গল্প #ভুলি_কি_করে_তোকে
(এ প্রথম লেখা লেখি করছি জানি না কেমন লাগবে ভুলক্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন)
(কাজিন রিলেটেড + রোমাঞ্চকর+থ্রিলার)
লেখিকা:#নুরজাহান_আক্তার_স্নিগ্ধা……
📌 কপি সম্পুর্ন নিষিদ্ধ
#পর্ব_৫
ঘুমন্ত নিশিতা মৃদু আর্তনাদ করে উঠেলো সূর্যের কিরণ তার মুখে এসে পরছে এতে সে খুব বিরক্ত সূর্যোদয় হয়েছে অনেক আগেই সে আবার ও ঘুমে ডুবে গেল কিছুক্ষন পর তার গালে ব্যাথা অনুভব করলো সে আর্তনাদ করে চোখ মেললো কিছুটা চোখ খুলে দেখতে পেল রাফি তার গালে হাত দেওয়া সে আবার চোখ বন্ধ করলো তড়িৎ বেগে ওঠে বসতেই রাফি দিল এক দৌড় তার বুঝতে বাকি রইলো না রাফি তার গাল টেনে লাল করে দিয়েছে কারণ সে অতিরিক্ত ফরসা তার শরীরে হালকা চাপ লাগলে ই লাল হয়ে যায় আর রাফি এটা প্রায় করে সে বুঝতে পেরে সাথে সাথে গালা ফাটিয়ে চিৎকার_
-রাফিইইইইইই
বলে ই ওর পিছে দৌড়াতে শুরু করলো
-দাড়া তুই কি করেছিস আমার গালকে।আজকে যদি তকে পাই আমি দে… বলতে বলতেই ওকে ধরতে সিড়ি তে পা দিবে আর রাফি সাইডে চলে যায় এতে নিশিতা নিজের ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যেতে নিবে ঠিক তখনোই একটি শক্তপোক্ত হাত তাকে পিঠের দিকে জড়িয়ে শূন্য করে ঘুরিয়ে নিচে রাখল তাকে সে পরে হাড্ডিগুড্ডি ভাঙ্গার ভয়ে চোখমুখ খিচে বন্ধ করে ছিল সে কিছু অনুভব করতে না পেরে আস্তে করে হালকা বাচোখ মেলে যা দেখলো তার জন্য প্রস্তুত ছিলো না দেখে চোখ দুটো বড় হয়ে যায় আয় মুখ হা হয়ে যায় মুখ থেকে অস্পষ্টভাবে বেড়িয়ে এল নাহিয়ান ভাইয়া…
নাহিয়ান ওর অবস্থা দেখে বিরক্ত হলো সে এখন রেস্ট নিতে যাচ্ছিল এই মেয়ে চিৎকার আর দৌড় এর কারনে থেমে গেছে..
-এই তুই এমন ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছিস কেন(ভ্রু কুচকে)বড়দের দেখলে সালাম দিতে হয় ভালোমন্দ জিজ্ঞাস করতে হয় ভুলে গেছিস
নিশিতা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল
-আস্সালামু আালাইকুম ভাইয়া। ভালো আছেন আসলে আপনাকে দেখতে পাবো আসা করিনি
-ওয়ালাইকুম আস্সালাম। কেন তুই কি চেয়েছিস আমি না আসি
-ছিঃ ছিঃ আমি এটা কেন চাইবো..খুব ভালো হয়েছে আপনি এসেছেন… হাসি দিয়ে তার হাসি মাখা মুখ যেন নাহিয়ান এর সহ্য হলো না তা বলে ওঠলো
-এই তুই মুখ না ধুয়ে এভাবে ঘুরছিস কেন
এখন নিশিতার রাগ হলো এই লোক পাগল নাকি এভাবে কেউ বলে যদি মাহদি শুনে নিত আর ও কি এভাবে আসতো রাফির জন্য আসতে হলে.. এগুলো ভেবে রুমে যাবে পা বাড়াতেই দেখতে পেল নিধি ওর দিকে তেরে আসতে বলতে লাগলো
-নিশিতার বাচ্চা আমার পিংক টপ কই নতুন এনেছি গত সপ্তাহে তোর কাছে অবশ্য ওটা
নিশিতার মনে পরলো তার টপটা ভিষণ ভালোলেগেছিল বলে সে নিয়েছিল পরতে এর মধ্যে নিদি ওর সামনে প্রায় ওকে ধরলে দিবে দুটো তার ভয়ে আবার ঘুরে দিল সিড়ি তে দৌড় এবার ও পা হোচট খেয়ে পরতে নিলে কেউ ওর দু বাহু ধরে নিল মাথা উচু করে দেখলো তার সামনে মাহদি সে হয়তো উপরে যেতে নিচ্ছিল আর নিশিতা পরতে নিচ্ছিলো তাই সে ধরে নিতে পেরেছে
-আর ইউ ওকে এংরি বার্ড(মাহদি)
নিশিতা উপর নিচ মাথা দুলালো(মানে সে ঠিক আছে)
-বি কেয়ারফুল!তুমি মুখ থুবড়ে পড়ে গেলে কি হবে ভেবেছো..নিশিতা ঘুম থেকে ওঠে আসায় চোখ এখনো ফুলে আছে খুবই আবেদনময়ী লাগছে তাই মাহদি আর দাড়িয়ে থাকতে পারলো না বলে ই চলে গেল.
নিশিতার বারবার পড়ে যেতে দেখে কপাল চাপড়ালো সামিয়া বেগম..
নাহিয়ান উপর থেকে ইডিয়েট বলে রুমে চলে গেলেন।আর নায়হান শেখ সোফায় বসে গম্ভীর স্বরে বললো
-দেখে চলো না কেন মামনি। এই নিয়ে দু বার পরতে নিলে ভাইরা না থাকলে কি হতো..
নিধি ওর কান্ড দেখে কিছুক্ষণ চুপ ছিল আবার ওর দিকে তেরে আসতে শুরু করলো
-আমার টপ কই তারাতাড়ি বল সেটা আমার চাই চাই..
নিশিতা আবার দিল দৌড় যেয়ে নাদিফ, রাদিফ পিছে পলালো নাদিফ ওর সামনে থেকে সরে গিয়ে বললো
-দে ওকে দুটো তার পরে যদি ঠিক হয়
নিদি ওকে ধরবে এর আগেই নিশিতার কিছু মনে পরে গেল
-আপু আমি নিয়ে ছিলাম ঠিকই পরতে পারিনি আলমারি তে রেখেছিলাম পরে খুঁজে পাই নি দুদিন পর আরু পরা ছিল ওটা ওর কাছে
আরু পানি নিয়ে ছিলো মুখে নিধি ঘুরে ওর দিকে অগ্নি চোখে তাকাতেই ই পানি নাখমুখে ওঠে যায় এখন তার খবর আছে..
-আরু আমার টপ কই(রাগি স্বরে)
-আ আপু হয়েছে কি…ও ওটা আমি পরেছিলাম কিন্তু দরজার তারকাটা লেগে ছিরে গেছে…. (ভীত কণ্ঠে)
এখন যেমন নিদি কান্নাই করে দিবি তার শখের টপ ওরা এ কাজ করলো
-দেখেছো তোমরা কি করলো ওরা এটা আমার প্রিয় ছিল (ভাঙ্গা কন্ঠে রায়হান,ইরফান শেখ এর উদ্দেশ্যে)বলে ই ইরফান শেখ এর পাশে বসে পরলেন
ইরফান শেখ ঠাট্টা স্বরে ইরার উদ্দেশ্য বললো
-ইরা মনি তা তুমি কেন বোনদের থেকে পিছনে রয়ে গেলে
এ কথা শুনে নিশিতা আর আরু চোখাচোখি করে একসাথে হাসি শুরু করে দিল
-কিযে বলো না ছোট আব্বু ও তো বড় কালপ্রিট যা আমাদের সাহস হয় না তা ও করে আপু মেক আপ সব নাই করে দেয় আর আপু ভাবে সে হাড়িয়ে ফেলে
এটা শুনে নিদি আর নিজেকে সামলাতে পারলোনা ওঠে দিল তেরে গেল
-আজ তোদের তিনটাকেই উত্তম মদ্দম দিব হাতে শুধু পাই
ওকে তেরে আসতে দেখে ওরা ও দৌড় চার বোন মিলে হলরুম জুড়ে দৌড়াচ্ছে তা দেখে রাফি বেশ মজাই পাচ্ছে আর হাত তালি দিচ্ছে তা নিশিতা চোখে পরে গেল সে তেরে রাফির দিকে যেতে নিলে রাফি ও তাদের সাথে যোগ দেয়..
এসব দেখে বাড়ির বড়দের মুখে হাসি ফুটেছে। তাদের বাচ্চা গুলো কি সুন্দর লাগছে।এর থেকে শান্তি হয়তো দুটো নেই আজ বাড়ি সবগুলো ছেলেমেয়ে তাদের চোখের সামনে..
চলবে…..