Vilen part-32+33

0
1

নাম : #vilen

পর্ব : ৩২

লেখিকা : #আনু_Anu

ফেসবুক পেইজ : #আনু_অনুভবে_অনুভূতি ( আনু )

✅গল্পের লিগাল লেখিকা আমি ও মুক্ত মন-মানসিকতার আপুরা পড়বেন এবং কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ!⛔


সময় চলছে সময় এর মতো। কারও জন্যে সময় থেমে থাকে নাহ। পানির স্রোত এর মতো বইতেই থাকে।

দীর্ঘ ৩ দিন পর রোজিকে ডিসচার্জ করা হবে হসপিটাল থেকে মা ও বাচ্চা দুজনেই সুস্থ তবে রোজি কিছু টা দূর্বল। রোজি খানিকটা শুকিয়ে গেছে। রোজি সেই দিন এর পর থেকে নিলয়ের সাথে একটিও কথা বলে নি। নিলয় অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু রোজির মুখ থেকে একটা শব্দও বের করতে পারে নি আর নাহ পেরে রাগে চলে গিয়েছে হসপিটাল থেকে।

শিউলি ও আশা রোজির সাথে থাকে সারাক্ষণ। রোজির কী লাগবে বা কোথায় যেতে হবে তার খেয়াল রাখে। রোজির মা ২ দিন ছিলেন তবে প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় শিউলি বকতে বকতে বাড়ী পাঠিয়েছে। তিনিও না পেরে চলে গেছেন তারপরও তিনি কিছুক্ষণ পর পর কল করেন। তবে শিউলি ও আশার মধ্যে কেওই বলে নি সেই দিন কী হইছে। তারা বলেছে যে রোজির হঠাৎ শরীর খারাপ লাগছে। নাহলে নিলয় আবার তাদের চোখে ছোটো হতো কিন্তু রোজির তা হতে দেয় নি। রোজির নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা কিছু বলে নি।

————————————–

নিলয় রোজই রোজির কাছে যায় খেয়াল রাখার চেষ্টা করে কিন্তু রোজি কোনো রেসপন্স করে নাহ। নিলয় কেভিনে থাকলে রোজি জড়বস্তু এর মতো করে বসে থাকে যেনো তার কেনো অনুভূতি নেই। নিলয় রোজিকে কিছু বলতে নিলে রোজি পাত্তা দেয় নাহ তা। আজ সকালেও নিলয় এসেছে কিনৃতু রোজি কিছুই বলে নি তাই আর না পেরে অফিস চলে গেছে।

রোজি ঠিক করেছে আশা, শিউলিকে নিয়ে তার বাবার বাড়ী চলে যাবে। শিউলি ও আশা তাদের স্বামীদের উপর বিষন খেপে আছে। তাই তারাও দ্বিমত করে নি। রোজি ভেবেছে ডিসচার্জ করলে তারা এখান থেকে সোজা তার বাবার বাসায় চলে যাবে। শিউলিকে রোজি এবং আসার মতই দেখেন রোজের বাবা-মা। তাই রোজি এই প্লেন করেছে। অবশ্য রোজি নিলয়ের উপর খুবই অভিমান করেছে। তাকে একটা বার জিজ্ঞেস করলেই হতো কীন্তু নাহ সে শুনে নি।

—-

বিকেল দিকে যেই ভাবা সেই কাজ রোজি রোজির বাবাকে কল করে আসতে বলে যেনো ডিসচার্জ করলেই তার বাবা সকল ফর্মালিটি শেষ করে তাদের নিয়ে যায়।

ঠিক ১ ঘন্টা পর রোজির বাবা এসে তাদের ৩ মেয়েকে নিয়ে বের হন বাড়ী যাবার উদ্দেশ্যে। রোজির বাবা আসামাত্র রোজির মুখে হাসি ফুটে ওঠে। বাবাকে এতোগুলো দিন পর থেকে রোজির খুশির শেষ নেই। আগের সকল ব্যথা লাগে মেয়েটা ভুলে গিয়েছে। রোজির বাবা রোজিকে শিউলির কাছে দিয়ে বললেন,

বাবা : মা একটু ওকে ধরে দাড়াও আমি গাড়ি নিয়ে আসি?

শিউলি : আচ্ছা বাবা যান আপনি।

আশা : আমার কাছে দিলে কী হতো?

বাবা : তুই বাচ্চা ফেলে দিবি সাথে নিজেও পরবি তাই দেই নি মা।

শিউলি : ঠিক বলেছেন এই মেয়ে ঠুসঠাস পরে যায়।

আশা : চুপ শয়তান গুলো।

রোজির বাবা ৫ মিনিট এর মাথায় গাড়ি নিয়ে এলেন। শিউলি রোজিকে আস্তে আস্তে বসালো। সিট টা একটু নিচু করে দিলো যেনো আধশোয়া হয় রোজির যেনো কোনো প্রবলেম নাহ হয়। তারপর আশা ও শিউলি পেছনে বসে পরলো। রোজি সিটে ওভাবেই ঘুমিয়ে গেলো। এতোদিন ঘুমতে পারে নি বাবাকে কাছে পেয়ে শান্তি লাগছে তাই চোখের পাতা ভাড়ি হয়ে আসায় সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরেছে মেয়েটা।

————————————–

এদিকে নিলয়ের গার্ড এমন দৃশ্য দেখে নিলয় কে তাড়াতাড়ি ফোন করে কিন্তু নিলয় ফোন তুলে না। গানটি বারবার নিলাকে কল করার চেষ্টা করে কিন্তু নিলয় কোনভাবেই ফোন তুলে না তারপর না পেরে রোহিদের নাম্বার ডায়াল করে। রোহিদকে সকল কিছু বলতেই রোহিত দ্রুত পায়ে নিলয়ের কেবিনে দৌড় লাগায় কারন নিলয়কে সকল কিছু জানাতে তবে। রোহিদ কেবিনে নক না করেই ডুকে পরে রোহিদ। নিলয় রোহিদের এমন অবস্থা দেখে দাড়িয়ে পরে আর জিজ্ঞেস করে,

নিলয় : এনিথিং রং?

রোহিদ : ভাই ভই ভাবি

নিলয় রোহিদয়ের শার্টের কলার চেপে বলে,

নিলয় : কী হয়েছ রোজির সোজা বল?

রোহিদ : ভাবিকে ডিসচার্জ করেছে আজ তাই ভাবি আশা এবং শিউলি আপনার শ্বশুর বাসায় চলে গিয়েছে।

নিলয় হুংকার ছুড়লো,

নিলয় : শিট শিট শিট আমাকে কেউ কল করেনি কেনো, তারাতারি গার্ড পাঠাও আমার ওয়াইফ এর লাইফ ঝুঁকি আছে।

রোহিদ : আমি তা আগেই করেছি।

নিলয় আবার বললো,

নিলয় : রোজিরা পৌছেছে বাড়ী?

রোহিদ : জী ভাই তাই টেনশন এর কিছুই নেই।

নিলয় : ওদের বাড়ীর চারপাশে গার্ড দেও আরুস বা কিংহু লোক পাঠাবে এবার সকল কিছু শেষ করতেই হবে দেখছি।

—-

রোজিরা বাসায় পৌছেছে এই ঘন্টাখানেক হবে হয়তো। রোজি ঘুমানোর জন্য রোজির বাবা বা আশা শিউলি এর মধ্য কেউই চায়নি রোজির ঘুম ভাঙতে তাই রোজিকে এই অবস্থয়ই রোজির বাবা কোলে করে মেয়েকে নিয়ে বাসয় ডুকেছেন তা দেখে রোজির মা ছুটে এলেন,

রোজির মা : আল্লাহহহ…..

শিউলি : শুসসসস মা চুপ করুন।

রোজির মা : ওর কী হইছে তুমি কোলে করে আনছে যে?

শিউলি : মা রোজি ঘুমিয়ে পরেছে তাই।

রোজির মা : আল্লাহ আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যাই হোক মা তোমরা ফ্রেস হয়ে আসো খাবার দেই।

আশা : আচ্ছা!! চল শিউলি আমরা ৩ জন এক রুমপ শুবো আগে ফ্রস হয়ে আসি ওকে চল চল।

বলেই দুজন উপরে চলে গেলো রোজির বাবা ও তাদের পিছু পিছু রোজিকে তুলে নিয়ে গেলেন রুমে ডুকে রোজিকে শুয়িয়ে দিলেন রোজির মা কিছুখন পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মেয়ে এর সারা শরীর মুছে নরমাল কাপড় পরিয়ে দিলেন। মেয়েএর মাথায় একটা চুমু খেয়ে চলে গেলেন নিচে। রাতের খাবার বানাতে। মেয়ে এর প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে।

——-

রাগে গজগজ করছে নিলয় কিছুতেই রাগ সামলাতে পারছে নাহ কী করবে বুঝতেও পারছে নাহ তাই বসা থেকে উঠে দাড়ালো তারপর গটগট করে হাঁটা ধরলো উদ্দেশ্য রোজির বাড়ী। গাড়িতে উঠতেই পিছনে রোহওদ ও রেদোয়ান কে দেখলো। তাদের দেখে চোখ কুঁচকে বললো,

নিলয় : কী চাই?

রোহিদ : ভাই আপনও যেই উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন আমাদের ও সেইম উদ্দেশ্য।

নিলয় : অন্য গাড়িতে যাও।

রোহিদ : নাহ আপনার টায় যাব ভাই।

দীর্ঘ ২ ঘন্টার পথ ১ ঘন্টায় এসেছে। গাড়ি থেকে নামতেই তড়িগড়ি করে বাসার কলিংবেল বাজাল। তবে গেইট খলে না বলে আরও বাজাতে লাগলো। বারবার প্রেস করছে এটা দেখে রোজির মা একজন মেড কে বললেন,

রোজির মা : দেখ তো কে এসেছে বেল বাজাতেই আছে।

মেডটি দরজা খুলে নিলয়কে দেখতেই মাথা নিচু করে সাইড হলো নিলয় এক মুহুর্ত দেরি করলো নাহ গট গট করে ডুকলো ড্রয়িং রুমে রোজি, শিউলি, আশা বসে মুভি দেখছে। রোজিকে মুভি দেখতে দেখে নিলয়ের রাগটা যেনো বেড়ে গেলো আরো। রোজি নিলয়কে দেখে অবাক এই লোক এখানে কেনো আজব। রোজি কিছুখন তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো। এটা দেখে নিলয় এর রাগ মাথায় তাই রোজির সামনে গিয়ে টুস করে রোজিকে কোলে তুলে নিলো। রোজির চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। নিলয় আর এক মুহুর্ত ও দাড়ালো নাহ গট গট করে উপরে চলে গেলো। এক এক করে রোহিদ ও রেদোয়ান একই কাজ করলো। আশাতো লাফাচ্ছে সে যাবে না তবে রোহিদ এর পুরুষালী শক্তির সাথে পারছে নাহ তারপর তারা উপরে যেতে লাগলো। এদিকে শিউলি ও রেদোয়ান এর কোলে ঠান্ডা হয়েই বসে আছে। তারাও উপরে যেতে লাগলো।

-নিলয় রোজিকে নিয়ে রুমে গিয়ে বললো,

নিলয় : কেনো এসেছো?

রোজি : কেনো বলবো?

নিলয় : বলতে বাদ্য তুমি রোজ রাগিও নাহ আমায়।

রোজি : আপনাকে আসতে বলেছে কে শুনি?

নিলয় : আমার ওয়াইফ আমি আসবেই।

রোজি : কাল ডিভোর্স দিয়ে দিব।

সাথে সাথে নিলয় রোজির মুখ আলতো করে চেপে ধরে এবং আস্তে আস্তে বললো,

নিলয় : এমন কথা বলতে নেই।

বলতে বলতেই দেখলো রোজি কিছু নাহ বলে ওয়াসরুমে চলে গেছে বের হয়ে বিছানায় এক কোনে শুয়ে পরলো। রোজির নিশ্বাস একটু ঘন হতেই নিলয় রোজিকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে জরীয়ে ধরে ঘুমলো যদি জেগে থাকতো তাহলে নিলয় তা পরতো নাহ। নিলয় একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে। কী করবে কিছু বুঝছে নাহ আবার কোবরা গ্যাং এর কারসাজি এর জন্যে টেনশন হচ্ছে। ভয় হচ্ছে রোজিকে নিয়ে। এমন অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে নিলয় ও ঘুমিয়ে পরলো।

চলবে,

নাম : #vilen

পর্ব : ৩৩

লেখিকা : #আনু_Anu

ফেসবুক পেইজ : #আনু_অনুভবে_অনুভূতি ( আনু )

✅গল্পের লিগাল লেখিকা আমি ও মুক্ত মন-মানসিকতার আপুরা / ভাইয়ারা পড়বেন এবং কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ!⛔


আজ প্রায় ২ মাস হয়েছে রোজি তার বাবার বাড়ী। রোজিকে কোনো ভাবেই নেওয়া যায় নি। এমন নাহ যে নিলয় চেষ্টা করে নি অনেক চেষ্টা করেছে সে রোজিকে নিজের কাছে আনার কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে!

সেদিন,
নিলয় রোজির দূরত্ব সহ্য করতে নাহ পেরে রোজিকে এক প্রকার টানা টানি করছিলো নিয়ে যেতে কিন্তু রোজি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে এবং বিষণ হাঁপাতে থাকে। হাঁপাতে হাঁপাতে সে নিচে বসে পরে এটা দেখে নিলয় রোজিকে মুক্ত করে দেয়। রোজি তখনও নিচে বসে হাপাচ্ছে। ইতিমধ্যে চোখে নোনাজল চলে আসে যা পানির স্রোত এর মতো বইছে ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছে। নিলয় তাড়াতাড়ি এক গ্লাস পানি আনে তা রোজির কাছে এগিয়ে দেয় কিন্তু রোজির রাগ এতোটাই বেশি যে সে নিলয়ের কাছ থেকে পানি নেয় নাহ!

রোজি বেড সাইড টেবিল থেকে শিউলির দেওয়া একটা রিমোটের সুইজ চাপে। সুইজটি চাপার সাথে সাথে চারিদিকে শব্দ হতে থাকে শব্দ হতে না হতেই শিউলি এগিয়ে আসে দৌড়ে। রোজিকে এমন করতে দেখে সে একবার নিলয়ের দিক আর একবার রোজির দিক তাকায় তারপর পানি নিয়ে রোজিকে দেয় রোজিও তাড়াতাড়ি পানি নিয়ে ডকডক করে খেয়ে ফেলে। এটা দেখে নিলয় চুপ হয়ে রোজির দিক তাকিয়ে থাকে সেদিন নিলয় আর একটি কথাও বলে নি সোজা রোজির বাসা থেকে বের হয়ে নিজের বাড়ী চলে আসে প্রায় ১৮ দিন রোজির সামনে যায় নি সে।

রোজিও নিজের মতো থেকেছে। সরাদিন ঠিক থাকলেও রাতে মনের সাথে না পেরে ডুকরে কেঁদে উঠতো রোজি কাঁদতে কাঁদতে কখন ঘুমিয়ে পরতো সে নিজেও জানে নাহ। তবে এরই মাঝে শিউলি ও রেদোয়ান এবং আশা ও রোহিদ এর মাঝে সকল সম্পর্ক ঠিক হয়ে গেছে। রোহিদ ও রেদোয়ান নিজেদের করা ভুল বুঝতে পেরে সকল কিছু তুলে ধরোছিলো তাই শিউলি ও আশা ও আর কিছু বলে নি মাফ করে দিয়েছে।

বর্তমান,

রোজি নিজের রুমে বসে জানালার দিক তাকিয়ে আছে। রোজির বারান্দায় অনেক ধরনের গাছ-পালা যা দেখে তার চোখ ও মন দুটোই শান্ত হয়। রোজির মা নিচে রান্না করতে ব্যস্ত রোজি আজ তার মার কাছে মুখ ফুটে পাস্তা খেতে চেয়েছে তাই রোজির মা রান্না বসিয়ে দিয়েছে। আশা ও শিউলি রোজির মা কে সাহায্য করছে। রোজির বাবা এই সময় বাগানে হাটেন। সবাই সবার কাজে ব্যস্ত শুধু রোজিই নিজের রুমে বিষন্ন মনে বসে আছে। রোজির মা ৫ টা পাত্রে পাস্তা পরিবেশন করলেন।

রোজির মা : এই তোরা পাস্তাগুলো নিয়ে যা।

শিউলি ও আশা : আচ্ছা মা।

রোজির মা ব্যস্ত গলায় বললেন,

রোজির মা : শুন একটা বাটি তোদের বাবাকে দিয়ে আয়।

শিউলি : আশা তুই দিয়ে আয় আমি উপরে নিয়ে যাই এগুলো।

আশা : আচ্ছা।

বলেই আশা একটা বাটি নিয়ে বাহিরে দৌড় দেয় তারপর বাটিটা এগিয়ে দিয়ে বলল,

আশা : বাবা নেও এটা খাও।

রোজির বাবা হাসি দিয়ে বললেন,

রোজির বাবা : তোমরা খেয়েছ?

আশা : এইতো খাব।

রোজির বাবা : যাও খাও গিয়ে আগে মা!

আশা : ওকে।

বলেই বাড়ীতে ডুকে পরলো। নিচে দেখলো মা নেই তার মানে উপরে চলে গেছে তাই সেও উপরে চলে গেছে। সেও উপরে চলে গেলো গিয়ে দেখলো রোজি ইতিমধ্যেই খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। আশাও খাওয়া শুরু করলো। খাওয়া শেষে রোজির মা সকল কিছু নিয়ে নিচে চলে গেলেন।

—– চারিদিকে অন্ধকার হয়েছে রাত নেমেছে। রোজি নিজের রুমে শুয়ে ছিলো। কোথা থেকে নিলয় এসে রোজির পাশে শুয়ে পরলো। রোজি এটা দেখে উঠে দাড়ায় উদ্দেশ্য শিউলি ও আশার রুম সেখানে শুবে। কিন্তু নিলয় রোজির হাত ধরে ফেললো এটা দেকে রোজি নিজের হাত ঝারা মারলো কিন্তু হাত ছুটাতে পারলো নাহ। রোজির পেটটা ভাড় হয়েছে তার প্রায় ৬ মাসের কাছাকাছি।

রোজি : হাত ছাড়ুন আমার।

নিলয় : নো!

রোজি : আমি ছাড়তে বলেছি নাহ?

নিলয় : বললেই হলো নাকি?

রোজি : আনাকে ছাড়ুন প্লিজ।

নিলয় : কেনো কই যাবে তুমি?

রোজি : আমি ওদের সাথে ঘুমোবো।

নিলয় : তা হবে নাহ এখানেই ঘুমবে তুমি আমার সাথে।

রোজি : বাধ্য নই আমি।

নিলয় : তুমি বাধ্য রোজ তুমি আমার ওয়াইফ ভালোবাসি আমি তোমায়।

রোজির এটা শুনে রাগ সপ্তম আসমানে উঠলো সাথে সাথেই নিলয়কে ধাক্কা দিয়ে সরালো,

রোজি : চুপপপপ!! আপনার মুখে এটা মানায় না আপনি আআপনি কী নিজেও জানেন নাহ ভালোবাসা? ভালোবাসা মাই ফুট!!!!

বলেই পিছন ঘুরে চলে যাওয়ার জন্য উদ্ধত হয়। নিলয় এর যেনো রাগ বাড়ছে রোজির শেষ কথা “ভালোবাসা মাই ফুট” কানে বাজছে। রোজিকে টেনে আবারও নিজের কাছে আনলো,

নিলয় : কী বললি?

রোজি : যা শুনেছেন তাই।

নিলয় রোজির চুলগুলো শক্ত করে ধরলো রোজি কুকিয়ে উঠে,

নিলয় : কী বললি আবার বল?

রোজি : ভালোবাসা মাই ফুট।

বলতেই নিলয় রোজির কোমড় চেপে কাছে টেনে আনে রোজির কোমরে শক্তিশালী থাবা পরতেই,

রোজি : আ’হহহহ!!!!

করে উঠে নিলয় নিজের হাত রোজির পেটে রাখতেই পেট ফোলা লাগায় রোজির চুলগুলো ছেড়ে দেয়। রোজি হাফ ছেড়ে বাচলো। নিলয়ের মাথা গরম লাগছে সে আবারও রোজিকে কষ্ট দিতে চাচ্ছিলো। রোজি কান্না শুরু হয়ে যায় নিলয় নিজের চুল খামচে ধরে। নিলয় কিছুটা স্বাভাবিক হতেই রোজির হাত ধরে বলে,

নিলয় : জান সরি চলো আমরা আমাদের বাসায় যাই?

রোজি হাত জটকা মেরে ছাড়িয়ে বললো,

রোজি : চুপপপপ কী চান আপনি আমি যাব নাহ আপনার সাথে ইনফেক্ট থাকা সম্ভব….

নিলয় এবার রাগে রোজির মুখ চেপে ধরে বললো,

নিলয় : তুই আমার ওয়াইফ যেতেই হবে তোকে!!!

রোজি দ্বিগুণ রাগ নিয়ে বললো,

রোজি : নাহ যান আপনি ডিভোর্স দি….

ঠাসসসসসসস!!!!

রোজি থাপ্পড় খেয়ে পরে যেতে নিলেই নিলয় ধরে ফেলে। রোজি নিজেকে কিছুটা দাসত্ব করেই নিলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়,

রোজি : আপনি আপনি ইন্টিমেট হওয়া ছাড়া কিছু পারেন? কিছু হলেই আমায় বিছানায় নিয়ে নিজের রাগ মিটান। আমাকে ভিতর থেকে জ্বলসে দেন আপনি এটা ছাড়া কিছু পারেন?

নিলয় : চুপপপ রোজ চুপপপপ।

রোজি : কেনো কেনো কেনো আমি চুপ করবো নাহ ? আপনি একখ আমার বাচ্চাকেও মেরে ফেলতে চাইছেন?

নিলয় : রোজজজজজ চুপ আমি ওর বাবা ওকে কেনো মারতে চাইবো আমি?

রোজি : আপনার সেই রাতের অত্যচার আমার বাচ্চার উপর এসে পরেছে আমাকে করেছেন আমি কিছু বলবো নাহ কিন্তু আমার বাচ্চা?

নিলয় : এটাই তো আমি বুঝি নি আমি বুঝতে পারি নি রোজ এমন কিছু হবে।

রোজি : যান এখন আপনি আমি দেখতে চাচ্ছি না আপনাকে।

নিলয় : নাহ এখন বলো তুমি যাবে কী না?

রোজি : যাব নাহ!!!

নিলয় : এতোদিন কম করে হলেও হাজার বার মাফ চেয়েছি কিন্তু তুমি নিজের টাই দেখছো এখন আমি আর কিছু ভাবতে বা বলতে চাই নাহ।

বলেই রোজিকে আস্তে করে নরম হাতে কোলে তুলে নিলো নিয়ে বাহিরে বের হলো। রোজি চিৎকার ও করতে পারছে নাহ কারন নাহলে রোজির মা বাবা সন্দেহ করবে। নিলয় রোজিকে তুলে সোজা নিজের গাড়িতে গেলো রোজি ছুটতে চেষ্টা করছে তবে পেট ভাড়ি থাকায় পারছে নাহ। রোজিকে আস্তে সামনের সিটে বসিয়ে নিলয় নিজেও বসে। তারপর গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায় নিজের বাড়ী এর দিকে এদিকে রোজি চিৎকার চেঁচামেচি করেই যাচ্ছে। এতো চেচামেচি করায় হাপিয়ে উঠেছে বার বার তাও সে নিলয়ের সাথে থাকবে নাহ ঠিক করেছে।

——-দীর্ঘ ১ ঘন্টা পর তারা পৌছায় নিলয় এর বাড়ী নিলয় দেখলো রোজি গভীর ঘুমে কেননা রোজি এখন একটুতেই হাঁপিয়ে ওঠে আবার এতো দকল নিতে নাহ পেরে ঘুমিয়ে পরেছে। নিলয় ভাবতে ভাবতে রোজিকে আস্তে করে কোলে তুলে নেয় যার ফলে রোজি ঘুমের মধ্যে কেপে ওঠে নিলয় মুচকি হেসে রোজিকে কোলে নিয়ে বাড়ীতে ডুকে সোজা নিজের রুমে ডুকে গভীর রাত হওয়ায় চারপাশে কেও নেই ২/১ জন মেড ছাড়া আর বাহিরে নাইট শিপ্ট এর গার্ড ছাড়া। নিলয় রুমে গিয়ে রোজিকে শুয়িয়ে দেয় বেডে তারপর নিলয় ফ্রেস হতে চলে যায়। ফ্রেস হয়ে এসে সে রোজিকে সুন্দর করে শুয়িয়ে রোজির শরীরে কম্ফোটার জরীয়ে নিজেও রোজির পেট জরীয়ে শুয়ে পরে।

চলবে,