পাইথন পর্ব-০৪

0
10

#পাইথন
#4th_Part

পাইথন চুপিচুপি সেই সৈনিকের পেছনে যাচ্ছে। পাতাবিহীন শুঁকনো গাছের ডাল মাড়িয়ে সৈনিক হেঁটে চলেছে খাবারের থালা হাতে নিয়ে। পাইথন তার থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে গাছের আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছে।

হঠাৎ একটা শুঁকনো ডালের ওপর পাইথনে’র পারা পড়ে মড়মড় করে শব্দ হয়ে উঠলো। সৈনিক সাথে সাথে থমকে দাঁড়িয়ে পেছনে তাকালো। ততক্ষণে পাইথন একটা গাছের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে নিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো।

সৈনিক সন্দেহ বশত পেছনে ফিরে সেদিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। পাইথন একটু ঘাবড়ে গিয়ে মনে মনে বললো ” সে আমাকে দেখে ফেললে আমার হাতে মরবে সে। তাহলে সিলভিয়া’র সাথেও দেখা হবে না। কি করবো এখন…..

এদিকে সৈনিক অনেক টা কাছে চলে এসেছে। পাইথন যে গাছের আড়ালে লুকিয়ে ছিলো, সে সেদিকেই এগিয়ে আসছে। পাইথন তাকে মারার জন্য প্রস্তুত হলো। আগে নিজেকে বাঁচাতে হবে। সিলভিয়া’কে পরেও পাওয়া যাবে।

এই ভেবে যখন-ই আড়াল থেকে বের হতে নিবে তখন-ই একটা বড় সাইজের লাল রঙের সাপ পাইথনে’র সামনে দিয়ে চলে গেলো। সৈনিকও সাপ টা দেখতে পেয়ে সন্দেহ দূর করে ভাবলো শব্দ টা সাপের কারণেই হয়েছিলো। এখানে কেউ নেই….!

এই ভেবে সৈনিক আবার চলতে লাগলো সিলভিয়া’র উদ্দেশ্য যাওয়ার জন্য। পাইথন হাফ ছেড়ে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে বললো ” যাক বাবা বাঁচা গেলো……

এই বলে আবার সৈনিকের পিছু নিলো। কিছুদূর যেতেই কালো পানির নদীর সামনে চলে আসলো। নদীর কিনার ধরে সৈনিক হাঁটতে লাগলো। পাইথন এবার খুব সাবধানে পা ফেলা শুরু করলো। নিচে অনেক মাথার খুলি এবং হাড়গোড় পড়ে আছে। তার মাঝে সাপ বিচ্ছু তো আছেই।

কিছুক্ষণ এভাবে চলার পরে পাইথন দেখলো দূরে একটা ঝুপড়ি ঘরের টিমটিমে আলো জ্বলছে। সৈনিক সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। পাইথন বুঝতে পারলো এটাই সিলভিয়া’র ঘর।

ভাবতে না ভাবতেই সাকার সৈনিকরা সেখানে চলে আসলো এবং পাইথন’কে ঘিরে ধরলো। পাইথন হা করে বললো ” এতো সাবধানে চলার পরও এই আপদ কত্থেকে এলো…!

এক সাকার সৈনিক বললো ” পাইথন! তুমি এখানে কেন মহল ছেড়ে….?

পাইথন একটু আমতাআমতা করে বললো ” আসলে আমার ঘুমের মাঝে হাঁটা চলার অভ্যাস আছে৷ মহলে খেতে খেতে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। হয়তো হাঁটতে হাঁটতে এখানে চলে এসেছি….!

এক সৈনিক রেগে বললো ” খবরদার মিথ্যে বলবে না। তুমি এখানে সিলভিয়া’র কাছে খাবার নিয়ে যাওয়া সৈনিকের পিছু করে এসেছো…!

পাইথন চোখ বড় করে বললো ” আর এই গুজব টা তোমাদের কাছে কে ছড়ালো…?

জিজা’র কন্ঠে শুনা গেলো ” আমি…..!

দেখা গেলো জিজা কিছুটা দূরে একটা গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বিচ্ছুর সূঁচালো নখর দিয়ে দাঁত খোচাচ্ছে…..!

পাইথন অবাক হয়ে বললো ” তুই এখানে কি করছিস জিজা….?

জিজা বললো ” আমি ভেবেছিলাম তুমি আমাকে দেখে খুশি হয়ে বলবে আমাকে বাঁচাতে আসার জন্য থ্যাঙ্কিউ। কিন্তু আমাকে দেখে তো তোমার চেহারায় ১২ টা বেজে গেলো….!

পাইথন রাগান্বিত কন্ঠে বললো ” এতো বেশি কথা বলিস কেন তুই। এক্ষুনি চলে যা এখান থেকে। আমি মহলে এসে তোর সাথে কথা বলছি….!

জিজা এবার বিচ্ছু টা ছুঁড়ে ফেলে এগিয়ে আসতে আসতে বললো ” পা*ছা দিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করো। মাথা দিয়ে চিন্তা করো। এতগুলো সৈনিকদের সাথে তুমি একা পারবে আমাকে ছাড়া….?

সৈনিকরা অবাক হয়ে বললো ” তুমি তো সাংঘাতিক মেয়ে। নিজেই আমাদেরকে পাইথনে’র পেছনে পাঠিয়ে এখন নিজেই আমাদের হাত থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য এসেছো….?

পাইথন হা করে বললো ” কিইই! তুই এদেরকে আমার পেছনে পাঠিয়েছিস…?

জিজা হাই তুলে বললো ” এতো বড় রিয়েকশন দেয়ার দরকার কি। আমার হাত চুলকাচ্ছিলো কাউকে মারার জন্য। তাই তাদেরকে বেছে নিয়েছে। এখন কথা না বাড়িয়ে একশন শুরু করা যাক। পাঠকরা বোর হচ্ছে……..

পাইথন নিজের মাথার চুল টেনে ধরে বললো ” তোর এই চুলকানির চক্করে না জানি হাইকাল আমাকে কারাগারে ছুঁড়ে ফেলে….

সাকার সৈনিকরা আআআআআ করে চিৎকার দিয়ে পাইথন আর জিজা’র দিকে তেড়ে যেতে লাগলো। জিজা হাতের ইশারায় তাদেরকে থামতে বলে পাইথনে’র দিকে তাকিয়ে বললো ” এই চাঁদনী রাতের একশনে ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা হিপহপ গান না বাজলে মজা আসবে না…..প্লে দ্যা মিউজিক……

ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে উঠলো “গাংনাম স্টাইল” গান……..

জিজা বললো ” এবার শুরু করা যাক……

সৈনিকরা তাদের তলোয়ার আর বর্শা নিয়ে তেড়ে এলো। জিজা আর পাইথন দুই দিকে ভাগ হয়ে গানের তালে তালে তাদেরকে মারতে লাগলো। পাইথন এক সৈনিকের মাথা ছিঁড়ে ফেলে বললো ” তোর জ্বালায় মইরা গিয়াও শান্তি নাই। যখন-ই কোন কিছু ঠিকঠাক মতো হতে যায় তখন-ই তুই এসে সব ঝাঁঝড়া করে দেস বান্দর…..!

জিজা বৈদ্যুতিক ঝটকায় সাকার সৈনিকদের পুড়ে ছাই বানিয়ে বললো ” যে-ই কাজ কোনরকম বাঁধা ছাড়াই হয়ে যায় সেই কাজ কখনও পারফেক্ট হয় না।

পাইথন বললো ” আর এই বাজে কথা টা তোকে কে বললো…?

জিজা বললো ” তালিফে’র দাদী….

((ওপর থেকে তালিফে’র দাদী বললো ” খবরদার তোর এই বান্দরামির মধ্যে আমারে টাইন্যা আনবি না মিছা মিছা অপবাদ দিয়া))

সবশেষে আর দু’জন সৈনিক বেঁচে আছে। তারা পালাতে নিলে একজনকে ধরে পাইথন ঘাড় মটকে দিয়ে বললো ” আকাম সাকাম না করলে তোর ভালো লাগে না তাই না। শুধু শুধু কতগুলা সৈনিক মা-রা গেলো। কি মজা পাস এসব করে….!

আরেক সৈনিক’কে জিজা ধরে একটা সাপ দিয়ে গলা পেঁচিয়ে ফাঁ*স দিয়ে মেরে নদীতে ছুঁড়ে ফেলে বললো ” কেউ তোমাকে ভালো রাখতে আসবে না। তোমার ভালো থাকার মাধ্যম তোমাকেই বের করে নিতে হবে। আমি এইসব আকাম সাকাম করেই ভালো থাকি। দিস ইজ মাই হ্যাপিনেজ….!

পাইথন মুখ ভেঙিয়ে বললো ” হ তোরে কইছে বান্দর….!

জিজা প্রমাণ মিটাতে মৃত সৈনিকদের দেহ গুলো নদীতে ছুঁড়ে ফেলতে ফেলতে বললো ” দেখার চেয়ে করতে মজা….!

পাইথন চোখ বড় করে বললো ” কি…?

জিজা একটা সাপ পাইথনে’র দিকে ছুঁড়ে মেরে বললো ” আকাম সাকাম…!

পাইথন সাপ টা খপ করে ধরে গলায় ঝুলিয়ে দিয়ে বললো ” তোর প্রত্যেকটা কথার দুইটা মিনিং থাকে….!

জিজা বললো ” এটাই তো আমার ট্যালেন্ট। চলো যাদুকরী মহিলার সাথে দেখা করা যাক। আমিও জেনে নিবো কিভাবে নিজের শরীরে ফিরে যেতে পারি…!

পাইথন হকচঁকিয়ে গিয়ে তোতলানো কন্ঠে বললো ” তুই কি করতে যাবি। আমি একাই যাচ্ছি। তুই মহলে ফিরে যা। আমাদের দু’জনকেই যদি হাইকাল সেখানে না দেখে তাহলে সন্দেহ করবে….!

জিজা বললো ” তাতে আমার চুল ছেঁড়া গেলো….আমি কাউকে পরোয়া করি না…!

এই বলে ঝুপড়ি ঘরের দিকে অগ্রসর হতে লাগলো। পাইথন পেছন পেছন আসতে আসতে বারবার বুঝাতে লাগলো জিজা’কে। কিন্তু জিজা কোন কথা না শুনে সেদিকে এগিয়ে চললো। পাইথন থেমে গিয়ে বিড়বিড় করে বললো ” আজকে সর্বনাশ হয়ে যাবে….

পাইথন জিজা’র পিছু না গিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে রইলো আর আল্লাহ আল্লাহ করতে লাগলো কি হয় তা দেখার জন্য। জিজা ঝুপড়ি ঘরের দরজার সামনে গিয়ে পেছনে তাকিয়ে বললো ” কি হলো! তুমি লক হয়ে গেলা কেন। আসো….!

পাইথন পেটে চাপ দিয়ে বললো ” তোর হি*সু মিশ্রিত পানি খেয়ে আমার পেটে গুড়ুগুড়ু করতাছে। আমি একটু হালকা হয়ে আসি। তুই যা ভিতরে…..!

জিজা কপাল চাপড়ে বললো ” ঘি-এর পেটে কু*ত্তা হজম হয় না। যাও যাও তুমি হালকা হয়ে এসো। আমি তার সাথে কথা বলছি গিয়ে….!

এই বলে জিজা দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো। পাইথন কাঁপতে কাঁপতে গলা উঁচু করে তাকিয়ে রইলো। সবকিছু একদম নিশ্চুপ। কোন আওয়াজ নেই। হঠাৎ বিকট শব্দে ঝুপড়ি ঘরের দরজা ভেঙে উড়ে এসে জিজা পাইথনে’র পায়ের কাছে পড়লো।

পাইথন চমকে গিয়ে তাড়াতাড়ি জিজা’কে উঠিয়ে বললো ” কিরে! কি হয়েছে….?

জিজা জামা ঝারতে ঝারতে বললো ” মনে হয় চাচী রোমান্টিক স্বপ্ন দেখছিলো শুয়ে শুয়ে। আমি গিয়ে তার ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছি। তাই ভড়কে গেছে….!

পাইথন বললো ” চল তাহলে চলে যাই এখন। এখানে থাকা ঠিক হবে না….!

এই বলে পাইথন জিজা’র হাত ধরে টান দিয়ে চলে যেতে নিলে জিজা থেমে গিয়ে পাইথন’কে বললো ” আমি তার ঘুম ভাঙিয়েছি। আমি-ই তাকে আবার ঘুম পাড়াবো…..

তখন-ই দেখা গেলো ঝুপড়ি ঘর থেকে আস্তে আস্তে বের হয়ে এলো সিলভিয়া। মুখের ওপর এলোমেলো চুল গুলো পড়ে মুখ ঢেকে আছে। হাতে একটা ভয়ানক মাথার খুলি। কর্কশ গলায় মাটি কাঁপিয়ে বললো ” কার এতো বড় সাহস! আমার অনুমতি ব্যতীত আমার ঘরে প্রবেশ করে……….

**দৃশ্য পরিবর্তন…….

নাউফি! ভ্যাম্প কি….?

অলিভা’র প্রশ্ন শুনে নাউফি বললো ” ভ্যাম্প হলো তোমাদের মাঝে সবচেয়ে শক্তিধর জ্বীনের বাচ্চা। তার এতো শক্তি যে, সে চাইলে পুরো কায়নাত ধ্বংস করে দিতে পারে….!

দেখা গেলো একটা গোল বৃত্তের মাঝে জিজা’র আত্মা বিহীন দেহ টা রাখা হয়েছে। সামনে বসে আছে নাউফি। তার পাশে বসে আছে অলিভা।
আতিশ আর ভাসিলা একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে। ভেতরের রুম থেকে তালিফ বের হয়ে এলো একটা কাপড়ের থলি নিয়ে।

থলি টা নাউফি’র সামনে রেখে বললো ” এখানে সবকিছু আছে, যা যা তুমি চেয়েছিলে….!

নাউফি বললো ” জিজা’র এই অবস্থা আমাকে আগে জানান নি কেন…?

তালিফ বললো ” তুমি তো আর বলে যাও নি কোথায় গিয়ে ঝান্ডা গাড়বে। তোমাকে খুঁজে পাওয়া কি এতই সহজ ছিলো….?

নাউফি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো ” রাণী ফারিশতা জানে এই বিষয়ে…?

তালিফ বললো ” না! এখনো জানে না। সে ফিরে আসার আগেই জিজা’কে ফিরিয়ে আনতে হবে। না হলে যা হবে তা আমরা কেউ সামলাতে পারবো না….!

নাউফি বললো ” ঠিক আছে আমি দেখছি এই বিষয় টা….ভাসিলা বাদে সবাই বাইরে চলে যান…আতিশ তুমি অলিভা’কে নিয়ে বাইরে যাও। তালিফ আপনিও….

তালিফ নাউফি’র হাত ধরে বললো ” এটাই শেষ সুযোগ আর তুমি-ই শেষ ভরসা….!

নাউফি বললো ” আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আপনি রিল্যাক্স থাকেন আর বাইরে গিয়ে দাঁড়ান….!

তালিফ বাইরে চলে গেলো। আতিশ অলিভা’কে নিতে আসলে অলিভা বললো ” আমি থাকলে কি সমস্যা নাউফি….?

নাউফি বললো ” তুমি না থাকলে কি সমস্যা অলিভা…?

অলিভা মাথা চুলকে বললো ” তা-ও ঠিক…আচ্ছা ঠিক আছে আমি বাইরে গিয়ে দাঁড়াচ্ছি। তুমি নিজের খেয়াল রেখো আর সাহায্য দরকার হলে আমাকে ডেকো….!

নাউফি বললো ” ঠিক আছে পাকনা বুড়ি! এখন যাও….

অলিভা আতিশে’র হাত ধরে বাইরে চলে গেলো। যেতে যেতে আতিশ বললো ” এই লিলিপুট! আমার মাথায় ফুলের টব ভাঙার জন্য সরি বলো এখন….!

অলিভা বললো ” তুমি কি বুদ্দু নাকি। জানো না মেয়েরা কখনও সরি বলে না। মেয়েরা সরি শুনতে ভালোবাসে। তাই এখন তুমি আমাকে সরি বলবে…!

আতিশ বললো ” আমি কেন সরি বলবো…?

অলিভা বললো ” কারণ আমি শুনতে চেয়েছি। আর যদি না বলো তাহলে আরেকটা ফুলের টব ভাঙবো তোমার মাথায়….!

আতিশ বললো ” ঠিক আছে সরি……

**এদিকে নাউফি বসে আছে জিজা’র আত্মা বিহীন দেহের মাথার কাছে আর ভাসিলা বসেছে জিজা’র পায়ের কাছে। নাউফি কাপড়ের থলি থেকে সরঞ্জাম বের করতে করতে বললো ” জিজা’কে কোথায় কোথায় খোঁজা হয়েছে…?

ভাসিলা বললো ” বিভিন্ন গ্রহ থেকে শুরু করে শূন্য রাজ্যের সব স্থানে খুঁজেছি। কিন্তু সাড়া মেলে নি….!

নাউফি বললো ” পাপিষ্ঠ জ্বীন-রা মা-রা গেলে যেখানে যায় সেই জায়গার নাম টা যেনো কি…?

ভাসিলা বললো ” সাকার! কিন্তু কেন। জিজা সেখানে থাকার কোন চান্স নেই। কারণ ও এখনো বাচ্চা….!

নাউফি বললো ” যেখানে থাকার চান্স ছিলো সেখানে তো তাকে পাওয়া যায় নি। এখন সেখানেই দেখবো যেখানে থাকার চান্স নেই…!

ভাসিলা বললো ” আপনি হয়তো ঠিক বলেছেন প্রফেসর! জিজা যখন গারকুনে’র বশে ছিলো তখন অনেক পাপ কাজের সাথে জড়িয়ে গিয়েছিলো। যদিও সে সেটা নিজের জ্ঞানে করো নি কিন্তু করেছে তো জিজা-ই….!

নাউফি বললো ” তাহলে এই সোজা অংক টা বুঝতে তোমাদের এতদিন সময় লাগলো কেন। চলো সাকারে পদার্পণ করা যাক……

এই বলে নাউফি জিজা’র শরীরের ওপর লবণ ছিটিয়ে দিলো হালকা করে। তারপর জিজা’র একটা চুল টান দিয়ে ছিঁড়ে নিজের কনিষ্ঠ আঙুলে বেঁধে দিলো। ভাসিলা’কে বলা হলো জিজা’র দুই পা একসাথে করে চেপে ধরে রাখতে। যা-ই হয়ে যাক না কেন পা যেনো আলাদা না হয়।

ভাসিলা তাই করলো। নাউফি এবার জিজা’র কপালে চুল বাঁধা কনিষ্ঠ আঙুল দিয়ে চেপে ধরে চোখ বন্ধ করে মন্ত্র জপ করা শুরু করলো……….

**দৃশ্য পরিবর্তন……..

তুমি উল্টো ঘুরে দাঁড়িয়ে আছো নাকি চুল সামনে এসে তোমার মুখ ঢেকে দিয়েছে….!

জিজা’র এমন কথা শুনে পাইথন বিড়বিড় করে বললো ” ভালো হয়েছে চুল দিয়ে খোমা ঢেকে আছে। চেহারা রিভিল হলেই তো বজ্রপাত শুরু হবে….!

সিলভিয়া কর্কশ গলায় বললো ” তাহলে তুমি-ই সেই ভ্যাম্প, যে হাইকালে’র অনেক সৈনিকদের মেরেছে…?

জিজা বললো ” মেরেছে মানে! তোমাকে হয়তো সঠিক খবর দেয়া হয় নি। আমি তো তাদেরকে শুধু মারি নি। পুড়ে ছাই করে দিয়েছি….!

এবার সিলভিয়া আস্তে আস্তে নিজের চেহারার চুল সরাতে লাগলো। পাইথন হতাশ হয়ে বললো ” এটা কি জরুরি ছিলো…?

চুল সরাতেই সিলভিয়া’র চেহারা স্পষ্ট হলো। জিজা প্রথমে বুঝতে না পারলেও একটু এগিয়ে গিয়ে অবাক এবং হতবাক হয়ে বললো ” আমি তোমাকে কোথাও দেখেছি এর আগে। কিন্তু কোথায়….?

সিলভিয়া বললো ” সম্ভব না বাচ্চা! আমি যখন মা-রা গিয়েছি তখন হয়তো তুমি জন্মই নাও নি। দেখবে কি করে….!

পাইথন বিড়বিড় করে বললো ” তুই নিজেই এই আপদকে জন্ম দিয়েছিস ডাইনি….!

জিজা আরেকটু এগিয়ে গেলো সিলভিয়া’র দিকে। সিলভিয়া ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো ” আর এক পা আগাবে না। আমি বাচ্চা কাচ্চা পছন্দ করি না। দূরে থাকো আমার কাছ থেকে…..!

জিজা বললো ” বাচ্চা পছন্দ করেদ না মানে। তুমি কি বুড়া হয়েই জন্ম নিছো নাকি। তুমিও তো একসময় বাচ্চা ছিলে….এক মিনিট! নড়াচড়া করো না। তোমাকে ভালোভাবে দেখতে দাও একটু। কোথাও তো তোমাকে আমি দেখেছি……

পাইথন বললো ” আমার উচিত এখান থেকে কেঁটে পড়া। জিজা মনে করতে পারছে না সিলভিয়া’কে। আর সিলভিয়াও চিনতে পারছে না জিজা’কে। আই হেইট ফ্যামিলি ড্রামা….!

জিজা এবার খুব কাছে গিয়ে সিলভিয়া’র দিকে তাকিয়ে বললো ” এখন আবার এটা বলো না তুমি মারিদ রাজ্য থেকে….!

সিলভিয়া দাঁত কটমট করে বললো ” আমি মারিদ রাজ্যের পূর্ববর্তী রাণী! রাণী সিলভিয়া…….

এটা শুনে জিজা’র চোখ বড় হয়ে গেলো। চোখের ভিতর বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো। জিজা’র মস্তিষ্কে ভেসে উঠলো অতীতের এক ঘটনা…………💀💀💀

To be continue……………

Written by : #Galib_Abraar

#পাইথন

Galib Abraar – গালিব আবরার