জলতরঙ্গের সুর পর্ব-৩৯ এবং শেষ পর্ব

0
1

#জলতরঙ্গের_সুর
শেষ পর্ব. [রোমান্টিক এলার্ট ‼️]
লেখা – আসফিয়া রহমান
অনুমতি ছাড়া কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ❌

দুপুরের রোদ তখন মলিন হয়ে রূপ নিয়েছে বিকেলের কোমল আলোয়। আকাশের রঙে লেগে আছে ক্লান্ত সোনালি ছোঁয়া। যেন সারাদিনের উত্তাপ শেষে প্রকৃতিও শান্তিতে একটুকরো নিঃশ্বাস ফেলছে। রাস্তার দুধারের গাছের পাতাগুলো হালকা হালকা বাতাসে দুলছে, তাদের ছায়া পড়ছে কল্লোলের গাড়ির বন্ধ কাঁচের ওপর।

গাড়িটা ধীরে ধীরে শান্তিনগরের পরিচিত গলিতে ঢুকল।
কল্লোল জানালার ফাঁক দিয়ে তাকাল বাইরে। রাস্তার দুপাশে ব্যস্ত মানুষের পদচারণা। প্রতিবার ও এই একই রাস্তাটা দিয়ে বাড়ি ফেরে, কিন্তু এবারের ফেরাটা অন্যরকম। আগে কখনো কেউ ওর ফেরার অপেক্ষা করত না। কিন্তু এখন একজন আছে, যে অধীর আগ্রহে ব্যাকুল চিত্তে অপেক্ষা করছে কল্লোলের বাড়ি ফেরার। কল্লোল বুকের ভেতর প্রেয়সীকে দেখবার গভীর তৃষ্ণা অনুভব করে।

গাড়িটা এসে থামল কালো রঙের একটা গেট বরাবর। গাড়িটা থামতেই কাঁচের ওপারে দৃশ্যমান হলো কল্লোলের প্রেয়সীর মুখখানা। সাদা-আকাশি কুর্তি পরিহিত মেয়েটার কালো ডাগর ডাগর চোখদুটোয় গভীর অপেক্ষা, প্রিয় পুরুষটার বাড়ি ফেরার অপেক্ষা।

গাড়ির দরজা খুলে কল্লোল নেমে দাঁড়াতেই সময় যেন এক লহমায় থমকে গেল। এতদিনের অপেক্ষার অবসান হলো অবশেষে। ঊর্মি দাঁড়িয়ে আছে অদূরে, ওর বুকের ভেতরটা কাঁপছে অদ্ভুত উত্তেজনায়। ওর চোখে অবিশ্বাস আর আনন্দের মিশেল। মানুষটা আজ সত্যি সত্যিই ওর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, এটা যেন বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে ওর।

ঊর্মি ধীরে ধীরে এগিয়ে এলো। কল্লোলকে না ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে রইলো দূরত্ব রেখে। যেন ভয় পাচ্ছে ও, ছুঁয়ে দেখলেই মানুষটা হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। এতদিনের উদ্বেগ, নির্ঘুম রাত সব বুঝি বৃথা হয়ে যাবে এক মুহুর্তে।

কল্লোল চোখ রাখল প্রেয়সীর ছলছলে চোখদুটোয়। পৃথিবীর সমস্ত শব্দ বুঝি থেমে গেল সেই দৃষ্টিতে। ওর ঠোঁটে মৃদু হাসি ফুটল। হাত বাড়াল ও, “কাছে আসবে না, হানি?”

ঊর্মি তাকিয়ে রইল স্থির চোখে। গলাটা শুকিয়ে এসেছে ওর। মুহূর্তের মধ্যেই বুকের ভেতর জমে থাকা সব দমবন্ধ কান্না, উদ্বেগ যেন উথলে উঠল একসাথে।

ধীর পায়ে এগিয়ে এলো ও। এক পা, দু’পা, তারপর আরেক পা— তারপর হঠাৎ তীব্রগতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল প্রিয় পুরুষটার বুকের ওপর।

কল্লোল স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল কয়েক সেকেন্ড, তারপর ওর দু’হাত আস্তে করে বুকের ভেতর আগলে নিল প্রিয়তমাকে। নিচু হয়ে মুখ ডোবালো তার চুলের ভাঁজে।

রাহেলা চৌধুরী একটু দূরে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে ছিলেন।
চোখে তৃপ্তির হাসি তার। সন্তানের পূর্ণতার দৃশ্য চোখের সামনে এভাবে দেখলে কার না বুক ভরে ওঠে! রাহেলা কিছু না বলে কল্লোলকে চোখে ইশারা করে ভেতরে চলে গেলেন।

ঊর্মি মুখ তুলে তাকাল। চোখের কোণে অশ্রুকণা চিকচিক করছে, ঠোঁটে ফুটে উঠেছে একটুকরো মিষ্টি হাসি।

বাতাসে তখন শিউলি ফুলের গন্ধ। বিকেলের শেষ আলো গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে ছায়া ফেলছে প্রেমের তৃষ্ণায় তৃষ্ণার্ত এই দম্পতির গায়ে।

দু’জনের চোখ এক মুহূর্তের জন্যে স্থির হয়ে রইল পরস্পরের ওপর। দু’জনের চোখেই একইসাথে বইছে এক অদ্ভুত ঝড়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার আর তীব্র আকুলতার ঝড়। পরমুহূর্তেই দীর্ঘদিনের তৃষ্ণার্ত দুজোড়া ওষ্ঠ মিলিত হলো এক তীব্র অনুভূতির জোয়ারে।

কল্লোলের হাত অবাধে ভেসে গেল ঊর্মির বাঁকানো সরু কোমরে। ঊর্মির শরীরটা কেঁপে উঠল প্রিয় পুরুষটার ব্যাকুল স্পর্শে, হৃদয় স্পন্দিত হলো অদ্ভুত তীব্রতায়। সব শব্দ থেমে গেল চারপাশের; রাস্তার হর্ণ, আশপাশের কোলাহল, পাখির ডাক… সবকিছু যেন মিলিয়ে গেল এক নিঃশব্দ জগতে।

দীর্ঘসময়ের আশ্লেষী চুম্বনটার পর ক্ষণিকের জন্য শান্ত হলো দুটি তৃষ্ণার্ত প্রাণ। ঊর্মি চোখ খুলল, নিঃশ্বাসের ফাঁকে বুকটা ওঠানামা করছে তীব্রভাবে। দুজনের নাক ছুঁইছুঁই করছে। আলতো করে কল্লোলের গালে হাত রেখে ঊর্মি ফিসফিসিয়ে বললো, “তুমি… সত্যিই এসেছো?”

চোখে জল টলটল করছে মেয়েটার। কল্লোল মৃদু হাসল। কোমল কন্ঠে শুধালো, “তোমার কাছে না এসে পারি?”

বাতাসে আবার ভেসে এলো শিউলি ফুলের গন্ধ। সূর্য তখন গাছের ডালপালার ফাঁকে ফাঁকে শেষ বিকেলের নরম সোনালি ছটা ছড়াচ্ছে। দু’জনের মুখে নিঃশব্দ হাসি। এই বিকেলটাকে ওরা দুজনেই যেন মনের ভেতর চিরদিনের মতো এঁকে রাখতে চায়।

ঊর্মি তখনো কল্লোলের বলিষ্ঠ হাতের বাঁধনে আটকা।
বাইরে আকাশের রঙ গাঢ় হচ্ছে ধীরে ধীরে, গাছের ছায়া ঘনিয়ে আসছে। ওরা দুজনের কেউই নড়ছে না। যেন ভয় পাচ্ছে, এই নরম আলো, এই গন্ধ, এই স্পর্শ হারিয়ে যাবে যদি সামান্যও নড়ে ওঠে কেউ।

মুহূর্তটা অনন্তের মতো দীর্ঘ হয়ে রইল। ভালোবাসার তৃষ্ণায় তৃষ্ণার্ত দুটো মানুষ, যাদের ভালোবাসা অবশেষে খুঁজে পেয়েছে তার আশ্রয়।

___________________________________

রাত গভীর হয়েছে। জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে নরম চাঁদের আলো এসে পড়েছে ঘরে। কল্লোল জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছে। ওর হাতে ধোঁয়া ওঠা কফির মগ, ঊর্মি মাত্রই দিয়ে গেছে। কল্লোল বাইরে তাকিয়ে চাঁদের আলোয় ঝিকমিক করা রাস্তাটার দিকে চেয়ে মৃদু হাসছে।

ঊর্মি পিছন থেকে আস্তে করে হাত রাখল ওর কাঁধে।
“ব্যথা করছে?”

কল্লোল ওর হাতটা ধরল নিজের মুঠোয়, “উঁহু, তোমার ছোঁয়ায় সব ব্যথা হারিয়ে গেছে।”

ঊর্মি হাসল, “আপনি এমন সিনেমা ডায়লগও দিতে পারেন?”

কল্লোল ভ্রু কুঁচকে ঘুরে তাকাল, “তা একটু-আধটু পারি! কিন্তু তুমি আবার “আপনি আপনি” বলছ কেন?

“‘আপনি’ করেই তো বলি…”

“বলো না, বলতে। ফোনেও ‘তুমি’ করে বলছিলে, আজ আমি আসার পরেও ‘তুমি’ বলেছ!”

ঊর্মি একটু থমকে গেল। চোখ নামিয়ে ধীরে ধীরে বলল,
“ওটা তো… অজান্তেই বেরিয়ে গিয়েছিল।”

কল্লোল আলতো করে ওর থুতনি ধরে মুখটা নিজের দিকে তুলল। চাঁদের আলোয় ঊর্মির মুখটা বড্ড মায়াময় লাগছে। কল্লোলের চোখে তখন মুগ্ধতা।

“অজান্তে?” ওর কণ্ঠে মৃদু হাসি, “তাহলে জানিয়ে বলো এখন…”

ঊর্মি কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। ওর বুকের ওঠানামা টের পাওয়া যাচ্ছে, মুখশ্রীজুড়ে একরাশ দ্বিধা। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে ফিসফিসিয়ে বলল, “আবরার, তুমি…”

কথাটুকু সম্পূর্ণ করার সুযোগ হলো না। তার আগেই মেয়েটার গোলাপী ওষ্ঠদ্বয় চলে গেল তার প্রিয় পুরুষটার দখলে, কোনোরকম আগাম বার্তা ছাড়াই। ঊর্মি বড় বড় চোখ মেলে চাইল। কল্লোল বলিষ্ঠ হাতে প্রেয়সীর সরু কোমরখানা আঁকড়ে ধরে টেনে নিল নিজের কাছে। ঊর্মির বুকের ওঠানামা দ্রুত হয়ে উঠল, নিঃশ্বাস ভেঙে ভেঙে আসতে শুরু করল। কল্লোল দেরি না করে বুকে ঢলে থাকা প্রেয়সীকে এক ঝটকায় কোলে তুলে নিল।

ঊর্মিকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে কল্লোল ঝুঁকে এলো ওর ওপর। ঊর্মির চোখদুটো শক্ত করে বন্ধ করে রাখা। কল্লোল আস্তে করে ডাকলো, “হানি?”

ঊর্মি পিটপিট করে চোখ মেলে চাইল। প্রিয় পুরুষটার নেশাক্ত চোখজোড়া দেখে কেঁপে উঠল মেয়েটা। কল্লোল আবারো নেশাধরানো ধীর কন্ঠে ডাকলো, “সুইটহার্ট?”

“হ-হু…?”

কল্লোল ধীরে ধীরে ওর চুলে হাত বোলাতে লাগল। ওর হাতের উষ্ণ স্পর্শে শিউরে উঠল ঊর্মি, শিউরে উঠে চোখ বন্ধ করে ফেলল তৎক্ষণাৎ। কল্লোল আরও কাছাকাছি এসে মেয়েটার বন্ধ চোখের পাতায় চুমু খেয়ে ফিসফিসিয়ে বলল, “তুমি কি জানো, আমি এই মুহূর্তে তোমাকে কতটা চাইছি?”

ঊর্মির শরীর অচেতনভাবে কেঁপে উঠল কল্লোলের ধীর কণ্ঠস্বরে। হাত অজান্তেই প্রিয় মানুষটার গলা জড়িয়ে ধরলো। কল্লোলের ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসির রেখা। প্রিয়তমার নিকট থেকে সম্মতির ইঙ্গিত পেয়ে অধৈর্য পুরুষটার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। প্রিয়তমার কপালে আদুরে ভঙ্গিতে ঠোঁট ছুঁইয়ে সে ধীরে ধীরে ঠোঁট বেয়ে নরম চুমু খেল কাঁধে, গলার ভাঁজে।

গলার ভাঁজ থেকে নিচের দিকে নামার প্রয়াস চালাতেই আচমকা দুটো নরম হাতের বাঁধার সম্মুখীন হলো সে। মাথা উঁচিয়ে তাকাতেই চোখে পড়ল প্রিয়তমার দ্বিধায় ভরা চোখদুটো। মাথা নাড়িয়ে নেতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে সে।

ভ্রু দুটো কুঁচকে গেল ওর। পরমুহুর্তেই ঠোঁটের বাঁকে দুষ্টু হাসি ফুটলো, “এই ছোট্ট শরীরটার প্রত্যেকটা আনাচে-কানাচে আমার দেখা, হানি! নতুন করে আজ লজ্জা পাচ্ছো কেন…?”

ঊর্মির কান দিয়ে যেন গরম ধোঁয়া ছুটল। মেয়েটা হাঁসফাঁস করে উঠলো তীব্র লজ্জায়, “চ-চুপ করুন অসভ্য পুরুষ!”

এইমাত্র ‘অসভ্য পুরুষ’ আক্ষা পাওয়া মানুষটা হাসলো। “এভাবে লজ্জা পেও না, সুইটহার্ট! পরে এর মূল্য চুকাতে হিমশিম খাবে তুমি…”

“আ….”

মেয়েটার নরম ঠোঁটে তর্জনী ঠেকাল কল্লোল, “শশশ্, don’t talk.”

কানের কাছে ফেলা উষ্ণ নিঃশ্বাসে শিউরে উঠল ঊর্মির শরীর। ঊর্মি চোখ বুজে এলিয়ে পড়ল প্রিয় পুরুষটার বুকে। নিঃশ্বাসের ওঠানামা মিশে গেল দু’জনার মধ্যে— যেন একই ছন্দে চলেছে দুই হৃদয়ের ধ্বনি। কল্লোলের হাতের স্পর্শ ধীরে ধীরে অবাধ্য হলো। একেকটা স্পর্শে ঊর্মির বুকটা ওঠানামা করছে হাপরের মতো, নিঃশ্বাস আটকে আটকে আসছে। ওর চোখের কোণে জমে থাকা অজস্র না-বলা কথা যেন উথলে উঠল এই নিঃশব্দ মুহূর্তে।

কল্লোল আলতো করে ঊর্মির মুখের ওপর পড়ে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলল, “তোমার চোখে ভয়, হানি, I don’t wanna see it.”

ঊর্মি মুখ ঘুরিয়ে নিল, হাত দুটো কল্লোলের বুকে ঠেকিয়ে বলল, “আ-আমি পারছি ন-না… আ-আবরার… প্লিজ…”

কল্লোল ওর গালে মুখ ঘষলো। তারপর নিচু গলায় বলল,
“পারছো না? কিন্তু তোমার শরীর তো অন্য কথা বলছে, সুইটহার্ট।”

বলতে বলতে কল্লোল ঠোঁট নামিয়ে আনল ওর গলা
বেয়ে— কলারবোনে, বুকের ওপর। ঊর্মির শরীরটা হঠাৎ ঝাঁকুনি খেয়ে টানটান হয়ে গেল, কাঁপুনি বেড়ে গেল দ্বিগুণ। ও চোখ বন্ধ করে কাঁপা কাঁপা গলায় কোনোরকমে বলল, “আ-আবরার, প-প্লিজ, এ-ভাবে ন-না…”

কল্লোল আরও আঁকড়ে ধরল ওকে, এক হাতের মুঠোয় ঊর্মির হাতদুটো বন্দি করতে করতে ফিসফিস করে বলল, “No mercy tonight, baby… I badly want you right now.”

মুহূর্তের মধ্যেই কল্লোলের ঠোঁট দাবিয়ে ধরল ওর ঠোঁটকে। ঊর্মির চোখ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে এলো, কল্লোলের আঙুল গিয়ে থামল মেয়েটার সরু কোমরের বাঁকে, আলতো চাপ দিয়ে প্রেয়সীর শরীরটাকে টেনে নিল নিজের দিকে। দম নিতে না পেরে ঊর্মি ছটফট করে উঠলো। কল্লোল মেয়েটাকে ছাড়ল না, উল্টে আরো গভীর হলো ওর ছোঁয়া, আরো বেপরোয়া হলো স্পর্শ।

ভাঙা ভাঙা নিঃশ্বাসের ফাঁকে চাপা গোঙ্গানির শব্দ এলো। কল্লোল তখন ঊর্মির ধরে রাখা হাতদুটোর বাঁধন ঢিলে করেছে। ঊর্মি কাঁপতে কাঁপতে শক্ত করে আঁকড়ে ধরল কল্লোলকে। দমবন্ধ করা উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ল ঘরজুড়ে। কল্লোল আস্কারা পেয়ে আরও গভীর হলো। স্পর্শ, চুমু আর আদরে ভরিয়ে দিতে লাগল প্রেয়সীর শরীরটাকে।

দুটো শরীর একে অপরের সঙ্গে মিশে একাকার, আবেশে ভাসছে দুটি হৃদয়ের দীর্ঘদিনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা, প্রিয় মানুষটাকে কাছে পাওয়ার ব্যাকুলতা। চোখ বন্ধ করে ঊর্মি অনুভব করল কল্পনায় নয়, প্রতিটি স্পর্শ, প্রতিটি নিঃশ্বাস বাস্তব।

শেষ পর্যন্ত নিঃশব্দে দু’জন হারিয়ে গেল একে অপরের ভেতর। বাকি থাকল উষ্ণতা, হৃদস্পন্দনের তীব্র স্রোত আর রাতের নিস্তব্ধতায় ভেসে থাকা আবেশের ঢেউ। চোখের ভাষায়, নিঃশ্বাসের ছন্দে, তীব্র স্পর্শের পরতে পরতে ফুটে উঠল এক অপ্রকাশিত সংলাপ। ভালোবাসা এবার খুঁজে পেয়েছে তার চূড়ান্ত আশ্রয়—
দু’জন তৃষ্ণার্ত মানুষের নিঃশব্দ আলিঙ্গনে।

The End.