আমার হায়াতি পর্ব-২০

0
7

#আমার_হায়াতি
পর্ব : ২০ ( হলুদ সন্ধ্যা)
লেখিকা : #Nahar_Adrita

( যারা রোমান্টিক পার্ট পছন্দ করেন না, তারা দয়া করে দূরে থাকুন । 🚫)

দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে সাতটি দিন।
এই সাতটি দিন যেন হায়াতের জীবনের এক নতুন অধ্যায় ছিল —যন্ত্রণার গভীর ছায়া থেকে ধীরে ধীরে আলোয় ফেরার সময়।তার চোখের নিচের কালো ছাপগুলো এখন ফিকে,আর শরীরও অনেকটা সুস্থ।

আজকের দিনটা কিন্তু অন্যরকম।

মনে হচ্ছে যেন পুরো বাড়িটাই আনন্দের উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছে।নেহা’র রাজকীয় হলুদের সন্ধ্যা—
চৌধুরী বাড়ি জুড়ে চলছে চূড়ান্ত সাজসজ্জা।
কাঁসার থালায় হলুদ, সুগন্ধি গোলাপজল আর শাঁখের ধ্বনি যেন ঘরের আকাশটাকেও রাঙিয়ে তুলেছে।

সোনালি পর্দা, গাঁদাফুলের ঝালর আর রঙ্গিন বাতিতে সাজানো পুরো প্রাঙ্গণ।
ঘরের একপাশে এনে রাখা হয়েছে বড় বড় গ্র্যান্ড বক্স—
তাতে লাগানো রঙিন লাইট আর শিমুল কাঠের কারুকাজ।এই বক্সগুলো কোনো সাধারণ বাক্স নয়,
এই বক্সগুলোর ওপরেই হবে মঞ্চস্থ নৃত্য—
কচিকাঁচারা rehearse করছে,সবাই ব্যস্ত, সবাই প্রাণবন্ত।

হায়াত গোসল করে রুমে আসতেই দেখে, এখনো আদিব তৈরি হয় নি ঠিক আগের মতোই শুয়ে আছে। হায়াত একটু রাগী কন্ঠে বললো,
– কি সমস্যা হ্যা।
– কি আর সমস্যা হবে, কিছুই না বউ।
– তাহলে এখনো সাদা পাঞ্জাবি পড়ছেন না কেনো। সকলে এসে যাবে তো।
– কেউ এসেছে এখনো ?
– না তবে নেহা আপুর বান্ধবীরা সকলে এসে যাবে, তারপর রং খেলার অনুষ্ঠান শুরু হবে।
– আগে আসুক তারপর।
– ধুর বা’লের সাথে কথা বলছি আমি।
এই বলে হায়াত আয়নার সামনে গিয়ে চুল গুলো আঁচড়িয়ে নিলো।
হঠাৎ পেছন থেকে হায়াতকে জড়িয়ে ধরলো আদিব,ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে দিলো সে, হায়াতের শরীরে কম্পন বয়ে গেলো। আদিব হাস্কি স্বরে বললো,
– জান প্লিজ একটু।
এমন সময় মিসেস আসিফা ( আদিবের চাচি) দরজায় নক করলেন,
– আদিব হায়াত আর কতো ঘুমাবি, বাকিরা এসে পড়লো তো….
আদিব হায়াতকে আরেকটু শক্ত করে চুমু খেয়ে বললো,হ্যা ছোট আম্মু আসছি যাও। এই বলেই হায়াতকে কোলে নিয়ে ডিভানে বসিয়ে দিলো আদিব। হায়াত মিনতির স্বরে বললো,
– প্লিজ এখন না চল…..
তার আগেই আদিব হায়াতের ওষ্ঠ নিজের আয়ত্তে এনে ফেললো।মিনিট পাঁচেক পর ছেড়ে দিয়ে হায়াতের কপালে ছোট্ট করে পরশ একে দিলো আদিব। আদিব সাদা পাঞ্জাবিটা পড়ে হায়াতের সঙ্গে কিছু পিক তুলে নিল। দু’জনকেই অমায়িক লাগছে।

——-
সকাল নয়টা, নেহার সমস্ত ফ্রেন্ডরা আস্তে আস্তে দরজা দিয়ে ঢুকতে লাগলো। প্রথমেই ডয়িংরুমে প্রবেশ করলো সানজিদা মেহেজাবিন। নেহা ছুটে আসলো তার কাছে, জড়িয়ে ধরে বললো,
– কেমন আছিস মেহু।
– আলহামদুলিল্লাহ, উফ যাক অবশেষে তোর ও বিয়ে।
দুজনের কথার মাঝেই একদল মেয়ে আবারো প্রবেশ করলো,নেহার ছোট বেলার বান্ধবী জুলিয়া,তাহিরা,ঈশা, মারিয়া, মেহেজাবিন আর দেবজানি। সকলে মিলে নেহা জড়িয়ে ধরলো, হঠাৎ করেই মারিয়া বলে ওঠলো,
– ওই পুতুলের মতো দেখতে মেয়েটা কে ?

সকলে একসাথে হায়াতের দিকে তাকালো,হায়াতকে দেকতে সত্যিই একদম সাদা পুতুল লাগছে,পাশেই আদিব দাড়িয়ে আছে। নেহা মিষ্টি করে হেসে হায়াতের পাশে গিয়ে বললো,
– এটা আমাদের হায়াত পাখি, আদিবের স্ত্রী। কতো মিষ্টি দেখতে তাইনা।

পাশে দাড়িয়ে থাকা জুলিয়া বলে ওঠলো,
– হ্যা রে ভাই মেয়েটা একদম পিচ্চি পুতুলের মতো ইস।

একই স্বরে ঈশা বললো,
– আরে পিচ্চিটার চুল গুলো দেখ কতো বড়।

এরই মাঝে ডইংরুমে প্রবেশ করলেন মিসেস অরোরা,
– আমার হায়াত বুড়িটার নজর লেগে যাবে, থাক বুড়ি রা আর প্রশংসা করতে হবে না। হায়াত সামান্য লাজুক হেসে আদিবের দিকে তাকালো,আদিব গভীর চাহনি দিয়ে হায়াতের দিবে তাকিয়ে আছে।
কিছুক্ষণ পর ডয়িংরুমে প্রবেশ করলো ঈস্পিতা তুলি ও শাহানাজ খুশি। নেহা দৌড়ে গিয়ে তাদের জড়িয়ে ধরলো। হায়াত কিছুটা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে খুশির দিকে। সহসাই খুশিও কিছুটা কপাল কুচঁকে তাকিয়ে রইলো হায়াতের। হায়াত আদিবের দিকে তাকিয়ে বললো,
– আপনার ফোনটা একটু দিন তো।
আদিব হায়াতের কাছে ফোনটা দিয়ে আদনানের রুমের দিকে পা বাড়ালো। হায়াত নিজের আইডিতে ঢুকে খুশির পিক খুঁজে বের করলো,হ্যা অনলাইনের সেই ফেসবুক ফ্রেন্ড খুশি আর নেহার পাশে দাড়িয়া মেয়েটিই সেই খুশি,হায়াতের খুশিপু। হায়াত ছুটে গিয়ে খুশিকে জড়িয়ে ধরলো, সকলে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো হায়াতের দিকে। হায়াত আদুরে গলায় বললো,
– খুশিপু, আমার আপাই৷ তুমি একানে কিভাবে ?
খুশি যেনো মুহূর্তেই চিনে ফেললো তার পিচ্চি পাখিটাকে। হায়াতের কন্ঠস্বর শুনেই বুঝতে পারলো এটা তার হায়াত। মুচকি হেসে বললো,
– তুমি এই বাড়ি বউ ?
– হ্যা আপাই।
নেহা অবাক স্বরে প্রশ্ন করলো,
– খুশি আপু তুমি হায়াতকে আগে থেকেই চিনো ?
– হ্যা তোমাকে যে বলতাম, আমার একটা পিচ্চি আছে, এই সেই আফরা।
– আল্লাহ গো,তুমি আফরা আফরা করতে বলে আমি বুঝতেই পারি নি, আমাদের হায়াতি তোমার আফরা।

হায়াত মুচকি হেসে বললো,
– নেহা আপু তুমি আপাইকে চিনো ?
– হ্যা হায়াত, এটা আমার চাচাতো বোন।

সকলেই চা নাস্তা করে আবির খেলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলো,ছাদে এক অন্যরকম উত্তেজনা।
নেহা আর তার বান্ধবীরা কাঁচের বাটিতে আবির মিশাচ্ছে— হলুদ, গোলাপি, কমলা— যেন একেকটা রঙই কারো মনে জমে থাকা কথার রূপ।
ফুলের তোড়া সাজানো, পানির বোতলে রঙ মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে ছোট ছোট বাল্টি।
সুর বাজছে ব্যাকগ্রাউন্ডে, সকলে মিলে নাচতে লাগলো—
আয়লারে নয়া দামান,,
আসমানেরও তেরা…. বিছানা বিছাইয়া দিলাম শাইল ধানের নেরা… দামান বও, দামান বও (।।)
………….🎵🎵🎵🎵
সিলেটি সুন্দরী করলো মন তো আমার চুড়ি…… waking like a boss lady, shaking all her churis,man shaking all her churi…….know that i’am gon’ be
The one to call you my wife.. 🎵দামান লইয়া আইলে বন্ধু in a গরুর গাড়ি……..baby সিলেটি ফেরারি, baby সিলেটি ফেরারি… 🎵🎵🎵🎵🎵

হায়াত আদিব,নেহা আদনান, খুশি,তুলি,ঈশা সহ সকলের হাসবেন্ড মিলে পুরো গানে নাচ শেষ করলো।

হঠাৎ করেই আকুল গলায় কেউ একজন বলে ওঠলো,
– বাহ আমাদের রেখেই নাচ গান শেষ ।

সকলেই ছাদের দরজার দিকে তাকালো, খালিদ আর শম্পা মুখ ভার করে তাকিয়ে আছে। নেহা দৌড়ে গিয়ে বললো,
– আরে আপু, দুলাভাই আসো, কি যে বলো তোমরা,আবারো নাচবো সমস্যা কি…আমার বিয়েতে মন খুলে আনন্দ করবো আমরা।

এরপর সকলে সকলকে আবির মাখাতে লাগলো। আর আদিব বক্সে একটা গান ছেড়ে দিলো,হায়াতকে নিয়ে সকলে মিলে নাচতে লাগলো……

Dekh ke tujhko…
Dil bolehaaye haaye.. Tere bina haal mera…bura hote jaye jaye…thodi shararti main..
Tu bhi thoda shy shy….tere liye baakiyon ko kiya maine bye… 🎵🎵

Aisa kaisa pyar kar liya.

Hoo saaawariya aa aaa
Saawariya Aa aaa
Saawariya aa aa
Saawariya Saaawariya……..🎵🎵🎵

সকলে নাচ করছে, হায়াতকে কোলে করে আদিব চিলে কোঠায় নিয়ে আসলো। খাটের ওপর বসিয়ে দিলো। হায়াত আস্তে করে বললো,
– কি হয়েছে ?
– হুস কোনো কথা না……
আদিব আস্তে আস্তে হায়াতের কামিজ উচু করে উদরে আবির মাখিয়ে দিলো হায়াত সামান্য কেঁপে ওঠে। এর পর আস্তে আস্তে আবির মাখা হাতটি উরোজে দিয়ে চাপতে লাগলো৷ হায়াতের শরীর গরম হয়ে ওঠতে লাগলো। নিজের হাতে থাকা রং গুলো আদিবের গলায় ছুঁয়ে দিলো। আদিব হায়াতের ওষ্ঠে নিজের ওষ্ঠ পুড়ে নিলো। বেশ কিছুক্ষন চালাতে লাগলো। তারপর দুজন মিলে আবার আবির খেলায় মেতে ওঠলো।
———
দুপুর দুটো, সকলে গোসল করে হায়াতের রুমে বসে আছে। সব ছেলেরা খাবার দাবারের তদারকি করতে মশগুল। একটু আগেই হায়াতের মা বাবা, চাচা চাচী আর রাব্বি লামিয়া এসেছে। লামিয়া সব কাঁচা ফুলের জুয়েলারি নেহা একে একে বেছে দিচ্ছে। হায়াত খুশি আর তুলিকে সাজাচ্ছে। সকল মেয়েরা গাঢ় কমলা রঙের মিষ্টি পাইর এর হাপ সিল্ক কাপড় পড়ে তৈরি হয়ে নিলো। আর নেহাকে একটি সুন্দর আদনানের দেওয়া georgetta বা সিল্ক ব্যাচ এর টকটকে হলুদ শাড়ি পড়িয়ে দিলো, আর কাচা ফুলের গহনা। দেখতে যেনো একদম পরীর মতো লাগছে। আর ছেলেরা পড়েছে মিষ্টি কালার পান্জাবি। আদনানের পড়নে সর্ষে রঙের পাঞ্জাবি আর অফ হোয়াইট পায়জামা।

সকলে মিলে নেহা আর আদনানকে স্টেজে বসিয়ে দিলো। আদিব যেনো হায়াতকে দেখে চোখই ফেরাতে
পারছে না। হায়াতকে ইশারায় এক কোণায় যেতে বললো,হায়াত কথা মতো এক কোণায় দাড়ালো, আদিব ক্যামেরাম্যানকে ডাকলো,কিছু কাপল পিক আর ভিডিও তুলে নিলো,একটু পর লামিয়া আর হায়াত একটা সুন্দর ভিডিও ক্যাপচার করলো।

এরপর স্টেজে আনদান, আদি, সাব্বির,ইমন সহ সকল ছেলে ওঠে নেহাকে সামনে নিয়ে নাচতে লাগলো —

ও মাইয়ারে তোর বিজলি জ্বলা রুপ, জইলা পুইড়া যাইতে আছে থাকিস না আর চুপ….🎵🎵🎵🎵🎵

এদিকে লামিয়ার সাথে বেশ জমেছে তাসিনের, তাসিন হলো আদনানের ছোট বেলার বন্ধু। দুজন টুকটাক কথা বলে ফাইনাল করলো এখন তারা নাচবে….

Saree ke falk sa kabhi match kiya re….kabhi chhod diya dil
Kabhi catch kiya re…. (!!)

Touch kar ke, touch kar ke
Touch kar ke, touch kar ke,
Kahaan chal di bach kar ke
Touch kar ke, touch kar ke….

Touch kar ke dil se dil attach kiya re, kabhi chhod diya dil
Kabhi catch kiya re…🎵🎵🎵🎵

নাচ শেষে লামিয়াকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো কোমল পানীয় পান করাতে তাসিন।

এরপর হায়াত আদিব, তুলি আর সিফাত স্টেজে ওঠলো…..

মনে যে নাই কোনো
কাম ও বন্ধু…..?(!!)

তোর পিরিতে দিবানিশি,,,, থাকে আমার মন উদাসী…
প্রেমের জ্বালা বরোই জ্বালারে।

এই বুকের মাঝে আগুন জ্বলে,,,
নেভে না রে,জল ছেটালে..

কবে দিমু গলাই মালারে….. 🎵🎵🎵

আরে কবে কবে কবে কবে আইবে পালারে…..আরেহ দিমু গলায় মালা রে(!!)🎵🎵🎵🎵

নাচ শেষ করে হায়াতকে নিয়ে রুমে আসলো আদিব। হায়াত রাগী কন্ঠে বললো,
– এখনি নিয়ে এলেন কেনো,আমরা গ্রুপ ডান্স করবো তো।
– হ্যা পাখি করবো তো,তার আগে একটু খেয়ে নিয় তোমাকে।
হায়াতকে আস্তে করে শুইয়ে দিল আদিব। ব্লাউজের হুক খুলে…বক্ষঃস্থল জুড়ে হাত চালাতে লাগলো আদিব। হায়াত আবেশে চোখ বন্ধ করে আদিবের ওষ্ঠ আঁকড়িয়ে নিলো। হায়াত শাড়িটা ঠিক করে রুম থেকে বেড় হলো, আদিব ওয়াশরুমে চলে গেলো। হায়াত আস্তে আস্তে রুমে সিড়ি বেয়ে নিচে নামলো। এদিকে ড্রইংরুমে সোফায় বসে খালিদ আর শম্পা চুম্বন করছে, যা আস্তে আস্তে গভীর হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে হায়াত ড্রইংরুমে এসে জুড়ে এক চিৎকার দিলো,খালিদ আর শম্পা দুজনেই দুই দিকে চলে গেলো। হতবাক হায়াত লজ্জায় চোখ বন্ধ করে রেখেছে। আদিব পেছন থেকে দুষ্টু হেসে বললো,
– আরে দুলাভাই স্যরি স্যরি আমরা ভুল সময় এসে পড়েছি, আেনারা কন্টিনিউ করুন, হায়াত সোনা চলো আর লজ্জা পেতে হবে না।
খালিদ হি হি করে হেসে বললো,
– না সালা বাবু আমরা তো…..
শম্পা আর হায়াত দুজনই স্টেজের দিকে পা বাড়ালো, তারপর।

স্টেজে নেহা সামনে দাড়ালো আর পেছনে,,,হায়াত, ঈশা,তাহিরা,জুলিয়া,সাফা, গান বেজে ওঠলো –

Lets have some rounak shaunak,,lets have some party now….lets have some rolla rappa… 🎵🎵(!!)

And we twist
We twist, we twist…
We twist… 🎵🎵🎵🎵

Lets have some dhol dhamaka
Lets call the dholi now…
Lets have some addi tappa..🎵🎵

Chalo chalo ji luck lachka lo
Chalo chalo ji mauj mana lo
Chalo chalo ji nachlo gaalo
Pakad kisi ki wrist…. 🎵🎵

নাচ শেষে আবারো নেহার সঙ্গে একপাশে খুশি আর অন্য পাশে হায়াত দাড়ালো, গান বেজে ওঠলো….

নান্টু ঘটকের কথা শুইনা…
অল্প বয়সে করলাম বিয়া…. 🎵🎵

মুরুব্বিরা কইলো সবাই,
নো টেনশন নো চিন্তা… 🎵🎵

পাইছো জীবনে দারুণ একটা পোলা,,পোলা নয় সে তো.. আগুনেরই গোলা। (!!)

নাচ শেষ হলে ছেলেরা সহ মেয়েরা সাফা,দেবজানি,মারিয়া,মেহেজাবিন সকলে মিলে নাচতো লাগলো,,,,,
না না না
তা হবে না কথা শুনে যাও…
বলতে চাই, একটা কথা…পিছু ফিরে চাও 🎵
মন মানে না কোনো কিছু,,,,,
শুনে না বারণ। কি হয়েছে পাইনা খুজে, আমি তো কারণ।

ঘুরছি আমি তো প্রেমেরই ঘূর্ণিপাকে….🎵🎵🎵
ইশারাতে শিষ দিয়ে.. কে ডাকে আমাকে….🎵🎵🎵

এরপর সকলে নেমে গেলো তারপর লামিয়া আর হায়াত নাচতে লাগলো….

Bole chudiyan,bole kangna….
Hai main ho gayi teri saajna…. 🎵
Tere bin jiye naiyo lag da main te margaiya…
Le jaa le jaa,din le jaa le jaa (2×)
Le jaa le jaa,,,,
Soniya le jaa le jaa (2×)🎵

এরপর সকলে মিলে ছেলে মেয়ে সকল আত্নীয় স্বজন মিলে নাচতে শুরু করলো,,,,,

রাত এখনো বাকি
প্রেম রাতেরই বাকি…তাই এতো নাচা কোদা কেহ…🎵

কলি যুগে কেষ্ট রাধা…কলি যুগে কেষ্ট রাধা…(!!) 🎵🎵
disco তে… গিয়ে করে ডান্স🎵🎵🎵ভজোরাঙ্গ…লহ গৌরাঙ্গ, গৌরাঙ্গে তো নাম রে…. 🎵🎵🎵

এভাবেই সকলে মিলে পাগলাটে নাচ দিয়ে নাচের পর্ব শেষ করলো। ছেলেরা সকলে মিলে স্লোগান দিলো,

আদিব বললো,

”আজকে কার হলুদ……

সবাই মিলে বলল,

” আমাদের আদনান ভাইয়ার ”’

হায়াত চেয়ারে ওঠে বললো,,,

” আমাদের হলদে পরী কে….

সকলে বললো,,

” নেহা সুন্দরী ”

এভাবেই নাচ গান শেষ করে রাত পেরোলো ১২ টা….. সকলে মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাইক রাইডে গেলো। গন্তব্য নিলাবর্ষা পার্ক….

#চলবে