#আমার_হায়াতি
পর্ব : ১১
লেখিকা : #Nahar_Adrita
( মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত)
গাড়িটি এসে ধীরে ধীরে থামলো হায়াতদের টিনের ছাউনির নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট অথচ পরিপাটি বাড়িটির সামনে। ঘরের সামনে উঠোনে হায়াতের মা ঝাড়ু দিচ্ছিলেন, ধুলাবালি সরিয়ে উঠোনটাকে গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। গাড়ির শব্দে তাঁর ঝাড়ু থেমে গেল। তিনি চোখ তুলে তাকালেন—আর ঠিক তখনই চোখে পড়লো হায়াত, আর তার পাশে আদিব।
মুহূর্তেই তাঁর চোখে জল এসে গেল আনন্দে। নিজের মেয়েকে আদিবের সঙ্গে দেখে যেন তাঁর বুকটা হালকা হয়ে গেল। চোখে মুখে উজ্জ্বল হাসি, কণ্ঠে আবেগের সুর—
হায়াত মা,
মিসেস আলিয়া দোয়ারের মাঝখানে দাঁড়িয়েই আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে লাগলেন। হায়াত ছুটে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলো, আদিব মাথা নিচু করেই সালাম দিল, ভদ্রতা ও অনুশোচনার মিশ্র ছায়া তার চোখেমুখে স্পষ্ট। হায়াতের মা কিছুক্ষণ স্থির দাঁড়িয়ে রইলেন, যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই ছেলেটিই আদিব।
চোখ ভিজে উঠলো তার, কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বললেন,
– বাবা… এতকিছুর পরেও তুমি যে এভাবে আসবে, তা তো স্বপ্নেও ভাবিনি…
আদিব এগিয়ে গিয়ে বিনয়ের সাথে দুই হাত ধরে বললো,
– আম্মু আমি ভুল ছিলাম,আমার উচিত হই নি সেদিন আপনার আর আব্বুর সাথে এমন ব্যবহার করা,আমাকে কি মাফ করা যায় না আম্মু।
– ছিহ ছিহ বাবা এভাবে বলছো কেনো,দোষ তো হায়াতের, মেয়েটা না বুঝেই রাগ করে চলে এসেছিলো,আমরা কিচ্ছু মনে করি নি।
তার চোখ দিয়ে টপ টপ করে কান্না ঝরছিল, কিন্তু সেই কান্নায় রাগ বা অভিযোগের ছায়া ছিল না—ছিল শুধু আবেগ, ক্ষমার উদারতা, আর বুক ভরা শান্তি।
হায়াত মায়ের কাঁধে মাথা রাখলো, আর আদিব কিছু না বলেই দাঁড়িয়ে রইলো—তাকে যেন ভাষা খুঁজে পেতেই সময় লাগছিল। সেই মুহূর্তে সময় থেমে গিয়েছিল, কেবল পরিবারের ভাঙা সেতুগুলো আবার ধীরে ধীরে জোড়া লাগছিল নিঃশব্দে।
——–
হায়াতের মা ঝাড়ু থামিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে, আদিব আর হায়াত নিচু স্বরে কথা বলছে দোয়ারে। দু’জনের মুখেই একটা চাপা আবেগ, যেন বহুদিনের জমে থাকা অনুভূতিগুলো এখন ভাষা খুঁজছে।
ঠিক তখনই টিনের গেটটা ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ করে খুলে গেলো।
হায়াতের বাবা বাজারের ব্যাগ হাতে ধীরে ধীরে ভেতরে ঢুকলেন। চোখ পড়ে গেল আদিবের দিকে—চোখেমুখে সম্মান আর অনুতপ্ত ভালোবাসা।
তিনি থেমে গেলেন কয়েক কদম সামনে, তারপর হঠাৎ করেই ব্যাগটা মাটিতে নামিয়ে রেখে এগিয়ে এলেন।
হায়াত আর আদিব কিছুটা হতবাক।
হায়াতের বাবা আদিবকে জড়িয়ে ধরলেন শক্ত করে। গলার স্বর কাঁপছিল, কিন্তু শান্ত, আবেগে ভেজা।
-বাবা… আমার মেয়েটাকে যে মাফ করে দিয়েছো, ওকে পাশে রাখার মতো মনের জায়গা দেখিয়েছো, এটাই আমার কাছে অনেক। আল্লাহ তোমায় ভালো রাখুক।
– আব্বু আমি আপনার কাছে মাফ চাচ্ছি, ও আমার দায়িত্ব… যতটুকু ভুল হোক না কেন, আমি আর তাকে একা হতে দিবো না।
হায়াত কান্না চেপে মুখ ঘুরিয়ে ফেললো। হায়াতের মা চোখ মুছলেন আঁচলে।
টিনের দোয়ারে সেই মুহূর্তে যেন একটা ঘরের শান্তি ফিরে এলো—পুরোনো ভাঙা বিশ্বাসগুলো আবার জোড়া লাগার শুরু হলো।
———-
বিকেল সাড়ে তিনটা।
হায়াত আর আদিব দুপুরের খাবার খেয়ে একসাথে রুমে বসে। জানালা দিয়ে রোদ্দুর ঢুকছে নরম আলো হয়ে, রুমের ভেতরে একধরনের শান্ত অনুভূতি ছড়িয়ে আছে।হায়াত বিছানার একপাশে হেলান দিয়ে বসে মোবাইল স্ক্রিনে তাকিয়ে আছে, আর আদিব ওর পাশেই বসে উপন্যাস বইয়ের পাতা ওল্টাচ্ছে। কথা তেমন নেই, কিন্তু নীরবতাটাও যেন মধুর।
এমন সময় হঠাৎ করেই দরজা ঠেলেই রুমে ঢুকলো লামিয়া আর জাহীন।
– এই যে, মিষ্টি খাও! – বলে হাসতে হাসতে লামিয়া একটা ছোট বাক্স হায়াতের দিকে এগিয়ে দিলো।
হায়াত অবাক হয়ে তাকালো,
“কি ব্যাপার, কি হয়েছে?”
জাহীন হেসে বললো,
– আরে আমাদের রেজাল্ট দিছে তো! আমি গোল্ডেন, আর লামিয়া ডিপার্টমেন্ট ফার্স্ট!
– ওয়াও! মাশাআল্লাহ! – হায়াত খুশিতে চিৎকার দিয়ে উঠে দাঁড়ালো, লামিয়াকে জড়িয়ে ধরলো।
আদিব হালকা হেসে বললো,
– তোমরা তো একেবারে বাড়ির গর্ব হয়ে গেলে, এক্ষুনি তো আম্মু ঢুকে এসে তোদের মাথায় তেল দিবে!
লামিয়া চুড়ি ঝনঝন করে বললো,
– তোমরা রুমে একা একা বসে থাকো, আর আমরা বাইরে ইতিহাস তৈরি করি, ঠিক আছে ?
হাসির রোল উঠলো রুমজুড়ে। বিকেলের নরম আলো, চাচাতো বোনের খুশির খবর, আর ছোট একটা উদযাপন—সব মিলিয়ে মুহূর্তটা হয়ে উঠলো একেবারে পারিবারিক আর হৃদয়ছোঁয়া।
লামিয়া হেসে বললো,
– দুলাভাই, আপু… তোমরা কিন্তু জাহীনের বিয়ে খেয়ে তারপর যাবে।
হায়াত আর আদিব একসাথে চোখ বড় বড় করে তাকালো,
– কিহ ? কিরে, জাহীনের বিয়ে ? — হায়াত চমকে উঠলো।
জাহীন লাজুক হাসি দিয়ে মাথা নিচু করে ফেললো, আর লামিয়া তখনই ধামাকা দিলো,
– হু, পাত্রের নাম রণি। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। সব ঠিকঠাক, এই পাঁচ দিনের মধ্যেই বিয়ে।
হায়াত যেন কথাই হারিয়ে ফেললো এক মুহূর্তে।
— জাহীন, তুই সিরিয়াসলি বলছিস ?
জাহীন মাথা নাড়লো হেসে,
– হ্যাঁ আপু, এবার আম্মু-আব্বুও আর ছাড়ছে না। রণিকে একবার দেখে ফেলে, খুব ভদ্র, হাসিখুশি মানুষ।
আদিব মুচকি হেসে বললো,
– আচ্ছা, এখন তো বিয়েতে কেবল দাওয়াত না, দায়িত্বও পড়বে।
হায়াত একটু তাকিয়ে থাকলো জাহীনের দিকে, তারপর হালকা করে বললো,
– তোকে এত বড় খবর দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকছিস,
জাহীন এগিয়ে এসে হায়াতকে জড়িয়ে ধরলো, দু’জনের চোখেই জল চিকচিক করছিলো — আনন্দের, নতুন যাত্রার, আর স্মৃতির।
লামিয়া আবার খিলখিল করে বললো,
– আর শোনো, বিয়ে কিন্তু ‘ক্রাইম সিন’-এর মতো হবে না, ফুল অন কালারফুল, গানের তালে তালে সবাই নাচবে… আদিব দুলাভাই ছাড়া কেউ রেহাই পাবে না!
আদিব হেসে বললো,
– আমি যদি নাচি, তবে বিয়ের পর জাহীনকেই লজ্জায় কান্না করতে হবে।
লামিয়া হতাশা নিয়ে বললো,
– হাহ, আমাকে সারাজীবন সিঙ্গেলই থাকতে হবে।
হাসির রোল উঠলো রুমজুড়ে।
চুপিচুপি, হায়াতের চোখে খুশির সাথে একটু খালি লাগার ছায়াও খেলে গেলো। প্রিয় বোন এবার সত্যিই অন্য কারো হয়ে যাবে…
———
সন্ধ্যার আলোটা ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে আসছে। রণি সোফায় বসে, হালকা চা খাচ্ছে আর ঘরের লোকজনের সাথে ভদ্রভাবে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে।
আদিব তখন ভেতরের ঘর থেকে বেরিয়ে এল, মোবাইল কানে—কোনো জরুরি ফোন ধরতে গিয়ে। চোখে একদমই মনোযোগ নেই, পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ চোখ পড়লো রণির ওপর।
আদিব থমকে দাঁড়ালো। কপাল কুঁচকে তাকালো রণির দিকে।
– আপনাকে তো কোথায় যেন দেখেছি…
রণি তাকিয়ে হাসলো, মাথা নাড়িয়ে বললো,
– হয়তো ফেসবুকে ?
আদিব একটু এগিয়ে এলো, মনোযোগ দিয়ে এবার তাকালো।
– না না… একটা সেকেন্ড… আপনি কি আব্বুর চাচাতো বোন আমার ফুপি শামছুন নাহারের ছেলে?? কানাডার রণি ভাই ?
রণির মুখটা হঠাৎ হাসিতে ফেটে পড়লো,
– আরে আদিব! তুইই না, এই যে ভাইরে! একেবারে বিশাল হয়ে গেছিস রে।
দুজন একে অপরের দিকে এগিয়ে গিয়ে গলা জড়িয়ে ধরলো।
হায়াত, জাহীন, লামিয়া সবাই বিস্ময়ে তাকিয়ে।
হায়াত তো অবাক হয়ে বলেই ফেললো,
– আপনারে একে অপরকে চিনেন।
আদিব হেসে বললো,
– শুধু পরিচিত না বউ, আমাদের ফুপির ছেলে রণি ভাই! ছোটবেলায় শেষ দেখা, এরপর উনি তো বিদেশে চলে যান—আমরা কেউ আর ভালো করে চেহারা মনে রাখিনি।
রণি মজা করে বললো,
– তোর বয়স তখন সাত, আমার বারো! তুই শুধু আমায় ‘বড় ভাই’ বলে দৌড়াদৌড়ি করতি। আর এখন তুই দেখি জামাই হয়ে বসে আছিস!
– ভাইয়া আমাদের ছাড়াই তুমি বিয়ে করে ফেলবে,
– কসম আদিব,মামাকে আগেই বলেছি,কিন্তু মামা সিলেট, তোকে না জানালে আমি কি করবো বল ভাই।
সবাই হেসে উঠলো, হালকা বিস্ময় আর আনন্দে পুরো ঘরটা গরম হয়ে উঠলো।
হায়াত একটু হেসে ফিসফিস করে বললো,
– হ্যা আব্বু তো সিলেট এর জন্যই আমরা জানি নি।
আদিব এক চিলতে হাসি দিয়ে বললো,
– আর ভাগ্য দেখো, আমরা ভাইয়ের বিয়েতে গেস্ট হয়ে যাচ্ছি !
রণি হেসে বললো,
– না রে ভাই, এবার আমার বিয়েতে তুই শুধু গেস্ট না, একেবারে পার্টি ম্যানেজার!
সবাই হেসে হেসে পাগল!
হঠাৎ সন্ধ্যার বাতাসে যেন একরাশ ঘনিষ্ঠতার গন্ধ ছড়িয়ে গেল। অচেনা রণি এক মুহূর্তেই হয়ে উঠলো সবার আপন, আর অতীতের স্মৃতি আবার প্রাণ ফিরে পেল।
———-
রাত দশটা।টিনের চালের ঘরে নিস্তব্ধতা নেমে এসেছে। বাইরে মাঝে মাঝে কুকুরের ডেকে ওঠা, দূরে কোথাও সাইকেলের ঘন্টির টুংটাং শব্দ—সব মিলিয়ে একেবারে গ্রামের শান্ত রাত।
হায়াত বিছানার একপাশে শুয়ে, ওড়নাটা গায়ে জড়িয়ে ঘুমুতে চাচ্ছে। আর পাশেই আদিব, ছটফট করছে।
আদিব গলা চুলকে চুলকে বিরক্ত হয়ে বললো,
– উফফ বউ, এই ঘরে কি সব মশা আছে শুধু আমার জন্যই, এতো মশা রোমান্স করতেও প্রব্লেম হবে।
হায়াত ঘুম জড়ানো গলায় বললো,
– আরে চুপ করে শুয়ে থাকো, আপনার হাত-পা এত নাড়াচাড়া করছেন, এর জন্যই মশা আপনাকে কামড়াচ্ছে।
আদিব রীতিমতো উঠে বসল, গায়ে একটানা চুলকাতে চুলকাতে বললো,
– তুমি কি জানো, আমার মনে হচ্ছে আমার শরীরেই মশারা ‘বারবিকিউ নাইট’ করছে।
– আচ্ছা দাঁড়ান, কয়েল জ্বালিয়ে নিয়ে আসি।
– দৌড় দাও।
—
সকালের রোদটা আজ একটু বেশি উজ্জ্বল, যেন জানে আজ কারো জীবনে নতুন এক রঙ লাগবে।
পাখিরা কিচিরমিচির করছে, নারকেল গাছের ফাঁক দিয়ে আলো এসে পড়েছে উঠোনে।
হায়াত ঘুম থেকে উঠেই দেখলো—পুরো বাড়িটা যেন একটুখানি মেলায় পরিণত হয়েছে।
ঘরের একপাশে পিঁড়ি পেতে বসে আছে জাহীন, মুখে লাজুক হাসি, হাতে মেহেদির দাগ।
বুড়ি দাদী, খালারা, জ্যাঠিরা সকলে হলুদের থালায় হাত ডুবিয়ে একে একে গায়ে হলুদ মাখাচ্ছে।
চারপাশে গানের শব্দ ভেসে আসছে—হায়াত লাল-হলুদ ওড়না গায়ে জড়িয়ে ঘোরাঘুরি করছে, এক হাতে ফোন, আরেক হাতে পাতার পাখা।মেয়েরা উঠোনে দাড়িয়ে দোল খাচ্ছে, কেউ আলপনা আঁকছে, কেউ রঙ মাখা চুলে ফুল গুঁজে দিচ্ছে।মণ্ডপের পাশে ঝলমলে আয়োজন—
পাতা দিয়ে বানানো চিপা ফ্রেমে ফুলের মালা, পাশে কলাগাছ, নারকেল আর সুপারি দিয়ে সাজানো।
মেঝেতে আঁকা আলপনা, মাঝখানে বসানো জাহীনকে—সে একেবারে রাজকন্যার মতো লাগছে।
হায়াত পা টিপে টিপে নিজের রুমে গেলো।আয়নার সামনে দাড়িয়ে আদিব সাদা পাঞ্জাবি গায়ে চুল সেট করতে ব্যাস্ত। হায়াতকে দেখেই এক গাল হেসে বললো,
– কি গো মেডাম, আপনি এমন সাদামাটা ভাবে ঘুরছেন কেনো।
– হাহ, কি আর বলবো আমি তো শাড়ি সামলাতেই জানি না,পরবো তো দূরের কথা।
– শাড়ি নিয়ে আসো বউ,আমি ইউটিউব দেখে পড়িয়ে দেবো।
– পারবেন তো।
– চেষ্টা করতে অসুবিধা কি।
হায়াত আলমারি থেকে একটা হলুদ জামদানি শাড়ি বের করলো। আদিব ইউটিউবে শাড়ি পড়ানোর ভিডিও অন করলো।হায়াতের দিকে বললো,
– একটুও নড়বে না, নাহলে শাড়ি পড়াতে ভুল হলে কান্নাকাটি শুরু করবে।
– আচ্ছা বলি কি,লামিয়া পড়িয়ে দিবে আমাকে….
– নো জান,আমিই পড়াবো।
পুরো এক ঘন্টা হয়ে গেলো আদিব চেষ্টা করছে হায়াতকে শাড়ি পড়ানোর। আদিব গলা খাঁকারি দিয়ে বললো,
– থাক লামিয়া পড়িয়ে দিবে তোমাকে।
– এতোক্ষণ তাহলে কি করলেন।
– পড়াচ্ছিলামই তো, পরে ভাবলাম তোমার পছন্দ না হলে।
– ওহ একটা ঘন্টা নষ্ট করে এখন মনে হলো, আমার পছন্দ হবে না। বাহহহ।
ঠোঁট ভেঙে কান্না করতে লাগলো হায়াত। আদিব অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো হায়াতের দিকে। টেডি স্মাইল দিয়ে বললো,
– লাজুক পাখি, আসো একটু আদর করি। সেই তো শাড়ি পরতেই হবে।
এই বলেই ঠোঁটে ঠোঁট পুড়ে নিল। পেটিকোট আর ব্লাউজ পরিহিত ছিলো হায়াত। আদিব আস্তে আস্তে ব্লাউজের বোতাম খুলে বক্ষঃস্থলে হাত চালাতে থাকলো। হায়াতও আদিবের চুল খামচে ধরলো। হায়াতকে কোলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিল আদিব।
হায়াত খাটের কোনায় গেলো চোখের ইশারাতে বুঝালো আদিবকে এখন না। আদিব বাকা হেসে হায়াতের দিকে এগিয়ে গেলো। হায়াত খাট থেকে নেমে ব্লাউজের বোতাম লাগাতে লাগাতে দরজা খুলতে গেলো, আদিব ধপ করে হায়াতকে পাজা কুলে নিয়ে হাস্কি স্বরে বললো,
– এমন করছো কেনো একটুই তো করবো প্রমিস। হায়াত হাত পা ছুড়াছুড়ি করছিলো এমন সময় হায়াতের গলায় জুড়ে কামড় দিলো আদিব। হায়াত ব্যাথায় চেচিয়ে ওঠে। বিছানায় ঠাস করে ফেলে দিলো হায়াতকে। ব্লাউজের বোতাম খুলতে খুলতে মুখ ডুবিয়ে দিলো সারা শরীর জুড়ে। জুড়ে জুড়ে বাইট দিতে লাগলো, হায়াতও কম কিসে,নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে আদিবের গালে কামড় দিলো,কিন্তু আদিব যেনো কোনো ব্যাথায় পেলো না। এমন সময় হায়াতের ভাই দরজায় কড়া নাড়লো,
– আপাই দরজা খুল। আপাই লামিয়া আপু ডাকছে,জাহীন আপুকে সাজাতে হবে।
হায়াতের মুখ চেপে ধরে আদিব বললো,
– শালা বাবু তোমার আপুদের বলো,তোমার আপাই তোমার দুলাভাইয়ের আদর খাচ্ছে।
আদিবের কথা শুনে হায়াত চোখ বড় বড় করে তাকালো। আদিব আবারও হায়াতকে খেতে লাগলো।গলায় ঘারে অসংখ্য কামড় দিতে লাগলো,কেমন লালচে দাগ হয়ে গেলো। আদিব সে দিকে তোয়াক্কা না করে হায়াতকে বললো,
– জান জিহ্বা বের করো,বড় করে।
আদিবের কথা মতো হায়াত বড় করে জিহ্বা বের করলো,আদিব তার পুরো জিহ্বা নিজের মুখে পুড়ে চুষতে লাগলো আর বক্ষঃস্থল কচলাতে লাগলো। মিনিট দশেক পর হায়াত ইচ্ছে করে আদিবের জিহ্বাতে কামড় দিল, আদিবের জিহ্বা দিয়ে খানিক রক্ত বের হলো,দুষ্টু হেসে হায়াতের ঠোঁটে কামড় বসালো, হায়াত চিত্কার করার আগেই আদিব জুড়ে কামড় দিলো । ঘন্টা খানেক পর আকাঙ্ক্ষার অগ্নিশলাকা বের করে হাস্কি স্বরে বললো,
– একটু নরম করে দাও, নাহলে ভেতরে প্রবেশ করবে না।
– এতো বড় ভালো লাগে না।
– হ্যা হ্যা আবার ছোট হলে ক্ষেপাতে।
আদিব ইনোসেন্ট মুখ করে আমতা আমতা করে বললো,
– বউ দু’দু খাবো।
– তো খান।
– বের হয় না তো।
– তো মুখে নেন কেনো।
এরপর আদিব টেডি স্মাইল দিয়ে সুধা পান করতে লাগলো।আদিব হাস্কি স্বরে বললো,
– সোনা,পাখি ভেতরে গিয়েছে।
– উহু।
– এখন গিয়েছে।
– না একটু বেঁকে আছে।
– এখন।
– হু।
আদিব সফলতার হাসি ঝুলিয়ে হাস্কি স্বরে বললো,
– আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ্ শাইত্বানা, ওয়া জান্নিবিশ্ শাইত্বানা মা রাযাকতানা।
হায়াত এবার দুষ্টু হাসি ঝুলিয়ে বললো,
– বিসমিল্লাহ।
– ওররে আমার জানরে, ইস আজকে আমার বউয়ের মুড আসছে।
এই বলেই আদিব অন্তরঙ্গ অভিসার করতে লাগলো। হায়াত একটু উঁচু হয়ে আদিবের সারা গালে চুমু খেতে লাগলো। আদিবও হায়াতের ঠোঁট নিজের আয়ত্তে এনে ফেললো,,,,,,,,,
তিন ঘন্টা পর……..
বিকেল সাড়ে তিনটা, লামিয়া আর রুহাইয়া এসে হায়াতের দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করলো,
– আফরা খুল, কি করছি সেই দুপুরে ভাইয়া আর তুই রুমে দরজা লাগিয়ে বসে আছিস। আমরা জাহীনকে সাজিয়েও ফেলেছি। ভাইয়ার ফুপিরা তো আসবে,ভাইয়া।
এদিকে রুমের ভেতর রতির সেই নিঃশব্দ অভিসারের পর আদিবের বুকে মাথা রেখে হায়াত হাঁপাচ্ছিলো,আদিব বললো,
– আরে দারাও শালিকা একটু রোমান্স করলাম বুঝো না কেনো।
আদিবের কথাই ভেবাচেকা খেয়ে ওঠলো লামিয়া আর রুহাইয়া, মিটি মিটি হেসে দোয়ারে স্টেজে চলে গেলো।হায়াত কোমড়ে হাত রেখে বললো,
– এটা কি করলেন,এখন আমাদের গোসল করতে হবে, কতো প্রবলেম জানেন।
– যেমন।
– এইযে আপনি কি লুঙ্গি পরতে জানেন,আর গোসল করতে তো বাইরে কলের পারে যেতে হবে,
– ইস বউ ভালো তো এটা। সবাই দেখবে আর আমার প্রাউড ফিল হবে।
– বাহ তাই।
আদিব আবারও হায়াতকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সারা মুখে চুমু খেতে খেতে বললো,
– হু আমার ইদুরের ছানা। ইসস তোমাকে আদর করে মনই ভরে না,একবার বাড়ি যায় আর অফিস জাবো না,সারাদিন আদর করতে থাকবো। উফ ভেবেই কি ভালো লাগছে৷
– সরুন তো।
এই বলেই হায়াত একটা কামিজ পড়ে উঠানের দিকে পা বাড়ালো,আদিব বিছানায় পড়ে থাকা উত্তাপজাগ্রত ধারা গুলো একটা টিসু দিয়ে পরিষ্কার করতে লাগলো।
হায়াতের মা মিসেস আলিয়া উঠানে বসে মেহমানদের জন্য মিষ্টি সাজাচ্ছে মেয়েকে দেখে বললেন,
– আফরা তৈরি হোস নি এখনো,জামাই বাবাজি কোথায়।
– আব্ আম্মু একটা লুঙ্গি দাও না আব্বুর,ওনার প্রচুর গরম লাগছে গোসল করবে।
– আরে তুই কি পাগল, তোর বাবার লুঙ্গি যে কটা লাগে তুই গিয়ে নে,আমাকে জিজ্ঞেস করতে হই নাকি।
এই বলে মিসেস আলিয়া মিষ্টির ট্রে হাতে নিয়ে স্টেজে চলে গেলেন।
হায়াত একটা সাদা লুঙ্গি বের করে নিজের রুমে গেলো,বিরক্তি স্বরে বললো,
– এই নিন গোসল করে আমাকে উদ্ধার করুন।
– বউ এটা কি বলছো,তোমাকে ছাড়া আমি কেনো গোসল করবো,তুমি জানো না এক সাথে ফরজ গোসল করতে হয়।
– এই এটা আমার গ্রামের বাড়ি, একসাথে গোসল করবো যে স্টেজে দোয়ারে কতো মানুষ লজ্জা করে না আপনার।
– ধুর বুঝে না,একসাথে গোসল করলে তোমার চুল আরো সুন্দর হবে।
আচমকা সবার চোখের সামনে দিয়ে আদিব হায়াতকে এক ঝটকায় কোলে তুলে নিলো।
হায়াত কিছু বলতে গিয়েও পারেনি, লজ্জায় গাল কুঁচকে গেল।
তার চোখ নামিয়ে রাখা, মুখটা যেন পাকা ডালিমের মতো লাল,নীল গু কালার । ওড়নার এক প্রান্তে আঙুল চেপে ধরে ফিসফিস করে বললো,
– এভাবে নিয়ে যাচ্ছেন কেন! সবাই দেখছে…প্লিজ নিচে নামান,প্লিজ৷
আদিব হালকা হাসলো, মাথা নিচু করে বললো,
– তাতে কী তুমি আমার বউ—সকলেই জানে।আর আমরা ফরজ গোসল করবো এতে কি আর হবে,
সকলের সামনে দিয়ে আদিব যখন হায়াতকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে এল দোয়ারে, তখন উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকা মায়েরা, খালারা, চাচিরা—সবাই মিটি মিটি হাসছে।
লামিয়া দোয়ারে ছোট্ট স্টেজে জাহীনের পাশে বসে ছিলো,খিল খিল করে হেসে বললো,
– আহা! কী রোমান্টিক জামাই রে!
আরেকজন ফিসফিস করে,
– এই জন্যই তো বলি, প্রেম করে বিয়ে করলে এমনই হয়!
হায়াত মুখে কিছু বলে না, শুধু চোখ বন্ধ করে মাথাটা আদিবের কাঁধে ঠেকিয়ে রাখে।
আদিব কলের পারে গিয়ে দরজা চাপিয়ে, কলে চাপ দিয়ে পানি ভরে নিলো,আদিব একটা মোড়ায় বসে বললো,
– বউ আমার শরীরটা একটু ডলে দাও তো,আর মাথাও পরিষ্কার করে দাও।
বাইরে তখনো ফিসফিস, খিলখিল আর লাজে-গাল-লাল করা হায়াত, যেন একেবারে নতুন বউয়ের প্রথম প্রকাশ।
হায়াত আলতো করে আদিবকে গোসল করাতে লাগলো। এরপর দুজনেই জামা কাপড় পাল্টে নিলো।
কলের পাশে ছলছল জলে দুজনেই ধুয়ে নিয়েছে শরীর, যেন ক্লান্তি আর গোপন আলাপ সবকিছু ভেসে গেছে।
হঠাৎ দোয়ার দিক থেকে ফিসফিস আওয়াজ।
সবাই তাকিয়ে আছে রাস্তার মুখে—যেখানে কলের বাঁকে দেখা গেলো, একসাথে হেঁটে আসছে আদিব আর হায়াত।
আদিবের পরনে সাদা-নীল চেক লুঙ্গি, গায়ে একটা পাতলা সেন্টু গেঞ্জি।ফর্সা শরীরে যেন বেশ মানিয়েছে।
চুল ভেজা, গা থেকে উঠছে সদ্য গোসল করা শরীরের সাবানের গন্ধ আর হালকা আতরের মিশেল।
আর হায়াত…
সে যেন বসন্তরঙা এক ফাল্গুন!
বাসন্তী রঙের পাকিস্তানি থ্রি-পিস, ভেজা ওড়নার কিনারা কাঁধে ঠেকিয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে আসছে। ভেজা চুল হাটু অব্দি , গালে লজ্জার লাল ছোপ, পায়ের নুপুরে জলের ধ্বনি,গলায় স্বর্নের চেইন, কানে ছোট্ট স্বর্নের ঝুমকা,হাতে রুলি।
উঠোনে থাকা সবার চোখ বড় হয়ে গেলো।
কেউ থেমে গেল কাজের মাঝে, কেউ আবার কনুই দিয়ে পাশের জনকে ঠেলিয়ে বললো,
– দ্যাখ! দ্যাখ! ওরা কি ঠিক বিয়ের পরদিন সকাল নাকি সিনেমার দৃশ্য করছে ?এই তো আমাদের নতুন জামাই-বউ!
এক দাদি কেঁপে কেঁপে হেসে বললেন:
– আহা! কেমন মানায় রে! একদম যুগল!
হায়াত মাথা নিচু করে চলে যায়, কিন্তু হাসিটা ঠোঁটে লুকিয়ে রাখা যায় না।
আদিব তখন পেছনে দাঁড়িয়ে, গলার গামছা দিয়ে চুল মুছছে। চোখে একটা প্রশান্তির রেখা।
দোয়ারের বাঁধানো মেঝেতে তারা দুজন দাঁড়িয়ে—ঠিক যেন নতুন জীবনের প্রথম সকালে একসাথে ওঠা এক স্বপ্নের যুগল।
—————
বিকেলের আলোয় উঠোন ভরে গেছে কণ্ঠরবে।
রণির বাড়ির লোকেরা এসেছে জাহীনকে হলুদ ছোঁয়াতে। মেয়েরা সুন্দর শাড়ি পরে, হাতভর্তি মেহেদি; ছেলেরা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে এসে সালাম দিয়ে ভেতরে ঢুকছে।
জাহীনকে দোয়ারে স্টেজে বসানো হয়েছে,হলুদের শাড়ি আর ওড়নায় মাথা ঢাকা, গায়ে হলুদের আলো ছড়িয়ে আছে।
থালায় সাজানো পানের ডালা, ফুল আর আতর রাখা—সবকিছুতেই শালীনতা আর ঐতিহ্যের মেলবন্ধন।
এই ভিড়ের মাঝে এক রণির খালা নিচু গলায় পাশের জনকে জিজ্ঞেস করলেন,
– ওই যে, যে মেয়েটা বাসন্তি থ্রি-পিস পরে পাশে দাঁড়িয়ে আছে, কে ও ?
পাশ থেকে এক কাজিন হেসে বললো,
– ওইটা তো আদিব ভাইয়ের বউ, হায়াত আপু।
খালারা মুখে হাত দিয়ে মুচকি হেসে বললেন,
– মাশাআল্লাহ! কী নম্র চেহারা রে! মেয়েটার মধ্যে পর্দার শালীনতা আছে, আর মুখে দয়া। কত্তো শান্ত চাহনি,সকলে কতো নাচ গানে ব্যস্ত আর মেয়েটা,একেবারে পরিপূর্ণ বউ।আল্লাহ কবুল করে নিক ওদের সংসার।
হায়াত একটু দূরে কলের পাশে দাঁড়িয়ে, মাথায় ওড়না ঠিক করে নিচ্ছে। চোখ নিচু, ঠোঁটে বিনীত হাসি।
ওর আচরণে একধরনের আত্মসম্মান আর পর্দার সৌন্দর্য—যা এক নজরেই মানুষকে সম্মান করতে শেখায়।
আদিব ওদিকে দাঁড়িয়ে ছিল, চোখে প্রশান্তির ছায়া।
সে আস্তে করে এগিয়ে আসলো বললো—
– মেডাম চলুন আমার আব্বুর চাচাতো বোনের ফ্যামিলির সাথে পরিচয় করিয়ে দিই।
হায়াত হেসে বললো,
– আচ্ছা চলুন।
পেছনে তখন চলছিলো জাহীনকে হলুদ ছোঁয়ানো, আর চারপাশে নাচ গান, সালাম ও ভালবাসায় ভরা শব্দ—
আদিব একটু এগিয়ে গিয়ে সেই রণির খালার কাছে এসে বললো,
– আসসালামু আলাইকুম খালামনি৷
– ওয়ালাইকুম আসসালাম আব্বু,বিয়ে করলা বল্লেও না,আর ভাগ্য দেখো সেই দেখাই হয়ে গেলো।
– খালামনি বিয়েটা একদম ঘরোয়াভাবে হয়েছে,আম্মুও আমেরিকা ছিলো,এই একমাস হলো,বড় করে অনুষ্ঠান করবো আম্মু আমেরিকা থেকে আসলে। এই যে আমার বউ,মিসেস আফরা চৌধুরী হায়াত।
হায়াত স্মিত হেসে বললো,
– আসসালামু আলাইকুম খালামনি।
– ওয়ালাইকুম আসসালাম মামুনি,তোমার চেহারা যেমন মাশা-আল্লাহ তোমার কন্ঠও তো একদম নরম সুন্দর। কোন ক্লাসে পড়।
– ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে খালামনি।
– অন্য কলেজে নাকি, আদিব যেটাই মাঝে মধ্যে ক্লাস নেয় সেই কেলজ।
– জ্বি।
টুকটাক কথা বলে আদিব হায়াতকে নিয়ে স্টেজে ওঠলো জাহীনকে হলুদ ছোয়াতে। আদি জাহীনকে হলুদ দিয়ে বললো,
– কি গো হবু ভাবী ওরফে শালি,অনুভূতি কেমন।
– ঝাক্কাস, হিহিহি।
এরপর হায়াত আর আদিব মিলে জাহীনকে হলুদ ছুইয়ে জাহীনের হাতে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে নেমে পড়লো,টুকটাক খাওয়া দাওয়া করে রুমে ঢুকলো।
রুমে এসে একটা লুঙ্গি পড়ে হায়াতের ওপর ওঠে বসলো,হায়াত বিরক্তি নিয়ে বললো,
– সরুন তো, আবার কি মতলবে ওপরে ওঠলেন।
– দু’দু খাবো জান।
– আমাকেই খেয়ে ফেলুন।
– ওকে।
এই বলে হায়াতের ঠোঁটে ঠোঁট পুড়ে নিল আদিব। হায়াত উম উম করে সরে যাওয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না,আদিব আস্তে করে গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো, হায়াতও চুমু খেলো আদিবের কপালে। কামিজ খুলে বললো,
– আমি জানি পাখি তোমার খুব গরম লেগেছে,এরজন্যই গোসলের ব্যবস্থা করছি।
এই বলেই বক্ষঃস্থল চাপতে লাগলো। আদিব দুষ্টু হেসে বললো,
– বউ জঙ্গল গুলো একটু পরিষ্কার করে দিবো নি বাড়ি গিয়ে।
– সরুন তো,লজ্জায় হায়াত আদিবের বুকে মুখ গুজে নিলো,আলতো হাতে হায়াতের আকুলতার অরণ্যে আঙ্গুল চালাতে লাগলো। হায়াত মিনিট পাঁচেক পর কেঁপে ওঠে। অতি আয়েশে আদিবের পিঠে হাত বুলাতে লাগলো।
> সে রাত ছিল শুধু তাদের—জোছনার মতো নরম, দোয়ার বাতাসের মতো চুপচাপ, আর হৃদয়ের মতোন নিঃশব্দে কাছাকাছি। এভাবেই ভালোবাসার ছায়ায় ঢেকে গেল রাত, দুই প্রাণ মিললো নিঃশব্দ এক চুক্তিতে—যেখানে শুধু শরীর নয় আত্না ছিলো প্রধান।
#চলবে