এই সাঁঝবাতি পর্ব-০৮

0
16

#এই_সাঁঝবাতি? পর্ব: ০৮

বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং এর জন্য একজন ডিরেক্টরের সাথে মিটিং ফিক্সড করা হয়েছে সকাল নয়টায়৷ যেদিন সকালে দরকারি কাজে অফিসে ছুটতে হয় সেদিন রাতে সানান ভাই ঘুমায় না। সারারাত ধরে কাজ করে সকালে এক কাপ কড়া কফি খেয়ে অফিসে চলে যায়। আজকেও যথারীতি নির্ঘুম রাত কাটিয়ে বাইক নিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছে, পথে দেখা হলো সাভিন-সাবিলের সাথে। সানান ভাই বাইক থামিয়ে জিজ্ঞাসা করল,

– এখানে দাঁড়িয়ে কি করা হচ্ছে?

সানান ভাইকে দেখে ওরা দুজন ভয়ে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে সালাম দিল। বড় ভাই বলে সানানকে ভয় পায় ব্যাপারটা এমন নয়৷ সানান ভাইয়ের চলনভঙ্গিটাই এমন৷ দেখলেই মনে হয় এক্ষুণি ক্ষেপে গিয়ে ঠাটিয়ে একটা চড় বসিয়ে দিবে গালে। তাছাড়া সানান ভাইয়ের মুখটাও বড্ড লাগামছাড়া। কাউকে কথা শোনাতে ছাড়ে না৷ এজন্য আত্মীয়-স্বজন সবাই তাকে সমঝে চলে।
সানান ভাই সালামের জবাব দিয়ে ভ্রু নাচিয়ে প্রশ্নের উত্তরের তাগদা দিল। যেন সে জানেই না রোজ এই সময় সাভিন – সাবিল কোথায় যায়।

– কোচিং যাচ্ছি।

জবাব দিল সাভিন৷ সাবিলের থেকে মাত্র দুই মিনিট আগে পৃথিবীতে এসে বড় ভাইয়ের দায়িত্বটা নিজেই নিজের কাঁধে চাপিয়ে নিয়েছে। কেউ তার উপর এ দায়িত্ব অর্পিত করেনি কখনো৷

– এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে কোচিং-এ পৌঁছে যাবি?

সাবিলটা একটু বোকা কিন্তু বড্ড মিশুকে। দাঁত কেলিয়ে এক গাল হেসে বলল,

– আমরা এখানে রিক্সার অপেক্ষা করছি৷ আজকে কেন যেন একটা খালি রিক্সাও দেখা যাচ্ছে না। এদিকে কোচিং-য়ে দেরী পৌঁছালে স্যার ভীষণ বকবেন৷

– বাইকে উঠে পড়। যাওয়ার পথে নামিয়ে দিব।

বাইকে বসতে সাবিলের দারুণ লাগে। ফুরফুরে বাতাস এসে ধাক্কা দেয় চোখে, মুখে, নাকে। দুপাশের বিল্ডিংগুলো সাঁইসাঁই করে পেছনে ফেলে বাতাসের বেগে ছুটে যাওয়া যায়। কিন্তু সাবিল বাইকে উঠেছে মোটে দুবার। একবার স্কুল থেকে ফেরার পথে, আরেকবার বিকালে ক্রিকেট খেলে আসার সময়। দু’বারই রাস্তায় হঠাৎ দেখা হওয়ায় সানান ভাই তাকে লিফট দিয়েছে৷
বাবার একটা বাইক থাকলে বেশ হতো। রোজ রোজ বাইকে চেপে কোচিং যেত, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরত ওরা।

আজ অনেকদিন পর আবার বাইকে উঠার সুযোগ পেয়ে অতি উচ্ছ্বাসে পা বাড়ালো সাবিল। পেছন থেকে ব্যাগ টেনে ধরলো সাভিন। কড়া চোখে তাকিয়ে ইশারায় জানাল সতর্কবার্তা। সাবিল বাধ্য ছেলের মতো সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়ল।

সাভিন বলল,

– আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি, সানান ভাই। রিক্সা পেয়ে যাব।

– অফার দিচ্ছি, সময় থাকতে লুটে নে। সবসময় এমন অফার পাওয়া যায় না।

– ওই তো একটা ফাঁকা রিক্সা আসছে।

– তোদের বাইকে উঠতে বলেছি না আমি? আচ্ছা বেয়াদব হয়েছিস দেখছি। চটজলদি উঠ।

ধমক খেয়ে মুখ গোমড়া করে সাবিলের ব্যাগটা ছেড়ে দিল সাভিন। চোখের ইশারায় সম্মতি জানালে সাবিল হাসিমুখে বাইকে উঠে বসে সানানের কোমড় জড়িয়ে ধরল দু হাতে। সাভিনও বিরস মুখে বাইকে উঠে বসার সাথে সানান ভাই বাইক স্টার্ট দিল।

– জানিসই যখন সকালে রিক্সা পেতে ঝামেলা হয়, আরেকটু আগে বের হোসনি কেনো?

তুলনামূলক ধীর গতিতে চলছে সানান ভাইয়ের বাইক। একটু উঁচু গলায় কথা বললেই পেছনে শোনা যায়। সাভিন স্পষ্ট শুনতে পেয়েও চুপ রইল। সাবিল বলল,

– রোজ সাড়ে সাতটায় বের হই৷ আজকে সাবিলের উঠতে দেরী হয়ে গেল।

– কেনো? রাতভর না ঘুমিয়ে ঘাস কেটেছিস নাকি সাভিন? অথবা প্রেমঘটিত কোনো ব্যাপার? গার্লফ্রেন্ডের সাথে রাত জেগে প্রেমালাপ করিসনি তো আবার?

সাভিনের মাথায় চলছিল অন্য ভাবনা। সানান ভাইয়ের বাইক দেখলে একসময় ওরা দু ভাই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ত। একদিন দু ভাইকে সামনে বসিয়ে মা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলেছিলেন। ওদের বাবার বাইক নেই। পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করতে হয়। ওরা গরীব, সানান ভাইয়েরা ধনী৷ সানান ভাইয়ের বাইক দেখে এমন করলে লোকে তাদের ছোটোলোক ভাববে৷ লোভী ভাববে৷ তাই ওদের উচিত সানান ভাইয়ের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা।
ওরা এবার হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছে। সাভিন এখন একটু আধটু করে বুঝতে শিখেছে। সাবিল একটু বোকা তাই বুঝে না। পরিবারের সবাই ওদের একটু নিচু চোখে দেখে। কারণ ওদের আর্থিক অবস্থা অন্যদের তুলনায় খারাপ। বড় মা ওদের দেখলে চোখ মুখ শক্ত করে ফেলে৷ উনার বিরক্তি সাভিন ধরতে পারলেও বিরক্তির কারণ বুঝতে পারত না৷ সেদিন মা বুঝিয়ে বলার পর বুঝেছে। ওদের ছোটোলোক ভাবে তাই কাছে গেলে বড় মা বিরক্ত হয়৷
সাভিন বড় মায়ের বাড়িতে যায় না। সাবিলকেও যেতে দেয় না। আজকে ওরা সানান ভাইয়ের বাইকে উঠেছে শুনলে মা ভীষণ রাগ করবে। সে নিয়েই দুশ্চিন্তা করছিল। এসবের মাঝে সানান ভাইয়ের মুখে এমন অপবাদ শুনে লজ্জায় সাভিনের চোখমুখ লাল হয়ে গেল। কোনোরকমে বলল,

– তাশফীন ভাইয়ের সাথে গল্প করতে গিয়ে রাতে দেরীতে ঘুমিয়ে ছিলাম।

রিয়ার মিররে সাভিনের লালচে মুখটির দিকে শক্ত চোখে তাকাল সানান ভাই। ভারি স্বরে প্রশ্ন করল,

– ওর সাথে রাতভর গল্প করার কি আছে?

সাভিন সানান ভাইয়ের কাঁধের দিকে আরেকটু ঝুঁকে আনন্দিত গলায় বলল,

– জানেন সানান ভাই, তাশফীন ভাইয়া এখন থেকে আমাদের সাথেই থাকবে।

সানান ভাই হেলমেটের আড়ালে সরু চোখে তাকিয়ে বলল,

– তোদের সাথে মানে? সে না বাড়ি ভাড়া খুঁজছে?

– পেল না তো। মা কতো খুঁজল। আশেপাশে কোনো ফ্ল্যাট ফাঁকা নাই। তাই দাদী বলেছে দু তিনটা মাস আমাদের থাকতে।

– তোদের বাড়িতে কোথায় থাকবে? ছাদে? সব রুম-ই না ব্লকড?

– আপুর রুমে থাকবে।

সাবিলের কথা শেষ হওয়া মাত্র সবাই সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ল। আচানক বাইকের ব্রেক কষেছে সানান ভাই।
সাবিলকে শক্ত করে চেপে ধরে সাভিন উদ্বিগ্ন গলায় জানতে চাইল,

– কী হলো?

সানান ভাই ঘাড় ফিরিয়ে প্রশ্ন করল,

– কার রুমে থাকবে?

হঠাৎ এভাবে ব্রেক করায় প্রচন্ড ভয় পেয়েছে ওরা। সানান ভাইয়ের প্রশ্ন বুঝতে না পেরে দুজনে বোকার মতো সমস্বরে পাল্টা প্রশ্ন করল,

– কে?

– তাশফীন।

– সাঁঝ আপুর রুমে৷

সাবিলের সহজ উত্তর শুনে সানান ভাই দাঁত কিড়মিড়িয়ে ধমকে উঠল।

– তোর আপুর সাথে থাকবে তাশফীন?

– আরেহ, আপু তো দাদীর রুমে শিফট হয়ে যাবে। দাদী আপুকে বলেছে এই কয়েকমাস দাদীর সাথে থাকতে৷ তাহলে আপুর রুমটা ফাঁকা হয়ে যাবে। ওখানে তাশফীন ভাইয়া থাকবে। মা বলেছে, আমাদের রুমে থাকলে ভাইয়ার রেস্ট হবে না। না হলে ভাইয়াকে আমাদের সাথেই রেখে দিতাম। কত মজার গল্প শোনাহ ভাইয়া!

সানান ভাই রাস্তার দিকে কয়েক সেকেন্ড নিশ্চুপ তাকিয়ে থেকে আবার বাইক স্টার্ট দিল। ওদের দুজনকে কোচিং এর সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল ধানমন্ডি। অফিসে তখনো কেউ আসেনি। সানান ভাইকে দেখে দারোয়ান বিনাবাক্যে গেইট খুলে দিল। এত সকালে তাকে কেবিনের দিকে যেতে দেখে ক্লিনাররা নিজেদের কাজ ফেলে সবিস্ময়ে তাকাল। সানান ভাই ত্রস্ত পায়ে এগিয়ে গিয়ে কফির অর্ডার দিয়ে চুপচাপ গালে হাত দিয়ে চেয়ারে বসে রইল।

°

সায়রাকে স্কুল থেকে নিয়ে এসে নাস্তা খেতে দিয়ে দুপুরের রান্না বসিয়েছেন আফসানা। ডাইনিং টেবিলের উপর মোবাইলটা তারস্বরে চেঁচাচ্ছে। কড়াইয়ে পেঁয়াজ ভাজার শেষ ভাগ চলছে। এগুলো রেখে আফসানা ছুটতে পারছেন না।

বাম হাতের দুই আঙ্গুল দিয়ে কপালের এলোমেলো চুলগুলো সরিয়ে ভ্রু কুচকে মোবাইলটির দিকে তাকাল সায়রা। টানা কিছুক্ষণ শব্দ করে এ যাত্রায় শান্ত হলো যন্ত্রটি৷ সায়রা স্বস্তি পেয়ে আবার কাঁটাচামচ যেই না হাতে তুলেছে ওমনি আবারও শব্দ করে উঠল ওটা। সায়রা বিরক্ত হয়ে ডাইনিং টেবিলের চেয়ার থেকে নেমে মোবাইলটি হাতে তুলে নিয়ে গুটিগুটি পায়ে রান্নাঘরের দিকে ছুটল। আফসানার দিকে মোবাইলটি এগিয়ে দিয়ে মিষ্টি নরম গলায় বলল,

– দাদাভাই।

আফসানা সামান্য ঝুঁকে বিরক্তিতে কুচকে থাকা সায়রার কপালে চুমু দিয়ে হালকা হেসে বললেন,

– থ্যাঙ্কিউ মা।

সায়রা তার এলোমেলো চুলগুলো সামলে বিরক্তি সূচক উফ শব্দ করে নিজের খাবারের দিকে চলল।

কল রিসিভ করে মোবাইলটি কানে চেপে ধরতে শোনা গেল সানান ভাইয়ের অস্থির গলার স্বর।

– আম্মা?

– বল।

– তুমি মেজ মাকে গিয়ে বলো, আমাদের পাঁচতলার বি ইউনিটটা ফাঁকা হয়েছে।

– হ্যাঁ?

– তাশফীনকে আজকেই শিফট করতে বলো।

– তুই না বললি ভাড়া দিবি না? আমি না করে এলাম যে। এখন কীভাবে বলব ফাঁকা আছে?

– বলবা আজকে ফাঁকা হয়েছে।

– কী আজব কথা!

– না হয় বলো কালকে ভাড়াটে চলে গেছে।

– তুই বলেছিলি তাশফীনকে বাড়ি ভাড়া দিবি না।

– এখন দিচ্ছি।

– কেন?

– এমনি।

– স্বর্ণলতা বা সাদিক তোকে কিছু বলেছে? তোকে রিকুয়েষ্ট করত আসলে আমাকে দেখিয়ে দিবি৷ বলবি বাড়ি ভাড়ার ব্যাপারটা আমি সামলাই। বাকিটা আমি দেখে নিচ্ছি।

– কেউ কিছু বলেনি। রিকুয়েষ্টও করেনি৷

– তাহলে মত বদলানি কেন?

– এমনিতে বদলাতে পারি না? এই প্রথম ছেলেটা ঢাকায় এসেছে। প্রথমবার পরিবার রেখে একা থাকবে। আত্মীয়-স্বজন কেউ পাশে থাকলে সাহস আসে মনে। আমাদের উচিত ওকে সাহায্য করা। তুমি গিয়ে বলে এসো। যাও।

– কখন যে কী করিস! বুঝি না বাপু। বিকালে গিয়ে বলবো এখন।

– নাহ। নাহ। এখনি যাও।

– রান্না করতেছি আমি।

– খবরটা জানিয়ে এসে করিও।

– চুলায় রান্না বসানো।

– গ্যাস বন্ধ করে দিয়ে যাও।

– পাগল হয়েছিস? এত তাড়ার কি আছে? বিকালে বলে আসব।

– আম্মা, ও আম্মা? তুমি আমাকে এভাবে হেলাফেলা করতেছ!

– তোকে কখন হেলাফেলা করলাম?

– এক্ষুণি করলা। এখনো করতেছ। আমার জীবন মরণের প্রশ্ন আর তুমি পাত্তা দিতেছ না।

– কীসব বাজে কথা! বাড়ি ভাড়াটা তোর জীবন মরণের প্রশ্ন?

– ওটা কথার কথা। তুমি মূল টপিক থেকে সরে যাচ্ছ৷ আলোচনা হচ্ছিল, তুমি আমার অনুরোধ রাখছ না, সেটা নিয়ে। এক্ষুণি যাও না। একটু গেলে কি হয়? আম্মা, ও আম্মা?

– উফ বাবা! আমার মাথা খাসনে আর। যাচ্ছি৷ যেন ট্রেন ছুটে যাচ্ছে উনার।

আফসানা যেন আরও কি কি গজগজ করতেছিলেন। সানান ভাই সেগুলো শুনল না। কল কেটে দিয়ে মোবাইলটা ঠাস করে টেবিলে রেখে চোয়াল শক্ত করে বলল,

– ছেলের শখ কতো! ছাদ থেকে ফেলে দেব না আমি ওকে?

তখনি ঝড়ের বেগে কেবিনে প্রবেশ করল জাদিদ। সানানের অপরদিকে ডেস্কের উপর দু হাত ছড়িয়ে রেখে প্রশ্ন ছুড়ল।

– তোর কয়টায় আসার কথা ছিল? হাজার বার রিকুয়েষ্ট করেছিলাম সানান। একটা দিন নয়টায় আসতে পারলি না?

সানান ভাই মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থেকেই জবাব দিল,

– সাড়ে আটটায় অফিসে ইন করছি। চেক করে দেখ গিয়ে।

– তোকে এখানে আসতে বলেছিল কে? আজকে আমাদের ডিরেক্টরের অফিসে যাওয়ার কথা ছিল।

– আজকে কোনো মিটিং এটেন্ট করার মুড নাই আমার।

– বাইঞ্চোত, মোবাইলের কী দেখোস তুই। আমার দিক তাকা বাল।

– হালার পুত, মোবাইলটা দে৷ জরুরি কলের অপেক্ষা করতাছি।

– আমি তোর সাথে একটা জরুরি আলাপ করতাছি না?

– মেজাজ খারাপ আছে। চ্যাতাইস না কইলাম। মোবাইলটা দে।

– এটারে আছাড় মারমু আমি।

জাদিদের হাতের মুঠোয় বেজে উঠল সানানের মোবাইলটি। আফসানার কল দেখে সুবোধ বালকের ন্যায় সেটি সানান ভাইয়ের দিকে এগিয়ে দিয়ে চেয়ারে বসল জাদিদ।

আফসানা বলল,

– বলে এসেছি। সন্ধ্যায় শিফট করবে বলল।

– আম্মা, তুমি একটা লক্ষ্মী মেয়ে। তোমাকে অনেকগুলা ভালোবাসা।

সানান ভাইয়ের মুখ থেকে মধু ঝড়ে পড়তে দেখে জাদিদের চক্ষু কপালে উঠে যাওয়ার যোগাড়। মার্বেলের মতোন গোল চোখ জোড়াকে উপেক্ষা করে সানান ভাই তার চেয়ারে সোজা হয়ে বসে গম্ভীরস্বরে বলল,

– কী জানি বলতেছিলি? এখন বল দেখি। আমার ঝুলিতে এখনো অনেক গালি পড়ে আছে।

চলবে…
#অক্ষরময়ী