কলংকের বিয়ে পর্ব-১০

0
15

#কলংকের_বিয়ে
#ইসরাত_জাহান_এশা
#পার্ট_১০

১৭

নিহানের বিয়ের দিন চলে আসে। নিহান নাফিজাদের বাড়ি থেকে পাঠানো শেরওয়ানি পাগরী পড়ে তৈরি হচ্ছে যত যাই হোক বিয়ে তো! নিহানের মধ্যে কেমন লজ্জা লজ্জা ভাব আর এক্সাইটমেন্ট কাজ করছে। ওদিকে নাফিজাও পার্লারে গিয়েছে সুন্দর করে সাজতে। আয়েশা বেগমের সামনে মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছে কিন্তু মনে কোনো আনন্দ নেই মনের ভিতর অজানা এক ভয় ভিতর টা যেনো বার বার চুপসে যাচ্ছে। খালি মনের মধ্যে খুচুরখুচুর করছে কি যেনো হতে চলেছে কি যেনো হতে চলেছে। রাজ্জাক ভূঁইয়া আয়েশা বেগম কে উদ্দেশ্য করে বলে তোমার মুখচোখ এমন লাগছে কেনো? মনে হচ্ছে কিছু নিয়ে আতংকে আছো?

___কই কিছু না। এমনিতেই ভয় হচ্ছে একবার মেয়েটার সাথে এমন হলো আবারো যদি হয়। মনটা অশান্তি হয়ে আছে।
__চিন্তা করো না।
রাজ্জাক ভূঁইয়া মনে মনে ভাবেন নয়নাকে কতদিন দেখি না। ছেলেটা মেয়েটার সাথে কি ব্যবহার করছে তাও জানি না। ঐদিন মেয়েটাকে এতো জোরে মারলাম পরে কেমন হলো তাও জানি না কাউকে জিজ্ঞেস করারও সাহস হয় না। আজ আমার বাড়িতে কত বড় আয়োজন আর আমার মেয়েটাকে আমি এক কাপড়ে বের করে দিয়েছে। ওর মা বেঁচে থাকলে আজকে সবটা ঠিক হয়ে যেত।

এদিকে আনাম গোপনে পরিবার নিয়ে রায়হানদের বাড়িতে আসে। আনাম আর রায়হানের বাড়ি একই জেলায়। আনাম সরাসরি বাড়িতে আসলে জানাজানি হবে তাই প্রথমে রায়হানদের বাড়িতে যায়। আনাম বিছানায় শুয়ে আছে নয়না বসে বসে আজকে কি হতে পারে সেটাই গালে হাত দিয়ে ভাবছে। আনাম বলে তোমাকে তো বধুরূপে দেখলাম না রূপসীকন্যা।
___সবার ভাগ্যে কি আর বউ সাজা থাকে? আমার মত কলংকীনির যে বিয়ে হয়েছে আবার আপনার মত স্বামীও জুটেছে এটাই তো অনেক এই দুনিয়ায় এতিমদের বেঁচে থাকা অনেক কঠিন।
___দূর এসব কথা বলো না। নাফিজা একটা ভালোকাজ করেছে যদি মানসম্মান এভাবে না খুয়ে অন্যভাবে তোমার আমার মিল করে দিতো তাহলে আমি ওরে সারাজীবন মাথায় করে রাখতাম। তুমি আমার মনের মত বউ। তোমার চুল গুলো ছিলো আমার কল্পনা তোমার মত সতী নারী আমার দুনিয়া আখিরাতের চিন্তার কল্পনা।তোমার চোখের দিকে তাকালে মনে হয় দুনিয়ায়র সব কিছু তোমার চোখে ভেসে উঠে তুমি যা দেখাতে চাও তাই দেখব। তোমার মায়াবী মুখের দিকে তাকালে আমার হৃদয়ে প্রশান্তি বয়ে যায়।
তোমার শরীর___
নয়না একটু বিব্রত হয়ে বলে আমার শরীর কি?কথা বলতে বলতে একদম লিমিট ছেড়ে যায়।
___নাহ মানে তোমার শরীরের শ্যাম বর্নটা আমার বেশ প্রিয় এক কথায় বলতে গেলে আমি জীবনে একটা বউ হিসেবে যেমন মেয়ে চেয়েছি সেটাই তুমি। আমার চাওয়ার সাথে তোমার মাঝে কোনো ত্রুটি নেই।
___হয়েছে হয়েছে আর পাম দিতে হবে না। অসুস্থ মানুষ রেস্ট করেন। আবার ওদিকে যেতে হবে।
___শোনো না তোমার জন্য একটা গিফট এনেছি।
___কি গিফট?
__তুমি এখানে বস আমি বের করে আনছি।
__আপনি আমাকে বলুন কি আনতে হবে। আপনি অসুস্থ আপনার যেতে হবে না৷
__বসো তুমি আমিই দিচ্ছি।
আনাম একটা ব্যাগ নিয়ে নয়নার সামনে দেয়।
__এই ব্যাগটা কখন আনলেন এটা তো আমাদের সাথে ছিলো না।
__এটা তোমার থেকে লুকিয়ে এনেছি।
নয়না ব্যাগ খুলে দেখে একটা বেনারসি সাথে নাফিজাকে দেওয়া গয়না।
___এগুলো এখানে কেনো?
___ আমি তো অসুস্থ না হলে আমি যেতাম। রায়হানের বউ তোমাকে পার্লারে নিয়ে যাবে আর ওখান থেকে তোমাকে তোমাদের বাড়িতে নিবে।
__কি বলছেন এসব? জানাজানি হবে আগেই সব।
__কিছুই হবে না।ওখানে আমাদের লোক আছে তুমি তোমার রুমে বউ সেজে বসে থাকবে। এদিক আমরা সামলে নিবো। আর ভাবি তো তোমার সাথে থাকবে উনি অনেক চালাক সব সামলে নিবে।
__সত্যি আমি বউ সাজব?
__হ্যা তুমি বউ সাজবে আর আমি তোমাকে বউয়ের সাজে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসব।
__আমার খুব ভয় করছে। কত অপমানিত হয়ে ঐ বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছি হুট করে ওখানে গেলে।
___উফফস চিন্তা করো না। আমার আরো লোক আছে ঐখানে তোমার কোনো অসুবিধা হবে না।

রায়হানের বউ নয়নাকে নিয়ে পার্লারে চলে যায়। আনাম রায়হান রেডি হয়ে সকল প্রমাম নিয়ে মুখে মাক্স পড়ে বের হয়। স্টেশনে অপেক্ষা করছে নিহানের প্রথম পক্ষের বউ আর ছেলের জন্য।

রফিক তালুকদার রেহানা বেগম কে নিয়ে বাড়িতে আসে। এসেই ভারায় কিছু লোকজন এনে বাড়ি ঘর পরিস্কার করানো শুরু করে।গ্রামে রফিক তালুকদার কে দেখে সবাই জিজ্ঞেস করে ছেলে বউ আসেনি?
___না ওরা ঢাকায় ছেলে অসুস্থ। আমরা দুজন এসেছি ঢাকায় ভালো লাগে না। তাই চলে এসেছি।
__ভালোই করেছেন কতদিন আর লুকিয়ে থাকা যায়।
রফিক তালুকদার একটু রাগ নিয়ে বলেন তোমরা অহেতুক কথা বলে সময় নষ্ট করো না আমার অনেক কাজ আছে অনেক দিন বাড়িতে ছিলাম না বাড়িঘর নোংরা হয়ে অলিতে বালিতে খেয়ে ফেলেছে।

১৮,
দুপুর দেড়টা বিয়ের বড়যাত্রী মসজিদে বিয়ের কাজ শেষে যহুরের নামাজ পড়ে বিয়ের প্যান্ডেলে ঢুকেছে।
চারোদিকে খাবার আনা নেওয়া অথিতি আপ্যায়নে সবাই ব্যস্ত চারোদিকে গমগম একটি পরিবেশ। নিহানের সামনে আস্ত খাসি বড় প্লেটে জামাইয়ের জন্য খাবার সাজানো। নিহান যখন প্লেটে হাত দিবে আনাম তখন বলে আস্তে দুলাভাই বাড়ির ছোট জামাইকে রেখে কিভাবে খাওয়া শুরু করেন?এটা অনুচিত আর অসামাজিক কাজ।

কথাটা শোনা মাত্র রাজ্জাক ভূঁইয়া আনামের দিকে তাকায় ছোট জামাই মানে? আনাম এসেছে নয়না আসেনি? রাজ্জাক ভূঁইয়া একটু এগিয়ে সকল দৃশ্য দেখতে থাকেন।

নিহান আনামের কথা শুনে উঠে দাড়িয়ে বলে কে তুই?
___আনাম মাস্ক সরিয়ে বলে চিনতে পারছিস না?
___তুই না কোমায় ছিলি?
___হ্যাঁ কোমায় ছিলাম। কিন্তু তোর বিয়ে খাওয়ার লোভ সামলাতে না পেরে কোমা থেকে সরাসরি বিয়েতে চলে এসেছি৷
আনাম রায়হানকে নিয়ে নিহানের পাশে গিয়ে বসে পড়ে।
___কি ভাবছিস আস্তা খাসি একলা খাবি? এই কপাল তোর নাই এই কপাল হলো আমার। এর আগেও এই বাড়িতে আস্ত খাসি খেয়ে গেছি৷ আজ আবার আস্ত খাসি আর মোরগ খাব৷
__তুই এখানে ফাইজলামি করতে আসছো? লজ্জা নাই জীবনে? এতো অপমানিত হয়ে এই বাড়ি ছেড়ে দিলি তাও এই বাড়িতে তুই?

বিয়েতে থাকা নারী পুরুষ সবাই একটা জটলা পাকিয়ে ফেলেছে সবাই তাকিয়ে আছে কি হতে চলেছে। আয়েশা বেগম সব কিছু শুনে প্যান্ডেলের মধ্যে দৌড়ে এসে বলে তুমি এখানে কেনো?
___একবার আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করে শান্তি হওনি?
আনাম হাসতে হাসতে বলে শাশুড়ী মা আপনারা কি অসামাজিক লোক ছোট জামাইকে দাওয়াত না করে বিয়ের এতো বড় আয়োজন করছেন আপনাদের সন্মান বাঁচাতে আমি চলে এসেছি।

নাফিজ আনামের সামনে রাগে তেরে আসে। আনাম একটা ঠাস করে চর দিয়ে বলে অনেক বেয়াদবি করেছিস তোর কলিজায় তো সাহসের শেষ নেই রায়হানের হাতে এটা কি দেখেছিস? একদম পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিব দূর হ সামনে থেকে।
নাফিজ রায়হানের হাতের ছুরি দেখে দূরে সরে যায়।

___তুই এখানে কেনো এসেছিস?
___বললাম না বিয়ে খেতে এসেছি সাথে আস্ত খাসি।
__এই কেউ পুলিশ ডাকো।
পিছন থেকে একজন মহিলা একটা তিন বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে বলে পুলিশ তোকে ডাকতে হবে না। পুলিশ আমি সাথে করে নিয়ে এসেছি।
___মিতালি তুমি এখানে?
___হ্যাঁ আমি এখানে। শো**য়ার বাচ্চা তোর সাহস কত্তো বড় বউ বাচ্চা রেখে আবার আরেকটা বিয়ে করিস? তোর এতো বড় কলিজা হয়েছে?
__মিতালি তুমি ভুল বুঝতেছো আমি তোমাকে সবটা বুঝিয়ে বলছি একটু শোনো প্লিজ।

আনাম বলে চুপ! তোকে আজ কিছু বোঝাতে হবে না। আজ আমরা তোকে বুঝাব পাপের ঘড়া পূর্ন হলে শাস্তি কিভাবে হয়।

ওদিকে নাফিজা দৌড়ে প্যান্ডেলে আসে আর বলে এখানে এসব কি চলছে?
এই তো আমার প্রাক্তন স্ত্রী চলে এসেছে।এই দেখো তোমার বিয়ের গিফট হিসেবে বাচ্চা সহ সতীন নিয়ে এসেছি পছন্দ হয়েছে কিনা জানিও। আচ্ছা আমার বউ কই আমার বউ কে কেউ নিয়ে আসো?
সবাই আনামের কথা শুনে অবাক বউ মানে। তখনি ঘর থেকে বউয়ের সাজে নয়না বেড়িয়ে আসে নয়নাকে দেখে আনাম তো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মাশাআল্লাহ আমার বউটা কত্ত সুন্দর আলহামদুলিল্লাহ।
নয়নাকে দেখে রাজ্জাক ভূঁইয়া বলেন নয়না মা তুই এসেছিস?
___হ্যাঁ বাবা আমি এসেছি। তবে তুমি আমার কাছে এসো না আগে আমার কলংকের ভাড়ি বোঝা মাথা থেকে বের হোক তারপর না হয় পবিত্রতার সাথে তোমাকে জড়িয়ে ধরব।
আনাম ভ্যাবলার মতো নয়নার দিকে তাকিয়ে আছে। রায়হান আনাম কে খোঁচা দিয়ে বলে তারাতারি ঝামেলা মিটা তারপর মন ভরে দেখিস সামনে এতো খাবার দেখে পেটের মধ্যে নাড়িভুড়ি ডিস্কো ড্যান্স শুরু করছে।

আনাম এবার সবার সামনে উদ্দেশ্য করে বলে এখন আমি আপনাদের সামনে কিছু প্রমান দিবো যে আমি আর নয়না নির্দোষ ছিলাম।

আনাম কিছু ছবি বের করে দেখায় আর বলে এই যে দেখতে পাচ্ছেন এগুলো নাফিজার সাথে নিহামের ছবি আমার বিয়ে হওয়ার আগের তোলা ছবি নিহান আর নাফিজার। আমাদের বিয়ের দুইবছর আগে থেকেই ওদের সাথে সম্পর্ক এবং সেটা শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। নাফিজ আর নাফিজা নয়নাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমার আর নয়নাকে বিরয়ানীর সাথে মেডিসিন মিশিয়ে খাওয়ায় এবং নয়নার বেডে এনে রাখে।এতে নাফিজাও সহজে আমার ঘারে দোষ দিয়ে ডিভোর্স পেয়ে যায় সাথে নয়নাকেও বাড়ি ছাড়তে হয়৷ আমাদের মধ্যে এতোবড় একটা কলংকের বোঝা দিয়ে দেয়।

রাজ্জাক ভূঁইয়া রাগে নাফিজাকে জিজ্ঞেস করে এগুলো কি সত্যি? নাফিজা কান্না করতে করতে বলে হ্যাঁ সব সত্যি।
রাজ্জাক ভূঁইয়া নাফিজাকে চর দিতে নিলে আয়েশা বেগম থামাতে যায়। রাজ্জাক ভূঁইয়া তখন হাত নামিয়ে বলে নাহ তোমার মেয়ের গায়ে হাত তুলতে আমার ঘৃণা করছে। তুমি সব জানতে তাই না? আমার মান সন্মান নিয়ে তোমরা এই ভাবে খেললে?
ছি ছি ছি!
যেই সন্তানের আশায় আমার প্রাণ প্রিয় স্ত্রী কে কষ্ট দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি আজ সেই পাপ আমাকে এতো যন্ত্রণা দিয়েছে আমি বেশ বুঝতে পারছি মতিকে আমি কতই না কষ্ট দিয়েছি।মতিকে কষ্ট দেওয়ার অভিশাপ হয়ত আমার জীবনে এই ভাবে নেমেছে। মতি সব সময় কান্না করত আর বলত আপনার ভাগ আমি কাউকে দিতে চাই না। তাও আমার সন্তান নেই ভেবে নিজেকে শক্ত করে আমার দ্বিতীয় বিয়ের সিন্ধান্তে রাজি হয়েছে। কাঁদতে কাঁদতে রাজ্জাক ভূঁইয়া চেয়ারের উপর বসে পড়ে।

নয়না রাজ্জাক ভূঁইয়ার কাছে গিয়ে বলে জানো বাবা আমার মা বেঁচে থাকত এই মহিলা আমার মাকে বিষ প্রয়োগ করেছে সেই প্রমানও আছে আমাদের কাছে।
রাজ্জাক ভূঁইয়া বসা থেকে উঠেই আয়েশা বেগমের সামনে চিৎকার দিয়ে বলে এই কথা কি সত্যি?
আয়েশা বেগম সরাসরি রাজ্জাক ভূঁইয়ার পায়ে পড়ে গিয়ে বলে ক্ষমা করুন আমাকে আমি আমার কাজের জন্য লজ্জিত অনুতপ্ত । রাজ্জাক ভূঁইয়া লাথি দিয়ে বলে মানুষ খুন করে তুমি অনুতপ্ত সাজো?
___আমার ভাবতেই তো খারাপ লাগছে।এতোদিন আমি আমার স্ত্রী খুনির সাথে সংসার করে গেছি। দেখো জীবনে কি পেয়েছো? আজ তোমার মেয়ের করুন অবস্থা দেখতে পাচ্ছ? অন্যের জন্য ফাঁদ পাত্তে গিয়ে নিজেই ফাঁদে পড়ছে এখন তোমার মেয়েও সতীনের সংসার করবে আর তুমি এই বয়সে হবে তালাক প্রাপ্তা জেলের কয়েদী।
আয়েশা বেগম চিৎকার করে বলে মাফ করুন আমাকে আমি ভুল অপরাধ সব করেছি নিজের সার্থের কথা ভেবে অনেক খারাপ কাজ করেছি।

রায়হান বিরক্তি নিয়ে বলে আপনারা কান্নার নাটক বন্ধ করুন। আমাদের কথা এখনো শেষ হয়নি। এই যে নতুন বর সাজা জা*নোয়ার টা ওর জন্য আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। আমার বোনের সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে ওকে বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে।তার পর থেকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে একটা সময় সহ্য না করতে পেরে আমার বোন দুনিয়া ত্যাগ করে।
এমনকি আনাম ওর ফুফাতো ভাই ওকে গুন্ডা দিয়ে মারার চেষ্টা করে। কিন্তু আল্লাহ যারে রাখে তারে কে মারবে?
আর আপনারা জানেন ওদের কাপরের ব্যবসা আছে কিন্তু সেই ব্যবসার পিছনে ওরা মাদক ব্যবসা করে। পুরো পরিবার ফ্রড।

গ্রামের কিছু লোক নিহানের এসব কথা শুনে বলে উঠে ঐ শালারে নামা শালায় এখনো ওখানে বসে আছে।বলেই নিহান কে টানতে টানতে নিচে নামায়।
উপস্থিত লোকেরা ইচ্ছে মত ক্যালায়। পুলিশ অবস্থা বেগতিক দেখে বলে আপনারা থামুন আমরা বিষয় টা দেখছি ওর যে অভিযোগ তাতে ফাসিঁ না হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।
এটা বলে নিহান কে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়। নিহানের চেহারা মাশাল্লাহ একদম লাল মিস্টি আলুর মত হয়েছে । নাফিজা নিহানের কাছে এসে বলে এতো বড় একটা প্রতারণা তুমি করতে পারলে?
কি করিনি তোমার জন্য আমি?
তোমার বউ বাচ্চা পর্যন্ত আছে। তাও তুমি আমাকে এই ভাবে ব্যবহার করলে। ছি!

নিহান কি বলবে নিহান ক্যালানি খেয়ে চোখে ঘুম ঘুম ভাব চলে এসেছে এখন এখানে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না। নিহানের বাবা মাদক ব্যবসার কথা ফাঁস হয়ে গেছে যেহেতু উনিও আশামি হবেন তাই আগেই কেটে পরেছেন।

এদিকে সকল পর্দা ফাসঁ হওয়ার পরে নিহানকে নিয়ে চলে যেতে শুরু করলে রাজ্জাক ভূঁইয়া বলেন স্যার আপনারা আরো একজন খুনের আশামীকে রেখে যাচ্ছেন এই মহিলা আমার প্রথম স্ত্রী কে খুন করেছে_________

চলবে_____