ইচ্ছেঘুড়ি পর্ব-১০

0
20

#ইচ্ছেঘুড়ি (১০)
#নুসরাত_জাহান_মিষ্টি

কাকভেজা হয়ে বাড়ি ফিরতে কাজল অবাক হয়ে বলে,“আপা তোমার কাছে তো ছাতা ছিলো তাহলে ভিজলে কিভাবে?”

“ইচ্ছে হলো আজ একটু বৃষ্টি উপভোগ করি।”
আমার কথায় কাজল অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি তাকে উপেক্ষা করে ঘরে চলে যাই। ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ থেকে গোলাপ দু’টি বের করি। ঘরের দরজা বন্ধ করে চুলগুলো খুলে দেই। খোলা চুলে কানের কাছে একটি গোলাপ দিয়ে আয়নায় নিজেকে দেখি। খুব একটা খারাপ লাগছে না। ইতিমধ্যে মায়ের ডাক কানে আসতে গোলাপ দু’টো লুকিয়ে রেখে চুলগুলো খোপা করে নেই। অতঃপর বাহিরে বের হই। আমাকে দেখে মা বিরক্তি নিয়ে বলে,“আজকাল তোমাকে পাড়ার ঐ বখাটে ছেলেটার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় শুনলাম। তার সাথে এত কিসের কথা?”
মা যথেষ্ট পরিমান বিরক্তি নিয়ে কথাগুলো বলে। তার বিরক্তি বুঝতে পেরে আমি ম্লান হেসে বললাম,“মান হারানোর ভয় পাচ্ছো? পেও না। সবাই তো জানে আমার সমস্যা আছে। তাই মনে হয় না তোমার মান যাবে। যা মান যাওয়ার সেটা তো গিয়েছেই। তবে তুমি বুঝতে পারছো না।”

”মুখে বুলি ফুটেছে? তোর ভাবভঙ্গি তো ভালো ঠেকছে না।আজ মুখে খৈ ফুটছে। কাল তো আমাদের মা রতেও পিছু পা হবি না।”
মায়ের এই কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গেলাম। আমি শব্দ করে বললাম,“মা?”

“ভুল বলেছি? গতকাল রাতেই তো বললি আমাকে থাপ্পড় মা রতি, মা বলে মা রলি না। গতকাল মুখে বলেছিস, আজ কাজে করিয়ে দেখাবি। তোর মুখের বুলি তো সেসবেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।”
মায়ের কথা শুনে আমি পুরো হতভম্ব হয়ে গেলাম। মা শুরু করলো সকালের মতো। তার জীবন নিয়ে তার এক আকাশ সমান অভিযোগ। আমার জন্য এতকিছু করলো সেই আমিই আজ মুখে মুখে কথা বলছি। কাজলের বিয়ে ভেঙে গেল, সব আমার দোষ। আমি চুপচাপ মায়ের কথাগুলো শুনছি। না চাইতেও চোখ পানিতে ভিজে যাচ্ছে। হঠাৎ শান্তর বলা কিছু কথা মনে পড়তে আমি বললাম,”যেদিন প্রথম আমাকে তোমার বিরক্ত লাগছিলো সেদিন রাস্তায় ফেলে দিতে কিংবা মে রে দিতে। তাহলে তো আমার জন্য তোমাকে এতকিছু করতে হতো না। আর না আজ আফসোস হতো। তোমার পরিবারের সঙ্গে না খারাপ কিছু হতো।”
আমার মুখে এই কথাগুলো শুনে মা কয়েক মূহুর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়। আমি কথাগুলো বলে চোখের পানি মুছতে মুছতে ঘরে চলে আসলাম। মা সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু একটা ভাবছিলো। মায়ের ভাবনার মাঝে কাজল বলে,“মা এবার অন্তত বোঝো। নিজেদের ভুলগুলো সময় থাকতে বুঝে সেগুলো শুধরে নাও। নয়তো ভবিষ্যতে খুব ভুগতে হবে তোমায়।”
কাজলের এসব কথা শুনে মা বিরক্তি নিয়ে তাকে বলে,“বাহ্। খুব পিরিত জাগছে আপার জন্য। এত পিরিত কিসের তোর? তোর আপাকে আমি কী বলেছি? কী ভুল করেছি যে পরে ভুগতে হবে আমার?”

“পিরিত বলো বা মায়া। মা একজনের সঙ্গে অনেকদিন কাটালে এমনি মায়া জন্মায়। সেখানে তো আমার আপা। আমার তো তার প্রতি ভালোবাসা থাকবেই। কিন্তু আমি মাঝে মাঝে অবাক হই তুমি আদৌ মা তো। মায়ের ভালোবাসার গভীরতা নাহয় বাদ দিলাম, তুমি সামান্যতম মায়া মনে হয় না আপার জন্য অনুভব করো। বেছে বেছে আপার মতো ভালো মানুষদের জন্ম তোমার মতো মহিলার গর্ভেই হয়। এটা ভেবেও আমার আফসোস হচ্ছে।”

“কাজল।”
মা চিৎকার করে কথাটি বলে একটি থাপ্পড় বসিয়ে দেয় কাজলের গালে। কাজল গালে হাত দিয়ে রাগ নিয়ে বলে,“তুমি মা হওয়ার যোগ্য নও। কারো মা হওয়ার যোগ্য নও। না আমার, না আপার।”
এটা বলে কাজল তার ঘরে ছুটে চলে যায়। মা কাজলের কথা শুনে কিছুটা আহত হয়। বাবা বাড়ি ফিরলে পুরো ঘটনা তাকে খুলে বললে বাবা বলে,“কাজলও পুষ্পের সঙ্গে মিশে বিগড়ে গিয়েছে। নয়তো মুখে মুখে এত কথা বলে কিভাবে? কোন সাহসে?”
বাবা, মায়ের মুখের প্রতিটি কথা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয় এই পৃথিবীর বুকে কিছু মানুষ এমনই হয়। তাদের কাছে তারা যা বলে বা করে সেটাই ঠিক। অন্যরা সবসময় ভুল। বিশেষ করে তাদের ভুল ধরিয়ে দেওয়া ব্যক্তিগুলো তাদের চোখে,“বেয়াদব।”

___

রাতে ছাদে মনমরা হয়ে বসে শান্তর অপেক্ষা করছিলাম। শান্তকে ফোন দিয়েছি বেশ কিছুক্ষণ হয়েছে। এখনো আসছে না কেন বুঝতে পারছি না। বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করার পর মনে হলো সে আসবে না। এতে কিছুটা হতাশ হলাম। পরক্ষণে মন বললো,“তোর তো আপন কেউ তোর সঙ্গ দেয় না পুষ্প। সেখানে শান্ত তো পর একজন মানুষ। তাই তুই ডাকলেই যে চলে আসবে এটা ভাবা তোর মস্তবড় ভুল।”
আমার এসব ভাবনার মাঝে শান্ত নারিকেল গাছ বেয়ে উপরে চলে আসে। ছাদে কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে আমি পাশে তাকাই। শান্তকে দেখে মুখে আপনা আপনি হাসি ফুটে উঠে। মুখ দিয়ে অস্পষ্টসুরে বের হয়,“স্যরি।”

“হ্যাঁ?”
শান্ত শুনতে না পেয়ে জিজ্ঞেস করে। আমি তাকে জবাব দেই না। কোন মুখে বলবো তার দেরি হচ্ছিলো বলে মনেমনে তাকে নিয়ে নানা বাজে কথা ভাবছিলাম। শান্ত আমার জবাব না পেয়ে নিজেই বলে,“এতরাতে আমাকে ডাকলেন যে?”

“এমনি। আমার তো কোন বন্ধু নেই তাই মনে হলো আপনাকেই ডাকি।”
আমার মুখে এই কথা শুনে শান্ত ম্লান হাসে। অতঃপর বলে,“বন্ধু নেই কেন? এসবেও বাবা, মায়ের সমস্যা ছিলো বুঝি?”
আমি নাসূচক মাথা নাড়াই। অতঃপর বলি,“কিছু বন্ধু ছিলো। কারো বিয়ের পর ব্যস্ততায় আর যোগাযোগ করেনি। আমি করলে বিরক্ত হতো তাই যোগাযোগ বন্ধ করে দিলাম। কেউ বা আমার থেকে ভালো চাকরি পেয়েছে বলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এই করে এখন একজন বন্ধুও নেই।”

“আচ্ছা বুঝলাম। তারা সবাই বুদ্ধিমতী। তাই তো নিজেদের কথা ভেবেছে।”
শান্তর এই কথায় আমি কিছুটা রাগ করলাম। রাগ নিয়ে বললাম,“নিজের স্বার্থে বন্ধুত্ব নষ্ট করাকে আপনি বুদ্ধিমত্তা বলছেন?”

“হ্যাঁ। এই দুনিয়া বুদ্ধিমানরাই নিজের কথা আগে ভাবে। পরে অন্যের কথা। তবে বন্ধুত্ব নষ্ট করা হয়তো খারাপ। কিন্তু গিয়ে দেখুন তার জীবনে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় এসে গেছে যেই সময়ে হয়তো আপনি বেমানান। তাই তারা আপনাকে গুরুত্বহীন ভেবে সব সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছে।”
শান্তর এই কথা শুনে আমার মনটা আরও খারাপ হয়ে গেল। আমি বিষন্ন মুখে তার দিকে তাকিয়ে আছি। আমার মন খারাপ দেখে শান্ত হাসিমুখে বলে,“আপনি তবে আমার বন্ধুত্ব গ্রহণ করলেন। আমাকে বন্ধু ভেবেই এখানে ডাকলেন। তারমানে আপনার বয়স চল্লিশ থেকে ধীরে ধীরে কমছে। তাই তো মিস?”

“ডেকে হয়তো ভুল করেছি। আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সময় আসলে আপনিও তো আমায় গুরুত্বহীন মনে করে বন্ধুত্ব ভেঙে দেবেন। যেটা পরে ভেঙে যাবে সেই বন্ধুত্ব নাহয় নাই বা গড়লাম।”
আমার কন্ঠে অভিমান প্রকাশ পেলো। এটা দেখে শান্ত মিষ্টি হেসে বলে,“আপনি রেখে দিলে থেকে যাবো বন্ধু হয়ে। আমি চাইলেই তো একা থাকতে পারবো না। এজন্য আপনাকে নিজেকে সেভাবে তৈরি করতে হবে যাতে আমার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেও আমার আপনাকে গুরুত্বহীন না মনে হয়।”
আমি শান্তর কথার ভাবার্থ বুঝতে না পেরে অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি। এটা বুঝতে পেরে শান্ত বলে,“আপনারা বন্ধুরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ শেষ করে দিয়েছে, এখানে শুধুমাত্র তারা দোষী সেটা কিন্তু নয়। বরং এখানে আপনার দোষ বেশি। আসলে আমরা সবসময় নিজেদের ক্রুটিগুলো আড়াল করে রাখতে ভালোবাসি। আমাদের চোখে সেগুলো ক্রুটি নয় বরং ভালো গুন। কিন্তু যেটা আমার কাছে ভালো সেটা অন্যদের কাছে ভালো নাও হতে পারে। এটা আমাদের বুঝতে হবে।
আপনার বন্ধুদের কাছে আপনি নিজেকে একটু বেশিই সস্তা হিসাবে প্রকাশ করেছেন। আমি জানি আপনি হয়তো তাদের অনেক ভালোবাসেন এটা বোঝাতে সবসময় তাদের কথা শুনেছেন, তাদের গুরুত্ব দিয়েছেন। এগুলো আপনি ভালোর জন্য করলেও, এগুলো করে আপনি তাদের কাছে নিজেকে খুব সস্তাভাবে প্রকাশ করেছেন। এজন্য মানুষকে ততটাই গুরুত্ব দিতে হয় যতটা সে আপনাকে দিবে।”

“আপনি এত বুঝদার মানুষ বোঝা যায় না। আপনার কর্মকান্ডগুলো বাচ্চাদের মতো।”
আমার এই কথা শুনে শান্ত হাসে। তার মুখের এই হাসিটা বড্ড নজরকাড়া। ছেলেরা যে এত মিষ্টি করে সবসময় হাসতে পারে সেটা একে না দেখলে বুঝতাম না। আমি এসব ভাবছিলাম তার মাঝে শান্ত বলে,“আমি যা বললাম তা বুঝছেন?”

“হ্যাঁ। তো এবার আপনার সাথে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে কী করতে হবে?”

“শুধু মনের বয়সটা ষোলো করতে হবে এবং একটু স্বার্থপর হতে হবে।”
শান্তর এই কথা শুনে আমি হেসে দিলাম। এই পর্যায়ে শান্ত বলে,“তবে যাই বলেন একটা সময় পর বন্ধুদের সাথে একইরকম সম্পর্ক থাকে না। হয়তো কাজের চাপ নয়তো অন্যকিছু। সব মিলিয়ে হয় না।
আমার এই কথা শুনে আবার ভাববেন না আপনারা বন্ধুরা একই কারণে চলে গেছে। আমি নিশ্চিত আমি যে কথাগুলো বলেছি ঐ কারণেই আপনার বন্ধুরা চলে গেছে। আপনি তাদের অনেক ভালোবাসা দেখিয়েছেন আর তারা সেটার ফয়দা নিয়েছে।”

“আমাকে এত ভালো চিনছেন বুঝি?”
আমার এই কথার জবাবে শান্ত মাথা নাড়িয়ে বলে,“মানুষ দেখলেই এসব বোঝা যায়।”

আমি জবাব না দিয়ে মৃদু হাসলাম। শান্তর কথাই সঠিক। আমি জীবনে বন্ধুদের যতটা গুরুত্ব দিয়েছিলাম ততটা তারা কখনোই দেয়নি। যাদের কাছে আমি আমার মনের সব কথা খুলে বলতাম তারাই পিছনে বসে এসব নিয়ে মজা নিতো। এমন অনেক গল্প রয়েছে। আমি পুরনো দিনের সেসব স্মৃতিই ভাবছিলাম। এসব ভাবনার মাঝে শান্ত আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে,“বন্ধু?”

আমি মাথা নাড়িয়ে তার বাড়িয়ে দেওয়া হাতের দিকে নিজের হাতটি বাড়িয়ে দিলাম। অতঃপর দুজনে ছাদে বসে গল্প করতে শুরু করলাম। গল্পের এক পর্যায়ে বললাম,“আমি না সিদ্ধান্তহীনতা ভুগছি। আজ আমি সেজন্য আপনাকে ডাকলাম।”

“মানে?”
শান্ত বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করে। আমি খুবই মলিন গলায় বললাম,“আপনাকে আমি বিশ্বাস করতে পারি? সারাদিন বাচ্চামো করা ছেলেটি একজন মেয়ের বন্ধু হয়ে তার হৃদয়ের অজানা সত্যি জেনেও কোনদিন তাকে এটা নিয়ে কথা শোনাবে না। সঠিক পরামর্শ না দিতে পারুক তবে এই গোপন কথা গোপন রাখবে। এতটুকু বিশ্বাস আমি আপনাকে করতে পারি?”
আমার এসব কথার জবাবে শান্ত বলে,“এই প্রশ্নের উত্তরটা যেদিন পাবেন সেদিন আপনার গোপন কথাগুলো বলবেন। আমি সেদিনই শুনবো। আজ নয়।”

“কিন্তু…।”
আমাকে থামিয়ে দিয়ে শান্ত বলে,“বিশ্বাস রাখুন আপনি এই কাজটা যেদিন করতে পারবেন সেদিন আপনি অনেক বদলে যাবেন। আর সেদিন আপনার আমার পরামর্শের কোন প্রয়োজন পড়বে না। নিজেই পারবেন সবটা সমাধান করতে।”
শান্তর এসব কথায় আমি চুপ করে যাই। মনের মধ্যে থাকা কথাগুলো বলতে পারি না। খুব কষ্টে বললাম,“আমি এতবড় সত্যির বোঝা বইতে পারছি না। আমার এগুলো কারো সাথে শেয়ার করা উচিত।”

”তবে করুন। আপনি আমাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছেন? যদি পারেন তবে শেয়ার করুন।”
শান্তর এই কথায় থমকে যাই আমি। শান্ত আমার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসে। তার হাসি আমাকে জানিয়ে দেয় শান্তর সঙ্গে ক্ষণিকের পরিচয় আমার। এতটুকু পরিচয়ে আমি তাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারিনি। বা পারছি না। আমার মনের কথা শান্তও জানে, বুঝতে পারে। এটাই সে তার হাসি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে। সেই সময়ে আমাকে হাসাতে শান্ত তার পকেট থেকে লাটিম বের করে। অতঃপর বলে,“এটা ঘোরাতে জানেন?”

“না।”
আমি এমন জবাব দিতে শান্ত আমাকে লাটিম ঘোরানো শেখাতে শুরু করে দেয়। আমি অবাক হয়ে তাকে দেখতে থাকি। কত হাসি মুখে এই ছেলেটি বাচ্চাদের মতো লাটিম ঘোরাচ্ছে। কত প্রাণোচ্ছল তাকে লাগছে। খুব মিষ্টি। না চাইতেও আমি তার লাটিম নিয়ে ভুলবাল বর্ননা করায় হেসে দেই। আমাকে হাসাতে যে সে মজার কথা বলছে সেটা বুঝতে পারছি। এতরাতে এভাবে দুজনে মজা করছি। একসঙ্গে গভীর রাত পার করছি।অথচ তাও নিজের মনের গোপন কথা বলার মতো বিশ্বাস তাকে করতে পারছি না। এই রাত নিশিতে যতটা বিশ্বাস করে তাকে ডাকতে পেরেছি। তারচেয়েও কী বেশি বিশ্বাস লাগে মনের গোপন কথা জানাতে।আমার মনের ভাষা হয়তো শান্ত বুঝলো। তাই বললো,“হ্যাঁ লাগে। চরিত্রবান মানেই যে গোপন কথা হৃদয়ের গহীনে সারাজীবন লুকিয়ে রাখবে এমনটা ভাবা বোকামো।”


চলবে,
(ভুলক্রটি ক্ষমা করবেন।)