কালিনী পর্ব-০১

0
1

কালিনী
আরেব্বা_চৌধুরী
সূচনা_পর্ব

আজ দুপুরে খেতে বসে দুই দিনের পুরনো মাংসের ঝোল গরম করে ভাতের সঙ্গে খেলাম।
ঝোলটুকু টক হয়ে গিয়েছিল, গন্ধও ছড়াচ্ছিল অস্বস্তিকরভাবে তবুও আজ আর ফেলে দিতে পারিনি।
মা মারা গেছেন মাত্র তিন দিন হলো, এ যে মায়েরই হাতে রান্না করা শেষ খাবার।
এই ঝোলটুকুতে ছিল তাঁর স্নেহ, তাঁর যত্ন, আর ছিল আমার শৈশবের স্বাদ।

অভাবের সংসারে মাংস কখনো কখনো আসে, বছরের কয়েকটা বিশেষ দিনেই কেবল মুখে ওঠে।
মাঝেমধ্যে মাস শেষে বাবার ব্যাকুল মুখ দেখে মাকে কাঁপা কাঁপা গলায় বলতেন শুনতাম,
– আজ না হয় একদিন মাংস খাই, ওর তো অনেকদিন ধরে মন চায়।
বাবা কিছু বলতেন না।

মা তখন অল্প একটু মাংস দিয়েই এমন করে রান্না করতেন যেন তার গন্ধে পুরো বাড়ি ভরে উঠত।
আজ সেই শেষবারের মতো রান্না করা ঝোলে আমি খুঁজে নিচ্ছি মায়ের হাতের ছোঁয়া।
চোখ বন্ধ করে খেতে খেতে মনে হচ্ছিল, এই বাসি ঝোলেই যেন মায়ের ভালোবাসা মিশে আছে,
মা যেন আমার পাশেই বসে আছেন, মুঠো মুঠো ভাত তুলে দিচ্ছেন আমার মুখে।

এই স্বাদ আর কোনোদিন জুটবে না আমার কপালে এ আমি জানি।

এ বাড়িতে এখন কেবল আমি আর বাবা।
আমার দুই বোন সাবরিন ও জেরিন, বিয়ের পর শহরের অভিজাত পরিবারে গিয়ে সংসার গড়েছে।
তারা এখন আর গ্রামের ধুলো, কাঁদা, আঁশটে গন্ধ সইতে পারে না।
শরীরে এলার্জি হয়, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে এমন অজুহাতে তারা ফিরে যায়।

মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সেদিন এসেছিল ঠিকই,
কিন্তু জানাজা শেষ হতেই স্বামী-সন্তান নিয়ে যেন দমবন্ধ হয়ে আসা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।

পাড়ার লোকজন বলে দু’বোনই মায়ের মতো রূপবতী হয়েছে। আর আমি বাবার মতো কালো, সাধারণ।
তাদের রূপ যেন আলো ছড়ায়, প্রশংসায় ভরে ওঠে চারদিক।
তাই কোনোদিন তারা তাদের সঙ্গে আমায় নিতে চায়নি।
লজ্জায় কেউ সামনে আমার নাম উচ্চারণও করতো না তাদের সৌন্দর্যের পাশে যেন আমি এক কুৎসিত কলঙ্ক।

এই কালো চেহারাটা নিয়ে কত রাত যে চোখের জল ফেলেছি, তার কোনো হিসেব নেই।
গ্রামের লোকজনের কানে কানে কথা,
রমিস মিয়া বড় দুই মেয়েকে ভালো ঘরে বিয়ে দিতে পারলেও ছোট মেয়েটাকে সারাজীবন ঘাড়ে বসিয়ে-ই খাওয়াতে হবে।
এমন চেহারার মেয়েকে কে-ই বা ঘরের বউ করে নেবে?
কারও কারও পরামর্শ, ভালো ঘরের আশা না করে কোনো বিধবা বা মধ্যবয়সী পুরুষের ঘরেই মেয়েকে গছিয়ে দাও।

সব শুনেও বাবা কেবল হেসে বলতেন,
– আমার মেয়ে কালো হলেও ওর মুখখানা একবার চেয়ে দেখো, কত মায়া, কত আলো ওর চোখে।
ওর চুলের গন্ধে তো পাড়ার ছেলেরাও ঘোর খেয়ে যায়।
আমার এই মেয়েই আমার ঘরের লক্ষ্মী।

বাবা যতই মুখে বলুক,
আমার মেয়ে লক্ষ্মী, মায়ায় ভরা মুখখানা,
তবুও আমি জানি, ভিতরটা তাঁর কবে থেকে ভেঙে চুরমার হয়ে পড়ে আছে।
প্রতিবার যখন কোনো ছেলের পরিবার এসে দেখে চুপচাপ উঠে চলে যায়,
তখন বাবার মুখে একফোঁটা হাসিও আর ধরা পড়ে না।

এ পর্যন্ত যত ছেলেই দেখতে এসেছে,
প্রথমেই একফোঁটা ঘৃণা মেশানো হাসি দিয়ে বলে গেছে,
-মেয়ে কালো, আমাদের ছেলের পাশে মানাবে না।

বাবা তখন হাসিমুখেই বিদায় দেন সবাইকে,
কিন্তু আমি বুঝি সে বিদায়ের ভেতর লুকানো থাকে একেকটা তীব্র শোক,
একেকটা স্বপ্নভঙ্গের শব্দ, যা দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে প্রতিধ্বনি তোলে।

রাতে বাবা আর কথা বলেন না,
মুঠোফোনে তাকিয়ে থাকেন কিংবা নিঃশব্দে বারান্দায় বসে থাকেন অনেকক্ষণ।
আমি জানি, তিনি শুধু সময় কাটান না,
তিনি নিজের ব্যর্থতা গুনে যান এক এক করে,
কীভাবে রক্ষা করবেন মেয়েকে এই সমাজের রঙভিত্তিক অবজ্ঞা থেকে।

আর আমি?
আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখের দিকে তাকাতে পারি না।
মনে হয়, আমার চেহারাই বুঝি বাবার কষ্টের সবচেয়ে বড় কারণ।

আমার বিয়ে নিয়ে মায়ের কত স্বপ্ন, কত গোপন গুঞ্জন ছিলো,
ঘরভর্তি অতিথি, ফুলের গন্ধে ভাসা বাসরঘর,
আমার পরনে লাল শাড়ি আর কপালে টকটকে লাল টিপ।

মা প্রায়ই বলতেন,
– তোকে লাল পাড়ের শাড়ি পরাবো, গায়ে হলুদের দিন তোর গায়ের গন্ধে ফুলও লজ্জা পাবে।

আজ সেই স্বপ্নগুলো শূন্যে ভেসে আছে,
কারও চোখে নেই আর সেই আশার দীপ্তি,
সব হয়ে গেছে স্তব্ধ জীবনের শোকগাথায় হারিয়ে যাওয়া এক অধ্যায়।

বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠলো, গলায় দলা বেঁধে এলো কান্না।
খাবারের থালাটা একপাশে সরিয়ে রেখে মায়ের শেষ পরা শাড়িটা বুকে জড়িয়ে ধরলাম।
সে শাড়িতে আজও লেগে আছে মায়ের শরীরের গন্ধ,
যেন তিনি পাশেই আছেন নিভৃতে বসে আমার চোখ মুছে দিচ্ছেন।

– ও মা, তোমার সঙ্গে আমাকেও নিয়ে গেলে পারতে।
এই পৃথিবীর মানুষগুলোর অবহেলা, অবজ্ঞা, উপহাস সব কিছু গিলে খাওয়ার শক্তি আমার নেই মা।
কেনো রেখে গেলে আমায় এই নোংরা দুনিয়ায়? এই বেঁচে থাকাটাই এখন মনে হয় এক অভিশাপ।
প্রতিটি নিশ্বাসেই যেন বিষ মেশানো,
এই জীবনের ভার যেন বুকের ওপর পাথর হয়ে চেপে বসেছে।

মায়ের শাড়ির ভাঁজে চোখের পানি মিশে গেলো,
আর আমি চুপিচুপি বলে উঠলাম,
– তুমি তো বলতে, আমার চোখে নাকি জ্যোৎস্না আছে,
তবে আজ কেনো কেউ সে আলো খুঁজে পায় না মা?
তোমার চোখের সেই বিশ্বাস, সেই নির্ভরতা, সেই নিরাবেগ মমতা কোথায় রেখে গেলে তুমি?

বাইরে থেকে বাবার কাশি মিশ্রিত হাঁকডাক কানে এলো,
মনে হয় গাড়ি থেকে চলে এসেছেন।
বুকের ভার এখনও নামেনি, তবু কি আর করা যায়,
পেটের খিদে তো শোকের ভাষা বোঝে না।

চুপচাপ উঠে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিলাম বাবার দিকে।
বাবা গ্লাস হাতে নিয়ে একটা ম্লান হাসি হাসলেন,
যে হাসিতে ক্লান্তি ছিল, ছিল নিরব হাহাকার।

ঠিক তখন পাশের বাসার দাদি এসে চুপিচুপি বসে পড়লেন বারান্দার বেঞ্চটায়।
চোখে মুখে আগের মতোই কৌতূহল, কিন্তু কণ্ঠে সেই পুরোনো তীক্ষ্ণতা।

– ও রমিস মিয়া, তোর মেয়েটারে কি আর বিয়ে দিবি না?
দেখিস, মেয়ের বয়স বাড়তেছে, গায়ের রঙ তো আর ফর্সা হবে না,
এইরকম চেয়ে থাকলে তো আর চলবে না।

বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,
-কি করবো চাচি, ভালো ঘরের ছেলে তো দেখেই না করে দেয়।
একটু রঙ কালো হলেই যেন মানুষ কাউকে আর মানুষ মনে করে না।
আর আমি তো চাই না, আমার মেয়ে কষ্টে থাকুক।

দাদি তখন একটু হেসে তিরস্কারের সুরে বললেন,
– হায়রে বাবা, তুই কবে বুঝবি?
এই মেয়ের জন্য ভালো ঘর খুঁজে তো লাভ নাই।
এই চেহারায় কেউ কি দামী গাড়িতে তুলে ঘরে নিয়ে যাবে?

তার চেয়ে গরীব, মুরুব্বি, বিধবা লোক আছে না।
একটা ঠাঁই জুটিয়ে দে, মেয়েও বাঁচে, তুই ও বাঁচ।
মেয়েমানুষ কুড়ি পেরোলেই তো বুড়ি হয়,
এই মেয়ের তো মনে হয় কুড়ি পেরিয়ে গেছে, এখনো কিছু করিস না তো পরে পস্তাতে হইব।

দাদির কথাগুলো যেন বিষাক্ত কাঁটার মতো গেঁথে গেলো বুকের ভেতর।
আমি বারান্দার দরজার আড়াল থেকে দাঁড়িয়ে শুনছিলাম,
এক চুলও না নড়ে, নিঃশ্বাস আটকে রাখা পাথরের মতো।

একটা সময় ইচ্ছে হলো দৌড়ে গিয়ে বলে দিই,
– হ্যাঁ, আমি কালো, আমি গরীব, কিন্তু মানুষ হিসেবে কি আমার কোনো মূল্য নেই?
আমি কি কারো ঘরের বোঝা হয়ে জন্মেছি?

কিন্তু কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে, শব্দগুলো গিলে ফেলি।
মায়ের ব্যবহৃত আঁচলটা শক্ত করে চেপে ধরি হাতে,
কেবল এইটুকু জানি, মা বেঁচে থাকলে কাউকে কিছু বলার আগেই এক বুক জড়িয়ে বলতেন,
– আমার মেয়েই আমার পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষ।

মায়ের কবরের মাটি এখনও ভেজা, ঘরের কোণায় তাঁর গন্ধ লেগে আছে,
আর ঠিক তার আগেই একে একে ছেলেপক্ষ আসতে শুরু করলো,
দিনে তিন, কখনো চার বা পাঁচ পক্ষ, যেন প্রতিযোগিতা লেগে গেছে।
আমি আর মানুষ নই, যেন মেলার পসরা সাজানো পণ্য।
যাকে ঘুরে ঘুরে দেখে যায়, হাতের আঙুলে ওজন মাপে, চোখে ঠেলে চেহারা বিচার করে,
তারপর পছন্দ না হলে চোখ ফিরিয়ে নেয় নির্বিকার ভঙ্গিতে।

মনে হচ্ছিল, আমি কোনো বাজারে পড়ে থাকা এক থলি সবজি।
কারও চোখে তাজা না, কারও চোখে দামি না,
কেবল ছেঁটে দেখার জন্যই যেন আমাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।

বুকের ভেতর জমে থাকা ঘৃণা আর অসহ্য অপমান এক সময় গলায় দলা পাকিয়ে উঠলো।
চিৎকার করে বাবাকে বলতে ইচ্ছে হলো, বাবা আমায় খাবার এনে দিও না, বরং এক মুঠো বিষ এনে দিও,
আমি আর পারছি না এই অপমানের বোঝা টানতে,
আমি আর চাই না কারও সামনে বাজারি পণ্যের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে।

বাবা অন্যঘরে নিশ্চুপ। তাঁর চোখে গভীর ক্লান্তি।
আমি জানি, তাঁর চুপ করে থাকাটাই তাঁর লড়াই,
সমাজ, স্বজন, অভাব আর অপমানে জর্জরিত এক বাবার নীরব প্রতিরোধ।

আর আমি? আমি কেবল একটা নামহীন অভিমানে ডুবে যাচ্ছি ধীরে ধীরে।
মা থাকলে হয়তো তাঁর আঁচলের ছায়ায় লুকিয়ে কাঁদতে পারতাম,
আজ শুধু নিজের হাতেই চোখ মুছি,
নিজেকেই শক্ত করে জড়িয়ে ধরি যেন কেউ না দেখুক আমি ভেতর থেকে ভেঙে পড়েছি সেই কবে।

জীবনটা এখন একটা খোলা দরজা,
যেখানে প্রতিদিন নতুন কেউ আসে, দেখে যায়, আর বিদায় নেয়।
শুধু থেকে যাই আমি, একা, তাচ্ছিল্যের ধুলো ঝেড়ে আবার দাঁড়াই,
কারণ জানি পৃথিবীতে অনেক কিছু কেনা যায়,
কিন্তু একজন কালো মেয়ের আত্মসম্মান ফিরে পাওয়া বড় কঠিন।

আমার বাবা সিএনজি চালায়।
দিনে যা পায়, তা দিয়েই কোনো রকমে সংসার চলে।
ভোরে উঠে বাবাকে নিজের হাতে নাশতা বানিয়ে খাইয়ে দিলাম,
মাথায় গামছা বেঁধে দরজার বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও একবার তাকিয়ে বললেন,
– ঠিকঠাক খেয়ে নিস মা, শরীর খারাপ করবি না যেন।
আমি হাসিমুখে বাবাকে বিদায় দিলাম।

ইতিমধ্যে বড় আপার ফোন।
– হ্যালো আপা, কেমন আছিস?
– ভালো। বাবা কোথায়?
-বাবা তো এখন গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছে।
– ও ফিরলে বলিস, পরের সপ্তাহেই তো কোরবানির ঈদ।
আমি এখানে সবাইকে বলে ফেলেছি, বাবা গরু কোরবানি দিচ্ছে।
তুই জানিসই তো, মান-ইজ্জতের ব্যাপার আছে বড়লোক পাড়া, সবাই তাকিয়ে থাকে।
বাবাকে বলিস যেনো ঈদের দিন গরুর ভালো মাংস পাঠায়।
আর জামাকাপড়ও যেনো দামী হয়, সবার পরনে যেনো ঠিকঠাক হয়।
ছোটখাটো না, দেখেই যেনো বোঝা যায়, “আমার বাবাও কিছু কম না।”

আমি ফোনের ওপ্রান্তে স্তব্ধ হয়ে থাকি।
বুকের ভেতরটা যেনো হঠাৎ ভারী হয়ে আসে।
জানিয়ে দিতে ইচ্ছে করে, আমাদের ঘরে ঈদের ছুটির আগের দিনটাতেই চাল কিনতে হিমশিম খেতে হয়।
আমার বাবা রোজ সকাল থেকে রাত অবধি গাড়ি চালিয়ে যা উপার্জন করেন,
তা দিয়ে নিজের জন্য একটা পাঞ্জাবিও কেনেন না।
তবু আমার আপা চায় তার স্বপ্ন যেনো বাবার ঘামে রঙিন হয়ে ওঠে।

আজ বাবা খুব তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে ফিরলেন।
চোখেমুখে খুশির ছাপ, হাতে দুই ব্যাগ বাজার, আর ঠোঁটে চাপা এক আশার হাসি।
দরজায় ঢুকেই যেন এক নিঃশ্বাসে বলে উঠলেন,
-ও তুরিন, কাল বড় ঘর থেকে তোকে দেখতে আসবে। ঘরদোর গুছিয়ে রাখ, ভালো করে রান্নাবান্না করিস, আমার মন বলছে বিয়েটা এবার হয়ে যাবে।

আমি চুপচাপ উঠোন পেরিয়ে ভেতরের ঘরে চলে এলাম।
বাবার উজ্জ্বল মুখটা বারবার চোখের সামনে ভাসছে।
মনে হচ্ছিল, সত্যি যদি এবার বিয়েটা হয়ে যায়, তাহলে হয়তো বাবা বেঁচে যাবেন,
অন্তত নিজের ভেতরের ক্লান্ত, ভেঙে পড়া মানুষটাকে আর প্রতিদিন প্রতিচ্ছবির মতো আয়নায় দেখতে হবে না।
হয়তো তাঁর নিঃশ্বাসগুলো একটু হালকা হবে,
হয়তো প্রতিবেলার চিন্তার রেখাগুলো মুছে গিয়ে, একফোঁটা শান্তির ঘুম আসবে তাঁর চোখে।
বাবার চোখের সেই গোপন অশ্রু আমি নিজের চোখে আটকে রাখতে চাই,
আর একটিবারের জন্য হলেও যেন তিনি বলতে পারেন,
-এইবার তোর জন্য কিছু করতে পারলাম।

শুধু আমি জানি, আমার বুকের ভেতরে ঠিক তখনই একটা শূন্যতা ফুঁড়ে ওঠে।
এই বিয়ের কথা উঠলেই কেন যেন ভেতরটা দপ করে নিভে যায়।
কিন্তু বাবার চোখে সেই ভরসার আলো দেখে আজ নিজেকে আবার শক্ত করে বাঁধতে ইচ্ছে করে।
শুধু বাবার জন্য।
*আপনাদের সবার বেশি বেশি সাড়া পেলে ইনশাআল্লাহ এই গল্প নিয়মিত আসবে, প্রথম পর্ব কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানান।

চলবে,,,,,,,