#অর্ধাঙ্গ
#মীরাতুল_নিহা
#পর্ব-১৫
দিনভর ঝলসানো রোদে হাঁসফাঁস করা দুপুরটা ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে। নারকেল গাছের পাতাগুলো দুলে উঠছে, হঠাৎ হাওয়া একটু বেশি জোরে বইতে শুরু করল। শুকনো ধুলোর পরত উড়ে গিয়ে জানিয়ে দিলো আসছে বহুকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি, গ্রীষ্মের ক্লান্ত দুপুরে যার জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করে মানুষ। বাতাসের শো শো শব্দে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসলো পারুল। ঠান্ডা বাতাস সর্বাঙ্গ শীতল করে দিচ্ছে। চোখ বন্ধ করে শান্তির বাতাসকে গায়ে জড়িয়ে নিচ্ছে মন ভরে।
“বউমা! বৃষ্টি দিয়া মুরগীর ছানাগুলা ভিইজ্যা যাইব। তাড়াতাড়ি তাগো খাঁচায় ভরো।”
শ্বাশুড়ি মা’য়ের আদেশে পারুল উঠোনের শেষ মাথা থেকে মুরগী গুলোকে দৌড়িয়ে খাঁচায় ঢোকায়। দড়িতে জমে থাকা কিছু কাপড় হাতে নিয়ে ঘরে ঢুকে আলনায় রাখার উদ্দেশ্য। ঠিক তখনি চালে টুংটাংটুং শব্দ হতেই পারুলের আর বুঝতে বাকি রইল না বৃষ্টি চলে এসেছে। হুট করেই মনটা বিষন্ন হয়ে উঠল। সজীব কাজের উদ্দেশ্য বেরিয়েছে, আকবর চাচা বলেছিল তার জমিতে কাজ আছে। এই বৃষ্টির মধ্যে তাও ভরদুপুরবেলা মানুষটা কাজে গেছে! তারউপর সজীবের ঠান্ডার ধাঁচ আছে। সে একবার বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ঘরে এসেছিলো। তারপর ধরলো ঠান্ডা! সেই ঠান্ডা থেকে কি জ্বরটাই না আসলো! গাঁয়ের কোনো কবিরাজের ওষুধে হয়নি, শেষমেশ শহড়ে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হয়েছিলো! টাকা তো খরচ হলোই সাথে কত ভোগান্তি! এসব ভাবতে ভাবতেই আচমকা বজ্রপাতের আওয়াজে পারুলের শরীর কেঁপে উঠলো! আবারো মনে জমে থাকা ভয়টা চাঙ্গা হয়ে উঠলো। মলিন দৃষ্টিতে ঘরের সামনে দরজায় মাথা ঠেকিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে পারুল। এই বুঝি মানুষটা আসলো!
“ও ভাবী! এমনে খাড়াইয়া রইছেন যে ভিইজ্যা যাইবেন তো!”
শরীফের কথায় ধ্যান ভাঙে পারুলের। পিছন ফিরে উত্তর দেয়,
“ভিজুম না, তুমি চিন্তা কইরো না।”
“এনে খাড়াইয়া রইছেন ক্যান তাইলে?
“এমনেই।”
“ভাবী! আমনে মিছা কথাও গুছাইয়া কইতে পারেন না। ভাইজানের লাইগ্যা অপেক্ষা করতাছেন, হেইডা আমি বুঝি।”
পারুল মৃদু হেঁসে বলে,
“বড্ড বুঝো দেখতাছি! বিয়ে দিয়ে দিব তাইলে? আমারও একটা সঙ্গী আইব!”
শরীফ মাথা চুলকাতে চুলকাতে লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গিতে বললো,
“ধুরো ভাবী! ওইসব ম্যালা পরে।”
“ও বউ! জলদি গামছা লইয়া আয়। সব ভিইজ্যা চুপ চুপে হইয়া গেলো!”
শরীফ আর পারুলের কথার মাঝখানে সজীব এস বললো। আচমকা সজীব দেখে দু’জনই অবাক! পারুল ভেতর থেকে গামছা এগিয়ে দেয় সজীবকে। সজীব চুলের পানি মুছে নেয়।
“আমনে কেমনে আইলেন? কামে গেছিলেন তো! আমি মনে করছি রাইতে ফিরবেন।”
“হ, ঘরে আইছিলাম একটা জিনিস নেওয়ার লাইগ্যা, পথে এরম বৃষ্টি হইলো।”
“ভালোই হইছে আমনে আইয়া পড়ছেন। এসব বৃষ্টি বাদলে দিয়া কাম করা লাগতো না!”
পারুলের কথা শেষ হতে না হতেই শরীফ বলে,
“নাইলে ভাবী তোমার চিন্তায এই বৃষ্টিতেই নিখোঁজ হইয়া যাইত!”
বলেই শরীফ হাসতে হাসতে ভেতরে চলে যায়। সজীব মাথাটা ভালো করে মুছে নিয়েই পারুলের দিকে তাকিয়ে বলে,
“তুই আমার লাইগ্যা বহুত করছস বউ।”
“ভেজা কাপড়ে এত কথা কইতে নাই। ঠান্ডায় ধরব, ভিতরে আইয়েন।”
ভিতরে গিয়ে সজীব জামাকাপড় বদলিয়ে নেয়। তারপর বলে,
“আমি তোরে তেমন কিছুই দিতে পারি নাই, তার লাইগ্যা রাগ করিছ না কেমন?”
“এখন যেডা চামু দিবেন? না হইলে রাগ করুম!”
পারুলের এরকম কথায় কিছুটা অবাকই হয় সজীব। যে পারুল কখনো মুখ ফুটে কিছু বলেইনি সে পারুল এভাবে বলছে! নিশ্চয়ই বড়কিছু। সেটা যত বড়কিছুই হউক না কেনো পারুল মুখ ফুটে তার কাছে চাইছে। সজীব সবটুকু দিয়ে সেটা পূরন করবে বলে মনস্থির করলো।
“আইচ্ছা ক, তোর কি চাই? যত বড় জিনিসই হউক না কেন, আমি দিমু!”
পারুল কিছুটা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বলে,
“অত বেশি কিছু না আমনে খালি আমার পাশে থাকবেন, কটু কথা থেইক্যা আগলাইয়া রাখবেন তাইলেই হইব!”
সজীব পলকহীন ভাবে পারুলের দিকে তাকায়। সে ভেবেছিল হয়ত পারুল দামী মূল্যবান কিছু আবদার করবে, অথচ মেয়েটার সেসবের প্রতি কোনো আগ্রহই নেই!
“কথা দিলাম তোরে, ঠিকাছে?”
পারুল মুঁচকি হেঁসে মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ বোধক উত্তর বোঝায়।
“খালা? দুদিন যাবত কত চেষ্টা ই না করতাছি! অথচ তোমার পোলা ফিরাও চায় নাই আমার দিকে!”
হতাশা ভরা কন্ঠস্বরে জমেলা বেগমের উদ্দেশ্য কথা তুলো বললো টুম্পা। চৌকির উপর আয়েশ করে বসে পান চিবচ্ছিলেন জমেলা বেগম। হুট করেই টুম্পার আগমন!
“পুরুষ মানুষ মাইয়া মাইনষে আঁটকায় ঠিকই, কিন্তু যে মাইয়া মাইনষের বাচ্চা হয় না, হেই মাইয়া মাইনষেরে বুকে না, পায়েও জায়গা দেয় না!”
জমেলা বেগমের কথায় টুম্পার মন ভরলো না,ফের আশাহত কন্ঠ নিয়ে বলে,
“ততদিনে যদি পারুলের বাচ্চা হইয়া যায়!”
“যার তিন বছরেও হইলো না, হের তিনদিনেই বাচ্চা হইয়া যাইব! ধুর ছেমড়ি! এত চিন্তা করছ ক্যান?”
“তাইলে কি করতাম?”
“তোর মা এত বুদ্ধি ধরে, আর তার ঘরে তুই এত বলদ কেমনে যে হইলি!”
জমেলা বেগমের কথায় কিছুটা মুখ কালো করে নেয় টুম্পা! খালা তাকে এভাবে বললো? জমেলা বেগম আরো বলতে লাগলেন,
“তোর আম্মায় কি বস্তা ভইরা জিনিসপত্র এমনে এমনে দিছে? দিছে আমারে খুশি করতে! তুইও তেমনি আমার পোলারে খুশি করতে কিছু কর!”
এবার টুম্পার ঠোঁটের কোনে দেখা দিলো মুঁচকি হাসি!
“আমি প্রাণপণে চেষ্টা করমু। আর সফল হইয়াই আমগো বাড়িতে যামু!”
“আমি অপেক্ষায় রইলাম মা!”
“কিসের অপেক্ষা করবা জমেলা?”
খালা বোন ঝি’র গোপন কথোপকথনের মাঝখানে ঢুকে পড়লো কামাল হোসেন! টুম্পার চোখেমুখে ভয়ের ছাপ! খালুকে সে বরাবরের মতনই ভয় পায়। এখনও সেই ভয়েই মাথা নিচু করে রেখেছে। কিন্তু পরিস্থিতি আয়ত্ত রাখার ক্ষমতা যেন জমেলা বেগম বেশ ভালোভাবেই রপ্ত করেছে, সেজন্যই সামাল দিতে বলে,
“টুম্পার বিয়ার!”
“ওহ্! হ রে টুম্পা, আমি তো অপেক্ষায় আছি কবে তোর বিয়া হইব!”
টুম্পা কিছু না বলে লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গিতে সেখান থেকে চলে যেতেই জমেলা বেগম উত্তর দেয়,
“খুব শ্রীঘই!”
বৃষ্টি থেমে গেছে কিছুক্ষণ আগে। মাটির গায়ে তার ভেজা ছোঁয়া এখনো রয়ে গেছে। চারদিকে এক ধরনের নরম শীতলতা, গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো কাদায় নরম হয়ে পড়েছে, ধুলো নেই। গাছপালাগুলো ধুয়ে-মুছে যেন নতুন হয়ে গেছে বৃষ্টির পানিতে। পাতাগুলোতে এখনো বিন্দু বিন্দু পানি, মাঝে মাঝে বাতাসে ঝরে পড়ে টুপ করে। পুকুরপাড়ের ঘাসে শিশিরের মতো জমে আছে জলকণা, সেখানে পা দিলেই চুপচাপ শব্দ হয়। দূরের বাঁশবনটা যেন আরও গাঢ় সবুজ হয়ে উঠেছে, হালকা হাওয়া বইলে পাতার ফাঁক দিয়ে গড়িয়ে পড়ে বৃষ্টির সচ্ছ পানি!
উঠোনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দুপুরের ভেজা কাপড় মেলে দিচ্ছে পারুল! বৃষ্টি থেমে গেলেও প্রকৃতি কি সুন্দর! এই বিকেলটা যদি একটু থেমে থাকত, আরও কিছুক্ষণ ধরে। তখনই পারুলের ধ্যানে কড়া নাড়লো সজীব। জমেলা বেগম তখন কলে বসে বসে হাত ধুচ্ছেন।
“ভাবী? ও ভাবী! একটু রং চা কইরা দিবেন? লগে চালভাজা! যদি চালের লগে কদ্দুর ডাইল ভাজা হয়! চালভাজা খাইতে খাইতে বৃষ্টি দেখতে বেশ ভাল্লাগে!”
শরীফের আবদারে পারুল উত্তর দেয়,
“আকাশ তো পরিষ্কার! বৃষ্টি কই পাইলা?”
“আরো হইব মনে হইতাছে!”
“হ, তুই তো গনক!”“আহ্ ভাইজান! আমার পিছু লাগিও না তো!”
“তুইও আমার বউর পিছু ছাড়! পারুল এহন আমার লগে যাইব!”
“কই যাইব ভাবী? আর ভাবী গেলে আমার চালভাজা! কে করবো!”
“রিয়া আছে না? খাড়া রিয়ারে ডাকতাছি!”
সজীবের ডাকে রিয়া ঘর থেকে বের হয়ে আসে, টুম্পাও রিয়ার সাথে ছিলো বিঁধায় সে-ও ঘর থেকে বেরিয়ে আসে রিয়ার সাথে। বেরিয়ে আসতেই সজীব বলতে আরম্ভ করে,
“আমি একটু তোর ভাবীরে নিয়া বাইর হই? তুই শরীফরে চালভাজা কইরা দিছ, পারবি তো?”
“পারমু ভাইজান, না পারলে টুম্পা আছে না! টুম্পায় বলে সব পারে!”
রিয়ার কথায় টুম্পা কিছুটা মুখ কালো করেই বলে,
“আমি? আর ভাবীরে নিয়ে কই যাইতাছো?”
“মেলায় যামু! ভাবছিলাম এই গরমে এত ভীড়ে দিয়ে মেলায় যাওয়া যায় না, কিন্তু বৃষ্টি হইছে দ্যাখ, প্রকৃতি কি ঠান্ডা! হেই লাইগ্যা ভাবলাম পারুলরে লইয়া যাই!”
সজীবের কথা শেষ হতে না হতেই টুম্পা উত্তর দেয়,
“মেলা! আমিও যামু তোমার লগে!”
টুম্পার কথা শোনা মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে পারুলের হাস্যোজ্বল মুখে কালো আঁধার নেমে আসে। সজীবকে সে ভালো করেই চেনে! কিন্তু পারুলকে অবাক করে সজীব উত্তর দেয়,
“না টুম্পা, তুই পরে যাইছ!”
সজীবের কথা শোনা মাত্রই টুম্পার মাথায় যেন বাজ পড়ে। মলিন দৃষ্টিতে জমেলা বেগমের দিকে তাকাতেই জমেলা বেগম উঠোনে এসে ছেলেকে বলে,
“ক্যান! মাইয়াডা এত আশা কইরা কইছে, আর তুই আশা ভাইঙ্গা দিবি? লইয়া যা বাপ!”
“না আম্মা, টুম্পা পরে যাইব।”
ছেলের কথায় জমেলা বেগমের মনেও রাগ ধরলো। তবুও ছেলেকে হাতের মুঠোয় আনতে চিকন কন্ঠে বলে,
“তোর বউরে লইয়া যাইতে পারলে টুম্পারে লইয়া গেলে কি সমস্যা বাজান? মাইয়াডা মেলা দেখতে ভালোবাসে!”
“ঠিকআছে আম্মা তুমি যহন এত কইরা কইতাছ টুম্পা মেলায় যাইব নে!”
সজীবের কথা শেষ হতেই টুম্পার চোখেমুখে উপচে পড়া খুশি। পারুল জানতো এমনটাই হবে, সেজন্য আর তেমন প্রতিক্রিয়া দেখালো না। জমেলা বেগম খুশিতে গদগদ হয়ে বলে,
“এই না হইলে আমার পোলা! আমি জানতাম তুই আমার কথা ফালাইতেই পারবি না বাজান!”
সজীব কিছুটা বিরক্ত হয়ে জবাব দেয়,
“টুম্পা মেলায় যাইব তয় আমার লগে না, শরীফের লগে! তুমি পুরা কথা তো হুনবা!”
জমেলা বেগমের হাসিখুশি মুখখানা ওমনি চুপসে গেলো ছেলের কথা শুনে! মনে ভয়ের আশংকা ধরলো, তবে কি তার ছেলে বদলে যাচ্ছে? তার আয়ত্তের বাহিরে চলে যাচ্ছে!
“তোর লগে নিবি না?”
“না আম্মা, পারুলরে একটু ঘুরাই আনি একলা? অরে তো তেমন বাইর করি না! কিন্তু টুম্পার যখন এতই ইচ্ছে তাহলো শরীফের সাথে টুম্পা কালকে যাইব? বা আইজকাও যাইতে পারে! ঠিক কইছি না আম্মা?”
কোন উপায় না পেয়ে জমেলা বেগম মূর্তির মতন দাঁড়িয়ে জবাব দিলো,
“হ।”
“পারুল, যা রেডি হইয়া আয়।”
পারুলকে বলেই সজীব ভেতরে যায় শার্ট পড়তে। তখুনি জমেলা বেগম পারুলের সামনে এসে দাঁড়িয়ে কাঠ কাঠ গলায় বলে,
“তুমি আমার পোলারে আঁটকাও! তুমি একলা যাইবা না তার লগে! টুম্পারেও লগে নেও!¡
অন্য সময় হলে পারুল দমে যেতো জমেলা বেগমের কথায়, তবে এখন আর সেই আগের মতন সময় নেই। এখন সময় তার অধিকার, অস্তিত্ব নিয়ে! বউ হিসেবে নিজের পরিচয় নিয়ে! সেজন্য চুপ সে থাকলো না! কড়া করেই প্রতি উত্তর দিলো,
“বউর লগে জামাই একলা যাইব এইডা কি অস্বাভাবিক? যদি কন অস্বাভাবিক তাইলে আমনের পোলারেই কই? কমুনি আম্মা আমনেই কন? আর হুনলেন না আমনের পোলায় কইছে টুম্পার এত ইচ্ছে হইলে শরীফের লগে যাইতে! অহন আমি যাই, দেরি হইলে আমনের পোলায় আবার কথা হুনাইব!”
বলেই জমেলা বেগমের উত্তরের আশা না করে পারুল নিজের মতন করে ঘরে চলে গেল রেডি হতে! এই প্রথম হয়ত পারুল এরকম শক্তপোক্ত ভাবে জবাব দিয়েছে! জমেলা বেগম বুঝলেন এখানে তার আর কিছু করার নেই। যদি করতেও চায় ছেলে তার হাতের নাগালে আর থাকবে না! অগত্যা রাগে ফোঁসফোঁস করতে করত সে চলে গেলো! রিয়া সেই কখন পাকঘরে দিকে চলে গেছে। বাকি রইলো টুম্পা! সে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না! চোখমুখ ক্ষোভ স্পষ্ট তার! তখুনি সামনে গিয়ে দাঁড়ালো শরীফ,
“চল টুম্পা, তুইও রেডি হইয়া নে! এতই যহন ইচ্ছে মেলায় যাইতি!”
টুম্পা রেগেমেগে কোনোমতে উত্তর দেয়,
“এত শখ নাই আমার মেলায় যাওনের! তোমার ইচ্ছা হইলে তুমিই যাও!”
বলেই হনহন করে চলে যায় টুম্পা। শরীফ টুম্পাকে শুনিয়েই উত্তর করে,
“শরীফের লগে যাইতে শখ হয় না, শখ হয় বিয়াইত্তা আরেক বেডির জামাইর লগে মেলায় যাইতে! হায়রে শখ ওয়ালা মাইয়া রে! তোর শখে আগুন কেন লাগে না রে ছেমড়ি!”
বলেই শরীফও পাকঘরের দিকে অগ্রসর হয়। রিয়া কি করছে সেটা দেখবার আশায়, আদৌও তার চালভাজা হচ্ছে কি-না সেই তাগাদা দিতে।
#চলবে?