Arranged Marriage part-31+32

0
608

#Ayesha
#ArrangedMarriage

পর্ব-31 +32

কিছুক্ষন পর ফাহাদ জিজ্ঞেস করলো
ফাহাদ: আচ্ছা লাভ বাইট টা যে দিয়ে গিয়েছিলাম ওইটা কই? পাচ্ছি না তো
আমি: ডান পাশে
ফাহাদ: (বাম দিকে ঘুরিয়ে দেখছে) প্রায় মিলিয়ে গেছে আবার দেয়া লাগবে
আমি: ওকে এক ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম

উঠে জানালার রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছি, ও পিছন থেকে এসে চাদর টা আমার গায়ে জড়িয়ে দিলো।।

ফাহাদ: আয়েশা
আমি জবাব দিলাম না, তবে তার ডাকে মনে হলো সিরিয়াস কিছু বলবে
ফাহাদ: দেখো আমি জানি আমার উপর তোমার অনেক রাগ জমে আছে, রাগ হওয়াই স্বাভাবিক,আমি আমাকে তোমার নিজের জায়গায় চিন্তা করেই কথা গুলো বলছি, তুমার যদি আমাকে কিছু বলার থাকে বলতে পারো তাও চুপ থেকো না, আমি তোমার নিরবতা নিতে পারছি না।
ফাহাদ: প্লিজ চুপ থেকো না কিছু তো বলো
ফাহাদ: আয়েশা আমি অনেক চেষ্টা করেছি জানানোর। কিন্তু সত্যি আমার উপায় ছিলনা। তুমি তো আমাকে চিন। তুমি তো জানো আমি তোমার সাথে কথা না বলে, তোমার কন্ঠ না শুনে থাকতে পারিনা। তবু কেন ছিলাম? একদম নিরুপায় হয়েই ছিলাম। তুমি যতটা কষ্ট পাইসো তারথেকে বেশি কষ্ট আমি পাইসি। কারন দোষী যে আমি। আমার কারনেই কষ্ট পেলা তুমি। আমি কোন অজুহাত দিবনা। আমি ভুল করসি। আমায় ক্ষমা কর। আর কক্ষনো তোমার থেকে দূরে যাবনা।
অনেক গুলা দিন নিরুপায় হয়ে তোমার থেকে দূরে ছিলাম। এখন তো চলে আসছি। এখন আর দূরে সরে থেকোনা বউ। কথা বল না বউ।।
(ও আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে কথা গুলো বললো, ওর কথা শেষ হলে আমি ওকে সরিয়ে দেই)

ও অনেক্ষন দাড়িয়ে ছিলো আমার কিছু বলার আসায়, কিন্ত আমি চুপ করে থাকায় ও আর জোর করেনি। চলে যাচ্ছিলো আমি ওর হাত ধরি, ও মুখ উজ্জ্বল করে আমার দিকে তাকালো

ফাহাদ: আমি প্রস্তুত আয়েশা।। তোমার সব অভিযোগ শুনার জন্য।। বলো
আমি: ভালো আছো?
ও এমন সময় আমার এমন প্রশ্ন শুনার জন্য মুটেও প্রস্তুত ছিল না, তাও অপ্রস্তুত ভাবেই বলল
ফাহাদ: ভালো
আমি: আমাকে জিজ্ঞেস করবে না?
ফাহাদ: সেই সাহস নেই আমার
আমি: কেন?
ফাহাদ: তোমার এইসব কিছুর জন্যে তো আমি দায়ী
আমি: আর
ফাহাদ: কোন মুখে জিজ্ঞেস করবো?
আমি: আমি কোনোদিন ভাবিনি তুমি আমাকে কষ্ট দিবে, তোমার থেকে কষ্ট পেতে হবে আমায়, কম তো ভালোবাসো নি আমিও তোমার মতই ভালো বাসতে চেয়েছিও জানিনা কতটা পেরেছি, হয়তো পারিনি তাই তুমি আমার উপর বিশ্বাস হারিয়েছ, আমাকে রেখে এতদিন থাকতে পেরেছ, তুমি জানো না ফাহাদ আমার মনের ভিতর কি চলছিল। আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না এমন পর্যায় চলে গিয়েছিলাম কিন্ত তাও মনে সাহস নিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছি।।
তুমি এতগুলা দিন কিভাবে থাকতে পারলা? এখন তো প্রাচীন যুগ না। হাজার মেইল দূর থেকেও জানানো যায়। তুমি কেমন আছো, কি করতেসো, কোথায় আছো এসব ভেবে আমি পাগলের মত হয়ে গেছি। প্রতি মুহুর্তে ভাবসি তুমি কি ভালো আছো? নাকি আমায় ফেলে হারিয়ে গেছো?
এমনকি আমি মরার কথাও ভাবসি কয়েকবার। তুমি ছাড়া আমার সময় গুলা কেমন যাচ্ছে এটা একবার ভাবসিলা। রাতে খুব কষ্টে ক্লান্ত হয়ে নিজের অজান্তে ঘুমিয়ে যাই। সকালে চোখ খুলে কয়েক সেকেন্ড পর মনে পড়ে তুমি নাই। আমি তখন হাজার টুকরা হয়ে ভেঙে পরি। মনে হয় কেন ভাঙল আমার ঘুম!!
আজীবনের জন্য ঘুমিয়ে যেতাম তাহলে জেগে উঠে এতটা কষ্ট সহ্য করতে হতনা। তুমি বুঝ এইগুলা??
এমন হইসে কখনো তোমার সাথে?
কিন্তু তোমার কারনে আমার এরকম সময় কাটাতে হইসে। তোমাকে লাগবে না আর। যেখানে ছিলা সেখানে যাও।।
ফাহাদ: সরি, আর কখনো এমন হবেনা
আমি: তুমি আমার সাথে একদম কথা বলবে না, আমার থেকে তোমার কাজ বড় তাইনা? তাহলে কাজকেই বিয়ে করতে, এত কষ্ট করে আমাকে কেন বিয়ে করা লাগছে?
ফাহাদ: ভালোবাসি তো
আমি: হ্যাঁ জানি তোমার কাজকে
ফাহাদ: না…
আমি: থাক মিথ্যে বলা লাগবে না, বিশ্বাস করতে শিখ, ও আচ্ছা বিশ্বাস? ভুলে বলে ফেলছি, বিশ্বাস শব্দ টা তো উকিলদের সাথে যায়না, তারা কারোর কোথায় বিশ্বাসী না, তারা দেখে, শুনে, প্রমাণ পেয়ে বিশ্বাস করে আর সেইখানে তো আমি… যাই হোক এইসব উকিল টুকিল আমার কোনো কালেই পছন্দ ছিল না সবটা বাবার ইচ্ছায়।। (আমি আর কিছু বলতে চেয়ে ও বলিনি)

এইগুলো বলে আমি রুম থেকে বের হয়ে বুবুর সাথে শুয়ে পরলাম, 12টা উপরে বাজে বুবু খাদিজা এতক্ষনে ঘুমিয়ে গেছে।। আমি খাদিজার পিছনে চুপিচুপি শুয়ে পরলাম।।
সকালে ওরা উঠার আগে চলে যেতে হবে না হয় ওদের কথার এত এত প্রশ্ন থেকে রক্ষা পাবনা।।

ভোর 5টায় উঠে আমার রুমে গেলাম দেখি ফাহাদ রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছে, আমি কিছু বললাম না অযু করে নামাজ পড়ে নিলাম, সে এখনো দাড়িয়ে আছে।। আমি বিছানায় একটু শব্দ করেই উঠলাম যেনো ও আমার উপস্থিতি টের পায়।। কম্বলের ভিতর গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পরলাম, কিছুক্ষন পরে উঠে দেখি ও একই ভাবে দাড়িয়ে আছে।।
আমার আর ভালো লাগছেনা ওকে এইভাবে দেখতে, বেচারা সারারাত এইভাবে দাড়িয়ে কাটিয়েছে, আমার নিজের উপর খুব রাগ হচ্ছে।।

আমি ওর পিছনে যেয়ে দাড়ালাম, ওর কাঁধে হাত দিতেই আমার দিকে ঘুরে তাকালো।।
ওর চোখ লাল হয়ে আছে, এখন সত্যি সত্যি খুব খারাপ লাগছে, আমি তো ওকে কষ্ট দেয়ার জন্য এইসব বলিনি, আমি তো ওকে শুধু বুঝাতে চেয়েছিলাম আমি কতটা কষ্ট দিন গুলো কাটিয়েছি।।
আমি ওকে জড়িয়ে ধরলাম, ও এখনও মূর্তির মতো দাড়িয়ে আছে আমাকে ধরছে না।

আমি ওর মুখে হাত দিয়ে বললাম
আমি: দোষ করবে তুমি আর আমি পাবো কষ্ট, আবার কিছু বলাও যাবেনা, তাহলে তুমি সব দিক দিয়ে জিতছ, আমি কি?
ফাহাদ: কিছুনা
আমি: কিইই? আমি কিছুনা? বাহ বাহ
ফাহাদ: তোমাকে কিছুনা বলিনি
আমি: থাক বুঝছি। হ্যাঁ আমি জানি আমি কিছুনা, কিছু হলে তো এইভাবে ছেড়ে 18দিন গায়ে হাওয়া লাগাতে পারতা না, বুঝা হয়ে গেছে আমার, আমি যে কার কি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি, বিয়ের আগে কত প্রেম আর এখন….
ফাহাদ: সব আগের মতই আছে
আমি: কেমন আছে দেখছি
ফাহাদ: দেখি সরো ব্যাগ ঘুচাবো
আমি: মানে?
ফাহাদ: বাসায় যাবো
আমি: কেন?
ফাহাদ: কাজ আছে
আমি: সরি, রাতে বেশি বলে ফেলেছি।
ফাহাদ: না ঠিক আছে আমি কিছু মনে করিনি।।

আমি ওর পায়ে ধরে বসে পরলাম
আমি: সরি ফাহাদ, মাফ করে দাও, ভুল হয়ে গেছে আমার, আমি রাগের মাথায় ওইসব কিছু বলছি, তুমি তো জানো আমি এইগুলা বলতে পারি কি না, প্লিজ ফাহাদ আমাকে রেখে যেও না, তুমি তো বলেছিলে ডিসেম্বর মাস বেশি সময় আমার সাথে থেকে যাবে তাহলে? আমি জানি তোমার কোনো কাজ নেই আমি ওইসব বলায় রাগ করছ। আচ্ছা শাস্তি দাও তাও যাওয়ার কথা বলবেনা
ফাহাদ: পা ছাড়ো আয়েশা
আমি: না ছাড়বো না আগে বলো যাবেনা
ফাহাদ: ছাড়ো (আমি পা ধরেই বসে আছি ও আমাকে টেনে তুলে দাঁড় করলো)
আমি: আমি তো বলছি আর বলবো না। তুমি বের হইয়ো আবার এইভাবে, এখন তো 18দিন থেকেছ পরের বার 1মাস থেকো, আমি আর এইসব বলব না

ফাহাদ: বইন মুখ টা অফ করবি?
আমি: বইন? বইন হয়ে গেলাম?
ফাহাদ: নিজে যখন বলিস তখন আমার কেমন লাগে বুঝ
আমি: ভাই শুন
ফাহাদ: বল
আমি: সরি আর বলবো না
ফাহাদ: হুমম ভেবে দেখবো
আমি: (আমি ওকে জড়িয়ে ধরলাম ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো) ফাহাদ সারারাত এইভাবে দাড়িয়ে ছিলে তাইনা? আমি কথা গুলো বলে যাওয়ার পর থেকেই মন টা কেমন করছিল, তাও এগোর জন্য আসিনি।।

ফাহাদ: (ও আমাকে কোলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো) আমি না সারারাত আরামে পা ছড়িয়ে ঘুমিয়েছি, ভোরে তোমার দরজা খুলার আওয়াজ শুনে জানালার পাশে দাড়িয়ে কাচা ঘুম ভেঙেছে তাই চোখ মুখ লাল ছিল

আমি ওর কথা শুনে ওর পেটে একটা ঘুষি দিলাম

আমি: ফাজিল ছেলে, তোকে আমি খুন করে ফেলবো (ওর গলা চেপে ধরলাম)
ফাহাদ: (আমার হাত সরিয়ে) এতদিন এইসব খুনিদের আমি শাস্তি দিতাম, আমাকে মারলে তোমাকে কে শাস্তি দিবে? না না একটা ডুবলিকেট বানিয়ে যাওয়া লাগবে, এইজন্য কি করা লাগবে বল তো
আমি: কিছু করা লাগবেনা ঘুমাও
ফাহাদ: আরে শুনো, এইজন্য আমার ছেলেকে রেখে যাওয়া লাগবে
আমি ওর বুকে কিল ঘুষি দিচ্ছি, আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে।।

10টায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া করে প্রাইভেট যাওয়ার জন্য বের হলাম, ও আমাকে দিয়ে আসলো বিকালে কোচিং শেষ করে একেবারে ঘুরাঘুরি করে সন্ধ্যায় বাসায় নিয়ে আসলো।।

রাতে শোয়ার আগে বলে রাখছিল কাল আমান দের বাসায় যাবে, আমি জিজ্ঞেস করছিলাম আমান জানে কি না, ফাহাদ বলল না জানিয়েই যাবে, আমিও আর না করিনি।।

ছেলেটা ফাহাদ না থাকা অবস্থায় আমার জন্য অনেক করেছে।। অন্তত একটা থ্যাংকস আর সরি বলাও দরকার কারণ অনেক সময় অনেক খারাপ ব্যাবহার ও করে ফেলেছি, কিন্ত কিচ্ছু বলেনি।।
আমি তো মনে মনে একটা ব্যাপার ভেবেই রাখছি, ওইটা হলে তো ভালই হবে। ফাহাদকে ও বলে দেখবো।।

11 টার দিকে আমরা 2জন তার বাসার সামনে দাড়িয়ে আছি, ফাহাদ কলিং বেল বাজাচ্ছে কিন্ত কেউ দরজা খুলছে না।
ফাহাদ: হয়তো বাসায় কেউ নেই
আমি: তাহলে?
ফাহাদ: বিকেল দিকে আসবো
আমি: ঠিক আছে।।

ফাহাদ আমাকে নিয়ে আমাদের কলেজ গেল, সব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখলাম, আমানের সাথে কোন জায়গায় ধাক্কা খেয়েছি তাও মুখ ফসকে বলে দিয়েছি।। প্রথমে রাগ দেখালেও পরে আর কিছু বলেনি।।

বিকেল দিকে যেয়ে দেখি দরজা খুলাই।। ফাহাদ অনেক্ষন ডাকলো আমান বলে কেউ সারা দেয়নি বলে ও ভিতরে ঢুকে গেল।। আমি ওর হাত ধরে আটকালাম
আমি: এইভাবে যাওয়া টা ঠিক হবে? কি ভাববে?
ফাহাদ: কিছু ভাববে না আমার সাথে আসো

অনেক বড় বাড়ি, মাঝখানে অনেক বড় গ্রাউন্ড ফ্লোর, ফাহাদ একটা একটা করে ঘর দেখছে আমি ওর হাত ধরে আছি, আমার খুব ভয় করছে ওকে বার বার বলছি চলো চলে যাই, তিনি নড়েই না, উকিল মানুষ না একটু রহস্য পেলেই জায়গা ছাড়তে ইচ্ছে করে না।।

ও পর পর 3টা রুম দেখেছে, আমিও একটু সামনে হেঁটে সামনের রুমে উকি দিলাম, আমি এইসব দেখে দৌড়ে ফাহাদকে টেনে ওই রুমের কাছে আনি, আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে দেখাই,,
“একটা ছেলে ব্যাগে কি কি যেনো ঢুকাচ্ছে পিছন থেকে দেখে বুঝা যাচ্ছে না কে”

ফাহাদ ওই রুমের ভিতর ঢুকাতে চাইলো আমি ওর হাত ধরে ফেললাম
আমি: আর রিস্ক নেয়া ঠিক হবেনা, মনে হয় চুরি করে পালাচ্ছে, ওদের হাতে অনেক অস্র থাকে না জানি কখন কি করে বসে, চলো আমরা চলে যাই

ফাহাদ মুখে আঙ্গুল দিয়ে বললো চুপ থাকতে, ও এগোচ্ছে আমি ওর শার্টের হাতা খামচে ধরে আছি, ফাহাদ ওই ছেলের কাছাকাছি চলে আসছে, কাধে হাত দিতেই ছেলে কেপে উঠলো আসতে করে মুখ ঘুরিয়ে তাকালো

ফাহাদ ওকে দেখে হাফ ছেড়ে বাঁচলো, আমিও সস্থীর নিঃশেষ ফেললাম, এতক্ষণ মনে হচ্ছিল অর্ধেক টা দম কেউ নাকের ডগায় রেখেছে বাকি টা বের করে নিয়েছে।।

আমান: আরে ফাহাদ তুমি? (ফাহাদকে জড়িয়ে ধরে আবার ছেড়ে দিল আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো) কেমন আছো?
আমি: জ্বী আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি?
আমান: ভালো
ফাহাদ: এইভাবে কেউ থাকে নাকি? তুমি তো আমাদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে
আমান: সরি আসলে আমি আমার নিজ শহরে ফিরে যাচ্ছি, ঐখানেই থাকবো এখন থেকে
ফাহাদ: হটাৎ এমন ডিসিশন?
আমান: সব কিছু তো হটাৎ করেই হয় তাইনা?
ফাহাদ: হুমম তা ঠিক
আমি: ভাইয়া আমি সরি আসলে আপনার সাথে অনেক খারাপ ব্যাবহার করছি, আর অনেক অনেক থ্যাংকস আপনি না থাকলে আমি এতটা সাহস ভরসা পেতাম না।। (ফাহাদ অনেক ডিপলি আমান কে জড়িয়ে ধরেছে) ঋণী করে দিলে ম্যান
আমান: (ফাহাদের দিকে তাকিয়ে বলল) তোমরা কি এইসবের জন্য এসেছ?
ফাহাদ: (মাথা চুলকে বললো) বলতে পারো
আমান: খুব খারাপ করেছ
আমি: এখন থেকে আপনার এলাকায় থাকবেন?
আমান: হ্যাঁ
আমি: বিয়ে সাদি করলে দাওয়াত পাবো?
আমান: যদি করি অবশ্যই জানাবো
ফাহাদ: যদি করি মানে কি? দাড়াও তোমার জন্য বউ দেখা শুরু করছি, আয়েশা তুমি দেখো তো তোমার কোনো বোন বা সুন্দরী বান্ধুবী আছে কি না?
আমিও হেসে হেসে বললাম ঠিক আছে
আমান: তোমরা বসো আমি একটু আসছি
ফাহাদ: (হাত ধরে আটকে দেয়) কোথাও যাওয়া চলবে না বসো
আমান: জাস্ট 3জনের জন্য 3কাপ চা করবো এইটুক করতে দাও
ফাহাদ আর না করলো না, আমান চা করতে চলে গেছে, আমি ঘুরে ঘুরে ওর ঘর দেখছি, ফাহাদ ওর বুক সেলফ এর কাছে যেয়ে বই দেখছে, একটা ডাইরির মত কিছু হাতে নিয়ে পড়ছে,

আমি সব কিছু ঘুরে দেখে এসেও দেখি ফাহাদের হাতে এখনও ওই ডেইরি টা, আমি ওর হাত থেকে ডেইরি টা নিয়ে নিলাম,
আমি: কারোর পার্সোনাল জিনিষ পড়া ঠিক না জাননা? বলে আমি নিজেই ডাইরির পাতা উল্টাতে উল্টাতে থাকলাম কিছু লিখা চোখে আটকে গেলো

+খুঁজছি খুঁজছি কবে শেষ হবে এই খুঁজা? এক ধাক্কায় যে কেউ মনের ভিতর চলে যায় জানলে দেখে শুনে রাস্তায় হাঁটতাম

পরের পেজে
+বাহ এইভাবে দেখা হবে কে জানতো? এখন থেকে প্রতিদিন দাড়িয়ে থাকবো তেরীবাজার, জানিনা পাবো কি না

+প্রতিদিন দাড়িয়ে থাকি তাও পাই না, এখন কি সারাদিন ডিউটি দিতে হবে মেডাম?

+আচ্ছা একদিন নিশ্চই দেখা পাবো আপনার, ওইদিন আর দেরি না করে বলে দিবো আমি কতটা ভালোবাসি তোমায়

+আয়েশা আয়েশা আয়েশা অনেক কস্টে জেনেছি নামটা, নামের মধ্যেও এমন ফিলিংস থাকে?

আমি ফাহাদের দিকে তাকালাম দেখি ফাহাদ আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আমি আবার পরের পেজ গুলো উল্টাতে শুরু করলাম,

+এমন টা কেন হলো? কেনো হলো আয়েশা? যাকে আমি এতদিন ভালোবেসে আসছি আজ জানতে পারলাম সে অন্য কারোর বউ, আর সে ভাগ্যবানের বউ সেই ভাগ্যবানের জন্য হসপিটালে,
আমি রেল ক্রসিং গিয়েছিলাম আমার মানিব্যাগ হারিয়ে গেছে ওইটা খুঁজতে, হটাৎ দেখি একটা মেয়ে বসে কাঁদছে আমি এগিয়ে গেলাম তার কাঁধে হাত রাখতেই সেই মেয়ে ফাহাদ ফাহাদ করে অজ্ঞান হয়ে যায়। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি করবো, কিছু না ভেবেই কোলে তুলে নেই, যখন গাড়িতে শুয়াই আমি ওই মেয়ের মুখটা দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না, আমি অনেক কষ্টে তোমাকে এইভাবে দেখে সামলেছি। তোমাকে হসপিটালে ভর্তি করে তোমার ফোন থেকে ফোন করে তোমার ফ্যামিলিকে জানাই।। ওরা আসে আমার কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আমিও তাদের ব্যাবহারে আর তোমার টানে বার বার যেতাম তোমার কাছে, আমি নিজে রান্না করে নিয়েছি।। খুব কষ্ট হতো যখন ফাহাদ ভেবে আমাকে জড়িয়ে কাদতে, ইচ্ছে করতো যেখান থেকে পারি ফাহাদকে তুলে আনি।। আমাকে সব সময় তোমার পাশে পাবে আয়েশা, যতদিন ফাহাদ না আসে।।

ফাহাদ একেবারে লাস্ট পেইজ টা উল্টে দিলো

+অবশেষে তোমার কষ্ট শেষ হলো। তোমার ফাহাদ ফিরে আসছে। আমি আর যাবনা তোমার সামনে।। এই শহরেই আর থাকবো না।। ভালো থেকো আমার….

ফাহাদ কারোর পায়ের শব্দ শুনে আমার থেকে ডেইরি নিয়ে জায়গা মত রেখে দিল।
আমান আসছে।। ও বেশ হেঁসে হেসে আমাদের 2জনের দিকে চা এগিয়ে দিল আমরা 2জনেই শুধু তার কাজ কর্ম দেখে অবাক হচ্ছি, ও একাই কথা বলছে, একাই এটা ওটা দেখাচ্ছে, আমি আর ফাহাদ দর্শক তাকে দেখছি।।

ফাহাদ, আমি আমানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে গেলাম।। ফাহাদ চুপ আমিও চুপ আছি, 2জনেই ডাইরির কথা গুলো ভাবছি

চলবে

#Ayesha
#ArrangedMarraige

পর্ব-32

ফাহাদ, আমি আমানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে গেলাম।। ফাহাদ চুপ আমিও চুপ আছি, 2জনেই ডাইরির কথা গুলো ভাবছি

ফাহাদ: কি?
আমি: কিসের কি?
ফাহাদ: চুপ যে
আমি: এমনি
ফাহাদ: কি ভেবেছিলাম আর কি হইসে? আমি তো ভেবেই রেখেছিলাম বোনুর সাথে আমানের একটা ব্যাবস্থা করে দিবো, কিন্ত ও এমন কিছু করবে কে জানে?
আমি: আমিও কাল রাতে তাই ভেবেছিলাম তোমাকে বলবো বলবো করে বলা হয় নি।।
ফাহাদ: এখন তো আর কোনো ওয়ে নেই
আমি: কেন? এমন হলে বুবু থাকবে বুবুর বাড়ি আমি আমার বাড়ি, তাহলে সমস্যা কি?
ফাহাদ: একটা থাপ্পর দিব মেয়ে, যখন তোমাকে নিয়ে তোমাদের বাসায় আসবো বোনু আসবে আমান ও থাকবে, তোমাকে একা রেখে কোথাও যেতেও পারবো না সারাক্ষণ একটা ভয় কাজ করবে, তার চেয়ে বরং এই রিস্কের দরকার নেই, আমরা বনুদের জন্য অন্য ছেলে দেখবো।। আমিও তার কথায় সায় দিলাম।।

পরের দিন বিকালে ও আমাকে নিয়ে মেলায় গেলো আমি চুরি দেখছি ও আমাকে পছন্দ করে দিচ্ছে, আমি ওর পছন্দ আমার পছন্দ মিলিয়ে অনেক কিছু কিনলাম। সবার জন্য মুটামুটি কিছু না কিছু নিলাম।।

আমি বাসায় যেয়ে আমার রুমে ধপাস করে শুয়ে পরলাম ফাহাদ আমাকে টেনে তুলে ওয়াশরুম পাঠালো, আমি ও চলে গেলাম।।
মুখ মুছতে মুছতে বের হয়ে দেখি ফাহাদ আমার ফোন নিয়ে কি যেনো করছে।।

আমি: (ওর সামনে দাঁড়ালাম) কি করছো? আজ হটাৎ আমার ফোন হাতে? ফোন দেয়ার পর থেকে তো ছুয়েও দেখনি আজ কি হলো? (কোমরে হাত দিয়ে বললাম) সন্দেহ টন্দেহ করছ নাকি?

ও আমার দিকে ফোনের স্ক্রীন ঘুরিয়ে দেখালো, আমি দেখি সে আমার আইডিতে, আমি ওর থেকে ফোন টা কেড়ে নিয়ে নিলাম
আমি: একটু চিল্লিয়েই বললাম, আমার আইডিতে কেন ঢুকেছ?
ফাহাদ: ঠিক ভাবে বসে বললো, আসতে এইভাবে কেন চিল্লাছ? এমন কি অন্যায় করেছি?
আমি: কিছুনা
ফাহাদ: এইভাবে টেনে নিলে কেন? চাইলেই তো দিতাম
আমি: কতবার বলব কারোর পার্সোনাল জিনিষ ধরার আগে পারমিশন নিতে হয়?
ফাহাদ: ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট কি আজ দিয়েছিলাম? প্রায় 3 মাস হতে চললো, ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য ঝুলিয়ে রেখেছিলে? যাই হোক আমি কনফার্ম করে দিয়েছি
আমি: কবে দিয়েছ?
ফাহাদ: তোমাকে যেদিন প্রথম দেখে গেলাম ওইদিন রাতেই
আমার মনে পড়লো ওইদিন তো একটা রিকোয়েস্ট আসছিল আমি তো ভালো করে খেয়াল ও করিনি।।
ফাহাদ: কি ভাবছো?
আমি: কিছুনা খুব খিদে পেয়েছে আমার, তোমার পেটে লাগলে খেতে চলো

আমি চলে আসছিলাম ও আমার হাত ধরে আটকে দেয়,
আমি: বললাম তো খিদে পেয়েছে
ফাহাদ: আমারও (দুষ্টামি ভঙ্গিতে আমার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে, আমি বুঝতে পেরে এক ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে গেলাম)

খেয়ে এসে তাকে বিছানা রেডি করে আলমারি খুলে কম্বল বের করে দিলাম। ও শুয়ে পড়ল। আমি আমার ফোন নিয়ে বিছানায় বসে কোলে বালিশ রেখে আরাম করে ফোন চাপছি।। তার আইডিটা খুঁজছি কিন্ত পাচ্ছিনা, সার্চ দিতেই পেয়ে গেলাম।।
মেরুন টিশার্ট পরা একটা প্রোফাইল, ভালই লাগছে দেখতে। তার টাইমলাইনে ঘুরাঘুরি করে দেখি সে pubg লাভার, pubg এর সব ফর্মালিটিস শেয়ার দিয়া।। বাকি যা আছে সব আদি কালের বন্ধুদের সাথে ছবি শেয়ার দেয়া, আর নানা রকম সিরিয়াস পোস্ট পোস্ট করেন। হাবিজাবি আর কিছু সব দেশ বিদেশের খবর তার টাইমলাইনে।।

তবে একটা জিনিষ খেয়াল করলাম সে যে বিবাহিত এটা কোথাও উল্লেখ্য নেই, এমন কি তার রিলেশন শিপ স্ট্যাটাস ও খালি।। না এই ব্যাপার টা মানতে পারলাম না। ও অন্তত রেলিশনশিপ দিয়ে রাখতে পারতো, নিশ্চই মেয়েদের সাথে পল্টিবাজী করে না হয় আর তো কোনো কারণ দেখছি না।। আমি ওর দিকে ঝুঁকে দেখি ঘুমিয়ে গেছে, আমি ওর পাশে থেকে ওর ফোন নিয়ে দেখি লক করা, এখন কি করবো? আমি আসতে আসতে একটা একটা পাসওয়ার্ড দিচ্ছি কিন্ত খুলছে না। কিছুক্ষন ভাবার পরে আমার আর তার নাম টা একসাথে করে লিখলাম।। সাথে সাথেই লক খুলে গেলো।।
আমি ওর আইডিতে ঢুকে আমার সাথে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দিয়ে বের হয়ে গেলাম।। আমি আমার আইডিতে ঢুকে ট্যাগ টা কনফার্ম করে টাইমলাইনে আনলাম।। লাইক আসা শুরু করছে কিছুক্ষণ পর থেকেই কমেন্ট আসবে।। আমি ডাটা অফ করে শুয়ে পরলাম।।

সকালে
ফাহাদ: আয়েশা আয়েশা ওই মেয়ে
আমি: হুমম কি? সকাল বেলায় চিল্লাছো কি জন্য? ঘুমাতে দাও
ফাহাদ: ঘুম থেকে উঠ আজ তোমার খবর আছে

কাঁচা ঘুমে ছিলাম যার কারণে কথা টা সরাসরি আমার কানে ঠিক ভাবে পৌঁছালো না।। যখন আস্তে আস্তে ভিতরে ঢুকলো সাথে সাথে এক লাফে উঠে বসে পরলাম।। ফাহাদ আমাকে এইভাবে উঠতে দেখে আমার কাছে দৌড়ে আসলো।।

আমি ওকে জড়িয়ে ধরলাম
ফাহাদ: এত ভয় কেন পাচ্ছো? দেখছো তো সপ্ন ছিল, আর আমি তো আছি কিচ্ছু হবেনা।।
আমি: সত্যি কিছু হবেনা?
ফাহাদ: না
আমি: 3সত্যি?
ফাহাদ: সত্যি সত্যি সত্যি

আমি ওকে ছেড়ে দিলাম
আমি: এইবার বলো কি বলবে?
ফাহাদ: মানে?
আমি: তখন যে বললা খবর করবা?
ফাহাদ: তুমি সপ্ন দেখো নি?
আমি: না
ফাহাদ: ড্রামা বাজ মেয়ে, রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস কি দিয়েছে?
আমি: আমি কি করে জানবো? তোমার ফোনে তো লক দে…. (আমি জিভে কামড় দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম)
ফাহাদ: আমার ফোন লক তুমি জানলে কিভাবে?
আমি: কই আমি তো জানিনা বললাম আর কি, বললাম… (হাত নাড়াচড়া করছি, ছট্ফট করছি, অস্থির লাগছে)
ফাহাদ: তুমি কার সাথে মিথ্যে বলছ ভুলে গেছো?
আমি: আমি জানি আপনি কি, আমি মিথ্যা বলবো কেন শুধু শুধু।।
ফাহাদ: চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পরতে ধরা।। তুমি দিসো রিলেশনশীপ?
আমি: দিসি ভালো করছি, বিয়ে করেও সিঙ্গেল সেজে থাকা না? আজ করছিলে বিয়ে?
ফাহাদ: এতদিন ঝুলিয়ে রেখেছিলে কেন? আমি কি দিতাম না?
আমি: যাও যাও সরো বুঝা হয়ে গেছে আমার (আমি ওকে সরিয়ে উঠে দাড়ালাম)
হাত মুখ ধুতে চলে গেলাম।।

এসে দেখি তিনি ঘরে নেই, ভেবেছি খেতে বসেছে।। আমিও গেলাম কিন্ত তাকে পেলাম না, খাদিজা কে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম ও বললো বাবার ঘরে, আমি আর কিছু না বলে আমার রুমে চলে আসলাম।।
ফোন হাতে নিয়ে ডাটা অন করে দেখি শুধু নোটিফিকেশন, আমি কমেন্টে যেয়ে দেখি সবাই ফাহাদকে পঁচাচ্ছে, আর আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।।

ফাহাদ রুমে আসলো, মুখ টা কেমন কালো দেখাচ্ছে।। আমি ফোনটা সাইডে রেখে ওর কাছে গেলাম, ও ততক্ষনে বিছানায় বসে পড়েছে, 2টা হাত 2দিকে রেখে মাথা নিচু করে আছে।।

আমি বুঝতে পারছি সিরিয়াস কিছু না হলে ও এমন থাকেনা।। আমি ওর মুখে হাত দিয়ে উপরে তুললাম

আমি: কি হয়েছে?
ফাহাদ: কিছুনা
আমি: বাবার রুমেই তো ছিলে তাহলে? বাবা কি কিছু বলেছে?
ফাহাদ উঠে দরজার সামনে থেকে হেঁটে আবার বেডে এসে বসলো
আমি: বলবে কি হয়েছে?
ফাহাদ: আরো 4বছর পরে তোমাকে আমি নিজের করে পাবো, আমার বাড়ি নিতে পারবো, আঙ্কেল বলেছে আজ থেকে সায়েমের সাথে থাকতে
আমি: কিইই?
ফাহাদ: হুমম
আমি: কিন্ত কেন? আমাদের তো বিয়ে হয়ে গেছে তাহলে কি সমস্যা?
ফাহাদ: তোমার বয়স অনেক কম আয়েশা।। তুমি বুঝবে না, আসলে ভুল টা আমারই আমার কারণেই বিয়েটা এত তাড়াতাড়ি হয়েছে। তোমার বাবা প্রথম থেকেই না করেছিল।। বলেছিল 4বছর ওয়েট করতে, কিন্ত আমি…. আচ্ছা বাদ দাও
আমি: আমি বাবার সাথে কথা বলছি
ফাহাদ: (আমার দুই হাত ধরে ওর মুখের সামনে নিয়ে হাতের উল্টো পাশে চুমু দিল) একদম না। উনি যা বলেছেন তাই হবে। আমিও মানবো তুমিও মানবে, এটা আমার request

আমি আর কিছু বললাম না।। আসতে আসতে ডিসেম্বর মাস শেষ হয়ে গেলো ফাহাদ ও চলে গেলো। আমি আবার পড়াশুনায় মনোযোগ দিলাম।।
ফেব্রুয়ারিতে এসে ও ভ্যালেন্টাইন্স ডে আমায় প্রথম দিনের মত সারপ্রাইজ দেয়।।
আমার শুধু একটাই আফসোস ফাহাদ আমার জন্য অনেক করেছে কিন্ত তার মূল্যে আমি ওকে কিছুই দিতে পারিনি।।
এপ্রিল মাস শুরু হলো সাথে পরীক্ষা ও এসে গেলো।। ফাহাদ আমার প্রথম 3টা পরীক্ষা পর্যন্ত ছিল।।
লাস্ট পরীক্ষার আগে আগে মামুনি, ফারিয়া, আঙ্কেল এসে থেকে গেছেন।।

পরীক্ষার লম্বা ছুটিতে ভার্সিটি কোচিং শুরু করলাম। আমি আমার লেখাপড়া ফাহাদ তার ক্যারিয়ার নিয়ে বিজি হয়ে গেলো।।

আসতে আসতে 4বছর কেটে গেলো।। আজ আমাদের হলুদ।। সবাই অনেক খুশি ।।

চলবে