#তোতাপাখি_আমার
০৯.
অনেক ডাকাডাকির পর সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে ঘর থেকে বেরিয়েছে জেনি। কল্পের থেকে চড় খেয়ে সেই দুপুর থেকে ঘুমের ভান ধরে পড়ে ছিল। খাদিজা বেগম, কুহু কত ডেকেছে পরে উঠবে বলে এড়িয়ে গেছে। নাটকটা রাত পর্যন্ত অব্যাহত রাখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু তা আর হতে দিলেন না জুবায়ের চৌধুরী। খালুজানের ডাক অমান্য করা যায় না। বাধ্য হয়েই উঠে এলো জেনি।
সোফায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে সন্ধ্যার নাস্তায় প্রস্তুত সকলে। কল্প বাড়িতে নেই। জেনি খুব বাঁচা বেঁচে গেছে। খুশি মনেই নাস্তা খাচ্ছিলো সে। তন্মধ্যে কুহু তাকে আবার এটাক করে বসল। ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি ঝুলিয়ে প্রশ্ন করল,
“দুপুরে এমন কি করেছিলে যার জন্য ভাইয়া অত রেগে গেল? না খেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে, এখনও ফেরেনি।”
কুহুর প্রশ্নে বিষম খেয়ে গেল জেনি। খাদিজা বেগম পানি এগিয়ে দিতে দিতে বললেন,
“আস্তে খাবি তো।”
জুবায়ের চৌধুরীর তটস্থ দৃষ্টি। ভেতরের খবর জানতে আগ্রহী তিনি। জেনি একটু ঠিক হতেই খাদিজাও মুখ খুললেন। মেয়ের সুরে সুর মিলিয়ে বললেন,
“এখন বলতো কি হয়েছিল দুপুরে?”
জেনি আমতা আমতা করতে লাগল। এতগুলো দৃষ্টির তোপে দিশেহারা সে। মিথ্যে করে বলল,
“ঘুম থেকে ডেকেছিলাম তাই রেগে গেছে।”
খাদিজা ও কুহু একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করল। কারণ এমনটা হতেই পারে না। কল্প কখনোই এই সামান্য বিষয় নিয়ে এতটা রাগতে পারে না। তাছাড়া জেনি যে মিথ্যে বলছে এটা তার চেহারায় সুস্পষ্ট ফুটে উঠেছে। কিন্তু এটা নিয়ে বেশিদূর কথা এগোল না কেউ। সেই সুযোগে নাস্তা খেয়ে তড়িঘড়ি কেটে পরল জেনি। খাদিজা বেগম দীর্ঘ শ্বাস ফেললেন। কি চলছে ছেলেমেয়ে গুলোর মধ্যে কে জানে!
–
“হ্যাঁ কল্প ভাই বলো শুনছি।”
“ফোনটা ঘুঙুরকে দে তো। এত রাতে চাচিকে ডিস্টার্ব করা ঠিক হবে না তাই তোকে বলছি।”
“ইট’স ওকে। একটু ওয়েট করো।”
নুপুর এক লাফে বিছানা থেকে নেমে ঘুঙুরের ঘরে চলে গেল। ঘুঙুর আধশোয়া হয়ে বই পড়ছে। বোনকে এখনও নজরে পরেনি তার। নুপুর ফোনটা এগিয়ে ধরে বলল,
“নে কথা বল।”
ঘুঙুর কৌতুহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে,
“কে?”
নুপুর বলল,
“কথা বললেই বুঝতে পারবি।”
ঘুঙুর ফোনটা নিয়ে কানে ধরতেই নুপুর চলে গেল। বলে গেল কথা শেষে ফোনটা পৌঁছে দিয়ে আসতে। নুপুরের যাওয়ার পথে চেয়ে “হ্যালো” বলল ঘুঙুর। ততক্ষণাৎ ওপাশের ভারি কন্ঠ ঝংকার তুলল তার বক্ষপিঞ্জরে,
“শরীর কি বেশি খারাপ? সারাদিন দেখলাম না যে? ঠিক আছিস তো?”
ঘুঙুর চিনে ফেলল কন্ঠের মালিককে। সন্তর্পণে বলল,
“ঠিক আছি আমি। আগের থেকে সুস্থ আছি। আলহামদুলিল্লাহ।”
কল্প স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। এতটাই জোর ছিল সেখানে যে ফোনের এপাশ থেকে ঘুঙুরের কর্ণে স্পষ্ট পৌঁছে গেল সেই ধ্বনি। ঘুঙুর অবাক হল ভীষণ। তার জন্য ওই মানুষটার এত কিসের উদ্বিগ্নতা? তার সুস্থতা কামনায় এত কিসের তাড়া?
“সুস্থ যখন বাসায় কি করেছিস সারাদিন? একবারও বের হসনি?”
“না বের হইনি। সুস্থ তবে পুরোপুরি তো নয়। এজন্য ঘরেই থাকছি। তাছাড়া স্কুল, কোচিং ব্যতীত আমি কখন থাকি বাইরে?”
কল্প কিছু বলল না। অনেকটা সময় নিরবতায় কেটে গেল। ঘুঙুর না পারল কোনো প্রশ্ন করতে, না পারল কল কেটে দিতে। অদৃশ্য কোনো শক্তি কন্ঠ, হাতের আঙুল, বলা যায় সমস্ত শরীর, মন, মস্তিষ্ক রোধ করে আছে। তন্মধ্যে তা সক্রিয় করতে কল্প বলে উঠল,
“বাইরে আসবি?
ঘুঙুর চমকে বলল,
“এত রাতে! কেন?”
কল্পের কন্ঠে আকুতি,
“আয় না। একটু……।”
ঘুঙুরের বুকটা মুচড়ে উঠল। এভাবে কেন কথা বলছে কল্প? এভাবে কেন ডাকছে? কল্পের কন্ঠ পূর্বে এতটা কোমল কখনো শোনায়নি। আজ কি হল তবে? এ কেমন এলোমেলো অনুভূতি? দুনিয়া উলটেপালটে যাচ্ছে যেন। তবে ওই আকুতি ফেরাবার নয়। ঘুঙুর ছোট্ট করে বলল,
“আসছি।”
কল কেটে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াল ঘুঙুর। গায়ের এলোমেলো ওড়নাটা পরিপাটি ভাবে মাথায় দিল। ওড়নার ফাঁক গলে তার আলগোছা বিনুনি উঁকিঝুঁকি মারছে। রুগ্ন মুখখানায়ও একটা স্নিগ্ধতা খেলা করছে। ঘুঙুর এতটুকু গোছগাছ নিজের অজান্তেই করল। কল্পের সামনে পরিপাটি হয়ে থাকতে তার ভালো লাগে। ফোনটা নুপুরকে দিতে গিয়ে পরল আরেক বিপাকে। মাথায় ওড়না জড়ানো দেখে নুপুর প্রশ্ন করে বসল, “কোথায় যাচ্ছিস?”
বোনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ঘুঙুর মিয়িয়ে গেল। মিনমিন করে বলল,”কল্প ভাই বের হতে বললেন।”
নুপুরের কন্ঠে বিস্ময়,
“এত রাতে?”
ঘুঙুর এবারেও মিনমিন করল,
“আমি কিছুই জানি না। শুধু বললেন বের হতে।”
নুপুর কিছুক্ষণ কঠিন দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে বলল,
“যা। তাড়াতাড়ি আসিস।”
সম্মতি পেয়ে ঘুঙুর এক মুহূর্ত দাঁড়াল না। জোর কদমে বেরিয়ে গেল। নুপুর ওর যাওয়ার দিকে দেখে কল্পের নম্বরে ডায়াল করল। খুব দ্রুত কল রিসিভ হল। ওপাশ থেকে রেসপন্স আসতেই নুপুর শক্ত কন্ঠে বলল,
“যা করছ ভেবে করছ তো? আমার বোনটা ভীষণই ছোট, অবুঝ। ওর ওপর যেন কোনো আঁচ না আসে। উলটো-পালটা কিছু হলে বাবা ওকে মে’রেই ফেলবেন।”
কল্প শুধু গুরুগম্ভীর কন্ঠে, “হুম” বলল। পরপর লাইন কেটে গেল। নুপুর হতভম্ব। “হুম” দ্বারা কি বোঝাতে চাইল সে? গ্রামের মানুষের মতি ভালো নয়। তিল থেকে তাল করা তাদের অভ্যাস। এতরাতে বিনা কারণে ছেলে-মেয়ের দেখা করা ভালো চোখে দেখবে না তারা। কলঙ্ক লাগলে সেই দায় কে নেবে?
–
সদর দরজা খুব সন্তর্পণে চেপে রেখে বাইরে বের হল ঘুঙুর। বাবা-মা ঘুমিয়ে গেছেন হয়তো এতক্ষণে। একটু আওয়াজ হলেই জেগে যাবেন। খুব সাবধান থাকতে হবে তাকে। নিজের ওপরই ভীষণ আশ্চর্য ঘুঙুর। এত ভয় কেন পাচ্ছে সে? এত কিসের সাবধানতা অবলম্বন? কেন-ই বা করছে? সে তো ইচ্ছে করে যাচ্ছে না। কল্প ভাই তাকে ডেকেছে তাই যাচ্ছে। নিশ্চয়ই কোনো প্রয়োজন হবে। এতে ভ’য়ের কি আছে। কেউ দেখলে দেখবে ক্ষতি কি তাতে? মনকে হাজারটা প্রশ্ন করলেও উত্তর নেই। মনটা বড়-ই নাছোড়বান্দা। এত এত লজিক থাকতেও ওই কন্ঠের কাছে সে পরাজিত। সর্বদা কঠোর ব্যক্তিত্যের ওই পুরুষটির হঠাৎ অসহায় কন্ঠ তাকে জানান দিচ্ছে আজ কিছু ব্যতিক্রম হবে। কোনো কিছুই স্বাভাবিক নেই, আগের মতো নেই। অবচেতন মন তাই অজান্তেই সাবধানতা অবলম্বনে আগ্রহী।
সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে বাড়ির উঠানের শেষ মাথায় পৌঁছতেই হাতে টান খেয়ে চমকে উঠল ঘুঙুর। দেওয়ালের পাশের অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় তার দু-হাত চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে কল্প। ঘুঙুর আঁতকে উঠল। ভয়ার্ত স্বরে বলল,
“আপনি…? ভেতরে কিভাবে এলেন? গেইট তো এখনও বন্ধ!”
কল্প ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,
“দেওয়াল টপকে এসেছি।”
ঘুঙুরের সর্বাঙ্গ ঝারা দিয়ে উঠল। এতটা কাছে কেউ আসে? এভাবে কেউ কথা বলে? অন্তত কল্পের সঙ্গে এসব আচরণ যায় না। সে তো সর্বদা কঠিন। কথায় কথায় ধমক মানায় তাকে। ঘুঙুর মিয়িয়ে আসা কন্ঠে বলল,
“পড়ে গেলে কি হত?”
কল্প ওর কানের লতিতে মুখ মিলিয়ে বলল,
“ভালোই হত। হাত-পা ভেঙে যেত। তারপর তুই রাত জেগে সেবা করতি। আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকতি।”
ঘুঙুর কেঁপে উঠল আচানক। এসব কি ভুলভাল বকছে কল্প? এত কাছে কেন টানছে? সে কল্পের থেকে নিজের হাত ছাড়াতে চেষ্টা করল। দূরত্ব বাড়াতে জোরাজুরি করল। কিন্তু ফলাফল শূন্য। দেখা গেল তাতে বিপত্তি আরও বাড়ল। কল্প এক ঝটকায় তাকে বুকের মধ্যে আগলে নিল। খুব শক্ত ভাবে কোমর চেপে জড়িয়ে রইল। কল্পের নিঃশ্বাসের গতি অস্বাভাবিক। খুব দ্রুত ওঠানামা করছে। মনে হচ্ছে তার সমগ্র চিত্ত অস্থির হয়ে আছে। কঠিন ব্যক্তিত্বের কল্পের মাঝে আচানক এমন পরিবর্তন দেখে ঘুঙুর প্রচন্ড ভ’য় পেয়ে গেল। ফুপিয়ে কেঁদে উঠল সে। কম্পিত কণ্ঠে বলল,
“কি করছেন এসব? ছাড়ুন আমায়। আমি ভেতরে যাব।”
কল্প ঘুঙুরের কাঁধে নাক ডুবিয়ে দিল। ওর শরীরের সমস্ত ঘ্রাণ শুষে নিতে নিতে আবেশিত সুরে বলল,
“তো ঢুকে যা। আমার বুকের ভেতরে।”
ঘুঙুর শব্দ করে কেঁদে উঠল,
“কি হয়েছে আপনার? এমন কেন করছেন?”
কল্প সেভাবেই বলল,
“তোকে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। খাই?”
ঘুঙুরের নিজের ওপরেই রাগ হল। কেন আসতে গেল সে কল্পের ডাকে? এখন কি বিপদ’টাই না হল। নিজের সর্বশক্তি কাজে লাগিয়ে সে কল্পের থেকে নিজেকে ছাড়াতে চেষ্টা করল। কিন্তু বরাবরই সে ব্যর্থ। অমন সুঠামদেহি পুরুষের সঙ্গে পারবে কেন তার মতো পীপিলিকা? কল্পের স্পর্শ ধীরে ধীরে বেপরোয়া ওঠে উঠতে শুরু করল। হাতের বিচরণ, মুখের ভাষা, ঠোঁটের স্পর্শ সবকিছু লাগামহীন। ঘুঙুর এই অপরিচিত কল্পের উচাটনে হাঁপিয়ে উঠতে লাগল। প্রবল ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কল্প ঘুঙুরের গ্রীবাদেশে শক্ত কামড় বসিয়ে দিল। ব্যথায় ঝরঝর করে আরেকদফা কাঁদল ঘুঙুর। কল্প ওর আনাড়িপনায় আহ্লাদ করে কিছু বলতে নিচ্ছিল তন্মধ্যে তীব্র ধিক্কারে পেছন থেকে আরেকটি মেয়েলি কন্ঠ ভেসে এলো।
“ছিহ্ কল্প ভাই। এতটা অধঃপতন তোমার। আমার ভাবতেই ঘেন্না লাগছে।”
কল্প থেমে গেল। পেছনে ঘুরে দেখল নুপুর দাঁড়িয়ে রাগে গজগজ করছে। চোখে মুখে তীব্র ঘৃণা। বেখেয়ালে হাতের বাঁধন আলগা হতেই ঘুঙুর ছুটে বেরিয়ে গেল। একেবারে নুপুরের পেছনে গিয়ে লুকিয়ে পরে কাঁদতে লাগল সে। কল্প ধরতে চেষ্টাও করল না। মাথায় হাত চেপে নিজেকে সংযত করে নুপুরের মুখোমুখি হল সে। সরাসরি চোখ তুলে তাকাতেই চমকে উঠল নুপুর সহ ঘুঙুরও। কল্পের চোখ জোড়া অসম্ভব লাল হয়ে আছে। যা এতক্ষণ অন্ধকারে থাকায় ঘুঙুরও লক্ষ্য করেনি। ওদের দৃষ্টি দেখে কল্প বলল,
“সরি। আমার মাথার ঠিক নেই। তোরা ভেতরে যা।”
নুপুর অবিশ্বাস্য কন্ঠে বলল,
“তুমি নেশা করে এসেছ, কল্প ভাই!”
বোনের মন্তব্যে আহত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল ঘুঙুর কল্পের দিকে। উত্তরের আশায় সে। সে খুব করে চাইছে কল্প একবার “না” বলুক। কিন্তু না কল্প তার বিশ্বাস ভেঙে দিয়ে মাথা নেড়ে সম্মতি দিল। তুতলে বলল,
“ও ওই একটু। ওরা চেপে ধরে খায়িয়ে দিল।”
নুপুর তেঁতে উঠল,
“তুমি কি বাচ্চা?কেউ খাইয়ে দিলেই খেয়ে নেবে?”
কল্প নির্বিকার। নুপুর আর কোনো কথা বাড়াল না। গেইটের দিকে ইশারা করে বলল,
“এখনই বেড়িয়ে যাও, প্লিজ।”
কল্প ঠায় দাঁড়িয়ে থাকল। বলল,
“আগে তোরা ভেতরে যা।”
নুপুর মেজাজ ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করে বলল,
“তুমি যাও। গেইট লাগিয়ে আমরাও যাচ্ছি।”
কল্প বাধ্য ছেলের মতো বেরিয়ে গেল। গেইট লাগিয়ে নুপুর এগিয়ে এলো ঘুঙুরের সামনে। যে এই মুহুর্তে নির্জীব ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে। ঠাস করে বোনের গালে চড় বসিয়ে দিল নুপুর। ঘুঙুর গালে হাত চেপে ব্যথিত দৃষ্টিতে তাকাতেই ঝাঁজালো কন্ঠে নুপুর বলল,
“এখনও ছোট আছিস তুই? যে যখন ডাকবে নাচতে নাচতে চলে আসতে হবে? যা ঘরে যা।”
ঘুঙুর দৌড়ে ঘরে চলে গেল। নুপুর দীর্ঘ শ্বাস ফেলে সদর দরজা আটকে নিজের ঘরে চলে গেল। তার এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে একটু আগের দৃশ্য। অনেক সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বাবা টের পাওয়ার আশঙ্কার ঘুঙুরকে ডাকতে এসেছিল সে। কিন্তু এমন ঘটনার সাক্ষী হতে হবে কস্মিনকালেও ভাবতে পারেনি।
পিরিয়ডের সেকেন্ড দিন এমনিতেই মেয়েদের শারীরিক, মানসিক কোনো কন্ডিশনই ভালো থাকে না। তার ওপর এমন অযাচিত ঘটনা ঘুঙুরকে ভেতর থেকে ভেঙে চুরমার করে তুলছে। এই অচেনা কল্প নাকি নেশাগ্রস্ত কল্প কার ওপর রেগে গেল সে? রাগ নাকি অভিমান? নাকি তারচেয়েও সুদৃঢ় কিছু, যেমন – ঘৃণা? যৌবনের প্রথম পুরুষালি স্পর্শ তাও আবার প্রিয় পুরুষের থেকে এমন অচেনা রূপে মেনে নিতে পারবে তো সে? নাকি পূর্ণাঙ্গ রূপে জেগে ওঠার আগেই ঘৃণার মূর্ছনায় দাফন হয়ে যাবে সেই ভালবাসা নামক অনুভূতির?
চলবে,
®নামিহা নিশি