#টক_ঝাল_মিষ্টি (১১)
#নুসরাত_জাহান_মিষ্টি
সেদিন প্রথমবারের মতো সুফিয়ানের মস্তিষ্কে রুমঝুম স্নেহার মৃ ত্যুর বিষয়টি ঢুকিয়ে দেয়। যদিও সেটা সুফিয়ান মজা হিসাবে ধরে নেয়। সেদিন সারারাত সুফিয়ান কল্পনায় স্নেহার সাথে কথা বলে, তার কাছে ক্ষমা চায়। সে মা রা গেছে এতবড় কথা বললো রুমঝুম এসব বিষয় নিয়ে কথা বলে। রুমঝুম এসবে সেদিনের মতো তাকে বাধা দেয় না। রুমঝুম বুঝে গিয়েছিলো, সুফিয়ানকে সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হলে একটু একটু করে কাজ করতে হবে।
একদিকে রুমঝুম সুফিয়ানকে যেমন স্নেহার বিষয়ে সবটা জানানোর চেষ্টা করছিলো অন্যদিকে নিজের শাশুড়ীকেও বোঝাচ্ছিলো। তারও উচিত তার ছেলেকে সত্যের সামনে দাঁড় করানো। মিথ্যে নিয়ে সারাজীবন কাটানো যায় না।
ধীরে ধীরে সময় কেটে যায়। রুমঝুম এর মাঝে চারদিন সুফিয়ানকে স্নেহার মৃ ত্যুর বিষয়টি বলেছে। প্রতিবারই সুফিয়ান পাগলামি করেছে। তবে রুমঝুম তাকে সামলে নিয়েছে। অবশেষে রুমঝুম সুফিয়ানকে রুমঝুমের মৃ ত্যুর প্রমাণ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতে সে আবারও সুফিয়ানকে বলে,“স্নেহা বেঁচে নেই সুফিয়ান।”
“আপনি এই একই মজা কতদিন করবেন? আপনার স্নেহাকে হিংসে হয় তাই না? সেজন্য এসব বলেন?”
সুফিয়ান রুমঝুমের মুখে এই কথা শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে৷ তাই আজ প্রথমেই সে পাগলামি করলো না। তার মস্তিষ্ক হয়তো সেই একইরকম আঘাত অনুভব করছে না যা গত কয়েকবার রুমঝুম সত্যি বলার সময় করেছে। সুফিয়ানের কথা শুনে রুমঝুম সুন্দরভাবে বলে,“আমি আপনাকে সেদিনও তো বললাম, যদি স্নেহা সত্যিই থাকে তাহলে তাকে অন্যকেউ দেখতে পায় না কেন? আপনার মনে হয় না, এই বিষয় নিয়ে ভাবা উচিত আপনার?”
“সবাই দেখতে পায়। আপনিও পান। কিন্তু আপনি হিংসা করেন সেজন্য….।”
এই কথা শুনে রুমঝুম হেসে দেয়। একবার রুমঝুম স্নেহাকে বাড়িতে নিয়ে আসতে বলে। পরেরদিন সুফিয়ান তাই করে। তার কল্পনার স্নেহার মান ভাঙিয়ে তাকে নিয়ে আসে৷ এখানে রুমঝুম জানায় সে কাউকে দেখতে পাচ্ছে না। এই মূহুর্তে তারা সেই কথাই বলছে। রুমঝুম বলে,“হিংসা জীবিত মানুষের উপর হতে পারে কিন্তু মৃ ত নয়।”
“আপনি….।”
সুফিয়ান কথাটি শেষ করতে পারে না তার মাঝে রুমঝুম তার সামনে সেই নিউজ পেপার তুলে ধরে যেখানে সুফিয়ান এবং স্নেহার এক্সিডেন্টের নিউজ করা হয়েছিলো। সেই সময়ে স্নেহার মৃ ত্যু খবরের শিরোনামে ছিলো। এটা দেখে সুফিয়ান হতভম্ব হয়ে যায়। সে বলে,“এটা কি?”
“সত্যি। যেটা আপনি দেখেও দেখতে চাচ্ছেন না। সেই সত্যি যেটা আপনার দেখা উচিত। কিন্তু আপনি দেখতে চাইছেন না।”
সুফিয়ান রুমঝুমের মুখের দিকে তাকায়। সে নিউজটা ভালোভাবে পড়ে। সেই সময়ে ঐ ঘটনা অনেকে ভিডিও করেছিলো। যেটা রুমঝুম সংগ্রহ করে। সেই ভিডিও সুফিয়ানকে দেখাতে সুফিয়ান বলে,“স্নেহা। স্নেহা। স্নেহা।”
সে এই কথা বলে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। জ্ঞান হারায় সুফিয়ান। সুফিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যায় রুমঝুম। এই মূহুর্তে এসব ঘটনা রুমঝুমের শাশুড়ী জানে না। রুমঝুম তাকে আগেই তার বাবার বাড়ি অর্থাৎ সুফিয়ানের নানা বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। অনেক বছর সুফিয়ানের মা এবং তার মামাদের সম্পর্ক খারাপ ছিলো। জীবনের এই শেষ সময়ে সুফিয়ানের মা অতীতের দুঃখ মনে রাখতে চায় না। সেজন্য সে তাদের কাছে যায়। রুমঝুম তাকে কিছুদিন সেখানে থাকার পরামর্শ দেয়।
রুমঝুম সুফিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে আসলেও এই ঘটনাও তার বাবা বা শাশুড়ীকে বলে না। শুধুমাত্র নিয়াজকে বলে। সুফিয়ানের চিকিৎসা শুরু হয়। তার জ্ঞান ফিরলে সে পাগলামি করতে শুরু করে। স্নেহা বেঁচে নেই, এই কথাটি সে মানতে পারছে না। কিন্তু ঐ প্রমাণ। সুফিয়ানের এই পাগলামি দেখে নিয়াজ তাকে শান্তভাবে বোঝায়। কিন্তু সুফিয়ান বুঝে না। এটা দেখে রুমঝুম তাকে কঠিনভাবে বলে,“এসব পাগলামো বাদ দেন। সত্যি সত্যিই হয়। সত্যিটা মেনে নিতে শিখুন সুফিয়ান।”
“না। কোন সত্যি নেই। আপনি ভুল বলছেন। মিথ্যা বলছেন।”
এই মূহুর্তে নিয়াজও জানায় রুমঝুম যা বলছে সত্যি। আসলেই স্নেহা মা রা গেছে। নিয়াজও তাকে স্নেহার মৃ ত্যুর অনেককিছু দেখায়। রুমঝুমও দেখায়। সবকিছু দেখে সুফিয়ান আবার হাইপার হয়ে যায়। ডাক্তার তাকে একটা ইনজেকশন দিতে সে শান্ত হয়ে যায়। সে ধীরে ধীরে গভীর ঘুমিয়ে তলিয়ে যায়। সেই ঘুম ভাঙে কয়েক ঘন্টা পর, সুফিয়ান চোখ মেলে দেখে রুমঝুম তার পাশে বসে আছে। নিয়াজকে দেখছে না, হয়তো চলে গেছে। সুফিয়ান রুমঝুমের দিকে তাকিয়ে তার কথাগুলো ভাবতে থাকে। স্নেহার মৃ ত্যুর প্রমাণগুলো নিয়ে ভাবে। সুফিয়ান ‘না’ বলে কান্নায় ভেঙে পড়ে। সে মেনে নিতে পারে না। সেই মূহুর্তে তার কল্পনায় স্নেহা এসে তার পাশে বসে। তার মস্তিষ্ক দুইভাগ হয়ে গেছে। একজন স্নেহাকে জীবিত দেখছে অন্যজন স্নেহার মৃ ত্যুর প্রমাণ। রুমঝুমের চোখের সামনেই সুফিয়ান তার কল্পনার স্নেহার সাথে কথা বলে। সে বলে,“স্নেহা তুমি এসেছো? তুমি সবাইকে বলো না, তুমি আছো। দেখো না সবাই বলছে তুমি নেই। তুমি আমার ভ্রম। আমার কল্পনা। সবাইকে বলো না, তুমি আছো।”
একটু থেমে আবার বলে,“তুমি আমার ভালোবাসা। আমার ভালোবাসা বেঁচে আছে। তুমি বেঁচে আছো। বলো না গো স্নেহা।”
রুমঝুম দেখে সুফিয়ান তার কল্পনার স্নেহাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে। তার চোখের পানি দেখে প্রথমবারের মতো রুমঝুমের সুফিয়ানের প্রতি মায়া জন্মায়। গভীর মায়া। সে মনেমনে বলে,“ভালোবাসা এমনই। কেউ সত্যিকারের ভালোবাসা পায় না। যে পায় সে ধরে রাখতে পারে না। আবার যারা ধরে রাখতে পারে তাদের ভাগ্য তাদের এক হতে দেয় না।”
___
রুমঝুমের শাশুড়ী বাড়ি ফিরে এসে যখন জানতে পারে সুফিয়ান বাড়ি নাই তখন সে অবাক হয়ে যায়। সে রুমঝুমকে জিজ্ঞেস করে,“সুফিয়ান কোথায় গিয়েছে?”
“তার চিকিৎসা চলছে। আমি তাকে একজন মানসিক ডাক্তারের অধিনে রেখেছি। আশা করি কয়েক মাস তার অধিনে থেকে ট্রিটমেন্ট নিলে সে সুস্থ হয়ে যাবে। সত্যিটা মানতে পারবে।”
“তুমি পাগল হয়ে গেছো? তোমার কি মনে হয় আমরা ওর চিকিৎসা করায়নি? করিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এখন যদি তোমার কারণে….।”
রুমঝুম তার শাশুড়ীকে পুরো কথা শেষ করতে না দিয়ে বলে,“আপনারা ওর চিকিৎসা করিয়েছেন শুধুমাত্র ওকে বাঁচাতে। আপনারা কখনো ওকে ওর মিথ্যা দুনিয়া থেকে বের হওয়ার জন্য যে ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন। তাকে সেইসব কাউন্সিলিং দেওয়া হবে যা তাকে সুস্থ করবে। তাকে তার কল্পনা থেকে বের করে নিয়ে আসবে।”
“কিন্তু….।”
এবারও শাশুড়ীকে কথাটি সম্পূর্ণ করতে দেয়নি রুমঝুম। সে শান্তভাবে বলে,“সুফিয়ান সুস্থ হয়ে যাবে। আপনি বরং সেই চিন্তা করুণ যেটা করা উচিত। সুস্থ হওয়ার পর সুফিয়ানের মনে এই বিয়ের কেমন প্রভাব পড়বে? সেটা ভাবুন।”
এই কথা বলে রুমঝুম চলে যায়। তার শাশুড়ী চিন্তিত হয়ে বসে পড়ে।
এভাবে সময় কেটে যায়। শাশুড়ীর অবস্থা দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে। অন্যদিকে সুফিয়ান ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। সে মানতে শুরু করেছে স্নেহা তার কল্পনা। এই কয়েক মাসে রুমঝুম প্রতিদিন সুফিয়ানের সাথে দেখা করেছে, সেই সাথে তাকে মানসিক সাপোর্ট দিয়েছে যাতে সে সবটা দ্রুত মেনে নিতে পারে। একটা সময় পর যখন সুফিয়ানের স্মৃতিতে সেই এক্সিডেন্ট ভেসে উঠে, তার সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা মনে পড়ে তখন সে অনেকটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। স্নেহা বেঁচে নেই। সে সুফিয়ানের হবে না, এটা ভাবতেই তার ভেতরে কেমন শূন্যতা অনুভব হচ্ছে। সুফিয়ান সুস্থ হলে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়, বাড়িতে এসে সুফিয়ান নিজেকে ঘরবন্দী করে ফেলে। স্নেহার শূন্যতা তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। রুমঝুম কয়েকবার তাকে ডাক দেয়, সে দরজা খোলে না। এক পর্যায়ে রুমঝুম কঠিন গলায় বলে,“দরজা খুলুন।”
রুমঝুমের এই কথাতে অনেক জোর ছিলো। সে অনেকটা ঝাঁজালো গলায় বলেছে। তাই তো সুফিয়ান তৎক্ষনাৎ দরজা খুলে দেয়। সে রুমঝুমের মুখের দিকে এক পলক তাকিয়ে মুখ সরিয়ে নেয়। রুমঝুম এসে তার ঘাড়ে হাত রাখে। সুফিয়ান তাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করে দেয়। সুফিয়ান বলে,“স্নেহা নেই। এটা আমি মানতে পারছি না। আমার চোখের সামনে স্নেহা ম রে গেল। এক মূহুর্তে আমাদের সব স্বপ্ন, ইচ্ছা সব মাটি হয়ে গেল। আমি কিছুতেই মানতে পারছি না। আমি এখন কিভাবে বাঁচবো? কাকে নিয়ে বাঁচবো? আমার সব শেষ হয়ে গেল?”
এসব বলে সুফিয়ান আহাজারি করা শুরু করে। রুমঝুম তাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে একটি ঝারি দেয়। তারপর কঠিন গলায় বলে,“একজন মানুষ ম রে গেছে তাই আপনার সব শেষ হয়ে গেল, তাই না? এসব ফালতু কথা কোথায় পান? প্রকৃতির নিয়মে মানুষ ম রবেই তাই বলে একজনের শোকে আমি শেষ হয়ে যাবো এটা কেমন কথা?”
“আপনি মানুষটা বড্ড কঠিন ঝুম। আপনি কাউকে ভালোবাসেননি তাই বুঝবেন না, এই হারানোর বেদনা কত বড়। ভালোবাসা হারিয়ে কেউ কেউ সত্যি থমকে যায়।”
“যে থমকে যায় সে কখনো জীবনের মানেই বোঝেনি। জীবন মানে হলো এগিয়ে যাওয়া। এই জীবনে অতীত থাকবেই৷ অতীতকে মুছে ফেলে জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে সেই অতীতকে স্মৃতির পাতায় সুন্দরভাবে জমিয়ে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়। যে ভালোবাসার জন্য আজ আপনি আপনার সবটা শেষ বলে ভেতর থেকে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন। আপনার এই শেষ হশে যাওয়া দেখে কি সে ভালো আছে? যদি সে বেঁচে থাকতো তবে সে আপনার এই করুণ পরিস্থিতি দেখে নিজেই নিজেকে শেষ করে দিতো।”
রুমঝুমের এই কথাগুলো শুনে সুফিয়ান তার দিকে অদ্ভুত চোখে তাকায়। রুমঝুম আবারও বলে,“নিজের জীবনে এগিয়ে যান সুফিয়ান। আপনার মায়ের শেষ এই সময়ে আপনাকে প্রয়োজন। বেদনায় আসক্ত আপনাকে নয় একজন হাসি-খুশি আপনাকে প্রয়োজন। স্নেহা আপনার খুশিতেই খুশি হবে, দুঃখে নয়। স্নেহাকে স্মৃতিটাকে ভেতরে রেখে নিজের জীবনকে দ্বিতীয়বার একটা সুযোগ দিন সুফিয়ান। এসবে হয়তো স্নেহা খুশি হবে।”
রুমঝুম এরপর কঠিনভাবে বাস্তবতার কিছু গল্প বলে। যার সারমর্ম হলো, জন্ম হলে মৃত্যু হবে। কিন্তু তাই বলে কারো মৃ ত্যুতে নিজেকে ঠকিয়ে নিজেকে তীলে তীলে শেষ করা ঠিক নয়। এটাও কোথাও না কোথাও গিয়ে অপরাধ। এসব কথা শুনে সুফিয়ান বলে,“আপনি যতই কঠিন কথা বলুন না কেন, সবসময় সঠিক বলেন। আপনার এই গুনটা অনেক ভালো ঝুম।”
সুফিয়ানের এই কথা শুনে রুমঝুম মুচকি হাসে। সুফিয়ান স্নেহার স্মৃতি ভাবতে বসে। রুমঝুম বুঝতে পারে। তাই বলে উঠে,“আমিও ভালোবেসেছিলাম সুফিয়ান। তবে হয়তো আপনার মতো করে ভালোবাসিনি তাই তো এখন তার স্মৃতি মাথায় আসছে না।”
এই কথা শুনে সুফিয়ান রুমঝুমের দিকে অবাক চেখে তাকায়। রুমঝুম মুচকি হেসে বলে,“তাছাড়া তার স্মৃতি আমার মাথায় আসার কথাও না। বিয়ের আসরে আমি অতীতকে ভুলেই বসেছিলাম। আমার কাছে মনে হয়, একজনকে বিয়ে করে অন্য একজনকে নিয়ে ভাবা, অন্য কাউকে ভালোবাসা অপরাধ। অবশ্যই অপরাধ। যদি বিয়ের পর তুমি সেই অধিকার তোমার স্বামী/স্ত্রীকে নাই দিতো পারো তাহলে বিয়ে কেন করেছো? এটা অন্যায়। আমি এই অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেই না।”
“সেদিন তো আমার স্মৃতি স্নেহা বেঁচে ছিলো, আজ নেই। তবুও আমি আজও বলবো আমি আপনাকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে পারবো না ঝুম। আমাকে ক্ষমা করবেন। এই অন্যায়টা আমাকে করতেই হলো।”
সুফিয়ান ভেবেছিলো এই কথা শুনে আজও রুমঝুম তার গালে থাপ্পড় মারবে। কিন্তু না। রুমঝুম তেমন কিছুই করেনি। সে সুফিয়ানের চোখে চোখ রেখে বলে,“যদিও আপনার মস্তিষ্ক ততটা খারাপ ছিলো না যাতে সে বুঝবে না স্ত্রী রেখে অন্য মেয়েকে ভালোবাসা অন্যায়। তবুও আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম সুফিয়ান। দিন শেষে, কোথাও গিয়ে আপনিও আমার মতো ঠকে গেছেন। আপনাকেও ঠকানো হয়েছে। কিন্তু হ্যাঁ আমি এমন কারো সাথে থাকবো না যে আমাকে নয় অন্যকাউকে ভালোবাসে। স্যরি আমার পক্ষে এমন কারো সাথে থাকা সম্ভব নয়।”
’
‘
চলবে,