#কলংকের_বিয়ে
#ইসরাত_জাহান_এশা
#পার্ট_০৭
১৩
__ওহহ ঐদিন তোমার সতীসাধ্বী পতিব্রতা বোন নাজিফা ফোন দিয়েছিল।
___তো ওর ফোন আপনি ধরছেন কেনো ফোন দিলেই ধরতে হবে? নাকি নতুন করে ভালোবাসা উপচে পড়ছে।
___তুমি ভুল বুঝছ।অচেনা নম্বর থেকে বার বার কল দিচ্ছিল। আমি মেয়েলি কন্ঠ পেয়ে কেটে দেই পরে আবারো ফোন দেয় মনে মনে ভেবেছিলাম হয়ত তুমি শ,য়তানি করছ তাই ধরেছি।
___আমার বয়েই গেছে আপনাকে ফোন দিতে কি মানুষটা, রাতে ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে থাকি আবার নাকি ঘুমের মধ্যে এতো রাতে ওনাকে কল দিতে যাব। আই অ্যাম অ্যাটিটিউড গার্ল বুঝতে হবে।
___ছাপড়ি গার্ল তুমি৷ হোয়াটসঅ্যাপে কি সব বায়ো দিছো? এই সব বায়ো আজকাল কেউ দেয়? অবশ্য দোষ তোমার না নতুন নতুন ফেইসবুক খুলে এইরকম বলদা মার্কা বায়ো, পোস্ট আমিও দিয়েছি। যাই হোক এসব ছাপড়ি টাইপ বায়ো বাদ দিয়ে সুন্দর বায়ো দিও আমি লিখে দিব।
___আহারে ঢকের কথা আমি ছাপড়ি? আপনি যে লুচু।
__এই মুখ সামলে কথা বলো বেহুদা আমার চরিত্রে কোনো দাগ দিবা না। পুরুষের যদি সতিত্ব থাকত তাহলে আমিও গর্বের সাথে নিজেকে সতী পুরুষ বলে পরিচয় দিতাম।
___থাক! হইছে এখন আপনার প্রিয় প্রাক্তন আপনাকে কি বলেছে সেটা বলেন।
__ক্ষমা চাইতে ফোন দিয়েছে। জীবনে অনেক ভুল করেছে ক্ষমা করে দিয়ে সব ভুলে যেতে বলেছে যেনো অভিশাপ না দেই। তোমাকেও ক্ষমা করতে বলছে তুমি ক্ষমা না করলে নাকি ও সুন্দর মত সংসার করতে পারবে না। খুবই অনুতপ্ত আর লজ্জিত ওর কাজের জন্য।
___তো আপনি তো মনে হয় ক্ষমা করে দিয়েছেন?
__ক্ষমা? হা হা হা যাদের জন্য বাবা মা কে নিয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে শহরে বন্দী হতে হয়েছে। যাদের জন্য কলংকের বোঝা নিয়ে কলংকের বিয়ে করতে হয়েছে তাদের মাফ করব? যতদিন আমি এর প্রতিশোধ নিতে না পারব ততদিনে আমার এই কালো দিন গুলোর ঘোর কাটবে না৷
__এখানে বসে কি করবেন?
__তুমি জানো না ও আসলে কাকে ভালোবাসে।
__কাকে?
__ও আমার ফুফাতো ভাই নিহান কে ভালোবাসে আর আমি এই বিষয়টা এতদিন জানতাম না কালকে জেনেছি এবং এটাও শুনেছি খুব শীগ্রই ওরা বিয়ে করবে। আর এখানেই তো আমি আমার খেলা দেখাব।
___কি করবেন আপনি?
___তোমার শুনে লাভ নেই তোমার ছোট মাথায় এগুলো ঢুকবে না।
আমার মাথা ছোট?নয়না আনামের মাথায় হাত রেখে মেপে বলে এই দেখেন আপনার থেকে আমার মাথা কত বড় আপনার কি ছোট ছোট পাতলা চুল আবার দেখি টাক পড়াও দিছে মরুভূমি হতে বেশি সময় লাগবে না। এইটা বলেই নয়না নিজের খোপা খুলে আনামের দিকে চুল গুলো টেনে এনে বলে এই দেখেন আমার চুল আপনাকে সারাজীবন এখানে পেচিঁয়ে রাখা যাবে।
আনাম নয়নার চুল দেখে পুরাই ক্রাশ খেয়ে বলে এই এটা সত্যি আসল চুল?
___হ্যাঁ এটা আমার আসল চুল আর আমার মায়েরও এমন দিঘল কালো চুল ছিল। এর জন্য বাবা সব সময় আমার চুলের যত্ন করতেন। বলা যায় আমার বাবার যত্নের ফসল এটা। আমি তো চুলের যত্নই করতাম না বাবা কাজ সেরে বাসায় এসে সব সময় আমার চুল বেঁধে দিতেন তেল দিয়ে দিতেন আমার জন্য গাছ থেকে নারিকেল পাড়িয়ে তেল বের করতেন।
আপনাদের এখানে এসে আপনার মা যেইটুকু যত্ন নেয় কিন্তু আমার আর ইচ্ছে করে না। বাবা কে প্রতিদিন মিস করি।
আনাম আস্তে কর নরম কন্ঠে বলে তোমার চুল গুলো একটু ছুয়ে দেখব?
নয়না মাথা এগিয়ে দিয়ে বলে এই যে দেখেন। আনাম নয়নার চুল গলো অবাক হয়ে দেখছিল এ যেনো আনামের এক কল্পনার বাস্তবতা। আনাম খুব করে চাইত যেনো আনামের বউয়ের লম্বা চুল হয় অনেক বড় একটা বেনুনি হবে। পিছন থেকে বেনুনিটা দুলবে৷ আনাম নয়নার চুলে হাত বুলাতে বুলাতে একটু ঘোরের মধ্যে চলে যায়।
নয়না আনামকে একটা থাক্কা দিয়ে বলে এসব কি করছেন আপনি যে লুচু আমি এটা আগেই ধরতে পারছি।
আনাম ধাক্কা খেয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে আমি লুচু? তুমি বেহায়া তুমিই তো চুল গুলো আমার সামনে নিয়ে আসলে আমি মনে হয় তোমার চুল খুলেছি? আর শোনো আমার যথেষ্ট বয়স হয়েছে বুঝতে পেরেছ? তাতেও আমার যথেষ্ট চুল আছে।
___বয়স কত আপনার?
__ত্রিরিশ।
__ওমা গো তাহলে আপনি আমার এগারো বছরের বড়?
___হ্যাঁ সেই জন্যেই তো তোমাকে ছোট মাথা বলেছি। আর তুমি মাথা খুলে দৈর্ঘ্য প্রস্থ মাপা শুরু করেছ। ভাবো তোমার জ্ঞান বুদ্ধি কত।
___না ঠিকই বলেছেন আপনার যে বয়স তাতে আমার মত ছোট বাচ্চারা বুদ্ধিতে পারবেও না বুঝবেও না।
এটা বলে নয়না ভেলপুরি নিয়ে রেহনা বেগমের ঘরে চলে যায়।
আনাম নয়না চলে গেলেই আয়নার কাছে গিয়ে নিজেকে দেখতে শুরু করে। আসলেই আমার মাথায় কি টাক হওয়া দিছে? আমি বুড়ো হয়ে গেছি? নয়না আমার থেকে বয়সে একটু বেশি ছোট। আচ্ছা সত্যি আমাকে ভালো লাগে না?
আনাম আনামের বন্ধু কে ফোন দেয়।
___কিরে বন্ধু কি খবর? তোর কাছে কি কোনো আপডেট আছে?
___না রে দোস্ত আপতত কোনো খবর নেই। কিন্তু তোকে একটা সিরিয়াস কথা বলার ছিল।
___কি কথা বলে ফেল।
___রায়হান ভাই সত্যি করে একটা কথা বল আমার মাথায় কি টাক হওয়া দিছে? আমাকে দেখতে বুড়ো বুড়ো লাগে?
রায়হান আনামের কথা শুনে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। হাসতে হাসতে বলে আমার বেরসিক বন্ধুর জীবনে হটাৎ রংয়ের ছোঁয়া? কাহিনী কি বন্ধু?
___ভাই মজা নিস না। একটু বল না।
___তুই দেখতে যা একটু কালা কিন্তু চেহারার গঠন সুন্দর আছে।
___আমি কালা সেটা আমি জানি ওটা বার বার বলা লাগবে না। আমার মাথায় কি টাক বসা দিছে? আর বসলে এটা ঠিক করার সাজেশন কি?
___বন্ধু ঘন চুলেও যদি আর্মিকাটিং থাকে তাকেও টাক মনে হবে৷ একটু স্মার্ট হও তোমাকে নায়কদের থেকে কম লাগবে না।
___ঠিকাছে আর ওদিকের কোনো আপডেট পেলে আমাকে জানাস।
___ওকে বন্ধু রাখি। তোমার নতুন রংয়ের চুবেচ্চা।
__রাখ তো।
আনাম হাত পা বিছানর উপর ছড়িয়ে চোখ বন্ধ করে নয়নার কথা ভাবছে বার বার চুল গুলো কল্পনায় ভেসে আসছে। আনাম মনে মনে ভাবে কি এক অনুভূতি যা কখনো লাগেনি এই মনে হয় পৃথিবীতে আমার কেউ নেই আবার মনে হচ্ছে পৃথিবীতে আমার যেন সব সুখ খুঁজে পেয়েছি।
১৪,
নাফিজার বিয়ের ডেট ফিক্সড হয়। সামনের মাসের ছাব্বিশ তারিখ হাতে পঁচিশ দিন বাকি। রাজ্জাক ভূঁইয়া মনে মনে ভাবেন আমার ছোট মেয়েটা কি অবস্থায় আছে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা মৃত্যুর আগে মনে হয় শেষ দেখা দেখতে পাবো না। মা মরা মেয়েটা যেখানে থাকুক ভালো থাকুক। রাজ্জাক ভূঁইয়ার গাল বেয়ে দু’ফোটা পানি পরে। পরক্ষণেই আয়েশা বেগম বলে তোমার চোখে পানি?
___ও কিছু না চোখটা জ্বালাপোড়া করছে। ওদিকের কি খবর নাফিজকে বলেছ জমির কথা কি বলেছে?
___চিন্তা করো না। ওর বোন ওর মাথায় আছে কি করতে হবে। ও ঠিক জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে আসবে।
রাজ্জাক ভূঁইয়া আবারো বলেন এতো পণ দিয়ে বিয়েটা না দিলে হতো না?
আয়েশা বেগম মনে মনে বলে জেনেশুনেই নিজের মেয়েকে কুয়োতে ফেলে দিচ্ছি কিচ্ছু করার নেই। আমি পারলে নিজেই বিয়েটা ঠেকিয়ে দিতাম।
__আপনি এতো চিন্তা করবেন না। মেয়েটা নিজে পছন্দ করে যাচ্ছে আমি বুঝিয়েছি কিন্তু মেয়ে তো ছেলেকে নাকি অনেক ভালোবাসবে না হলে পালিয়ে যাবে। তারচেয়ে এইভাবে দেওয়াই ভালো একবার তো কম সন্মান হানি হয়নি।
___তুমি ওদের মা তুমি যা ভালোবুঝো করো৷ আমি বাঁধা দিব না। মা রা কখনো সন্তানের খারাপ চায় না৷ যাদের মা নেই তাদের কপাল খারাপ হয়।
আয়েশা বেগম মনে মনে বলে বুঝতে পেরেছি নয়নাকে মিন করে বলছেন কিন্তু যারে আল্লাহ ভালোবাসে তারে কি কেউ ঠকাইতে পারে? নয়না ঠকেও জিতে গেছি। জিততে গিয়ে আমার মেয়েই হেরে গেলো আর মা হয়ে আমি চুপচাপ সহ্য করে নিচ্ছি। হয়ত আমারো পাপের শাস্তি শুরু হয়ে গেছে।
চোখ মুছতে মুছতে আয়েশা বেগম নাফিজার কাছে গিয়ে বলে কিরে কোনো খবর পেয়েছিস? নিহান কি বলে তোকে?
___কি আর বলবে আমার সাথে কেমন ব্যবহার করে মা। এমন ব্যবহার মানুষ কুকুর বেড়ালের সাথেও মনে হয় করবে না।ও একটা বাজে ছেলে মা।
নাফিজা কাঁদতে কাঁদতে আয়েশা বেগমের বুকের মধ্যে ঝাপিয়ে পড়ে আয়েশা বেগমও কাঁদছেন আর বলছেন মা রে এমন কিছু শোনার আগে আমার মরন হলো না কেনো? কেনো তুই নিজের হাতে সোনার সংসার টা নষ্ট করলি? তুই চাইলে বিয়েটা ক্যান্সেল করে দে।
___না মা এটা হয়না। তাহলে ও আমাকে নিয়ে এতো বদনাম রটাবে আমার মৃত্যু ছাড়া উপায় থাকবে না। আমি মরতে চাই না।দেখি না শেষ টা কি হয়। আমি ছেলেটাকে প্রচন্ড রকম ভালোবাসি।
আয়েশা বেগম মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে থাকেন আর মাথায় হাত দিয়ে মনে মনে বলেন এটা আমার পাপের ফল।
সন্ধায় নাফিজ জমির খবর নিয়ে বাড়িতে এসে রাজ্জাক ভূঁইয়া কে জানায়।
___বাবা আমি অনেক গুলো লোকের সাথে কথা বলেছি জমির দাম সর্বোচ্চ দশ লাখ টাকা বলে এর উপরে উঠতে চায় না৷
___কি বলো এগুলো আরো পাঁচ বছর আগে জমির মূল্য দশলাখের বেশি ছিল এখনো দশলাখ এটা হয়না। নূন্যতম পনেরো লাখ তো দিবে।
___আপনি সেই আশায় বসে থাকেন। বিয়ের বেশি বাকি নাই এখনো না বিক্রি করতে পারলে কি করবেন না করবেন আমি জানি না।
রাজ্জাক ভূঁইয়া আর কথা বাড়ায় না।তিনি বলেন আমি আর কতদিন তোমার মাকে জিজ্ঞেস করো যা সিন্ধান্ত দেয় ওটাই করো।
নাফিজ ওর মায়ের সাথে কথা বলে। কিন্তু আয়েশা বেগম ছেলেকে সন্দেহের সৃষ্টিতে বলেন সত্যি কি দশ লাখ?
নাফিজ ভ্রুকুচকে বলে সন্দেহ হয়?
___আমার ছেলে তো মুখ দেখলেই তো বুঝি।
নাফিজ ওর মাকে ধমকের সূরে বলে এতো বুঝতে হবে না। আমাকে আমার কাজ করতে দিন। দশ লাখ তো পাচ্ছেন এটাই তো আপনাদের জন্য যথেষ্ট তারপর আমি কিছু নিলে সমস্যার তো কিছু দেখছি না।
__মায়ের সাথে এমন ব্যবহার করবি?
___খারাপ কি করেছি? আমি কি আপনাদের সব টাকা মেরে দিয়েছি নাকি? আপনারা বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন এতো কিছু এখন বুঝতে যাইয়েন না।
আয়েশা বেগম ছেলের কথা শুনে কষ্টে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসেন।
নাফিজ মনে মনে বলে আর কতদিন এভাবে থাকব নিজেরও একটা ব্যাংক ব্যালেন্স দরকার। যাকগে চৌদ্দলাখ টাকার জমি বাসায় দশ লাখ দিলে পুরো চার লাখ আমার হবে লাইফ বিন্দাস। নাফিজাকে বিদায় করেই একটা বিয়ে করে নিবো। নাফিজ আয়নার সামনে নিজেকে দেখে অট্টহাসি দিয়ে বলে বড়োলোক্স নাফিজ বড়োলোক্স।
,,,,,,,,,
আনাম অফিস থেকে আশার সময় হাতে করে বড় একটা বাক্স নিয়ে আসে। নয়না দরজা খুলতে আনামের হাতে বাক্স দেখে আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করে এতে কি?
___তোমার সব জানতে হবে?
___বললে কি হয়।মনে হচ্ছে নিয়ে যাব।
___তোমার জন্যেই তো আনা তুমি নিবে না?
আমার জন্য বলেই নয়না বাক্সটি টেনে দৌড়ে রুমে যায় খুলে ফেলে।
___কি মেয়ে তুমি দুইটা মিনিট ধৈর্য্য হয়না নাকি?
__এমন খ্যাচ খ্যাচ করেন কেনো?
আনাম আর কিছু বলেনা। নয়না বাক্সটি খুলে অবাক হয়ে বলে এতো চুল বাধাঁর সরঞ্জাম এতগুলো?
___হুমম তোমার জন্য এনেছি। তোমার চুল গুলো আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। আর পছন্দের জিনিসের যত্ন করতেও আমার খুব ভালো লাগে।
নয়না একটু লজ্জা পেয়ে বলে তাই বলে এতো কিছু এগুলো সব তো এক বছরেও ব্যবহার করা হবে না।
___কেনো হবে না? রেগুলার নতুন নতুন জিনিস দিয়ে বিভিন্ন স্টাইল করে আমার চোখের সামনে হাঁটবে। পরে আরো কিনে দিবো।
___এগুলো একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না।
আনাম নয়নাকে নিজের কাছে টান দিয়ে বলে কি বেশি হয়ে যাচ্ছে?আনাম নয়নাকেয়ক্ত করে নিজের সাথে লেপ্টে ধরে আনামের গরম নিশ্বাস নয়নার ঘারের উপর পড়ছে। আনাম নয়নার মাথার কাটা টান দিয়ে নয়না খোপা খুলে ফেলে। নয়না কে ঘুরিয়ে চুল গুলো পিছন দিকে ছড়িয়ে নয়নাকে অপলক দৃষ্টিতে দেখতে থাকে।
হটাৎ রায়হানের ফোন আসে। আনাম নয়নাকে ছেড়ে দিয়ে রাগি স্বরে বলে_
___এই শালা ফোন দেওয়ার আর সময় হয়না তোর?
___কেনো ভাই ভাবিকে নিয়ে ব্যস্ত মনে হচ্ছিল।
__সব তো নষ্ট করে দিছো জিজ্ঞেস করে আর কি হবে। এখন বল কি খবর?
___ছাব্বিশ তারিখ বিয়ের ডেট ফিক্সড। এখন তুই কি করবি?
___ওহহ নো! এত তারাতাড়ি সু্যোগ আসবে ভাবতেই পারিনি। ওকে আমি তোকে মেইল পাঠাচ্ছি সেইটা চেক দে মানুষের মান সম্মান নিয়ে খেলা কতটা ভয়ংকর হতে পারে এবার ওরা বুঝতে পারবে। _____________
চলবে,,,,,,,,