#অর্ধাঙ্গ
#মীরাতুল_নিহা
#পর্ব-৮
“ভাবী? তুমি খাইবা না?”
বাড়ির পুরুষ মানুষদের খাওয়া শেষে রিয়া খেতে বসেছিলো, তখুনি পারুলের উদ্দেশ্য প্রশ্নটা করে,
“ভাল্লাগতাছে না রিয়া, পরে খামুনি।”
“ক্যান? কি হইছে তোমার?”
“কিছু না, তুমি খাইয়া লও।”
“আইচ্ছা।”
রিয়াও আর কিছু না বলে তার নিজের খাওয়ায় মনোযোগ হয়। মেয়েটা এরকমই, কখনো কখনো কি করে বসে, নিজেও জানে না। তবে দুই ভাইয়েরই বড্ড আদুরে। বিশেষ করে সজীবের, সেজন্যই সবার বিরুদ্ধে গিয়েও গায়ের মানুষদেরকে পরোয়া করে বোনকে পড়াচ্ছে টুকটাক। তবে যে অভাব শুরু হয়েছে, রিয়ার পড়াশোনা আর কদ্দুর এগোবে, সেটার নিশ্চয়তা নেই! খাওয়া দাওয়ার পালা শেষ করে যে যার মতন দুপুরবেলা বিশ্রাম নিচ্ছে। পারুল সব কিছু গুছিয়ে আসতে আসতে দেখে সজীব চৌকির এক কোনায় বসে আছে, মুখ ভার করে। যেন কিছু একটা হয়েছে, সেই ছাঁপ চোখেমুখে! সজীব পারুলকে দেখেই বলে,
“তুই ভাত খাইলি না ক্যান?”
পারুল স্বাভাবিক ধীর কন্ঠেই উত্তর দেয়,
“পরে খামু।”
“বেলা কদ্দুর হইছে? পরে আর কতক্ষণ খাবি?”
“খামুনি, আমার সময় হইলে।”
পারুলের উত্তর শুনে সজীব দ্রুতপায়ে ঘর থেকে প্রস্থান নেয়! পারুল চিন্তিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো, সজীবের যাওয়ার পানে। একটু আগে মিষ্টি নিয়ে যে কান্ড হলো, আবার না কি করে বসে সজীব, সে ভয় বুকে নিয়ে বসে রইলো। কিন্তু পারুলের ভয়ে এক বালতি পানি ঢেলে দিয়ে সজীব মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ঘরে ফিরে এলো! সাথে হাতে খাবারের প্লেট। প্লেটের একপাশে ভাত, আরেক পাশে ডাল আর ভর্তা! সজীব কিছু না বলে চুপচাপ পারুলের কাছে গিয়ে বসে, ভাত মাখিয়ে পারুলের মুখের সামনে তুলে ধরতেই পারুল স্থির হয়ে কেবল বসেই রয়েছে, যন্ত্রের মতন। যেন নড়াচড়া ভুলে গেছে! সজীব একবার পারুলের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে,
“কি’রে? খাইবি না-কি, তহনের মতন ভাতও ফালান লাগবো?”
কথাটা কর্নকুহুরে শ্রবণ হতেই পারুল নড়েচড়ে বসলো। হা করতেই ভাতের গ্রাস তুলে দিলো সজীব। পারুল ছোটো বাচ্চাদের মতন চুপচাপ খেয়ে নিচ্ছে, আর অবাক দৃষ্টিতে স্বামীর দিকে তাকিয়ে আছে। সজীব মাঝেমধ্যে কিছু কাজ করে, পারুলের অবাকের ঘোর কাটেই না! নিজের হাতে খাইয়ে দেওয়া ঠিক তেমনি। ওদিকে ডাল দিয়ে ভাত খাওয়াতে গিয়ে যতবার ভাতের লোকমা হাতে তুলছে, হাতের আঙুলের ফাঁক দিয়ে ডাল গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে। খাওয়াতে পারছে না ভালোমতন। শেষমেশ বলেই ফেললো,
“এবার নিজের হাতে খাইতে পারবি তো?”
পারুল মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ নামক উত্তর বোঝাতেই সজীব হাত ধুয়ে আসলো। পারুল তখন খাওয়ায় ব্যস্ত, মুখে না বললেও পেটে বেশ ক্ষিদেও।
“আমি জানি, তুই ভাত খাইতি না। হেই লাইগ্যাই খাওয়াই দিছি!”
“ক্যামনে জানেন?”
পারুলের প্রশ্নে সজীব মৃদু হেঁসে বলে,
“সংসার তো একদিন দুইদিনের না।”
পারুল সজীবের কথায় কোনো উত্তর দিলো না। নিঃশব্দে খাবার শেষ করে, ধুয়ে এল প্লেট, তারপর ক্লান্ত পদক্ষেপে রুমে ফিরে বিছানার এক প্রান্তে আলগোছে শরীর রাখলো। ঠিক তখনই সজীব কথা বলতে শুরু করল, কণ্ঠে অনুতপ্ত কোমলতা,
“ তহনের লাইগ্যা আমার উপর রাগ করিস না। আসলে টেকা পয়সা নিয়া, মনটা ভালা ছিলো না৷”
পারুলের ঠোঁটের কোণে অস্ফুট এক ‘হুঁ’ শব্দ ফুটে উঠলো। সেই স্বরে যেন জমে থাকা নীরব অভিমানের ছায়া স্পষ্ট। সজীব নিঃশব্দে এগিয়ে এসে তাকে আলতো করে বুকে জড়িয়ে ধরলো।
এই সামান্য স্পর্শেই পারুলের সমস্ত ভাঙাচোরা অভিমান গলে গেলো। নির্ভরতার কোমল বৃত্তে নিজেকে হারিয়ে ফেললো সে।
কিছুক্ষণ পর, আসরের আজানের মৃদু ধ্বনি কানে আসতেই পারুল ঘুমভাঙা চোখে উঠে বসে। পাশ ফিরেই খালি বিছানা ভাবন্য় পড়ে যায়। সজীব পাশে নেই, নিশ্চয়ই কাজে বেরিয়েছে। মানুষটা সংসারের জন্য টাকার পিছে ছুটছে! চোখেমুখে ঘুমের শেষ রেখা মুছে অযুর জন্য উঠে পড়ে সে। বিয়ের পর এ রকম একটানা ঘুম পারুলের কপালে খুব কমই জুটেছে। প্রায় সব দুপুরেই তো জমেলা বেগমের উচ্চ কন্ঠে আদেশ,
“ওটা করো, এটা ধরো!”
সেসব মনে আসতেই চোখের কোণে হালকা জল জমে পারুলের, এমন অবিরাম চেঁচামিচি, এতসব কি শুধুই অপছন্দের বউমা বলে? নাকি এরও গভীরে কোনো অজানা বিষ আছে?
নামাজ শেষ করে পারুল চুপচাপ রিয়ার ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। দরজা ঠেলে উঁকি দিতেই দেখে, রিয়া অগোছালোভাবে বিছানায় ছড়িয়ে আছে। চোখ দুটি খোলা। অথচ কি যেন দৃষ্টিতে চেয়ে আছে শূন্যে।
পারুলের উপস্থিতি টের পেয়ে রিয়া নিচু গলায় বলে,
“কিছু কইবা নি ভাবী?”
“এমন পাগলের মতন, হইয়া আছো যে!”
রিয়া উঠে বসতে বসতে প্রতি উত্তর করে,
“শইলডা ভাল্লাগে না, ভাবী!”
“মাথার চুল গুলা তো কাকের বাসার, মতন হইয়া রইছে।”
“আম্মায় থাকলে তেল দিয়া চুল আঁচড়াইয়া দিতো। আমার ওসব ভাল্লাগে না!”
পারুল কি জানি কি ভাবলো রিয়ার কথায়, তারপর দ্রুত পায়ে তার ঘরে গিয়ে নারকেল তেলের বোতলটা নিয়ে আসলো, রিয়ার রুমে। রিয়ার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলতে আরম্ভ করলো,
“আম্মা নাই তো কি হইছে? আমি আছি না? আইয়ো তেল দিয়া দিই।”
রিয়া প্রথমে অবাক হলেও নিজেক স্বাভাবিক করে উত্তর দিলো,
“আইচ্ছা।”
“ঘরে তো গরম, বাইরে আইয়ো।”
পারুলের কথায় রিয়া উঠোনে গিয়ে দাঁড়ালো।
“পিছনে আইয়ো, ওইহানে ঠান্ডা আছে।”
“তুমি যাও, আমি পিঁড়ি নিয়া আই, বওনের লাইগ্যা।”
পারুলের পিছু পিছু রিয়া রান্নাঘরে গিয়ে দুটো পুরনো পিঁড়ি হাতে ফিরলো। তারপর দুজনে মিলেমিশে হাঁটতে হাঁটতে আমগাছের ছায়ায় গিয়ে বসে। গাছের পাতা ছুঁয়ে হালকা বাতাস বইছিলো, যা শরীর শান্তি করে দেবার মতন! পারুল যত্নে মমতার ছোঁয়ায় রিয়ার চুলে বিলি কেটে কেটে তেল দিতে লাগলো। রিয়ার চোখের পাতায় নামতে শুরু করল অলস ঘুমঘোর। আরাম আর নির্ভরতায় সে প্রায় অচেতন হয়ে এলো।
তেল দেওয়া শেষ করতেই, আধো ঘুম-আধো জাগরণে রিয়া হালকা গলায় বলল পারুলকে
“ভাবী? মাথাত উঁকুন অইছে মনে হয়, একটু দেইখ্যা দিবা নি?”
“আইচ্ছা দিতাছি।”
পারুল বেশ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে রিয়ার মাথার চুলগুলো বেছে বেছে উঁকুন বাছতে লাগলো। আরামে রিয়া তখন ঢুলঢুলু অবস্থা!
“ও রিয়া? ঘুমাই গেলা নি কুনো?”
পারুলের ডাকে রিয়ার লেগে আসা চোখ বড়বড় হয়ে উঠে! চোখে এখনো ঘুমের রেশ,
“কও ভাবী?”
“আমার অহন উঠতে হইব, কাম আছে।”
রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টিতে পারুলের দিকে তাকাতেই, পারুল বলে,
“পাতা শুকায় নাই ভালা মতন, যা আছে কয়দিন যাইব, ঘুঁটে দিমু ভাবতাছি।”
“গোবর কই পাইবা? আমরা তো গরু পালি না।”
“শিমুগো বাড়িত যাইয়া দেহি।”
“আইচ্ছা যাও, তাইলে।”
পারুল উঠে চলে যেতে নিচ্ছিলো তখুনি রিয়া ডাক দেয় আবার,
“ধন্যবাদ ভাবী, এহন থাইক্যা তুমিই তেল দিয়া দিও।”
পারুল মুঁচকি হেঁসে রিয়াকে বিদায় জানিয়ে শিমুদের বাড়ির উদ্দেশ্য কদম ফেললো। চিকন রাস্তা ধরে কয়েক মিনিট হাঁটলেই শিমুদের বাড়ি। যেই বাড়িতে জমেলা বেগম গিয়ে গিয়ে কূটনামী করে বলে ধারনা কামাল হোসেনের। পারুল ঘরের সামনে গিয়েই বড় করে ডাক দিলো,
“চাচী আম্মা? ও চাচী আম্মা! আছেন নি কুনো ভিতরে?”
ঘরের ভেতর থেকে শেফালী বেগম পান চিবোতে চিবোতে এসে বাহিরে দাঁড়ালেন,
“ঘরে থাকুম না, তো কই যামু?”
“একটা দরকারে আইছি গো চাচী।”
“দরকারে যে আইছো, হেইডা আমি বুঝছিই। দরকার না হইলে নি তুমি আইতা।”
শেফালী বেগমের খোঁচা মারা কথার বিনিময়ে পারুল হেঁসে হেঁসে জবাব দেয়,
“চাচী রাগ হইয়েন না, আমি তেমন কারো ঘরেই যাই না! সংসারের কামে কাইজেই দিন পার করি।”
“এতো কাম তোমার! জমেলা বুঝি কিছুই করে না?”
শেফালী বেগমের কথায় কি প্রতি উত্তর দিবে পারুল বুঝতে পারলো না, একটু ভাবতেই শেফালী বেগম এর অভিসন্ধি বুঝতে পেরে উত্তর দিলো,
“আম্মা কি করবো? হেয় তো বুড়া হইয়া গেছে।”
“টুকটাক সাহায্য তো করতে পারে, আমিও তো করি। তাইলে তোমার হাউরি ক্যান করে না?”
“আমি একাই যথেষ্ঠ চাচী!”
পারুলের উত্তর শুনে মুখটা বাঁকা করো ফেললেন শেফালী। বুঝলেন কিছু হবে না হয়ত।
“আইচ্ছা কও, ক্যান আইছো?”
“আমনে তো গরু পালেন চাচী, গোবর আমনের কামে লাগে না হেইডা আমি জানি, হেই লাইগ্যাই আইছি।”
“গোবর নেওনের লাইগ্যা?”
“হ, চাচী।”
“গোবর তো আশুর মা’য় লইয়া গেছে গা একটু আগেই।”
কথাটা শোনা মাত্রই পারুলের হাসিখুশি মুখখানা মলিন হয়ে গেলো! সেটা দেখে শেফালী বলে,
“কাইলকা সকালে আইলে পাইবা।”
“আইচ্ছা, তয় আমি গেলাম।”
পারুল সেখান থেকে চলে যায়।
বিকেলের আকাশটা ধীরে ধীরে সোনালি রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। সূর্যটা যেন ক্লান্ত ভ্রমিকের মতো পশ্চিমের গাছপালার আড়ালে হেলে পড়ছে, হালকা বাতাস বইছে গাছের পাতায় পাতায় মৃদু মর্মর ধ্বনি তুলে। দূরে কোথাও একটা কাক ডাকছিলো একটানা, পারুল সব কাজ শেষ করে, হাত মুখ ধুয়ে ঘরের ভেতর ফিরছে। এক সপ্তাহ কেটে গেছে। গৃহের চৌহদ্দিতে এখন এক অদ্ভুত নীরবতা, কথার খোঁচা নেই, দুচোখের অব্যক্ত অবজ্ঞা নেই, কাঁটা হয়ে থাকা আদেশ-উপদেশ নেই। বারান্দার কোণায় রাখা চেয়ারটায় ধুলোর পাতলা আস্তরণ জমে উঠেছে যেখানে বসে জমেলা বেগম একসময় চোখের তীর ছুড়ে দিতেন বউমার দিকে। ভিতরে যাবার সময় তখুনি শ্বশুর মশাইকে দেখতে পায় পারুল, কন্ঠস্বর শুনে থেমে যায় পদচারণ।
“বউমা? হুনো তো।”
হুট করে কামাল হোসেনের ডাক শুনে থমকে দাঁড়ায়!
“জ্বী আব্বা, কন।”
“কিছু কথা কই, রাগ অইও না আবার।”
“না না আব্বা, আমনে তো আমার আব্বা আর আমি আমনের মাইয়ার মতন। মাইয়াই কি রাগ হইতে পারে বাপের কথা হুইন্যা?”
কামাল হোসেনের ঠোঁটে তখন উপচে পড়া হাসি, পারুলের কথা শুনে। যেন এমন কিছুই সে প্রত্যাশা করছিলো!
“তোমার হাউরি আর আমার সংসারের বয়স ত্রিশ বছরের বেশি হইয়া যাইব। জমেলারে যহন বিয়া কইরা আনছিলাম? হে’র তখন বয়স কম আছিলো। সংসারের সব কাম হেয় নিপুন হাতে করতো। সুখে শান্তিতে আছিলো, সবই ঠিকাছে কিন্তু জমেলার মেজাজ একটু খিটখিটে টাইপের। এইডা আসলে ওর দোষ না, অয় যে পরিবেশে মানুষ হইছে হেই পরিবেশের দোষ! কথায় আছে না সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে? হেই লাইগ্যাই এমন হইছে।”
পারুল মনোযোগ দিয়ে শ্বশুড়ের কথা শুনছিলো, কামাল হোসেন একটু থেমে আবারো বলে,
“হের উপরে তোমার বাচ্চা কাচ্চা হইতে দেরি হইতাছে, হেই লাইগ্যা হেয় তোমার লগে একটু রাগ দেহায়, তয় বেশি হইয়া গেলে আমি শাষনও করি হেইডাও দেখো না?”
“হু!”
“আইজকা এক সপ্তাহ হইয়া গেছে, জমেলা আওনের কুনো খবর নাই। আমার মনে হয় হেরে না আনলে হেয় আইবো না।”
পারুল নিশ্চুপ, কামাল হোসেন পুনরায় বললেন,
“যতই হউক, জমেলা ঘরের কর্তী, ওর ফিরা আওনের দরকার। সজীবরে কইও ওর মা’রে আনতে যাইতে।”
পারুল বাধ্য মেয়ের মতো মাথা নুইয়ে সম্মতির জানান দিল। কামাল হোসেন সন্তুষ্ট মনে পেছন ফিরতেই পারুলের বুকের ভেতর এক অদ্ভুত শঙ্কা। এই ভয় জমেলা বেগমকে ঘরে ফেরানোর জন্য নয় বরং, সজীবের খালার বাড়িতে যাওয়ার সম্ভাবনায়।
পারুলের মনে কাঁটার মতো প্রশ্ন ফুটে উঠলো
সেখানেই যদি তার শাশুড়ি কোনো চক্রান্ত করে বসেন? অজানা আতঙ্কে থরথর করে উঠলো তার ভিতরটা। চোখেমুখে অস্থিরতা নিয়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে পারুল বাড়ির বাইরে রাস্তার ধারে এসে দাঁড়ালো। জমেলা বেগমের পুরনো কথা মনে আসতেই মনের ভেতর যেন আরও বেশি অস্বস্তি কাজ করছে!হঠাৎ দূরে চোখ গেলো তার। দেখে সজীব ফিরছে বাড়ির দিকে! হঠাৎ পথের পাশে স্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকা পারুলকে দেখে একটু থমকে গেল সজীব
“কিগো তুমি এনে খাড়াইয়া রইছো যে?”
“এমনিই!”
“জলদি ভিতরে আইও।”
পারুল সেখানেই দাঁড়িয়ে সজীবকে প্রশ্ন করে,
“কি অইছে?”
“কাম করা বাকি টেকা গুলা পাইছি।”
“তাইলে তো খুশির খবর!”
“হ, একটু কয়দিনের লাইগ্যা নিশ্চিত হইতে পারমু।”
সজীব ভেতরে যেতে নিচ্ছিলো তখুনি পারুল বলে উঠে,
“আব্বা কইছে আমনেরে আম্মারে আনতে যাইতেন, আম্মারে নিয়া আইয়েন যাইয়া। তয় লগে আমারে নিবেন?”
এই কথা শুনে সজীব কেমন যেনো দৃষ্টিতে পারুলের দিকে তাকায়। পারুলের দৃষ্টি নত, মনে সংশয়, সজীব কি তার কথা মেনে নিবে? যদি না নেয়! এবার যে বাড়াবাড়ি হলো যদি তার আম্মা কিছু করে বসে? তার তো ইচ্ছে ও নেই সজীবের খালার বাড়ি যাওয়ার! শুধু নিশ্চিন্ত হতে ভেবেছে যাওয়ার কথা।
চলবে।