টক ঝাল মিষ্টি পর্ব-০৯

0
10

#টক_ঝাল_মিষ্টি (৯)
#নুসরাত_জাহান_মিষ্টি

সুফিয়ান রুমঝুমের হাত ধরতে রুমঝুম বললো,”হাত ধরার অধিকার আপনার আছে?”
রুমঝুমের এই কথার জবাবে সুফিয়ান বলে,“স্বামী ছাড়া এই অধিকার অন্যকারো আছে বুঝি?”

রুমঝুম ভাবতে পারেনি সুফিয়ান এমন কথা বলবে। সে প্রথমে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। পরক্ষণে নিজেকে সামলে বলে,“যে প্রেমিকার হাত ধরার আশায় আছে সে স্বামী হওয়ার যোগ্য নয়।”

এই কথা বলে রুমঝুম হাত ছাড়াতে নেয় কিন্তু পারে না। সুফিয়ান আরও শক্ত করে হাতটি ধরে। তারপর বলে,“একটু আগে আপনিই তো বললেন, বিয়ের আসরে বসার পর আমি প্রেমিক হওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। অর্থাৎ স্নেহার প্রেমিক হওয়ার অধিকার। তো আপনার কথা অনুযায়ী ঐ বিয়ের আসরে আমি আপনার প্রেমিক হওয়ার অধিকার অর্জন করেছি। আমি আপনার স্বামী। শুধু হাত ধরা নয়, আমার সব অধিকার রয়েছে।”
রুমঝুম কিছুটা অবাক হয়ে সুফিয়ানের দিকে তাকায়। সুফিয়ান শান্ত গলায় বলে,“আপনার কথা অনুযায়ী বিয়ের পর অন্য নারীর সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক রাখা অন্যায়। সেই সাথে নিজের স্ত্রীকে দূরে রাখাও তো অন্যায়, তাই না?”

এই কথা বলে সুফিয়ান রুমঝুমের একটু কাছে এগিয়ে যায়। রুমঝুম এবার অপ্রস্তুত হয় না। সে শান্তভাবে এক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকে। সুফিয়ান আরও কাছে আসে। একদম রুমঝুমের শরীরের সাথে তার শরীরের স্পর্শ হবে হবে এমন। সুফিয়ান রুমঝুমের কোন ভাবভঙ্গি না দেখে অবাক হয়। তবে সে হাল না ছেড়ে আরও একটু চেষ্টা করে। সে রুমঝুমের গালে নিজের হাত রাখে। রুমঝুমের কোনই ভাবান্তর দেখা গেল না। রুমঝুম শান্ত চোখে সুফিয়ানের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে৷ সেই সময়ে হঠাৎ প্রথমবার সুফিয়ান নিজেকে রুমঝুমের স্বামী দাবি করায় সে অপ্রস্তুত হয়েছিলো। এই কথা সে আশা করেনি। তবে এখন রুমঝুম তেমন অপ্রস্তুত হচ্ছে না। কারণ সে সুফিয়ানের ভাবভঙ্গি বুঝতে পেরেছে। সুফিয়ান রুমঝুমের কোন ভাবান্তর না দেখে বিরক্ত হয়ে বলে,“আপনি বিরক্ত হচ্ছেন না?”

“না। বিয়ের আসরে বসার সঙ্গে সঙ্গে আমি নিজেকে সবকিছুর জন্য প্রস্তুত করে নিয়েছি। আমি আপনার মতো কাজ করে ভাবি না, আগে ভাবি তারপর কাজ করি।”
রুমঝুম শান্ত গলায় কথাটি বলে। সুফিয়ান তার গাল থেকে হাত সরিয়ে নেয়। রুমঝুম এটা দেখে বলে,“আপনি চাইলে আরও কিছু করতে পারেন। তবে হ্যাঁ স্ত্রীর অধিকার একবার দিয়ে দিলে সারাজীবনে কখনো ছাড়তে পারবেন না, এই কথাটি মাথায় রেখে কাছে আসবেন।”

“আপনি এটা কিভাবে বলতে পারছেন? আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন না। আমার ছোঁয়ায় আপনার খারাপ লাগছে না? একজন মানুষ যাকে আপনি ভালোভাবে চেনেন না, ভালোবাসেন না। সে আপনার কাছে আসলে আপনার খারাপ লাগবে না?”

”এসব ফালতু আলাপ করার জন্য আমি আমার ঘুম নষ্ট করতে পারবো না স্যরি।”
এই কথা বলে রুমঝুম আবার বিছানার দিকে যেতে নিলে সুফিয়ান আবার তাকে থামায়। তারপর বলে,“আমি আপনাকে বোঝাতে চেয়েছিলাম, যাকে ভালোবাসা যায় না তার সংস্পর্শ কত বিরক্তিকর। কিন্তু আপনি তো আপনি। তাই সরাসরি মুখে বলছি, দেখুন আমাদের মাঝে কোন ভালোবাসা নেই। আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি, তাই আপনার জন্য আমার হৃদয়ে ভালোবাসার জন্ম হবে না। কিন্তু আপনার হতে পারে। আসলে একত্রে রাখলে অনেককিছুই সম্ভব। আমি চাচ্ছি এমন কিছু হওয়ার আগে আমরা বসে একটা সুন্দর পরিকল্পনা করে আমরা আলাদা হয়ে যাই।”

“আপনার মাকে গিয়ে বলুন। আপনি আমার সাথে থাকতে চান না। আপনি স্নেহাকে বিয়ে করবেন। আপনি আপনার মাকে মানাতে পারলে আপনার কোন পরিকল্পনা করতে হবে না, আমি আপনাকে এমনি ছেড়ে দিবো।
যদিও এখানে দুইজনের মতামত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু আপনি তো কচি খোকা। মায়ের আচলের তলায় থাকেন, তার কথার বাহিরে যান না। সেজন্য আমাকে ছাড়ার পর যদি আবার আপনার মায়ের অসুস্থতা বেড়ে যায় তখন তো অন্য একজনকে বিয়ে করতে হবে। সেই ঘুরেফিরে একই অন্যায়। সেটা আমি চাই না। তাই আপনি আপনার মাকে মানিয়ে নিন। বাকিটা আমি দেখে নিবো।”
এই কথা বলে রুমঝুম সুফিয়ানের দিকে অদ্ভুত একটি লুক দেয়। সুফিয়ান এটা দেখে হতাশ হয়ে বলে,“মাকে মানানোর জন্যই তো আপনার সাথে বসে পরিকল্পনা করতে চাচ্ছিলাম। আমরা দুজন….।”
সুফিয়ানকে মাঝ পথে থামিয়ে দিয়ে রুমঝুম বলে,“একদম নয়। এটা আপনার সমস্যা। আপনি সমাধান করুন। আমার পক্ষে সম্ভব নয় আপনার কোন পরিকল্পনায় সঙ্গ দেওয়ার। তবে হ্যাঁ আপনি আপনার মাকে যেভাবে খুশি মানান। আমার সমস্যা নেই। কিন্তু যতদিন মানাতে না পারছেন, আমি আপনার স্ত্রী হিসাবে থাকবো ততদিন আপনার প্রেমিকার নাম দাম ভুলে আমার সাথে থাকতে হবে আপনাকে। ঘরে বউ বাহিরে প্রেমিকা এটা চলবে না।”

শেষ কথাটি যথেষ্ট কঠিন গলায় বলে রুমঝুম। এটা শুনে সুফিয়ান বলে,“আচ্ছা আপনার জীবনে কখনো ভালোবাসা আসেনি? ভালোবাসা হারানোর ব্যথা আপনি উপলব্ধি করতে পারেন না তাই না?”

সুফিয়ান এই কথা বলে অসহয় চোখে রুমঝুমের দিকে তাকায়। রুমঝুম এই কথায় কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে যায়। নিজেকে সামলে বলে,“কিছু ব্যথা মনের ভেতর সযত্নে লুকিয়ে রাখতে হয়। মানুষ হারিয়ে গেলেই তার জন্য নিজেকে একটু একটু করে শেষ করে দেওয়া কখনোই সঠিক হতে পারে না।”

এই কথা বলে রুমঝুম সুফিয়ানকে আর কথা বলার সুযোগ না দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে। সুফিয়ান হতাশ হয়ে বসে পড়ে। সে একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে স্নেহার সাথে তোলা তার পুরনো ছবিগুলো দেখতে শুরু করে। একদিকে স্নেহা তার ভালোবাসা, যার রাগ ভাঙানো জরুরি অন্যদিকে রুমঝুম। যার কাছে এসব অন্যায়। এসব করলে সে কখনো তাকে ছাড়বে না। অর্থাৎ তার এবং স্নেহার এক হওয়া হবে না। এই দোটনার মাঝে পড়ে সুফিয়ান ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। রুমঝুম সুফিয়ানের এই অস্থিরতা দেখে মনেমনে বলে,“এই মিথ্যার মাঝে থাকা অসম্ভব। আমি পারবো না। এমন একটি অবস্থানে এসে পড়েছি যে আমার জীবনটা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে দিয়ে গড়ে উঠেছে। যে যেভাবে পারছে মিথ্যা বলছে, ধোকা দিচ্ছে। আমার নিজের বাবা এতবড় সত্য গোপন করে একটা পাগলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলো। কেন? তারা খুব ভালো বন্ধু? একে-অপরের বিপদে পাশে থাকতে চায়।”
রুমঝুম এখন নিজের উপর নিজে বিরক্ত হচ্ছে। তার উপর এই সুফিয়ান। একটা মিথ্যার জগত তৈরি করে বসে আছে। একে দেখলে কেউ বলবে এ অসুস্থ। দিব্যি সব বুঝছে, সব করছে। মাঝখানে একজনকে স্মৃতিতে আটকে রেখেছে। আর তার এই মিথ্যার মাঝে রুমঝুমও ফেঁসে গিয়েছে।

____
সকাল বেলা রুমঝুমকে তার শাশুড়ী ডেকে নিয়ে বলে,“সুফিকে বেশ ভালোই তো দেখলাম। তারমানে তুমি তাকে এখনো কিছু বলো না। আমি অনুরোধ করছি বৌমা, দয়া করে ওকে এটা বলোও না।”

রুমঝুম প্রথমবার জবাব না দিয়ে তার দিকে তাকায়। তার শাশুড়ী অনুনয়ের গলায় আবারও বলে,“ও এই সত্যি সহ্য করতে পারবে না বৌমা। দয়া করে তুমি ওকে সত্যি বলো না। আমি নিয়াজ চেষ্টা করছি, নিয়াজ তো ওর মাথায় এটা ঢুকিয়ে দিয়েছে স্নেহা ওর বিয়েতে কষ্ট পেয়ে ওর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। এরপর ও স্নেহার অন্যত্র বিয়ে করে নিয়েছে এই ভাবনাটা সুফিয়ানের মাথায় দেওয়ার চেষ্টা করবে। একবার সুফিয়ান এটা বিশ্বাস করতে শুরু করলে সব ঠিক হয়ে যাবে।”

“কিভাবে ঠিক হবে? আপনার ছেলে একটা মিথ্যের জগতে সারাজীবন থাকবে। আর আপনি চাচ্ছেন সেই মিথ্যার জগতে আমি আপনার ছেলের সাথে সংসার সাজাই?”
রুমঝুমের কঠিন গলায় কথাটি শুনে তার শাশুড়ী কিছুটা হচচকিয়ে যায়। সে কিছু বলবে তার আগে রুমঝুম আবার বলে,“ব্যাস। স্যরি আমি আপনাদের এই কথা মানতে পারবো না।”

“বৌমা এতটুকু দয়া এই মাকে করো…।”
শাশুড়ী মা কষ্ট নিয়ে কথাটি বলে৷ সে আসলে রুনঝুমকে ইমোশনালর ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করছে। তাই কথা সাজিয়ে বলতে নিবে তখনই তাকে থামিয়ে দেয় রুমঝুম। সে বলে,“আপনাদের যথেষ্ট দয়া করেছি। আপনি, আমার বাবা আমাকে ঠকিয়েছেন তাও আমি আপনাদের কিছু বলিনি। এটা আপনাদের আমার দয়া বলে মনে হয় না? আপাতত এই দয়া নিয়েই সুখী থাকুন। দেখুন মা, আমি আপনার সাথে কোনভাবেই কোন বাজে আচরণ করতে চাই না। তাই দয়া করে আমাকে এভাবে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করার ব্যর্থ চেষ্টা করবেন না। আমি সারাজীবন একটা মিথ্যের দুনিয়ায় বসবাস করতে পারবো না। স্যরি, স্যরি এবং স্যরি।”
রুমঝুমের শাশুড়ী এই কথা শুনে পুরোপুরি নিশ্চুপ হয়ে যায়। রুমঝুম ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। সে নিজেদের ঘরে এসে দেখে সুফিয়ান তৈরি হচ্ছে বাহিরে যাওয়ার জন্য। রুমঝুম জিজ্ঞেস করে,“কোথায় যাবেন?”

“নিয়াজের সাথে যাচ্ছি। এত চিন্তা করতে হবে না আপনাকে ঠকিয়ে স্নেহার কাছে যাচ্ছি না। আমার আপনার থেকে মুক্তি চাই। তাই ভুল করার ইচ্ছে নেই।”
সুফিয়ানের এই কথা শুনে রুমঝুম বলে,“আচ্ছা। আর যদি মুক্তি না দেই?”
এই কথা শুনে সুফিয়ান রুমঝুমের দিকে রাগী চোখে তাকায়। তারপর বলে,“আপনি মনেমনে এই পরিকল্পনা করেছেন? আর আমি কি-না আপনার কথা বিশ্বাস করে মাকে অন্যভাবে মানানোর কথা ভাবছিলাম। আপনি এমনটা করতে পারেন না। আপনি….।”

“হয়েছে হয়েছে। এবার থামুন। এত বেশি ভাবতে হবে না। আপনার মস্তিষ্ক যে এসবেই ভাববে সেটা আমার আগেই বোঝা উচিত ছিলো। অল্পতেই মাথা এই সেই ভেবে নেয়। এটা কেমন অসুস্থতার লক্ষণ কে জানে?”

”অসুস্থ মানে? কে অসুস্থ?”

“আপনি।”

”কি!”
সুফিয়ান অবাক হয়ে রুমঝুমের দিকে তাকায়। রুমঝুম শান্ত গলায় বলে,“এটা সত্যি। আপনি যাতে আমার কথা মানেন সেজন্য এখন আমি আপনার সাথে আপনার বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাবো।”

“মানে?”
সুফিয়ান বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করে। রুমঝুমের এক কথা সে সুফিয়ানের সাথে যাবে। সুফিয়ান নিতে না চাইলে রুমঝুম বলে,“আমি যাবো। পারলে বাধা দেন।”
এই কথা বলে রুমঝুম সুফিয়ানের সামনে দাঁড়ায়। সুফিয়ানের সামনে বেশ ভাব নিয়ে রুমঝুম দাঁড়িয়ে আছে।

“আপনি….।”
সুফিয়ান পুরো কথা বলতে পারে না। সে কথাটি বলতে বলতে সামনে এগোতে গিয়ে নিজের রাখা জুতার সাথে হোচট খেয়ে গিয়ে রুমঝুমের উপর পড়ে। যেহেতু রুমঝুম সুফিয়ানের কিছুটা সামনেই ছিলো, তাই সে গিয়ে তার উপরেই পড়ে। রুমঝুম নিচে মেঝেতে পড়ে যায়, তার উপরে সুফিয়ান। এই প্রথম দু’জন এত কাছে। দু’জনার চোখাচোখি হয়। পরক্ষণে কি হয়েছে বুঝতে পেরে রুমঝুম সুফিয়ানকে বলে,“আপনি আমার উপরে।”

“হ্যাঁ…।
সুফিয়ান থতমত খেয়ে উঠতে যায়, তাড়াহুড়ো করায় আবার পড়ে যায়। রুমঝুম বিরক্ত হয়ে বলে,“আস্তেধীরে উঠুন।”
সুফিয়ান উঠে পড়ে। রুমঝুমও উঠে দাঁড়ায়। সুফিয়ান শান্ত গলায় বলে,“স্যরি। ব্যথা পাননি তো?”
রুমঝুম জবাব না দিয়ে একবার সুফিয়ানের দিকে তাকায়। তারপর চোখ সরিয়ে নিয়ে বলে,“চলুন। এখন আমাদের যাওয়া উচিত।”

“আপনি সত্যি যাবেন সঙ্গে?”

“হ্যাঁ। আপনার একটি সত্যির মুখোমুখি দাঁড়ানো জরুরি। তাই আপনার সাথে আমার যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।”
সুফিয়ান রুমঝুমের কথা বুঝতে পারে না। তবে রুমঝুম যে তার সাথে যাবেই এটা বুঝতে পেরে সে আর কথা বাড়ায় না। রুমঝুম এবং সুফিয়ান বের হওয়ার সময় শাশুড়ী রুমঝুমকে জড়িয়ে ধরে আস্তে করে বলে,“বৌমা আমার কথাটা রাখো। এই মায়ের কথাটা রাখো।”

“আপনি চিন্তা করবেন না। আপনার ছেলের কোন ক্ষতি হবে না। আমি চেষ্টা করবো সেভাবেই সত্যিটা তার সামনে নিয়ে আসার।”
এই কথা বলে রুমঝুম সুফিয়ানের সাথে বেরিয়ে যায়। তবে শাশুড়ী রুমঝুম যতই চিন্তা করতে না করুক, তার তো চিন্তা হয়ই। এমনিতে অসুস্থ তার উপর মাথায় এত চিন্তা, রুমঝুমের শাশুড়ী এসবে অসুস্থ হয়ে যায়। দরজা দিয়ে কিছুটা বাহিরে যেতে রুমঝুম দাঁড়িয়ে পড়ে। ঘরের ভেতর কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ এলো। রুমঝুম পিছনে ঘুরে দরজার কাছে আসতে হতবাক হয়ে যায়। রুমঝুমের পিছনে সুফিয়ানও আসে। সে চিৎকার দিয়ে বলে,“মা।”
হ্যাঁ সুফিয়ানের মা মেঝেতে পড়ে গিয়েছে। তার বুকে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়েছে। সুফিয়ান গিয়ে তার মাকে ধরে। রুমঝুম হতভম্ব হয়ে সবকিছু দেখছে।


চলবে,