Mental Lover Part-3+4

0
611

#Mental_Lover
পর্ব:০৩
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
,,,,,,,,,,,,,
আরিয়ান:হে আল্লাহ,,,কি করব। (দীর্ঘ শ্বাস ফেলে)।
হঠাৎ আরিয়ান ইশিতার হাত চেপে ধরে বলল।

আরিয়ান:এর থেকে আরও ছোট ড্রেস পরে তোমার মত মেয়েরা। বুঝতে পারলে।
ইশিতা: কিন্তু,,, আমি।
আরিয়ান:চুপ,,,নামো।
ইশিতা আরিয়ানের কথা শুনে নেমে আসে। আরিয়ান ইশিতা কে নিয়ে মলের ভেতরে যায়,,,, ইশিতা ঠিক করে হাঁটতে পর্যন্ত পারছে না,,, ইশিতার অবস্থা দেখে আরিয়ান মুচকি হেসে দেয়,, তার পর তাকিয়ে দেখে সবাই ইশিতা কে একটু অন্য ভাবে দেখছে,,। ইশিতা কিছুই সামলাতে পারছে না।
আরিয়ান গিয়ে আচমকা ইশিতা কে কোলে তুলে নেয়। এটা দেখে উপস্থিত সবাই মুচকি হেসে দেয়। সবাই মনে করে আরিয়ান ইশিতা দুজন দুজনকে ভালোবাসেন। ভেতরে ঢুকে আরিয়ান ইশিতা কে একটি সোফায় বসিয়ে দিল।তার পর কিছু মেয়ে এসে ইশিতাকে অনেক রকম ড্রেস দেখাতে লাগল।
আরিয়ান একের পর এক ড্রেস ইশিতা কে দিয়ে ট্রাই করাচ্ছে,তাতে ইশিতার এখন আরিয়ানের উপর রাগ হচ্ছে, কিন্তু কিছুই করার নেই।আরিয়ানের ভয়ে ইশিতা কিছুই বলর না। অনেকক্ষণ পর আরিয়ান ইশিতা কে একটা ড্রেস পরে আসতে বলল, ইশিতা গিয়ে পরে আসল। আরিয়ান ইশিতার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,, ধীরে ধীরে ওর কাছে গিয়ে আচমকা ইশিতার চুল গুলো খুলে দেয়,, তখন দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি একটু মুচকি হাসি দেয়।

আরিয়ান: বলে ছিলাম না,যে আমার সামনে আসলে চুল গুলো খুলে রাখবে।
ইশিতা আরিয়ানের কথা শুনে কিছুটা ঘাবড়ে যায়।
_________________________________________

বাড়িতে ঢুকতেই আরিয়ান সামনের দিক দেখে,, ইকবাল হোসেন আর নিরব,, একসাথে সোফায় বসে আছে,,আর এমন মনে হচ্ছে ওদের জন্যই যেনো অপেক্ষা করছিল।নিরব আরিয়ানের ছোট বেলার বন্ধু দুজনে একসাথে থাইল্যান্ডে পড়াশোনা করে, তার পর একসময় দুজনে মিলে বিজনেস শুরু করে এই কয়দিন নিরব বিজনেসের কাজের জন্য,, আমেরিকা গেছিল,,, কিন্তু নিশার মুখে ইশিতার কথা শুনে তাড়াতাড়ি বেক করেছে। আরিয়ান ওদের তাকানোর ধরন দেখেই বুঝতে পারল,,ওরা এখন এক গাদা প্রশ্ন করবে ।
আরিয়ান: তুমি ভেতরে যাও।
আরিয়ান ইশিতাকে ভেতরে পাঠিয়ে দিল,, ইকবাল হোসেন আর নিরব তাদের দিকে আর দৃষ্টিতে তাকালো।

আরিয়ান:তো এখন যা বলার বলে ফেল।
ইকবাল হোসেন গলা খাঁকারি দিয়ে বলল।
ইকবাল হোসেন:তোর ব্যাপার কি হুঁ,,, আগে তো বাইরে মেয়েদের সাথে এসব করতি এখন বাড়িতে।
নিরব:মামা ,,, বুঝতে পারছ না,,ওটা মনে হয় আমাদের ভাবী হয়,,কি রে আরিয়ান তাই তো।
আরিয়ান: তুই এসব কথা বাদ দে,,আর যে কাজের জন্য আমেরিকা গেছিলি তার কি হয়েছে, সেটা বল।

নিরব: হুম,,,সব কিছু ঠিক ঠাক আছে।
ইকবাল হোসেন:ওই আরিয়ান তুই কথা পাল্টানোর চেষ্টা করছিস।
আরিয়ান :মামা,,, তুমিও।
ইকবাল হোসেন: তুমি তলে তলে টেম্পু চালক আর আমরা বললে টায়ার পাংচার,, হুঁ।
আরিয়ান: কি সব বলছ।
ইকবাল হোসেন: আচ্ছা ঠিক আছে এখন এসব কথা বাদ দে,, তুই নাকি রিহান কে মা*র*ধো*র করেছিস।

আরিয়ান: হ্যা,,, কারণ আছে ,, এখন হয়েছে কি।
ইকবাল হোসেন:ওর ভাই রিহাদ এখন খুব রেগে আছে,,তোকে যেকোনো সময় বি/পদে ফেলতে পারে।
আরিয়ান: আমি,,ওকে ভয় পাই না,, হুঁ যা ইচ্ছে করুক।, I don’t care,.।
বলে আরিয়ান উপরে চলে যায়।
_________________________________________
বিকেলে আরিয়ান ড্রয়িং রুমের সোফায় লেপটপ নিয়ে মুখে গুঁজে বসে ছিল। তখন ইশিতা নিচে আসে , আরিয়ান তাকিয়ে দেখে ইশিতার পায়ে জুতো নেই। আরিয়ান দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ইশিতার কাছে যায়।

আরিয়ান: কি হচ্ছে এসব।
ইশিতা:কই,,,, কি হয়েছে।
আরিয়ান: তোমার পা খালি কেনো।
ইশিতা:,,,ওই আসলে জুতো কোথায় জানি না।
আরিয়ান: কি (রেগে গিয়ে)।
ইশিতা: মানে,, ভুলে গেছি।
আরিয়ান সোফার পাশে যায় গিয়ে ওখান থেকে জুতো নিয়ে ইশিতার সামনে হাঁটু গেড়ে রেখে দিল।

ইশিতা: এটা,,,,,,।
আরিয়ান: একটু আগে দেখেছি,, ওখানে রাখা,। নিশ্চয়ই ভুলে গেছ।

ইশিতা: আপনি এত রাগী কেন।

ইশিতা আচমকা আরিয়ান কে এমন প্রশ্ন করে বসল।
তার পর নিজেই একটু ঘাবড়ে যায়।

আরিয়ান: কি,,,, (রেগে গিয়ে)।কি বললে তুমি এটা।

ইশিতা: এবার কি বলব,,কি বলছি আমি। (মনে মনে)। আমি তো কিছুই বলিনি।

আরিয়ান: হুম,,তা তো শুনতেই পেলাম।
হঠাৎ আরিয়ান ইশিতা কে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে,,, ইশিতা আরিয়ান এর অনেক টা কাছে চলে আসে,,যার ফলে আরিয়ানের বুকের সাথে লেপ্টে আছে ইশিতা।
আরিয়ান: এতটা বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়,,।তার পর সামলাতে পারবে না।

ইশিতা: কি,,,,কি বাড়াবাড়ি করলাম।
আরিয়ান: সময় হলে বুঝবেন।
বলে আরিয়ান ইশিতাকে ছেড়ে দিয়ে উপরে চলে যায়।









সকালে আরিয়ান তৈরি হয়ে অফিসে চলে গেল। ইশিতা বাড়িতে নিশার সাথে কথা বলে। তখন নিরব বাড়িতে আসে।

নিরব: আরিয়ান,,,,,।
তখন নিশা আর ইশিতা নিচে আসে।
নিশা: ভাইয়া তো বাড়িতে নেই অফিসে চলে গেছে।
নিরব:ও আচ্ছা,, ঠিক আছে আমিও তাহলে অফিসে যাই।

নিশা:এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন।
ইশিতা:আরে,,,এটা আবার কি হচ্ছে। (মনে মনে)।
নিরব:হ্যা যেতে হবে,, কাজ আছে।
নিশা: ঠিক আছে।

নিরব: নিজের খেয়াল রেখ।
নিরব চলে যায়। ইশিতা নিশার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।
ইশিতা: আচ্ছা নিশা উনি তোমার কি হয়।

নিশা: না,,, আসলে উনি,,,,,।

ইশিতা:ও আচ্ছা বুঝলাম।
নিশা: কি,,।
ইশিতা:যেটা তুমি বললে না,সেটাই।

আরিয়ান: তোমরা কি কর হ্যা,,,( রেগে গিয়ে)।

নিরব:আরে তুই এতো রাগ করছিস কেন।
আরিয়ান: আমি ওই রিহান,, খুব বেশি বাড় বেড়েছে,,,। আমি ওকে কি করব জানি না।

নিরব:আরে কি করছিস শান্ত হ। হুম।

আরিয়ান: আরে দেত আর শান্ত কিছুই ভালো লাগছে না।
নিরব: তাহলে চল আমার সাথে।
আরিয়ান: কোথায়,,।
নিরব:ক্লাবে ।
আরিয়ান: কিন্তু এখন।
নিরব:চল না,,কি হবে।দেখ আমি কোনো বাহানা শুনতে চাই না,,যেতে বলছি মানে যাবি।
আরিয়ান: আচ্ছা ঠিক আছে, তাহলে চল।

আরিয়ান আর নিরব একসাথে ক্লাবে যায়,, গিয়ে আড্ডা দেয়,, আরিয়ান অনেক বেশি ড্রিং করে ফেলে।নিরব অনেক কষ্ট করে বাড়িতে এসে আরিয়ান কে দিয়ে যায়।

নিশা: এটা কি অবস্থা ভাইয়ের।
নিরব:ও একটু বেশিই খেয়ে ফেলেছে।

নিরব আর নিশা মিলে আরিয়ান কে নিজের রুমে নিয়ে যায়।
ইশিতা সব কিছু বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে দেখছিল।
নিশা রুমের বাইরে এসে বলল।

নিশা: ইশিতা,আপু তুমি রেস্ট নাও। ভাইয়া কে এখন একা থাকতে দিও,,,আর এখন ভাইয়ের কাছে যেও না।

ইশিতা: কিন্তু কেন,,,,,,।
নিশা: না,,,, এমনিতেই বললাম।
নিশা আর কিছু না বলে চলে যায়,,।
ইশিতা:আজব ব্যাপার,, আরিয়ান উনিও বলছেন আমার থেকে দূরে থাকুন,, এখন নিশা বলল, বুঝতেই পারছিনা।থাক আমার এসব ভেবে কাজ নেই।

বলে ইশিতা নিজের রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় তখন কেউ একটা হঠাৎ ওর হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে যায়,, গিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে। ইশিতা তাকিয়ে দেখে আরিয়ান।

ইশিতা: আপনি,,,,,,,,,। আপনি এভাবে,,।
আরিয়ান: চুপ,,,,, কোনো কথা না,, (ঠোঁটে আঙুল দিয়ে)। তোমার চোখে মায়া আছে,,,,, তোমা স্পর্শে আলাদা টান আছে।,, তোমার কথা বলার ধরন,,হাসি চাওনি সব কিছু আমাকে তোমার দিকে টানছে।

আরিয়ান ইশিতাকে নিজের কাছাকাছি টানছে,, ইশিতা আলতো করে আরিয়ান কে ধাক্কা দেয়,, কিন্তু আরিয়ান ইশিতার হাত নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে বলল।

আরিয়ান: এখানে তোমাকে পাওয়ার ইচ্ছে জেগেছে।
ইশিতা: আপনি,,,,, কি বলছেন এসব।

আরিয়ান: তুমি আমার হবে প্লীজ।
ইশিতা: আপনি রেস্ট নিন,,,আর আমিও যাই,,।
বলে ইশিতা চলে যেতে চায় কিন্তু আরিয়ান আবার ইশিতা কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ।

আরিয়ান: কোথায় যাচ্ছ,,, আমি কি বললাম শুনতে পেলে না।
ইশিতা: আপনি,,,, কেন এমন করছেন। ছাড়ুন আমায় প্লিজ।
আরিয়ান আর কিছু বলে না ইশিতা কে যত পারে নিজের কাছে নিয়ে নেয় । ইশিতা আরিয়ান কে যত পারে দূরে সরাতে চাচ্ছিল তত বেশি আরিয়ান ইশিতা কে কাছে টানছিল।
একপর্যায়ে আরিয়ান ইশিতা কে কোলে তুলে নিয়ে বিছানার উপর শুয়ে দিল,,,,,,,।
,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,
বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,,
চলবে …………………….।

#Mental_Lover
পর্ব:০৪
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম

সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর ইশিতা তাকিয়ে দেখে আরিয়ান ইশিতাকে জড়িয়ে ধরে আছে,, ধীরে ধীরে ইশিতার রাতের কথা মনে পড়ে যায়,, আরিয়ান কাল রাতে যা যা করছে তাতে ইশিতা কি ভাবে আর আরিয়ানের সামনে আসবে ভেবে ভেবে লজ্জায় ম*রে যাবে এমন অবস্থা হয়ে গেছে। ইশিতা উঠতে যাবে,, কিন্তু আরিয়ান ইশিতাকে জাপটে জড়িয়ে ধরে আছে।

আরিয়ান:এত নড়াছড়া করছ কেন।
ইশিতা: ছাড়ুন আমায়,,,,।
আরিয়ান: আমার ঘুম পুরোপুরি হয়নি,,,।

ইশিতা: আমি কি করবো,,, আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরে আছেন কেন ছাড়ুন না প্লীজ।
আরিয়ান: ইশশ্,,, ভালো মুড অফ করে দিও না,,,, চুপচাপ শুয়ে থাক,,,,।
ইশিতা: না,,,,।
আরিয়ান কিছু না বলে ইশিতার চুল গুলো খুলে দেয় টান দিয়ে,, তার পর চাদর টেনে ইশিতা কে আরও আদরের সাথে জড়িত ধরে শুয়ে পড়ল।
ইশিতা: আমি বলছি ছাড়তে আর উনি আমাকে আরও জাপটে ধরছে,,কি করব এখন।
নিশা ইশিতা কে ডাকতে ইশিতার রুমে যায়, গিয়ে দেখে ইশিতা রুমে নেই,,।

নিশা:আরে,আপু আবার কোথায় গেল।
নিশা পুরো বাড়ি খুঁজে কিন্তু পায় না,,।

নিশা: কোথাও ভাইয়ের সাথে নেই তো (অবাক হয়ে)।তার মানে ভাইয়া ওর সাথে,,,,,হে আল্লাহ,,এই ভাইয়া কখনও ভালো হবে না নাকি।

নিরব কিছুক্ষণ পর বাড়িতে আসে।
নিরব:নিশা ,, এই নিশা।

নিশা:জ্বী বলুন।

নিরব: আরিয়ান কোথায় আজকে এত লেট হয়ে গেছে,,,, কোথায় ও,,।

নিশা: ভাইয়া তো ঘুমাচ্ছে।
নিরব: এখনও এত লেট করে। আচ্ছা ঠিক আছে,,, ইশিতা কোথায় ওকে তো দেখছি না।

নিশা: মনে হয়,,,,,,।
নিরব নিশার কথা বলার ধরন দেখে বলল।
নিরব:: কি হয়েছে,,,কি বলতে চাইছো।
নিশা: আসলে ওই ভাইয়া ইশিতার সাথে,,,,,,,,,,,,।

নিরব: ইশিতার সাথে কি,,,,,,।ও আচ্ছা বুঝলাম তার মানে এখন ও ইশিতার সাথেও।

নিশা: আমার মনে হয় ভাইয়া ইশিতা কে ভালোবাসেন।

নিরব:তাই নাকি,,,,একটু বেশি বুঝেন আপনি।

নিশা: আপনার সাথে থেকে থেকে এই অবস্থা।
নিরব: কি,,,(ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে)।

নিশা হেসে হেসে উপরে চলে যায়।
নিরব: পা/গল মেয়ে একটা।
_________________________________________
এদিকে আরিয়ান ইশিতা কে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে তো আছেই ছাড়ার কোনো নাম গন্ধ নেই। ইশিতা অসম্ভব রেগে যাচ্ছে।

ইশিতা: কি হচ্ছে এসব,,, আপনি ছাড়ুন আমায়।
আরিয়ান: আবার যদি বিরক্ত কর তোমার কি অবস্থা হবে বুঝতে পারছ না।

ইশিতা: আপনার সমস্যা কি।

আরিয়ান মুখ তুলে তাকিয়ে বলল।
আরিয়ান: তুমি,,,,,,।
ইশিতা: কি,, আমি কি করলাম।
আরিয়ান: বলেছিলাম না আমার থেকে দূরে থাকতে,, সামনে না আসতে তাহলে আসো কেন।
ইশিতা: আমি কখন আসলাম আপনি আমার হাত ধরে টেনে এখানে এনেছেন।

আরিয়ান: কারণ তুমি আমাকে পা/গল বানিয়ে ফেলেছ।
ইশিতা বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে। আরিয়ান বিছানা থেকে উঠে যায়।

আরিয়ান:যাও নিজের রুমে যাও ।
ইশিতা দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেল।
আরিয়ান: কি করছিস আরিয়ান তুই,,ওই মেয়েটার প্রতি এত টান । পা/গল হয়ে যাব ।

বিকেলে আরিয়ান ড্রয়িং রুমে বসে নিরব এর সাথে কিছু আলোচনা করছে,, তখন দেখে নিশা আর ইশিতা কোথাও যাওয়ার জন্য বের হচ্ছে।

আরিয়ান: ওই দাঁড়া,,, কোথায় যাচ্ছিস।

নিশা: আসলে ভাইয়া বাড়িতে ভালো লাগছে না তাই ভাবলাম ভাবী কে নিয়ে,, মানে আপু কে নিয়ে একটু শপিং করে আসি তাই।

আরিয়ান:একা যাচ্ছিস কেনো।চল আমি আর নিরব যাব।

নিশা: যাবে আমাদের সাথে। (খুশি হয়ে)।

আরিয়ান: হুম, (ইশিতার দিকে তাকিয়ে)।

__________________________________________
সবাই মলে পৌঁছে যায়,, গিয়ে সবাই যে যার মত পছন্দ করছে, ইশিতা একজায়গায় চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। আরিয়ান নিরব এর সাথে কথা বলে তখন হঠাৎ ইশিতা আরিয়ানের কাছে এসে বলল।

ইশিতা: আমরা বাড়িতে যাব কখন,, (ভয়ে ভয়ে)।
আরিয়ান: তোমার আবার কি হলো,,,,।
ইশিতা: না আসলে আমার ভালো লাগছে না,,প্লীজ চলুন না ফিরে যাই।

আরিয়ান:আরে এখনও কেনাকাটা হয়নি, তাহলে এত তাড়াতাড়ি ফিরে যাব কেন।আর তোমরাই তো বললে বাইরে আসবে,।

ইশিতা: না,,,, চিৎকার করে আমি বলছি তো চলুন যাব এখানে থাকব না।

আরিয়ান ইশিতাকে ভালো করে লক্ষ্য করে দেখে ইশিতা ভয় পেয়ে আছে আর বার বার সামনে তাকাচ্ছে,, এমন মনে হচ্ছে কাউকে দেখে ভয় পেয়েছে।

আরিয়ান: ইশিতা,,, শান্ত হ,,কি হয়েছে বল আমাকে।

ইশিতা:প্লীজ চলুন না, ফিরে যাই,, আমার ভালো লাগছে না (কাদু কাদু গলায়)।

আরিয়ান: আমরা যাব তো,,, তুমি চল আমার সাথে।
ইশিতা: তার মানে আপনি এখন যাবেন না,, ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি,,,(। চিৎকার করে)।

ইশিতা উঠে দাঁড়ালো,, তখন হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়,, আরিয়ান ইশিতাকে ধরে ফেলল।

সবাই ভিড় করে দাঁড়িয়ে পড়ল,,,।
আরিয়ান: ইশিতা,,এই ইশিতা।

নিরব: আমার মনে হয় ওকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া উচিত।

আরিয়ান: ঠিক বলেছিস,,গাড়ি বের কর প্লীজ।
নিরব:হ্যা,, তুই ওকে নিয়ে আয়,, আমি গাড়ি বের করছি।

আরিয়ান ইশিতাকে গাড়িতে বসায়,, নিরব নিশা,, সবাই মিলে হসপিটালে যায়।

**আরে ওইটা তো ইশিতা ছিল ,,, তার মানে ও পালিয়ে এখানে এসেছে। তুই যতই চেষ্টা কর ইশিতা তোকে তো যেতেই হবে,, আমি তোকে নিয়েই যাব (রাগী গলায়)**

ডাক্তার কেবিন থেকে বের হয়ে আসে।

আরিয়ান: কি হয়েছে ওর,,।

ডাক্তার: মিস্টার আরিয়ান,, আসলে ওনি খুব টেনশনে ছিলেন,,আর সাথে ভয়ও পেয়েছিল এই কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়ে,,,। আচ্ছা ওনার কি হন আপনি মিস্টার আরিয়ান।

আরিয়ান:ওই আসলে আমি,,,,,।

নিরব: ইশিতা আরিয়ান এর হবু স্ত্রী।

ডাক্তার:আই সি,,,,,।

আরিয়ান:এই নিরব এসব কি বলছে,,( মনে মনে)। আচ্ছা ডাক্তার আর কোনো সমস্যা নেই তো ও এখন কেমন আছে।

ডাক্তার: এখন উনি ঠিক আছে,, কিন্তু।

আরিয়ান: কিন্তু কি ,,,,ডাক্তার।

ডাক্তার: ওনি কি প্রতি দিন ঘুমের ওষুধ খায়।
আরিয়ান:কই,, না তো।

ডাক্তার: কিন্তু ওনার রিপোর্টে তো এসেছে ওনার শরীরের মধ্যে ঘুমের ওষুধ পাওয়া গেছে।
আরিয়ান: What, কি বলছেন এসব।

ডাক্তার: এটাই তো আমি তো ভেবেছিলাম ওনার ঘুমের সমস্যা আছে তাই হয়তো ওষুধ খায়,,,,আর আরেক টা কথা এখন থেকে ওনার একটু বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে,,, ওনার এখন বেড রেস্ট প্রয়োজন।

নিরব: ওকে ডাক্তার,, আমরা সব সামলে নেবো। Thank you so much,।

ডাক্তার চলে যায়,, আরিয়ান বাইরের দিকে তাকিয়ে ভাবুক হয়ে যায়।
নিরব: কি রে তোর আবার কি হলো,, কি ভাবছিস।

আরিয়ান: ব্যাপার টা একটু সন্দেহ জনক না,,।

নিরব: কোন বিষয়।
আরিয়ান:এই যে হঠাৎ ইশিতা কে এভাবে রাস্তায় পাওয়া,, তার পর ওকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় ওর পরিবারের কথা,, কিছু না বলা,, আমি লক্ষ্য করেছি,, শপিং মলে ও কাউকে একটা দেখেছিল তারপরেই তো জ্ঞান হারায়,, এখন আবার ঘুমের ওষুধ,,সব কিছু একটু জটিল হয়ে গেছে।

নিরব: ঠিক বলেছিস,, কিন্তু এই সব কিছু এক মাত্র ইশিতাই বলতে পারবে।

আরিয়ান: না না,, এখন ওকে কিছু জিজ্ঞেস করা যাবে না,, এমনিতেইও ভয় পেয়ে আছে, তার উপর যদি এসব কথা শুনে তাহলে আরও বেশি কিছু হতে পারে।
নিরব: ঠিক আছে,,।

__________________________________________
বিকেলে আরিয়ান ইশিতা কে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে,নিশা ইশিতার সাথেই ছিল আরিয়ান ইশিতার ভালো করে খেয়াল রাখতে বলেছিল তাই,,। ইশিতা বাড়িতে আসার পর থেকে মনমরা হয়ে থাকে,, আরিয়ান বুঝতে পারে যে কিছু একটা আছে যা ইশিতা এখনও বলেনি। আরিয়ানও ঠিক করে নিয়েছে যে ইশিতার পরিচয় ঠিকানা সব কিছু খুঁজে বের করব।

**হ্যালো পেয়ে গেছি, ইশিতা কে।
**ওকে ধরে নিয়ে আয়,,তার পর বুঝাব, পালিয়ে যাওয়ার খুব ইচ্ছে ওর, এবার ওকে এমন শিক্ষা দেব যে আর জীবনে এমন কিছু করবার সাহস করবে না।।**।
,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,
বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,
চলবে…………………..।