#কুন্দ_ফুলের_মালা
#পর্ব-৫
স্বর্না ঝিলমিলের ইউনিভার্সিটির বন্ধু। ওর বিয়ের খবর টা জানতে পারলো মেসেজ এর মাধ্যমে। ঝিলমিল মেসেজ করেছিল ও’কে। খবর পেয়ে বিশ্বাস ই করতে পারে নি প্রথমে। ঝিলমিল এর অবস্থা সম্পর্কে ওর জানা আছে। ঝিলমিলের বন্ধু হওয়া ছাড়াও ইশিকার সঙ্গে ওর সুসম্পর্কও আছে। ইশিকা নিজে ওদের বাসায়ও গিয়েছিল বিয়ের কার্ড দিতে। স্বর্না খুব অবাক গলায় জিজ্ঞেস করেছিল,
“আকাশ ভাইয়া, বিয়ে করছে! ঝিলমিল ছাড়া অন্য কাউকে? ”
ইশিকা গর্বিত সুরে বলেছিল,
“ভাইয়ার চোখ খুলেছে রে স্বর্না। এর বেশী কিছু আমি বলতে চাই না। বউভাতের কার্ড এটা, চাইলে বরযাত্রীর অনুষ্ঠানেও যেতে পারিস। আমাকে কল করিস।”
স্বর্না কার্ড হাতে নিয়ে স্তব্ধ ছিলো অনেকক্ষন। ঝিলমিল কে প্রশ্ন করার মতো সাহস করে উঠতে পারে নি।
***
বেশ অনেক দিন পর ঝিলমিলের সঙ্গে দেখা হলো স্বর্নার। মাঝখানে বেশ কয়েকবার এসেছে তখন ঝিলমিল দেখা করে নি। দরজা বন্ধ করে ঘর অন্ধকার করে থাকতো। স্বর্না জিজ্ঞেস করলো,
“এসব কিভাবে হলো ঝিলমিল?”
ঝিলমিল স্মিত হেসে সংক্ষেপে নিজের বিয়ের গল্প বলল। তবে ও যে হৃদয়কে অ্যাপ্রোচ করেছিল সেটা চেপে গেল। স্বর্না জিজ্ঞেস করলো,
“তুই রাজী হলি বিয়ে করতে? হৃদয়কে?”
“হ্যাঁ। ”
“কেন? কী করে রাজি হলি? আঙ্কেল, আন্টি জোর করেছে?”
“না আমি রাজি ছিলাম মন থেকে। তাছাড়া হৃদয় খারাপ কোথায়? বাবার টাকা আছে যথেষ্ট, গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট। গোছানো ক্যারিয়ার না থাকুক, বাবার টাকার তো অভাব নেই।”
স্বর্না বুঝতে পারলো ঝিলমিলের চিন্তাভাবনা এখন সব এলোমেলো হয়ে আছে। উল্টাপাল্টা ভাবছে। এসব বিষয়ে যুক্তি তর্ক কিছুই ওর মন:পুত হবে না। তবুও স্বর্না একটা প্রশ্ন না করে পারলো না।
“ঝিলমিল, তুই কী হৃদয়কে ভালোবাসিস?”
ঝিলমিল অকপটে জবাব দেয়,
“না। তবে হৃদয় আমাকে ভালোবাসে। আর সেটাই সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। ”
স্বর্না তাকিয়ে রইলো। ও ঝিলমিলের কথা বুঝতে পারে নি ভালো করে। ঝিলমিল স্মিত হেসে বলল,
“যা মা ডাকছে। মিষ্টি খাওয়াবে বোধহয়। তুই তো মিষ্টি পছন্দ করিস না, তবুও খাবি কিন্তু। আমার বিয়ের মিষ্টি। ”
স্বর্না চলে এলো ঘরের বাইরে। আসমা, মিষ্টি পায়েশ বাটিতে সাজিয়ে টেবিলে রাখলেন। এখন রোস্ট, পোলাও, রেজালা গরম করছেন। স্বর্না বারণ করলো,
“আন্টি আমি এতো কিছু খাব না। ”
“খাও স্বর্না। এরপর আবার কবে আসবে! ”
স্বর্নার কাছে মনে হলো আসমার কন্ঠটা কেমন ভারী শোনাচ্ছে। মুখটাও ভীষণ শুকনো। ওর মন টা খারাপ লাগলো। সত্যিই মিষ্টি, পায়েশ খেল। বিয়ে ঝিলমিলের যেমন ই হোক, ওর বন্ধুর বিয়ের মিষ্টিমুখ তো করতেই হয়।
ঝিলমিল এসে স্বর্নাকে বলল,
“আমার একটা কাজ করতে হবে তোকে?”
স্বর্না জানতে চাইলো,
“কী কাজ?”
“একটা বড় প্যাকেট ইশিকাদের বাড়িতে নিয়ে যাবি। ইশিকার ভাইয়ের দেয়া গিফট গুলো আছে ওখানে। আমি এখন আর ওগুলো রাখতে পারব না। ফেলেও দেয়া যায় না, বড়লোকদের পয়সার অপচয়। ”
আসমা এসে দাঁড়ালেন। স্বর্না বলল,
“এসবের কী দরকার আছে? ফেলে দে ওগুলো তুই। নাহয় আমাকে দে, আমি পুড়িয়ে ফেলি। ”
“না দিয়ে আয়। পুড়িয়ে ফেললে আমার তো কিচ্ছু যায় আসবে না, কিন্তু দুদিন পর এসে ফেরত চাইলে তখন কিভাবে দেব? আর এগুলো আমার কাছে রাখা সম্ভব না। হৃদয়ের বারণ আছে। এখনো আমার ঘরে আকাশের জিনিসপত্র আছে জানলে খুব রাগ করবে। ”
ঝিলমিলের কথায় স্বর্নার মনে হলো আকাশ নয়, হৃদয়ই এতোকাল ওর ভালোবাসার মানুষ ছিলো। আশ্চর্য! বিয়ে হয়েছে একদিন হলো, অথচ এর মধ্যেই অধিকারবোধ চলে এলো! ঝিলমিলও কী সুন্দর মেনে নিচ্ছে। অবশ্য ও শিওর না যে ঝিলমিল মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে কী না।
***
মিঠাপুকুর লেনের নয় নাম্বার গলির জোড়া বাড়ির মালিক হৃদয়ের বাবা হারুন মোল্লা। দুটোই সাততলা পর্যন্ত করা। হারুন মোল্লা বাপের সম্পত্তি আর ব্যবসায়ের একটা অংশ পেয়েছিল। পরিশ্রম আর ভাগ্যের জোরে সেটা এখন দশগুন বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকের মতে ছেলেরা এই সম্পত্তি উড়িয়ে খেয়ে শেষ করে দিবে। তবে তিনি সেটা ভাবেন না। ছেলেদের প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস। তিনি এখনো বেশ শক্ত, সামর্থ্য তাই হৃদয়কে কাজের জন্য চাপ দিচ্ছেন না। যৌবনের এই সময় টা ঘুরেফিরে আনন্দ করে কাটাক। এরপর ধীরেসুস্থে সব বুঝে নিলেই হবে।
হৃদয়ের ছোট একটা ভাই আছে। চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে পড়ছে। ছুটিছাটায় বাড়িতে আসে। দুই ছেলেই বাপ, মায়ের খুব আদরের। সাধারণত বাবা, মা দুজনের একজন ছেলে মেয়েদের জন্য কঠিন হয়, হৃদয়ের বাবা, মা দুজনেই ছেলে অন্ত:প্রান। হৃদয় বাসায় এসে ঝিলমিলের কথা মা’কে জানিয়েছিল। বাবার চেয়ে মায়ের সাথে সম্পর্ক টা সহজ। মা কোনো উচ্চবাচ্য করেন নি। ঝিলমিল কে সে ছোট থেকে দেখছেন, আকাশের সঙ্গে কাহিনীও তার অজানা নয়। তবুও ছেলের মনে ধরেছে, এরপর আর কোনো বাড়তি কথা হতে পারে না। হৃদয়ের বাবাকেও তিনি রাজী করিয়েছেন।
হৃদয় দের বাসায় বিয়ের আয়োজন শুরু হয়ে গেল যেন এক্ষুনি। হৃদয়ের মামা, মামী মালয়েশিয়া থাকেন। মামী অস্থির করে তুলেছেন, বিয়ের শপিং যেন তাকে ছাড়া না করা হয়, সে এসে সব সামলাবে। ছোট খালা নাটোরে থাকেন, বাচ্চাদের পরীক্ষা আছে বলে আসতে পারেন নি। পরীক্ষা শেষ হলেই চলে আসবেন। চাচা, ফুপুরা সবাই ঢাকায়। তাদের ঠিকঠাক ভাবে আগে কেন জানানো হলো না সেটার কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে কল করে। এক মাসের মধ্যে মান ভাঙিয়ে তাদের বিয়েতে উপস্থিত করতে হবে।
হৃদয় ঘুম থেকে উঠলো বেলা করে। সকালের আর দুপুরের খাবার টা এক খাওয়ায় হয়ে যাবে। জাহানারা ছেলের পাতে ভাত, তরকারি তুলে দিতে দিতে বললেন,
“তোরশ্বশুর, শাশুড়ী কল করছিলো কেউ?”
“ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেছিলো মা। ”
“আমার ফোনে কল দিছিল তোর ফুপু শাশুড়ী। রাতে যাইতে বলল তোরে। ”
হৃদয় খেতে খেতে জবাব দিলো,
“আচ্ছা। ”
“যাবার সময় বেশী করে বাজার করে নিয়ে যাইস। তোর শাশুড়ীর মন ভালো হবে। ”
“কেন? ওনার মন খারাপ ছিলো নাকি?”
“দেখলাম তো তেমন। আবার অন্য কারনেও মন খারাপ হইতে পারে। আকাশও তো বউ নিয়া আসছে।”
হৃদয় খাওয়া বন্ধ করে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
“মা এই বাড়িতে আকাশের নাম উচ্চারণ করবে না। আমার সামনেও না, পিছনেও না।”
জাহানারা ঠোঁট উল্টে বললেন,
“আমি না করলেও পাড়ার মানুষ তো করবে। ”
“সেটা আমি বুঝে নেব। কিন্তু তুমি করবে না। ঝিলমিল কে কোনো অবস্থায়ই ছোট করবে না।”
জাহানারা থামলেন। বউয়ের পক্ষ নিয়ে এখনই কথা বলতে শুরু করেছে। অথচ একটা রাত থাকেও নি বউয়ের সঙ্গে। তার সতর্ক হতে হবে। পাড়ায় তার নামে ঝগড়াঝাটির অপবাদ আছে। ছেলেও কী সেজন্য মা’কে সাবধান করতে চাইছে। না, জাহানারা সেই বোকামি করবেন না। বউয়ের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করলেই তো ছেলে আলাদা থাকার চিন্তাভাবনা করবে। যে একগুয়ে আর জেদি ছেলে। তবে বউ কেমন হয় সেটাও চিন্তার বিষয়। দেখতে তো মিষ্টি, শান্ত লাগে। মনে বিষ আছে, নাকি মধু আছে সেটা তো আগে বুঝতে হবে।
হৃদয় ফোন অন করতেই দেখলো মিসড কল এলার্ট এর অনেক নোটিফিকেশন জমা হয়েছে। ঝিলমিলের নাম টাই নজরে পড়লো সবার আগে। হৃদয় কল ব্যাক করলো। দু’বার রিং হতেই ঝিলমিল কল রিসিভ করলো।
“কোনো দরকারে কল করেছিলে?”
“না। মা কল করে পাচ্ছিলো না তাই। ”
“হ্যাঁ শুনলাম তোমাদের বাসায় যেতে হবে? ”
“ভালো না লাগলে আসার দরকার নেই। সব ব্যাপারে জোর করব না।”
“আসলে তোমার অসুবিধা হচ্ছে না তো?”
ঝিলমিল কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে জবাব দিলো,
“না।”
“আচ্ছা। ”
“একটা কথা….
“হ্যাঁ বলো। ”
“আমি ইশিকাদের বাড়িতে আমার বন্ধু স্বর্নাকে দিয়ে কিছু জিনিসপত্র পাঠিয়েছি। আমার কাছে যেগুলো ছিলো আর কী। ”
হৃদয় স্বাভাবিক গলায় বলল,
“আচ্ছা। ”
ঝিলমিল এরপর আর কথা খুঁজে পেল না। হৃদয়ও ফোনের ওপাশে কিছু বলল না। কিছু সময় কেটে গেল এভাবে। ঝিলমিল ই বলল প্রথমে।
“ফোন রাখব?”
“আচ্ছা রাখো। ”
হৃদয়ের কেমন একটু লজ্জা লাগলো। আশ্চর্য ব্যাপার, লজ্জা লাগার মতো কিছু তো ঘটে নি। তবুও এই ধরনের অনুভূতির সঙ্গে প্রথম পরিচয়। ফোন হাতের মুঠোয় রেখে আপনমনে কিছুক্ষন হাসলো।
***
স্বর্না ইশিকাদের বাসায় গিয়েছিল বিকেলের দিকে। ঝিলমিলের চাপে পড়ে যেতে হলো ও’কে। ইশিকার মা বলল,
“তোমার না বরযাত্রীর সঙ্গে যাবার কথা? আসলে না কেন?”
স্বর্না ইশিকাদের বাসায় এর আগেও কয়েকবার এসেছে। ভদ্রমহিলা জানেন যে ও ঝিলমিলের সঙ্গে ক্লোজ বেশী। স্বর্না হেসে বলল,
“ইশিকা আছে না বাসায়?”
“হ্যাঁ। ঘুমাচ্ছে.. যা জার্নি গেছে সব ক্লান্ত । জার্নি আর কী! আনন্দ, ফূর্তি করে সব ক্লান্ত হয়ে গেছে। ”
স্বর্নার মনে হলো ইশিকার মা আজ একটু বেশি কথা বলছেন। অন্যান্য সময় তিনি এতো কথা বলেন না।
ইশিকা ঘুম থেকে উঠে এসে স্বর্নাকে দেখে বলল,
“বউ দেখতে আসছিস। একটু অপেক্ষা কর, ভাবী ঘুমায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারবি না? গাড়ি করে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করবনে।”
স্বর্না এদিক ওদিক তাকালো। এই সময়টাতে কয়েকজন কাজের লোক ছাড়া আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। ভালো সময়েই এসেছে। ইশিকা কাপড়ের ব্যাগগুলো এগিয়ে দিয়ে বলল,
“এগুলো রাখ। ঝিলমিল দিলো।”
ইশিকার মেজাজ খারাপ হলো মুহুর্তেই। স্বর্না ঝিলমিলের উকিল সেজে এসেছে তবে! বুঝতে পেরেও প্রশ্ন করলো,
“কী আছে এতে?”
“আকাশ ভাইয়া আর তুই ঝিলমিল কে যা যা দিয়েছিলি সেগুলো। ”
“ছোটলোকের স্বভাব জীবনেও পালটায় না। এখন এগুলো পাঠাইছে ক্যান? ভাইয়া বউ নিয়া আসছে, খুশি আছে সেটা সহ্য হয় না?”
“এগুলো হয়তো পুড়িয়ে ফেলতো। কিন্তু হৃদয় ভাইয়া ফেরত দিতে বলায় নিয়ে আসছি। সে বলল যেমন করে তোরা ওর হাত থেকে আংটি খুলে নিয়ে আসছিস তেমন করে যদি এগুলো চাস তখন কী করে ভর্তুকি দিবে? ”
ইশিকার মুখটা থমথমে হয়ে গেল। স্বর্না অপেক্ষা করলো না। দ্রুত উঠে যাবার তাড়া। ইশিকার মায়ের মুখোমুখি হবার ইচ্ছে নেই। যদি ও’কে কঠিন বকা দেয়। এখানে আসার আগে ভয় পাচ্ছিলো দেখে আসমা বলেছিল, ভয় পাবার কিছু নেই। বাড়িতে নতুন বউ, তেমন কিছু বলতে পারবে না সম্মানের ভয়ে।
স্বর্নার জন্য প্লেটে করে মিষ্টি, দই, পিঠা নিয়ে এসেছিল রাহেলা।
“গেল চলে মেয়েটা?”
ইশিকা দাঁতে দাঁত চেপে জবাব দিলো,
“উকিল গিরি করতে এসেছিল। ঝিলমিল সব জিনিসপত্র পাঠিয়ে দিয়েছে। ”
রাহেলার মেজাজ চটে গেল মুহুর্তেই। চাপা গলায় বললেন,
“নাম নিস না মা**। চৈতীর কানে যেন না যায়। ”
ইশিকা চাপা গলায় বলল,
“হৃদয় পাঠাইছে নাকি। ”
রাহেলা বিশ্রী গালি দিলেন ঝিলমিল কে। হৃদয়ের সঙ্গে ঝিলমিলের বিয়েতে তিনি আনন্দ পেয়েছেন। ছেলের সামনে নিজেকে সবজান্তা প্রমাণ করে খুব সুখী বোধ করছেন। বিগলিত গলায় আকাশকে বলেছিলেন,
“কী বলছিলাম আব্বু! মিলছে না আমার কথা? ওর আচরণ হাবভাব আমার সন্দেহজনক ঠেকছিলো। তোমার অবর্তমানে হৃদয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে। এখন তুমি ফসকে গেছ তাই হৃদয়কে বিয়ে করছে। ”
আকাশ বিশ্বাস করেছে সেটা এবং প্রচন্ড রাগে বাথরুমের দেয়ালে ঘুষি মেরেছে কয়েকবার। ঝিলমিল কে ছেড়ে চৈতীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে অপরাধবোধ হয় নি। মনে হয়েছে জীবনের সিদ্ধান্ত সঠিকই নিয়েছে। কিন্তু ওর সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন ঝিলমিল হৃদয়ের সঙ্গে…. এটা ভেবে বেকুব বনে গেছে। নিজেকে খুব বোকা মনে হচ্ছিলো।
ইশিকা আকাশ কে জানিয়েছে ঝিলমিল এর সবকিছু ফেরত পাঠানোর ব্যাপার টা। আকাশ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় নি সেই ব্যাপারে। ও ইশিকাকে প্রশ্ন করেছিল,
“সত্যিই কী আমার অনুপস্থিতিতে হৃদয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল ঝিলমিল?”
ইশিকা বিরক্ত গলায় বলল,
“জাহান্নামে যাক ওরা। তুমি ভাবীর দিকে মন দাও। এসব ভাবছ কেন এখন? ঝিলমিল এখন কেউ না। ”
আকাশ কে এই মুহুর্তে খুব বোকা লাগছে ইশিকার কাছে। যদি ঝিলমিল, হৃদয়ের গোপন প্রেম থাকতোই তবে ওরা রয়েসয়ে সময় নিয়ে বিয়ে করতো। কেন এতো তাড়াহুড়ো করলো। এটা শিওর রিভেঞ্জ রিভেঞ্জ খেলা।
চলবে……