Mental Lover part-1+2

0
937

#Mental_Lover
পর্ব:০১
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম

আরিয়ান রেগে সব কিছু ভা*ঙ*চু*র করে , গাড়ির চাবি নিয়ে চলে যায়।
ইকবাল হোসেন: আরিয়ান দাঁড়া, কোথায় যাচ্ছিস।
শুন আমার কথা,,,,, আরিয়ান।

আরিয়ান কেনো কথা না শুনে চলে যায়।

**আরিয়ান এই শহরের সবচেয়ে বড় বিজনেস ম্যান, ,যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। ছোট বেলায় আরিয়ান এর মা বাবা একটা দূর্ঘটনায় মা*রা যায়,, তার পর থেকে আরিয়ান কে ইকবাল হোসেন মানে, আরিয়ানের মামা বড় করে তুলে। আরিয়ান খুব জেদি, আর রাগী,,,যা চায় তাই পায়। এমন কোনো কাজ নেই যা আরিয়ান করতে পারে না, পুলিশেরা আরিয়ান কে কিছুই করতে পারে না, কারণ আরিয়ান সব কিছু টাকা দিয়ে মিটিয়ে ফেলে। আরিয়ানের আজকে খুব রেগে আছে, কারণ ওর বিজনেস রাইবেল,রিয়াদ ওর একটা বড় ডিল নিজের কোম্পানীতে ট্রান্সপার করেছে।আর এটা আরিয়ান কে কেউ বলেনি পর্যন্ত সবাই জানে আরিয়ান পৃথিবীতে দুটি জিনিস খুব ভালোবাসে এক নিজের বিজনেস কে আর নিজের মামা ও মামাতো বোন তাহিয়া কে।তাই খুব রাগ হচ্ছে আরিয়ানের। ইকবাল হোসেন অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু আরিয়ান একবার রেগে গেলে কোরো কথা কানে পর্যন্ত নেয় না। তাই রেগে গাড়ির চাবি নিয়ে ক্লাবে যাওয়ার জন্য বের হয়।

আরিয়ান: How dare you Rihad ,তোর সাহস হলো কি করে আমার সাথে এমন করার। এখন যদি তুই আমার থাকতি,কি যে করতাম তুই ভাবতেও পারছিস না। (দাঁতে দাঁত চেপে)।

আরিয়ান রেগে গিয়ে খুব জোরে গাড়ি চালাতে থাকে, হঠাৎ আরিয়ান বুঝতে পারে কেউ গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেল,। আরিয়ান তাড়াতাড়ি গাড়ি থামায়।
আরিয়ান:কে আবার এভাবে সামনে ।
মেয়েটি ভয় পেয়ে মুখে হাত চাপা দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় ।আরিয়ান রেগে গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে বলল ।
আরিয়ান:এই,,,, (চিৎকার করে)দেখে চলতে পার না,,।
মেয়েটি ভয়ে ভয়ে মুখ থেকে হাত সরায় । আরিয়ান মেয়েটি কে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে।

ইশিতা দেখতে অনেকটা নিজের মায়ের মত দেখতে।
চোখ দুটো টানা টানা। গায়ের রং ফর্সা সুন্দর, ঠোঁট গুলো সবসময় লাল হয়ে থাকে।গায়ে সাদা রঙের একটা থ্রি পিস পরা,খালি পায়ে দাঁড়িয়ে আছে ইশিতা। সামনের মানুষ কে দেখে ইশিতা নিজেও তার দিকে পলক না ফেলে তাকিয়ে আছে। লম্বা,দেহ তার উপর কালো রঙের শার্ট পরা, শার্টের উপরের বোতাম খোলা,হাতা গুলো গুটানো, সিল্কি চুল গুলো কপালে উপর ছড়িয়ে আছে।এসব সব কিছু মিলিয়ে এক অসাধারণ পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে ইশিতার সামনে।

আরিয়ান:এই যে,, দেখে চলতে পারেন না, এভাবে হঠাৎ গাড়ির সামনে আসার কারণ।

ইশিতা: আসলে রা,,,,, রাস্তা পার হতে গিয়ে এমন হয়েছে।

আরিয়ান:সব কিছু জানা আছে,,, কি রকম যে এমন মেয়েরা।
ইশিতা: মানে,,,,, (জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে)।
আরিয়ান: না জানার ভান,,, অদ্ভুত মেয়ে।

বলে আরিয়ান গাড়িতে বসে চলে যায়। ইশিতা ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ কেউ পিছন থেকে ঘাড়ে হাত রাখে,, ইশিতা পিছনে তাকিয়ে দেখে একটা ছেলে।

রিহান: আপনি কি একা।
ইশিতা: হুম,,,।
রিহান: কোথায় যাবেন।
ইশিতা: জানি না,,,,,।
রিহান:এটাই সুযোগ,,এই মেয়েটা কে ক্লাবে নিয়ে গিয়ে মাস্তি করব (মনে মনে)। আচ্ছা কোনো সমস্যা নেই,, আপনি আমার সাথে চলুন।

ইশিতা: হুম,,,।







ক্লাবে আরিয়ান ড্রিং করছে,,, তখন হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখে ইশিতা কে।

আরিয়ান:এই মেয়েটা এখানে কি করছে,,, জানতাম ঐসব মেয়েদের কোনো ঠিকঠিকানা নেই।

তখন আরিয়ান ভালো করে তাকিয়ে দেখে রিহান মানে রিয়াদ এর এর ছোট ভাই ইশিতা কে নিয়ে উপরে গেস্ট রুমে নিয়ে যাচ্ছে।

রিহান ইশিতা কে রুমে নিয়ে আসে।
ইশিতা: এখানে কেন এসেছি।
রিহান:আরে বেবি তুমি এটুকু বুঝতে পারছ না কেন এনেছি এখানে।

ইশিতা: মানে,,,,,।
রিহান: এক্ষুনি তোমাকে মানে বুঝাব,,,।
রিহান ইশিতার সাথে খারাপ আচরণ করতে জোর করে ইশিতা চিৎকার করে,,,,।

ইশিতা: ছাড়ুন আমায়,,, (কাঁদতে কাঁদতে )।
রিহান:ছাড়ার জন্য তো তোমাকে নিয়ে আসিনি।আর চিৎকার করে লাভ নেই,,,, এখানে কেউ তোমার চিৎকার শুনবে না

তখন পিছন থেকে আরিয়ান এসে রিহান কে অনেক গুলো ঘু*ষি লা*থি মেরে দেয় । ইশিতা দৌড়ে গিয়ে আরিয়ানের পিছনে লুকিয়ে যায়।
রিহান: আরিয়ান,,,,,, তোমার সাহস হলো কি করে আমার গায়ে হাত তুলার। আমার ভাই তোমাকে ছাড়বে না। (রেগে গিয়ে)।

আরিয়ান:তোর ভাই কে গিয়ে বল,, আরিয়ান চৌধুরী কাউকে ভয় পায় না।আর তুই যদি এখন এখান থেকে না যাস তাহলে তোর কি অবস্থা হবে ভাবতেও পারছিস না।
রিহান,,,,আর কিছু না বলে ভয় পেয়ে চলে যায়। আরিয়ান পিছনে তাকিয়ে দেখে ইশিতা আরিয়ানের শার্ট খামচে দাঁড়িয়ে আছে। আরিয়ান কিছু না বলে ইশিতার হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসতে বলে। ইশিতা ভয় পেয়ে কিছু বলতে পারে না, কিন্তু আরিয়ান হঠাৎ জোরে চিৎকার করে বলে উঠতে,,তাতেও ইশিতা ভয় পেয়ে যায়, এবং চুপচাপ বসে পরে। আরিয়ান গাড়ি চালাতে শুরু করে ,। আরিয়ান ইশিতা কে অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ্য করে, আরিয়ানের মনে হয় ইশিতা হয়তো এই প্রথম বার গাড়িতে বসেছে। ইশিতা একটু ভয়ে ভয়ে আছে। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আরিয়ান গাড়ির ব্রেক কষে। ইশিতা আরিয়ান এর দিকে তাকায়।

আরিয়ান:তো এই যে আপনি থাকেন কোথায়,,,।
ইশিতা চুপ করে বসে থাকে, কিছু বলে না।

আরিয়ান:এই (রেগে গিয়ে) কিছু জিজ্ঞেস করলাম তো,বাড়ি কোথায়,,থাক কোথায় এখানে।

ইশিতা: এখানে আমি কাউকে চিনি না,,,( নরম গলায় ফিস ফিস করে)।

আরিয়ান ইশিতার মায়া ভরা কন্ঠে মুগ্ধ হয়ে যায়,, তার পর নিজেকে সামলে বলল।

আরিয়ান: কি,,,, (অবাক হয়ে)।কি বলতে চাইছ, তুমি সত্যি এখানে কাউকে চেন না। তাহলে এখানে এসেছ কি করে।

ইশিতা আরিয়ানের এই প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যায়।

আরিয়ান:ওই যাচ্ছ কোথায়,,,(গাড়ি থেকে নেমে)।

ইশিতা পিছন ফিরে তাকালো।
আরিয়ান:এই তুমি কি বেশি সরল নাকি খুব বেশি চালাক, কোনটা। তুমি কি বুঝতে পার না একটা মেয়ে হয়ে এত রাতে একা একা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছ।এক মিনিট তুমি রিহান এর সাথে কি করে গেলে,আর তুমি কি রিহান কে চেন।

ইশিতা মাথা নেড়ে না বলল।
আরিয়ান: তাহলে,,(ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে)।

ইশিতা:ওনি বলেছেন আমাকে যে একা না থাকতে , ওনার সাথে যেতে,তাই আমি ওনার সাথে যাই।

আরিয়ান: তুমি কি পাগল (রেগে গিয়ে)।যে কেউ এসে বললো তার সাথে যেতে, তুমি কি চলে যাবে।

ইশিতা: হুম,,,।

আরিয়ান: কি,,, (রেগে গিয়ে)।

ইশিতা: কিছু না,, এমনিতেই বললাম।

আরিয়ান: আচ্ছা,,, ঠিক আছে কিন্তু তোমার নাম কি (দাঁতে দাঁত চেপে)।

ইশিতা:আ,,,,,, আমার নাম ইশিতা আহমেদ মায়া ।

আরিয়ান: নামের সাথে তো পুরো মিল আছে,,,,,যেমন নাম তেমনি মায়া (ভিড় ভিড় করে)।

ইশিতা: কি,,,,,(জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে)।

আরিয়ান: কিছু না,,যাই হোক এখন গাড়িতে বস।
ইশিতা: না,,, আমি যাব না।
আরিয়ান: কি বললে (রেগে গিয়ে)।এক মিনিট তুমি কি আমাকে রিহানের মত ভাবছ।
ইশিতা কিছু বলার আগেই আরিয়ান ইশিতা কে টান দিয়ে গাড়ির সাথে চেপে ধরে বলল।

আরিয়ান: তোমার কি মনে হয়,,, আমি খারাপ।

ইশিতা কিছু বলে না আরিয়ানের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।

আরিয়ান: চুপচাপ গাড়িতে বস ( দাঁতে দাঁত চেপে)।

ইশিতা কে আরিয়ান একপ্রকার জোর করেই গাড়িতে বসায়।

ইশিতা: উনি এমন কেনো,,, শুধু শুধু আমাকে নিয়ে এত টানাটানি করছেন কেন। এখন যদি আবার আমি বলি তাহলে রেগে যাবে।(মনে মনে)।

আরিয়ান:হ্যা,,,, তুমি যা ভাবছ একদম ঠিক কথা। এখন যদি আমাকে কিছু বলতে আস তাহলে তোমার কপালে দুঃখ আছে।

ইশিতা: বাপরে,,, কি অবস্থা এই শহরের সবাই কি মনের কথা বুঝতে পারে (মনে মনে )।

কিছুক্ষণ পর আরিয়ান বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামায়।গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ায় ইশিতা কে ইশারা করে নামতে। ইশিতা নামে। আরিয়ানের পুরো বাড়িতে সিকিউরিটি সিস্টেম করা, আরিয়ান চাবি ড্রাইভারের হাতে দিয়ে ভেতরে যেতে লাগল। ইশিতাও আরিয়ানের পিছনে পিছনে হাঁটতে শুরু করে,।
,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,
বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে………………………..।

#Mental_Lover
পর্ব :০২
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
,,,,,,,,,,,
ইশিতা হাঁটতে হাঁটতে এটা দেখছে ওইটা দেখছে,, এটা দেখে দাঁড়িয়ে যায় ওইটা দেখে দাঁড়িয়ে যায়। আরিয়ান পিছনে তাকিয়ে দেখে,, ইশিতা একটা গোলাপ ফুলের গাছের দিকে তাকিয়ে আছে।

আরিয়ান: তুমি কি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে চাও সারা রাত,,,,নাকি ভেতরে আসবে।

ইশিতা আরিয়ানের কথা শুনে বুঝতে পারে আরিয়ান রেগে গেছে। ইশিতা তাড়াতাড়ি আবার আরিয়ানের পিছনে পিছনে হাঁটতে শুরু করল। ভিতরে ঢুকে ইশিতা হতভম্ব হয়ে যায়,, বাড়িটার চারদিকে তাকিয়ে আছে ইশিতা।
আরিয়ান গিয়ে সোফায় বসে গায়ের কোর্ট খুলে পাশে রেখে দেয়।

আরিয়ান:তো,,,,, এবার বল তোমার বাড়ি কই,,,কি কর মা বাবা কোথায়।

ইশিতা আরিয়ানের কথা শুনে দু পা পিছিয়ে যায়।
আরিয়ান:এই মেয়েটা কি,,, কোনো কথা বলছে না। এবার কি করবো একা ছেড়ে দাওয়া ঠিক (মনে মনে)।নিশা,,এই নিশা।

নিশা আরিয়ানের মামাতো বোন।
নিশা:হ্যা,, ভাইয়া বল,,।

নিশা সামনে দাঁড়িয়ে থাকা,ইশিতা কে দেখে একটু অবাক হয়ে বলল ।

নিশা:ও কে ভাইয়া।
আরিয়ান: ইশিতা।
নিশা: আমার হবু ভাবী নাকি।
আরিয়ান: কি বললি (ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে)।
নিশা: না আসলে তুমি এমন ভাবে ওর নাম বললে মনে হচ্ছে অনেক দিন ধরে তুমি ওকে চেন।

আরিয়ান: বেশি বকবক না করে ওকে একটা রুমে থাকার ব্যবস্থা করে দেয় ।

নিশা: কি,, (অবাক হয়ে)।
আরিয়ান:এত অবাক হওয়ার কি আছে।যা বলছি তাই কর, শুধু শুধু আমাকে রাগিয়ে দিস না।

আরিয়ান এটা বলে উপরে চলে যায়। ইশিতা আরিয়ান এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে । নিশা:ভাবী চল আমার সাথে।
ইশিতা:ভাবী,,, (অবাক হয়ে)।
নিশা:আরে এই প্রথম বার ভাইয়া কোনো মেয়ে কে এভাবে বাড়িতে থাকতে বলল, হ্যা আগে অনেকেই এসেছে কিন্তু এবার তুমি,, আর ভাই যেভাবে তোমার খেয়াল রাখছে তাই মনে হচ্ছে তুমি আমার ভাবী।

ইশিতা:আগেও মেয়ে এসেছে মানে।

নিশা: তোমাকে কি করে বুঝাব, ভাইয়া কত মেয়ের সাথে রাত কাটালো( মনে মনে )। আরে তুমি এসব কথা বাদ দাও,,চল আমার সাথে।

নিশা ইশিতা কে উপরে একটা রুমে নিয়ে যায়, পুরো রুমটা নিশা কোথায় কি আছে সব কিছু দেখিয়ে দেয়।

নিশা: আচ্ছা তাহলে তুমি ফ্রেশ হয়ে যাও,, আমি এক্ষুনি আসছি।

ইশিতা: হুম।
নিশা চলে যায় ইশিতাও বাথরুমে যায়,, ইশিতা একটু ঘাবড়ে যায় কারণ এই সব কিছু ইশিতার কাছে নতুন, কিছুই বুঝতে পারলো না, হঠাৎ ইশিতা শাওয়ার চালু করে দেয়।এর ফলে ভিজতে লাগল,, ইশিতা বন্ধও করতে পারছে না,, পানি চোখের উপর পড়ার ফলে ইশিতা কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।

তখন আরিয়ান ইশিতার রুমে আসল।

আরিয়ান:এই মেয়েটা আবার কোথায় গেল।এই মেয়ে গুলো না বড্ড বেশি নাটক করে। (দীর্ঘ শ্বাস ফেলে)।
হঠাৎ আরিয়ান বাথরুমে থেকে ইশিতার চিৎকার করার শব্দ শুনতে পেল। আরিয়ান দৌড়ে বাথরুমে গেল গিয়ে যা দেখে তাতে আরিয়ান হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছে না। আরিয়ান তাড়াতাড়ি শাওয়ার অফ করে দেয়।

ইশিতা কাক ভেজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আরিয়ান ইশিতাকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

ইশিতা খানিকটা ঘাবড়ে গিয়ে মাথা নিচু করে ফেলে।
আরিয়ান: তুমি এসব আগে কখনো Use করনি।

ইশিতা মাথা নেড়ে না বলল।
আরিয়ান:ও আচ্ছা তাই এই অবস্থা। ঠিক আছে বাইরে এস।
আরিয়ান বাইরে বের হতে যায় তখন ইশিতা পিচ্ছিল হয়ে আরিয়ানের উপর পড়ে যায়। আরিয়ান ইশিতা কে জড়িয়ে ধরে।
আরিয়ান: তুমি কি সত্যি দেখে চলতে পার না,, এক্ষুনি তো পড়ে যেতে।

ইশিতা:সরি ,, আমি বুঝতে পারি নি।
আরিয়ান ইশিতাকে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল অনেকখানি। ইশিতা আরিয়ানের শার্টের কলার ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
আরিয়ান: এখন থেকে বুঝতে শেখ,,,, তুমি এখন আরিয়ান চৌধুরীর বাড়িতে থাক।তো আমার থেকে একটু দূরে দূরে থাক,, তোমার জন্য ভালো হবে।

ইশিতা: মানে,,,(জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে )।
আরিয়ান: কিছু না,,,।

বলে আরিয়ান ইশিতাকে ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসল।
ইশিতা ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে।
আরিয়ান: এখন কি বের হবে নাকি কোলে করে নিয়ে আসব।
ইশিতা ভেজা কাপড় পরে বাইরে চলে আসে।এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।

আরিয়ান: তোমার তো কোনো ড্রেসও নেই পড়বে কি আর নিশার জামাকাপড় তোমার ফিট হবে বলে মনে হচ্ছে না।

ইশিতা আরিয়ানের কথা শুনে একবার আরিয়ানের দিকে একবার নিজের দিকে তাকিয়ে আছে।

আরিয়ান: Wait ,, আমি এক্ষুনি আসছি।
আরিয়ান নিজের রুমে চলে গেল, গিয়ে একটা ট্রি শার্ট, প্যান্ট নিয়ে আসে।এসে ইশিতাকে দেয়,, ইশিতা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

আরিয়ান: কি দেখছ পড়,,,দেখ এখন যদি তুমি এটা না পড় তাহলে আর কিছু দেওয়ার মত নেই। এত রাতে তো আর শপিং মল খোলা থাকবে না,,তাই আজকে রাতে তোমাকে এটাই পড়তে হবে স্বাভাবিক। কিন্তু তুমি চাইলে আরেকটা কাজ করতে পার।হয় সারা রাত ভিজে কাপড় গায়ে দিয়ে থাক না হলে এই যে আরেক টা উপায় চাদর গায়ে দিয়ে দাও।

আরিয়ান ইশিতার কাছে গিয়ে ফিস ফিস করে বলল।
আরিয়ান: এটাতে কিন্তু বাটান নেই ভেবে দেখ,কি করবে।
ইশিতা বুঝতে পারল আরিয়ান কি বুঝতে চাইছে,,তাই আর কিছু না বলে ইশিতা আরিয়ানের দাওয়া ট্রি শার্ট প্যান্ট নিয়ে বাথরুমে চলে যায়।
________________________________________

কিছুক্ষণ পর ইশিতা বাইরে চলে এলো,, আরিয়ান ইশিতাকে দেখে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,, ধীরে ধীরে ইশিতার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।ট্রি শার্ট বড় হওয়ার ফলে ইশিতার হাতের বাইরে চলে এলো,, ইশিতা ঠিক করে সামলাতে পারছে না,,এটা দেখে আরিয়ান মুচকি হাসি দেয়।
আরিয়ান:এস।
আরিয়ান ইশিতাকে বিছানায় বসালো।আর হাত উপরে তুলে ট্রি শার্টের হাতা গুলো গুটিয়ে দেয়,,, আরিয়ান দেখে ইশিতার হাত কিছুটা কে*টে গেছে। আরিয়ান বুঝতে পারে যে রিহান যখন ইশিতার সাথে খারাপ ব্যবহার করে তখন এটা হয়ছে হয়তো।
আরিয়ান ড্রয়ার থেকে পেইন কিলার বের করে ইশিতা কে দিল।আর সাথে হাতে ক্রিম লাগিয়ে দেয়।

আরিয়ান বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো,,,।
আরিয়ান:তো এখন তুমি নিজের পরিচয় দিতে পার।

ইশিতা এই কথা শুনে ছট করে দাঁড়িয়ে পড়ল।
আরিয়ান বুঝতে পারে যে ইশিতা ইতস্তত বোধ করছে বলতে।

আরিয়ান: আচ্ছা ঠিক আছে,, তোমাকে বলতে হবে না আমি খুঁজ নিয়ে নেব।
ইশিতা: আমি এখানে থাকব না,,, চলে যাব।

বলে ইশিতা যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় তখন আরিয়ান ইশিতা কে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
আরিয়ান: এখন তুমি আরিয়ান চৌধুরীর বাড়িতে আছ, আমি তোমাকে এখানে এনেছি,, আর আমি না বলা পর্যন্ত তুমি এখান থেকে যেতেও পারবে না। বুঝতে পারলে। (হাতে চেপে দাঁড়িয়ে)।

ইশিতা কি বলবে বুঝতে পারছে না,,তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ আরিয়ান ইশিতার চুল গুলো টান দিয়ে খুলে ফেললো। ইশিতা লম্বা চুল গিয়ে ছড়িয়ে পড়ল কোমর পর্যন্ত।
আরিয়ান:আরে বাহ,, এভাবেই ভালো লাগছে,,।
আরিয়ান চুল গুলো হাতের মুঠোয় নিয়ে ছুঁইয়ে দিল।
আরিয়ান:আজ থেকে আমার সামনে আসলে চুল যাতে বাঁধা না থাকে, বুঝতে পারলে।

ইশিতা: হুম,,(মাথা নিচু করে)।
আরিয়ান হঠাৎ এক কান্ড করে বসলো,, যাওয়ার আগে ইশিতার আরেকটু কাছে গিয়ে হঠাৎ ওর কপালে নিজের ঠোঁ*ট ছুঁইয়ে দেয়।তার পর চলে যায়।
ইশিতা: এটা উনি কি করলেন, (অবাক হয়ে)।










সকালে ঘুম থেকে উঠে ইশিতা সব কিছু বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছে,,, অনেক সার্ভেন্ট নিজেরা নিজেদের কাজ করছে,,,সব খুব বেশি ব্যস্ত আছে,,ইশিতা একটা জিনিস লক্ষ্য করে যে কেউ ওর দিকে একবারের জন্যও তাকাল না। হঠাৎ এক সার্ভেন্ট নিচে পানি ফেলে দিল,,আর ইশিতা সব কিছু দেখতে দেখতে যাচ্ছিল, তখন ওর পা পানির উপর পড়ে তখন ও স্লিপ খেয়ে পড়তে যাবে তখন আরিয়ান এসে ইশিতাকে জড়িয়ে ধরে।

আরিয়ান: আমি বলেছিলাম না,যে সবসময় দেখেশুনে চলাফেরা করতে,কানে কি কথা পৌঁছায় না, (দাঁতে দাঁত চেপে)।

আরিয়ান ইশিতাকে সুজা করে দাঁড় করিয়ে দেয়।
আরিয়ান: You stupid , চোখে দেখতে পার না।
সার্ভেন্ট:সরি স্যার ক্ষমা করবেন।

আরিয়ান: কোনো ক্ষমা নেই চুপচাপ চলে যাও,আর কখনো যাতে তোমাকে এখানে না দেখি। (দাঁতে দাঁত চেপে)।
ইশিতা:আরে,, উনি হয়তো ইচ্ছে করে করেনি।
আরিয়ান আগুনি দৃষ্টিতে তাকালো,,তা দেখে ইশিতা চুপ হয়ে গেল।

আরিয়ান:চল,,, তুমি আমার সাথে।
বলে আরিয়ান ইশিতাকে টেনে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসায়, আরিয়ান রাগের মাথায় খেয়াল করেনি যে, ইশিতা ইতস্তত বোধ করছে,, এভাবে ছেলেদের ট্রি শার্ট প্যান্ট পরে যেতে। আরিয়ান ইশিতাকে নিয়ে শপিং মলে পৌঁছে যায়। গিয়ে ইশিতা কে নামতে বলল।
আরিয়ান :চল নামো।
ইশিতা: কিন্তু,,এই ভাবে কি করে যাব।
আরিয়ান: কেনো কি হয়েছে।
ইশিতা ইশারা করে নিজের ড্রেস দেখায়।
আরিয়ান:ও আচ্ছা,,,এটা নিয়ে তোমার সমস্যা ।
হে আল্লাহ,,, কি করব।
,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,
বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,
চলবে………………..।