নিজেদের কাজ হাসিল করতে পারত। কিন্তু এসবে ওদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও নেহাৎ কম ছিল না। তাছাড়া নিজেদের ইমেজ গোটা পৃথিবীর সামনে ক্লিন রাখাও তখন গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিশোধের একটা ছক কষে রুশো কিংবা তার মতই ছেলে-মেয়েদের ওরা নিজেদের জালে আটকেছিল প্ল্যান করে বহুদিন। ইমোশনালি ভালনেরাবল ছিল সবাই, বুঝতে পারেনি প্রতিশোধের নোংরা খেলায় এদেরকে একটা গুটি ছাড়া কিচ্ছু বানানো হচ্ছে না।
রুশোর সাথে ওদের যোগাযোগ হয়েছিল ফোনে। মাত্র চট্টগ্রাম থেকে কিছু ইনফরমেশন কালেক্ট করার পর ঢাকায় ফিরছিল ও। মধ্যরাতে পথেই গাড়িতে টুং করে হোয়াটসঅ্যাপে একটা ভিডিও ঢুকল, বাইরের দেশের একটা নম্বর থেকে। ভ্রুক্ষেপহীন রুশো বেশ অনাগ্রহেই ওপেন করেছিল ভিডিওটা। কিন্তু ওপেন করার ২ সেকেন্ডের মাথায় যখন দেখতে পেল ভিডিওটা আর অন্য কিছুর নয় বরং ওর বাবা-র মৃত্যুর দিনের দৃশ্য, তখন আর নিজেকে স্থির রাখতে পারল না।
পাগলের মতো কল মেসেজেস করতে লাগল ওই নম্বরটায়। কিন্তু ওরা সেদিন রেসপন্স করেনি, এমনকি ভিডিওটাও রিমোভ করে ভূতের মতো ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিল।
ওরা কে, কি চাইছিল? কেন এতদিন পর তার সাথে যোগাযোগ করল! বুঝতে পারছিল না রুশো। তবু হন্যে হয়ে নম্বরটা ট্রেস করার চেষ্টা করছিল। সেদিন অবশ্য ওকে ব্যর্থ হতে হয়। নম্বরটার লোকেশন দেশের ছিল না, এমনকি কোনো লোকেশনই শো করছিল না। পথের এক ধারে গাড়ি সাইড করে বাকিটা রাত ও তবু পাগলের মতো খোঁজার চেষ্টা করেছিল, ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল কয়েক সেকেন্ডের ভিডিওটাকে। আনতে পারেনি।
শেষে হতাশ হয়ে ভোরবেলার দিকে যখন আবারও গাড়ি স্টার্ট করল ঢাকার উদ্দেশ্যে, তখন আবারও মেইল পাঠানো হলো ওকে। ফ্রেমড একটা আইডি থেকে। যেটায় লেখা ছিল এক লাইনের একটা বাক্য:
“উই উইল মিট স্যুন”
চলবে,
Sara