Mental Lover Part-24+25

0
420

#Mental_Lover
পর্ব:২৪
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
______________________________

ইশিতা:করব,কি করতে হবে বলুন।
আরিয়ান: বিয়ে,,।
ইশিতা: কি?
আরিয়ান: আমাকে বিয়ে করতে হবে,।
ইশিতা: কি, না আমি আপনাকে বিয়ে করব না।

এটা শুনতেই আরিয়ান কেঁ*পে গেল।
আরিয়ান: তাহলে দেখ আমি এবার কি করবো,,, তুই, এখনও আমাকে চিনতে পারলি না, আমি ঠিক কি কি করতে পারি, এবার দেখ।

বলেই আরিয়ান, রিয়া আর মহিনি কে যে রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখানে যেতে লাগল।
ইশিতা: না,, আমাকে আরিয়ান কে আটকাতে হবে,না হলে যা ইচ্ছে করতে পারে।

ইশিতা দৌড়ে আরিয়ানের কাছে যায়।
ইশিতা: দেখুন,, আপনি প্লীজ, আমার কথা বুঝার চেষ্টা করুন।
আরিয়ান: আমি কিছু শুনতে চাই না সর সামনে থেকে।
ইশিতা কি করবে, বুঝতে পারছে না, আচমকা ইশিতা আরিয়ান কে জ*ড়ি*য়ে ধরে,, আরিয়ান, দাঁড়িয়ে যায়, কিছুক্ষণ একদম চু*প চা*প থাকে ,তার পর আরিয়ান ইশিতা কে শ*ক্ত করে জ*ড়ি*য়ে ধরে ।

আরিয়ান:করবে তো, বিয়ে।
ইশিতা: হুম,,করব।
আরিয়ান: that’s like a good girl.
___________________________________
বাড়ি সাজানো হচ্ছে,, সবাই খুব খুশি,যে ইশিতার সাথে আরিয়ানের বিয়ে হবে। আজকে আরিয়ান আর ইশিতার গায়ে হলুদ হবে এবং কাল বিয়ে।
আরিয়ান একদম লেট করতে চায় না,সব কিছু তাড়াতাড়ি সে*রে ফেলতে চায়। শহরের সবচেয়ে নামিদামি, ব্র্যান্ডের পোশাক নিয়ে আসা হয় দুজনের জন্য,,,।সব গেস্টদের নিরব, ইনভাইট করে দেয়,।
নিশা এত দিন নিজের ভাই কে খুশি দেখে নিজেও খুব খুশি হয়। আরিয়ান প্রত্যেকটি কাজ নিজে করাচ্ছে,যাতে কোনো রকম কমতি না থাকে , ইশিতা সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে,এই সব কিছু দেখছে।
_____________________________________
সব কিছু তৈরি, ইশিতাও তৈরি হয়, একটি হলুদ রঙের শাড়ি পরে, গলায়,হাতে ফুলের তৈরি গয়না, ইশিতার ভালো লাগছে না তাই বেশি সাজগোজ করে নি। মহিনি ইশিতার কাছে আসে।

মহিনি: কি করছিস তুই এসব, তুই তো জানিস আরিয়ান তোর,,।
ইশিতা: জানি, আমি কখনো আরিয়ান যা করেছে তা ভু*ল*ব না, শা*স্তি পেতে হবে ওনাকে,।

মহিনি: তাহলে এই বিয়ে,।
ইশিতা: বিয়ে টা হচ্ছে ভালো হয়েছে, এখন আরিয়ানের কাছে থেকেই, আমি ওনাকে ক*ষ্ট দিয়ে দিয়ে, শে*ষ করে দেবো ।

মহিনি: কোথাও,তোর কোনো ভু*ল হ*চ্ছে না তো। হতে পারে সেদিন অন্য কিছু হয়েছিল,আর তুই বুঝতে ভুল করেছিস।
ইশিতা: না,, আমি কোনো ভু*ল করেনি, চি*ৎ*কা*র করে।

তখন নিশা রুমে আসে।
নিশা:, কি হয়েছে ভাবী,।
ইশিতা:কি,,কই কিছু না তো, কিছু হয়নি।

নিশা: আচ্ছা, ঠিক আছে নিচে চল, গায়ে হলুদ এর সময় হয়ে গেছে।
ইশিতা: হুম।
___________________________________

আরিয়ান হলুদ রঙের পাঞ্জাবি পরে,,, গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান শুরু হয় সবাই আরিয়ান কে হলুদ লাগায়,,,, আরিয়ানের গায়ে হলুদ লাগানো শেষ করে ইশিতা কে হলুদ লাগাতে যায়, মহিনি, হলুদ লাগাতেই যাবে, তখন আরিয়ান বলে উঠল।

আরিয়ান:আন্টি, দাঁড়ান । ওকে আমি হলুদ লাগাব,।
সবাই আরিয়ান কথা শুনে মুচকি হেসে দেয়।
আরিয়ান ধীরে ধীরে ইশিতার কাছে যায়, গিয়ে ফিসফিস করে বলল।

আরিয়ান: আমার রঙে রঙিন হওয়ার জন্য প্রস্তুত তো।

ইশিতা চোখ বাঁকিয়ে আরিয়ানের দিকে তাকায়। আরিয়ান নিজের গালে লাগান কিছুটা হলুদ সবার সামনে, দাঁড়িয়ে ইশিতার গালে ঘষে দেয়।ইশিতার চোখ বড়বড় হয়ে যায়। আরিয়ান যে এমন কিছু করবে তা ভাবতেই পারিনি। সবাই ওদের রোমান্টিক দৃশ্য দেখে, মুচকি মুচকি হাসতে লাগল।

ইশিতা: আপনি পুরো পা*গ*ল।
আরিয়ান: হুম, তোমার জন্য।
ইশিতা আরিয়ানের উপর খুব রেগে গিয়ে, হলুদ রঙ মিশানো,এক বালতি পানি নিয়ে, পুরো আরিয়ানের উপর ডেলে দিল।

নিরব আর নিশা, ওদের কান্ড দেখে,কি করবে বুঝতে পারছে না।
ইশিতা: আপনি চিনেন না আমাকে প্রত্যেক টি হিসাব আপনাকে দিতে হবে।
ইশিতা চলে যেতে চায়, আরিয়ান হাত ধরে বলল।
আরিয়ান: কোথায় যাচ্ছ?
ইশিতা: জা*হা*ন্না*মে!,

ইশিতা যেই পা বাড়ায়, পিচ্ছিল খেয়ে আরিয়ানের উপর পড়ে,দুজনেই নিচে পড়ে যায়, ইশিতা একদম খেয়াল করিনি যে ফ্লোরে, পানি পড়ে আছে।

সবাই এবার জোরে হেসে দেয়। আরিয়ান নিজেও হেসে দেয়। শুধু ইশিতা খুব রা*গী চোখে আরিয়ানের দিকে তাকায়।
আরিয়ান: তুমি যেখানেই যেতে চাও সেই আমার কাছেই আসতে হবে।
ইশিতা আবার উঠতে গেল, কিন্তু পারল না,সেই আবার আরিয়ানের উপর পড়ে গেল।
আরিয়ান:আরে দাঁড়াও আমি হেল্প করছি।
ইশিতা:চাই না।
আরিয়ান উঠে দাঁড়ালো,আর টুক করে ইশিতা কে কোলে তুলে নেয়। ইশিতা হাত পা ছু*ড়া*ছু*ড়ি করতে শুরু করে।

ইশিতা: ছাড়ুন আমায়,,,।
আরিয়ান: চু*প।
আরিয়ান ইশিতাকে নিয়ে উপরে চলে যায়।
নিরব: হায়রে,এরা যে কি করে।
নিশা: বুঝতে পারলেন এটাই ভালোবাসা।
নিরব:তাই,,,।
,,,,,,,,,,,,,
ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,
চলবে …….।

#Mental_Lover
পর্ব:২৫
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
______________________________
“”ইশিতা নিজের হাত পা ছুড়াছুড়ি করতে লাগলো ।
ইশিতা: ছাড়ুন আমায়।
আরিয়ান: চু*প।
আরিয়ান ইশিতাকে নিয়ে উপরে চলে যায়।
নিরব: হায়রে, এরা যে কি করে।
নিশা:এটাই ভালোবাসা।
নিরব: তাই।
__________________________________
সন্ধ্যা বেলায়, মেহেদীর অনুষ্ঠান শুরু হয় , ইশিতা মেহেদী দিতে একদম ই*চ্ছু*ক না, কোনো মতে জো*র করে ওর হাতে মে*হে*দি পড়ানো হয় ।
সকালে ইশিতার জন্য বেস্ট পার্লারের লোক আনা হয়েছে,,,। লাল রঙের লেহেঙ্গা,, পড়ানো হয়, ইশিতা প্রত্যেকটি কাজে না না,বলেই যাচ্ছে ,,। অবশেষে কোনো মতে আরিয়ান আর ইশিতার বিয়ে শেষ হয়,। সন্ধ্যা বেলা, মহিনি আর রিয়া বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়।
______________________________________
ইশিতা:চলে যাচ্ছ তোমরা।
মহিনি: হুম, তুই এখন এদিকে সামলা, আমার এখানে থাকলে তোর আমাদের নিয়ে চিন্তা হবে,তাই এখানে না থাকাই ভালো।

ইশিতা: কিন্তু,,
মহিনি: কোনো কিন্তু না, তুই আমি যা বলছি তাই কর।
তখন আরিয়ান ইশিতার কাছে আসে।
আরিয়ান:আরে, আপনারা আজকেই চলে যাচ্ছেন, মাত্র তো বিয়ে হয়েছে আজকেই চলে যাবেন
ইশিতা: ওনার কি মাথায় বুদ্ধি নেই কি পা*গ*লে*র মত কথা বলছে ।

মহিনি: ছিঃ ছিঃ,কী বল মেয়ের শশুর বাড়ী কি করে থাকি। তোমরা নিজেদের সংসার গুছিয়ে নিও ‍। আমরা তো আর

আরিয়ান: আপনাদের তো এসব কিছু সামলাতে হবে।
মহিনি:দেখ বাবা আমি তোমার মায়ের সমান। কি করে,,,,,,।
আরিয়ান:তাই তো বলছি,চলে কেনো যাচ্ছেন।

মহিনি: কিন্তু তুমি যা বলছ এসব কথা কেউ কি,,।
আরিয়ান: মায়েরা এখন ছেলে মেয়েদের ফ্রেন্ড এর মত হয়,যাদের সাথে,সব কিছু শেয়ার করা যায়,এই বাড়িতে সব কিছু আছে শুধু একজন মা মিসিং ।

মহিনি:ছেলে কত সুন্দর করে কথা বলে,এই ছেলে কী ওই সব কিছু করেছে।(মনে মনে)। কিন্তু এখন তো আমাদের যেতে হবে,, কোনো একদিন সময় করে আবার আসব।

মহিনি আর রিয়া চলে যায়।
ইশিতা: আপনি কি পা*গ*ল কাকে কি বলতে হয় জানেন না ।
আরিয়ান: তুমি শিখিয়ে দেও।
ইশিতা: পা*গ*ল,,।
____________________________________
রুমের মধ্যে, বিছানা সুন্দর করে, ফুল দিয়ে সাজানো, বিছানার মাঝে, গোলাপের পাপড়ি দিয়ে হার্ট তৈরি করা। ইশিতা রুমের লাইট গুলো অন করে দিল, জানালা খুলে পাশে গিয়ে দাঁড়ালো,,,,, বাইরে, অনেক জোরে জোরে হাওয়া বইছে।মনে হচ্ছে ঝ*ড় উঠবে। তখন ইশিতা অনুভব করে, কেউ ওর কো*ম*ড়ে স্প*র্শ করে ।

ইশিতা: আপনি,,,।
আরিয়ান ইশিতাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল।
আরিয়ান: আজকে তো তোমার আর আমার বাসর রাত।
ইশিতা: ছাড়ুন আমায়,,,, কোনো বাসর রাত আমি মানি না।
আরিয়ান: আমি তো মানি,,,,,।
আরিয়ান ইশিতার অনেক টা ক্লোজ হতে থাকে,,,এক সময়,ওর ব্লাউজের ফিতে টান দিয়ে খুলে দেয়।
ইশিতা দেয়ালের সাথে চেপে দাঁড়ায়।
ইশিতা: আপনি আমার কেউ না,তাই আমার কাছে আসবেন না।
আরিয়ান এক হাত দেয়ালের সাথে চেপে দাঁড়ায়।
আরিয়ান: আমি বর্তমানে তোমার স্বামী,, তাহলে তো তোমার উপর সম্পূর্ণ অধিকার আছে।
বলেই ইশিতা কে কোলে তুলে নিল।
ইশিতা:আরে,,কী করছেন,,, ছাড়ুন।পড়ে যাব।

আরিয়ান ইশিতাকে বিছানায় শুইয়ে দিল । আরিয়ান ইশিতার প্রত্যেকটি স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত দিতে লাগল,,,তাতে ইশিতা কেঁ*পে কেঁ*পে উঠছে, আচমকা আরিয়ান কে জড়িয়ে ধরে ।
ইশিতা: আরিয়ান,,,,।
আরিয়ান: হুম,।
ইশিতা:প্লীজ,,,,,,।
আরিয়ান: তুমি যেটা চাইবে সেটাই হবে।
ইশিতা আরিয়ান কে ছেড়ে দেয়।
আরিয়ান বিছানার অন্য পাশে শুয়ে আছে,আর ইশিতা উঠে বসে।

ইশিতা: এভাবে কী দেখছেন।
আরিয়ান: তোমাকে।
ইশিতা: আমাকে দেখার কী আছে।
আরিয়ান:মায়া,,,,। আচ্ছা, আমি তো তোমার কথা রাখলাম,,, এখন তুমি আমার কথা শুন।
ইশিতা:কী?
আরিয়ান: আজকে রাতে না হয় তুমি আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবে।

ইশিতা আরিয়ানের কথা শুনে,চু*প করে বসে আছে

আরিয়ান:প্লীজ,,,,,।
ইশিতা কিছু না বলে আরিয়ান বুকে মাথা রাখে,,তাতে যেনো আরিয়ান নিজের প্রা*ণ ফিরে পায় ।ইশিতার পিঠে হাত দেয়। ইশিতা তাতে একটু ঘাবড়ে যায়,,,ওর মনে হয় আরিয়ান সত্যি নিজেকে সামলাতে পারছে না। কিন্তু আরিয়ান ঠিক ইশিতা যা ভেবেছিল তার উল্টো টা করে,ওর ফিতে বেঁ*ধে দেয়। আলতো করে জড়িয়ে ধরে।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে…………।