#ঘিয়ে_ভাজা_পরোটা
#শেষ_পর্ব
#অনিন্দিতা_মুখার্জী_সাহা
Feminine Wisdom
খাটে গিয়ে শুয়ে পড়ল রুহি! কিছু খেতে ভালো লাগছে না! তীব্র ভয় আর অরুচি!
খাক, রিনি পরোটা দুটো! ওর পেটেও তো প্রাণ আছে! ওর যত্ন হোক! শরীরটা ঠিক হলে, দুটো পরোটা ঠিক ভেজে নেবে নিজের জন্য রুহি!
“তুই শুধু সাড়া দে!” — বিড়বিড় করছে রুহি! না, নড়ছে না! শক্ত হয়ে গেছে পেটটা…
“মা! ও মা!” — চিৎকার করে ডাকার চেষ্টা করছে রুহি! কিন্তু কোনো শব্দ যেন বের হচ্ছে না! খুব ভয় লাগছে! এই সময় একটা হাতের খুব দরকার! কিছু না, শুধু মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে! বলবে কিচ্ছু হয়নি! সব ঠিক আছে! হালকা নড়ল কি পেটটা! চোখ বুজেই পেটে হাত দিল রুহি! কেমন একটা মায়া জন্মে গেছে! আটটা মাস এভাবে রয়েছে! কী বোঝে ও! খিদে পেলে বুঝবে না! ঘুম পেলে বুঝবে না, পেট ব্যথা হলে!
তুতান যে এত বড় হয়ে গেল, সেই বোঝে না কী লাগবে কোনটা লাগবে! এখনো দিনে রাতে ভাত নিয়ে ঝামেলা করে! উচ্ছে সেদ্ধ, পেঁপে সেদ্ধ — এসব যেন ওর দু’চোখের বিষ! ধরে খাইয়ে দিলে আবার এমন গপগপ করে খাবে যেন কত খিদে ছিল পেটে!
চোখ বুজে রুহি তুতানের কথা ভাবছে, পেটে বেড়ে ওঠা প্রাণটার কথা ভাবছে! অনেক সময় শোনা যায়, হয় বাচ্চা বাঁচবে না, নয় মা! রুহি বলবে, বাচ্চাটাকে বাঁচাতে! ওকে তো মরতেই হবে একদিন! বাবা-মা সবার সারাজীবন থাকে না! কিন্তু নিজের একটা ভাই বা বোন থাকলে তুতানটার একজন থাকল! পিসি, কাকা — এঁরা আসলে কেউ নিজের নয়, নিজের হয়ও না!
পেটটা কেমন ব্যথা করছে! পেটে হাত দিয়েই ফোনটা খুঁজছে! একটা ফোন করতে হবে সমরকে! একদম ভালো লাগছে না ওর! ও একটা গাড়ি বুক করে দিক! শাশুড়িকে নিয়ে ঠিক চলে যাবে! না, ওঁ থাক, বরং অমরকে বলবে নিয়ে যেতে! ওর অবশ্য সাইটে যেতে হবে! ওকে ডাক্তারের কাছে না হয় পৌঁছে দিয়ে চলে যাবে!
কিন্তু ফোনটা কোথায়? টেবিলে রাখল কী! উঠে যে দেখবে সেটাও ইচ্ছা করছে না! দু’চোখ জুড়ে যেন ঘুম!
“বৌদি, ও বৌদি! ভাতটা বেড়ে দাও! আমি বেরোব তো!” — বলতে বলতে ঘরে ঢুকল অমর! অমরকে দেখে যেন সাহস পেল রুহি!
“ভাই, এসেছো? আমার না শরীরটা খুব খারাপ লাগছে!” — রুহি থেমে থেমে বলল! ছুটে এলো অমর! রুহি শুয়ে আছে মানে মোটেই সুবিধার না বিষয়টা! চোখেমুখে ঘাম! এসি-টা চালিয়ে দিল!
“ভাই, আমার ফোনটা একটু খুঁজে দেবে? ডাক্তারবাবুকে একটু ফোন করব!” — রুহির কথায় এদিক-ওদিক তাকাতেই বিছানায় খুঁজে পেল ফোনটা! রুহিকে দিতে গেলে রুহি ফোনটা করতে বলল অমরকে! অমর জানে, ডাক্তার রুদ্রর আন্ডারেই আছে রুহি! তাড়াতাড়ি নাম্বারটা খুঁজে ডায়াল করতে গিয়ে থামল! আজকেই ডেলিভারি হয়ে যাবে না তো? হায় ভগবান, আজ যে খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন অমরের! শিকাগো থেকে সব ক্লায়েন্টরা আসবে! হয়তো ওদের নজরে পড়লে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না ওকে!
তারপর আজ পূজাকে নিয়ে শপিংয়ে যাবে — কথা দিয়েছে! আর ছ’মাস — বিয়ের দিন এগিয়ে আসছে! ফুলসজ্জার আংটিটা আজই কিনবে ঠিক ছিল! বাব্বা, তার যা আবার রাগ! না না, এখানে আটকে গেলে হবে না!
“বৌদি, ফোনটা তুমি করো! বলো ডাক্তারকে সবটা! তোমার অসুবিধা তুমি বলাই ভালো!” — বলেই নাম্বারটা ধরে দিয়ে দিল রুহিকে! রুহি চোখ বন্ধ করে ফোনটা কানে দিল! রিং হচ্ছে!
“বৌদি, তুমি কথা বলো, আমি মাকে জানাই!” অমরের চোখেমুখে বড্ড চিন্তা! বেকার বেকার সবাইকে টেনশন দেয় রুহি! খারাপ লাগছে ওর! ওর জন্য আজ অমরের অফিস যাওয়া হবে না!
এসি-টা চালানোর পর একটু ভালো লাগছে রুহির! পেটটা বোধহয় আবার নড়ে উঠল! খুব হালকা, কিন্তু নড়ল! এবার একটু ঠিক লাগছে যেন রুহির! ওপাশ থেকে ডাক্তার রুদ্র ফোনটা ধরতেই সব বলল রুহি! কাল রাতের বমি থেকে আজ অবধি বাচ্চার কোনো মুভমেন্ট নেই! মাঝে দু’বার অল্প নড়ে ওঠার কথাও বলল!
এতক্ষণ না খাওয়ার ওপর বারবার জোর দিচ্ছেন ডাক্তারবাবু! সাধে কি আর না খেয়ে থাকে! খেলেই যে বমি! আর তাতে শরীর ক্লান্ত করে দিচ্ছে! সংসারে এত কাজ! ক্লান্ত হলে চলবে!
“আপনি এক্ষুনি চলে আসুন নার্সিংহোমে! আমি সাড়ে নটার মধ্যে ঢুকছি!” — ডাক্তারের গলায় সত্যি কিছু একটা ছিল, যাতে মনে হচ্ছে রুহির সব ভালো হবে! কিচ্ছু খারাপ হবে না! হতে পারে না! কিন্তু গায়ে শক্তি নেই — যাবে কী করে এতটা! অমর সঙ্গে থাকলেও ভয় লাগছে!
শুয়েই সমরকে ফোন করল রুহি। একবার, দু’বার, তিনবার — না, ফোন ধরছে না সমর! ঘড়িতে পৌনে আটটা প্রায়! কে জানে, হয়তো ব্রেকফাস্ট বানাচ্ছে!
“বৌদি! ও বৌদি! কী হলো তোমার? চা খাবো বলে রান্নাঘরে যেতেই দেখি, তুমি নেই! ছোড়দা ও বেরিয়ে গেল না খেয়ে!” — গড়গড় করে বলছে রিনি! কিন্তু কী শুনল! এটা রুহি বেরিয়ে গেছে মানে! “ভাই কোথায় গেল?” — শুয়েই জিজ্ঞেস করল রুহি! অমর বেরিয়ে গেছে শুনে আরও শরীর খারাপ লাগছে রুহির!
“তাহলে এখন কী হবে!” — বলে ফেলল রুহি!
“কীসের কী হবে, বৌদি!” — রিনি জিজ্ঞেস করতেই রুহি বলল, “আমাকে যে বলল নার্সিংহোমে নিয়ে যাবে!” রিনি তাড়াতাড়ি রুহির মুখের ওপর ঝুঁকে পড়ে বলল, “কষ্ট হচ্ছে বৌদি?” রিনির গলায় আদর পেয়ে যেন মনটা হু হু করে উঠল! কে জানে এই উথালপাতালের কারণ কী — আদর নাকি অবহেলা!
“রিনি! বাবু, আমাকে একটু চিনি জল এনে দিবি? ডাক্তার বলল, একটু খেয়ে নিতে!” — রুহির গলায় কাকুতি! রিনি ছুটল রান্নাঘরে! রুহি শুকনো চোখে ওপরের দিকে তাকিয়ে রইল!
চলে গেল অমর! চলে গেল না,বরং পালিয়ে গেল! এঁরা আপনজন! রুহির আপনজন! এদের পরিবারের রক্ত রুহির পেটে! অথচ- বৌদি, আজ পোলাও খাব! বৌদি, শার্টটা ধুয়ে দিও! বৌদি, আজ রাতে লুচি খাব!আবদার মানতে মানতে রুহি ও যেন আবদার করার সাহস পেয়েছে আজ!
কেঁদে ফেলল রুহি! কী করবে এবার ও! কার সঙ্গে ডাক্তারখানায় যাবে! এই বাড়ি ছেড়ে একা কখনো কোথাও যায়নি রুহি! কলকাতা শহরে তো নয়ই! শিলিগুড়ির মেয়ে রুহি! বিয়ের পর কলকাতায় এসেছে, সে হলো বছর এগারো! কিন্তু রুহির কাছে শহরটা এখনো অচেনা! শহরটা তো ছেড়ে দিল রুহি, এই বাড়িটা! একে কী চেনে রুহি!
ডাক্তারবাবু অল্প কথা বললেন, কিন্তু খুব দামি! এতক্ষণ না খেয়ে আছেন — বাড়ির কেউ কিছু বলেনি! বাড়ি ছাড়ুন, আপনার নিজের মনেই হয়নি এটা আপনার জন্য ক্ষতি! এই সময় কোনো কাজ ইম্পরট্যান্ট নয় নিজের খেয়াল রাখা ছাড়া! নিজের জন্য যদি বাচ্চাটার ক্ষতি হয়! ক্ষমা করতে পারবেন তো? লোকের ভরসায় কেন? নিজের ভরসায় বাঁচুন! যার দুটো সন্তান, সেই মাকে অনেক স্বাবলম্বী হতে হয়!
অনেক মা আছেন, যারা একা লড়াই করে বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন! ইতিহাসে আপনি প্রথম নন, যার হাসবেন্ড বাইরে চাকরি করেন!
ডাক্তার রূদ্র মানুষটাই এরকম! এমনভাবে কথা বলবে, যে রোগীর অর্ধেক রোগ সেরে যাবে!মনে জোর পাবে!
ডাক্তার রূদ্র আজ থেকে নয়! তুতানের সময় থেকে রুহিদের পরিচিত! তাই এত কিছু বলতে পেরেছেন রুহিকে !
সত্যি তো, কেন বাঁচবে রুহি অন্যের ভরসায়! ওর ওপর ভরসা করে থাকে তুতান আর এই যে পেটের জন! পেটে একটু হাত বোলাল রুহি! উঠে পড়ল বিছানা থেকে! মাথাটা চক্কর দিচ্ছে, কিন্তু অসুবিধা হচ্ছে না!
তাড়াতাড়ি একটা সালোয়ার বের করে পরল রুহি! এরপর একটা ক্যাব বুক করতে বলবে রিনিকে! রিনি যেতে চাইলে নিয়ে যাবে, যদি ভর্তি হতে হয়!
“বৌদি ও বৌদি, এই নাও চিনি জল!” — গ্লাস হাতে ঢুকল রিনি! গ্লাসটা টেনে ঢকঢক করে খেয়ে নিল রুহি!
“কোথায় যাচ্ছ শুনি? এই বয়সে আমি এত ঝক্কি সামলাতে পারি না! ছেলেটা না খেয়ে অফিসে চলে গেল, মেয়েটার এই অবস্থা! তারপর তুমি!” — প্রতিভা বলেই যাচ্ছে!
রুহি বুঝতে পারছে ওঁর কষ্টের কারণ — ওঁর ছেলে না খেয়ে বেরিয়ে গেছে!রুহির অসুস্থতা নয়!
চিনি জলটা খেয়ে একটু যেন ভালো লাগছে রুহির!
“তুমি যাচ্ছ কোথায় এই শরীরে! এই সময় এরকম অনেক কিছু হয়! হলেই ছুটতে হবে নাকি নার্সিংহোমে! পারো বাপু তোমরা!”
প্রতিভার কথাগুলো কান দিয়েই ঢোকাচ্ছে না রুহি! ঢোকালেই বিপদ!
“কোথাও যাবে না! শুয়ে থাকো কিছুক্ষণ! ঠিক হয়ে যাবে!” — প্রতিভা হুকুম দিল রুহিকে!
রুহি চুলটা আঁচড়াতে শুরু করল!
“আমার শরীর খারাপ হলে আমি ডাক্তারের কাছে যাব, আর তাতে যদি অসুবিধা থাকে তাহলে সেটা তোমার সমস্যা!”
বলেই মোবাইলটা নিল রুহি! ক্যাবের অ্যাপ খুলল! রিনিকে বলার প্রশ্নই আসছে না আর! দেখাই যাক, পারে কিনা রুহি! খুলে ফেলল অ্যাপ! পিক-আপ লোকেশন, ড্রপ লোকেশন সিলেক্ট করতেই আর অসুবিধা হল না! পরপর নির্দেশ দেওয়া আছে কী করতে হবে!
“মা, আমি যাব বৌদির সঙ্গে?” — জিজ্ঞেস করল রিনি!
“একদম না! এই শরীরে কোথাও না! তুমি এখন পরের বাড়ির বৌ! ওদের বাড়ির বাচ্চা তোমার পেটে! কোনো বিপদ হলে ছাড়বে ওনারা আমাকে! আর ও যখন জেদ করে যাচ্ছে! যাক!” — প্রতিভার কথা শেষ হওয়ার আগেই বুক হয়ে গেল গাড়ি! পনেরো মিনিটে আসবে!
উঠে দাঁড়াল রুহি! পেটটা একটু নড়ে উঠল! আগেরবারের থেকে জোরে! ডাক্তারবাবু ঠিক বুঝেছেন — গ্লুকোজের অভাব!
ব্যাগ আর প্রেসক্রিপশনগুলো নিয়ে এগোতে যাবে, ফোন বাজছে রুহির! সমর ফোন করেছে। ভাবছিল, ফোন ধরবে না — কিন্তু ধরল ফোনটা!ধরেই শুরু করলো –
“সকাল থেকে পেট ব্যথা! শ্বাসকষ্ট — তাই নিয়ে সকালের জলখাবারে ঘিয়ের পরোটা বানিয়ে খাইয়েছি সবাইকে! সবাই খেয়েছে কিন্তু একবারও মনে হয়নি এই মেয়েটা খায়নি এখনও! মনে হয়নি ওর এখন ভরা মাস! যাইহোক শরীর খুব খারাপ ডাক্তারবাবু বললেন এক্ষুনি আসতে! এই শরীরে আমি যাচ্ছি! কিন্তু সঙ্গে যাওয়ার লোক নেই!
ঘিয়ের পরোটা খাওয়া লোকগুলো সব কেমন বদলে গেল চোখের সামনে! তাই আমিও বদলালাম নিজেকে! যাচ্ছি নার্সিংহোমে! বাচ্চা সুস্থ হলেই আমি ফিরে আসব, কিন্তু কারোর কোনো কাজ করার জন্য নয়! আমি আসব! নিজেরটা, ছেলেরটা করব, খাব! কারোর জন্য আর কিছু না!
না করলে পাওয়ার আশাটাও থাকে না!” — একনাগাড়ে বলে গেল রুহি! ওপাশে সমরও চুপ, এপাশে প্রতিভা আর রিনি!
শুধু অশান্ত হয়ে উঠেছে পেটের জন! নাড়াচাড়া করছে! সত্যি বোধহয় কাল থেকে এতক্ষণ না খাওয়ার জন্য এটা হল!
এদের জন্য খাটতে খাটতে নিজের কথা ভুলে গিয়েছিল রুহি! ভুলে গিয়েছিল পেটের প্রাণটার কথা! খুব কষ্ট পেয়েছে বেচারা!
কিন্তু এবার শান্তি লাগছে রুহির! আরও শান্তি লাগছে কথাগুলো বলতে পেরে! আর না! আজ ডাক্তারের ওখান থেকে ফিরে শুধু ছেলেকে পড়াবে আর বিশ্রাম করবে! কোনো কাজ না!
ক্যাব এসে গেছে! এগিয়ে গেল রুহি!
“তুতানকে একটু দেখে রেখো!” — বলল রুহি! রিনি, প্রতিভা সবাই চুপ!
ওদের টপকে এগিয়ে গেল ও! গাড়ির সামনে যেতেই ড্রাইভার ছুটে এসে দরজা খুলে দিল! এটাই তো কাম্য! কিন্তু ঘরের মানুষগুলো যে এটুকু সহবত জ্ঞান নেই — ভাবতেই পারে না রুহি!
ক্যাবে উঠতেই প্রতিভা ছুটে এসে একটা টিফিনবক্স ধরিয়ে দিল!
“আগে এটা খেয়ে নাও! কাল থেকে না খাওয়া! তুমি যাও,গিয়ে যদি বোঝো অ্যাডমিট করতে হবে, খবর দেবে! তুতান আসলে না হয় আমিই চলে যাব!”
গাড়ি এগিয়ে গেল! ঘি সোজা আঙুলে না উঠলে বেকাতেই হয়! তাতে কাজ হবেই! এটা অনেক আগে করতে হতো রুহির!
শুধু নাম কিনবে বলে কিচ্ছু করা হয়নি!
এখন আর কেউ খারাপ ভাবলে তার দায় নেই রুহির! খারাপ তো হতেই হবে, তবেই না নিজের কাছে ভালো হবে!
মেসেজ ঢুকল সমরের — “আমি দুপুরের ফ্লাইটে ফিরছি!”
হেসে ফেলল রুহি!
টিফিনবক্স খুলতেই ঘিয়ে ভাজা পরোটা! অপূর্ব গন্ধ! কে জানে — নিজের জন্য ভেজে রাখাটাই দিয়ে দিল কিনা প্রতিভা!
দিক! কিছু তো করুক রুহির জন্য! রুহি তো কম কিছু দেয়নি সংসারে!
কিন্তু এখন এই ভাজা খাওয়া কি ঠিক? যদি সত্যি আজ ওটি হয়?
ভাবতেই পেটে সজোরে লাথি!
হেসে ফেলল রুহি! তারপর নির্দ্বিধায় এক টুকরো পরোটা মুখে ফেলল!
উফ্ফ অপূর্ব স্বাদ!আর সেটা যখন শাশুড়ির থেকে আদায় করা আদরে ভরপুর হয়!
আবার পেট কেঁপে উঠল — মানে ওরও ভালো লাগল!আর চিন্তা নেই রুহির! সব কিছু ভালো হবে এবার! শুধু ওর আর ভালো বৌ থাকা হলো না…..
——-সমাপ্ত——