#আষাঢ়িয়া_প্রেম 💓
#মিমি_মুসকান ( লেখনিতে )
#সূচনা_পর্ব
ফারজানার মা ঘরের ভিতর ঢুকে তাড়াহুড়ো করে বলে উঠলেন, “কি ব্যাপার এখনো তৈরি হোস নি যে? লোকজন তো চলে এলো!”
ফারজানার কণ্ঠে তখনো ন্যাকা কান্নার স্বর। বিছানার উপর আসমানি রঙের সুতি শাড়িটার দিকে তী*ক্ষ্ণ নজর রেখে দাঁতে দাঁত চে*পে বলে উঠলো, “আমি এখন বিয়ে করব না মা!”
মেয়ের হেয়ালীপনা মা বুঝলেন। মুরশিদা বেগম পান খাওয়া লাল এক ফালি দাঁত বের করে বলেন, “দেখলেই কি বিয়ে হয়ে যায় নাকি বোকা। আর আমিও তোকে এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে দিব না। এতো করে ঘটক বলল তাই দেখাদেখি। এছাড়া আর কি!”
“আমার কিন্তু এসব পছন্দ না মা। বিয়ে না করলে শুধু শুধু আমি কেন যাব লোকগুলোর সামনে। আমার কি কোনো মানসম্মান নেই নাকি! পুতুল সেজে তাদের সামনে সেজেগুজে বসে থাকব!”
মুরশিদা বেগম হাসলেন। মেয়ের অ*ভিমান হয়েছে তিনি বুঝতে পারছেন। সত্যি বলতে এখনই বিয়ে দিতে চান না তিনিও। কিন্তু ভালো পাত্র কি সবসময় পাওয়া যায়। ঘটক তো অনেক বলল, সুপাত্র আছে। টাকাপয়সারও অভাব নেই। মোটামুটি ভালোই বড়লোক। দেখতে শুনতেও নাকি খারাপ না। একটা ছবি চাইলো দিলো না, বলল সাথে নাকি ছেলেও আসছে। একেবারে দেখা হয়ে যাবে। এতো বললে হয় না।
মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, “লক্ষ্মী মেয়ে রা*গ করে না। যা তৈরি হয়ে নে! আমার হাতে এখন অনেক কাজ। ওরা নাকি চলেই এসেছে। তাড়াতাড়ি কর মা!”
মুরশিদা বেগম তাড়াহুড়ো দিয়ে বেরিয়ে গেলেন। ফারজানা ঠোঁট চেপে বিছানায় শুয়ে পড়ল। তার কান্না পাচ্ছে ভীষণ। মা তার অভি*মান বুঝল না। নিতান্তই তাকে ছেলেমানুষ ভাবছে। ভাবতে গিয়েই নয়ন জুড়ে নোনা জল ভিড়ে গেলো। নাক টেনে কান্না থামানোর চেষ্টা করছে। ছিঃ; এই কারণে কাঁদতে আছে। লোকে ভাববে নিশ্চিত কোনো প্রেমিক ছিল! নয়তবা এতো কান্নাকাটির কি আছে? কিন্তু মনের কথা কাকে আর বোঝাবে ফারজানা। সবে তো ভার্সিটিতে ভর্তি হলো। দেড় মাস হলো ক্লাস করছে। এই তো স্বাধীনতা পেলো, নিজের মতো করে ঘুরতে ফিরতে পারছে। যখন যা ইচ্ছে করছে। এখনই তার স্বাধীনতা হস্ত*ক্ষেপ করার জন্য উঠেপড়ে লাগল তারা। কেন? আরেকটু সবুর কি করতে পারত না!
ভেতর থেকে আসা কান্নার তী*ব্র প্রকোপ থামিয়ে দিল সে। ঘরের ভিতর ছোট খালামনি এসেছে। কাঁদ*তে দেখলেই এখন তিল কে তাল বানিয়ে ছাড়বে। বলবে নিশ্চিত কেউ না কেউ ছিলো। শুরু হবে আরেক ঝামেলা!
“কি রে, ওমন পেঁচার মতো মুখটা করে আছিস কেন?”
ফারজানা জবাব না দিয়ে উল্টো হয়ে বসল। ছেলেপক্ষ দেখতে আসছে নাকি উৎসব। প্রায় আত্মীয়-স্বজন সকলকে ডেকে ফেলেছে মা। পাশেই দু বাড়ি পর বড় খালামনি আর ছোট খালামনির বাড়ি। তারা এসেছে সাথে তাদের পিচ্চিদের নিয়ে। সকলের মধ্যে একমাত্র সেই তো বড় এখন। তাই এতো জোরজব*রদস্তি!
ছোট খালামনি এসে হাত রাখলেন পিঠের উপর।
নরম গলায় বললেন, “এমন কেন করছিস?”
“কিছু না, ভালো লাগছে না।”
“আহা দেখতে আসলেই তো বিয়ে হয়ে যায় না। এতো গোমরামুখো হলে কি হয়? তোর পছন্দ না হলে বুঝি আমার জো*র করে বিয়ে দিব তোকে? হবে কখনো!”
“তাহলে আমি তো বলছি বিয়ে করব না। ডেকে আনলে কেন?”
“না ডেকে কি উপায় আছে। লোকজন আছে, সমাজ আছে! কতোজনে কতো কথা বলে।”
“না, আমি যাব না তাদের সামনে খালামনি।”
তিরি*ক্ষি মেজাজে বলে উঠল কথাটা! খালামনি মুচকি হাসলেন। যেন ফারজানা ছেলেমানুষী করছে। ফারজানার ঠোঁট কেঁপে উঠল। ঠোঁট কামড়ে ধরল। টানা টানা চোখ দুটো যেন ভিজে যাচ্ছে আবারো। খালামনি বললেন,
“শোন মা, এমন করতে নেই। মা বাবার মান সম্মান জড়িয়ে এতে। পরে লোকে বলবে মেয়ের অন্যকোথাও কিছু আছে এইজন্যই…
ব্যস! ফারজানার হৃদয়ে এসে লাগল কথাটা। বুকে প্রবল বেগে তী,ব্র যন্ত্র*ণা হলো। তরঙ্গের মতো পুরো দেহে কষ্টটা ছড়িয়ে গেলো। আহা মানুষ হয়ে শান্তি নেই, না না, মেয়েমানুষ হয়েই শান্তি নেই আসলে!
এরমধ্যে ৭ বছর বয়সী ছোট খালাত বোন এসে বলল, “ছেলে এসে গেছে।”
ছোট খালামনি এবার তাড়া দিতে লাগলেন। অগত্যা অনিচ্ছাকৃত উঠতে হলো ফারজানাকে। ছোট খালামনি শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছেন তাকে। ভেতর থেকে তখন হাসি ঠাট্টার আওয়াজ। খালামনি মুচকি হেসে বললেন,
“ভালোই জমছে বোধহয়! শুনছিস!”
“না, তুমি শোনো গিয়ে!”
শাড়ির কুচি গুলো ফারজানার হাতে দিয়ে তিনি নিচু হয়ে বসলেন। বললেন, “ছেলেও কিন্তু এসেছে আজ।”
“তো আমি কি করব?”
“তোর ভার্সিটিতেই নাকি পড়ে। তোর সিনিয়র হবে বোধহয়। চিনিস নাকি?”
কথাটা শুনেই পুরো শহরে কম্পন হলো ফারজানার। এই কথাটা এর আগেও শুনেছে সে। লোকটা নাকি তার ভার্সিটির সিনিয়র। সেখান থেকেই পছন্দ করে বাসা অবধি চলে এসেছে। বি*রক্তি এসে গেল ফারজানা। কি গায়ে পড়া লোকরে বাবা! ফারজানা দাঁতে দাঁত চেপে বলল, “না চিনি না!”
খালামনি রহস্য টেনে হাসলেন। ফারজানার কি যে ক*ষ্ট হচ্ছে। সে সত্যিই চিনে না। কাউকে চিনে না! কোনো সিনিয়র কে চিনে না। ডিপার্টমেন্টের কাউকে না, কারো সাথে কথাও হয়নি এখন অবধি। ব্যাচ মেটদের নামটা সবে জানা হলো। এসব কথা কাকে বোঝাবে? সবাই ভাবছে ভার্সিটি থেকে দুজন দুজনকে পছন্দ করেছে। হয়তো ফারজানা নিজেই ছেলেটিকে বলেছে বাসায় আসতে…
এসব ভাবনা ফারজানার। রা*গ হচ্ছে, সবাই তাকে নিয়ে এখন এসব ভাবছে। কিন্তু সত্যি তো এটা না! কি আশ্চর্য! একটা সত্যি কথা কতো কঠিন! বিশ্বাসই করতে চায় না কেউ!
মা তাড়া দিচ্ছেন। মেয়েকে নিয়ে যেতে হবে। তারা দেখতে চায়। শাড়ি পড়ানো ততোক্ষণে শেষ। সাজগোজ বলতে কেবল পাউডারের ডলা দিয়েছে মুখে। খালামনি না থাকলে সেটাও দিত না। পেত্নির মতো গিয়ে বসে থাকত।
“হ্যাঁ, আমরা তো তৈরিই। এই ফারজানা উঠ এবার!”
মুরশিদা বেগম মেয়ের দিকে তাকালেন। মাশা আল্লাহ মাশা আল্লাহ; তার নিজেরই নজর লেগে যায় যেন। তার কাই আঙুলে একটা কামড় দিয়ে হেসে বেরিয়ে গেলেন। ছোট খালামনি তার হাত ধরে ভিতরে নিয়ে এলো।
মাথা নিচু ফারজানার। কারো দিকে চোখ তুলে তাকায় নি সে। খালামনি ধরাধরি করে বসার সোফার মাঝখানে তাকে বসিয়ে দিল। নতুন একজনের ছোঁয়া পেলো সে। ভদ্রমহিলা বুড়ো আঙুল দিয়ে তার থিতুনিতে হাত রেখে ফারজানা কে দেখছে। ভদ্রমহিলার মোটা মোটা চশমা চোখে পড়ল ফারজানার। উনি কে? তার হবু শাশুড়ি নাকি! ভদ্রমহিলা অস্ফুট স্বরে বললেন,
“মাশা আল্লাহ! আমার ছেলের পছন্দ আছে বলতে হবে!”
উনার কথা শুনে বসার ঘরে হাসির রোল পড়ে গেল। লজ্জা*য় কাঁচুমাচু হয়ে আরেকজন মাথা নিচু করে নিল। পাশে ভাবী কনুই দিয়ে গুঁতো মেরে বলল, “কিরে তাকাচ্ছিস না কেন এবার? দেখ দেখ! তোর সুন্দরী তো হাজির। যার কারণে তোর রাতের ঘুম হারাম। আজ পেট ভরে দেখে নে, রাতে আরাম করে ঘুমাবি!”
ফাহাদ ঠোঁট চেপে ভাবীর দিকে তাকাল। ভাবী মুখ চেপে হেসে উঠল। লজ্জা*য় এবার তার কান হয়ে গেল। পাছে কেউ শুনলে কি ভাবত। ভাবী ও না, দু দণ্ড চুপ থাকতে পারেন না তিনি। ভাবী ঠোঁট টিপে হেসে সামনে ইশারা করল। ফাহাদের এতো বির*ক্ত লাগল, চোখ মেঝেতে রেখে দিল। তার কোলের মধ্যে ৬ বছর বয়সী শুভ। তার একমাত্র ভাগ্নে!
এদিকে ফারজানা মুখ তুলে সবাইকে দেখছে। পাত্র নাকি এসেছে। কোনটা পাত্র! বাবাজীর মুখ দেখার জন্য সেও ছটফ*ট করছে। তাকে এক দেখাতেই বাসায় বিয়ের প্রস্তাব আনতে এমন মহামানব স্বচোখে না দেখলে শান্তি পাবে না সে। লোকজন এসেছে ৫ জন।
সেই সোফার শেষ মাথায় একজন বসা। মাথা নিচু করা, কোলে আবার একটা বাচ্চা ও আছে। তার পাশেই কমবয়সী এক ভদ্রমহিলা। ভাবী বোধহয়। শুনেছিল মা ভাই আর ভাবী আসবে। তাহলে পরের জন নিশ্চয়ই ভাই হবে। ভদ্রলোকের বয়স আর ভাবগম্ভীর বলে দিচ্ছে তিনিই পরিবারের বড়। ইশ! আরেকটু হলেই তার সাথে চোখাচোখি হয়ে যেত। ফারজানা চোখ ঘুরিয়ে নিল। শেষ রক্ষে হলো না। ভদ্রমহিলার সাথে চোখাচোখি হয়েই গেল। তার হবু শাশুড়ি যিনি!
তিনি মিষ্টি করে হাসলেন। তার হাসিটা ভালো লাগল ফারজানার। এখন ভালো লেগে অবশ্য কোনো কাজ নেই। বিয়ের আগে সব বউ শাশুড়ি ভালো। এদের যেন কোনো দো*ষই নেই। ভদ্রমহিলা এবার দ্বিগুন উৎসাহে বললেন, “মেয়ে আমাদের পছন্দ হয়েছে। কিছু জিজ্ঞেস করার নেই। আপনারা কিছু জিজ্ঞেস করতে চাইলেন করুন!”
কথাটা বলল ফারজানার বাবা মোজ্জাম্মেল হোসেনকে। সাদা পাঞ্জাবিতে তার বাবাকে আজ ভদ্রলোক লাগছে। না বাবা আগেও ভদ্রলোক ছিলেন। আজ অমায়িক লাগছে। সচরাচর বাবা তো আর পাঞ্জাবি পরেন না।
মোজাম্মেল তাকালেন ছেলের দিকে। ছেলেকে তার পছন্দ হয়েছে বৈকি। সে পড়ে এসেছে হালকা সবুজ রঙের একটা পাঞ্জাবি। ফাহাদের সৌন্দর্য মুগ্ধ করার মতোই। লম্বা চওড়া ফর্সা গায়ের গড়ন।
কিন্তু পুরুষের জন্য যে সৌন্দর্য আসল কিছু না। তার ব্যক্তিত্বই বরঞ্চ সবার আগে।
ফারজানা মাথা নিচু করে ভ্রু কুঁচকে তাকাল। লোকটার মুখ সে দেখতেই চায়। ওই হালকা সবুজ রঙের পাঞ্জাবি পরা লোক তো। মুখ তার দেখতেই পাচ্ছিল না। কেবল সাইড দেখা যাচ্ছিল। ক্লিন শেভে গাল যেন চকচক করছে। ফারজানার বিরক্ত লাগছে এবার। তখনি ওই ছোট পুঁচকের সাথে চোখাচোখি হলো। ছোট্টটা হা হয়ে তাকেই দেখছিলো। চোখাচোখি হতেই শুভ মিনমিনে গলায় কি জানি বলল ওমনি লোকটা এদিক তাকাল। ফারজানা আহাম্মক হয়ে গেল। আচমকা এই চোখাচোখির আশা সে করেনি। লোকটা কে দেখেই সে থমকে গেল। দু সেকেন্ডের দেখাদেখি ছিল যেন। ফারজানা এখনো ঘোর ছেড়ে বেরুতে পারছে না। অথচ লোকটা মুখ ঘুরিয়ে নিল। ভাব দেখাচ্ছে নাকি! শা*লা ভাবই যখন দেখাবি তাহলে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এলি কেন? খচ্চর একটা!
ননীর পুতুল হয়ে এখানে বসে থাকতে আর ভালো লাগছে না ফারজানার। এদিকে তাদের ও যেন কথা বলা শেষ হচ্ছে না। কথায় কথায় বাবা সময় নিলেন কিছুটা। পরিবারের মুরব্বি আছে আরো, তাদের সাথে কথাবার্তা বলে জানাবেন বললেন। ঘরের মধ্যে উপস্থিত ছিল তার নানাজান, ছোট খালু আর ছোট মামা, মা বাবা, দুই খালামনি আর পিচ্চি গুচ্চি! তারা এসেছিলেন প্রায় বিকেলের দিকে। টেবিল জুড়ে হরেক রকম খাবার, চা নাস্তা মিষ্টি আর পিঠে! এসব আয়োজন করেছে তার মা খালারা। এখন তবে উঠার পালা। উঠতে গিয়ে ভদ্রমহিলা একটা ঘাম ধরিয়ে দিলেন ফারজানার হাতে।
শয়*তানি হাসি তখন তার ঠোঁটের কোণে। টাকা দিলো নাকি! এতোক্ষণের বি*রক্তি এক নিমিষেই গায়েব হয়ে গেল। ঠোঁট চেপে লজ্জা পাবার ভঙ্গি করল। এরই মধ্যে শুভ উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
“তোমরা কি দিলে নতুন চাচি কে?”
চাচি! এখন থেকেই! মাথায় যেন আসমান ভে*ঙে পড়ল ফারজানার। সকলে আবার তার কথা হেসে উড়িয়ে দিল। ভাবি বলল, ওই আমরা তোমার নতুন চাচির জন্য উপহার এনেছিলাম তাই দিয়েছি!”
“কেন দিয়েছো?”
“কেন আবার? পছন্দ হয়েছে তাই দিয়েছি।”
“ছোট চাচিকে আমারও অনেক পছন্দ হয়েছে, আমিও গিফট দিব!”
বলেই একটা প্যাকেট এগিয়ে দিল ফারজানার দিকে। ফারজানা রীতিমতো নির্বাক হয়ে গেল। ভাবি ঠেস মেরে বললেন, “হ্যাঁ, গিফট আনলো একজন দাও আরেকজন! ভালোই!”
দেবর কে শুনিয়ে বললেন কথাটা। ফাহাদের ঠোঁট তখন চাপা হাসি। যাক শিষ্য তাহলে গুরুর কথা মতো কাজ করেছে। ভাবি টিটকিরি মে*রে সবার সামনেই বলে ফেললেন, “তা ফারজানা আমার দেবরের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট টা একসেপ্ট করো তো। বেচারা গত একমাস ধরে তোমার ফ্রেন্ড লিস্টে ঝুলে আছে! কথাটা বলা মাত্রই হাসির ফোরাক উঠে পড়ল। ফাহাদ দুদন্ড আর না দাঁড়িয়ে বেরিয়ে পড়ল। শাশুড়ি বউমাকে ধম*কে বললেন, আহ! ওর পিছনে কেন লেগে আছো এভাবে!”
ভাবি হেসে উঠলেন। যেন ঠাট্টার ছলেই বলেছেন। যাক ফারজানা শান্তি পেল। এখন আপাতত উপস্থিত সবাই বুঝুক এই লোকের সাথে তার পূর্বালাপ নেই। সে ভার্সিটিতে সত্যি সত্যি পড়াশোনা করতেই যায়!
অতঃপর তারা বেরিয়ে গেলেন। তারা বেরিয়ে যেতেই সোফার উপরই পা তুলে বসল ফারজানা। মা বকলেন! শাড়ি পড়ে এ কি ধরণের বসা ভাই! ছোট খালাত বোন সায়মা ছুটে এলো। এলো তার ছোট আপন ভাই রাজা! বেশি বড় না! পিঠেপিঠি দুজন ভাই-বোন তারা। সকলে উৎসুক হয়ে পড়ল ঘামের উপর। কতো টাকা দিলো রে? হ্যাঁ, এক দুই তিন.. ওমা সাত হাজার টাকা। বাব্বাহ ভালোই তো! ছোট ভাই বোন গুলো এসে জড়ো হলো ভাগ নেবার জন্য। টাকার ভাগ তাদের চাই চাই! ছোট খালামনি বসে পড়লেন প্যাকেট হাতে নিয়ে। কি আছে রে এই প্যাকেটে? অতঃপর..
#চলবে…