তোমার নামে লেখা চিঠি পর্ব-০২

0
1

#তোমার_নামে_লেখা_চিঠি
#কলমে_নওরিন_মুনতাহা_হিয়া
#পর্ব_০২

চৌধুরী বাড়িতে আজ বিশাল আয়োজন করা হয়েছে সাত বছর পর ইভান বিদেশ থেকে ফিরে আসছে। অরুণা বেগম রান্না ঘরে গিয়ে সব রকমের খাবার রান্না করে ইভান যা খেতে পছন্দ করে সব। ইভান বিদেশে যাওয়ার পরে পরিবারের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ রাখে নাই। মায়ের সাথে কথা বলা অনেক দূরের বিষয় ওনার ফেস ও কখনো দেখার ইচ্ছা করে নাই তার।

বাড়ির গেটের সামনে এসে দাঁড়ায় একটা গাড়ি ড্রাইভার গাড়ি থেকে বের হয়ে পিছনের দরজা খুলে দেয়। ইভান নিজেদের অতীতের ঘটে যাওয়া সৃতি থেকে বের হয়ে আসে এরপর বাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে। আজ এতো বছর পর নিজের বাড়িকে দেখছে যদি ও সময়ের পরিবর্তনে এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে চৌধুরী বাড়ির। তবে আগের যে রাজকীয় বিষয় বা আভিজাত্য ছিলো সেটা কখনো বাড়ির সৌন্দর্য মাধ্যমে ফুটে উঠে। ইভান বাড়ির গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে সেখানে তার পরিবারের প্রতিটা সদস্য তার জন্য অপেক্ষা করে আছে।

ইভান বাড়ির সদর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ করে তার উপর কেউ হাজার হাজর ফুল ছিটিয়ে দেয়। ইভান সামনে তাকিয়ে দেখে তার ছোট বোন নাতাশা দাঁড়িয়ে আছে সেটা দেখে ইভান হাসে। নাতাশা এক দৌড়ে তার ভাইকে জড়িয়ে ধরে আর বলে –

“- ভাইয়া তুমি এসে পড়েছো? যানো তোমাকে অনেক মিস করেেছি আমি? তুমি এতোদিন কোনো বাড়িতে ফিরে আসো নাই ভাইয়া?

নাতাশার কথা শুনে ইভান হাসে সে যখন বিদেশে চলে যায় তখন নাতাশা খুব ছোট ছিলো। তবে ছোটবেলা থেকে তার বোন বড্ড অভিমানী তবে ইভানকে সে অনেক ভালোবাসে। ইভান ও তার ছোট বোনকে জড়িয়ে ধরে বলে –

“- তোর ইভান ভাই ও তোকে অনেক মিস করেছে। আর বিদেশ থেকে তার ছোট বোনের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর গিফট নিয়ে এসেছে। আই রিয়েলি মিস ইউ বোন “।

ইভান আর নাতাশার খুনসুটির মধ্যে তার বাবা এগিয়ে আসে তার কাছে নিজের ছেলেকে এতো বছর পর দেখে শক্ত করে জড়িযে ধরে তাকে। ছেলের সাথে কথা বলার জন্য অনেক চেষ্টা করছে মিলন সাহেব কিন্তু ছেলের জেদের কাছে হার মানতে হয়েছে তাকে। তবে আজ পনেরো বছর পর ছেলেকে দেখে আবেগ সামলে রাখতে পারে নাই। তবে সকলের মধ্যে একজন বাড়ির কোণায় দাঁড়িয়ে দূর থেকে ইভানকে দেখে যাচ্ছে। সে হলো অরুণা বেগম ওনার সাহস হচ্ছে না ইভানের সাথে কথা বলার।

পনেরো বছর যেই ছেলেকে দেখার জন্য সে অপেক্ষা করছে কান্না করছে কথা বলার জন্য হাজার বার ফোন করেছে। আজ সেই ছেলে যখন তার সামনে এসেছে তখন সব কথা যেনো হারিয়ে গেছে মনের মধ্যে ভয় জন্ম নিয়েছে তার। ইভান সবার সাথে কথা বলে বাড়ির ভিতরে ঢুকে তার চোখ যায় এক জায়গায় শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলার দিকে। ইভান এগিয়ে যায় তার কাছে সামনে গিয়ে একটু ঝুঁকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে –

“- কেমন আছো আম্মু? বিদেশ থেকে এতোদিন পরে ফিরে এসেছি নিশ্চয়ই খুশি হও নাই? তবে কি করব যেহেতু এই দেশো জন্ম তাই কোনো না কোনো দিন ফিরে তো আসতে হবে “।

অরুণা বেগম বুঝতে পারে তার ছেলের রাগ এখনো এক বিন্দু ও কমে নাই বরং সেটা সময়ের সাথে দিগুণ বেড়ে গেছে। অরুণা বেগম নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে শান্ত গলায় বলে –

“- এখানে খুশি না হওয়ার কি আছে ইভান। তুমি এই বাড়ির ছেলে বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ফিরে এসেছো এখানে খারাপ কি। আর আমি তোমার মা ছেলে এতো বছর পর ফিরে এসেছে সেটা দেখে অবশ্যই খুশি হওয়ার কথা আমার “।

“- হু সেটা ঠিক তবে তোমার আচরণ দেখে মনে হচ্ছে না। আচ্ছা বাদ দাও তোমার সাথে কথা বলতে আমার ইচ্ছা করছে না। টায়ার্ড আমি তাই রুমে যাচ্ছি “।

ইভান অরুণা বেগমের দিকে আর না তাকিয়ে নিজের রুমের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। অরুণা বেগম নিজের চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারে না মিলন সাহেব এগিয়ে আসে আর বলে –

“- অরুণা যার জন্য সারারাত জেগে রান্না করলে তার সাথে একবার ভালো করে কথা ও বললে না। নিজের ভালোবাসা কতদিন লুকিয়ে রাখবে ইভানের থেকে “।

“- ইভান আমার ছেলে মিলন ওর চোখ দেখে বুঝতে পারি ওর মনের মধ্যে কি চলছে। ছোটবেলা কোনো ঘটনা ও এখনো ভুলতে পারে নাই তাই আমার ভালোবাসার কোনো মূল্য ওর কাছে বর্তমানে নাই “।

অরুণা বেগম কথাটা বলে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে এরপর নাতাশাকে বলে –

“- ইনায়া কোথায় নাতাশা? ও কি বাড়িতে এখন?

নাতাশা হেঁসে বলে –

“- আম্মু তুমি যে কি বলো ইনায়া কি এই সময় কখনো বাড়িতে থাকে। দেখো গিয়ে অফিসে কোনো জরুরি বিষয়ের মিটিং করছে। অথবা কোনো বিজনেস কোনো কাজ করছে.

অরুণা বেগম কথাটা শুনে হাসে পাশ থেকে মিলন সাহেব বলে উঠে –

“- আজকে নতুন একটা কাজ শুরু হবে কিন্তু কতজন গুন্ডা কাজ হতে দিচ্ছে না। মনে হয় তোমার মেয়ে এখন তাদের পিটাতে গিয়েছে। তুমি ভালো করে যানো অরুণা তোমার মেয়ে লস একদম পছন্দ করে না “।

“- হুম সেটা আর বলতে আজকে যে সেই লোককে কে বাঁচাবে?

অন্যদিকে একজন লোক তার সাথে বেশ অনেক গুন্ডা নিয়ে একটা বিল্ডিং এর মধ্যে অবস্থায় করছে। দড়িঁ দিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিকে বেঁধে রাখা হয়েছে গুন্ডাদের মধ্যে যে মেইন লিডার ওনি বলেন –

“- এই লিটনের না কথা পরে ও এই জায়গায় কি করে বিল্ডিং ঘরে উঠতে পারে। তোদের মালিকের এতো বড়ো সাহস যে এই লিটেন আদেশ না মেনে কাজ শুরু করে। আজকে তোরা বুঝতে পারবি এই লিটন কি জিনিস? যদি কারো সাহস থাকে তাহলে আমাকে আটকে দেখা?

লিটনের কথাটা শেষ হওয়ার আগে পিছন থেকে একজন শ্রমিক সামনে এগিয়ে আসে যার মুখ দেখা যাচ্ছে না। সে এসে বলে –

“- কি হয়েছে লিটন সাহেব কোনো সমস্যা? শুধু শুধু আমাদের সাথে কোনো আটকে রেখেছেন দয়া করে ছেড়ে দেন?

“- শোন তোদের কোম্পানির মালিক আমার কথা অমান্য করে এই বিল্ডিং তৈরি করেছে যার শাস্তি তাকে পেতে হবে। যা তোদের এমডিকে খবর দে ও এসে বাঁচিয়ে নিয়ে যাক তোদের?

“- এই কোম্পানির এমডি আমি। কি সমস্যা তোর?

হঠাৎ করে একটা মেয়ের কণ্ঠ শুনে লিটন পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে সেই শ্রমিক নিজের পড়নের জামা খুলে। এরপর নিজের মাথা থেকে মুখোশ খুলে সেখানে শ্রমিকের ছন্দবেশে একটা মেয়ে ছিলো। পড়তে তার ফরর্মাল ড্রেস সেই মেয়ে এগিয়ে আসে লিটনের দিকে। লিটন বলে –

“- কে তুমি?

“- আমি ইনায়া এই কোম্পানির এমডি। সো মিস্টার লিটন নাইস টু মিট ইউ “।

লিটন কথাটা শুনে তার পাশে থাকা লোকদের ইশারা করে ইনায়াকে মারার জন্য তবে ইনায়া বলে উঠে –

“- আচ্ছা এখানে কি কোনো বাংলা সিনেমার শুটিং চলছে যে নায়িকা এসেছে সেইজন্য সবাই তাকে মারতে যাচ্ছে। আর মিস্টার লিটন এই ইনায়াকে মারার আগে একবার পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখে নেন। দেখা যাবে আপনার মারার ইচ্ছার থেকে মরার ভয় বেশি থাকবে “।

ইনায়া কথাটা বলে পিছনের দিকে দেখিয়ে দেয় লিটন তার সামনের দিকে তাকিয়ে ঢুক গিলে। কারণ ইনায়ার পিছনে অসংখ্য বডিগার্ড দাঁড়িয়ে আছে যার সামনে তার লোকেদের সংখ্যা অনেক কম। হঠাৎ করে লিটনের মাথায় কেউ একজন রড দিয়ে জোরে বারি মারে যার ফলে সে মাটিতে পড়ে যায়। ইনায়া নিজের হাতে থাকা রডের মধ্যে থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত দেখে হাসতে থাকে এরপর নিচুঁ হয়ে লিটনের কাছে ঝুঁকে বলে –

“- এই ইনায়ার সাথে শএুতা করার অপর নাম হলো মৃত্যু। এই শহরে শুধু আমার রাজত্ব চলবে অন্য কারো না কখনো সম্ভব না “।

লিটন সাহেবের মাথা থেকে অতিরিক্ত রক্ত বের হচ্ছে সে বলে –

“- তোকে আমি দেখে নিবো। তোর মতো এইরকম গুন্ডা মেয়ে আমি একশো জন্ম দিতে পারি। তোকে আমি খুন করে ফেলবো ইনায়া?

“- আমার বাপে আমার মতো কাউকে জন্ম দিতে পারে নাই তুই কি করে দিবি। আর তোর সাথে আমার আর কখনা দেখা হবে না কারণ পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেওয়ার সময় তোর হয়ে গেছে। গুড বাই লিটন গুন্ডা।

ইনায়া কথাটা বলে রড দিয়ে আরেকটা আঘাত করে ওর মাথায় যার ফলে ওর মৃত্যু হয়। তবে ওর সাথে থাকা গুন্ডারা ভয়ার্ত চোখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তাদের শরীরে কাঁপছে। কারণ জীবনে কোনো মেয়েকে তারা এতো সাইকো হতে দেখে নাই ইনায়া তার হাতের রড ফেলে দিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয় আর বলে –

“- আচ্ছা এখানে কি কিছু হয়েছে? আপনারা কি যানেন এই লিটন সাহেব কি করে মারা গেলো?

“- শ্রমিকদের কাজ করার সময় হঠাৎ করে একটা রড এসে পড়ে লিটন সাহেবের মাথায়। যার কারণে ওনি মারা যান “।

“- বেরি গুড এই কথাটা যেনো মাথায় থাকে। না হলে ভুলে যাওয়ার জন্য ভবিষ্যতে হয়তো মাথায় থাকবে না “।

ইনায়া কথাটা বলে শ্রমিকদের সকলের হাতের বাঁধন খুলে দেয় এরপর তাদের কাজ করার আদেশ দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর অরুণা বেগম আর মিলন সাহেব বসে আছে সোফায় ঠিক তখন দরজা দিয়ে প্রবেশ করে ইনায়া। সে এক মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে যখন অরুণা বেগমকে জড়িয়ে ধরতে যাবে তখন অরুণা বেগম বলে –

“- এই ইনায়া কোনো জড়িয়ে ধরা চলবে না। আর আমি কারো মামণি না সো দূরে সরে যা “।

ইনায়া বুঝতে পারে তার মামণি রাগ করেছে সে হেঁসে জোর করে জড়িয়ে ধরে অরুণা বেগমকে। এরপর বাচ্চাদের মতো কিউট ফ্রেস করে বলে –

“- আরে সরি মামণি আজকে বাড়িতে ফিরে আসতে দেরি হয়ে গেছে। কি করব অফিসের অনো জরুরি কাজ ছিলো যার জন্য তােমার ফোন ধরতে পারি নাই “।

“- হুম সবাই শুধু তাদের কাজ নিয়ে বিজি থাকে আমার কথা কি কারো মনে থাকে। কতবার বলেছি যতোই কাজ থাকুক আমার ফোন রিসিভ করতে তোর সাথে কথা না বলতে পারলে আমার কতো কষ্ট হয়। কেউ আমাকে ভালোবাসে না কেউ না “।

ইনায়া তার হাত থেকে একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে এসে তার মামণির সামনে ধরে আর বলে –

“- বিশ্বাস করো মামণি আমার কোনো দোষ নাই সত্যি অনেক বিজি ছিলাম। তবে ভবিষ্যতে আর কখনো এমন হবে না প্রমিজ করছি। এখন আমার মামণি এই গোলাপের জন্য হলেও তার ইনায়াকে মাফ করে দেখ “।

অরুণা বেগম হেঁসে ইনায়াকে জড়িয়ে ধরে আর ইনায়া খুব ভালো করে যানে তার মামণির রাগ কি করে কমাতে হয়। তবে সব দেখে পাশে থাকা মিলন সাহেব বলে –

“- কি দারুণ দৃশ্য মামণির জন্য গোলাপ ফুল নিয়ে এসেছে একজন। কিন্তু তার ভালো বাবার জন্য কিছু আনে নাই কেউ সত্যি এই বুড়োকে কেউ ভালোবাসে না “।

“- আরে ভালো বাবা তুমি আমার জা তোমার কথা সবসময় আমার মনে থাকে। এই দেখো তোমার জন্য উপহার নিয়ে এসেছি তোমার পছন্দের মিষ্টি।

“- সত্যি কিন্তু এইটা কি ঘুষ দেওয়া হলো?

“- একদম না আমার মিষ্টি ভালো বাবার জন্য মিষ্টি নিয়ে এসেছি । আই লাভ ইউ ভালো বাবা “।

ইনায়া সবার সাথে কথা বলে নিজের রুমে চলে যায় অরুণা বেগম সেটা দেখে হাসে। তবে তার মনে এক ভয় কাজ করছে ইভান যদি ইনায়াকে দেখে তাহলে কি করবে। আর ইনায়ার রিয়েকশন কেমন হবে। অরুণা বেগম ইভান বা ইনায়া কাউকে নিজের জীবন থেকে দূরে করতে পারবে না।

রাত ইভান যখন ছাদে যায় তখন হঠাৎ করে তার চোখ যায় ছাদের এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক রমণীর দিকে। পিছন দিকে ফিরে সে দাঁড়িয়ে আছে তার সুন্দর রেশমি চুল হালকা বাতাসে উড়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে কোনো পরী দাঁড়িয়ে আছে সেখানে ইভানের মনে বড্ড ইচ্ছা হয় সেই মানুষ রূপী পরীকর দেখতে৷ ইভান কাছে যায় পিছন থেকে তার কাঁধে হাত রাখে। হঠাৎ করে ইনায়ার কাঁধে কেউ হাত রাখার কারণে সে চমকে পিছনে ফিরে তাকায়।

তবে ইনায়া ছাদের বেশ নিকটে দাঁড়িয়ে থাকে তবে হঠাৎ করে তার শরীরে টার্চ করার ফলে সে একদম পিছনে চলে যায়। যার ফলে সে পড়ে যেতে লাগে তার আগে এক পুরুষ তার সমস্ত শক্তি দিয়ে তার হাত ধরে ফেলে। ইনায়া ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে চোখ খুলে দেখে সামনে এক সুর্দশন পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে। যাকে এই বাড়িতে আগে দেখে নাই সে ইনায়া বলে –

“- আপনি কে?

ইভান এখনো ইনায়ার হাত ধরে আছে তবে সে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নারীর রুপে মোহে হারিয়ে গেছে। ইভানের বড্ড জানতে ইচ্ছে হচ্ছে এই মেয়ে পরী না নারী। ইভান বলে –

“- তুমি কে পরী “।

পরী কথাটা শুনে ইনায়া অবাক হয় এতো রাতে কোথ থেকে পরী আসবে। সে কিছু বলতে যাবে এর আগে ছাদে নাতাশা এসে ডাক দেয় ইনায়াকে। নাতাশা বলে –

“- ইনায়া “।

ইভান যখন ঘোরের মধ্যে হারিয়ে গেছে তখন নাতাশার ডাক শুনে তবে হঠাৎ করে ইনায়া নাম শুনে তার হুঁশ ফিরে। সে সামনের দিকে ভালো করে তাকিয়ে বুঝতে পারে এই মেয়ে আর কেউ না ইনায়া। কথাটা মনে করে তার মন থেকে সব মোহ ভালোবাসা চলে যায় বরং সাত বছর আগের ঘটনা মনে পড়ে ইভানের। ইভানের মন বিষে পরিণত হয় সে ইনায়ার দিকে একটা ঘৃণার দৃষ্টি দিয়ে তার হাত ছেড়ে দেয়।

ইনায়া কখনো ভালো করে নিজের পায়ে দাঁড়ায় নাই যার ফলে হঠাৎ করে ইভানের হাত ছেড়ে দেওয়ার কারণে সে পড়ে যায়। ছাদেন শেষে তার অবস্থান ছিলো যার জন্য সে টাল সামলাতে পেরে সে ছাদ থেকে পড়ে যায়। নাতাশা দৌড়ে আসে ইনায়ার কাছে তবে তার আগে ইনায়া নিচে পড়ে যায়। নাতাশা তাকিয়ে দেখে নিচে কাঁচ রয়েছে আর ছাদ বেশ উঁচুতে যদি এখান থেকে নিচে পড়ে তাহলে কাঁচের মধ্যে পড়বে। নাতাশা চিৎকার দিয়ে উঠে বলে –

“- ইনায়া “।

ইনায়া হঠাৎ করে এমন হওয়ায় বুঝতে পারে তবে ছাদ দেখে নিচে পড়ে যায় সে। এতো উঁচু ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায় সে মূহুর্তের মধ্যে নিচের কাঁচের টুকরোর মধ্যে গিয়ে সে পড়ে। পুরো মেঝে রক্তে ভেসে যায়। যদিও ইভান এখনো সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে নিচে রক্তাক্ত ইনায়াকে দেখে সে বলে –

“- এই ইনায়া মারা গেলে ও আমার কিছু যায় আসে না। এই মেয়ে আজকে সারাজীবনের জন্য আমার জীবন থেকে চলে গেছে। বাই বাই ইনায়া “।

জরুরি ঘোষণা।

আমার আগের পেজ নষ্ট হয়ে গেছে যার জন্য নতুন করে এই পেজ খুলে গল্প দিলাম।এই গল্পের মেইন লেখিকা আমি।

চলবে