#গল্প_ভুলি_কি_করে_তোকে
(এ প্রথম লেখা লেখি করছি জানি না কেমন লাগবে ভুলক্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন)
(কাজিন রিলেটেড + রোমাঞ্চকর+থ্রিলার)
#লেখিকা_নুরজাহান_আক্তার_স্নিগ্ধা……
📌কপি সম্পুর্ন নিষিদ্ধ
#পর্ব_১০
নিশিতা ওরা আড্ডা দিচ্ছে।আর এদিকে মাহদি ,রাদিফ,নাদিফ বারবিকিউর জন্য চারদিকে ইট দিয়ে মাঝে কয়লা দিয়ে উপরে শিক দিয়ে দেয়। চিকেন মেরিনেট করা আছে।এখন শুধু আগুন জ্বালিয়ে বারবিকিউ করবে।নাহিয়ান আর ইভান এক্ষনো আসেনি তাই আড্ডার মাঝে মিলি বলে ইভানদের ডেকে নিয়ে আসতে ও সাথে।নিশিতা ,মিলি ওঠে নাহিয়ান ,ইভানকে ডাকতে কিছু শিরি যেতে দেখতে পায় তারা আসছে।তাই ওরা দাঁড়িয়ে যায়। ইভান ওদের দেখে জিজ্ঞেস করে
-কোথাও যাচ্ছো তোমরা?
নিশিতা
-আপনাদের জন্য যাচ্ছিলাম কিছুক্ষণের মধ্যে বারবিকিউ র্পাটি শুরু হবে।তাই ডাকতেই যাচ্ছিলাম।
বলতে বলতে ইভান কে নিয়ে ছাদে যাচ্ছে। নাহিয়ান ধীরে ধীরে শরীর হেলিয়েধুলিয়ে আসছেন। ইভান ওদের সাথে কথা বলতে বলতে ছাদে আসতেই ওদের কন্ঠ শুনে আরোহী পিছনে ফিরে তাকায় আরোহীর সাথে নিধি কথা বলছিল ওকে কথার মাঝে পিছনে তাকাতেই। নিধি ও তাকায় তাকাতেই নিধি যেন জমে গেল।শরীর ঠান্ডা হয়ে আসছে বরফের ন্যায় জমে যাচ্ছে।বুক কেমন ধড়ফড় করতে লাগলো। এই মানুষটি তার একাকিত্বের সাথী। তার দুঃখ কষ্ট রাগ অভিমান সবটাই এই মানুষ টাকে জুড়ে। নিজের কাঙ্ক্ষিত মানুষটিকে এতগুলো দিন,বছর,মাস,ঘন্টা পরে শরীরে দেখতে পেল সে।সে মানুষটার থেকে চোখ নিতেই পারছে না মন চাচ্ছে জরিয়ে ধরে কান্না করতে কিন্তু তা তো পারবে না সে। তার অনুভূতি বুঝার মতো এখানে কেউ নেই। কেউ বুঝার চেষ্টা ও করবে না তাকে তার ভিতর কি তোলপাড় চলছে।নাহিয়ান আর ইভান কে আসতে দেখ সবাই তাদের কাছে যায়। রাদিফ ,নাদিফ যেয়ে আলিঙ্গন করে ইভান এর সাথে তারা খুব ভালোভাবেই চিনে ইভানকে প্রায় কথা হতো তাদের সাথে নাহিয়ানের ছোট থেকে গলায় গলায় বন্ধুত্ব ইভানের সাথে যার কারনে ভালো একটা বন্ডিং ওদের মধ্যে ইভান ওদের দেখে কুশল বিনিময় করে মাহদি সাথে হ্যান্ডশেক করে মাহদির সাথে ওর তেমন একটা বন্ডিং নেই। ছোট থেকে তেমন একটা ওদের দেখা হয়নি। যেহেতু মাহদির বেশির ভাগই দূরে থাকা হতো।মাহদির সাথে টুকিটাকি কথা বলে সবার সাথেই কুশল বিনিময় করে। সামনে তাকিয়ে পা বাড়িয়ে দিতেই নিজের পায়ের সাথেই হোঁচট খেয়ে পরে যেতে নেয় ওমনি নাহিয়ান পিছন থেকে ইভানের শার্টের কলার ধরে নেয় বিরক্ত মুখে বলে ওঠে
-তুই এমন বলদের মত শুকনো পাকাতে হোঁচট খাচ্ছিস কেন।
ইভান নাহিয়ানের কখা যেন কানে নিল না সে তার থেকে কিছু দূরত্বে দাঁড়িয়ে মেয়েটিকে দেখে।নিশিতার কথাই যেন সত্যি হয়ে গেল সত্যি ইভান হোঁচট খেল নিধীকে দেখে। স্তব্ধ হয়ে যায় শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যায়। এতগুলো বছর পর তার কাঙ্ক্ষিত নারীকে দেখে কেমন স্তব্ধ হয়ে যায়। তার নারী এতগুলো বছর পর স্বশরীরে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আর তার সাথে তার চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের ওকে পুরো ঘায়েল করে দিল।ইভানের ইচ্ছে করছে তার নারীকে একটু ছুয়ে দেখতে। তিন তিনটি দেখা হয়নি তাদের। এতগুলো মানুষের মাঝে দুটি নর-নর-নারীর অনুভূতির বাতাস বইছে চারদিকে কিন্তু তার আঁচ কেউ করতে পরছে না।সবাই নিজ নিজ কথায় ,হাসাহাসিতে ,গল্পে ব্যস্ত এর মধ্যে কি কেউ ওদের এমন চাহনি আঁচ করতে পেরেছে? হয়তো! হয়তো বা না! তা পরে জানা যাবে।নিশিতারা যে যায় মতো ব্যস্ত দুষ্টামি , গল্প ,আড্ডায় বসে গেছে সবাই।ইভান নিজেকে সামলে নিয়ে নিধীর কাছে আসে কারো নজর আটকানোর আগেই শুধরে নিয়ে নিজেকে সবার সাথে তার কথা হয়েছে নিধী বাদে তাই এখন নিধির সাথে কথা বললে কেউ নেগেটিভ নিবে না।তাই দীর্ঘশ্বাস ফেলে মুখে হাসি টেনে
ইভান
-কি অবস্থা? মিস নিধী ভালো আছেন?
নিধী
-জ্বি! আপনি ভালো আছেন? মাথা নিচু করে এতগুলো দিন পর সামনাসামনি হওয়াতে লজ্জায় আর মনে মাঝে তোলপাড়ে ওর কখা বের করতে যেন কষ্ট হচ্ছে।
ইভান
-জ্বি আলহামদুলিল্লাহ! দেশে এসে কাঙ্ক্ষিত মানুষগুলোকে পেয়ে মনে সব থেকে সুখী মানুষ আমি।তা সব মেয়ে গুলো এত সুন্দর হলে কিভাবে। আগের মত ছোট কেউ নেই বড়ো হয়ে গেছো দেখছি নিশিতা তোমরা।শেষ কথাটা নিধীকে উদ্দেশ্য করে নিশিতার দিকে তাকিয়ে বলে।
রাদিফ
-আরে ভাই বইলেন না। এরা দিন দিন সুন্দর হয় আর আমরা ছেলেরা দিন দিন বান্দরের মত দেখতে হই তাই বলেই তো মেয়ে মানুষ দেখলে দৌড়ায়।নিশিতাকে কিছু না বলতে দিয়ে রাদিফ বলে ওঠে। রাদিফ এর কথায় নাহিয়ান ,,মাহদি, নাদিফ কপাল কুঁচকে ফেলে নাদিফ বলে ওঠে
-তুই হতে পারিস দিন দিন বাদরের মতো কিন্তু আমরা না। আমরা শেখ বাড়ির ছেলে। আমরা মোস্ট হ্যান্ডসাম
লিস্টে আছে। তোকে হয়তো কুরিঋে আনা হয়েছে তাই তুই হয়তো আমাদের মতো না।ওদের কথা শুনছে আর ঠোঁট টিপে হেসে যাচ্ছে মেয়েরা।
আরোহী নাদিফ এর সাথে বলে ওঠে
-তার মানে তুমি আমাদের ভাই না।শুধু নাহিয়ান ভাই আমার একমাত্র ভাই।
ইরা
-হায় আল্লাহ এখন কি হবে আপু।
ওদের কখায় হুট করে রাফির মাথায় আসে
-তোমরা কি ভেবে দেখেছো সম্পদের ভাগ কমে গেল একজন।ভাইয়াকে কুরিয়ে পেলে।ওর কথা শুনে ইরা কপাল কুঁচকে ফেলে।
ইরা
-এ্যাই বেয়াদব এ্যাই এই বয়সে তুই সম্পদ নিয়ে ভাবছিস।ওদের কথার মাঝে হঠাৎ নিশিতা বলে ওঠে
-যদি তোমাকে কুরিয়ে আনা হয়ে থাকে।মনে হয় তোমার পূর্ব পুরুষ কোন বাদর ছিল। তাই তুমি দিন দিন বাদরের মত হচ্ছো।ওদের ভাইবোনের কথা শুনে। রাদিফ কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। এই দুভাই বোন মিলির সামনে।এগুলো কি বলছে ও তো শুধু এমনি বলে দিয়েছিল কিন্তু ও কি জানে ভাই বোন ধরে বসবে এভাবে।নাদিফ তো বড়ভাই কিছু বলতে পারবে না। কিন্তু এই নিশিতা ও কে। ও কে তো পারবে ভেবে রাদিফ ওঠে দাড়ান আজ এই ফাজিলটার কান ছিড়ে ফেলবে ও।নিশিতার দিকে পা বারিয়ে দিতেই নিশিতা বিপদসংকেত বুঝে যায় সেও দাঁড়িয়ে যায়। দাঁড়িয়ে ঘুরে দৌড় দিতে নিবে। তক্ষুনি রাদিফ বগলদাবা দিয়ে ধরে ফেলে। ধরেই কান মোচড় দিতে দিতে বলে।
-বেশি ফাজিল হয়েছিস বেয়াদব। আমাকে বাদরের মতো লাগে তোর।
-আহ্ ভাইয়া লাগছে ছারো।আমি কি বলেছি নাকি তুমিই তো বল্লে একে আমার কি দোষ।ওদের কমকান্ড গুলো মাহদি,নাহিয়ান নিরবে দেখে যাচ্ছে।
চলবে…..