যদি ভালোবাসো সঞ্চারিনী পর্ব-০১

0
20

#যদি_ভালোবাসো_সঞ্চারিনী
#পর্ব১
#রাউফুন

“প্রথম প্রেমে পড়ার বয়স কত তোমার?”
পাশ থেকে উত্তর আসে না। অধৈর্য্য হয় প্রশ্ন করা ব্যাক্তিটি৷ কিছুটা জোরালো কন্ঠেই আবারও একই প্রশ্ন ভেসে আসে,
“কি হলো? কই হারিয়ে গেলে? বলো, প্রথম কবে প্রেমে পড়েছিলে?”

সম্বিত ফিরলো নূরির। বয়সন্ধির গাঢ় অনূভুতির সাগরে ডুবে ছিলো মেয়েটা। ইসহাকের ধমকে চমকে উঠে আমতা আমতা করে বলে,

“আমি যখন প্রথমবার প্রেমে পড়ি, তখন আমার বয়স কেবল তেরো!”

নিজের বিয়ে করা স্ত্রীর মুখে এহেম উত্তর শুনে ভেতরে ভেতরে হোঁচট খেলো ইসহাক। হোক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে বিয়ে, বিয়ে তো হয়েছে নাকি? অবশ্য প্রশ্নটা তারই, সে আগে কখনো প্রেমে পড়েছিলো কি না সেসব জেনে তার কাজ কি? সে তো বিয়েটা নিয়ে বিন্দুমাত্র সিরিয়াস না। তবে ইসহাক ভেবেছিলো, এমন ইনোসেন্ট একটা মেয়ে কি আর ওসব করবে? কিন্তু না তার ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে মেয়েটা এমন উত্তর দিলো। তার স্ত্রী, অন্য কাউকে ভালোবাসে? কথাটা ভাবনায় আসতেই না চাইতেও মেজাজটা তুঙ্গে উঠে যায়। ক্রোধ সামলে চোখ সরু করে শুধালো,“কার প্রেমে?”

“বলব না!”

“তারমানে তুমি ছোট্ট বেলা থেকেই এমন ইঁচড়েপাকা?”

“আমি মোটেও ইঁচড়েপাকা নই, সেই একজনকেই এখনো পছন্দ করি। আমার পছন্দ তো আর বদলায় নি।”

“সে তুমি পছন্দ করতেই পারো, কিন্তু ওতো অল্প বয়সে এসবের কি বুঝতে তুমি? পাকাপোক্ত না হলে কি আর….!”

“দেখুন, আপনি প্রশ্ন করলেন, আমি সরল মনে বললাম। তাহলে এখন আমাকে ইঁচড়েপাকা বলা হচ্ছে কেন? আসলে সত্য কথার ভাত নাই হুহ্!”

“যাই হোক, আজ আমার আর তোমার যে বিয়ে হলো, কথা মতো তুমি কোনো দিন আমার সামনে আসবে না স্ত্রীর অধিকার চাইতে। গোপনেই থাকবে। কখনোই কোনো কল, টেক্সট বা দেখা করার কথাও ভাববে না। মানে টোটালি সবকিছু ভুলে যাবে। তীর্থর বিয়েতে গিয়ে আমাদের বিয়ে হয়েছে, এই বিষয়টা গ্রামের লোকজন ছাড়া যেহেতু ব্যাপারটা কেউ জানে না তাই এখানে কাউকে বলবে না। গ্রামের বিয়েটা আমি গ্রামেই পিষ্ট করে এসেছি।”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে নূরি। ঝুমুর ওর মামাতো বোন। ওর মা অসুস্থ বলে বিয়েতে যেতে পারেনি। কিন্তু দাওয়াত রক্ষার্থে ওকে যেতে হয়েছে। সেখানেই তার জীবনের এমন ভয়াবহ ভাবে রদবদল হবে সে কি ভেবেছিলো? লোকটার জেদের কাছে হার মেনে আজই গ্রাম ছাড়তে হয়েছে। নূরি অধর ভিজিয়ে বললো,
“ঠিক আছে, কিন্তু আপনি চাইলেই আমার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। আমি এসব কিছুতেই বাঁধা দেবো না। আপনাকে যখন খুশি আমার কাছে আসার অনুমতি দেওয়া হলো! চাইলে কল,টেক্সট, টুইটারে, ইন্সটা, হোয়াটসঅ্যাপে, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারে সবখান থেকেই যোগাযোগ করতে পারেন। আসছি!”

“এই আস্তে, তোমার কি মনে হয় আমি তোমার সঙ্গে দেখা করার জন্য মরিয়া হয়ে যাবো? নিজেকে কি ভাবো?”

নূরি হাসলো। সেই হাসিতে কিছু একটা ছিলো। সে স্মিত হেসে বললো,”দেখাই যাক না, সময় সবকিছু বলে দেবে! কথা মতো আমি আপনার সামনে যাবো না, কিন্তু আপনার জন্য তা নিষেধ করা হলো না, কারণ তো অবশ্যই আছে তাই না?”

নূরি চলে এলো। একবারও পিছু মুড়ে দেখলো না। ইসহাক ওর যাওয়ার পানে অপলক তাকিয়ে রইলো। এই বিয়েটা তাকে কোথায় নিয়ে যাবে, তার ভবিতব্য কি বোধগম্য হয় না । সেই মূহুর্তে ইসহাকের ফোনে কল এলো। ফোন রিসিভ করলো। ওপাশ থেকে কি বললো শোনা গেলো না। ইসহাক চাপা হুংকার দিয়ে বলল,“মাল সাপ্লাই নিখুঁত হইতে হইবো। সা’** একটা কাজ ঠিক করে করবার পারোস না? একটা না একটা বেগোড়বাই করতেই হয় তোগো? এমনি ঝামেলায় আছি, তার মধ্যে আরেক ঝামেলা।”

ক্রোধে ফোনটা কে’টে সড়কের মধ্যে ছুড়ে মারতে চাইলো ইসহাক। তৎক্ষনাৎ আবার ফোনটা বেজে উঠলো। বিরক্ত হয়ে ফোনটা রিসিভ করেই বললো,“এই বুড়ী রাখ ফোন। আমি কইছি না তাড়াতাড়ি আইতাছি? চুপচাপ ভাত খাইয়া ঘুমা, আমার লাইগা বইয়া থাকতে যেনো না দেহি।”

ঘ্যাচাং করে ফোন কাটে ইসহাক। ফোন প্যান্টের পকেটে পুড়ে নিজের চুল মুঠো করে টেনে ধরলো। বিয়ে নিয়ে কোনো রকম আগ্রহ ইসহাকের ছিলো না, এখনো নেই। উটকো ঝামেলা একটা ঘাড়ে চাপলো৷ একে যেভাবেই হোক ঘাড় থেকে নামাতে হবে। নাহলে ধান্দা জমবে না। দ্রুত পা চালালো ইসহাক। কাজটা সম্পন্ন করে বাড়ি ফিরতে হবে।

নূরি বাসায় এসে মায়ের রুমে উঁকি দিলো৷ ওর মা এশারের নামাজ পড়ছে। নিজের রুমে এসে নির্বিকার চিত্তে গোসল সেরে বিছানায় বসলো ল্যাপটপ হাতে নিয়ে। ফেসবুক ঢুকেই একজনের আইডিতে গিয়ে দেখলো হাসি মুখের সেই যুবককে। যে এখন তার স্বামী। কি সুন্দর আঁকাবাঁকা দাঁতের সেই হাসি। এই হাসিতেই তো সে বার বার উম্মাদ হয়ে যায়। ইসহাক রহমান। এই ইসহাক নামের মানুষটার মোহে ডুবেছে সে সেই বালেগা হওয়ার পর থেকেই। আর এখনো কেমন অথৈ জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। কি সুন্দর তার চোখ, এই চোখে কি আছে? আচ্ছা, লোকটার কি মনে আছে ওর চেহেরা? লোকটা তাকে কি অবলীলায় সাহায্য করেছিলো। একটা সময় রোজই দেখা হতো। ছোটো বলে ওকে চকলেট কিনে দিতো, আদর করতো। যখন তার বয়স তেরোর ঘরে তখন এক বৃষ্টিমুখর দিনে লোকটার মাঝে হারিয়ে যায় বালেগা মেয়েটা। বয়সন্ধির চঞ্চল মেয়েটার হৃদয়টাও চঞ্চল হয়। তোলপাড় করা সেই অনুভূতি। হৃদস্পন্দনের সঙ্গে, সর্বাঙ্গে কেমন কাঁপন ধরে গেছিলো মেয়েটার। সর্বনাশের শুরু তো সেদিনই প্রথম হয়। অথচ পাঁচ বছরে ওর মন কখনোই ওতোটা অশান্ত হয়নি। এভাবে বিয়ে হলেও নূরি বেশ খুশি। ঝুমুর এখন কি করছে? নিশ্চয়ই বরের সঙ্গে রোমান্সে ব্যস্ত? ওকে একটা ধন্যবাদ দিতে হবে। ওর জন্যই তো নিজের করে পেলো মানুষটাকে। মানুষ টার প্রতি ও যে কতটা তীব্র ভাবে মোহাচ্ছন্ন তা কি কখনোই বুঝবে লোকটা?

“আপনি আমাকে কেন বিয়ে করলেন?”

“আব্বা আম্মা বিয়ে দিয়েছে তাই জন্যই বিয়ে বসছি। আবার কেন? আপনি কেন করলেন?”

কথার পিঠে প্রশ্ন করলো ঝুমুর। তীর্থ জবাব দিলো না। উল্টে প্রশ্ন করলো,“আপনার বয়স কত যেনো?”

“ষোলো।”

ভয়কাতুরে কঁম্পিত স্বর মেয়েটির। তীর্থ হাতের ঘড়িটি খুলে ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখলো। পড়নে তার সুন্দর এক্সক্লুসিভ শেরওয়ানি। বিয়েটা এতো দ্রুত আর এভাবে হওয়াতে তার মুখ ক্ষীণ মলিন হয়ে আছে। যদিও আয়োজনের কোনো ত্রুটিই রাখেনি তার বাবা। বিছানায় ভয়ে গুটিয়ে যাওয়া মেয়েটির দিকে তাকিয়ে নরম স্বরে শুধালো,

“ভয় পাচ্ছেন?”

“পাচ্ছি!”

“কেন?”

“আপনি আর আমি ছাড়া এই রুমে কেউ নেই, তাই!”

“তো এটাই তো স্বাভাবিক, স্বামী স্ত্রীর ঘরে স্বামী স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ থাকবে না। আপনি কি আরও কাউকে আমাদের সঙ্গে রাখতে চান নাকি?” রসাত্মক শোলানো তীর্থর স্বর। ঝুমুর নিরেট গলায় বললো,

“চাই তো।”

“হ্যাঁ?”গোলগোল চোখে তাকালো তীর্থ।

“আমার দাদি কইছে আপনের আর আমার বাসর ঘরে দাদিও থাকবো। কিন্তু দাদি তো এহনো আইলো না। দাদি কি কইছে জানেন?

”কি?”

”বলেছে—কি-লো, ছুড়ি তোর সোয়ামিরে আমারে দিবি? তোর সোয়ামি যা সুন্দর হইছে ! সুযোগ হইলে আবার বিয়া বইতাম তোর সোয়ামির কাছে।”

“আপনি কি বললেন? আমাকে দিতে চাইলেন?”

“হ্যাঁ চাইলাম। আমি সোয়ামি দিয়ে কি করমু?”

“আপনি সোয়ামি আই মীন স্বামী দিয়ে কি করবেন মানে? অন্যরা কি করে?”

“কি করে তা দিয়া আমার কি কাম? আমি তো দেখতাছি না সোয়ামির কোনো কাম আছে।”

“এরকম শুদ্ধ, অশুদ্ধ মিলিয়ে, বাক্যলাপ কেন করছেন?”

“বাক্যলাপ কখন করছি? কথা বলছি!”

“হু ঐটাই। এই যে এখন শুদ্ধ কথা বলছেন!”

“আসলে দাদির কথা মনে পড়লে অশুদ্ধ ভাষা মুখে আহে। ইশ দাদি এহনো আহে না ক্যা? সে কি ঘুমাই গেছে? এহন কইটা বাজে?”

“স্বামী স্ত্রীর ঘরে দাদিকে রাখবেন? আজ আমাদের বিয়ে হয়েছে— বিয়ে মানে বোঝেন?”

“হু বুজুম না ক্যান? বুজি তো। ঘরে ঢোকার সময় দাদি কইয়া দিসে, আপনে আমার কাছে আইজকা যা চাইবেন তাই যেনো দিয়া দেই। আমি তো আপনারে কিছু দিমুই না তাই খালি হাতে আইছি! হিহিহি!”

দীর্ঘ আলাপের পর তীর্থ, ঝুমুরের নৈকট্যে গেলো। বিছানায় বসতে নিলে ঝুমুর লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নামলো। বিছানা থেকে নেমেই দেয়ালের সঙ্গে শিটিয়ে রইলো কেমন। তীর্থ হতভম্বের মতো দাঁড়িয়ে ঝুমুরের দিকে তাকিয়ে রইলো। তার এরকম কর্মকাণ্ডের মানে সে বুঝলো না। ভারিক্কি গলায় শুধালো,

“আপনার আমাকে এতো ভয় পাওয়ার কারণ কি? আমাকে কি পছন্দ না?”

“পছন্দ!”

“তবে ভয় পাওয়ার তো অবকাশ নেই।”

“আছে!”

“আছে?” চোখ সরু হলো তীর্থর। ঝুমুর মাথা নত করে ফ্লোরে পা খুটতে খুটতে ছোটো করে জবাব দিলো,“হু”

“কি শুনি?”

“আপনি কাছে এসে যদি আমায় কা’মড়ে দেন। আমার ভয় করছে!”

“এরকমটা মনে হওয়ার কারণ?” খানিকটা ক্রোধান্বিত শোনালো তবে তার কন্ঠঃস্বর।

“রাগ করছেন কেন আপনি? আমি কি এমনি বলেছি? ঐ যে ময়না আছে না? ওর তো বিয়ে হলো সেদিন, ও যখন পরের দিন বাড়ি এলো, আমি তো গিয়েছিলাম দেখতে, আমি দেখেছি ওর গা’লে কি বিশ্রি ভাবে দাগ হয়ে আছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম এমন কিভাবে হয়েছে, ও কাঁন্না করতে করতে বললো, ওর স্বামী নাকি কা’ম’ড়ে দিয়েছে! বিয়ে মানেই নাকি নরক যন্ত্রণা, বিয়ে হলেই নাকি এমন কামড়ে দেয়। ও খুব কাঁদছিলো জানেন?”

তীর্থর ইচ্ছে করছে মাটির তলায় গিয়ে লুকাতে। এমন গর্ধ্বব বউ তার? এই আধ পাগল মেয়েটাকে তার গলায় কেন ঝুলিয়ে দিলো তার বাবা, সে বুঝতে পারছে না। মেয়েদের বুদ্ধি তো এমনিতেই হাটুতেই থাকে, এর তো বোধহয় হাটুতেও নেই, একেবারে পায়ের তলায়। সে গম্ভীরমুখে বললো,

“অলরাইট, নাও গো টু স্লিপ।”

“বুঝতে পারছি না, কি বললেন?”

“আপনি ইংরেজি বুঝেন না?”

“নাহ!”

“মিথ্যা কথা বলার জায়গা পান না? ইলেভেনে পড়ছেন এই সামান্য ইংরেজি বোঝেন না।”

“আমি পড়ি না!”

“আবারো মিথ্যা! আসুন বিছানায়। আপনি যদি ভেবে থাকেন আমি সোফায় ঘুমাবো সেই আশায় গুড়ে বালি। আমি বিছানা ছাড়া ঘুমাতে পারি না। আপনি নির্ভয়ে পাশে শুয়ে পড়ুন। আমি অসভ্য না, সভ্য মানুষ! বিনা অনুমতিতে আপনাকে ছোঁবো না। আর হ্যাঁ, বিয়ের শাড়ী বদলে আপনার যা ভালো লাগে পড়ে নিন! লাগেজে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস আছে।”

তীর্থ সোজা হয়ে শুয়ে কপালে এক হাত রেখে চোখ বন্ধ করে রইলো। ঝুমুর প্রায় মিনিট পাঁচেক সেভাবেই দাঁড়িয়ে থেকে, সুটকেশ বের করে একটা সুন্দর সুতির শাড়ী বের করে পড়ে ফেললো। তারপর বিড়ালপায়ে এগিয়ে এলো বিছানার কাছে। বিছানায় এসে অস্বস্তি নিয়ে গাট হয়ে শুয়ে পড়লো এক কোণায়। ক্ষনকাল পর তীর্থ গলা ঝেড়ে আবার জিজ্ঞেস করলো,

“আপনিই একটু আগে আমাকে ভয় পাচ্ছিলেন, এখন ভয় পাচ্ছেন না?”

“তখন ভয় পাচ্ছিলাম কিন্তু এখন ভয় করছে না।”

“ভয় পাওয়ার এখনো অনেক কারণ আছে।” তীর্থ বিরবির করে বললো কথাটা। ঝুমুর শুনতে পেয়ে বললো,

“নাহ নেই। আপনিই তো একটু আগে বলছিলেন আপনি সভ্য মানুষ।”

তার বিয়ে খেতে এসে তার বেচারা বন্ধুটাও ফেসে গেলো। বিয়েতে এমন ঝামেলা হবে সে কি ভেবেছিলো? একবার ফোন করতে হবে ইসহাককে। নিশ্চয়ই বোম হয়ে আছে তার উপর?
তার বউটাও গ্রামের মেয়ে, আবার বড়সড়ো মিথ্যাবাদী। বাবা মেয়েটার মধ্যে কি পেলো কে জানে? এই মেয়ে নাকি এসএসসি তে দুইবার ফেল করে তৃতীয়বার পাশ করেছে। হিসেব মতো মেয়েটার বয়স আঠারো অথবা উনিশ হয়। কিন্তু তাকে মিথ্যা বললো। তীর্থর ঘুম আসছে না, বিয়ে করা বউ পাশে শোয়া, এমতাবস্থায় শুদ্ধতম পুরুষ হয়ে থাকা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ জয় করার মতো কাজ। অবশ্য সে শুদ্ধ পুরুষই। পাশ ফিরে শুতে যাবে কানে বিকট শব্দ এলো। যেনো কলের মেশিন চলছে। বড্ড উদ্ভট শোনালো শব্দ গুলো, এই মূহুর্তে তীর্থর কাছে এই শব্দ গুলো ঠিক এমন লাগছে, ভড়ভড়, ভুষ ভুষ।

#চলবে