নাম : #vilen
পর্ব : ১
লেখিকা : #আনু_Anu
ফেসবুক পেইজ : #আনু_অনুভবে_অনুভূতি_( আনু )
.
..
…
আজ ২য় বারের মতো Rossy কে উঠিয়ে নিয়ে এসেছে তার কলেজ থেকে।
ফ্ল্যাশব্যাক…..
.
দেশের নামকরা সুনামের শীর্ষে একটাই নাম Niloy দেশের বেশিরভাগ মেয়েদের মুখে শুধু নিলয়কে দেখার ইচ্ছা তাকে কাছথেকে দেখার ইচ্ছা। কিন্তু তা কী সম্ভব? একদমই নাহ সে তো একজনেই আসক্ত সে রোজি।
..
এই গল্পের মেইন লিড রোজি এবং নিলয়।
রোজির পরিচয় : রোজি তার বাবা-মা এর বড় সন্তান রোজির বাবা সরকারী কর্মকর্তা এরং তার মা গৃহিনী। রোজিরা তারা দুইবোন রোজি বড় রোজির বয়স ১৭ বছর আরও একটি ছোটো বোন আছে তার নাম asha তার বয়স ১৪ বছর রোজি এখন ইন্টার প্রথম বর্ষে পড়ছে আর তার ছোটো বোন আশা ক্লস ৯ এ পড়ছে।
Rossy : রোজি দেখতে খুবই সুন্দর চোখগুলো টানা টানা, চোখের পাপড়িগুলো তুলনামূলক বড় দেখতে পুতুলের মতো, দুধে-আলতা গায়ের চামড়া টোক্কা দিলেই রক্ত ঝড়বে!!!ঠোঁটগুলো গোলাপি নয় বরং লাল টকটকে, চুলগুলো বেশি বড় না হলেও কোমর ওবদি। চুলগুলো cherry কালার এর দেখতে সে মারাত্মক সুন্দরী। শরীরের গঠন বাকানো ধনুকের ন্যায়। লম্বায় সে ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি।
.
Niloy : নিলয় এর বাবা-মা আপন কেও নেই। সে নাম করা একজন মাফিয়া। দেশের নামকরা বিজনেসম্যান সে। দেশের নামকরা বিজনেসময়ানদের মধয়ে সে একজন। নিলয় দেখতে ও কম নয় তার গায়ের রং উজ্জ্বল চুলগুলো স্ট্রেট দেখতে খুব ড্যাসিং। তার রয়েছে পেটানো সুঠাম দেহ। 6 pack body লম্বায় সে ৬ ফুট সে তার আশেপাশের কোন মেয়েকে সহ্য করতে পারে না। তার দুইজন বন্ধু রয়েছে বন্ধু বলে ভুল হবে তারা তো আর ভাইয়ের মত যেহেতু নিলয়ের কেউ নেই সে তাদের নিজের ভাইয়ের মত দেখে সে খুবই গম্ভির তার মুখে হাসি দেখা আর নিজের হাতে চাঁদ পাওয়া একই কথা। তারসেই দুই ভাইকে তার ডান হাত এবং বাম হাত বলা চলে। তার বাড়ির চারপাশে তার অফিসের চারপাশে শত শত গার্ড থাকে তাকে পাহারা দেয়ার জন্য।
.
নিলয় রোজিকে দেখেছিল নিলয়ের একটি মিশনের দিনে নিলয় কারে করে যাচ্ছিল তার মিশনের স্থানে যেহেতু সে একজন গ্যাংস্টার সেহেতু তার মিশনে যেতে হয়। সেই দিনও সে প্রতিদিন এর মত মিশনে যাচ্ছিল। হঠাৎ রাস্তায় জ্যাম লেগে যায় বৃষ্টির কারণে। সেদিন খুবই বৃষ্টি হচ্ছিল। নিলয়ের গাড়িও যে আমি আটকে ছিল। নিলয়ের গম্ভীর মুখ আরও গম্ভীর হয়ে উঠে।
হঠাৎ সে জানালা খুলে জানার বাইরে তাকায় হঠাৎই তার চোখে পড়ে এক অপরূপ সুন্দর দৃশ্য তার কেউ না রোজির বৃষ্টি ভেজা দৃশ্য!!!সেদিন রোজি ও বের হয়েছিল তার কলেজের উদ্দেশ্যে কলেজ থেকে ফেরার পথে সে এবং তার বান্ধবীরা কাঁদ বেজা হয়ে যায়। রোজির বাড়ী তার বান্ধবীদের বাড়ী থেকে কিছুটা দূরেতাই তার বান্ধবীদের থেকে বিদায় নিয়ে সে সেইটুকু পথ একাই পাড়ি দেয় সকল দিনের মতো। সেদিন রোজি কালো কালোরের একটা হাটু অবদি টপস এবং কালো ফিসকাট প্যান্ট পেরেছিল। আর কালো কালারের একটা সিফন ওড়না গলায় পেচিয়ে রেখেছিলো।
সে বেজা থাকায় তার শরীরের প্রতিটি বাজ বোঝা যাচ্ছিলো তা দেখে পাথরের মতো মনের মালিকের চোখ আটকে গিয়েছিলো। যে মেয়েদের সহ্য করতে পারে নাহ আজ সে একটা মেয়ে এর দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছে। তার মনে এক টুকরো ভালোলাগা জন্মায়। রোজিকে বৃষ্টির আানন্দ নিতে দেখে কারন রোজি হেলে-দুলে যাচ্ছিলো।বার বার গুরপাক খাচ্ছিলো। তার উজ্জ্বল মুখখানা বৃষ্টির পানিতে আরো উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। তারে এক কথায় অপরূপ রূপবতি লাগছিল। নিলয় তা দেখে হাবলার মতো তাকিয়ে ছিল রোজির পানে। তার চোখের পলক পরছিল না। তখনই রোজি তার বাসার সামনে চলে আসে। রোজি তার বাসায় ঢুকে পড়ে এবং নিলয়ের গাড়িও চলতে শুরু করে। যতক্ষণ রোজিকে দেখা যাচ্ছিল নিলয় ততক্ষণ ঘাড় ঘুরিয়ে রোজিকে দেখছিল।
.
এদিকে মিশন শেষ করে নিলয় ক্লান্ত শরীরে বাসায় ফিরে। ফ্রেস হয়েই শুয়ে পরে। নিলয় খুবই অগোছালো। এমন না যে তার বাসায় মেইড নেই। তারপর ডুপ্লেক্স বাসায় ১৫ থেকে ১৬ জন মেইড রয়েছে । যারা সে ঘুম থেকে উঠলে তার রুম পরিষ্কার করে তাকে কফি দিয়ে আসে তার পর পর সে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয় কিন্তু বাসায় গিয়ে আবার সে রুম অগোছালো করে ফেলে। কিন্তু আজ সে বিছানায় শোয়ার পর চোখ বন্ধ করলেই তার রোজির চোখ ভেসে ওঠে রোজের সেই বৃষ্টি ভেজা দৃশ্য চোখে ভেসে ওঠে এবং সে পাগল হয়ে যায় সে বলতে শুরু করে…..
নিলয় : তোমাকেতো আমার লাগবেই তা যা করে হোক নিলয় একবার যা চায় তা হাসিল করে শান্ত হয় এগুলো ভাবতে ভাবতে সে গুমের দেশে তলিয়ে যায় কারন সে ড্রিং করেছিলো।
..
সকালে,
সকালে নিলয় ঘুম থেকে উঠেই তার দুই ক্লোজ বন্ধু যারা তার ডান হাত রহিদ এবং বাম হাত রেদোয়ান তাদেরকে বলে রোজির পুরো বায়ো ডাটা বের করে কারণ তার তো রোজিকে লাগবেই।
নিলয় : এক ঘন্টার মধ্যে আমার ওই মেয়ে এর ফুল ডিটেইল চাই and no excuse
কিন্তু রোহিত আর রেদোয়ান কে ওই চিনে না রোজীকে আর তার বস কোন মেয়ের কথা বলছে কারণ নিলয় ছাড়া রোজিক আর কেউ দেখেনি আর নিলয়ও রোজিকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখেছিল!
ঠিক ৫৯ মিনিট পর রোহিতার রেদওয়ান মাথার নিচু করে নিল এর কাছে যায়। তারা যেতে খুবই ভয় পাচ্ছিলো কারন নিলয়ের রাগ অনেক বেশি।
নিলয়ের কাছে গিয়ে বলে বস আমরা তো মেয়েটিকে চিনি না আমরা মেয়েটিকে দেখিওনি এখন আমরা কিভাবে মেয়েটির খোঁজ বের করব আমরা ব্যর্থ হয়েছি এটা শুনে নিলয় রাগে ক্ষোবে তার হাতে থাকা ড্রিংকসের গ্লাস ছুড়ে মারে তা নিচে পড়ে তছনছ হয়ে যায় তা দেখে রোহিত এবং রেদোয়ানের হিসু করে দেওয়ার মত অবস্থা😹
নিলয় গর্জে ওঠে এবং বলতে শুরু করে হুংকার ছুড়ে : ঐই মেয়ে কে আমার চাই মানে চাই at any cost. কিছুক্ষণ পর নিলয় নিজ থেকে বলে ওঠে যে সে মেয়েটিকে একটা বাড়িতে ঢুকতে দেখেছে হতে পারে ঐইটাই মেবি মেয়েটার বাড়ি নিলয়ার দেরি করে না রোহিত এবং রেদোয়ানকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। বাড়ির সামনে গিয়ে তারা প্রায় সেখানে তিন চার ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে কিন্তু কাউকে পায় না ঠিক দুপুর ১:৩০ এ রোজি গোসল করে বারান্দায় আসে এবং সে তার চোখগুলো নাড়াচাড়া করতে থাকে যেহেতু তার চুলগুলো কোমর অব্দি সেগুলো নাড়াতে শুরু করে হঠাৎ ই নীলয় এর চোখে এটা পড়ে যা দেখে সে মন্ত্রমুগ্ধের নাই চেয়ে থাকে রোজির পানে সে প্রায় অনেকক্ষণ রোজির পানে চেয়ে থাকে কিছুক্ষণ পর সে নিজেই রহিত এবং রেদোয়ানকে বলে যে এই সেই মেয়ে ওর ফুল ডিটেলস আমার চাই ওকে আমার লাগবে! এই কথা বলে নিলয় আবারো রোজির পানে চোখ দেয় কিন্তু সে আর রোজিকে দেখতে পায় না কারণ রোজই রুমে ঢুকে গিয়েছে।
সে shit বলে গাড়িতে একটা ঘুসি মারে। তারা আর কিছুক্ষণ এখানে থেকে বাসায় চলে আসে।
বাসায় আসার পর নীলয় বসায় বসে অফিসের কাজ করে এভাবে কিছুদিন কেটে যায় সে সেইদিনের পর রোজির ফুল ডেটা সংগ্রহ করে তখন সে রোজির ব্যাপারে সকল কিছু জানতে পারে সেদিনের পর থেকে সে রোজির উপর নজর রাখতে শুরু করে রোজির বাসায় আশেপাশে তার কিছু গার্ড পাহারা দেয় রোজি বাসায় কি করে না করলে রোজি কোথায় যায় তার কাছে সকল ইনফরমেশন আসে এভাবে আরও কিছুদিন কেটে যায়
একদিন নিলয় হঠাৎ অফিসের জন্য রওনা করে কারণ তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং রয়েছে। মিটিংটি অতীব জরুরি না হলে সে মিটিং এ যেত না। সে ফ্রেস হয়ে ফর্মাল গেটাপ নিয়ে এসে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয় BMW গাড়িতে বসে সে অফিসে মিটিংটি শেষে তার খুবই খিদে পায় তার খুব একটি পছন্দের জায়গায় সে খেতে যায় যখন সে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে তখন তার চোখ যায় রোজির উপর রোজি তার বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে রোজি, তার চারটে ছেলে বন্ধু আর দুইজন মেয়ে ফ্রেন্ড রিমা,সিমা, আরুস,রোহান,মাহিন,তুহিন
তারা বসে আড্ডা দিচ্ছে তবে আরশ ছেলেটা রোজির সাথে ঘিসে বসে আছি এবং সে বিভিন্ন তার মাঝে রোজির গায়ে স্পর্শ করছে তা দেখে নিলয়ের চোখ রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে এমনিতেই নিলয়ের রাগ অনেক আর যদি দেখে এভাবে কেউ তার প্রিয়জনের গায়ে হাত দিচ্ছে।
তারপরও নিলয় নিজেকে খুব কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে কারণ এটা পাবলিক প্লেস নিলয়ের কিছু না হলেও রোজির সমস্যা হতে পারে কারণ নিলয় একজন বিজনেসম্যান তার পাশাপাশি গ্যাংস্টার তাকে এত সামনে থেকে কেউই দেখেনি। যদি কেউ রোজির প্রতি এত কেয়ার দেখে তাহলে রোজির জীবনের আশঙ্কা থাকতে পারে তাই সে নিজেকে কন্ট্রোল করে বসে থাকে কিন্তু হঠাৎ করে ছেলেটি রোজির চুল ঠিক করে দিতে থাকে এটা দেখে তার সহ্য হয় না সে উঠে গিয়ে পুরো রেস্টুরেন্ট থেকে মানুষ বের করে দেয় তার এক গর্জনে পুরো রেস্টুরেন্ট খালি হয়ে যায় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসে কিন্তু নিলয় থামিয়ে দেয় এবং সে দ্রুত গিয়ে ছেলেটির হাত খপ করে ধরে ফেলে আর গর্জে বলতে থাকে:
তুই কী করে ওর গায়ে স্পর্শ করস? এতো সাহস? এতো তোর কলিজা টেকে ছিরে ফেলবো আমি এইবলে ছেলেটিকে ইচ্ছামতো মারতে থাকে ছেলেটাকে পুরো আদমরা করে ফেলে এটা দেখে রোজি এগিয়ে নিলয় কে বলতে থাকে
রোজি : কে আপনি ওকে মারছেন কেনো কী ক্ষতি করেছে ও আপনার?
নিলয় : সেতো মারতেই ব্যস্ত সে আরও একটা লাত্থি মারতে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে কে যেন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় সে আর কেউ নয় রোজি এটা দেখে নিলয়ের রাগ ৭ আসমান উপর চলে যায়।
রোজি ধাক্কা দিয়ে বলতে শুরু করে :
আপনি কোন সাহসে ওকে মারছেন? কী করেছে ও? ওকে মারছেন কেন? আর বললেন আমাকে স্পর্শ করার সাহস পায় কই এটা বলার আপনি কে? আমার বাবা,ভাই,বি-এফ কোনটা, কোনোটাই নন আপনি তাহলে এতো সাহস হয় কীভাবে?
রোজি একনাকার এগুলো বলেই যাচ্ছে!
এদিকে তার রিমা, সীমা, আরুশ, রোহান, মাহিন, তুহিনওরা থর থর করে কাঁপছে কারণ ওরা চিনে নিলয় কে!
চলবে
নাম : #vilen
পর্ব : ২
লেখিকা : #আনু_Anu
ফেসবুক পেইজ : #আনু_অনুভবে_অনুভূতি_( আনু )
.
..
…
সিমা এগিয়ে গিয়ে রোজিকে বলে রোজি চুপ কর তুই জানিস উনি কে উনি চাইলে এখানেই আমাদের পুঁতে ফেলতে পারে।
তারপরও রোজি চুপ থাকেনা রোজি সীমা কে বলতে শুরু করে উনি কে বা কি করে চা জেলে আমার কোন লাভ নেই উনি আমার বন্ধুকে কেন মারলো সে আবারো রোজি নিলয়ের উপর চিল্লাতে শুরু করে এখন আর নীলা চুপ থাকে না রুজির হাত ধরে টেনে ওকে নিয়ে চলে যায় রেস্টুরেন্ট থেকে রোজিকে টেনে বের করে আনে আর বলতে থাকে,
নিলয় : প্রায় ৩ মাস আমি করা পাহারা দিয়ে রেখেছি আর তুই আমাকে বলস আমি কে?
রোজি : ছাড়ুন বলছি আপনি কে? এগুলো বলারই বা আপনি কে? কোথায় নিয়ে যা আাাাাাাা
আর কিছু বলার আগেই রোজিকে গাড়ির ব্যাকসিটে ছুঁড়ে মারে নিলয় রাগে হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়েছে তার সে কী করছে নিজেও জানে নাহ সে যে রোজিকে কষ্ট দিচ্ছে তাও বুঝতে পারছে নাহ।
রোজি খুব জরে আচরে পরে সিটে অপরপাশের দরজায় গিয়ে মাথায় আগাত পায়, হাতের কনুইতে আগাত পায় সেই জায়গা গুলো লাল টকটকে হয়ে ওঠে
রোজি : আহহহহ বলে চিৎকার করে ওঠে
আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিলয় দুম করে গাড়িতে ওঠে এবং ড্রাইবারকে গাড়ি স্টাট দিতে বলে গাড়ি ধোঁয়া উড়িয়ে চলে নিলয়ের ডুপ্লেক্স বাড়ির উদ্দেশ্য।
রোজি গাড়ির মধ্যে ছোটাছোটি করায় নিলয় ওকে সিটবেল্ট দিয়ে বেধে দেয় আর মুখে টিসু পুড়ে দেয় আর কী
রোজি : ওমমম ওমমমম করছে
নিলয় : আজ দেখাবো আমি কে ছেলেদের সাথে ডলাডলি? আমি নিলয় থাকতে এটা ও সম্ভব?
কিছু সময় পর তারা পৌছায় নিলয় দরজা খুলে দাড়িয়ে আছে
নিলয়: বের হও
রোজি:।।।।।।।
নিলয় : বের হতে বললাম নাহ?
রোজি :।।।।।।।
নিলয় : কথা কি কানে যায় নাহ? বের হবে নাকি কিছু করতে হবে?
এই কথা শুনে রোজি বের হয়ে আসে নিলয় কীছু নাহ বলে ওই বাধা অবস্থায় ওকে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে এবং রুমে নিয়ে ছুড়ে ফেলে নরম বিছানা হলেও রোজি ব্যাথা পায়,
নিলয় রোজিকে দেখে রোজির দিকে তাকিয়ে থাকে রোজির চোখ ভর্তি অশ্রু কিছু গড়িয়েও পড়ছে তোখ নাক মুখ লাল কাপড় এলোমেলো নিলয় এর ঘোর লেগে যায় সে ধীরে ধীরে রোজির দিকে এগতে থাকে একটু সমনে যেতেই রোজি হাত ছুটিয়ে নিলয়কে ধাক্কা দেয় তবে এইবার নিলয় এক চুল নরে নাহ কিন্তু নিলয় এর রোজির ব্যবহার এর কথা মনে পড়ে যায় সে কিছি নাহ বলে জিজ্ঞেস করে তুমি কি যেন বলেছিলে রেস্টুরেন্টে আবার বলো মুখ থেকে টিস্যু সোনাতে রোজি চিৎকার করে উঠে
আমাকে এখানে কেন এনেছেন এতো বড় সাহস রাস্তাঘাটে রেস্টুরেন্টে কোথাও মেয়ে দেখলে এভাবে তুলে আনবেন অসভ্য
ঠাস 👋
নিলয় রোজিকে থাপ্পর মারলো অনেক জেরে রোজি বিছানা থেকে পড়ে যায় আর অনেক বেথা পায়
রোজি : আহহহহহহ আ আ আমা আমাকে মারছেন কে কেনো আমাকে মারার স সা সা সাহস কেমনে হ হ হয়
ঠাস 👋
আরো একবার সে রেজিকে থাপ্পর মারে রোজি এবার দেয়ালে ছিটকে পরে খুবই জোবে আঘাত পায় অনেক জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে নিলয়ের পুড়ো ঘর কেপে ওঠে নিলয় নিজে ও
কারন সে গম্ভির হলে তার মনে তো ভালবাসা রয়েছে রোজি কিন্তু নিল এটা বুঝতে পারছে না যে সে রোজিকে ভালোবাসে সে নিজের অজান্তেই রোজীকে কষ্ট দিচ্ছে। নিলয় এর চোখে বেসে ওঠে রোজির ভীত দৃষ্টি তার উপর নিলয় এটা দেখে নিজের মধ্যে ফিরে আসে নিলয় দৌরে রোজির কাছে যায় নিলয়কে দৌরে আসতে দেখে রোজি সরে যেতে চায় কিন্তু তার আগেই নিলয় রোজিকে জরিয়ে দরে খুবই জোরে রোজিও কান্না করতে থাকে নিলয় রোজিকে মলম লাগিয়ে দেয় খাবার খায়িয়ে দেয় রোজি না করলে তাকে ধমকে খাওয়ায় খাবার শেষে নিলয় রোজির দিকে চেয়ে রয় কিন্তু তখনও রোজি নিলয় কে ভয় পেতে থাকে
নিলয় এর হঠাৎ কি যেন হলো সে রোজির কাছে এগোতে লাগলো তার মুখ রোজির কাছে নিতে লাগলো রোজিতো ভয়ে শেষ রোজি মনে মনে ভাবছে
রোজি : আল্লাহ প্রথমে মারলো এখন আবার কী করতে চাচ্ছে আল্লাহ বাঁচাও এই গন্ডার আমাকে মেরে ফেলবে 😭
নিলয় সেই মুহূর্তেই রোজির চুলের মুঠি ধরে ওর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট পিড়ে দেয় পান করতে থাকে নিজের প্রিয়সির ওষ্ঠদ্বয়
রোজি : ওমমম ওমমম ওম ওমম
নিলয় প্রায় ৮ মিনিট পর ছাড়লো রোজি মুখ মুছতে ব্যস্ত এটা দেখে নিলয় আবার কি*স করা শুরু করে এবার প্রায় ১২ মিনিট পর ছাড়ে রোজিতো ছাড়া পেয়ে নিশ্বাস নিতে ব্যস্ত আর নিলয় রোজিকে পরখ করতে ব্যস্ত তারপর নিলয় রোজিকে বলে
নিলয় : কোন ছেলের সাথে মিশবে না আমি যা বলব তাই করবে যদি তা না করো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না আমি তোমাকে কি করবো আমি তা নিজেও জানিনা আমার রাগ সম্পর্কে তোমার ধারণা নেই আমি যখন রাগী তখন অমানুষ হয়ে যাই so be carefull babe
এটা বলে যেখানে যেখানে রোজি ব্যথা পেয়েছে সেখানে সেখানে নিজের ঠোঁট ছোঁয়াতে শুরু করে এদিকে রোজিত অবাক এটা কি পাগল নাকি নিজে ব্যথা দিয়ে আবার নিজেই চিন্তা করছে।
সকল কিছু বুঝিয়ে দিয়ে নীলয় রোজিকে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসে ওকে ওর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসে রোজির বাসায় পৌছে দিয়ে আসে, রোজি গাড়ি থেকে নালতে যাবে সেই সময় নিলয় রোজিকে টান দিয়ে নিজের বাহুতে নিয়ে নেয় আর ওর কপালে ঠোঁট ছোয়ায়!
পেরিয়ে যায় আরও কিছু দিন কিন্তু রোজি আর নিলয় এর দেখা পায় নি। কারন নিলয় নিজেই দেখা দেয় নি রোজির HSC exam চলছে যার কারনে নিলয় ওকে মেন্টাল প্রেশার দিতে চাচ্ছে নাহ!
রোজিও নিলয়কে প্রথম প্রথম কিছু দিন মনে পরলেও এখন ওটাকে সে একটা এক্সিডেন্ট ভেবে ভুলে গিয়েছে!!
কিন্তু রোজি প্রতিদিন রাতে টের পায় কেও তাকে দেখে তার উপর ঘুমায় কিন্তু রোজির ঘুম এতে তিব্র হয় যে সে চোখতুলে তাকাতে পারে নাহ!
প্রতিদিনের মতো সেই রাতে ও এমনই হয় কিন্তু সেইরাত রোজির ঘুম আসছিলো নাহ সে চোখ বন্ধ করে এমনি শুয়ে ছিলো ! রোজি হঠাৎ টের পায় বারান্দায় কারও ছায়া এটা দেখে রোজি সিটিয়ে বসে তার মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে নাহ! রোজি দেখলো ছায়াটা তার কাছে আসছে কাছে আসতে আসতে রোজির পাশে বসে রোজি মনে মনে দোয়া পরে এবং ঘুমের বান করে কিন্তু সে বুঝতে পারছে ছায়াটি তার দিকে গভির দৃষ্টি দিয়ে আছে।
আর কিছুখন অতিবাহিত হতেই সে টের পায় ছায়াটি তাকে জরিয়ে ধরেছে কিন্তু রোজি লোকটির পারপিউম এর স্মেলটা চিনে তার মনে পরে যায় নিলয় এর কথা সে এটাও বুঝতে পারে প্রতি রাতে কে আসে তার কাছে এবং কে তাকে জরিয়ে ধরে আছে।
রোজি ভাবছে এই লোকটি কি চায় তার কাছে সে আর কিছু চিন্তা নাহ করেই ডিরেক্ট জিজ্ঞেস করে
আপনি কে?
এদিকে রোজির আওয়াজ পেতে নিলয় দর ফরিয়ে উঠে যায়। সেই দিন নীলয় দাঁড়ায়নি রোজিকে বলে গিয়েছে তুমি আমার তুমি আমার সম্পদ আমি তোমার কাছে আসবোই!
এটা শুনে রোজি হতবাক!!!!
পেরিয়ে যায় আরও কিছুদিন তবে নিলয় প্রতিরাতই রোজির কাছে যেতো কিন্তু কখনো রোজিকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করে নি!
গতকাল রোজির পরীক্ষা শেষ হয় কিন্তু তাদের কিছু প্লেন ছিলো তরে সেইদিন তারা অনেক ক্লান্ত ছিলো তাই তারা কালতে তা করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় সবাই সহমত!
রাতে খাবার খাওয়ার পর রোজি ঘুমায় যায় কিন্তু রোজি খেয়াল করে নিলয় কিছুদিন যাবৎ রোজির কাছে আসে নাহ রোজি নিলয়কে ভুলে যায় নিলয় যে রোজিকে কী কী বুঝিয়ে দিয়েছিলো রোজি তা ভুলে যায়!
আজকে রোজি খুব সুন্দর করে সেজেছে সে টকটকে লাল কালার টকটা গোল জামা পরেছে জামাটা হাটু সমান টপ্সের মতো চুলগুলো পেঁচিয়ে দিয়ে পিছনে নিয়ে ছেরে দিয়েছে চোখে আাইলাইনার হালকা করে বেশিও নাহ কম ও নাহ! ঠোঁট যেহেতু তার টকটকে লাল তাই সে একটু লিপ গ্লস দিয়েছি সে এমনি সুন্দর আর আজ সুন্দর করে সাজুগুজু করে তাকে একদম আগুন সুন্দরী লাগছে এক কথায় আগুন সুন্দরী!!!
তার সকল ফ্রেন্ডরা রেডি হয়ে আসে তবে তারা রোজিকে দেখে ভাবছে এই মেয়ে এতো সুন্দর কেন? আর একটু কম সুন্দর হলে কি অনেক ক্ষতি হতো?
সিমা : খুব সুন্দর লাগছে তোকে
রোজি : ধন্যবাদ তোকেও কম লাগছে না!
তারা আর কথা বাড়ায় না কারণ আরুশ তারা দিচ্ছে!
তারা তার আজকে একটি ঢাকার মধ্যে সুন্দর একটি রিসোর্ট হয়েছে সেখানে যাবে তারা সেটিকে আগে বুক করে রেখেছিল তারা গাড়ি করে রওনা দেয়!
এদিকে,
নিলয় কে নিলয় লোকেরা খবর করে যে রোজি ম্যাম খুবই সেজেগুজে বাইরে গিয়ে এটা শুনে নিলয় তার গার্ডকে বলে ওর পিছু নিতে আর সেখান থেকে নিলয় রওনা করে নিলয় এর গার্ড এটাও বলে যে সে আবারও ছেলেদের সাথে ঘুরাঘুরি করছে কিন্তু সেদিন ওই ঘটনার পর সে জানতে পারে আরুস রোজি র ফ্রেন্ড এরা খুবই ক্লোজ ফ্রেন্ড তাই রোজি ওদের সাথে আরো ঘোরার পরেও কিছু বলেনি!
তবে আজ সাথে সাথে অচেনা একটি ছেলেও রয়েছে যাকে নিলয় চিনে না তার গার্ডরাও চিনেনা যখন সে জানতে পারে তাদের সাথে একটা অচেনা ছেলে আছে নিলয়ের চোখ রক্তবর্ণ হয়ে ওঠে! কারণ গার্ড নিলয়কে একটি ভিডিও পাঠায় যেখানে দেখা যাচ্ছে সেই ছেলেটি রোজির সামনে নিজের হাত বাড়িয়ে দেয় রোজিকে গাড়িতে উঠতে সাহায্য করতে এবং নির্দ্বিধায় রোজি ও ছেলেটির হাত ধরে গাড়িতে ওঠে এটা দেখে নিলয় আর এক সেকেন্ডও দাঁড়ায় না সে রওনা করে সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে!
রোজিরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছে ১০ মিনিট হবে
নিলয়ের দশ মিনিট লাগে সেখানে যেতে সে সেখানে গিয়ে যা দেখল তাতে তার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায় তার কপালের রগ ফুলে ওঠে!
নিলয় দেখতে পায় ছেলেটি রোজির হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে রোজিকে কি কি যোনো জিজ্ঞেস করছে এবং রোজীও সুন্দর করে হেসে হেসে ছেলেটির উত্তর দিচ্ছে!
নিলয় আর কিছু না ভেবে ওর সামনে যায় সে যেয়েই বলতে থাকে রোজ বেবি কী করছো?
রোজি নিলয়কে দেখেতো ভয়ে শেষ রোজির সাথে যেই ছেলেটি আছে তার নাম জিহাদ। জিহাদ রোজিকে ভয় পেতে দেখে বলে কী হলো রোজি কে উনি?
রোজি : চিনি নাহ!
আর নিলয়বলতে থাকে,
চিনো নাহ আমায়? তোমাকে নাহ নিষেধ করেছি
তোমার ফ্রেন্ড ছাড়া কারও সাথে যাবে নাহ কে ও?
জিহাদ : এটা জিজ্ঞেস করার তুই কে?
নিলয় : হাহাহা আমি কে? you bastard!!! হাত ছাড় ওর!!
জিহাদ : ছাড়বো নাহ কী করবি?
নিলয় আর কিছু না বলে ওর গান বের করে কিছু বোঝার আগেই হাতে গুলি করে যেই হাতে রোজির হাত ধরা ছিল!
চলবে,