#Ayesha
#ArrangedMarriage
পর্ব-21-22
আমি: তুমিও ভালো থেকো
ফারিয়া: ভাবী তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন? চোখ ফুলে গেছে। মনে হয় কেদেছো
আমি ওর কথা শুনে ফাহাদের দিকে তাকালাম।। ফাহাদ মুখটা শুকনো করে রইলো, কেমন একটা অপরাধী ভাব নিয়ে মুখ টা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিল
আমি: তেমন কিছুই না আসলে রাস্তায় ধুলোবালি ঢুকে ছিল তাই চোখ চুলকিয়ে এমন করে ফেলেছি।।
ফারিয়া: ওহ
ফাহাদ ব্যাগ থেকে একটা শপিং ব্যাগ বের আমার হাতে দিল।।।
ফারিয়া গাড়িতে উঠে বসেছে ও গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বললো
ফাহাদ: যাই বউ
আমি ফারিয়ার সামনে ওর এমন কথা শুনে ওর দিকে চোখ বড় করে তাকালাম।।
ফাহাদ: এভাবে তাকিয়েছ কেন?
আমি: সাবধানে যাবেন
ফাহাদ: তুমি বাসায় যাও আমি তাকিয়ে আছি তারপর আমি যাবো।
আমি: মানে কি? এটা আমার এলাকা আর আপনি আমাকে এইসব বলছেন?
ফাহাদ: কথা কম বল, যাও
আমি: আমি যেতে পারব আপনি যান
ফাহাদ: আমি যাবো আর তুমি আমাকে তাকিয়ে দেখবে? কি ভেবেছো এইসব আমি বুঝিনা?
আমি মনে মনে এমন কিছুই ভাবছিলাম না, কিন্ত এমন টাই করতাম আমি জানি।।
ফাহাদ: হা করে তাকিয়ে না থেকে যান।।
আমি হেঁটে হেঁটে সামনে যাচ্ছি আর বার বার পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখছি সে আছে নাকি, আমি তাকালেই চোখ সামনে ইশারা করে দেখাচ্ছে।। কিছুটা গলির ভিতর ঢুকতেই আড়াল হয়ে গিয়েছি।। আমি পা টিপে টিপে রাস্তায় উকি দিতেই দেখি সে মাত্রই গেল।
আমি রুমে এসে ড্রয়ারে ব্যাগ টা রেখে হাত মুখ ধুয়ে ফোন নিয়ে ছাদে চলে গেলাম।। কিছুক্ষন ঐখানে থেকে রুমে এসে গোসল করে নামাজ পড়ে, প্রাইভেট এ চলে গেলাম।।
সন্ধ্যায় সায়েম বাসায় নিয়ে আসলো।। আমি হাত মুখ ধুয়ে হালকা নাস্তা করে ভাইয়া এসেছেন উনার কাছে পড়তে বসলাম।। উনি পড়িয়ে চলে গেলে আমি আবার এশার নামাজ পড়ে,, রাতের খাবার খেয়ে আর একটু পড়াশুনা করে শুয়ে পরলাম।।
12টা বাজে ফাহাদ ফোন দিল। দুপুরে বাসায় যাওয়ার পরে অবশ্য ফোন দিয়েছিল কিন্ত আমি শাওয়ারে থাকায় ধরতে পারিনি, এর পর আমি ভুলে গেছিলাম।।
ফাহাদ: হ্যালো হ্যালো
আমি: চমকে যেয়ে হা বলে দিলাম, কখন রিসিভ করে বসে আছি আমি খেয়ালেই করিনি।।
ফাহাদ: কি ভাবছিলে?
আমি: কই কি ভাবছিলাম
ফাহাদ: এতক্ষণ হ্যালো হ্যালো করছি সাড়া শব্দ নেই হটাৎ হ্যাঁ বলায় মনে হলো কিছু ভাবছিলে
আমি: না তেমন কিছু না
ফাহাদ: তাহলে কেমন কিছু?
আমি: ধুর এত প্যাঁচান কেন
ফাহাদ: ঠিক আছে এই চ্যাপ্টার ক্লোজ। আচ্ছা তোমার কী imo আছে?
আমি: না
ফাহাদ: নামাও
আমি: কেন?
ফাহাদ: দেখব তাই
আমি: নো নো আমি ভিডিও কলে আসবো না
ফাহাদ: আরে নামাও তো
আমি: একটা কথা বলি?
ফাহাদ: নো অজুহাত
আমি: না অজুহাত না
ফাহাদ: বল
আমি: ইমো টা না আমার কেমন কেমন লাগে?
ফাহাদ: কেমন?
আমি: খুব বাজে লাগে
ফাহাদ: কেন
আমি: যাদের হাসব্যান্ড বিদেশ থাকে তাদের জন্য ইমো আমাদের জন্য না।।
ও আমার কথা শুনে হো হো করে হেঁসে দিল।।
আমি: হাসির কি হলো?
ফাহাদ: আমি তো বিদেশি
আমি: কিভাবে
ফাহাদ: এইযে তোমার সামনে নেই তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করছে কিন্ত পারছি না
আমি: ইস সব পটানোর ধান্ধা
ফাহাদ: পটেই তো গেছ
আমি: হইসে
ফাহাদ: স্বীকার করেছ?
আমি: না
ফাহাদ: করিয়ে নিবো।। এখন তারাতারি নামাও
আমি: উইদাউট ইমো
ফাহাদ: তাহলে WhatsApp নামাও
আমি: ঠিক আছে।।
আমি প্লে স্টোর থেকে WhatsApp নামিয়ে একাউন্ট খুলতেই ওর নাম টা আসলো
সাথে সাথেই ওর মেসেজ
ফাহাদ: hey?
আমি: hu
ও WhatsApp ফোন দিতেই আমার হার্ট বিট হওয়া শুরু হয়ে গেছে।। আমি পর পর 3বার লাইন কেটে দিলাম।।
ফাহাদ: pick up the call
আমি: video call na plz
ফাহাদ: kono kotha hobena ja bolchi taratari koro
আমি: plz
ফাহাদ: no plz
আমি জানি আজ আমার রক্ষা নেই। তাড়াতাড়ি মুখ ধুয়ে হালকা ক্রিম দিয়ে দিলাম ঠোঁটে ভেসলিন দিয়ে নিলাম, মাথায় ওরনা দিয়ে ফোন টা বেডের উপর রেখে হাঁটু ভাঁজ করে বসলাম। আমি এই প্রথম ভিডিও কলে কেমন জানি লাগছে।।
এর মধ্যেই তার ফোন।। আমি রিসিভ করে মাথা নিচু করে আছি।। এর মধ্যেই মনে হলো ইস ইয়ার ফোন টা কেন সাথে রাখলাম না।। এখন তো ওর সামনে উঠেও যেতে পারবো না।।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে দেখি সে বেডের উপর উল্টো করে শুয়ে বুকের নিচে বালিশ দিয়ে বাম হাত গালে তাকিয়ে আছে, ওর এই তাকানো দেখেই তো মরে যাই।।
ফাহাদ: বউ
আমি ওর এই বউ ডাক শুনে লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করে। কত সুন্দর করে বউ বলে, নিজে নিজেই লজ্জা পাচ্ছি।। কতই বা বয়স এই বয়সে বউ ডাক শুনতে হয়।।
ও আবার ডাক দিল ও বউ?
এই ছেলের মুখে এত মধু কেন? জন্মের উপর আন্টি কি খাইয়েছিলেন? আর একবার জিজ্ঞেস করবো।।
ফাহাদ: এইদিকে তাকা না একটু
আমার এইবার ওর কথা রাগ উঠে যায়।। আমি কারোর তুই ডাক নিতে পারিনা।।
আমি: রাগে উনার দিকে আঙুল তুলে বললাম দেখুন একদম তুই তুই করবেন না, আর একবার শুনলে একদম খুন করে দিব
ফাহাদ: (উঠে বসে ল্যাপটপ টা উনার কোলে নিয়ে বললো) আমার লজ্জাবতী বউ এক মুহূর্তে দজ্জাল বউ হয়ে গেছে দিস ইজ নট ফেয়ার বউ।।
আমি: আমি দজ্জালের থেকেও দজ্জাল।। থাকতে থাকতে বুঝে যাবেন ডোন্ট ওরি।। বাল্যবিবাহ করার মজা হারে হারে বুঝাবো
চলবে
#Ayesha
#ArrangedMarraige
পর্ব-22
আমি: রাগে উনার দিকে আঙুল তুলে বললাম দেখুন একদম তুই তুই করবেন না, আর একবার শুনলে একদম খুন করে দিব
ফাহাদ: (উঠে বসে ল্যাপটপ টা উনার কোলে নিয়ে বললো) আমার লজ্জাবতী বউ এক মুহূর্তে দজ্জাল বউ হয়ে গেছে দিস ইজ নট ফেয়ার বউ।।
আমি: আমি দজ্জালের থেকেও দজ্জাল।। থাকতে থাকতে বুঝে যাবেন ডোন্ট ওরি।। বাল্যবিবাহ করার মজা হারে হারে বুঝাবো
ফাহাদ: আমি তো মজা বুঝতেই চাই ম্যাম
আমি: রাখলাম
ফাহাদ: একদম না আজ অনেক্ষন কথা বলবো
আমি: ঘুমাবো
ফাহাদ: মিথ্যা বলবা না
আমি: সত্যি
ফাহাদ: আবার
আমি: হুমম
ফাহাদ: আমার সামনে আসলে সাজা লাগবেনা
আমি: কই সেজেছি?
ফাহাদ: ঐযে গালের পাশে সাদা সাদা কি দেখা যাচ্ছে
আমি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে দেখি আসলেই তো, আমি হাত দিয়ে মুছে দিয়েছি।।
আমি: আমি মুটেও সাজিনি
ফাহাদ: আমি তোমাকে এমনি পছন্দ করেছি কোনো রূপ গুন দেখে না, পরের বার এইসব আর দিবেনা স্ক্রিন নষ্ট হয়ে যাবে।।
আমি: এইগুলোর কোনো সাইড ইফেক্ট নেই
ফাহাদ: বলছি দিবেনা ব্যাস দিবেনা
আমি: হুমম
ফাহাদ: আমার কাজিন বাইরে থাকে ওকে বলে বাইরে থেকে ভালো মানের প্রোডাক্ট আনিয়ে দিব, তাও দেশী গুলো দিবেনা
আমি: আমি ওইসব মেকআপ টেকাপ কিছু করিনা, আমি তো নামেই জানিনা, কোনটার কি নাম, জাস্ট একটা ক্রিম আর পাউডার ইউজ করি এইটুকু
ফাহাদ: তাহলে তো আরো ভালো একদিক থেকে আমার খরচ কমে গেল আমার বউ মাসে মাসে 20/30হাজার টাকা চাইবে না মেকআপ এর জন্য
আমি: আরো অনেক কিছুই চিনিনা ওইগুলো থেকেও বেঁচে যাবেন।।
ফাহাদ: বাহ এই না আমার বউ
এইসব হাবি জাবি গল্প করেই আড়াইটা বেজে গেছে কারোর কোনো খবর নেই।।
ফাহাদ: তারপর
আমি: তারপর কি?
ফাহাদ: ঘুমের কথা ভুলে গেছ?
আমি আসলেই ভুলে গেছিলাম, কথা বলে লজ্জা ও অনেক টা ভেঙে গেছে, সব টাই ওর জন্য ও চুপ করে থাকলে আমিও এইভাবে বোর হয়ে ঘুমিয়ে যেতাম।।
আমি: এইতো এখনই বলতাম
ফাহাদ: ঠিক আছে ঘুমিয়ে পড় না হয় আমার সুন্দরী বউএর চোখের নিচে কালো স্পর্ট পরবে,
আমি: কত কি জানেন আপনি
ফাহাদ: তোমাকেও শিখিয়ে দিব সময় হোক।।
আমি: রাখছি
ফাহাদ: এইভাবে কথার মাঝখানে হুট হাট রাখছি রাখছি কর কেন?
আমি: ঘুম পাইসে তো
ফাহাদ: আমি তো নিজে থেকেই বলবো এত টা ক্যারলেস আমাকে না ভাবলেও তো পারো
আমি: উফফ বাবা, ঠিক আছে কথা শেষ করেন
ফাহাদ: সকালে উঠে ফোন দিও
আমি: হুমম
ফাহাদ: ফ্রী থাকলেই কল দিবা
আমি: হুমম
ফাহাদ: তোমার এই রাখি কথা শুনেই আমার মাথা খালি হয়ে যায়, বলার মত কিছু পাইনা।। যাও ঘুমাও
আমি: ঠিক আছে রাখছি
ফাহাদ: মেয়ে রাখার কথা শুনলেই মনে হয় আলাদীনের বদনা পাইসে
আমি: ওইটা বদনা না…
ফাহাদ: হইসে ম্যাম আমি জানি, বললাম শুধু
আমি: রাখি
ফাহাদ: শুন
আমি: কি
ফাহাদ: আমি কিন্ত ওইগুলো মজা করেই বলছি, তুমি আবার ভেব না কিপটা জামাই খরচ কমে যাবে শুনে খুশি হয়েছে।। তোমার জামাই এর শ্বশুর এর অনেক আছে। সারাজীবন বসে খেলেও শেষ হবেনা।। তোমার যা লাগবে চোখ বন্ধ করে বলে দিবা, দেখবা বলতে দেরি হয়েছে কিন্ত তোমার কাছে আসতে দেরি হবেনা।।
আমি: আমি কিছু মনে করিনি, আর আমার চাহিদা খুব সীমিত, আপনি যা দিবেন এতেই আমি খুশি।।
ফাহাদ: ঠিক আছে ঘুমাও তাহলে
আমি: হুমম আসসালামু ওয়ালাইকুম
ফাহাদ: ওলাইকুম আসসালাম
আমি ঘুমিয়ে গেলাম।। সকালে উঠে দেখি 10টা বাজে, উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে ফোন নিয়ে ছাদে চলে গেলাম, আজ শুক্রবার বিকালে কোচিং ছাড়া সব অফ।। আমি ফাহাদ কে ফোন দিয়ে কিছু খন কথা বলে।। মামুনি ফারিয়া আঙ্কেল এর সাথে কথা বলে নিলাম।।
ছাদের গাছ গুলোতে অনেক দিন পানি দেয়া হয় না।। আমি পাইপ দিয়ে পানি দিতেই হটাৎ নিচে চোখ গেলো।। একটা ছেলে কালো জ্যাকেট পরা দাড়িয়ে আছে।। আমি ভাবছি আগে তো একে দেখি নি।। আমাদের বাসা 2 তলা তাই কিছুটা বুঝা যাচ্ছে ছেলেটা কে কেমন সন্দেহ লাগছে,, নিচে থেকে দেখলে কিছুটা আন্দাজ করতে পারতাম।। কিন্ত আমার রুমের জানালায় কেন উকি দিচ্ছে।। খাদিজার সাথে কোনো চক্কর চলছে নিশ্চই, মার ফোন নিয়ে এইসব করে দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।।
আমি আমার রুমে এসে দেখি ও আমার ড্রয়ারে কি জানি খুঁজছে, আমি দৌড়ে যেয়ে ওর হাত ধরে টেনে সরিয়ে আনি
আমি: ওই ওই সাবধান আমার জিনিসে হাত দিবিনা জবাই করে ফেলবো
খাদিজা: উফফ তুমি এমন পাগলা টাইপ কেন? আমি কি চুরি করতে আসছি নাকি? তোমার জামা গুলো গুছিয়ে রাখছি
আমি: ঠিক আছে কাজ কর।।
আমি বেডের উপর পা নাচিয়ে নাচিয়ে খাদিজার ভাব গুলো দেখছি আসলেই কিছু আছে কি না, কিন্ত খাদিজা এমন করছে যেন বাইরের কিছু সে জানেই না।। ও আমার ড্রয়ার গুছিয়ে চলে গেল।।
আমি ভাবছি ভুল করে হয়তো বা এখানে চলে আসছে, আবার মনে হচ্ছে ভুল কিভাবে? এটা ঢাকা শহরের গলি না যে সব রাস্তা এক রকম।।
আমি উকি দিতেই ছেলে টা চোখ গুলো কেমন ছোট বড় করে চলে গেল, হেলমেট পরা তাই মুখ বুঝা যায় নি।।।
আমি বিকালে কোচিং ক্লাসে চলে গেলাম।। কোচিং শেষে সায়েমের সাথে হেঁটে হেঁটে আসছি।। ও অবশ্য এখন আমার অনেক কেয়ার করে।। আগে কখনো রাতে নিয়ে আসতো না। হয়তো আমি চলে যাবো ভেবে কিছুদিন যত্ন করছে
আমি: সায়েম শুন
সায়েম: বল
আমি: তুই তুমি একেক বার একেক টা, বেয়াদব
সায়েম: এইজন্যই তোকে নিতে আসতে চাইনা, বড় ছোট করিস শুধু, 1বছরের বড় বলে কত কথা শুনাস 5/10 বছরের হলে এতদিনে পাগলা গারদে যেতে হতো।।
আমি: সোনা ভাই আমার রাগ করিস কেন? আচ্ছা তোর যা ইচ্ছা বলিস
সায়েম: হইসে তেল দেয়া লাগবেনা
আমি: আচ্ছা শুন, ফাহাদের সাথে তোর সম্পর্ক কেমন রে
সায়েম: হুমম ভালই
আমি: তোকে আদর করে?
সায়েম: হ্যাঁ করেই তো
আমি: ভালো আছে?
সায়েম: হেঁ
আমি: কেমন ভালো?
সায়েম: অনেক ভালো। ওইদিন বাড়িতে ভাইয়ার এক জোড়া শো আমাকে দিয়ে গেছে প্রায় 9হাজার টাকা হবে দাম, আমি শুধু বলছি শো গুলো কোন ব্র্যান্ড থেকে নিয়েছ, ভাইয়া বলে তুমি নিয়ে যাও আমি নতুন কিনে নিব
আমি: তোকে বললেই তোর নিতে হবে?
সায়েম: আমি অবশ্য না করেছি তাও বেশি জোড় করায়…..
আমি: চোখে সর্ষেফুল ফুল দেখছিস
সায়েম: তোকে আর কিছু বলবো না।।
আমি: ভাই ভাই বল আমি আর কিছু বলবো না, এইযে মুখে তালা
সায়েম: নো নেভার ভাইয়া না করে গিয়েছে
আমি: বল না
সায়েম: নো নো
আমি: বেশি তেল দিলেই এমন হয়, ভালোয় ভালোয় শো এর টাকা গুলো আমায় দিবি, না হয় তোর শো আগুনে পুড়িয়ে দিব
সায়েম: টাকা তোকে দিব কেন? তোরে তো atm কার্ডের কাছে বিয়ে দিসি। চাইবি আর নিবি।।
আমি সায়েমের পায়ে একটা লাথি দিলাম, হাতে কত গুলো গুশি দিলাম।।
সায়েম: ও হাত ঢলতে ঢলতে বললাম মাইন্ড ইট
আমি: তোর রুমে আগুন দিব আমি দেখিস বদমাইশ ছেলে।। তোকে এইগুলা দেয় বলেই এত ভালো ভালো কথা বললি।।
সায়েম আমার কথা পাত্তা না দিয়ে ও ওর মত হেটে চলে গেল।।
এইভাবে আরো 4/5দিন চলে গেল।। বাসায় রান্না বান্না হচ্ছে সবাই দৌড়া দৌড়ির উপর আমি আমার রুমে ফোন গুতাই।।
বাড়িতে এত আয়োজন মানে নিশ্চই কেউ আসবে, প্রায়ই আসে বাবার ফ্রেন্ড, মার স্কুলের টিচার রা।।
দুপুর বেলা গোসলের আগে বুবু একটা লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়ি দিয়ে গেছে।।
আমি বুবুকে ডেকে বললাম এইগুলা কেন?
বুবু: পড়বি তো
আমি: কিন্ত হটাৎ কেন?
বুবু: কথা কম বলে তুই জলদি শাওয়ার নিয়ে শাড়িটা পরে নে
আমি শাড়িটা খুলে দেখি অনেক অনেক সুন্দর একটা বেনারসি হালকা হালকা স্টোন বসানো কিন্ত অনেক ভারী, সাথে রেডিমেট ব্লাউজ, পেটিকোট।।
আমি: বুবু এই শাড়ি তো অনেক ভারী আমি একা মনে হয় না পড়তে পারবো
বুবু: ঠিক আছে তুই শাওয়ার নিতে আয় আমি দেখছি
আমি ব্লাউজ পেটিকোট নিয়ে বাথরুমে ডুকে গেলাম
বুবু দরজা নক করে বলছে যেন চুল না ভিজাই।।
আমারও কি এত বড় চুল সারাদিন ফ্যানের নিচে বসে থাকলেও শুকায় না আর এখন ঠাণ্ডায় তো ফ্যান ও ছাড়া যাবেনা, ভালই হইসে।।
আমি শাওয়ার থেকে বের হয়ে দেখি বুবু খাদিজা আমার আরো বোন গুলো সব আমাদের বাসায়।।
আমাকে বের হতে দেখেই মনি, তানহা, মিম, মেঘলা সবাই আমাকে জড়িয়ে ধরেছে, আমিও তো ওদের দেখে মহা খুশি।।
আমি: কেমন আছিস বনুরা কত দিন পর তোদের দেখলাম অনেক কথা বাকি
মনি: বনু সব পরে হবে তুই আগে রেডি হয়ে নে
তানহা শাড়ি নিয়ে আমাকে পড়ানোর জন্য আসছে অন্যদিকে বুবু ভাত মাখিয়ে আমার তুলে দিচ্ছে, মিম মেহেদী পরাচ্ছে।। কিন্ত এত কিছুর কি মানে? আজ কি আমার আকদ? কিন্ত কেউ তো আমাকে বলেনি।। আর ফাহাদ ও তো চিটাগং ও না থাকলে এইসব কি করে হবে?
আমি: বুবু তোমার সাথে আমার একটু কথা ছিল
বুবু: সব পরে হবে, এই কাজ গুলো আগে শেষ হোক তারপর
আমার মনের ভিতর শান্তি লাগছে না। কি হচ্ছে আমার সাথে, বউ এর মত সাজানো হচ্ছে কিন্ত জামাই নেই।। আমি অনেক এমন দেখেছি বাবা মা বিয়ে ঠিক করে অন্য কোথাও বিয়ে দিয়ে দেয়।। আসলে আকদ না অন্য কিছু তাও বুঝতেসি না।।
চলবে