আমার হায়াতি পর্ব-২৬

0
6

#আমার_হায়াতি
পর্ব :২৬
লেখিকা: #Nahar_Adrita

( যারা আমার গল্প পছন্দ করেন না তারা দূরে থাকুন, ১৮+ এলার্ট❗🚫 )

মহেরা জমিদার বাড়ি……!

শীতল বাতাসে ভেজা বিকেল । মহেরা জমিদার বাড়ির বিশাল গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলো হায়াত, আদিব আর আরাবি। পুরোনো দালানের দেয়ালে শ্যাওলা জমেছে, তবুও তার ভেতর রাজকীয় এক সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে।

হায়াত বিরক্ত মাখা মুখ করে চ’ শব্দ করে বললো,

– ধুর ভাল্লাগে না আর, শাড়ি পড়ে আসলে সুন্দর সুন্দর ভিডিও করা যেতো।

আরাবিও হায়াতের কথায় সম্মতি জানালো, কিন্তু আদিব ধমকে ওঠলো,
– মার খাবা নাকি বউ,তুমি শাড়ি পড়ে ঘুরবে আর আমি কিছু বলবো না নাকি ?

– এমন করছেন কেনো, আমি তো আর পড়ে আসি নি। শুধু নিজের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করলাম।

দুজনের ঝগড়ার মাঝেই আরাবি বলে ওঠলো,
– আরে দোস্ত বাদ দে তো। আয় আমি তোকে আর ভাইয়াকে কিছু পিক তুলে দিই।

আদিব আর হায়াত দুজনেই সম্মতি জানালো,আরাবি অনেক সুন্দর সুন্দর পিক তুলে দিলো দম্পতিকে। এরপর আদিবও হায়াত আরাবিকে কিছু পিক তুলে দিল।

ঘুরতে ঘুরতে হায়াত আর আরাবি এসে বসল পুকুরপাড়ের এক নিরিবিলি জায়গায়। চারদিকে পুরোনো গাছের ছায়া, পাখির ডাক আর জলের ওপর রোদের ঝিকিমিকি— যেন সময়টা থমকে আছে।

হায়াত বোরকা গুটিয়ে পাথরের সিঁড়ির ওপর বসলো, পাশে আরাবি। দু’জনেই নিঃশব্দে চারপাশ দেখছিল।
আরাবি হেসে বলল,
– দোস্ত এখানে আমরা আবার আসবো ওকে,আর তখন আমার হাসবেন্ডও আমাদের সাথে থাকবে। তুই-ই বল আর কতো কাল সিঙ্গেল থাকবো।

– হ্যা সেই তো,আব্ তোর জন্য একটা ভালো পাত্র আছে আরু।

– কে সোনা নামটা একবার বলো প্লিজ ।

হায়াত অনেক কষ্টে হাসি চেপে বললো,
– কে আবার আমাদের খুরশিদ আলম স্যার।

আরাবি রেগে গিয়ে বললো,
– ছ্যাহ ! ওই ভুরি ওয়ালা স্যারকেই পেলি আমার জন্য।

আরাবির কাঁদো কাঁদো মুখ দেকে হায়াত আর আদিব ফিক করে হেসে দিল, আদিব পুকুরের একপাশেই দাড়িয়ে ছিলো,গলা খাঁকারি দিয়ে বললো,

– তোমরা বসো, আমি খাবার নিয়ে আসি। খিদে পেয়েছে নিশ্চয়ই।
বলে সে বাইরে বেরিয়ে গেল।

আরাবি হাসিমুখে ফিসফিস করে বলল,
– ভাইয়া কিন্তু তোর প্রতি ভীষণ দূর্বল, তুই আমার সাথে কথা বলছিলি আর ভাইয়া হা করে তোকে দেখছিলো।

হায়াত কিছু বলল না, শুধু মৃদু লাজুক হাসি ছড়িয়ে দিল মুখে।কিছুক্ষণের জন্য তারা দু’জনেই নীরব হয়ে গেল, চারপাশের নীরবতার সাথে একাকার হয়ে।

দূরে এক দোকান থেকে আদিব পেয়াজু, স্যান্ডউইচ,রোল কিনে নিলো,রাস্তা পার হবে এমন সময় একটা ভ্যান গাড়ি এসে আদিবের পায়ের ওপর দিয়েই চাকা ওঠিয়ে দিলো। চলন্ত গাড়ি হওয়াতে বেশ জুড়েই লাগলো পায়ে। ব্যাথায় হালকা ডুকরে উঠে রাস্তায়-ই বসে পড়লো সে। আশে পাশের কিছু মানুষ ছুটে আসলো আদিবের কাছে। কয়েজন লোক দৌড়ে গিয়ে বৃদ্ধ ভ্যান চালককে মারতে গেলো, কিন্তু আদিব তাঁদের থামিয়ে দিলো,
– থাক ভাই মারবেন না চাচাকে,আমি তাড়াহুড়ো করে যাচ্ছিলাম ছেড়ে দিন।

ভ্যান চালক এসে আদিবের পাশে দাড়ালো সকলে মিলে আদিবকে নিয়ে দোকানের পাশে বসালো, একটা লোক বরফ এনে পায়ে ধরলো। ফর্সা পা নিমিষেই লাল হয়ে গিয়েছে। ব্যাথায় মুখ লাল হয়ে গিয়েছে আদিবের। বেশ কিছুক্ষণ বসে রইলো দোকানটায়। বৃদ্ধ লোকটা এসে আদিবকে কিছু ব্যাথার ঔষধ খাইয়ে দিলো, আদিব স্মিত হাসলো। আদিব আবারো কিছু খাবার কিনে পা খুড়িয়ে জমিদার বাড়ির ভেতরটাই ঢুকলো।

এদিকে হায়াত আর আরাবি বসে এফবি স্ক্রল করছিলো। হায়াত মনে মনে চিন্তা করতে লাগলো এতো দেরি হচ্ছে কেনো আদিবের।

এমন সময়ই দূর থেকে আদিবকে দেখা গেলো। কিন্তু হায়াত আর আরাবি দুজনেই কপাল কুঁচকে ফেললো, আদিবকে ওভাবে খুড়িয়ে হাটতে দেখে।

হায়াত দৌড়ে গেলো আদিবের কাছে আরাবিও আসলো। হায়াত আদিবের পায়ের দিকে তাকিয়ে হকচকিয়ে গেল। এতো লাল হয়ে গিয়েছে। হায়াত আদিবকে এক হাত দিয়ে ধরলো। আদিব কোনোমতে আরাবির হাতে খাবারের প্যাকেট দিলো। হায়াত চিন্তিত মুখে আদিবকে জিজ্ঞেস করলো,

– কিভাবে হলো এমন,কোথায় গিয়ে ব্যাথা পেলেন।

আদিব সবটা খুলে হায়াতকে বললো,হায়াত আর এক মিনিটও দেরি না করে আদিবকে শক্ত করে ধরলো আর সেও হায়াতের কাধে মাথা রাখলো। এতো লম্বা যুবককে সামলাতে একটু হিমসিম খাচ্ছিলো হায়াত।তবুও গেট পাড় করে একটা রিকশায় ওঠলো তিনজন।

হায়াতের কাধে মাথা দিয়ে চুপ করে আছে আদিব। হায়াত দেখতে পেলো অতিরিক্ত ব্যাথায় আদিবের মুখও লাল হয়ে গিয়েছে। কান্নায় গলায় দলা পাকিয়ে গেলো হায়াতের, আধ বোঝা চোখে আদিব হায়াতের দিকে তাকাতেই ঠোঁট ভেঙে কান্না করে দিল হায়াত।

আরাবি আর আদিব দুজনেই তাজ্জব বনে চলে গেলো। আরাবি হা করে চেয়ে আছে হায়াতের দিকে। হায়াত হেঁচকি তুলে কান্না করছে আদিবের দিকে তাকিয়ে। আদিব মাথার চুল গুলো টেনে বললো,
– কি হয়েছে জান….!

হায়াত আমতা আমতা করে বলতে থাকলো।
– আব্ আব্ আপনার ব্যাথা, আপনার কষ্ট হচ্ছে তো।

এই বলেই আবার ডুকরে কেঁদে উঠে বেচারি। আরাবি এমন পরিস্থিতিতেও না হেসে থাকতে পারলো না,তাই মুখ টিপে হেসে ফেললো।

আদিব কপাল স্লাইড করে হায়াতের দিকে তাকাতেই হায়াত আরো জুড়ে জুড়ে কাঁদতে থাকলো।
– লাইক সিরিয়াসলি বউ! তুমি আমার জন্য কাঁদছো।
আর কিছু না বলে আদিব হায়াতের অধর নিজের আয়ত্তে এনে ফেললো, এরপর আস্তে করে লাজুকপাখিকে বুকে জড়িয়ে নিলো৷

আর আরাবি এদের কান্ড দেখে লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখলো। আদিব হায়াতের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। মিনিট দশেক পর হায়াতের কান্না আর হেঁচকি দুটোই থেমে গেলো।

আরাবি চিন্তিত মুখে বললো,
– হায়াত চল ভাইয়াকে নিয়ে হাসপাতালে যাই,একটা এক্স-রে করলে ভালো হবে।

হায়াত মাথা নাড়ালো, কিন্তু আদিব হায়াতের দিকে তাকিয়ে বললো ,
– না বাড়ি চলো,আমার রেস্ট নিতে হবে প্লিজ।

হায়াত আর আরাবি দুজনই আর কথা বাড়ালো না, চুপচাপ রিকশাটা আস্তে আস্তে সাভারের উদ্দেশ্যে চলতে থাকলো। আরাবি ফোনে তার বাবা মাকে সবটা বললো, আরাবিকেও থাকার পারমিশন দিয়ে দিলো।

আস্তে আস্তে মডেল কলেজ রুডের সামনে এসে রিকশাটা থামলো। হায়াত আর আরাবি দুজন মিলে আদিবকে নিয়ে চৌধুরী বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলো।

সোফায় বসিয়ে দিয়ে হায়াত বোরকা খুলে আরাবির হাতে দিলো। আর আরাবিও ওপরে রাখতে চলে গেলো।
হায়াত দৌড়ে গিয়ে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি এনে আদিবের পায়ে শেক দিতে লাগলো। আদিব সোফায় গা এলিয়ে দিলো।

বেশ কিছুক্ষণ ধরে হায়াত মনোযোগ দিয়ে নিজের কাজ করছিলো। আদিবের দৃষ্টি হঠাৎ থমকে গেল হায়াতের থ্রি-পিসের প্রশস্ত গলার খোলা ফাঁকটায়, যেখানে উঁকি দিচ্ছিল তার বক্ষের স্নিগ্ধ সৌন্দর্য—যেন চন্দ্রালোকে ঢাকা কোনো নিভৃত ফুলের পাপড়ি অল্প আড়াল ভেঙে নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।

সামান্য ঢোক গিললো সে। তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে হায়াতের গলায় স্পর্শ করতে লাগলো। হায়াত কেঁপে ওঠে। আদিব নেশালো চোখে হায়াতের দিকে তাকালো।

হায়াত তাড়াতাড়ি করে হাত দিয়ে ঢেকে ফেললো। আদিব দুষ্টু হেসে বললো,
– ধুর ঢাকছো কেনো দেখতে দাও,বউ লজ্জা পাচ্ছো কেন আমরা আমরাই তো।

– খারাপ, উনি নাকি ব্যাথা পেয়েছে, অথচ ওনার লুচ্চামি কমছে না।

আদিব কাঁদো কাঁদো গলায় বললো,

– বউ এটা কিন্তু ঠিক না,আমি তো তোমার সাথেই এগুলো বলি,অন্য কারো সাথে তো আর না,এভাবে হাসবেন্ড কে কেউ লুচু বলে।

– চুপ থাকুন তো, চলুন রুমে নিয়ে যায়। আরাবি এসে যাবে এখনি…..

আদিব খুশি প্রায় যেনো লাফিয়ে ওঠলো,
– হ্যা রুমে চলো তাড়াতাড়ি।

ততক্ষণে আরাবি নিচে এসে পড়লো। হায়াত আর আরাবি দুজন মিলে আদিবকে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে প্রবেশ করলো। আদিবকে আস্তে করে শুইয়ে দিল। আরাবি আর হায়াত দুজনেই রুম থেকে বের হয়ে গেলো।আদিব ফোন বের করে ফাইলের সব কিছু একজন স্টাফকে সব জানিয়ে দিলো।

বালিশে হেলান দিয়ে কিছুক্ষণ আগের দৃশ্য মনে করে ঠোঁট কামড়ে হাসতে লাগলো, মনে মনে ভাবলো – ইস আমার বউটাকে মারাত্মক লাগছিলো, এক কথায় আবেদনময়ী। কিছু পিক তুলে রাখলে মন্দ হতো না।

আরাবি আর হায়াত দুজনেই কিচেনে এসে টুকটাক রান্না করে নিলো রাতের খাবার,আজ রোজি খালা রান্না করতে আসে নি বিধায় হায়াত আর আরাবিকেই করতে হবে।
আরাবি একটা আপেল বের করে খেতে লাগলো,হায়াত মুচকি হেসে ভাত বসিয়ে দিলো। আরাবি একটুপর বলে ওঠলো,
– এই তোদের বাড়িতে কেউ থাকে না নাকি।
– কেনো ?
– না এমনিই, এইযে কেউ নেই একা থাকতে তোর ভয় লাগে না।
– আব্ বাসার সবাই তো গ্রামের বাড়ি গিয়েছে। আমার চাচাতো দেবরের বিয়ে সামনের সপ্তাহে, তোকে না তোর ভাইয়া আর নুপুর গিয়ে কার্ড দিয়ে এসেছে। যাইহোক কাল বা পরশুই আবার বাড়ি ভর্তি মানুষ হবে।

এভাবেই টুকটাক কথা বলতে বলতে দুই বান্ধবী রান্না সেড়ে নিলো। আরাবি ডাইনিং টেবিলে বসে খেতে লাগলো, আর হায়াত আদিবের জন্য খাবার নিয়ে ওপরে চলে গেলো।

রুমে প্রবেশ করতে দেখলো আদিব চুপচাপ শুয়ে আছে। আদিবকে এমন চুপেচাপ দেখে একটু কষ্ট হলো হায়াতের। দীর্ঘ নিশ্বাস ফুঁকে বিছানাতে বসলো হায়াত। আদিব পিট পিট করে চোখ খুলে তাকালো। হায়াত ভাতের লোকমা একের পর এক মুখে দিতে লাগলো আদিবের। খাওয়ানো শেষ করে ওড়না দিয়ে মুখ মুছিয়ে দিয়ে ঔষধ খাইয়ে দিলো।

হায়াত ওঠে যেতেই আদিব তার ওড়না ধরে টেনে নিজের কুলে তুলে নিল । হায়াত নাক মুখ কুচকে আদিবের দিকে তাকালো।

আদিব কিছু বলবে তার আগেই হায়াত ওঠে দাড়িয়ে গেলো। আদিব বাচ্চাদের মতো ফেস করে বললো,

– বউ কাছে আসো..!
– সর তুই গু খা গা, বা’ললললললল।
– ইস কি মুখের ভাষা আমার বউয়ের। মুখ দিয়ে যেনো তাজা করল্লা চুইয়ে চুইয়ে পড়ে।
– চুপপপপপপ।

আদিব হায়াতকে আবারো কাছে টেনে নিয়ে আসলো , হাস্কি স্বরে বললো,
– একটা চুমু খেলে কি খুব খারাপ হবে জান ?
– একটাই তো ?

ব্যাস হায়াতকে আর কোনো কথা বলতে দিলো না সে। সেদিনের আনা কয়েকটা চকলেট রয়ে গিয়েছিলো, সেখান থেকে আদিব একটা চকলেটের কিছু অংশ হায়াতের গালে ভরিয়ে দিলো,আর তা রশনা দিয়ে পরম আবেশে লেহন করতে লাগলো, হায়াত কেঁপে ওঠে, একটু নাকে দিকে সেটাও খেতে লাগলো,এভাবের হায়াতের পুরো শরীর জুড়ে চকলেট ভরিয়ে আদিব খেতে লাগলো। হায়াত আস্তে আস্তে বেসামাল হয়ে গেলো, আদিবের অধরে কিছু চকলেট দিয়ে নিজেও লেহন করতে লাগলো,আস্তে আস্তে হায়াতের উদরে মুখ ডুবিয়ে দিলো আদিব, আর তা আরো নিচের দিকে স্পর্শ করতে লাগলো,চকলেট দিয়ে সারা শরীর মেখে নিলো আদিব, পরম যত্নে খেতে লাগলো তা, হায়াতের নিশ্বাস আছড়ে পড়ছে আদিবের বুকে। শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আদিব তার লাজুকপাখিকে। সারা শরীর জুড়ে অধর ছুয়ে দিতে লাগলো হায়াত। আদিব স্থির হয়ে বসলো,

– বিসমিল্লাহ…..
– প্লিজ আস্তে………..

আদিব হায়াতের হাত বেল্ট দিয়ে বেধে নিলো,হাসফাস করতে লাগলো হায়াত, আদিব মুচকি হেসে হায়াতের সর্বাঙ্গে দুধ ঢেলে দিলো, আস্তে আস্তে রসনা দিয়ে লেহন করতে লাগলো,খানিক সময় পরপরই হায়াত কেঁপে কেঁপে ওঠে। বেশ কিছুক্ষণ আদিব আত্নার আকাঙ্ক্ষিত কামনা চালিয়ে যেতে থাকলো,আর হায়াত পরম আবেশে চোখ বন্ধ করে তৃপ্তি নিতে থাকলো। এভাবেই দিনের আলো নিভে যাওয়া অব্দি তাদের আত্নার সংযোগ চলতে থাকলো।

——–

সকাল ঠিক সাতটা। কুয়াশায় মোড়া শীতের দিন।
হায়াত ফরজ গোসল সেরে বের হলো, ঠান্ডা জলে শরীর ভিজে একেবারে কাঁপছে। তবুও দায়িত্ব এড়ায় না সে।চাদরটা কাঁধে জড়িয়ে কাপতে কাপতে বেরিয়ে গেলো বারান্দায়।

বারান্দার কোণে ক্লিও—আদিবের প্রিয় পোষা বিড়াল—অপেক্ষায় বসে আছে।
চোখে একরাশ আদুরে ভঙ্গি, যেন বলছে—মাম্মাম খেতে দাও …..

হায়াত হাসল মৃদু ঠোঁটের কোণে। কাঁপতে কাঁপতে থালায় দুধ আর খাবার নামিয়ে দিলো ক্লিওর সামনে।
ক্লিও খাওয়া শুরু করলো, আর হায়াত দাঁড়িয়ে রইলো—শীতের কনকনে হাওয়া, ভিজে শরীর, আর তবুও এক অদ্ভুত শান্তি ছড়িয়ে পড়লো তার ভেতরে।

#চলবে……