#শর্তসাপেক্ষে
পর্ব ৫
Sidratul Muntaz
ঠিক দুপুর বারোটায় রাফিনের ফোনে একটা অফিসিয়াল নাম্বার থেকে কল আসে। বেশ বিনয়ের স্বরে একজন ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করে,” আপনি কি রিয়াদ হোসাইন রাফিন বলছেন?”
” জ্বী বলছি?”
” আপনি আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চাকরির জন্য একটা এপ্লিকেশন করেছিলেন, আমরা আপনাকে ইন্টারভিউয়ের জন্য সিলেক্ট করেছি। আপনি কি এখনি একবার আসতে পারবেন? আপনার পারসোনাল নাম্বারে মেসেজ দেয়া হয়েছে। কাইন্ডলি চেক করে জানান।”
রাফিন কিছু বলার আগেই তার ফোনে টুং করে একটা শব্দ হয়। অফিসের ঠিকানাটা তাকে মেসেজে পাঠানো হয়েছে। রাফিন জিজ্ঞেস করে,” জ্বী, আমাকে কি এখনি আসতে হবে?”
” হুম। আধঘণ্টার মধ্যে চলে আসুন। স্যার অপেক্ষা করছে।”
ওই পাশ থেকে ফোন কেটে যায়। রাফিন হতভম্ব হয়ে মোবাইলের স্ক্রিনে চেয়ে থাকে। প্রথমত সে কোনো অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চাকরির জন্য এপ্লাই করেছিল বলে মনে পড়ছে না। অবশ্য করতেও পারে! হয়তো অনেক আগের কথা তাই মনে নেই। কিন্তু এই প্রথমবার কোনো কোম্পানি ফোন করে সরাসরি ইন্টারভিউতে ডেকেছে। তার জন্য নাকি আবার অপেক্ষাও করা হচ্ছে। সে কোনো ধান্দাবাজির খপ্পরে পড়ল না তো? আগেই যাওয়া যাবে না। খোঁজ নিতে হবে।
রাফিন আগে মেসেজে দেওয়া অফিসের ওয়েবসাইট লিংকে ঢোকে এবং যারপরনাই বিস্মিত হয়। নোভেনট্রিক্স করপোরেশন লিমিটেড, প্রায় তিন দশক পুরনো বহুমাত্রিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। বর্তমান চেয়ারম্যান ও সিইও ঈশান আহসান। এই কোম্পানীর নাম রাফিন আগেও শুনেছে। এতোবড় জায়গা চাকরি পাওয়া কোনো মুখের কথা নয়। সে কি সত্যিই চাকরিটা পাবে নাকি তাকে নিয়ে তামাশা করা হচ্ছে?
সকাল সকাল নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে রাফিন ধুঁয়ে রাখা সাদা শার্টটা নিয়ে ইস্ত্রি করতে বসে৷ দেখা যাক কি হয়! চেষ্টা করতে তো দোষ নেই৷ সৌভাবশত চাকরিটা হয়ে গেলে সবার আগে দিবার বাসায় মিষ্টি নিয়ে যাবে৷ হাজার জল্পনা-কল্পনা মনের মধ্যে জেঁকে বসতে থাকে। রিতু ঘরে ঢুকে ভাইকে শার্ট ইস্ত্রি করতে দেখে জিজ্ঞেস করে,” কোথাও যাচ্ছিস নাকি?”
মুখ একদম মলিন তার। চোখ দু’টো বিষণ্ণ ক্লান্ত। সারারাত হাসপাতালে ছিল। এই মাত্র ফিরেছে, দুপুরের রান্নাটা করে আবার দৌড়াতে হবে।
রাফিন হাসি মুখে বলে,” একটা ইন্টারভিউয়ের জন্য কল এসেছে আপা। গিয়ে দেখি কি হয়!”
খানিকটা অবজ্ঞার স্বরেই বলে সে। নিজের ভাগ্যের প্রতি এখন আর বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না। গিয়ে হয়তো দেখবে বাইরে লম্বা লাইন লেগে আছে। তার চেয়েও হাজারগুণ যোগ্য প্রার্থীরা এসে ভীড় জমিয়েছে যারা কি-না বুয়েট কিংবা ঢাবি থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছে। তাদের মধ্যে রাফিনের মতো নগন্য সাত কলেজে মাস্টার্স করা বেহুদা প্রার্থী ভাত পাবে না এটাই স্বাভাবিক। সবসময় তো এমনটাই হয়ে আসছে। জীবনে কত ইন্টারভিউ দিল সে!
রিতু ভাইয়ের সাথে আর কথা বাড়ায় না। চুপচাপ রান্নাঘরে ঢুকে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর রাফিন তৈরী হয়ে এসে বোনকে জিজ্ঞেস করে,” মায়ের কি অবস্থা?”
রিতু হতাশার নিঃশ্বাস ফেলে জবাব দেয়,” ডাক্তার অপারেশনের কথা বলেছে। মায়ের ওজন খুব বেশি৷ দ্রুত ওজন কমাতে হবে নয়তো অপারেশন ছাড়া গতি নেই। হাজার পঞ্চাশের মতো টাকা তো লাগবেই।”
রাফিন এসব শুনে ঘোরগ্রস্তের মতো দাঁড়িয়ে থাকে। মাথার উপর এতো ঋণের বোঝা, তার উপর মায়ের অপারেশন! চিন্তা করলেই পাহাড় ভেঙে পড়ার মতো অন্ধকার লাগে সবকিছু।
রিতু জিজ্ঞেস করে,” তুই যে এই অসময় বের হচ্ছিস, লাঞ্চ করবি না?”
রাফিন বিষণ্ণ মুখে বলে,” না।”
” কখন ফিরবি?”
” জানি না। ভাবছি আর বাড়িতেই ফিরব না। কিছুদিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়ে যাবো।”
” ঠাট্টা করছিস?”
রাফিন হেসে বলে,” মায়ের খেয়াল রেখো আপা। আসি।”
অফিসে তেমন কোনো ভীড় নেই। বেশ শান্ত পরিবেশ। রাফিন দারোয়ানকে নিজের পরিচয় দিতেই তিনি নিজে তাকে দুইতলায় নিয়ে আসেন। রিসিপশনে একটা সুন্দরী মেয়ে গায়ে কালো কোর্ট পরে দাঁড়িয়ে আছে। মাথায় লম্বা ঝুঁটি। রাফিনকে দেখেই মৃদু হেসে বলে,” বসুন। আমি এখনি স্যারকে ইনফর্ম করছি।”
একটা অফিসরুমের সামনে তাকে বসিয়ে দেওয়া হয় অপেক্ষার জন্য। প্রায় বিশমিনিট পর ভেতর থেকে অফহোয়াইট শার্ট গায়ে ভীষণ সুদর্শন একজন ভদ্রলোক বের হয়। তাকে দেখে উঠে দাঁড়ায় রাফিন। কিছু বলা উচিৎ কি-না বুঝতে পারে না। তবে লোকটি তাকে পা থেকে মাথা অবধি এমনভাবে পরখ করে যেন ঈর্ষান্বিত নজরে দেখছে। রাফিন খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে যায়। অযথাই শার্টের কলার টেনে ঠিক করে। ওই সুদর্শন ভদ্রলোক বেশিক্ষণ দাঁড়ায় না। তার পাশেই শ্যামলা করে বেটে-মোটা একজনকে ফিসফিস করে কি যেন বলে। তারপর চলে যায়।
শ্যামলা লোকটি এবার রাফিনের দিকে এগিয়ে এসে বলে,” আপনি মিস্টার রাফিন?”
রাফিন মাথা নাড়ে। লোকটি হেসে বলে,” এই মাত্র যিনি গেলেন, আমাদের বস। ঈশান স্যার!”
রাফিন অপ্রস্তুত হয়ে বলে,”ও আচ্ছা, আমি আসলে উনাকে চিনতে পারিনি।”
” সমস্যা নেই। আপনার সিভিটা এনেছেন?”
” জ্বী, এইতো।” রাফিন নিজের সিভি এগিয়ে দেয়।
লোকটি ভালো করে সেটায় একটু চোখ বুলিয়ে বলে,” ভেতরে আসুন।”
এয়ারকন্ডিশন যুক্ত রুমের ডেস্কে একজন বয়স্ক লোক বসে আছেন। মাথার চুল ধবধবে সাদা। ঠোঁটে বিচিত্র হাসি। রাফিন ঢুকেই তাকে সালাম দেয়। তিনি হাসিমুখে বলেন,” ওয়েলকাম ইয়াংম্যান। সিট ডাউন প্লিজ।”
রাফিন বিনয়ী ভঙ্গিতে চেয়ার টেনে বসে। ভদ্রলোক রহস্যময় কণ্ঠে বলেন,” তোমাকে দু’টো সহজ প্রশ্ন করব। জবাব দিতে পারবে তো?”
“জ্বী, আমি চেষ্টা করব।”
পাশের লোকটি কেমন মিটিমিটি হাসছে। রাফিন কিছু বুঝতে পারে না। বয়স্ক ভদ্রলোক বলেন,” বলোতো, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী কে?”
রাফিন ধাঁধায় পড়ে যায়। কি উত্তর দিবে? বাঘ না সিংহ? না,না, নিশ্চয়ই অন্যরকম কিছু হবে! তার মুখের থতমত অবস্থা লক্ষ্য করে বয়স্ক লোকটি উচ্চশব্দে হেসে উঠে বলেন,” বুঝতে পারছো না তাই না? চেষ্টা করো।”
রাফিন বলে,” মানুষ। বুদ্ধি দিয়ে তো মানুষ যেকোনো কিছু করতে পারে৷ তাই মানুষই সবচেয়ে শক্তিশালী হবে।”
এবার তারা দু’জন একসঙ্গে হেসে দেয়। বয়স্ক লোকটি টেবিলে ঝুঁকে বলেন,” আমি গায়ের শক্তির কথা বলেছি। উত্তরটা হচ্ছে পিঁপড়া। ”
” পিপড়া?” রাফিন হকচকিয়ে যায়।
” হ্যাঁ, এইটুকু একটা জীব। অথচ কত বড় বড় খাবারের টুকরা টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে! হলো না সে ইহজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রানী? হাহাহা!”
রাফিন কি বলবে বুঝতে না পেরে লজ্জিত ভঙ্গিতে হাসে।ভদ্রলোক গম্ভীর মুখে বলেন,” এবার দ্বিতীয় প্রশ্ন করছি, ভেবে-চিনতে উত্তর দিবে৷ দুনিয়ার সবচেয়ে সাহসী প্রাণী কোনটি?”
রাফিন প্রশ্নের ধরণ বুঝে গেছে৷ তাই একটু অন্যভাবে চিন্তা করেই জবাবটা দেয়,” মশা?”
বয়স্ক লোকটি আবার হাসতে শুরু করেন। টেবিলে একটা বারি মেরে বলেন,” বাহ, দেখলে মিজান? বুদ্ধি আছে ছেলেটার। যাও আজ থেকে তোমার চাকরি কনফার্ম!”
রাফিন হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,” আপনি সত্যি বলছেন স্যার?”
” একশো পারসেন্ট সত্যি। তোমার পোস্ট হচ্ছে মেনেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার, সংক্ষেপে এমটিও। বলো এই পোস্টের জন্য তুমি কত টাকা স্যালারি ডিমান্ড করবে?”
তখনও রাফিনের কিছু বিশ্বাস হচ্ছিল না। বিস্ময়ে স্থির হয়ে বসে থেকে দশ সেকেন্ড পর ইতস্তত করে জবাব দেয়,” জ্বী মানে… আমি…বুঝতে পারছি না।”
” তুমি তোমার ডিমান্ড বলো! বলতে কোনো দ্বিধা নেই। মিলে গেলে তো ভালোই, না মিললে দেখা যাবে।”
রাফিন একটু ঢোক গিলে পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখটা মুছে নেয়৷ নিচু গলায় বলে,” পঁচিশ হজার আমার জন্য এনাফ।”
ভদ্রলোক আবারও গগন কাঁপানো হাসিতে মত্ত হোন। রাফিন দ্বিধায় পড়ে যায়। সে কি বেশি চেয়ে ফেলল? চাকরিটা কি তাহলে হবে না? তখনি পাশ থেকে মিজান নামের লোকটি বলে,” রাফিন সাহেব, যেই পোস্টের জন্য আপনাকে সিলেক্ট করা হয়েছে সেটার বেতন চল্লিশ হাজার।”
ঠিক ওই মুহূর্তে রাফিনের মনে হয় সে বোধহয় মাথা ঘুরেই পড়ে যাবে। কোনমতে টেবিলটা আঁকড়ে ধরে নিজেকে সামলায়। বয়স্ক ভদ্রলোক হৃষ্টচিত্তে হাত বাড়িয়ে বলেন,” কংগ্রাচুলেশনস, ইউর জব হ্যাজ বিন কনফার্মড। কালকে থেকেই জয়েনিং। দেরি করবে না কিন্তু। সকাল আটটার মধ্যে উপস্থিত থাকতে হবে। এই মিজান, ওকে সব বুঝিয়ে দাও৷ নিয়ে যাও তোমার সাথে।”
” জ্বী স্যার ”
রাফিন নির্বাক চেয়ে থাকে। সে স্বপ্ন দেখছে নিশ্চয়ই। সকালের ঘুমটা কি এখনও ভাঙনি? মিজান সাহেব রাফিনকে অফিসের সব নিয়ম-কানুন বুঝিয়ে একটা এপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে তুলে দিয়ে বলে,” খুব লাকি ম্যান আপনি। ডেডিকেশন দিয়ে কাজ করলে অনেক উপরে যেতে পারবেন। বেস্ট অফ লাক!”
সকালেও আকাশটা মেঘে ঢাকা ছিল। বর্তমানে পরিষ্কার আর রৌদ্রজ্জল। কি সুন্দর সাদা মেঘ হেসে-খেলে বেড়াচ্ছে বিশাল আকাশের বুকে। রাফিন তার এপয়েন্টমেন্ট লেটারটা বুকপকেটে রেখে বিহ্বল হয়ে ফুটপাত ধরে হাঁটতে থাকে। পায়ের পাতা কেমন শিরশির করছে, হাতের আঙুল মৃদু কাঁপছে। তার ইচ্ছে করছে আকাশের দিকে তাকিয়ে গগন কাঁপানো একটা চিৎকার দিতে। রাস্তায় কত মানুষ হেঁটে যাচ্ছে, কেউ তার দিকে লক্ষ্য করছে না। এই মানুষগুলো কি জানে আজকে রাফিনের জীবনে কত খুশির একটা দিন?
তার হঠাৎ মন চায় সবাইকে ধরে ধরে বলতে,” প্লিজ একবার আমার দিকে দেখুন। আমি দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী মানুষ। আজকে আমার চরম খুশির দিন! ইয়াহু!”
রাফিন একটা রিকশা নিয়ে রওনা হয় বর্ধিত পল্লবীর আবাসিক এলাকায়। সকাল থেকে দিবার নাম্বারে চেষ্টা করছে, অথচ তার ফোন সুইচড অফ। কি হয়েছে মেয়েটার? রাফিন ঠিক করে সরাসরি তার বাসায় চলে যাবে আজ। তার এতো খুশির সংবাদটা সবার প্রথম দিবাকেই জানাবে সে। এতোবড় একটা গুড নিউজ শুনে দিবার প্রতিক্রিয়া কি হবে? নিশ্চয়ই আনন্দে খুব পাগলামি শুরু করবে মেয়েটা। ভেবেই খুশিতে কেমন উথাল-পাথাল লাগছে।
একফাঁকে রিকশা থামিয়ে একটা ফুলের দোকান থেকে দিবার পছন্দের বেলীফুলের গাজরা কিনে নেয় সে। এছাড়া সুপার শপ থেকে ডেইরি মিল্ক চকলেট৷ দিবা ভীষণ পছন্দ করে। তার কাছে বেশি টাকা নেই, নয়তো আজকে একটা আংটিও কিনে ফেলতো দিবাকে প্রপোজ করার জন্য। অবশ্য ওসব পরেও অনেক আয়োজনের সাথে করা যাবে৷ ফার্স্ট মান্থের স্যালারি পেয়েই সে দিবাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবে। আর একদম দেরি করা যাবে না।
আপাতত দিবাকে দেখতে প্রচন্ড ইচ্ছে করছে৷ চাকরির খবর শুনে কি করবে মেয়েটা? তার চোখ-মুখের আনন্দের বিস্ফোরণ রাফিন এখনি কল্পনা করতে পারছে। ইশ!উত্তেজনা থামাতে বুকের পাশে হাত চেপে ধরে রাফিন।
বেলি ফুলের গাজরা হাতে রিকশায় উঠে হাসি মুখে গান শুরু করে,” চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি দিবা শুনছো
এখন আর কেউ আটকাতে পারবে না
সম্বন্ধটা এইবার তুমি ভেস্তে দিতে পারো
মা কে বলে দাও, বিয়ে তুমি করছো না!
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি, দিবা সত্যি
আর মাত্র কয়েকটা দিন ব্যাস!
স্টার্টিং এই ওরা কনফার্ম করেছে, তিন মাস আর লাগবে না।
চুপ করে কেন, দিবা কিছু বলছো না?
এটা কি 2 44 11 39?
দিবা রহমান তুমি পারছো কি শুনতে?
দশ-বারো বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে…”
হেড়ে গলায় রিকশায় বসে এক প্রাণবন্ত যুবককে গান গাইতে দেখে আশেপাশের মানুষ আঁড়চোখে তাকায়। কেউ কেউ আবার থেমে দেখে। রাফিনের সেই হুশ নেই। চোখ বন্ধ করে সে নিজের সুখ আস্বাদনে ব্যস্ত।
চলবে