#নারকেল_ফুলের_মালা
#ফারহানা_কবীর_মানাল
৩.
সুমন বিছানায় বসে মাথা নিচু করে রেখেছে। তার চেহারায় ভয়ে ছাপ স্পষ্ট। এক জোড়া চোখ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সুমন বলল, “আমি কাউকে কিছু বলিনি।”
“মিথ্যে কথা বলা পছন্দ করি না আমি।”
সে কথার জবাব দিলো না। চোখের মালিক খুব জোর চেঁচিয়ে উঠতে গিয়েও নিজেকে সামলে নিলো। নরম গলায় বলল, “এ কথার প্রমাণ দিতে হবে।”
“কী প্রমাণ দিতে হবে?”
সে হাসল। কুটিল হাসি। অন্যরকম গলায় বলল, “আমার সাথে যেতে হবে।”
সুমন শূন্য দৃষ্টিতে দরজার দিকে তাকাল। দরজা ভেজিয়ে রাখা। এমন কী কেউ নেই যে ওকে এই বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে? সে আর ভাবতে পারল না। তার আগেই শক্ত হাত তার কব্জি চে’পে ধরল।
হোসেন ঘরের পর্দা টেনে দিয়ে বিছানায় বসল। নরম গলায় বলল, “বিয়ের পর থেকে একটা ব্যাপার নিয়ে কখনো কথা বলা হয়নি।”
তিন্নি বলল, “কোন ব্যাপারে?”
“তোমার পড়াশোনার ব্যাপারে। এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে অনেকদিন হলো। কলেজে ভর্তি করতে চেয়েছিলাম তুমি রাজি হলে না। পড়াশোনা করতে চাও না কেন?”
“পড়তে ভালো লাগে না।”
“পৃথিবীর অনেক কাজই আমাদের ভালো লাগে না। তবুও বাধ্য হয়ে করতে হয়।”
“যেমন?”
হোসেন কথা ঘুরিয়ে ফেলল। চিকন গলায় বলল, “মাথাটা ভীষণ যন্ত্রণা দিচ্ছে। মাথা চে’পে দাও।”
তিন্নি হোসেনের দিকে একটু সরে বসল। রাতটা তাদের একসাথেই কাটল। সুন্দর একটা রাত। এক মুহুর্তের জন্য সময় বদলে গিয়েছিল যেন। সে মুচকি হাসল। লজ্জামাখা মুখে হোসেনের দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে ফেলল।
সরিফা বললেন, “সকালের নাস্তায় আমিষ কিছু রাঁধতে হবে না। পরোটা আর সবজি করো।”
তিন্নি ফ্রিজ থেকে ডিম বের করছিল। সে ডিম রেখে তার দিকে তাকাল।
“আচ্ছা আম্মা।”
“কোন সমস্যা হয়েছে?”
“না আম্মা কোন সমস্যা হয়নি। বরং সমস্যা যা ছিল তার কিছু মিটে গিয়েছে।”
সরিফা একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেললেন। নিঃশ্বাসের শব্দ শোনা গেল স্পষ্ট।
“আজকে আমরা কেউ বাড়িতে থাকব না। তোমার শ্বশুর আমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবে। সাবধানে থাকবে কেমন?”
“ঠিক আছে আম্মা।”
সকাল দশটার মধ্যে বাড়ি খালি হয়ে গেল। হোসেন সুমনকে তার সাথে নিয়ে গিয়েছে। ওই পথে স্কুলে ছেড়ে দেবে। আকরাম সাহেব সরিফাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন। তিন্নি ঘরের ভেতরে একা। আজ তার মন ভালো। সে ফুড়ফুড়ে মেজাজে ঘরের কাজ করতে লাগল। নাকে এক ধরনের গন্ধ লাগছে। পঁচা গন্ধ। কোথাও ইদুর ম’রে পড়ে আছে কি-না দেখতে গিয়ে তিন্নি চোখ পড়ল সুমনের ঘরের দিকে। ওইদিক থেকে গন্ধটা আসছে। সে গন্ধ অনুসরণ করে এগোতে লাগল।
সুমনের ঘর মাঝারি ধরনের। খাটের সাথে লাগোয়া পড়ার টেবিল, টেবিলের উল্টো পাশে ওয়ারড্রব এবং আলনা। আসবাপত্র বলতে এগুলোই। তিন্নি সারাঘর তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোন কিছুই দেখা পেল না। তবে গন্ধ ছাড়ছে। গা গুলিয়ে ওঠার মতো গন্ধ। তিন্নির বমি পেয়ে গেল। সে দৌড়ে বাথরুমের ভেতরে ঢুকল।
হঠাৎই তার শরীরটা খারাপ লাগছে। মাথা ঘুরছে। তিন্নি চোখ-মুখে পানি ছড়ালো। মুখ হাত মুছে ক্লান্ত ভঙ্গিতে বিছানায় পিঠ এলিয়ে দিলো। কেমন ঘুম ঘুম পাচ্ছে। সে চোখ বন্ধ করল।
তিন্নির ঘুম ভাঙলো দুঃস্বপ্নে। চিৎকার করে বিছানায় উঠে বসল। তার বুক ধড়ফড় করছে। শরীর ঘেমে গিয়েছে। সে লম্বা শ্বাস নিলো। বিছানায় থেকে নেমে পরপর দু’গ্লাস পানি পান করল। স্বপ্নটা অস্পষ্ট তবে কথাগুলো ভুলে যায়নি। একটা ছায়া তাকে নিয়ে যেতে এসেছে। সে পালাতে চেষ্টা করছে, পারছে না। দৌড়াতে গিয়ে হাত পা কে’টে যাচ্ছে। তারপর মাটিতে পড়ে গেল।
তিন্নি চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস নিলো। কেউ এখনো বাড়ি ফেরেনি। একা একা তার কেমন ভয় ভয় করছে। তিন্নি মোবাইল হাতে নিয়ে বসল। ঠিক সেই মুহুর্তে বিদ্যুৎ চমকের মতো তার কয়েকটা কথা মনে পড়ল– এই স্বপ্নটা সুমনের। হ্যাঁ, সুমন তাকে এই স্বপ্নের কথাই বলেছিল। সে প্রতিরাতে এই একই স্বপ্ন দেখে। কী আশ্চর্য! সে সুমনের ব্যাপারটা এতক্ষণ প্রায় ভুলেই ছিল। তিন্নি দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। গেল সুমনের ঘরে। প্রতিটা জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খুব ভালো করে দেখল। সন্দেহের মত কিছুই পেল না।
তিন্নি সুমনের মা’কে কল দিলো। বিয়ের পরপরই সে সবার ফোন নম্বর নিয়ে রেখেছিল। সেটাই আজকে কাজে লাগছে। দু’বার রিং হওয়ার পর ভদ্রমহিলা কল রিসিভ করলেন। তিন্নি তাকে সালাম দিলো। নিজের পরিচয় দিয়ে বলল, “মামী কেমন আছেন?”
“ভালো আছি মা। তোমরা কেমন আছো?”
“ভালো আছি। সুমন কোথায়? স্কুল থেকে ফেরেনি এখনও?”
“না মামি। ওর স্কুলের সময় শেষ হয়নি। চলে আসবে।”
“ওহ আচ্ছা! বুঝলে মা, ছেলেটাকে ছেড়ে থাকতে ভীষণ কষ্ট হয়। কতদিন হয়ে গেল ওর মুখ দেখি না।”
“আমাদের বাড়িতে আসুন না। দু’দিন বেড়িয়ে তারপর না হয় গেলেন।”
“আমি তো আসতেই চাই। তোমার মামা যেতে দিতে চান না। এখানে তাকে রেঁধে বেড়ে দেওয়ার মত কেউ নেই।”
“সুযোগ করে মামাকে সাথে নিয়েই আসুন।”
“আসব মা, আসব।”
“আচ্ছা মামি, কিছু মনে না করলে একটা কথা জিজ্ঞেস করব?”
“হ্যাঁ মা। বলো কী বলবে।”
“সুমনের ভয়ভীতির সমস্যা আছে নাকি? মানে জ্বিন পরী এই ধরনের কিছু?”
ভদ্রমহিলা ভীষণ অবাক হলেন। আশ্চর্য গলায় বললেন, “নাহ! সুমনের তো এমন কোন সমস্যা নেই। ছোট থেকেই ওর এসবের কোন সমস্যা ছিল না। এত বড় করতে কখনো কোনদিন পানি পড়াও লাগেনি। একটা তাবিজ গায়ে ছোঁয়াতে হয়নি। ভরসন্ধ্যায় ওকে নিয়ে এখানে ওখানে চলে যেতাম। তা-ও কিছু হয়নি।”
“ওহ আচ্ছা!”
“কিন্তু মা, তুমি এ কথা জিজ্ঞেস করছ কেন?”
“কিছু না মামি। সুমন তেমন কথাবার্তা বলে না তো তাই জিজ্ঞেস করলাম।”
“কথাবার্তা বলে না! সেকি কথা! ওর কথার যন্ত্রণায় মানুষের টেকা দায় হয়ে যায়। কানের পোকা বের করে ফেলে একদম।”
“আমার সাথে তেমন কথা বলে না। স্কুলে যায়, সারাদিন বইপত্র নিয়ে বসে থাকে।”
ছেলের পড়ার খবর শুনে তিনি বেশ খুশিই হলেন। যাক! এতদিন ছেলেটা পথে এসেছে। হোসেন তার কথা রেখেছে। সে বলে গিয়েছিল– সুমন একদম সোজা হয়ে যাবে মামি। পড়াশোনা ছাড়া আর কোন কথা থাকবে না।
তিন্নি কল কে’টে দিলো। সুমনের যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে সে বাজে স্বপ্ন কেন দেখে? সুমন বলেছিল– সে যাকে তার সমস্যা কথা বলে সে-ও বাজে স্বপ্ন দেখে। তার এই কথাটা সত্যি। মাত্রই তিন্নি সে প্রমাণ পেয়েছে। কিন্তু কাল রাতে কেন কিছু দেখল না? হোসেনই বা এতদিন পর কাল হঠাৎ তার সাথে ঘুমলো কেন? তবে কী হোসেন কিছু দেখতে চাইছিল? কিন্তু কী?
তার মাথা ফে’টে যাচ্ছে। সে দু’হাতে নিজের মাথা চেপে ধরল। ফিসফিসে গলায় বলল, “কোথায় একটা সমস্যা হচ্ছে। খুব বড় সমস্যা। কিন্তু কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না। সবকিছু চোখের সামনে ঘুরছে কিন্তু আমার নজরে পড়ছে না।”
তিন্নি বাড়ির প্রতিটা ঘর খুব ভালো করে খুঁজে দেখল। আকরাম সাহেবের ঘরে ঢুকবে ঠিক তখনই কলিংবেল বেজে উঠল। সুমন এসেছে। তিন্নি বলল, “তোমার স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছে?”
“হয়নি। চলে এসেছি।”
“কেন চলে এসেছ?”
“শরীর খারাপ লাগছে।”
“নুডলস বানিয়ে দেব?”
সুমন তার কথার জবাব দিলো না। শান্ত ভঙ্গিতে হেঁটে ঘরে চলে গেল। তিন্নি রান্নাঘরে নুডলস বানালো। সুমনকে খেতে দিয়ে বলল, “আমি কিন্তু কোন বাজে স্বপ্ন দেখিনি।”
সুমন চমকে উঠল। খাওয়া থামিয়ে বিস্মিত গলায় বলল, “দেখোনি? আমিও দেখেনি। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব?”
সে সুমনের মাথায় হাত রাখল। নরম গলায় বলল, “আমাকে নিজের মনে করে তুমি তোমার সব কথা বলতে পারো। আমি কাউকে বলব না।”
সে কথার জবাব দিলো না। একমনে খেতে লাগল। তিন্নি বলল, “এখানে থাকতে কী তোমার কোন অসুবিধা হচ্ছে?”
সে তবুও কিছু বলল না।
“কাল রাতে তুমি কী একা ঘুমিয়ে ছিলে?”
“হুম।”
“ভয় পেয়েছ?”
“না পাইনি।”
“স্বপ্ন দেখোনি?”
“না দেখিনি।”
“তাহলে মুখটা এমন শুকনো করে রেখেছ কেন?”
সুমনের তার পায়ের দিকে ইশারা করল। তার পায়ের তলায় ফোসকা পড়ে গিয়েছে। তিন্নি বলল, “এমন কিভাবে হয়েছে?”
“বলতে পারব না। আমি কিছু বলতে পারব না। বললে ওরা আমায় মে’রে ফেলবে।”
তিন্নি সুমনকে জড়িয়ে ধরল। অসম্ভব কোমল গলায় বলল, “তোমাকে কেউ মা’র’বে না। আমি তোমায় কথা দিচ্ছি। আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন। আল্লাহ সবসময় ভালো মানুষদের সাথে থাকেন।”
সুমন অস্ফুট স্বরে কেঁদে উঠল। জড়ানো গলায় বলল, “আমি বাড়ি ফিরে যেতে চাই।”
“যাবে তো সোনা। নিশ্চয়ই যাবে।”
তাদের কথাবার্তা এগোল না। আকরাম সাহেব ফিরে এসেছেন। সরিফা ফিরেই বাথরুমে ঢুকে গেলেন। তার গা কুটকুট করছে। তিনি সময় নিয়ে গোসল শেষ করলেন। তিন্নিকে নিজের কাছে ডেকে নিয়ে বললেন, “সবকিছু ঠিক আছে?”
তিন্নি মাথা দোলালো। সরিফা বললেন, “ফাতেমাকে কল দিয়েছিলে?”
তিন্নি জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে রইল। সরিফা বললেন, “সুমনের মাকে কল দিয়েছিলে?”
“জ্বি।”
“কী কথা বললে?”
“এমনি তেমন বিশেষ কিছু বলিনি।”
“বিশেষ কিছু না বললে তুমি যা করতে চাইছ তা করতে পারবে না। সবকিছু যেমন দেখা যায় তেমনটা হয় না। যাকে আমরা বিশস্ত মনে করি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দিনশেষে সে-ই আমাদের ধোঁকা দেয়। আমাদের বিশ্বাস ভেঙে দেয়। বুঝতে পারলে?”
তিন্নি মাথা দোলালো। সে বুঝতে পেয়েছে। সরিফা গলার স্বর অনেকখানি নিচু করে বললেন, “বইপত্র পড়ো। পড়া ছাড়া তুমি কোন কিছুর কিনারা করতে পারবে না।”
তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। তিন্নি হতভম্ব মুখে তার যাওয়া দেখল।
বেলা পড়ে এসেছে। খানিকক্ষণ পরই সন্ধ্যা নেমে যাবে। তিন্নি সন্তপর্ণে দরজা ভেজিয়ে দিয়ে ছিটকিনি লাগিয়ে দিলো। হোসেন বুকশেলফ থেকে সেই চামড়া মলাটে বইটা বের করে পড়তে চেষ্টা করল। বইয়ের ভাষা তার বোধগম্য হচ্ছে না। সে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে বইয়ের ধরন বের করার চেষ্টা করল। যা বের হলো তা দেখে তার চোখ কপালে– সাধারণত এই ধরনের বইপত্র কালোজাদু সম্পর্কিত। অন্তত কয়েকটা চিহ্ন দেখে এমন মনে হচ্ছে। সে আরও কিছু বের করার চেষ্টা করল। তবে সময়ের সাথে পারল না। হোসেনের আসার সময় হয়ে গিয়েছে। যে কোন মুহুর্তে সে চলে আসবে।
তিন্নি বইটাকে জায়গা মতো রেখে নিজেকে স্বাভাবিক দেখানো চেষ্টা করতে লাগল। কয়েকটা বিষয় তার মাথায় ঘুরছে–
সুমনকে কা’লো’জা’দু করা হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু কে বা কারা এমন করল? হোসেন কী এসব ব্যাপারে জানে? জানে নিশ্চয়ই। না জানলে সে প্রতিদিন রাতে ওর সাথে ঘুমাত না।
সুমনের পায়ে অমন করে ফোসকা পড়ল কীভাবে? আ’গু’নের স্পর্শ ছাড়া এমন সম্ভব না। কেউ কী ওকে আ’গু’নের উপর হাঁটতে বাধ্য করেছে? কিন্তু কে? হোসেন কাল রাতে তার সাথে ঘুমিয়েছিল। এই বাড়িতে তারা দু’জন বাদে আকরাম সাহেব এবং সরিফা আছেন। উনাদের কেউ এমন করেছে? কিন্তু কে?
সরিফা তাকে সাহায্য করছে। তবে কী আকরাম সাহেব? তিন্নি আর ভাবতে পারল না।
সেদিন রাতেও হোসেন তার সাথে ঘুমালো। সহজ গলায় বলল, “সুমনের বাজে একটা বাজে নেশা হয়ে গিয়েছিল। রাত জেগে ফোনে গেম খেলতো। ওই অভ্যাসটা কাটানোর জন্য এতদিন ওর সাথে ঘুমতাম। এখন আর অভ্যাসটা নেই।”
তিন্নি তার কথার বিশ্বাস করল না। তবে হোসেনকে বুঝতে দিলো না। স্বাভাবিক গলায় বলল, “সমস্যা নেই। আজকালকার বাচ্চা ছেলেরা এমনই হয়।”
হোসেন হাসল। সে রাতে তিন্নি আবার সেই একই স্বপ্ন দেখল। একটা ছায়া তাকে নিয়ে যেতে চাইছে। তীব্র ভয় নিয়ে তার ঘুম ভাঙল। দাঁতে দাঁত চিপে বিছানায় উঠে বসল। ঘরের বাতি নেভানো। ফ্যানের শো শো শব্দ কানে লাগছে।
হোসেন বিছানায় নেই। বাথরুমের লাইট জ্বলছে না। তাহলে সে কোথায়?
চলবে।