#Ayesha
#ArrangedMarraige
পর্ব-23-24
আমার মনের ভিতর শান্তি লাগছে না। কি হচ্ছে আমার সাথে, বউ এর মত সাজানো হচ্ছে কিন্ত জামাই নেই।। আমি অনেক এমন দেখেছি বাবা মা বিয়ে ঠিক করে অন্য কোথাও বিয়ে দিয়ে দেয়।। আসলে আকদ না অন্য কিছু তাও বুঝতেসি না।।
আমাকে শাড়ি পড়ানো খাওয়ানো হাতে মেহেদী দিয়া মেকআপ করা সব শেষ।। নিজেকে বউ বউ মনে হচ্ছে।
আমি আমার রুমে এসে ফাহাদ কে ফোন করলাম 2 বার ফোন করার পরে ও ফোন রিসিভ করলো
আমি: আমাকে কি আপনার মনে আছে? আপনি আসলে কি চান বলবেন? কি আপনার কোনো কমন সেন্স নেই? কই ছিলেন সারাদিন? এইদিকে কি হচ্ছে আপনি জানেন?
ফাহাদ: প্লিজ লক্ষ্মীটি আমি অনেক বিজি আছি, তোমাকে আমি সময় করে ফোন দিচ্ছি
ও ফোন কেটে দিল।
আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরছে, আমার দম বন্ধ করে কান্না আসছে, কি করবো কিছুই বুঝতেছি না।। আমাকে বউ তো এমনি এমনি সাজানো হয় নি, কিন্ত ফাহাদ ও তো বললো ও ব্যস্ত তাহলে? নিশ্চই অফিসের কাজে আছে, এছাড়া তো ও কখনো আমাকে ব্যস্ততা দেখায়না। আমার বুঝতে বাকি নেই আমার পরিবার আমার সাথে কি করছে।। উফ আমি আর ভাবতে পারছি না।। এমন যদি হয় আমার অন্য কারোর সাথে বিয়ে হয়ে গেছে, আমি কি করবো? ফাহাদকে কি জবাব দিব? বাবা মা কি সত্যি আমার সাথে এমন টা করবে?
আমি বুবু কে ফোন দিলাম
আমি: বুবু তুমি তাড়াতাড়ি আমার রুমে আসো
বুবু: আইশি এইদিকে অনেক মানুষ এখন কথা বলার টাইম নাই।।
বুবুও মুখের উপর ফোন রেখে দিল। মা কে ফোন দিলাম মা ও ফোন তুলছে না।। হ্যা সায়েম কে একটা ফোন করি ওকে সকাল থেকে বাসার আসে পাশে দেখিনি
আমি: ভাই আমার কই তুই
সায়েম: আমি তো বাইরে আছি
আমি: লক্ষ্মী সোনা ভাই আমার তারাতারি বাসায় আয় দেখ ওরা তোর বোনের সাথে কি করছে
সায়েম: কি করছে?
আমি: তোর বোনকে অন্য কারোর সাথে বিয়ে দেয়ার প্ল্যান করছে।।
সায়েম: তো বিয়ে কর
আমি: আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবো তাও এই বিয়ে করবনা, পালাতে না পারলে বিষ খাবো।। আমি ফাহাদকে ছাড়া অন্য কেউ কে বিয়ে করবো না।। তুই ভাই বাসায় আয় না হয় কেউকে দিয়ে আমাকে এখান থেকে বের কর
সায়েম: তোর কি মাথা খারাপ চাচ্চু কি আমাকে আস্ত রাখবে?
আমি: তোকে আমি আমার সাথে নিয়ে যাবো
সায়েম: তুই কই যাবি?
আমি: সব ব্যবস্থা করে নিব, আমার কাছে কিছু টাকা আছে এইগুলো দিয়ে অন্তত ফাহাদের কাছ পর্যন্ত যেতে পারবো। তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে।। আমি তোকে তারপর আমার কাছেই রেখে দিন
সায়েম: খুঁটা দিবি না তো?
আমি: এইযে তওবা করলাম কোনোদিন কিচ্ছু বলব না
সায়েম: 5হাজার টাকা দিবি
আমি: 5হাজার না আমার কাছে যা আছে সব দিয়ে দিব তাও এখান থেকে রক্ষা কর
সায়েম: আসছি
আমি: তারাতারি
আমি রুমের দরজা লাগিয়ে পায়চারি করছি।। একটা ব্যাগ তো লাগবে পালাতে হলে আমি তারাতারি একটা ব্যাগ বের করে আমার যাবতীয় জিনিষ গুলো নিয়ে নিলাম।।
জীবনে ভাবিনি বাড়ি থেকে পালাতে হবে তাও এইভাবে। আমার কি দোষ ছিল আমি তো বাবা মার পছন্দের ছেলেকেই বিয়ে করছিলাম। কিন্ত তারা আমাকে না জানিয়ে আবার অন্য কোথাও বিয়ে দেয়ার প্ল্যান করেছে, তারা যখন আমার কথা ভাবিনি আমিও ভাববো না, সবাই বেইমানি করছে আমার সাথে, আজ এমন বিপদে ফাহাদ আমার পাশে নেই।। ও থাকলে নিশ্চই আমাকে এত কিছু ভাবতে হতো না ও সবটা ম্যানেজ করে নিতো আমার বিশ্বাস।
একটু পরেই দরজা নক হচ্ছে, নিশ্চই সায়েম এসেছে। আমি তারাতারি দরজা খুলতেই দেখি আমার সব ভাই বোন বান্ধুবিরা দল বল নিয়ে হাজির। এদের দেখেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে। এখন কি করে ওদের সামনে থেকে ব্যাগ নিয়ে যাবো।। আমি আস্তে করে ব্যাগ টা পা দিয়ে বেডের নিচে ঢুকিয়ে দিলাম।। সবাই লাফিয়ে আমাকে এসে জড়িয়ে ধরেছে আমার অসহ্য লাগছে।। মনে হচ্ছে সব গুলোকে ঘাড় ধরে বের করে দেই।।
এইসব করতে করতে 7টা বেজে গেছে শীতের সময় 7টা মানে রাত 9 টার সমান
হটাৎ বাড়িতে কিছু অচেনা ছেলে ঢুকলো, সবাই জামাই এসেছে বলে বাইরে চলে গেল।। আমার বুকের ভিতর চিন চিন করে উঠলো, না জানি আজ আমার কপালে কি আছে, আমি আজ মরবো না হয় পালাবো।।
বিয়ের তেমন কোনো আয়োজন হয় নি ছোট করে আমার কাছের আত্মীয় দের শুধু বলেছে।। এছাড়া কেউকে দেখছি না।।
কিছুক্ষন পর 4টা ছেলে এসে রুমে ঢুকলো, ইচ্ছা মত আমার কিছু ছবি তুললো, আমি পাশ কাটিয়ে যেয়ে সায়েম কে ফোন করলাম
সায়েম: হ্যালো
আমি: কই তুই? বিয়ে হলে নিতে আসবি?
সায়েম: ছোট আপু আর কোনো উপায় নেই তুমি বিয়েটা করে নাও আমি তোমাকে নিতে আসতে পারছি না
আমি: কিইই? তুই এটা আমার সাথে করতে পারলি? ভাই প্লিজ আমাকে এই বাসা থেকে বের করে দে আর কিচ্ছু করা লাগবেনা প্লিজ
সায়েম: সরি আই ক্যান্ট
আমি: সায়েম
সায়েম ফোন কেটে দিলো,, এর মধ্যেই বুবু এসে আমাকে ডেকে নিয়ে গেল
আমি: দাড়াও বুবু
বুবু: দেরি হয়ে গেছে অনেক চল তো
আমি: কি করছ তোমরা আমার সাথে? যার যখন যা ইচ্ছা তাই করবে আমার সাথে? আমি কি তোমাদের খেলার পুতুল? বাবা কোথায়? আমার বাবার সাথে কথা আছে তুমি এক্ষনি বাবাকে আমার রুমে পাঠাও
বুবু: শেষ মুহূর্তে কি শুরু করলি?
আমি: আমি পারবো না এই বিয়ে করতে
বুবু: কিন্ত কেন? কি সমস্যা?
আমি: কেন আবার জিজ্ঞেস করছ? তোমরা তো সবটাই জানো তারপরেও ছি
বুবু: তোর সাথে আমি এই নিয়ে পরে কথা বলবো, তুই এখন বিয়েটা করে নে বাড়ি ভরতি মানুষ তুই এমন হলে কি হবে তা নিশ্চই তোর জানা আছে।।
আমি বুবুর থেকে আমার হাত সরিয়ে নিলাম
আমি: তুমি যাও সবাইকে বল আমি এই বিয়ে করতে পারব না
বুবু: আয়শি
আমি: হ্যাঁ
বুবু চলে গেল আমি দরজা বন্ধ করে বসে আছি কিচ্ছু ভালো লাগছে না, রুমের চার পাশে তাকিয়ে দেখছি কোনো উপায় আছে নাকি সিনেমার মত পালিয়ে যাওয়ার, কিন্ত না কোনো উপায় নেই, দেয়াল বন্ধী একটা রুম।।
বাইরে থেকে বাবার কথা শুনা যাচ্ছে, হয়ত দরজা খুলার কথা বলছে, কিন্ত না আমি কিছুতেই দরজা খুলবো না।। আমার ফোন বাজছে। আমি ফোন তুলবো না দেখুক সবাই কেমন লাগে কেউকে কারোর থেকে আলাদা করতে।। এইবার বেশ জোড়ে জোড়ে দরজা ধাক্কাচ্ছে।। ফোনের উপর ফোন আসছে। সবাই হয়তো ভাবছে আমি কিছু করে বসেছি। হ্যাঁ ভাবুক, ছোট থেকে সব পেয়েছি এর মধ্যে সব চেয়ে বড় পাওয়া ছিল আমার ফাহাদ, আমার প্রথম ভালোবাসা, যাকে নিয়ে আমি আমার সারাজীবনের সপ্ন দেখে আসছি কাল রাত পর্যন্ত, আজ এক মুহূর্তে কি করে অন্য কেউকে মেনে নিব? কিভাবে?
আমি দরজার কাছে দাড়ালাম, মা বুবু চাচী কান্না করছে শুনা যাচ্ছে, বাবা কাকা সায়েমের কথা শুনা যাচ্ছে
সায়েম: ছোট আপু দেখ তোর ভাই তোকে নিতে আসছে তুই দরজা খুল বোন
বাবা: মা দরজা খুল
বুবু: আইসি তুই যা চাস তাই হবে করতে হবেনা বিয়ে আমরা কেউ তোকে জোর করবো না
মা: লক্ষ্মী মা আমার আমরা আর কেউ তোর অমতে কিছু করবো না
সবার একটা পর পর কথা আমার মাথায় ঢুকছে কিন্ত কাজ করছে না, আমি দরজা টা খুলে ফ্লোরে বসে পরলাম।।
দরজা খুলার আওয়াজে সবাই ভিতরে ঢুকে আসলো, মা, বুবু আমাকে জড়িয়ে ধরে কেদে দিল, আমি ঠিক আছি কি না হাত পা ঘর ঠিক আছে নাকি দেখছে,
বাবা: এমন কেন করলি আমরা তো তোর অমতে কিছু করিনি
মা: তোর কি ওর সাথে কোনো ঝামেলা হইসে?
বুবু: আমাদের সবাইকে তো ভয় লাগিয়ে দিলি
সবার এত এট কথা আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না, সবাই আমার সামনে ফ্লোরে বসে আমাকে বুঝাচ্ছে, হটাৎ এক জোড়া পা, সাদা পাজামা পরা আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
আমি আস্তে আস্তে ওর দিকে তাকাচ্ছি হালকা গোলাপি একটা পাঞ্জাবি পরা মুখের দিকে তাকাতেই দেখি আমার চির চেনা মুখ টা। অপরাধী চোখে আমার দিকে একবার তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিয়েছে।।
মা: আসলে বাবা তুমি কিছু মনে কর না
বাবা: আব্বাজী হটাৎ সব হয়েছে এত কিছু বুঝতে পারিনি, আমি তোমার সাথে পরে কথা বলছি
আমি ওদের কথা কিছুই বুঝতেছিনা হয়তো আমাকে না জানিয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য ওকে এইসব বলছে।।
আমি দৌড়ে ওকে গলা জড়িয়ে ধরে কেদে দিলাম।।
সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, ফাহাদ ও হতভম্ব হয়ে গেছে আমি এইভাবে জড়িয়ে ধরায়, তাই হয়তো আমাকে জড়িয়ে ধরছে না।।
আমি ফাহাদের মুখে তাকিয়ে ওর গালে হাত বুলাতে বুলাতে বললাম
আমি: কই ছিলেন আপনি? আপনি কি জানেন ওরা আমার আবার বিয়ে দেয়ার বেবস্থা করেছিল, কিন্ত আমি করিনি পালাতে পারিনি তাই দরজা বন্ধ করে ওদের বুঝেছি আমাকে আপনার থেকে আলাদা করা কখনো সম্ভব না। আপনি এসেছেন এখন আমাকে এখান থেকে নিয়ে যান আমি ওদের সাথে আর থাকবো না, ওরা আবার আমার বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে, প্লিজ ফাহাদ আমাকে নিয়ে যান আপনার সাথে।।
সবাই আমার এমন কথা শুনে অবাক এর উপর অবাক হচ্ছে।।
চলবে
#Ayesha
#ArrangedMarraige
পর্ব-24
আমি: কই ছিলেন আপনি? আপনি কি জানেন ওরা আমার আবার বিয়ে দেয়ার বেবস্থা করেছিল, কিন্ত আমি করিনি পালাতে পারিনি তাই দরজা বন্ধ করে ওদের বুঝেছি আমাকে আপনার থেকে আলাদা করা কখনো সম্ভব না। আপনি এসেছেন এখন আমাকে এখান থেকে নিয়ে যান আমি ওদের সাথে আর থাকবো না, ওরা আবার আমার বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে, প্লিজ ফাহাদ আমাকে নিয়ে যান আপনার সাথে।।
সবাই আমার এমন কথা শুনে অবাক এর উপর অবাক হচ্ছে।।
মা: কি বলছিস তুই এইসব?
আমি: সব ঠিক বলছি বল তোমরা আমার বিয়ে দিতে চাও নি? বল?
মা: হ্যাঁ কিন্ত সেটা তো….
আমি: অন্য ছেলের সাথে। হ্যা আমি এটাই বলছি ফাহাদ দেখছেন আপনি? তারপরেও আপনি আমাকে এখানে রাখবেন?
বুবু: আয়শি তোর ভুল হচ্ছে
আমি: বুবু প্লিজ তুমি অন্তত আমাকে ঠিক ভুল বুঝাতে এসো না, তোমাকে আমি এমন ভাবিনি তুমিও সবার সাথে হাত মিলিয়ে আমার বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র করছো, তোমরা সবাইকে আমার চিনা হয়ে গেছে।।
ফাহাদ আমার হাত ধরে আমাকে ওর দিকে ঘুরিয়ে আমার 2গালে 2হাত দিয়ে
ফাহাদ: আয়েশা ওরা কেউ তোমাকে অন্য কারোর কাছে বিয়ে দিচ্ছিল না, আজ আমাদের আকদ ভুলে গেছ? নভেম্বর এর লাস্টেই তো হওয়ার কথা ছিল। আজ তো 29তারিখ শুক্রবার। আমি তোমাকে ইচ্ছা করে বলিনি কিছু, আমি ভাবিনি তুমি এটা ভুলে যাবে,আমি ভেবেছিলাম তুমিও আমার মত করে জেনেও চুপ করে আছো সারপ্রাইজ দিবে বলে, কিন্ত দেখ কিভাবে কি হয়ে গেল। আমি তো এমন কখনো ভাবিনি, যখন আন্টি এসে ডেকে জিজ্ঞেস করছিল আমাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে কি না, তখন থেকেই মনের ভিতর একটা ভয় ঢুকে গেল, যখন বনু মেসেজ করে বললো তুমি আমাকে বিয়ে করবে না তখন শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সব কিছু মনে করে আসছি কি ভুল করেছিলাম কিন্ত আমার মাথায় এইসব কাজ করছিল না আমি ছুটে এসে দেখি সবাই দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে আমার বুক টা একসাথে খালি হয়ে গেছিল
আমি: আপনিও? আপনিও আমার সাথে এমন করলেন?
ফাহাদ: আমার কথা টা শেষ করতে দাও
বুবু সবাইকে নিয়ে আমার রুম থেকে বের হয়ে গেল,
ফাহাদ আমার কাছে আসছিল আমি ওর থেকে সরে জানালার পাশে দাঁড়ালাম
আমি: আপনি আমাকে চিনেন নি ফাহাদ, আমি চাইনা এমন সারপ্রাইজ, আমি কোনো অপেক্ষা চাইনা, এই কয়েক ঘণ্টা আমার উপর কি পরিমাণ প্রেসার গেছে আপনি যদি বুঝতেন আপনি এমন সারপ্রাইজ আমাকে দিতেন না। যখন ফোন করেছিলাম একটা বার তো বলতে পারতেন
ফাহাদ আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আমার ঘাড়ে মুখ রেখে বললো
ফাহাদ: সরি বউ আর এমন হবেনা এইবারের মত ক্ষমা কর।।
আমি ওকে সরিয়ে চলে আসছিলাম ও আমার হাত ধরে আটকে দিল ও এবার আমার সামনে এসে আমার কাঁধে ধরে দাড়ালো
ফাহাদ: সব রাগ জমিয়ে রাখ রাতে সব ভাঙিয়ে দিব এইবার বিয়ে টা করে নাও
আমি: করবো না আপনাকে বিয়ে
ফাহাদ: একবার ভুল করে করে ফেলো না আর করা লাগবেনা
আমি: ওর দিকে রাগী চোখে তাকালাম
ও বেডের পাশ থেকে টিসু বক্স থেকে টিসু নিয়ে আমার চোখের পানি মুছে দিল।। আমার হাত ধরে বসার ঘরে নিয়ে গেল। ওর সব ফ্রেন্ড দের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল।। পর পর সবার নাম বললো, প্রফেশন বললো যেই 4জন ছবি তুলতে গেছিল তাদের নাম গুলো মনে আছে নিলয়, প্রান্ত, সায়েদ, আসিফ ভাইয়া
সায়েদ: কি হয়েছিল ভাবী আপনার?
নিলয়: আমি শুনেছি ভাবী নাকি ভেবেছিল তার অন্য কারোর সাথে বিয়ে হচ্ছে এইরকম হলে শালা ফাহাদ এতক্ষনে হসপিটালের বেডে শুয়ে থাকত
ফাহাদ: এমন টা আমি হতে দিতাম নাকি তুলে নিয়ে আসতাম আমার বউকে
সায়েদ: ভাবী আপনার হবু বর দিনে কত বার যে আপনার ছবি দেখে আর ছবি দেখার পরই আপনার ছবিতে কিস করে ফোন আবার রেখে দেয়, আমাদের কেউকে কিন্ত আপনাকে দেখতে দেয়নি আমরা কিন্ত আজকেই দেখলাম।।
প্রান্ত: হারামজাদা বলেছিল আমরা যেন ও না দেখার আগে না দেখি, তাও আমরা জোড় করেই আমাদের ভাবিজী কে দেখে আসছি, সাথে ছবিও তুলে আনছি, ফাহাদকে কিন্ত দেখতে দেইনি শালা বউ পাগলা
সবাই হাসতে শুরু করলো ফাহাদ উঠে ওদের উপর কিল গুষি দিচ্ছে
আমার তো লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে, কি সব বললো উনারা, আর এত বড় বড় মানুষদের মুখে ভাবী ভাবী শুনেই লজ্জায় মাটিতে মিশে পড়তে ইচ্ছা করছে।
আমাদের ফ্লোরে চাদর বিছিয়ে বসানো হলো, কাজী এসে কবুল বলতে বললো ফাহাদ সাথে সাথেই বলে দিল আমাকে বলতে বললো আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, মনে হচ্ছে বাবা মাকে ছেড়ে এখনই চলে যাচ্ছি, বাবা আমার হয়ে কবুল বললো।। কাজী পেপারস এ সাইন করিয়ে নিল।।সবাই দোয়া পরছে।।
বিয়ে হওয়ার পরে মামুনি, আঙ্কেল ফারিয়া আমার সাথে কথা বলেছে তারা আসতে পারিনি বলে অনেক দুঃখ প্রকাশ করেছে।।
আমার রুম টাকে সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো হলো, ইস ভাবতেই কেমন লাগছে আজ আপনাদের বাসর রাত।। 1টা বেজে গেছে আমি আমার রুমে বসে আছি।। ফাহাদ অনেক তাল বাহানা করে শালীদের কাছ থেকে নগদ 15হাজার টাকা দিয়ে রক্ষা পেল।। ও ভিতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিল আমি নামার চেষ্টা করতেই ও বললো
ফাহাদ: নামছ কেন?
আমি: সালাম করা লাগে তো
ফাহাদ: ঠিক আছে আসো
আমি: ওর পায়ে সালাম করে উঠে দাড়ালাম
ও আমার হাত ধরে ওর পকেট থেকে একটা সোনার আংটি বের করে আমাকে পড়িয়ে দিল হাতে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরলো।। কানে কানে বলছে
ফাহাদ: সুস্থ আছো?
আমি: মানে?
ফাহাদ: নামাজ করতে পারবে?
আমি: হুমম
ফাহাদ: যাও অযু করে আসো
আমি ওয়াসরুমে পা বাড়াতেই ও আমাকে টেনে একটু সরিয়ে আনে
আমি: কি হয়েছে?
ফাহাদ: আমাদের তো বিয়ে টাই হয়নি
আমি: মানে কি? তখন তো সবার সামনেই বিয়ে হলো
ফাহাদ: বিয়ে তো তোমার সাথে হয় নি
আমি: কোমরে হাত ওর দিকে তাকিয়ে বললাম তাহলে কার সাথে হয়েছে?
ফাহাদ: তোমার বাবার সাথে
আমি: কিইই
ফাহাদ: আমার মুখ চেপে ধরে বলল,, কি করছো? বাইরের সবাই কি ভাববে? বাসর রাতে কেউ এইভাবে চিৎকার করে নাকি?
আমি: ওর হাত সরিয়ে আপনার কি বিয়ের আনন্দে মাথাটা গেছে?
ফাহাদ: আরে মেয়ে কবুল তো তুমি বল নাই তোমার বাবা বলেছে তারমানে কি দাড়ায়?
আমি: ওর পায়ে একটা জোড়ে লাত্থি দিয়ে বললাম, ভালো হইসে শ্বশুরের বিয়ে করা সংসার সামলান এখন
আমি অযু করে এসে পশ্চিম দিক ঘুরিয়ে 2টা জায়নামাজ বিছিয়ে দিলাম।। ও এসে আমার পাশে দাঁড়ালো
আমি: অযু আছে?
ফাহাদ: হুমম
আমি নামাজ শুরু করলাম ও আমার একটু আগে আমি একটু পিছনে দাড়িয়েছি।।
ও নামাজ শেষ করে জায়নামাজ ভাজ করে আমার হাতে দিল। আমি 2টা জায়নামাজ ঠিক জায়গায় রেখে ড্রয়ার থেকে আমার এক সেট ড্রেস বের করে নিলাম। বিয়ের শাড়ি পরে 12ঘণ্টা আছি, নিজেকে অনেক ভারী লাগছে।। আমি উনার দিকে তাকাতেই দেখি চিন্তিত মুখে বিছানায় 2পা ভাজ করা অন্য দিকে তাকিয়ে আছে
আমি: কি ব্যাপার এখন থেকেই টেনশন শুরু করে দিয়েছেন?
ফাহাদ: এটা কি ঠিক হলো বল তো? ও আমার কোমরে হাত প্যাচিয়ে ধরলো
আমি: কি হয়েছে?
ফাহাদ: এইযে আমার বিয়ে তোমার বাবার সাথে হয়ে গেল
আমি: ভালই তো হইসে
ফাহাদ: আমার কোমর ধরে একদম ওর কাছে নিয়ে চলে গিয়েছে, বউ ওই বউ শুন না
আমি: কি
ফাহাদ: তুই বল তো 3বার কবুল না হয় আমার শান্তি লাগবেনা
আমি: ইস পারবো না
ফাহাদ: বল না
আমি: নো
ফাহাদ: এইবার কিন্ত অনেক কিছু করার অধিকার আছে বউ হয়ে গেছিস
আমি: উফফ ছাড়েন তো আমি চেঞ্জ করবো, এই শাড়ি যে কিনেছিল তাকে যদি পেতাম না
ফাহাদ: তোমার শাশুড়ি
আমি: কি
ফাহাদ: কিনেছিল
আমি: তাই তো বলি এত সুন্দর পছন্দ কার
ফাহাদ: অমনি না? যদি বলতাম আমি কত কি মনে মনে ভেবে রেখেছিলে
আমি: ছাড়েন
ফাহাদ: আগে বল
আমি: না
ফাহাদ: বল
আমি: না
ফাহাদ: হ্যাঁ
আমি: না
ফাহাদ: হ্যাঁ
আমি: না
ফাহাদ: না
আমি: হ্যাঁ (বলেই জিভে কামর দিলাম)
ফাহাদ: বলে ফেলছ এইবার ভালো করে বলো কবুল
আমি: না
ফাহাদ: কবুল
আমি: কবুল
ফাহাদ: কবুল
আমি: কবুল
ফাহাদ: কবুল
আমি: কবুল
ফাহাদ বিছানা থেকে নেমেই আমাকে কোলে তুলে নিল, ও এত জোড়ে একটা রাউন্ড দিল আমি ভয়ে 2চোখ বন্ধ করে ওর গলা জড়িয়ে ধরি।। ও আমাকে বিছানায় বসিয়ে দেয়।। চারদিকে খুঁজে লাগেজ টা বের করে ঐখান থেকে একটা সাদা জর্জেট শাড়ি ব্লাউজ পেটিকোট আমার হাতে দিল,
আমি: সাদা?
ফাহাদ: হ্যাঁ
আমি: প্রথম দিনেই সাদা?
ফাহাদ: কিচ্ছু হবেনা যাও পরে আসো
আমি: আপনি বাইরে যান
ফাহাদ: তোমার কি মাথা খারাপ? এখন কিভাবে বের হবো? আমি উল্টো ঘুরে আছি তুমি পরে নাও
আমি: তাকাবেন না তো
ফাহাদ: না
আমি: প্রমিজ?
ফাহাদ: প্রমিজ
আমি ব্লাউজ পেটিকোট পরে গায়ে ওড়না জড়িয়ে শাড়ির ভাজ খুলে কোমরের জায়গাটা কোমরে পেঁচিয়ে আঁচল টা কাধে দিয়ে ওরনা সরিয়ে দিলাম।।
ঐদিকে ফাহাদ শুরু থেকেই 1,2 গুনছে 100 হলেই কোনো প্রমিজ নেই ভেবে ঘুরে তাকাবে আমি ওকে 200পর্যন্ত আটকিয়ে রেখেছি কোনো মত ও এইবার ঘুরে আমার দিকে তাকালো। আমি তাড়াতাড়ি কাধের আঁচল টা দিয়ে পেট ঢেকে দেই, ও আমার কাছে আসছে
আমি: দেখেন এমন টা কিন্ত কথা ছিল না, নিয়ম
ভেঙেছেন
ফাহাদ: নিয়ম ভাঙার জন্য কি শাস্তি দিবেন ম্যাম?
আমি: অনেক শাস্তি দিব, আপনি প্লিজ সরে দাঁড়ান আর 50পর্যন্ত গুনেন আমি শুধু কুচি গুলো দিব
ফাহাদ: অনেক টাইম দিয়েছি আর না সময় কাভার করতে পারো নাই ওইটা তোমার দোষ তাই শাস্তি তুমি পাবে
ও আমার দিকে ইঞ্চি ইঞ্চি করে এগিয়ে আসছে, আমার বুক কাপুনি দিয়ে উঠছে
আমি: ভাই প্লিজ দূরে থাকেন না, আমার হার্ট ফেল করবো
এই কথা বলার সাথে সাথেই ও আমায় গপ করে জড়িয়ে ধরে, আসতে করে হাত টা শাড়ির ভিতর আমার পেটের এক পাশে রেখে, শক্ত করে কোমরে টান দিয়ে ওর একদম কাছে নিয়ে যায়, 1ইঞ্চিও খালি জায়গা নেই।। ওর মুখের নিশ্বাস আমার কপালে নাকে পরছে, আমার হাতে ধরা কুচি টা ছুটে গেল।
ফাহাদ: আমি ভাই তাইনা? আজ ভাই বলা বের করবো,
আমি: কাপা কাপা গলায় বললাম কি করবেন
ফাহাদ: অনেক কিছুই
আমি: আমি মায়া চোখে ওর দিকে তাকালাম
ফাহাদ: এইযে এইভাবে তাকিয়ে লাভ নেই আমাকে দূর্বল করার চেষ্টা
আমি: শাড়িটা
ফাহাদ: কি হয়েছে
আমি: পড়া হয় নি
ও আমাকে ছেড়ে নিচে পরে থাকা শাড়ির কুচি অংশ টা হাতে নিয়ে সব গুলো এক সাথে লঙ্গির মত বুলে আমার কোমরে গুজে দিতে যাবে তখনই আমি ওর হাত ধরে
আমি: কি করছেন? এটাকে শাড়ি পড়ানো বলে? মনে হয় লুঙ্গি পরালেন
ফাহাদ: তাহলে দেখ লুঙ্গি না পরেই কত এক্সপার্ট, লুঙ্গি পরতে পারলে আরো ভালো পড়াতাম। সমস্যা নেই যখন আমার কাছে থাকবে তখন তোমার মত শাড়ি পড়ানো শিখে যাবো
আমি: আমার সাথে থাকবেন মানে? আপনি কি আমাকে নিয়ে যাবেন না
ফাহাদ: (কুচি গুলো আমার পেটিকোটের ভিতরে গুজে দিয়ে বললো) না আমি তোমার সাথে থাকবো না। তবে চিন্তা কর না আমি তোমাকে মাঝে মাঝে এসে 2/1দিনের কথা বলে নিয়ে যাবো ঢাকা, অবশ্যই তোমার এক্সামের পরে এর আগে না।।
আমি: ও
ফাহাদ: আমার গালে হাত দিয়ে কপালে চুমু দিয়ে কোলে করে বিছানায় বসালো।।
ও আমার কোলে একটা বালিশ দিয়ে বালিশের উপর মাথা রাখলো
ফাহাদ: চুল গুলো টেনে দাও তো
আমি আমার 2হাত দিয়ে ওর চুল টানছি
ফাহাদ: আরো জোড়ে মাথা ব্যাথা করছে
আমি: মুভ আনি?
ফাহাদ: না এইভাবেই টেনে দাও ঠিক হয়ে যাবে
আমি জোরে জোরে কিছুক্ষন ওর চুল টেনে দিলাম, এইবার ও বালিশ সরিয়ে আমার উরুতে মাথা রেখে ওর মুখ আমার পেটের ভিতর গুজে দিল 2হাত দিয়ে আমার কোমর জড়িয়ে ধরলো।।
ও ওর ঠোঁট দিয়ে আমার পেটের উপর থেকে কাপড় সরিয়ে ও আমার খালি পেটের মধ্যে চলে গেল। আমি কিছু বলতে পারছি না, হাত দিয়ে চুল ও টানতে পারছি না নিশ্বাস ভারী আসছে।। ও ওর ঠোঁট দিয়ে আমার পেট কামড়াচ্ছে ওর খুঁচা খুঁচা দাড়ি গুলো লাগতেই আমি ওকে সরিয়ে দেই।।
ও উঠে আমার সামনে বসেছে
ফাহাদ: কি হয়েছে
আমি: কিছুনা
ফাহাদ: খারাপ লাগে?
আমি: জানিনা
ফাহাদ: বল
আমি: উহু
ফাহাদ: তাহলে
আমি: অন্যরকম একটা অনুভুতি
ফাহাদ আমাকে জড়িয়ে ধরলো আমি ও ওকে জড়িয়ে ধরলাম।। ফাহাদ কানে কানে বলছে তোমার নামে বিচার আছে।।
আমি: কিসের
ও আমাকে ছেড়ে বললো অনেক গুলো আগে বল তো বাড়ি থেকে কি নিয়ে পালাতে?
আমি বিছানা থেকে নেমে বিছানার নিচে থেকে ব্যাগ টা ওর সামনে রাখলাম।
ও চেইন খুলতে খুলতে বললো পালানোর ব্যাগ নাকি,
ও ভিতর থেকে একটা একটা জামা, লোশন, শ্যাম্পু, ভিতরে একটা ছোট পার্স ব্যাগ আমি কুশিকাটা দিয়ে বানিয়েছি। ঐটার চেইন খুলে একটা গলার চেইন 4টা ছোট ছোট আংটি 2জোড়া কানের দুল আর এক জোড়া রূপার নুপুর বের করে, ভিতর থেকে হাত দিয়ে টাকা গুলো বের করে সব 20টাকা 50টাকা মাঝে মাঝে 500, 1000 হাজার ও আছে, টাকা গুলো দেখে যে কেউ বুঝবে এইগুলো টিফিনের টাকা।। কম হলেও এখানে 6/7হাজার টাকা হবে।।
ফাহাদ এইগুলা দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, আমি ওর তাকানো পাত্তা না দিয়ে কাপড় গুলো ড্রয়ারে রেখে দিলাম বাকি জিনিষ গুলো ড্রেসিংটেবিলের উপর।। টাকা আর গয়না গুলো ফাহাদের সামনে।।
ও টাকা গুলো ব্যাগে রাখলো সাথে বাকি গুলো শুধু আংটি গুলো ছাড়া
ফাহাদ: এত ছোট আংটি কার?
আমি: আমি হওয়ার পর সবাই দেখে দিয়েছিল। গলার চেইন টা আব্বু 7 এ থাকতে 2বোনকে 2টা দিয়েছিল আর কানের গুলো আম্মু আর আমার, নুপুর গুলো আপনারা দেখতে আসার 1মাস আগে বানিয়েছিলাম
ফাহাদ সব গুলো ব্যাগের ভিতর ঢুকিয়ে আমার হাতে দিল।। আমি ওইগুলো জায়গা মত রেখে ওর সামনে হাঁটু ঝুলিয়ে বসলাম। ও আমার কোমরে টান দিয়ে ওর কাছে নিয়ে গেল জড়িয়ে ধরে বলছে
ফাহাদ: এত ভালোবাসো?
আমি: হুমম
ও আমার কপালে চুমু দিয়ে বলল সায়েমের কাছে নাকি টাকা চেয়েছিলে জুতার জন্য
আমি: শয়তান ছেলে এটাও বলে দিসে?
ফাহাদ: আমি তো ভেবেছিলাম যাওয়ার সময় ওর টাকা টা পুশিয়ে যাবো, এখন তো দেখি আমার বউ আমার থেকেও বড় লোক
সারাদিন অনেক কষ্ট করেছেন ঘুমিয়ে পড়েন।।
ফাহাদ: সত্যি ঘুম পাচ্ছে কিন্ত আজ কি ঘুমানো ঠিক?
আমি: কোনো ভুল নেই ঘুমান
ফাহাদ: ঠিক আছে তাহলে আরো 2টা বাসরে পুষিয়ে নিব
আমি: আরো 2টা?
ফাহাদ: তোমার বাড়িতে হয়েছে আমার বাসায় কি হবেনা? বাকি একটা বলা যাবেনা
আমি: কেন
ফাহাদ: এমনি
আমি: বলেন না
ফাহাদ: নো নেভার বলাই যাবেনা
আমি: প্লিজ
ফাহাদ: যখন আমার সাথে প্রথম তোমাকে ঢাকায় নিয়ে যাবো
আমি: ইশ
ফাহাদ: এইটা 2ন্ড বাসর আমাদের বাড়িতে হবে 3র্ড বাসর বুঝলেন ম্যাডাম?
আমি: হইসে এইবার ঘুমান
আমি লাইট অফ করে ডিপ লাইট জ্বালিয়ে দিলাম।। ও আমার মাথাটা ওর বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে গেলো আমিও ওর বুকে মাথা রেখে আল্লাহ কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া আদায় করছি
চলবে