প্রেমের_সমর
#পরিচ্ছেদ_২
#সূচনা_পর্ব
লেখনীতেঃ অলকানন্দা ঐন্দ্রি
“ বিয়ে করেছি বলে বাসর রাত উপভোগ করতে তোমার সাথে এখন ফিজিক্যালি ইনভলব হবো ভাবলে তুমি ভুল ভাবছো। সুতারাং শাড়ি খুলে এভাবে ঘুরঘুর করে আমায় সিডিউসড করার চেষ্টা করে লাভ নেই। আমি শুধু তোমার বোনকেই ভালোবাসি, এবং ভালোবাসব।মনে রাখবে।”
রোহানের কাটকাট স্বরে কথাগুলো শুনেই রাহা চমকে তাকায়৷ সে আসলেই ভাবেনি এই সময়ে রোহান রুমে উপস্থিত থাকবে। শরীরে তখন ব্লাউজ এবং পেটিকোট। শাড়ি নেই। যার কারণে উম্মুক্ত পেটের দৃশ্যখানি নজরে পড়ে। রাহা সঙ্গে সঙ্গেই তা ঢেকে নিল শাড়ি দিয়ে। অপমানে মুখটা থমথমে হয়ে এল তার। সে মোটেই রোহানকে সিডিউস করার চেষ্টা চালায়নি। আর ফিজিক্যালি সম্পর্কের কথা তো তার মাথাতেও আসে নি ভাবা তো দূর। তাদের মাঝে হওয়া শর্তগুলোতে স্পষ্ট বাক্য ছিল যে দুইজনই দুইজনের মতো থাকবে। কেউ কারোর জীবনে নাক গলাবে না। তাহলে রোহান কি করে ভেবে নিল যে রাহা সত্যিই এই শর্তগুলো ভুলে এইসব বেহায়াপনা করবে? রাহা ছোটশ্বাস টানে। অতঃপর জবাব দেয়,
“ রাত দুটো বাজে মিস্টার রোহান ফারাবী৷ এতরাত অব্দি বিয়ের সাঁজ নিয়ে বসে থাকাটা বিরক্তিকর লাগছিল বলেই চেঞ্জ করতে গিয়েছিলাম। ওয়াশরুমে গিয়ে শাড়ি খোলার পর মনে পড়ল ব্যাগে কাপড় চোপড় রাখা। সে কারণে এই দশায় রুমে এসেছিলাম। আর আমার তো জানা ছিল রুমে আপনি নেই, রুমের দরজাও লক করা ছিল। সুতারাং আপনি যে এই মুহুর্তে রুমে থাকবেন তার বিন্দুমাত্র ধারণাও আমার ছিল না। আর দূরে রইল আপনাকে সিডিউস করার কথা।আশা করি মাথা খাটালেই বুঝতে পারবেন বিষয়টা। ”
রোহান না মেনে ভ্রু বাঁকাল। কন্ঠে সন্দেহ রেখে বলল,
“আমি রুমে এসেছি বুঝতে পেরেই হয়তো এই অবস্থায় ওয়াশরুম থেকে বের হয়েছো? হতেই তো পারে। ”
রাহা তাচ্ছিল্য করে হাসল। কোমড়ে হাত রেখে বলে উঠল,
“শুনেন ভাই, না তো আপনার উপর ক্রাশ খেয়েছি, না তো প্রেমে পড়েছি, না তো ভালোবেসেছি। তাহলে? আহাম্মকের মতো অযথাই বোহায়াদের মতো একটা ছেলেকে পেট দেখাতে যাব কেন? ”
রোহানের চোয়াল শক্ত হয়ে এল। স্পষ্ট অপমান! সে প্রেমে পড়ার মতো ছেলে নয়? নাকি তাকে ভালোবাসার যোগ্য মনে হয় না কারোর? কথাটা এভাবে বলে কি বুঝাতে চাইল মেয়েটা? রোহান শক্ত কন্ঠে জবাব করল,
“ কিন্তু এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমি তোমার হাজব্যান্ড!সো করতেই পারো হয়তো। ”
রাহা একদম পাত্তাই দিল না এমন ভাবে বলল,
“আমাদের মাঝে চুক্তি হয়েছিল যে আমরা দুইজনেই দুইজনের মতো থাকব।”
রোহানের কপাল কুঁচকে এল। একটু ঝুঁকে গিয়ে জবাব দিল,
“ ইয়েস। বাট এভাবে না। শালীন ভাবে। ”
রোহান একটু ঝুঁকে আসায় কিছুটা দূরত্ব কমল। মুখ থেকে ভেসে এল যেন অদ্ভুত গন্ধ। অথচ এতক্ষন রাহার বোধই হয়নি৷ সে নাক কুঁচকাল। পরমুহুর্তেই মুখ ভেঙ্গাল। গন্ধটা সহ্য করার চেষ্টা চালিয়ে বলল,
“ আপনাকে অতোটাও গুরুত্বের খাতিরে দেখিনি যে আমি আপনার জন্য অশালীন ভাবে চলাফেরা করব। বারবার এক কথা বলবেন না । ”
রোহান দাঁতে দাঁত চাপে। এই মেয়েটা কথায় কথায় তাকে অস্পষ্ট ভাবে অপমান করছে।শুধু অপমান নয়, অসম্মানও। রোহান শক্ত স্বরে বলে,
“ না দেখলেই ভালো। ”
ফের একইরকম বিশ্রী গন্ধ মুখ থেকে ভেসে এল। রাহা সঙ্গে সঙ্গেই নাক মুখ কুঁচকে বিরক্তি নিয়ে বলল,
“ নেশা করে আসলেন নাকি ভাই? ইয়াক! মুখ থেকে বাজে গন্ধ আসছে। ”
রোহান এবার মুখটা কিছুটা সরিয়ে নেয়৷ বিরক্ত নিয়ে বলে,
“ ইয়াক করার কিছুই নেই। আমার রুম, আমি নেশা করব, যাই ইচ্ছে তাই করব। আগেই কথা হয়েছে যে একে অপরের লাইফে নাক গলাব না আমরা। ”
রাহা মানল না। বরং জেদী স্বরে বলল,
“ আপনি যেমন আপনার খারাপ লাগাটা প্রকাশ করেছেন আমি ও তেমন প্রকাশ করার অধিকার রাখি। একঘরে থাকতে হলে এসব নেশা পেশা করা যাবে না। আগে থেকেই বলে রাখছি। যত নেশা সব রুমের বাইরে পর্যন্ত! ”
রোহান বুকে হাত গুজে জবাব দেয়,
“আমার লাইফে যা ইচ্ছে করব।এটা আমার রুম। আমার রুমে আমি যা ইচ্ছে তাই করার অধিকার রাখি ।”
রাহা মুখ ভেঙ্গায় ফের। ব্যাগ থেকে কাপড় নেয় ততক্ষণে। ওয়াশরুমে যাওয়ার পথে ফের রোহানের সামনর দাঁড়িয়ে কাটকাট স্বরে বলে,
“ আপনার লাইফে আপনি যেটাই করুন সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। কিন্তু আমার সমস্যা হয় এমন কিছু আমার আশপাশে করতে দেখলে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দিব মিঃ রোহান ফারাবী। আমি রাহা,বলে দিলাম।”
রোহান হাসে এবারে। বিশ্বাস হয়না এই পিচ্চি মেয়ে তাকে মেরে হাত পা ভাঙ্গতে পারে বলে। হেসে দুই হাত রাহার দুইপাশের দেওয়ালে রেখে ভ্রু বাঁকিয়ে বলে,
“ তাই নাকি? মেরে হাত পা ভেঙ্গে দেখাও তবে? ”
রাহা অপেক্ষা করে না। রোহানের দুই হাতের মাঝখানে থেকেও হাঁটু দিয়ে একটা শক্তপোক্ত আঘাত বসাল রোহানের কোমড়ে নিচের অংশে। সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠল রোহান। চোয়াল শক্ত হয়ে এল। কিছু বলার আগেই নবনী হেসে বলল,
“আমাদের দুই বোনকেই দাদাজান মোটামুটি মারপিটে দক্ষ বানিয়েছেন বুঝলেন মিস্টার রোহান ফারাবী?”
কথাটা বলেই সে গুনগুণ করে গান তুলে কাপড় নিয়ে চলে গেল ফের ওয়াশরুমের উদ্দেশ্যে। রোহান সেদিক পানে তাকিয়ে বিড়বিড় করে শুধায়,
“ সাংঘাতিক! মারটা আরেকটু এদিক সেদিক হলেই তো আমার পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠত! ”
.
আজ বর্ষণের গাঢ় ছায়া আকাশ জুড়ে।আশপাশে আঁধার ঘনিয়ে এসেছে দিনের বেলাতেও। শীতল বাতাস ছুঁয়ে যাচ্ছে শরীর। দূর থেকে মাঝেমাঝেই আকাশের ভয়ঙ্কর বজ্রপাতের আওয়াজ ভেসে আসছে। অথচ বৃষ্টি নামছে না এখনো। প্রকৃতি যে সব সাঁজিয়ে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে তা কি সে বুঝে উঠছে না? যেমনটা বুঝে উঠে না ছুটির আবির ভাই?এই যে আটটা মাস আবির তার সাথে ইচ্ছে করেই যোগাযোগ করেনি, ইচ্ছে করেই তাকে এড়িয়ে যাচ্ছে, কেন?ছুটি কি করেছে যার জন্য এই শাস্তি?বিয়েটাই বা কেন করেছিল তাহলে? এই অবহেলা ছুটি আর নিতে পারে না। অপেক্ষায় থাকে কখন এই অপেক্ষার অবসান ঘটবে তার জন্য। অথচ ঘটে না। রোজ নিয়ম করে সে অনুভব করছে সে আসলে আবিরের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কোন অংশ নয়। যদি হতো তাহলে বুঝি এতগুলো দিনে একটবারও খোঁজ নিত না?ছুটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ছাদের একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বিড়বিড় করে বলে,
“আবির ভাই?আর কতদিন অপেক্ষা করব? আর কতদিন আমায় এভাবে অস্থিরতায় কাটাতে হবে?দোষ কি ছিল আমার আবির ভাই? কি এমন অপরাধ করেছিলাম আমি? আমি যে আর এভাবে থাকতে পারছি না৷ আমার কি মরে যাওয়া উচিক আবির ভাই?আপনি আমায় আধো ভালোবেসে…..”
কথাগুলো বলতে বলতেই চোখ গড়িয়ে পানি পড়ে ছুটির৷ তবে বাকিটুকু বলা হলো না আর ছুটির।তার আগেই এল ফিহা। ছটফট করে বলল,
“ একি তুমি ছাদে আপু?বজ্রপাত শুনছো? বাসায় চলো।”
ছুটি কথাটাকে গুরুত্ব না দিয়ে ফিহার দিকে তাকায়। আজকাল ফিহাও তাকে এড়িয়ে চলে। খুব একটা চোখের সামনে পড়ে না সে। কারণ বোধহয় সে বারবার ফিহার কাছে আবিরের কথা জিজ্ঞেন করে এটাই।ছুটি ছোটস্বরে বলল,
“ফিহা?”
“ বলো আপু। ”
ছুটি চোখের পানি মুঁছে হেসে বলে,
”তোমায় আজ এক সপ্তাহ পর দেখলাম। একটা কথা জিজ্ঞেস করি? ”
ফিহা বুঝে যায়। মুহুর্তেই বলে,
“ ভাইয়ার সাথে কথা হয়েছে কিনা? ”
ছুচি এবার অনেকটা আকুতি নিয়েই বলল,
“ ফিহা? আমার সাথে কথা বলেন না কেন উনি? কি করেছি আমি? এটা যদি একটাবার জানতাম। ”
উত্তর এল,
“ তুমি কিছু করোনি আপু। ”
“ তাহলে? কথা কেন বলে না আমার সাথে? অন্য কাউকে ভালোবাসে এখন? ”
ফিহার কষ্ট হলো। জবাবে বলে,
“ ভাইয়া তোমাকেই শুধু ভালোবেসেছে আপু। ”
ছুটি তাচ্ছিল্য করে বলল,
“ ভালোবাসে? অথচ ভালোবেসে আমায় মরন যন্ত্রনা উপহার দিচ্ছে। ”
ফিহার কান্না পায় কেন জানি। চলে যেতে যেতে রোধ হওয়া স্বরে কোনভাবে বলে,
“ নিজের যত্ন নাও আপু। ”
ফিহাকে চলে যেতে দেখে ছুটি বলে,
“ তোমরা সবাই স্বার্থপর ফিহা। কিছু একটা লুকিয়ে যাচ্ছো আমার থেকে, অথচ আমায় কেউ কিছু বলো না। ”
ফিহা তখন বিড়বিড় স্বরে বলে,
“ ক্ষমা করো। ক্ষমা করো আপু। ”
.
ছয় মাসের ভরা পেটে এপাশ ওপাশ করছে সুহা। স্বচ্ছ অসহায়ের মতো সুহার দিকে ফিরে শুয়ে আছে। সুহা তার সাথে ইচ্ছে করেই কথা বলছে না। সুহা বলেছিল রাহার সাথে ঐ রোহানের বিয়েটা আটকাতে।ছয় মাসের প্রেগন্যান্সি নিয়ে এতদূর যেতে পারেনি বলে স্বচ্ছই গিয়েছিল বিয়েতে।বিয়েটাও এই মুহুর্তে ছোটখাটো হিসেবেই হয়েছে। কথা হয়েছে সুহার বাচ্চা হওয়ার পর একেবারে বড় করে অনুষ্ঠান করবে। সুহা অবশ্য আস্থা রেখেছিল যে স্বচ্ছ বিয়েটা আটকাতে পারবে । অথচ শেষমেষ কি হলো? রাহার সাথেই তো হলো বিয়েটা। রাহার পরবর্তী জীবনটা সুখের হবে কিনা তা আর ভেবে দেখার প্রয়োজন বোধ করল না কেউ। ঝুলিয়ে দিল এক কার না কার গলায়। সুহা দীর্ঘশ্বাস ফেলে৷ স্বচ্ছ ততক্ষনে বউকে মানানোর উদ্দেশ্যে কয়েক ইঞ্চি দূরত্ব গুঁছিয়ে কাছে আসে। উঠে বসে সুহার পেট থেকে কাপড় সরিয়ে চুমু দিল সশব্দে। বলল,
“ আম্মুজান? তোমার আম্মু আমার সাথে কথা বলছে না।আমার মনে হচ্ছে আমি অক্সিজেন পাচ্ছি না। হাঁসফাস করে মরে যাব বোধহয় আর কিছুক্ষন গেলে। তুমি কি চাও এত সহজে বাবাহারা হতে? ”
“বাবাহারা! ”শব্দটা সুহার কাছে কেমন যেন লাগল।শরীর বিষিয়ে উঠল স্বচ্ছর উপর হওয়া রাগে। মুহুর্তেই স্বচ্ছর দিকে তাকাল রাগী চাহনিতে। বলে উঠল,
”অলক্ষুনে কথা! এসব ছাড়া মুখে আর কিছু আসে না? ”
স্বচ্ছ হাসে এবার। শ্বাস ফেলতে থাকে এমনভাবে যেন সে বহুক্ষন শ্বাস আটকে রেখেছিল। হাঁপাতে হাঁপাতে বলে,
”মনে হচ্ছে অক্সিজেন পেলাম। নিষ্ঠুর! নিষ্ঠুর মানবী। টানা পাঁচ ঘন্টা চব্বিশ মিনিট আমার সাথে কথা বলোনি তুমি। এখন বললে,এবার শান্তিতে ঘুমাতে পারব। ”
সুহা ভ্রু উঁচিয়ে বলল,
” তো?”
স্বচ্ছ হাসে। তৎক্ষনাৎ নিজের মতো শুঁয়ে পড়ে জড়িয়ে ধরল সুহাকে। বুকের মধ্যে ছোট্ট পাখির মতো আগলে নিয়ে চুলে বিলি কাঁটতে কাঁটতে বলল,
“ কথা বলবে সবসময়। যা কিছুই হোক। ”
সুহা চোখ বুঝে। এই নির্দিষ্ট আশ্রয়টা ফেলে তার আর কিচ্ছু লাগে না। গুঁটুশুটি হয়ে পড়ে থাকতে পারে সে এই আশ্রয়ে। সুহার রাগ তবে কমে না। তবুও ওভাবেই চোখ বুঝে রেখে বলে,
“ ঘুমাব। ”
স্বচ্ছ হাসে। এলোকেশি মেয়েটার এলোমেলো চুলের উপর দিয়েই ঠোঁট ছোঁয়াল সে। হাসল মৃদু। আর এক হাতে বিলি কাটল ততক্ষন পর্যন্ত যতক্ষন না সুহা ঘুমুয়েছে।
.
আকাশ মেঘলা। টিউশন পড়ানোর চান্স খুবই কম। তবুও সিয়া পরিপাটি হয়ে বসে আছে পড়ার টেবিলে। অপেক্ষায় থাকল কখন সাদ ভাই আসবে৷ অথচ সাদ ভাই আসল না। বিকাল গড়িয়ে রাত আটটা বাজল। তবুও এল না। সিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ঐ একটা মানুষের কন্ঠ শোনার জন্যই ছটফট করে সে। অবশেষে উপায় না পেয়ে কল লাগাল সে। ওপাশ থেকে কল রিসিভড হতেই শুধাল,
“ সাদ ভাই? আজ কি টিউশন পড়াতে আসবেন না? ”
ওপাশ থেকে কাটকাট স্বরে উত্তর এল,
“ আসব না। ”
বোকা সিয়া প্রশ্ন করে,
“ কেন আসবেন না? ”
সাদ বিরক্ত হয় যেন। মেজাজ খারাপ তার এমনিতেই। জীবনের সবকিছুই বিরক্ত লাগছে তার। রেগে গিয়ে শুধায়,
“ ইচ্ছে হচ্ছে না তাই। সব কৈফিয়ত কি তোমায় দিতে হবে ? ”
কথাটা কেমন যেন লাগে সিয়ার। নরম মনের মেয়ে হওয়াতে এই একটুখানি ধমকই হজম করতে পারল না সে৷ চোখ টলমল করে। বলে,
“ দুঃখিত, ভুলে জিজ্ঞেস করে ফেলেছি সাদ ভাই। ”
সাদ শুনে উত্তর দেয়না আর। কাকে যেন ওপাশে বলে,
“ আরেকটা সিগারেট দে তো আবিদ। ”
কথাটা স্পষ্টই শুনল সিয়া। বিশ্বাস হয় না। বিস্ময়ে চোখ গোলগোল হয়ে যায় তার। সাদ ভাই সিগারেট ফুঁকে?অবিশ্বাস্য।মুহুর্তেই শুধায়,
“ আপনি সিগারেট ফুঁকেন সাদ ভাই? অবিশ্বাস্য। ”
সাদ ত্যাড়া স্বরে জবাব দিল,
“ হ্যাঁ, তো? ”
বোকা কন্ঠ উত্তর দিল সিয়া,
“ এর আগে তো কখনো দেখিনি। ”
সাদ তখন ঠোঁট ছোঁয়ায় সিগারেটে। একটা টান নিয়ে ঠোঁট দিয়ে ধোঁয়া ছড়িয়ে বলে,
“ এখন থেকে দেখবে কন্টিনিউসলি। ”
“ ভালো অভ্যাস নাকি এটা? ”
সাদ হাসে। হেসে বলে,
“ এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে খারাপ অভ্যাস বলেও মনে হচ্ছে না আমার। বরং খুবই ভালো বোধ করছি। ”
সিয়া ফ্যালফ্যাল করে তাকায়। ভালো বোধ করছে? ঐ বিদ্ঘুটে গন্ধ নাকে নিয়ে? আচ্ছা সিগারেটের ধোঁয়াটা কেমন? কোন টেস্ট আছে কি ধোঁয়াটার?
#চলবে……