#যেখানে_মন_হারায়
#হামিদা_আক্তার_ইভা_Hayat
৪.
“শুনুন,আমি খুব হিসাবি মানুষ বুঝলেন?আমায় বিয়ে করলে কিন্তু ঠকবেন না আপনি।”
মুরসালীন ঠোঁট কামড়ে চোখ ছোটো ছোটো করে রুহার আনন দেখে বলল,
“তোকে বিয়ে করার থেকে আজীবন কুমার হয়ে থাকা ঢের ভালো।”
রুহার মুখ কালো হলো।মুখ ভেঙ্গিয়ে উল্টো ঘুরে বিড়বিড় করে বলল,
“দাঁড়াও বাপু দেখাচ্ছি মজা।তোমার মুখ থেকেই বেড় করব ‘রুহা চল তোকে আমার বউ বানাব।”
ইলমা বেগম স্বামীর পাশে বসলেন।কামরুল শেখ হাত মুখ ধুয়ে এসে বসে ছিলেন বিছানায়।ইলমা বেগম আড়চোখে স্বামীর আনন দেখে বললেন,
“কথা বলছ না যে?”
কামরুল শেখ মাথা ঝাকিয়ে বললেন,
“ক্লান্ত লাগছে,একটু বিশ্রাম নেয়া দরকার।”
“তাহলে তুমি রেস্ট নাও আমি তোমার জন্য কিছু হালকা খাবারের ব্যবস্থা করছি।”
কামরুল শেখ অনুমতি দিতেই ইলমা বেগম বের হলেন ঘর থেকে।দোয়েল ভাবিকে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসতে দেখে বললেন,
“ভাবি,ভাইয়ের সাথে তো দেখা হলোই।আজ নাহয় বিশ্রাম নিক,আমরা কাল আসবো আবার।”
ইলমা বেগম মেকি রাগ নিয়ে বললেন,
“কোথায় যাবে আপা?রাতে তোমরা খেয়ে তারপর যাবে।আমি তো পিয়াস আর প্রীতমকেও কল করে আসতে বলেছি।ভাইয়ের জন্য নাহয় খাবার নিয়ে যেও।”
“ঐ দুই বাঁদরকে বাড়িতে ডেকেছ কেন?”
“মামা এসেছে দেখা করবে না?প্রীতমের শরীরটা ভালো আছে?”
বলতে বলতে তিনি রান্না ঘরের দিকে গেলেন।দোয়েল উঠে ভাবির পিছু পিছু গিয়ে বললেন,
“ওর আবার কী হয়েছে?শুধু শুধু নাটক করে বিছানায় পড়ে আছে।”
ড্রয়িংরুমে দাদির পাশে রুহা গা ঘেঁষে বসেছে।নাবিল আর মুরসালীন উপরে চলে গেছে।দোলা উপরের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে মিনমিনে কণ্ঠে বলল,
“তোর প্রেমিকের কী খবর?”
দাদি সরু চোখে দোলার দিকে তাকালেন।
“পেরেক কেডা আবার?”
রুহা মুখ কুঁচকে বলল,
“ওটা পেরেক না বুড়ি প্রেমিক প্রেমিক।”
“ঐডাই তো কই,পেরেক কেডা?”
দোলা কপাল চাপড়ে বলল,
“তুই নানিকে রাখ তো।”
রুহা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।মুচকি হাসি হেসে বলল,
“মুরসালীন ভাই আজ কাল আমার অনেক প্রশংসা করে।”
দোলা সিরিয়াস হয়ে নাক ছিঁটকে বলল,
“তুই কী জীবনেও ভালো হবি না শপথ করেছিস?আবার মিথ্যে কথা বলছিস কেন?”
রুহা পা গুঁটিয়ে বসল।বিরক্ত হয়ে উপরের দিকে একবার তাকিয়ে মিনমিন করে বলল,
“খাইস্টামির একটা লিমিট থাকে ভাই।বেয়াদব বেডা একটু পাত্তাও দেয় না আবার রিজেক্টও করে না।”
“এমন ফাউলামি বাদ দিয়ে পড়াশোনায় মন দে।মুরসালীন ভাই তোকে বিয়ে করবে না।”
রুহা কোনো কথা বলল না।না করলে নাই,সে কী মুরসালীনের পা ধরে বসে আছে?সে তো গলায় ঝুলে আছে।বিয়ে না করলে দরকার হলে ঘাড় ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবে।
রাতে সবাই জড়ো হয়েছে।কামরুল শেখ চুপচাপ খাবার খাচ্ছেন।পাশেই রুহা ভাত নিয়ে বসে আছে।এখন বাবা না থাকলে খাবার টেবিলে হইহুল্লোড় লেগে যেত।খাওয়া দাওয়া শেষ করে ড্রয়িংরুমে সোফায় গিয়ে বসলেন সবাই।দোয়েল ও পিয়াস চলে গেছে বাড়ি।প্রীতম ও দোলা আছে,তারা খানিক্ষণ পর বাড়ি যাবে।মুরসালীন চোখের চশমা ঠিক করে বাবার পাশে বসল।নাবিল রুহার পাশে বসে আছে।ইলমা বেগম ও নাসরিন বেগম কাজ করছেন।হঠাৎ কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থেকে কামরুল শেখ মুরসালীনকে বললেন,
“দিন শেষে বাপের ব্যবসায়’ই হাত দিতে হবে তোমার।অযথা এদিক ওদিক ছুটছো কেন?”
পরিবেশ থমথমে।মুরসালীন মাথা নিচু করে রাখল কিছুক্ষণ।তারপর মাথা তুলে চাচার চোখে চোখ রেখে বলল,
“বাবার গড়া ব্যবসায় হাত লাগানোর কোনো ইচ্ছে আমার নেই চাচা।আমি তো ভালো একটা চাকরি করছি’ই।”
“চাকরি করে খাবে আজীবন?তোমার ফিউচার নিয়ে ভাববে না?”
“আমি যথেষ্ট পরিমাণ কামাই।এবং আল্লাহ যদি চান তাহলে নিজের টাকায় ফিউচারে গিয়ে কিছু করব।”
নরুল শেখ ছেলের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কখনো যাননি তাই আজও চুপ রইলেন।মুরসালীন বুদ্ধিমান একটা ছেলে,এবং যা করে অনেক ভাবনা চিন্তা করেই করে।এইটুকু ভরসা তার ছেলের উপর আছে।কামরুল শেখ গম্ভীর হয়ে বললেন,
“বেশ!যা ইচ্ছে হয় করো।”
মুরসালীন মাথা নেড়ে উঠে দাঁড়াল।সিঁড়ির দিকে যেতেই তিনি প্রীতমকে বললেন,
“সবার দ্বারা সব কিছু হয় না।তোর ব্যবসা কেমন যাচ্ছে?”
মুরসালীনের পা থেমে গেলো।দাঁত চেপে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখলো।প্রীতম মুচকি হেসে বলে,
“ভালো যাচ্ছে মামা।আগের থেকে একটু বেশি’ই ভালো।”
“বাহ,তোদের দিয়েই আশা রাখা যায়।”
রুহা বাবার ব্যবহারে বিরক্ত হলো।মুরসালীনকে নিয়ে সমস্যা কোথায়?সব কিছুতেই তার পেছনে কেন লেগে থাকেন কামরুল শেখ?মুরসালীন গটগট পায়ে প্রস্থান করল।নরুল শেখ এতক্ষণ চুপ থাকলেও এখন বললেন,
“সবার নিজেস্ব একটা সখ আছে ভাই।আবেশ চায় না আমার গড়া ব্যবসায় হাত লাগাতে,আমিও জোর করি না এসব নিয়ে।ও যা করছে করতে দাও।”
কামরুল শেখ উঠে দাঁড়ালেন।কোনো উত্তর না দিয়েই নিজের ঘরের দিকে চলে গেলেন।প্রীতম দোলাকে নিয়ে চলে যেতেই রুহা নিজের ঘরে চলে এলো।ভালো লাগছে না কিছু।বাবার এমন গম্ভীর অহংকারী ব্যবহার তার পছন্দ নয়।সেরাত কাটল কোনোরকম।মুরসালীন কলেজে চলে গেছে কিছুক্ষণ আগে।রুহা নাস্তা করে বাড়ি থেকে বের হয়েছে।সামনের গুলি থেকে জান্নাতের সাথে রিক্সায় যাবে।ঢলীপাড়া পাড় হয়ে জান্নাতদের বাসার সামনে আসতেই হঠাৎ অনাকাঙ্খিত মানুষের সাথে দেখা হওয়ায় চমকে উঠল সে।রিফা রুহাকে চমকে যেতে দেখে মুচকি হেসে বলল,
“ভয় পেলি রুহা?”
রুহা রিফার ভেঙে যাওয়া গাল দেখে থমকে গেলো।চোখের নিচে কালো দাগ,চাপা ভেঙে যা তা অবস্থা।এই মেয়েটা একসময় গুলুমুলু একটা পুতুল ছিল।রুহা আশেপাশে একবার চোখ ঘুরিয়ে বলল,
“তোমার এই অবস্থা কী করে হলো আপু?”
“আমার আবার কী হলো?”
“মুখের এই হাল কেন?চাপা ভেঙে গেছে,চোখের নিচে কালো দাগ পড়েছে।এলোমেলো লাগছে ভীষণ।”
রিফা ব্যথাতুর হাসল।রুহার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
“আমি প্রথম থেকেই এলোমেলো ছিলাম।তোর ভাই কেমন আছে?”
বলতে বলতে কণ্ঠ জড়িয়ে এলো।রুহা রিফার হাত মুঠোয় নিয়ে বলল,
“আপু তুমি কাঁদছ?”
“কাঁদছি না।বল তোর ভাইয়ের কী খবর?”
“আমি ঠিক ভাইয়াকে বুঝতে পারি যা আপু।ওর মনে কী চলে বুঝা মুশকিল।”
রিফা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।কাঁধের অফিস ব্যাগ শক্ত করে আঁকরে ধরে রুহার গালে হাত বুলিয়ে বলল,
“তোর ভাইকে বলিস সামনেই আমার বিয়ে।”
রুহা অবাক কণ্ঠে বলে,
“বিয়ে?বিয়ে করছ তুমি?”
“আর কতদিন অপেক্ষা করবো?অপেক্ষার পাতা এবার ছিঁড়তে হবে।”
রিফা চলে গেলো অফিসের রোডে।রুহা ওখানেই দাঁড়িয়ে রইল নিশ্চুপ হয়ে।রিফার সাথে নাবিলের ৪বছরের সম্পর্ক ছিল।কয়েক মাস আগেই দুজনের সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়েছে।কেন হয়েছে,কী নিয়ে হয়েছে কিছুই রুহা জানে না।শুধু জানে তার ভাইও রিফাকে ছাড়া ভালো নেই।যে মেয়ের জন্য পাগল ছিল একটা সময় আজ সেই মেয়ের নাম শুনলেই রেগে যায়।সুখ যেন কারোর কপালেই নেই।
…
সিলেটের বাতাসে এখনো হালকা কুয়াশার রেশ। রাস্তাগুলো ধীরে ধীরে জমে উঠছে কলেজের ব্যস্ততায়। ঝিরঝিরে ঠাণ্ডা বাতাসে রুহার গোলাপি শালটা বারবার উড়ে চোখে মুখে লাগছে। সে বিরক্ত হয়ে আবার কাঁধে গুঁজে নিল। পাশে জান্নাত চুপি চুপি কিছু একটা বলছে, আর রুহা হেসেই চলেছে।
“তুই বলছিস নতুন স্যার নাকি একদম সিরিয়াস না?” রুহা ভ্রু কুঁচকে বলল।
জান্নাত হালকা চিৎকার দিয়ে উঠল,
“আরে না রে! উনি একদম কিউট। কালকে আমাদের সিনিয়রদের বলছিলাম, ‘স্যার বুঝি সিনেমা থেকে নামছে!’”
“উঁহু…” রুহা গম্ভীর গলায় বলল ,
“আমার তো মুরসালীন ভাই ছাড়া আর কোনো স্যারের ওপর বিশ্বাস নেই।”
তারপরেই কল্পনায় ভেসে উঠল সেই পরিচিত গলা,
‘তোর তো বিশ্বাস বলতে কিছু নেই, আছে শুধু ঝগড়া, কথা শোনা আর গাল ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ানো।’
মনে মনে একটা কাঁটা বিঁধে গেল রুহার।
“কী এমন করি আমি! সবকিছুতেই জ্বলে কেন উনি?”
কলেজ গেটের দারোয়ান হেসে বলল,
“রুহা আপা, আজকে তো একটু লেট!”
রুহা একটু ভ্যাঁবাচ্যাঁকা খেয়ে হেসে ফেলল,
“ভাই, জান্নাতের কারণেই… আমি ঠিক সময়েই রেডি ছিলাম!”
জান্নাত ফোঁস করে বলল,
“মিথ্যুক কোথাকার!”
ভবনের মেইন করিডোরটা পেরিয়ে যখন ওরা দ্বিতীয় তলায় উঠছিল, তখনই হঠাৎ কারো সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে প্রায় পড়েই যাচ্ছিল রুহা। সেই মুহূর্তে একজন হাত বাড়িয়ে ধরে বলল,
“সরি! ভালো আছেন তো?”
রুহা তাকিয়ে দেখে একজন নতুন মুখ। ছিমছাম শার্ট-প্যান্ট, চোখে হালকা চশমা, মুখে বিনীত হাসি।
“আপনি…” রুহা একটু চমকে গিয়ে দাঁড়াল।
“আমি আদিব আহমেদ।”
স্যার হেসে হাত বাড়িয়ে দিলেন,
“নতুন লেকচারার, ইংরেজি বিভাগে। আজই প্রথম ক্লাস।”
রুহা একটু দ্বিধা নিয়ে হাত মেলাল।
“ওহ, আমি রুহানি শেখ রায়হা। আর ও জান্নাত। আমাদের সেকেন্ড ইয়ারে ইংলিশ ক্লাস থাকে এই বিল্ডিংয়েই।”
আদিব স্যার হালকা হেসে বললেন,
“তোমাদের নাম আগেই শুনেছি। তুমি রুহা না? ওই… একটু বেশি কথা বলা যাকে বলে?”
জান্নাত হেসে উঠল,
“স্যার, আপনি তো সব আগেই জেনে গেছেন!”
“টিচারদের অনেক ‘গোপন সোর্স’ থাকে।”
স্যার মুচকি হাসলেন।
রুহা একটা চোখ রাঙিয়ে বলল,
“আমাকে নিয়ে গুজব রটানোর আগে, ক্লাসে দেখা হবে স্যার।”
আদিব স্যার হেসে বললেন,
“অপেক্ষায় থাকলাম।”
এই দৃশ্যটা দেখে পাশের করিডোরের এক কোনে দাঁড়িয়ে থাকা মুরসালীন চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল।
মুখে একটুও ভাঁজ নেই, চোখে সেই চিরাচরিত কাঠিন্য।দূর থেকে সবকিছু সে শুনতে পাচ্ছে না, কিন্তু দেখছে খুব স্পষ্ট।
রুহা যার সামনে সাধারণত মুখ ফোলায়, চোখ রাঙায়, সেই তো এখানে নতুন স্যারের সঙ্গে দাঁড়িয়ে হাসছে?
মাথা নিচু করে সেখান থেকে চলে গেল মুরসালীন। কিন্তু যাওয়ার আগে জান্নাতের ফিসফাস কানে এসে গিয়েছিল,
“তোর মুরসালীন ভাই যদি দেখে এই সিন, তাহলে তো ভর্তির খাতা থেকে তোর নাম কেটে দিবে রে!”
প্রথম ক্লাস শুরু হতেই মুরসালীন ক্লাসরুমে ঢুকল। গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,
“আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ কলেজকে নাটকের মঞ্চ বানিয়ে ফেলেছেন দেখছি।”
সবাই চুপ।
রুহা মুখ নামিয়ে বসে আছে। জান্নাত পাশে কনুই দিয়ে খোঁচা দিয়ে বলল,
“স্যারের আবার কী হলো রে?”
“রোল কল নেবার আগে বলে রাখি।”
মুরসালীন গলা আরও নিচু করল ,
“কলেজে কারো সঙ্গে বাড়তি ‘হাসাহাসি’ করা লাগবে না। ওটা বাসায় রাখলেই ভালো।”
এইবার সোজা রুহার দিকে তাকাল।
দৃশ্যটা যেন পুরো ক্লাসের ওপর একটা পাতলা ঠাণ্ডা চাপ ফেলে দিল।রুহা কিছু বলল না। চোখ নামিয়ে একদম চুপচাপ।
জান্নাত মুচকি হেসে লিখে দিল ওর খাতায়,
“ভাইয়া জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে!”
ক্লাস শেষে, রুহা একা একা করিডোরে হাঁটছে। হঠাৎ মুরসালীন পেছন থেকে ডেকে বলল,
“মিস রুহানি।”
রুহা থামল। ঘুরে তাকাল।
“জি স্যার?”
“এই তো? এখন থেকে আমাকে ‘স্যার’ বলবি?” মুরসালীন ঠাণ্ডা গলায় বলল।
রুহা মুখ শক্ত করে বলল,
“আপনি ক্লাসে আমাকে ‘তুমি’ বলেন কেন? আমিও তো ছাত্রী।”
মুরসালীন হেঁটে সামনে এসে দাঁড়াল।
চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,
“কার সঙ্গে দাঁড়িয়ে কী বলিস, সেটা তুই জানিস। আমি না বললেও, আমি সব দেখি।”
“আপনার দেখার দরকার নেই।”
রুহা গলা কাঁপিয়ে বলল।
“আছে। কারণ তুই তুই..”
“কী আমি?”
মুরসালীন এক মুহূর্ত চুপ। তারপর কড়া গলায় বলল,
“তোর প্রেম-ট্রেমের নাটক আমাকে বলিস না। তোকে চোখে চোখে রাখাই যথেষ্ট শাস্তি। বাসায় যা।”
রুহা দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ।
তারপর হালকা হেসে বলল,
“আপনি কিছুই বলেন না, তবু আমার হৃদয় জানে আপনি কেন জ্বলে যান।”
সে ফিরে হাঁটতে শুরু করল।
মুরসালীন দাঁড়িয়ে রইল। হাওয়ায় তার শার্টের হাতা উড়ে যাচ্ছে, আর চোখের কোণে জমে থাকা অভিমান লুকিয়ে যাচ্ছে সকালবেলার কুয়াশার মতো।
#চলবে..?