এমনই এক দিনে পর্ব-১২

0
259

“এমনই এক দিনে” (পর্ব-১২)
ইনশিয়াহ্ ইসলাম।

২৩.
ক্যাফেটেরিয়াতে এখন তেমন একটা লোকজন নেই। একটা নিরিবিলি পরিবেশ বিরাজ করছে, এখন এখানে বসে দু’টো কথা বলতে একদমই বিরক্ত লাগবে না। নীরদ শর্বরীকে নিয়ে মাঝের একটা টেবিলে গিয়ে বসল। একটা পনেরো ষোল বছরের ছেলে দৌড়ে এলো অর্ডার নেওয়ার জন্য। নীরদ শর্বরীর দিকে তাকালো। শর্বরী মাথা নেড়ে বলল,

“আমি কিছু খাব না।”

নীরদ আর তার দিকে তাকালো না। দুইটা চিকেন স্যান্ডউইচ, একটা ফ্রেশ জুস আর একটা কফি অর্ডার দিল। ছেলেটা অর্ডার নিয়ে চলে গেল। নীরদ তাকালো আবার শর্বরীর দিকে। থমথমে মুখ করে বসে আছে মেয়েটা। কেঁদেকেটে একদম চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে। মেয়েটার উচিত ছিল বাসায় ফিরে একটু রেস্ট নেওয়ার। এখন বিকেল হয়ে এসেছে প্রায়, অথচ এসেছিল একদম সকালের দিকে। এই এতটা সময়ে মেয়েটা একটু পানিও খায়নি বোধহয়। সে পানির বোতল খুলে শর্বরীর দিকে এগিয়ে দিল।

শর্বরী বোতলের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে হাতে নিয়ে ঢকঢক করে অর্ধেকটা পানি শেষ করে ফেলল। না, এখন একটু ভালো লাগছে। অনেকক্ষণ পর যেন মনে হলো দেহে প্রাণ ফিরেছে। ততক্ষণে ওই ছেলেটা খাবার নিয়ে এসেছে। টেবিলে রাখতেই নীরদ কফিটা রেখে ট্রে টা তার দিকে এগিয়ে দিল। শর্বরী মাথা নেড়ে বলল,

“আমি কিছু খাব না।”

“আমি একদমই জোরাজুরি করতে চাইছি না। খেয়ে নাও।”

নীরদের গলায় একটা শীতল কঠোর ভাব ছিল। উপেক্ষা করার মতো নয়। শর্বরী স্যান্ডউইচ মুখে দিল, মজাই। আরেক কামড় দিয়ে জুসটা হাতে নিল। তখনই খেয়াল করল নীরদ এক দৃষ্টিতে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। একটু অস্বস্তি লাগল, জুসে এক চুমুক দিয়ে নীরাকে বলল,

“আপনার কিছু বলার ছিল বোধহয়।”

“হুঁ।”

“বলুন তাহলে।”

“খাওয়া শেষ করো তারপর বলছি।”

“আমার খেতে খেতেই কথা বলতে ভালো লাগে।‌”

নীরদের ঠোঁটের কোণে হাসি দেখা গেল। অদ্ভুত, এখানে হাসার কি হলো? শর্বরী বিরক্ত চোখে তাকিয়ে রইল। নীরদ বলল,

“তেমন কিছুই বলার নেই। তোমাকে আপসেট লাগছিল খুব। তাছাড়া খাওয়া দাওয়া কিছুই করোনি। আর একটা দুর্ঘটনা ছিল ওটা, সব কিছুই এখন ঠিক আছে। মেয়েটাকেও আমরা সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়ছি না। তোমার আর ভয় বা চিন্তার কিছুই নেই। আশা করছি, এখান থেকে এরপর সোজা বাড়ি যাবে। ব্যাস।”

“এটাই বলার ছিল?”

“হ্যাঁ। আর কী বলব?”

“আর কিছু বলবেন না?”

নীরদ মনে করার চেষ্টা করতে লাগল। একটু পরেই কিছু একটা মনে পড়েছে, এমন ভাব করে বলল,

“র ্যাশ কী এখনও আছে?”

শর্বরী জুসে চুমুক দিচ্ছিল এমন কথা শুনে হাত থেকে কিছুটা ফসকে গিয়ে পড়ল গায়ে। নীরদ তাড়াতাড়ি টিস্যু এগিয়ে দিল। শর্বরীর রাগ হলো, জামা মুছতে মুছতে ভাবল, লোকটা আর বলার মতো কিছু পেল না? অভদ্র একটা! ক্ষোভ প্রকাশ করে বলল,

“এটাই বলতে হতো?”

নীরদ কফি হাতে নিল। যাক, অবশেষে কান্নাকাটি বাদ দিয়ে পুরোনো রূপের দেখা পাওয়া গেল। রাগ, জেদ এসবেই তো তাকে মানায়। নীরদ শ্রাগ করে বলল,

“এটাতে খারাপ কী? আমি একজন ডক্টর হিসেবে পেশেন্ট এর ফিডব্যাক নিতেই পারি।”

শর্বরী কটমট চোখে তাকিয়ে আবারো স্যান্ডউইচ খাওয়ায় মনোনিবেশ করল। খেতে খেতেই হঠাৎ বলে উঠল,

“সত্যি বলতে মেডিসিন কাজে দিয়েছে। অল্প দিনেই র ্যাশ পালিয়েছে।”

নীরদ ঠোঁট টিপে হেসে বাইরে তাকালো। কেন যেন তার আজ, এখন, এই মুহূর্তে এত হাসি পাচ্ছে! মেয়েটাকে পাশে বসিয়ে রাখতে অন্যরকম একটা প্রশান্তি পাচ্ছে। যদিও মুখে বলেছে বাড়ি চলে যেতে কিন্তু তারই ইচ্ছে করছে না শর্বরীকে যেতে দিতে।
_________________________________

আরেফিন দরকারি কাজে একটু বেরিয়েছিল। সেখানে গিয়েও কাজে মন বসাতে পারেনি। শর্বরী মেয়েটার কথা মাথায় আসছিল বারবার। তাই আবারো চলে এসেছে‌। এসে কিছুক্ষণ বাইরেই পায়চারি করল। আজ তার কি হয়েছিল সে জানে না। এমন টুকটাক মানবিক কাজ সে আগেও করেছে। কিন্তু এবার যেন অন্যরকমই লেগেছে সবটা। এক অজানা আ’শ’ঙ্কা’য় ডুবে যাচ্ছিল বারবার। বাচ্চা মেয়েটার জন্য তো চিন্তা হচ্ছিল, এছাড়া শর্বরীর জন্যও কেমন দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। মেয়েটা যদি কেইস টেইস এর চক্করে পড়ে যেত? এক্সিডেন্টটা যখন হলো, তখন সে তার গাড়িতে বসে এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিল। চোখ তার সামনের রাস্তাতেই ছিল। স্পষ্ট দেখেছিল গাড়ি তার গতিতে ঠিক ভাবেই এগিয়ে আসছিল, ফাঁকা রাস্তায় ওই টুকু স্পীড ঠিকই ছিল। মেয়েটা তখনও এদিক ওদিক হাঁটছিল, একদম হঠাৎ করেই দৌড়ে ওপাশটায় গেল যে, তখন আসলেই যে কারো পক্ষেই ওভাবে সবটা কন্ট্রোল করা সম্ভব ছিল না। তারপরও শর্বরী যথেষ্ট চেষ্টা করে দ্রুত ব্রেক কষে। এতে মেয়েটা কিছুটা আঘাত পেলেও তার তেমন মা’রা’ত্মক কিছু হয়নি। আর ভাগ্যিস গায়ের উপর গাড়ি উঠে যায়নি, তাহলে তো মেয়েটাকে বাঁচানোই যেত না।

ভেতরে এসে এদিক ওদিক খুঁজেও শর্বরীর দেখা পাওয়া গেল না। সে একটু মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে পড়ল। তবে কী চলে গেছে মেয়েটা? হঠাৎ ভীষণ মাথাব্যথা করতে লাগল। মনে হলো, এক কাপ চা খাওয়া দরকার। তাই সে উঠে ক্যাফেটেরিয়ার দিকে এগিয়ে গেল।

ক্যাফেটেরিয়ায় এসে সে শর্বরীকে দেখতে পেল। খুশি হয়ে সেদিকে এগিয়ে যেতেই দেখল শর্বরী একা নয়, ওই ডাক্তারটাও আছে। আরেফিনের একটু রাগ হলো। লোকটা সবসময় শর্বরীর আশেপাশে কী করে?

আরেফিনকে দেখে নীরদ বিরক্ত হলো। লোকটা এখনও যায়নি কেন সে বুঝতে পারল না। এ আসলে চায় কী?

“আপনাকে খুঁজছিলাম।”

শর্বরী চমকে উঠে পেছনে তাকালো‌। আরেফিন দাঁড়িয়ে আছে। ওঁর মুখে হাসি ফুটে উঠল। লোকটা কোথায় যে গিয়েছিল! বলেও যায়নি। ভেবেছিল চলেই গেছে একেবারে। হাতের ইশারায় পাশের খালি চেয়ারটা দেখিয়ে সে আরেফিনকে বসতে বলল। আরেফিন বসতেই বলল,।

“আমি ভেবেছিলাম চলেই গেছেন একেবারে।”

“আপনাকে বিদায় না জানিয়ে যাব না অবশ্যই।”

শর্বরী মৃদু হাসল। নীরদ শ্যেন দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে ক্রো’ধ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করল। এত হাসার কী আছে সে বুঝতে পারল না। কই? তার সাথে কথা বলার সময় তো কখনো হাসতে দেখা যায় না।

আরেফিন চা অর্ডার দিয়েই এসেছিল। সেই ছেলেটা এনে দিলে বেশ আরামের সাথে চায়ের কাপে চুমুক দেয়। হঠাৎ করেই তার আবার সব কিছু ভালো লাগছে। তবে সামনে বসে থাকা ভদ্রলোকের যে এই ভালো লাগাটা পছন্দ হচ্ছে না সেটাও বেশ ভালোই বুঝতে পারল। তা নিয়ে অবশ্য খুব একটা মাথা ঘামানোর কিছু নেই। ভালো না লাগলে না লাগুক, আপন ভালো লাগাটাই মুখ্য।

নীরদের ফোন বাজছে। পকেট থেকে ফোনটা বের করে দেখল মা কল করেছেন। রিসিভ করে বিরস মুখে বলল,

“হ্যালো!”

“এই বদমাইশ ছেলে তুই কই?”

মা হঠাৎ এভাবে কথা বলছে কেন তার বোধগম্য হলো না। বসা থেকে উঠে একটু দূরে গিয়ে বলল,

“কী হয়েছে আবার?”

“কী হয়েছে? তুই জিজ্ঞেস করছিস কী হয়েছে! বেয়াদব ছেলে। তোর জন্য, তোর জন্য আমি আজ এত ভালো একটা পাত্রী হাতছাড়া করে ফেললাম।

“মানে? বলতে হলে, ঠিক করে বলো।”

“শর্বরীর বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। কার সাথে জানিস?”

নীরদের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো। পেছনে ফিরে শর্বরী আর আরেফিনের দিকে তাকালো। দুজনে বেশ গল্প করছে। রাগ হলো তার। সেদিকে তাকিয়ে থেকেই জিজ্ঞেস করল,

“কার সাথে?”

“যার সাথে বিয়ে হচ্ছে সে তোর হাসপাতালেই আছে। নাম আর বলব না। সরাসরি দেখাব। তুই আয় চেম্বারে। কথা আছে আমার।”

“তুমি কোথায়?”

“তোর চেম্বারেই আছি।”

নীরদ যা বোঝার বুঝে গেল। তবে এই ব্যাপার! এই লোকটার সাথে শর্বরীর বিয়ে ঠিক হয়েছে! তাই তো এত মিল মহব্বত দুজনের মধ্যে‌, ভালোই তো। নীরদ চুপচাপ কাউন্টারের দিকে এগিয়ে গেল, ওদের অর্ডারের সাথে সাথে আরেফিনের চায়ের দামটাও মিটিয়ে দিয়ে ওখান থেকে চলে এলো। সেখান থেকে বেরিয়ে মায়ের কাছেও গেল না, তার ইচ্ছে করছে না মেয়েটাকে নিয়ে আর কিছু শুনতে, জানতে। বিয়ে করুক বা যা-ই করুক নীরদের কী?

২৪.
রামিশা চৌধুরী তাঁর বাবার বাড়িতে এসে দেখলেন কেউ নেই। সব একদম ফাঁকা। দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করতেই সে জানালো সবাই হাসপাতালে গেছে। কী জন্য গেছে বা কার কী হয়েছে সেটা বলে যায়নি। শুনে তিনি সাথে সাথেই শর্বরীর মাকে কল করলেন।

শর্বরীর মা তখন গল্প করছিলেন সবার সাথে। হঠাৎ রামিশা চৌধুরীর কল আসায় ঘাবড়ে গেলেন। ইতস্তত করে কলটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে চেঁচিয়ে উঠলেন,

“এই তোমরা কোথায় বড় ভাবি?”

“আমরা হাসপাতালে।”

“কোন হাসপাতালে? কার কী হয়েছে! তোমাদের দেখে তো আমি রীতিমত অবাক হয়ে যাচ্ছি। যার যা-ই হোক না কেন, আমাকে একবার কল করে জানানোর সময় টুকু হয়নি বুঝি তোমাদের?”

“আপা আসলে,

“থামো। কৈফিয়ত পরে নিব। আগে বলো, কোন হাসপাতালে আছো?”

“স্পার্ক, বারিধারার।”

“স্পার্কে! কী জন্য গিয়েছ? মেয়ে জামাই দেখতে? চৌদ্দ গোষ্ঠী সঙ্গে নিয়ে?”

“আপনি যেটা ভাবছেন সেটা না আপা। আপনি আসেন, আসলে বলছি।”

মাজেদের মা সেই কখন থেকে এদিক ওদিক ঘুরছেন। এমন ভাবে সবকিছু দেখছেন যে মনে হচ্ছে এটা হাসপাতাল নয় মিউজিয়াম। হাঁটতে হাঁটতে তিনি ওটির সামনে এসে দাঁড়ালেন। তখনই ভেতর থেকে একজন নার্স একটা বাচ্চা কোলে করে নিয়ে এলো। সবাইকে বলল,

“মেয়ে হয়েছে।”

বাচ্চাকে পেয়ে তার স্বজনরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ে। মাজেদের মা এক ফাঁকে বাচ্চাটা যার কোলে ছিল তার কাছে এসে দাঁড়িয়ে বলে,

“দেইখা তো মনে অয় কালা হইব। তয় হের ঘরে কালা কে? মা না‌ বাপে?”

উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে গেল। একজন চেঁচিয়ে উঠে বলল,

“এই মুখ সামলে কথা বলুন। ভদ্রতা, সভ্যতা এসব কিছু তো জানেন মনে হচ্ছে। এসব মানুষ এমন জায়গায় এলো কী করে!”

মাজেদার মা ভেংচি কেটে বললেন,
“উইড়া উইড়া আইছি।”

রিমা দূর থেকে দাঁড়িয়ে সবটা দেখল। ওঁর ইচ্ছে করছে এখনই এই মহিলার চাকরি নট করে দিতে। এমন অভদ্রের মতো আচরণ করে নিজে তো ছোট হচ্ছেই সে সাথে ওদের বাড়ির সবাইকেও সামাজিক ভাবে ছোট করছে। না, না, আজই বাড়ি ফিরে বলতে হবে, এটাকে এবার বিদায় করার জন্য।

নীরদ রাউন্ডে বেরিয়েছে। আজ তার আর কিছুতেই মন বসছে না। শর্বরীর কথা মনে পড়ছে বারবার। মেয়েটা সত্যিই বিয়ে করে নিচ্ছে? ধুর, করলেই বা কী! নীরদও তো বিয়ে করছে সামনের মাসে। বিয়ের বয়স হলে যে কেউই বিয়ে করতে পারে। ওটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তার দরকার কী অযথা মাথা ঘামানোর!

ডিউটি শেষে লিফটের কাছে যেতেই তার শর্বরীর সাথে দেখা হলো। তাকে দেখে শর্বরী বলল,

“না বলে চলে এলেন কেন?”

নীরদ অবাক চোখে তাকিয়ে রইল। মেয়েটা কী রাগ করল না কি? অমন করে কথা বলছে কেন?

“কাজ ছিল।”

“কাজ থাকতেই পারে। সেটা বলে আসতে পারতেন।”

“প্রয়োজন মনে করিনি।”

শর্বরীর ইচ্ছে করল নীরদের চুল টেনে ধরতে। অভদ্র একটা! প্রয়োজন মনে করেনি! তবে ডেকে নিয়ে গেছিলি কেন? আলগা পিরিত দেখাতে কে বলেছে?

“বিল পরিশোধ করার প্রয়োজনও মনে করা উচিত ছিল না। আমার বিল আমিই দিতে পারতাম।”

নীরদ কিছু বলল না। এড়িয়ে যেতে চাইল। শর্বরী সেটা বুঝতে পেরে ভীষণ আ’হ’ত হলো। অজানা কারণে তার চোখ ভিজে আসল। উল্টো দিকে ফিরে চলে যাওয়ার আগে বলল,

“আপনি আপনার ইগো নিয়েই বাঁচুন। অহংকারী লোক একটা!”

নীরদ তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারল ভুল হয়েছে আবারো। নিজের কাজের জন্য সে লজ্জিত হলো, এক মুহুর্তও দাঁড়িয়ে না থেকে শর্বরীর পেছন পেছন যেতে লাগল। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার ডাকতে পারল না। ওই যে! নামটা আবারো ভুলে গেছে। আহা, মেয়েটার নাম যেন কী? বার কয়েক মনে করার চেষ্টা করতে লাগল, মনে পড়লো না কোনো ভাবেই। অবশেষে না পারতেই ডেকে ফেলল,

“এই সুরসুরি, এই!”

#চলবে।