#ভীনদেশী_তারা
#শারমিন_প্রিয়া(১৩)
ভেতর থেকে হন্তদন্ত হয়ে বের হয়ে আসলেন জিয়ানের মা, শাওলি। আমাকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়লেন, আমাকে দেখে মনে হচ্ছে উনাদের গলার পানি শুকিয়ে গেছে। কারও মুখে কোনো কথা নেই। জিয়ানের বাবা উনার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, “এ কী সেই মেয়ে?”
ভালো করে চায়নিজ না বলতে পারলেও এতদিন থেকেছি ওখানে তাই কে কী বলে বুঝতে পারি।
জিয়ানের মা মাথা নাড়ালেন।
“আমার বাড়িতে আসার সাহস কী করে হলো ওর? এক কোপে মাথা কেটে দেব নাকি।”
তখনই ঘর থেকে বের হয়ে এলো শিয়াং। তার বাবাকে বলল, “মেজাজ গরম করবেন না, আমি বের করে দিয়ে আসছি।”
শিয়াং আমার কাছে এসে হাত ধরে বলল, “চলো তোমাকে এগিয়ে দেই। আর জীবনেও এখানে আসবে না।”
আসার আগে ভাবছিলাম, জিয়ানের খোঁজ নিয়ে তবেই এখান থেকে ফিরব। কিন্তু এসে যা পরিস্থিতি দেখছি, আমার গলার পানি শুকিয়ে আসছে। এইরকম পরিস্থিতিতে আমি জীবনেও পড়িনি। কণ্ঠস্বর যেন থেমে গেছে, কোনো কথাও বলতে পারছি না আমি। শাওলি আর জিয়ানের মায়ের দিকে তাকাচ্ছি শুধু। শিয়াং এক প্রকার জোর করে আমাকে টেনে নিচ্ছে। শিহা তাকিয়ে আছে অবাক চোখে। কয়েক কদম আসার পর জিয়ানের বাবা বলে উঠলেন, “থামো। এদিকে এসো মেয়ে।”
ফের উনার সামনে গেলে শিহার দিকে আঙুল তুলে দেখিয়ে বললেন, “জিয়ানের মেয়ে?”
“জিয়ান আর আমার মেয়ে।”
“ঘরে এসো।”
তারপর জিয়ানের মায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, “ওকে বিশ্রাম নিতে দাও। খাবার দাও।”
মুহূর্তে এত পরিবর্তন খটকা লাগছিল আমার। কেন আমাকে ঘরে ডেকে নিচ্ছেন কে জানে। বলছেন যখন যাই, হয়তো জিয়ান এ বাড়ির কোথাও আছে। কোন খোঁজ পাব। শাওলি নেমে এসে আমাকে নিয়ে ঘরে গেল। শিহাকে কোলে তুলে নিলেন তার দাদী। ভালো করে দেখে বললেন, “এ তো একদম আমার জিয়ান।” উনি আদর করতে লাগলেন। শাওলি তাড়াতাড়ি আমার জন্য খাবার রেডি করে শিহাকে কোলে তুলে নিলো। আদর করলো। জিজ্ঞেস করলো আমার দিকে তাকিয়ে, “নাম কী রাখছো?”
“শিহা।”
শিয়াং চিন্তিত মুখে বসা ছিল চেয়ারে। শিহা নাম শুনে চমকে আমার দিকে তাকায় সে। “তুমি আমার কথা মনে রাখছিলে?”
মাথা ঝাঁকিয়ে বললাম, “হু। তোমার নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছি।”
সে এক ঝটকায় শাওলির কোল থেকে নিয়ে নিলো শিহাকে। “মা আমার…” বলে চুমু খেয়ে কথা বলতে লাগলো, এই সেই নানান আদুরে কথা।
শিহা দ্রুত মিশে গেল শিয়াংয়ের সাথে। সে হাসছে শুধু। শিয়াং দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “হাসিটাও ভাইয়ার মতো।” আমি খেয়াল করলাম, জিয়ানের কথা উঠতেই সবার মুখ মলিন হয়ে উঠলো।
খেতে পারলাম না। হাত ধুয়ে নিলাম। জিজ্ঞেস করলাম, “আমি জিয়ানের জন্য এসেছি। দুই বছর ধরে তার কোনো খোঁজ নেই। সে কি বাড়িতে আছে?”
শাওলি মুখ চেপে ধরলো এসে, “চুপ, বাবা বাইরে। আস্তে কথা বলো।”
তারপর উপরে নিয়ে গেলো তারা আমাকে। রুমে ঢুকে হিটার চালিয়ে দিলো। শিহা ঘুমিয়ে পড়লে তাকে শুয়ে রাখলাম। শিয়াং আর শাওলি বসলো চেয়ারে, আমি খাটের উপর। বললাম, জিয়ানকে একবার ও দেখলাম না। বলো তো তোমরা, জিয়ান কোথায়? কী হয়েছে ওর?”
শিয়াং বলতে লাগলো, “উহানে পরিচিত অনেকে আছে বাবার। কেউ হয়তো বাবাকে জানিয়েছে তোমাদের বিয়ের বিষয়টা। বিয়ে হয়েছে সমস্যা এতে নয়, ভাইয়া যে ধর্ম ত্যাগ করেছে সমস্যা এটাতে। বাবা হলেন এলাকার সর্দার। জানাজানি হলে সভা বসলো এলাকায়। সবাই বাবাকে জাজ করতে লাগলো, কৈফিয়ত চাইতে লাগলো কেন ভাইয়া ধর্ম ত্যাগ করলো। বাবা রাগী মানুষ। এই নিয়ে অনেক ঝগড়া মারামারি হয়েছে। উহানে গিয়ে তোমাকে সরিয়ে দিবেন, বাবা এটাও বলেছেন। ভাইয়াকে বলেছি আমি এসব। ভাইয়া বাড়ি আসা বন্ধ করে দিলো। তারপর যেদিন বাংলাদেশ গেলে ওইদিন ঝগড়া লাগে ভাইয়ার বিষয়ে। মাকে বাবা মারেন, কেন সবাই সবকিছু জেনেও উনাকে জানায়নি। মায়ের অবস্থা খারাপ ছিল, হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভাইয়াকে জানাই। ভাইয়া তাড়াতাড়ি বাড়ি আসে। ভাইয়া ঠান্ডা মানুষ। মায়ের অবস্থা দেখে হয়তো তার রাগ প্রচণ্ড উঠেছে। সে বাবার মুখোমুখি হয়। শুরু হয় আবার অশান্তি। তুমুল তর্কাতর্কি হয় বাবা আর ভাইয়ার মধ্যে। আমার জন্মের পরে কখনও ভাইয়াকে চোখ তুলে কথা বলতে দেখিনি বাবার সাথে। ওইদিন দেখেছি। ভয়ে আমি কাঁপছিলাম। বাবা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘তোর বউকে আমি জীবিত ছাড়ব না। জানে মেরে ফেলব।’ ভাইয়া তখন তেড়ে যায় বাবার দিকে। বাবার হৃদয় বলতে কিছু নেই, তাছাড়া এলাকার মানুষের থেকে নিচু কথাও শুনেছেন, সব ভাইয়ার জন্য। ভাইয়ার তেড়ে আসা দেখে বাবা গর্জে উঠেন। পাশে রাখা ছিল লোহার ফুলদানি। সেটা দিয়ে বাড়ি মারেন ভাইয়ার মাথায়। ভাইয়া পড়ে যায়। চোখের পলকে এত বড় দূর্ঘটনা হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। চিৎকার শুরু করলাম আমি। মানুষ জড়ো হলো। তাড়াতাড়ি তাদের সাহায্যে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভাইয়ার সেন্স ছিল না। রক্তে লাল ছিল পুরো শরীর। আমার শরীরও রক্তে ভিজেছিল।”
এই অব্দি বলে শিয়াংয়ের গলা ধরে আসে। সে একটু থামে।
আমার কান্না আসছে না। কান্না করতে করতে আমার চোখের পানি ফুরিয়ে গেছে। আমি রোবটের মতো সব কথা গিলছি শিয়াংয়ের।
“তারপর…?”
“ডাক্তার জানিয়েছে, ভাইয়ার অবস্থা ভীষণ খারাপ। সে কোমায় চলে গেছে।”
অস্থির হয়ে উঠলাম আমি। “কোন হাসপাতালে আছে এখন?”
তারা ভাইবোন একে অপরের দিকে চাওয়া চাওয়ি করে।
“বলো না কোন হাসপাতালে, আমি এখনই যাব।”
“আগে শোন নীহারিকা, ভাইয়া চার মাস কোমায় ছিল। তারপর মায়ের প্রার্থনা বোধহয় যিশু শুনেন, ভাইয়ার জ্ঞান ফিরে। প্রথমেই সে তোমার কথা বলছিলো। বাবা বলেছিলেন আমাদের, তোমার সাথে যোগাযোগ না করতে। যদি করি তার ফল ভালো হবে না। মায়ের অবস্থা খারাপ করলেন, ভাইয়াকে প্রায় মেরে ফেলছিলেন। আরও বিপদের আশঙ্কা পেয়ে আমরা সবাই সিম পাল্টে ফেলি। আমাদের সাথে তোমার যোগাযোগ করার কোনো পথই রাখি না। ভাবি, তুমি অপেক্ষা করতে করতে একসময় ঠিকই ভুলে যাবে। তোমার মাস্টার্সে স্কলারশিপ পেয়েছো আমি জানতাম। আমি খোঁজ নিয়েছিলাম, শুনি তুমি নাকি আর আসোনি উহানে। তোমার জন্য আমার মা ভাইয়ার অবস্থা খারাপ হয়েছে, ভাইয়া মরতে বসেছিল তাই মাও বলেছেন, তোমার নাম যেন আমাদের জীবন থেকে মুছে দেই।”
“জিয়ান কোথায় সেটা বলো।”
“ভাইয়া বাড়ি আসলে মা ও ভাইয়াকে দিয়ে প্রতিশ্রুতি করান। যা হওয়ার হয়েছে, আর যেন ভাইয়া তোমার খোঁজ না নেয়। ভাইয়া তোমার কাছাকাছি গেলে ভাইয়াও মরবে, তুমিও মরবে। বাবার হাত অনেক লম্বা, উনি ছাড়বেন না। ভাইয়া সেদিন কোনো কথা বলেনি। তার পরের দিন থেকে ভাইয়া উধাও। সব শহরে কত খোঁজ করলাম ভাইয়ার কোনো খোঁজ পাইনি আর আজও নেই। বাবা বলে দিয়েছেন, যে মেয়ের জন্য আমার ছেলে ধর্মের মুখে চুনকালি মাখিয়েছে, আমার ছেলে নিখোঁজ হয়েছে, ওই মেয়ে যদি কখনও এই শহরে আসে তাহলে সাথে সাথে মেরে ফেলবি। আজ তোমাকে দেখে জান কাপছিল আমাদের। বাবা কি না কী করে বসেন। তাই দ্রুত বের করে দিতে চাচ্ছিলাম তোমায়। কিন্তু হঠাৎ ডেকে ভেতরে নিয়ে আসলেন কেন কে জানে। ভয় লাগছে আমাদের। তুমি রাতেই চলে যেও। আমি বের করে দিয়ে আসব।”
এতকিছু শুনে কী করব, কী করা উচিত আমার কিছুই মাথায় ঢুকছে না। যার জন্য সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আসলাম, তারও খোঁজ নাই। তার খোঁজ তার বাড়ির মানুষই জানে না। আমার সাথে জীবন কেন এভাবে খেলছে? চোখ বন্ধ করে খাটের উপর হেলিয়ে দিলাম মাথা। এই যন্ত্রণা আর ভালো লাগছে না আমার। সমুদ্রে যেমন কোনো কিছু অনায়াসে তলিয়ে যায়, আমারও এরকমভাবে তলিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে।
শাওলির মা এসে ডাকেন আমায়। আমি চোখ খুলি, বসি। উনি ঘুমন্ত শিহার মাথায় হাত বুলান। তারপর আমাকে বলেন, “তোমার ভালোর জন্য বলছি মা। তুমি রাতেই চলে যাও। এ দেশে আর কখনও আসবে না। তোমার শশুর একটা নরপশু। তার সম্মান বাঁচাতে সে সব করতে পারে। রেডি থেকো, শিয়াং নিয়ে যাবে স্ট্যান্ডে। রাতের বাস ধরে চলে যাবে।”
আমি কিছু বলিনি। উনি শিয়াং আর শাওলিকে সাথে নিয়ে ঘর থেকে বের হন। কোনো কিছু আর ভাবতে পারছি না আমি। মাথা ভু ভু করছে। আজ কতরাত ধরে ঠিকঠাক ঘুমাইনি আমি। কাল সারারাতও জেগেছি। এই জার্নি এত স্ট্রেস নিয়ে ক্লান্ত আমি। আমার চোখে রাজ্যের ঘুম জড়ো হয়েছে। চোখ মেলে তাকাতেই পারছি না আর। শিহার গায়ে এক হাত দিয়ে ঘুমের দেশে তলিয়ে গেলাম আমি।
ঘুম ভাঙে অনেক দেরিতে। ক্লান্তিভাব কমেছে, মাথা শূন্য লাগছে না, তার মানে অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছি। মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি বিকাল ৪টা বাজে। বাবা, এতক্ষণ ঘুমিয়েছি। শিহা উঠেনি নাকি? ও তো উঠলেই বুকের উপর উঠে পড়ে, তখন এমনি ঘুম ভেঙে যায়। পাশে হাত দিয়ে খালি দেখি বিছানা। ভাবলাম হয়তো সরে গেছে অন্য পাশে। রুম অন্ধকার। শুধু জানলার পর্দার ফাঁক দিয়ে অল্প আলো এসে ঢুকছে। আমি মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে দেখি বিছানায় সত্যি শিহা নেই। হয়তো আগে উঠে পড়ছিল, আমার ঘুম ভাঙেনি তাই কেউ নিয়ে গেছে। আমি ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামি। বসার ঘরে বসা ছিল সবাই। চোখ বুলাই চারপাশে, দেখি শিহা নেই। শাওলিকে জিজ্ঞেস করলাম, “শিহা কোথায়?” শাওলি কিছু বলল না। কেমন একটা গম্ভীর, চিন্তিত, অসহায় ভাব নিয়ে বসে আছে সবাই। আরও দুবার জিজ্ঞেস করলাম, কেউ উত্তর দিলো না। জিয়ানের বাবা তখন বসার ঘরে ডুকেন। আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “চলে যেতে পারো।”
“জ্বি রাতেই চলে যাব। কিন্তু আমার মেয়ে, মেয়ে কোথায়?”
“ওটা তোমার মেয়ে নয়। আমার ছেলের মেয়ে। আমার বংশধর। ও এখানে থাকবে।”
কান ভু ভু করে উঠলো আমার। কী বলে এই লোক! পাগল হয়ে গেল নাকি! আমি উনাকে এক পলক দেখে বাকি সবার দিকে এলোভাবে তাকালাম। তারা কেউ কিছু বলছে না। চুপসে বসে আছে। চিৎকার করে উঠলাম আমি, “আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দাও। মেয়ে কই আমার? ও আমার মেয়ে। ও আমার কাছে থাকবে। আমি তোমাদের দিয়ে দেবো না, ওকে।”
জিয়ানের বাবা শিয়াংকে বিষাক্ত কণ্ঠে বললেন, “ওকে তাড়াতাড়ি বিদায় করো বাড়ি থেকে। নয়তো ওকে খুন করে ফেলব আমি।” বলেই উনি বের হয়ে যান।
আমার হাত পা কাঁপে। কী হচ্ছে এসব! একটা ঘোর মনে হচ্ছে। আমি ছুটে গিয়ো পায়ে পড়ি জিয়ানের মায়ের। কান্না করে বলি, “আমার মেয়েকে কোথায় রেখেছেন উনি, দয়া করে বলুন। আমার মেয়েই আমার সব। আমি মরে যাব ওকে ছাড়া।” উনার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি আমি। জল চকচক করছে উনার চোখে, কিন্তু কিছু বলছেন না। শিয়াংয়ের হাত চেপে ধরলাম, “বলো না শিয়াং, কেউ তো দেখেছো শিহাকে। কোথায় রাখছেন নিয়ে? আরে ও ছোট বাচ্চা। মাকে ছাড়া কিছু বুঝে না। কান্না করে মরে যাবে আমার মেয়ে।”
আমার এত আহাজারি দেখেও কেউ কিছু বলছে না। চোখ মুছে শ্বাস ছেড়ে জেদি কণ্ঠে বললাম, “কেউ কিছু বলছো না যখন, আমি আইনের কাছে যাব।”
“ভুলেও এ কথা বলো না নীহারিকা। এই অঞ্চল বাবার অধীনে। বাবার কথাই সব। ভিনদেশে তুমি, আইনে গেলে হিতে বিপরীত হবে।”
“বিদেশী তো কী হইছে শাওলি। আইন তো সমান। অন্য প্রদেশে যাব।”
“এখান থেকে ঠিকঠাক বের হলে তবেই তো আইনে যাবে।”
“আমি কিছু জানি না, আমার মেয়েকে এনে দাও আমার কাছে। কোথায়, কখন নিয়েছেন?”
“আমরা দেখিনি।”
“মিথ্যা কথা। এতজন থাকতে কেউ দেখোনি! সবাই শুনে রাখো, যতক্ষণ আমার মেয়েকে আমি না পাচ্ছি, আমি এক পাও নড়ব না এ বাড়ি থেকে। তাতে যদি ওই নরপিশাচ আমাকে মেরে ফেলে, তাও ফেলুক।”
জিয়ানের মা চোখ মুছে আমার হাত ধরে বলেন, “অসহায় একজন মা আমি। কোনো সাহায্য করতে পারছি না তোমায়। মেয়েটাকে নিতেও দেখিনি। মাঠে ছিলাম আমি। কী বলে সান্ত্বনা দেবো বা কী বলা উচিত আমার মাথায় আসছে না। তবে মেয়েটাকে ও যখন বংশধর বলেছে, তাহলে ওর ক্ষতি করবে না এটা নিশ্চিত থাকো। তুমি একজন মা, তবু বাধ্য হয়ে বলছি, নিজেকে বাঁচাতে চাইলে তুমি চলে যাও। ওই লোক এসে তোমাকে বাড়িতে দেখলে আগুন তুলবে।”
“ আপনারা শুনে রাখুন। আমি উপরে গিয়ে বসছি। আমি মরলে মরব তাও যাব না।” এই বলে উপর তলায় চলে যাই। মেঝেতে বসে পড়ি। চোখ মুছতে মুছতে নিজেকে বলি, শিহাকে ছাড়া এক পা-ও তুলব না এই বাড়ি থেকে।
চলমান….!