Game Part-32

0
635

#Game
#মিমি_মুসকান ( লেখনিতে )
#পর্ব_৩২

নিশান সেখানেই দাঁড়িয়ে রইল আর নিশি চলে গেলো। নিশান কিছু’ই বুঝতে পারল না। এদিকে নীল বাসায় এসে জানে নীলাশা বাইরে গেছে। এটা নীলের জন্য খুব ভালো হয়। সে দ্রুত ঘরে গিয়ে পুরো ঘর সাজাতে শুরু করে। পুরো ঘর ডীম লাইট, মোমবাতি আর বেলুন দিয়ে সাজাই সে। নীলাশা’র আসতে আসতে বেশ দেরি হয় কিন্তু নীল তবুও অপেক্ষা করে তার জন্য। অতঃপর নীলাশা বাসায় আসে। নীলাশা ঘরে এসেই ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পড়ে। নীল অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। নীলাশা পুরো ঘরের দিকে একবার চোখ ও বুলালো না। এর মানে কি? নীল যে এতো কষ্ট করে এতো কিছু করলো এটা এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে। নীল উঠে বিছানায় নীলাশা’র পাশে গিয়ে বসল। দেখল নীলাশা ঘুমিয়ে গেছে। এতো তাড়াতাড়ি কিভাব ঘুমিয়ে পড়তে পারে সে। এতোটাই ক্লান্ত ছিলো নাকি। নীল বসে বসে নীলাশা কে দেখতে দেখতে একসময় সেও ঘুমিয়ে পড়ল।

নিশি ঘুমিয়েছে একটু আগেই, তবে হঠাৎ কেন জানি মনে হচ্ছে কেউ আছে তার ঘরে। নিশি এবার চট করে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে নিশান তার দিকে তাকিয়ে আছে এক ধ্যানে। নিশি নিশান কে এতো রাতে তার ঘরে দেখে অনেক অবাক হলো। নিশি জিজ্ঞেস করল..

– তুমি আমার স্বপ্ন নাহ সত্যি!

– তোমার কি মনে হয় জান পাখি।

– এতো রাতে আমার ঘরে কি করছো?

– আমার ঘুম কেড়ে নিয়ে তুমি এখানে শান্তিতে ঘুমাবে এটা কি করে হয় বলো।

– আদি কালের সিনেমার ডায়লগ বলো না যে তোমার স্বপ্নে আমি এসেছিলাম বলে তোমার ঘুম হয় নি।

– নাহ এটা বলবো না কারন স্বপ্নে তোমাকে আরো সুন্দর লাগে আর রোমান্টিক!

– এতো রাতে এই কথা বলতে এসেছো।

– না

– তাহলে…

– ওই যে বললাম না তুমি আমার ঘুম কেড়ে নিলে।

– আমিও তো বললাম কারন কি?

– এটাই যে তুমি আমাকে উওর না দিয়েই চলে এসেছো।

– কিসের উওর?

– আজ যে তোমায় আমি প্রপোজ করলাম সেটার উওর।

– তুমি না বললে তুমি আমায় বুঝবে।

– সেটা গোলাপ ফুল নিলে তার অর্থে বুঝবো কিন্তু তুমি তো সেটা নিয়েই চলে এলে।

– ওহ্ আচ্ছা গুড নাইট আমি ঘুমালাম।
বলেই নিশি মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পড়ল। হুট করে নিশান নিশি কে কোলে তুলে নিলো।

– আরে আরে কি করছো।

– যা করছি বেশ করছি!
বলেই তাকে কোলে নিয়ে বেলকনিতে এসে দাঁড়ালো!

– নামাও আমাকে এখনি মানে এখনি।

অতঃপর নিশান নিশি কে নামিয়ে দিলো। নিশান নিশি’র দিকে তাকিয়ে বলল…
– জান পাখি!

– আমার নাম নিশি!

– তো আমি কখন বললাম তোমার নাম ছাগল।

– তাহলে জান পাখি বলছো কেন?

– আমার ইচ্ছা!

নিশি নিশানের দু গাল ধরে এদিক ওদিক করে বললো..
– ড্রিংক করেছো!

– ছিঃ কি বলছো আমি এইসব খাই না।

– তাহলে এমন আবল তাবল কেন বলছো

– তুমিই তো বলাচ্ছো। এতো সাসপেন্স কেন রাখছো বলো।

নিশি নিশানের কলার ধরে বেলকনির গ্রিলে ঠেকিয়ে বলে..
– এখান থেকে নেমে সোজা বাসায় যাও।

– কিন্তু!

– যেতে বলেছি।

নিশান কিছু না বলে গ্রিল ধরে নামতে লাগলো। নিশি ভাবল হয়তো সে চলে গেছে তাই রুমে আসতে নিলো তখন হঠাৎ নিশান আবার উঁকি দিয়ে বলল..
– উওরটা বলো না প্লিজ।

– তুমি আবার!

– দেখো প্রচুর টেনশন হচ্ছে শেষে না আমি হার্ট অ্যাটাক করি। বলে দাও!

নিশি নিশানের কাছে গিয়ে আবার ও কলার ধরে বলল..
– যদি আমি ফুল না নিতাম তাহলে উওর কি হতো?

– না!

– আর আমি ফুল নিয়েছি এর অর্থ কি?

– হ্যাঁ কিন্তু তুমি যে চলে আসলে!

– সেটা আমার এটিটিউড!

– এখানেও এটিটিউড দেখাতে হবে তোমাকে।

– হুম!

– তাহলে তোমার উওর টা কি!

– আবার জিজ্ঞেস করছো?

– আরে আমি যে বললাম সেটার রিপ্লাই দাও!

নিশি মুচকি হেসে বলল..
– আমি… তোমাকে ভালোবাসি…!

– হায় মে মারযাভান!
বলেই নিশান হাত ছেড়ে নিলো, আর ধপাস করে নিচে পড়ে গেল। এদিকে নীলাশা’র ঘর বেশি উপরে ছিল না যার কাররে নিশান ব্যাথা পায় নি। সে নিচে বসে নিশি’র দিকে তাকাল। নিশি তাকে চোখের ইশারায় চলে যেতে বললে সে একটা চোখ টিপ দিল। এরমধ্যে গার্ড’রা সবাই আসতে নিলো। নিশি ইশারা করে নিশান কে চলে যেতে বললো!

এদিকে কিছু পড়ে যাবার আওয়াজ শুনে নীলাশা লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠলো। সে চোখ ঢলতে ঢলতে আশপাশ দেখতে লাগলো। কেমন জানি লাগছে সব কিছু। নীলাশা’র চোখ থেকে এখনো ঘুম যায় নি। সে ঘুম ঘুম চোখে ঘরের লাইট জ্বালালো। দেখল পুরো ঘর খুব সুন্দর করে সাজানো। নীলাশা চারদিক দেখতে লাগলো। অতঃপর সে হাঁটতে হাঁটতে আসলো ডেসিন টেবিলের কাছে। সেখানে আয়ানায় লেখা ছিল..

– আই লাভ ইউ নীল!

এটা দেখেই নীলাশা’র চোখ থেকে ঘুম উধাও। সে বড় বড় চোখ করে এটা পড়তে লাগলো। অতঃপর পুরো ঘর আবার দেখতে লাগল।

নীলাশা বিড় বিড় করে বলে..
– এতো সাজানো কেন ঘরটা, আর এখানে এই গুলো লেখা কেন? কে এসেছিলো এখানে, নিশ্চিত কোনো মেয়ে নিয়ে এসেছিলেন উনি। আর এখানে মেয়ের সাথে ছিলেন উনি। প্রেম করছিলেন মেয়েটার সাথে। এজন্য’ই আজ অফিস থেকে তাড়াতাড়ি চলে এসেছে। ওহ্ হ্যাঁ ভালোবাসা দিবসে প্রেমিকা নিয়ে এখানে এসেছিলেন উনি। আমার ঘর ভাঙতে চাইছে উনি। আমার সতীন আনবে।

বলেই নীলের দিকে তাকাল। নীল বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। নীলাশা দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠে..
– ঘুম বের করছি ঘুম, আমার ঘুমের বারো টা বাজিয়ে ঘুমানো হচ্ছে!

বলেই নীলাশা এক গ্লাস পানি নিয়ে নীলের মুখে ছুঁড়ল। প্রতিবারের মতো এবারও নীল লাফিয়ে উঠল। দেখে তার সামনে নীলাশা রেগে দাঁড়িয়ে আছে। নীল বুঝতেই পারছে না রাগের হলো টা কি? সে তো নীলাশা কে খুশি করার জন্য এসব করেছিলো তাহলে নীলাশা রেগে আছে কেন?

– এতো রেগে আছো কেন?

– এতো কিছু করে আবার জিজ্ঞেস করছেন রেখে আছি কেন?

– কেন কি করেছি আমি!

– কি করেছেন? দেখুন তাহলে..
বলেই নীলাশা নীল টেনে আয়নার সামনে নিয়ে আসল। অতঃপর বলল..

– দেখুন এখানে কি লেখা আছে!

নীল আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখল সে নীলাশা’র জন্য লেখা “আই লাভ ইউ নীল” এটা লেখা। নীল এটা নীলাশা কে প্রপোজ করার জন্য লিখেছিল।নীল শান্ত ভাবেই বলল..

– কি লেখা?

– কেন মাথার সাথে সাথে কি এখন চোখ টাও গেলো নাকি ?

– হ্যাঁ দেখেছি কি লেখা এখন হয়েছে টা কি?

– আবার বলছেন কি হয়েছে? কোন সতীন কে আনছেন আপনি আমার ঘরে!

– সতীন!

– সতীন নয়তো কি? কোন মেয়ের চক্করে পরেছেন আপনি। আবার ওই ইশা টিসা নয়তো। ওই শাকচুন্নী’র প্রেমে পড়লেন নাকি আপনি।

– এসব কি বলছো!

– নয়তো আর কি বলবো। এখানে লেখা আছে আপনাকে কেউ ভালোবাসে এখন এটা তো আমি লিখি নি তাহলে নিশ্চয়ই কোনো মেয়ে লেখেছে। আর এই ঘর, এই ঘর আপনি এতো সুন্দর করে কেন সাজিয়েছেন কার জন্য সাজিয়েছেন!

নীল এবার পুরো কথা বুঝতে পারল। এখনো নীলাশা পুরোই উল্টো বুঝেছে। নীল ভেবেছিল মেহেরিন তাকে নীল ভাবী বলে ডাকে তাই সে নীল বলেই প্রপোজ করবে কিন্তু এখানে ম্যাম ভাবছেন উনার সতীন আসবে। নীল হাসবে না কাঁদবে কিছু্ই বুঝতে পারছে না। কোনোমতে বললে..

– কারও জন্য না, কেউ আসে নি, কে আসবে বলো।

নীলাশা ন্যাকা কান্না করে বলল..
– আপনি আমাকে ধোঁকা দিচ্ছেন, আমাকে ছেড়ে দিবেন আপনি। আমি এখন কোথায় যাবো আম্মু! এই ছেলে তো চরিত্রহীন।

নীলাশা’র কথা শুনে নীল ৪২০ ভোল্টের শক খেলো। এই মেয়ে কি বলছে এইসব! নীলাশা আবার ও বলতে শুরু..

– এই ছেলে আমার সতীন আনছে,‌আম্মু কোথায় তুমি!
এই ছেলে একটুও ভালো না ঘরে বউ থাকতে অন্য মেয়ের সাথে ঢ্যাশাঢ্যাশি করছে।

– এই চুপ চুপ এই মাঝরাতে গরুর মতো চেঁচাচ্ছো কেন?

– এখন নাকি আমি গরু! আম্মুউউউউউ…

নীল নীলাশা’র মুখ চেপে ধরে বলল..
– থামো থামো প্লিজ থামো আর চেঁচিয়ে না।

নীলাশা কপাল কুঁচকে তাকিয়ে আছে নীলের দিকে। নীল মুচকি হেসে বলল..
– তুমি দেখতে চাও তোমার সতীন কে!

নীলাশা রেগে চোখ বড় বড় করে ফেলে। নীল বলে..
– তাহলে এই দেখো!

বলেই নীলাশা’কে ঘুরিয়ে আয়ানার দিকে নিলো। নীল হাত দিয়ে দেখাল…

– এই যে এই হাতি বাচ্চা হলো তোমার সতীন!

নীলাশা দেখল আয়নায় তার’ই প্রতিচ্ছবি! নীল চোখ ঘুরিয়ে বলল..
– এটা তো আমি!

– হ্যাঁ তুমি!

– আমি আপনার প্রেমিকার কথা বলছি যার জন্য আপনি আমার ঘর সাজিয়েছেন।

– সে আমার প্রেমিকা নয় সে আমার হাতি বাচ্চা বুঝলে!
নীলাশা’র নাক ঘসে!

– আপনি আমায় বলছেন!

– তুমি এতোক্ষণে বুঝলে!

– কিন্তু এখানে তো নীল লেখা।

– আদুরী কি বলে ডাকে তোমায়।

– তার মানে আপনি সতীন আনছেন না কেন।

– তুমি যেই, এরপর আরেকটা। আমার পক্ষে এতো গুলো সম্ভব না।

– মানে কি বলতে চান আপনি! আমি কি হুম কি আমি!

– হাতি বাচ্চা!
বলেই নীল দৌড়, নীলাশাও দৌড়ালো নীলের পিছনে। এই মাঝরাতে দুজনেই পুরো ঘর ঘুরতে থাকে। নীলাশা এক সময় হাঁপিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। নীল ও হাঁপিয়ে যায়। নীল তাকিয়ে থাকে নীলাশা’র থাকে। নীলাশা নীল কে দেখে একটা মুখ ভেংচি দেয়। নীল মুচকি হেসে নীলাশা কে এক টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।

নীলাশা কিছু বলতে গেলে নীল নীলাশা’র ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করতে বলে। নীল চুপ হয়ে তাকিয়ে থাকে নীলের চোখের দিকে। নীলের চোখে আজ অন্যকিছু দেখতে পাচ্ছে সে। কিন্তু সুপ্ত ভালোবাসা! কিন্তু এই ভালোবাসা কার জন্য! তার জন্য কি?

নীল বলে উঠে..
– হুম এই ভালোবাসা তোমার জন্য!

নীলাশা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকে নীলের দিকে। তার মনের কথা সে কিভাবে জানল। নীল হেসে বলে উঠে..
– তুমি যেই বাচাল তোমার মন কি আস্তে আস্তে কিছু বলতে পারে।

– ছাড়ুন তো আমায়!

– আরে আজব তো আমি এতো রোমান্টিক মুডে আছি আর তুমি ঝগড়া করছো ‌

– আপনার সাথে রোমান্স করার বিন্দু মাত্র ইচ্ছা নেই আমার।

– তাহলে এতোক্ষণ ভ্যা ভ্যা করছিলে কেন, এতো ভয় কিসের ছিল তোমার। আমাকে তো ভালোবাসোই না তাহলে হারানোর ভয় কেন ছিল তোমার মাঝে!

– এসব আমার মনে মটেও ছিল না।

নীল নীলাশা কে ছেড়ে দিয়ে বলে..
– সত্যি!

– হুম অবশ্যই!

– ঠিক আছে তাহলে যার মনে থাকবে তাকে খুঁজে নেবো।

– মানে।

– মানে এমন একজন কেউ যে আমাকে ভালোবাসবো। তোমার ভাষায় তোমার সতীন আনবো।

নীলাশা রেগে নীলের কলার ধরে বলে…
– এতো বড় সাহস আপনার আপনি আমার সতীন আনার কথা বলছো।

– করছো কি ছাড়ো।

– কেন ছাড়বো আপনাকে আমি পুলিশে দেবো।

– কেন

– আপনি আমায় ঠকিয়েছেন তাই!

– কখন ঠকলাম তোমায়, আর আমি পুলিশ কে বলে দেবো আমার এই বউ আমায় ভালোবাসে না তাই আরেক বিয়ে করবো। বাই দ্যা ওয়ে ইউ নো হু আই এম আদ্রিয়ান খান নীল! পুলিশের এতো সাহস নেই যে আমায় ধরবে!

নীলাশা নীল কে ছেড়ে দিয়ে শান্ত গলায় বলে..
– আপনি সত্যি সত্যি আরেকটা বিয়ে করবেন।

– হ্যাঁ করবো।

– দেখুন এরকম করবেন না প্লিজ!

– কেন করবো না, আমার মন আমার ইচ্ছা!
বলেই নীল পেছন ফিরে চলে যেতে নিলো। তখন নীলাশা বলে উঠে..

কাঁদো কাঁদো গলায় বলে…
– তাহলে আমার কি হবে, আপনি আমায় বের করে দেবেন। আপনি তো তাকেই ভালোবাসবেন আমাকে তো বাসবেন না তাহলে আমাকে আর এখানেও থাকতে দিবেন না!

নীল খেয়াল করল নীলাশা ওর কথা সিরিয়াসলি নিয়ে নিয়েছে। নীল তাড়াতাড়ি নীলাশা’র কাছে গিয়ে বলে..

– হাতি বাচ্চা এই হাতি বাচ্চা কি হলো তোমার।

করুণ স্বরে..
– আপনি কি তাকেও হাতি বাচ্চা বলে ডাকবেন।

নীল হেসে নীলাশা কে জরিয়ে ধরে বলল…
– আমার হাতি বাচ্চা শুধু একটাই আর সেটা তুমি! বুঝলে আমার ভালোবাসাও তুমি!

নীলাশা নীলের বুকি মাথা রেখে..
– তাহলে আপনি আর বিয়ে করবেন না।

– আরে আমি তো মজা করছিলাম!

– কিহহ!

– এতো চেঁচিয়ো না সবাই ঘুমাচ্ছে.

– আপনি ইচ্ছে করে আমাকে কষ্ট দিলেন।

– কি আর করবো বলো তুমি তো সোজা কথা বুঝো না। তবে তুমি যদি এখনো বলো আমায় ভালোবাসো না তাহলে আমি করতেই পারি আরেকটা বিয়ে।

নীলাশা কিছু না বলে নীলের সাথে আরো শক্ত ভাবে মিশে গেল। নীল নীলাশা কে ছেড়ে ওর ‌গালে হাত রেখে ঠোঁটের দিকে আগাতে থাকে। নীলাশা চোখ বন্ধ করে নেয়। নীল নীলাশা’র ঠোঁটে আলতো করে চুমু খায়। অবশেষে তাদের ভালোবাসাও পূর্ণতা পায়!

#চলবে….