কলংকের বিয়ে পর্ব-০১

0
18

#কলংকের_বিয়ে
#ইসরাত_জাহান_এশা
#পার্ট_০১

০১
বোন হয়ে বোনের সংসার নষ্ট করতে একটুও কি লজ্জা করে না? আমি আগেই বলছিলাম তুই নষ্টা চরিত্রের মেয়ে। তোর মা যেমন নষ্টামী করে আমার বাবার গলায় ঝুলেছে তুই এখন আমার স্বামীর সাথে পরকিয়া করে আমার জীবন নষ্ট করলি? নয়নার রুমে বসে নাফিজা চিৎকার দিয়ে বলছে। নাফিজার চিৎকার শুনে বাড়ির লোক সব রুমে জড়ো হয়৷ ভিতু চোখে তাকিয়ে আছে নয়না। চোখে প্রচুর ঘুম পাশেই শুয়ে আছে নাফিজার স্বামী আনাম।
নয়না কিছু বুঝে ওঠার আগেই নয়নার বাবা রাজ্জাক ভূইয়া নয়নাকে ঠাস ঠাস করে চর দেয়। নয়না একটা চিৎকার দিয়ে বলে ও আল্লাহ! সেখানেই নয়না অজ্ঞান হয়ে যায়। নয়নার চিৎকারে আনামের ঘুম ভেংগে যায় আনাম তড়িঘড়ি করে উঠে বসে পরে দেখে ঘরে মানুষ জড়ো হয়ে আছে। নিচে নয়না পড়ে আছে কান থেকে রক্ত বের হচ্ছে।

নাফিজা আনামকে উদ্দেশ্য করে বলে বিয়ের দুই মাসও হলো না।এর মধ্যে শালীর সাথে এক বিছানায় ছি ছি। খুব তারাতারি নিজের চরিত্র দেখিয়ে দিলে।
বাবা কে আগেই বলছিলাম ভালো মত ছেলের খোঁজ নেও। একটা চরিত্রহীন ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিলো তাও আবার শালীর বিছানায়। আর কপাল করে বোন পেয়েছি উঠে পরে লেগেছে বোনের সংসার নষ্ট করতে।

আনাম নাফিজার কথার উত্তর না দিয়ে দ্রুত নয়নাকে ডাকতে শুরু করে। নয়না ওঠো নয়না। আপনারা কি মানুষ? মেয়েটা মারা যাবে কান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরন হচ্ছে।
___ও বাবা গো। পিরিত উথলে পড়ছে যে একদম। সবার সামনেই দেখাচ্ছে নিজের চরিত্র এতো কিছুর পরও লজ্জা নামক জিনিসটা আসে না।
___নাফিজা আমি জানিনা এখানে এসব কি হচ্ছে৷ তবে যাই হোক আগে নয়নাকে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে৷ তারপর কি হয়েছে না হয়েছে সেইটা নিয়ে আলচনা করা যাবে।

নয়নার বাবা চিৎকার দিয়ে বলে চুপ কর বেয়াদব! তোর আমার মেয়েকে নিয়ে ভাবতে হবে না।যে মেয়ে বাবার সন্মানের কথা ভাবে না তার মরে যাওয়াই উচিৎ আমি ভাবতেই পারছি ওর এত অধঃপতন হয়েছে মতির মত একজন মায়ের গর্ভে ওর মত মেয়ের জন্ম হয়েছে।আজ ওর মা বেঁচে থাকলে ভিষন কষ্ট পেতো।আর তোর সাহস কিভাবে হইছে তুই আমার বড় মেয়ের জামাই হয়ে আবার ছোট মেয়ের সাথে ছি: এগুলো দেখার আগে আমার মত পিতার মৃত্যু কেনো হল না? রাজ্জাক ভূঁইয়াও এসবে অসুস্থ হয়ে পরেন।
___আপনারা কি সব বাজে কথা বলছেন নয়নাকে আমি ছোট বোনের চোখে দেখি সব সময়। আর আপনারা কি সব বলে যাচ্ছেন।
নাফিজার মা আয়েশা বেগম বলেন আইছে ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানেনা।
তখন আনাম চারোদিকে তাকিয়ে দেখে এটা তো নয়নার রুম। আনাম তখন বলে আমি এই রুমে কেনো? ততক্ষণে নাফিজার ভাই নাফিজ এসে আনাম কে লাঠি নিয়ে গায়ের সকল শক্তি দিয়ে পেটাতে পেটাতে ঘরের বাইরে নিয়ে আসে। আধ মরা করে চেয়ারের সাথে বেঁধে ফেলে।

০২
রাজ্জাক ভূঁইয়ার দুই মেয়ে এক ছেলে। তবে নাফিজা আর নাফিজ এই দুইজনের মা আয়েশা বেগম৷ নয়নার মা লালমতি বেগম নয়নাকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়৷ রাজ্জাক ভূঁইয়ার প্রথম স্ত্রী ছিল লালমতি বেগম তবে ভাগ্যের পরিহাসে উনি নিঃসন্তান ছিলেন। পাঁচ সাত বছর অপেক্ষার পরে যখন আর লালমতির বাচ্চা হয় না। তখন নয়নার দাদি রাজ্জাক ভূঁইয়া কে আবারো বিয়ে করান। সেখানেই পর পর একটি ছেলে আর একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। তবে রাজ্জাক ভূঁইয়ার প্রথম স্ত্রী লালমতিকে অনেক ভালোবাসতেন সব সময় চেষ্টা করেছেন দুই বউকে সমান ভাবে রাখার। কিন্তু আয়েশা বেগম সেটা সহ্য করতে পারতেন না৷ তিনি কোনো না কোনো ভাবে তাকে বুলিং করতেন। বাচ্চা হয়নি এর জন্য তাকে বাজে ভাবে ট্রিট করতেন৷ লালমতিকে বাচ্চাদের কাছে যেতে দিতেন না। লালমতির যেহুতু বাচ্চা ছিল না সবাই তাকে নিয়ে একটু হাসি তামশা করত নানা রকম কথা শুনাত এর জন্য নিজেকে এক প্রকার গুটিয়ে নিয়েছেন। যেনো ঘর থেকে বের হলেই তাকে মানুষের কথা সম্মুখীন হতে না হয়। লালমতি জীবন নিয়ে প্রচুর বিরক্তিতে ভুগতেন। মাঝে মধ্যে মনে করতেন আল্লাহ চাইলে তো এইরকম সন্তান আমাকেও দিতে পারতেন স্বামী সংসার নিয়ে আমিও ভালো থাকতে পারতাম। আমার স্বামীর কত সুন্দর একটি পরিবার তৈরি হয়েছে যেখানে আমি বাদামের খোসার মত পরে আছি।চোখের সামনে নিজের তৈরি করা সংসার ভেংগে আলাদা হয়ে গেছে।নতুন ভাবে নতুন সংসার হয়েছে। তবে রাজ্জাক ভূঁইয়া সব সময় লালমতির খোঁজ রাখত লালমতিকে যথাসাধ্য খোঁজ খবর নিতেন আসা যাওয়া ছিল। রাজ্জাক ভূঁইয়া অনেক স্ট্রিট লোক ছিলেন এর জন্য আয়েশা বেগম খুব ভয়ে থাকত কখনো লালমতির সাথে অতিরিক্ত ভাবে খারাপ ব্যবহার করার সাহস পেতেন না৷ রাজ্জাক ভূঁইয়ার সামনে আয়েশা বেগম লালমতিকে একদম বড় বোনের মত ভালোবাসা দেখাত।

দেখতে দেখতে প্রায় আরো চার/পাঁচ বছর পেরিয়ে যায়। রাজ্জাক ভূঁইয়া দেখেন লালমতির দরজা খোলা কিন্তু ভিতর থেকে কোনো সারা শব্দ নেই। রাজ্জাক ভূঁইয়া ভিতরে গিয়ে দেখেন লালমতি ফ্লোরে অচেতন অবস্থায় পরে আছে। রাজ্জাক ভূঁইয়া তারাতাড়ি লালমতিকে কে কোলে তুলে বিছানায় বসিয়ে দেয় আয়েশা বেগমকে ডাক দেয়। আয়েশা বেগম এসে চোখ মুখে পানির ছিটা দিলে লালমতির জ্ঞান আসে।
রাজ্জাক ভূঁইয়া জিজ্ঞেস করেন লালমতি কি হয়েছে তোমার?
লালমতি একটু লজ্জা ভাব নিয়ে বলেন সিওর বলতে পারব না৷ তবে মনে হচ্ছে দোয়া কবুল হয়েছে আমি মনে হয় প্রেগন্যান্ট৷ এই কথা আয়েশা বেগম শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে৷ এদিকে রাজ্জাক ভূঁইয়া এমন একটা কথা শুনে কি বলবেন বুঝতে পারছেন না। রাজ্জাক ভূঁইয়ার চোখে মুখে আনন্দের ছাপ স্পষ্ট। আয়েশা বেগম লক্ষ করেন রাজ্জাক ভূঁইয়া এখন যেভাবে খুশি আছেন তেমন খুশি কখনো তার বেলাতে দেখেননি। আয়েশা বেগম ভিতরে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছেন পারলে তিনি এখনি লালমতিকে গিলে ফেলতেন৷
রাজ্জাক ভূঁইয়া বলেন আয়েশা তুমি মতির জন্য নাস্তা নিয়ে এসো আমি ওরে নিয়ে এখনি ডাক্তারের কাছে যাবো।
আয়েশা বেগম খুব গম্ভীর মুখ নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। আর মনে মনে বলে যদি পারতাম এখনি বি*ষ দিতাম সারাজীবনের নাস্তা খাওয়া ঘুচে যেতো।

রাজ্জাক ভূঁইয়া লালমতির হাত দুটি ধরে বলেন তুমি জানো না আজকে যেই খুশি আমার কাছে লাগছে এমন খুশি কখনো আমি অনুভব করিনি। আমি খুব করে চাইতাম যেনো তোমার আর আমার ভালোবাসার ফলস্বরুপ একটি হলেও সন্তান আজ হোক কাল পৃথিবীতে আসে। হয়ত তুমি ভাবতে পারো দ্বিতীয় বিয়ে করে তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা কমে গেছে। কিন্তু বিশ্বাস করো তুমি আমার জিবনে প্রথম ভালোবাসা তোমার জায়গা আমি কাউকে দিতে পারবো না৷ তুমি তো বুঝই দুইটা সংসার হলে সব দিক ম্যানেজ করে চলতে হয়। তাই তোমাকে আগের মত সময় দিতে পারিনি। তবে তুমি চিন্তা করো না এবার থেকে আমি তোমার পরিপূর্ণ যত্ন করব। আমি নিজেই আমার সন্তানের খেয়াল রাখব। এদিকে আয়েশা বেগম ভাবেন নিঃসন্তান থাকা সত্বেও লালমতির সব সময় খোঁজ খবর রাখতো।এখন যদি বাচ্চা হয় তাহলে তো এই সংসারে আমার কোনো কদরই থাকবেনা৷ আয়েশা বেগম কখনো চায়নি যেই সংসারের চাবি তার হাতে এসে তা বেরিয়ে যাক।

আয়েশা বেগম দেখতে পায় ইদানীং রাজ্জাক ভূঁইয়া লালমতির সাথে বেশি সময় কাটাচ্ছেন দেখে মনে হচ্ছে নব্য বিবাহিত কাপল। আয়েশা বেগম তাই বেশির ভাগ সময় সন্তানদের লালমতির ঘরে পাঠিয়ে দিতেন। নাফিজ নাফিজা ওখানেই বেশি খেলা করত। রাজ্জাক ভূঁইয়া লালমতির ঘরে আসলে এটা ওটা আবদার করে তাদের সাথে ব্যস্ত রাখতে চাইত।
দেখতে দেখতে লালমতির ডেলিভারির সময় চলে আসে এবং নরমালেই লালমতির একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়।
আয়েশা বেগম বাচ্চাকে কোলে নিয়ে মনে মনে বলে এতো চেষ্টা করলাম তোকে মেরে ফেলার কিন্তু তাও তুই দুনিয়ায় এসেই পড়লি আমার সব কিছু কেরে নিতে। তবে আমি সেটা হতে দিব না৷ তোদের মা মেয়ের মধ্যে কাউকে না কাউকে তো দুনিয়া ছাড়তে হবে।
ডেলিভারির আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে লাল মতির শরীর অনেক খারাপ হয়ে যায়। হসপিটাল নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে এবং বলে রোগীর শরীরে এমন কিছু পয়জন ছড়িয়েছে রোগি দূর্বল থাকায় আর সার্ভাইব করতে পারেনি।
রাজ্জাক ভূঁইয়া লালমতির মৃত্যুর খবর শুনে যেনো পাগলের মত হয়ে যায়। আর বলতে থাকে আমি তোমার আর তোমার সন্তানকে নিয়ে নতুন ভাবে আবারো কত স্বপ্ন দেখেছিলাম সব মিথ্যা হয়ে গেলো মতি? তুমি কিভাবে পারলে আমাকে ছেড়ে দিতে আমি তো আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছিলাম তোমাকে একটু হলেও শান্তি দেওয়ার।সাথে আয়েশা বেগমও কাঁদতে কাঁদতে বলেন আপা এতো বছর পর মা হওয়ার সূখ পেলেন কিন্তু ভাগ্য আপনার সুখ সহ্য করলনা৷ আমি ভাবতেই পারছি না আমার বড় বোনের মত মানুষটা এইভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে। দৌরে গিয়ে নয়নাকে কোলে নিয়ে বলে নয়না এখন থেকে আমার মেয়ে আপা আমি কখনো ওরে কষ্ট পেতে দিব না৷ সব সময় নিজের সন্তানের মত আগলে রাখব৷ আয়েশা বেগমের এমন কর্মকাণ্ড দেখে সবাই তো প্রসংশা করতে থাকে বর্তমানে এমন সতীন দেখাই যায় না৷ বিয়ের এতো বছরে দুই সতীনের মাঝে কখনো ঝগড়াঝাটি হতে দেখেনি৷ মেয়েটি আসলেই ভাগ্যবান৷ সৎ মায়ের কাছেই ভালো থাকবে।
রাজ্জাক ভূঁইয়া লালমতি মারা যাওয়ার পর থেকে নয়নার দিকে একটু এক্সট্রা কেয়ার রাখতেন। সব সময় বলতেন ওর মা নেই ওরে কেউ কষ্ট দিবে না৷ তবে নাফিজ, নাফিজা বাবার নয়নার প্রতি একটু বেশি কেয়ার এটা সহ্য হতো না। তবে রাজ্জাক ভূঁইয়ার ভয়ে নয়নার সাথে খারাপ কিছু করার সাহস পায়নি। কিন্তু দুই ভাইবোন নয়নার সাথে বেশি একটা মিশতে চাইতো না। আয়েশা বেগমও সমাজের সামনে নয়নাকে নিজের মেয়ের মত দেখলেও ভিতরে সব সময় বৈষম্য করত যেটা কেউ ধরতেই পারত না৷

নাফিজার থেকে সারে তিন বছরের ছোট ছিল নয়না৷ নয়না মায়ের মতই চুপচাপ থাকত বেশিরভাগ সময়। বড় হওয়ার পরেও দু’বোনের মাঝে তেমন কোনো যোগাযোগ হত না যে যার মত নিজের জগৎ নিয়ে থাকত।

০৩
আনামের বাবা মাকে খরব দিলে ওনারা দ্রুত নয়নাদের বাড়িতে চলে আসে। এসে দেখে ছেলেকে চেয়ারের সাথে আধমরা করে বাধেঁ রেখেছে। আনামের বাবা রফিক তালুকদার ছেলের করুন অবস্থা দেখে রেগে আগুন হয়ে যায় সাথে সাথে ছেলের বাঁধন খুলে ফেলেন এবং পুলিশকে ফোন করেন। ওদিকে নয়নার জ্ঞান ফিরে আসে কিন্তু নয়না কোনো কথা বলে না। নয়না অসহায়ের দৃষ্টিতে চারোদিকে তাকিয়ে থাকে এদিক ওদিক থেকে মানুষ আসে নয়নাকে দেখে টিটকারি করে আবার চলে যায়। রাতে আনামের বাবা মা পুলিশ আর গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উঠোন বৈঠক বসে। সবার সামনে আনাম আর নয়নাকে নিয়ে আসা হয়। নয়নার বাবা নয়নার মুখের দিকে তাকিয়ে সবার সামনেই কেঁদে উঠে বলে এমন দিন দেখার আগে কেনো আমার মৃত্যু হলো না? কেউ কি আমাকে মাথায় একটা বাড়ি দিয়ে মেরে ফেলতে পারো না?
নয়না বাবার চোখের পানি দেখে ওরো গাল বেয়ে পানি পরে কিন্তু কিছুই বলে না।

নাফিজা কাঁদতে কাঁদতে বলে আমার বোন আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে আমার এখন কি হবে।
বৈঠক থেকে চেয়ারম্যান জিজ্ঞেস করে যা হওয়ার তা হয়েছে এখন তুমি কি চাও সংসার করতে?
___একটা মেয়ের বিয়ে জীবনে তো একবারই হয়। উচিৎ না আমার স্বামীকে ক্ষমা করা কিন্তু তবুও আমি কিছু শর্ত সাপেক্ষ সংসার করতে চাই।
___কি শর্ত?
___নয়নাকে এই বাড়ি থেকে দূরে পাঠিয়ে দিতে হবে৷ যেনো কখনো ওরে আমার চোখের সামনে না দেখি। আমি চাই না আর ওর মুখ দেখতে।

নাফিজার কথা শুনে চেয়ারম্যান জিজ্ঞেস করেন রাজ্জাক ভূঁইয়া আপনার মতামত কি?
রাজ্জাক ভূঁইয়া বলেন আমার বড় মেয়ে যা বলবে তাই হবে।
কিন্তু সবার মাঝ থেকে ব্যাথায় কুকরাতে কুকরাতে আনাম বলে উঠে আমার কিছু কথা আছে।
পাশ থেকে একজন বলে উঠে তুমি কি কথা বলবে মিয়া যা কর্মকাণ্ড করেছ। মেয়েটা নেহাৎ ভালো না হলে কোনো মেয়ে সংসার করতে চাইত না।
আনাম লোকটার কথা কানে না নিয়ে বলে উঠে। আমি এই বৈঠকে একদম সজ্ঞানে নিজ সিন্ধান্তে নাফিজাকে তালাক দিলাম। এক তালাক, দুই তালাক,তিন তালাক।

বৈঠকে আয়েশা বেগম এসে বলে খাইলো রে খাইলো আমার মেয়ের সংসারটা খাইলো। জন্মের সময় মায়রে খাইলো_______________

চলবে____<____