নাম : #vilen
পর্ব : ২৬
লেখিকা : #আনু_Anu
ফেসবুক পেইজ : #আনু_অনুভবে_অনুভূতি_( আনু )
⛔মুক্ত মন মানসিকতার আপুরা পড়বেন এবং গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ যদি কেউ গল্প কপি করেন তার বিরোধ করা হবে!!!
–
—
—
——————————————————–
কেটে গেছে অনেক দিন!
রোজির এখন ২ মাস চলছে। নিলয় যে তার কী খেয়াল রাখছে তা সকলের চোখেই পরছে। রোজির মুড সারাদিন খারাপ থাকে বলে নিলয় রোজির পরিবার নিচের বাসায় এনেছে যেন রোজি তার মা এবং তার বোনকে দেখে একটু শান্তি পায় একটু প্রাণ খুলে কথাবার্তা বলতে পারে একটা মেয়ে মানুষ তো সবকিছু তার স্বামীকে বলতে পারেনা তাই নিল এই কাজটা করেছে!
নিলয় : রোজ দ্রুতো রোডি হও যান!
রোজি : হচ্ছি তো ওয়েট করুন নাহ!
নিলয় : ডক্টর চলে আসবে আমাদের প্রথম সিরিয়াল!
রোজি : এইতো হয়ে গেছে।
বলেই রোজি নিলয়ের সামনে এসে দাঁড়ালো রোজি একটা ঢোলা ঢোলা গোল ফ্রক পড়েছে। মাথার চুলটা পিছনে পনিটেল করে রেখেছি যেহেতু রোজির এখন থেকে একটু অস্বস্তি হয়। সে রোজিকে ডক্টর কে দেখিয়ে আনে সব নরমাল!
এখন থেকে অনেক জেদ দেখায় রোজি। তার যেটা খেতে ইচ্ছে করবে না সেটা সে খাবেই না। যদি কেউ তাকে জোর করে খাওয়াতে আসে জেদ দেখায় অনেক। তাই রোজের মা এবং বোনকে ছাড়াও নিলয়কে অনেক খাটতে হয়।
নিলয় অফিসের সকল কাজ শেষ করে খুবই দ্রুত বাসায় চলে আসতে হয় না রোজির মা এবং রোজির বোন রোজিকে সামলাতে পারে না নিলয় ছাড়া রোজিকে এখন কেউই সামলাতে পারে না। নিলয়কেই সামলে রাখতে হয় রোজিকে।
মাঝে মাঝে তো রোজি জেদ দেখি এটা ওটা ভেঙ্গেও ফেলে তাও নিলয় রোজিকে খালি বোঝায়! এইতো কিছুদিন আগে হয়ে গেল একটা কান্ড,
নিলয় : রোজ এটা শেষ আর নেই খেয়ে নেও।
রোজি : খাবো নাহ বলেছিতো?
নিলয় : খাও জান প্লিজ!
রোজি : খাবো নাহ ( চিল্লিয়ে)
নিলয় : খাও এটাই শেষ।
বলতেই রোজি উঠে নিলয়ের শখের শোপিস গুলো ভাঙে ফেললো। শব্দ শুনে রোহিত দৌড়ে এলো। নিলয়ের শখের শোপিস গুলো ভাঙা দেখে নিলয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,
রোহিদ : ভাই এটা কি হলো?
নিলয় : থাক আমার বউ ই তো ভেঙেছে।
রোজির মাও দৌড়ে আসলেন মেয়েরে কান্ড দেখে মেয়ের দিকে এগিয়ে গেলেন মেয়ে একটু ধমকে বললেন,
রোজির মা : কী করলি এটা? এতো রাগ কেনো তো
নিলয় : আরে মা ও নাহ ভাঙলে কে ভাঙবে?
রোজির মা : তাই বলে এগুলো এ মেয়ে তো বেশি বেশি করছে নাহ এখন?
নিয়ল : থাক মা ওর যা করার করুক।
রোজির চুপচাপ চোরের মতো দাড়িয়ে আছে এটা দেখে নিলয় রোজিকে নিজের কাছে আনলো এনে নিজের এক পা এর উপর বসালো।
নিলয় : গেট আউট এভরিওয়ান। আই নিড সাম প্রাইভেসি ইউথ মাই লেডি!
বলতে দেরি সবার বের হতে দেরি হলো নাহ। নিলয় রোজিকে ঘুড়ালো নিজের দিকে বলল,
নিলয় : জান এমন করো কেন তুমি?
রোজি : আমার ভালো লাগে নাহ এগুলো খেতে।
নিলয় : আচ্ছা আর খাওয়াবো নাহ।
বলেই রোজিকে রেখে দিয়ে হাত ধুয়ে আসলো। রোজিকে কোলে তুলে ব্যালকনিতে গেল। গিয়ে দাঁড়িয়ে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকলো। রোজি এত নীরবতা দেখে মুখ তুলে নিলয় এর দিকে চাইতেই নিলয় রোজির চুলগুলো আঁকড়ে ধরে রোজির ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল। রোজি এহেন আক্রমনে কেপে উঠলো। অনেকক্ষণ পর নিলয় রোজিকে ছাড়লো দুজন খালি হাপাচ্ছে। তারপর নিলয় রোজের মাথাটা নিজের কাঁধে রাখল রোজিও নিজের মাথাটা নীলায়ের কাঁধে রেখে চোখ দুটো বন্ধ করে রাখল। এভাবে নিলয় বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকল।
কিছুক্ষণ পর নিলয় রুমে নিয়ে গেল রোজিকে বিছানার একপাশে শুয়ে দিয়ে নিজেও অপর পাশে শুয়ে পড়লো। দুজনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কথাবার্তা বলতে লাগলো এই ওদের গল্প আর কি !!!
কথার ফাঁকে ফাঁকে নিলয় রোজির শরীরে স্পর্শ করতে লাগলো। এমনি অনেকক্ষণ কেটে গেল। হঠাৎ রোজি জিজ্ঞেস করল,
রোজি : নিলয় শুনুন?
নিলয় : বলো।
রোজি : আমাদের মেয়ে হবে নাহ ছেলে?
নিলয় : আমি কী করে জানবো?
রোজি : ডি এন এ তো আপনি দিছেন?
নিলয় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল,
নিলয় : ডি এন এ দিলেই কী আমি বলতে পারবো?
রোজি : আপনি দিয়েছেন নাহ?
নিলয় : হুম তো?
রোজি : তো আপনি নিশ্চয়ই জানবেন ছেলে নাহ মেয়ে হবে?
নিলয় : আল্লাহ এই কী বাচার সাথে পরলাম? (মনেমনে)
এভাবে রোজি উল্টাপাল্টা কথা বলতে বলতে দুইটাই ঘুমিয়ে পড়ল! কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ার কিছুক্ষণ পরেই আমার ফোনে একটা কল আসে,
————————————–নিলয় প্রাই মিশনে বাহিরে যায় আগে যেহেতু রোজি জানতো নাহ এগুলো তাই নিলয় বেশ কিছু দিন মিশন থেকে বিরতি নিয়েছলো। কিন্তু এখন দেশের যা অবস্থা নিলয়কে আবার মাঠে নামতেই হবে। এতোদিন নিলয় তার ফোর্সদের সাহায্যে এতোদিন যেই যেই কাজ করিয়েছে তাতে দেশটায় নারী পাচার, শিশু পাচার, হত্যা কান্ড অেক কমেছিলো। কিন্তু নিলয় কিছুদিন বিরতি নিতেই যা ঘটাচ্ছে এই লোকেরা নিলয়কে কিছু তো করতেই হবে!
তেমনি আজ নিলয় বের হয়েছে তার কাছে খবর এসেছে যে বডারে কিছু লোক পাচার হচ্ছে। বিদেশে চাকর হিসেবে বিক্রি হবে তাই রাত ২ টায় রোহিদ এসে ডাকতেই নিলয় রোজির জন্য একটা চিরকুট রেখে রোজির মা কে তুলে সকল কিছু বুঝিয়ে দিয়ো চলে যায়।
নিলয় বডারে যেতেই নিজের গাড়ি থেকে বের হয় কিন্তু সেখানে গাছপালা পিলার কন্টেইন ছাড়া কিছুই নেই হঠাৎ নিলয় হাত দিয়ে ২ টি তালি দিতেই একটি হ্যালিকপ্টার চলে আসে কেনোনা নিচে দাঁড়িয়ে কিছুই দেখা যাচ্ছে নাহ!
হ্যালিকপ্টার এ উঠতেই। হ্যালিকপ্টার টা উপরে উঠতে শুরু করে। অনেকখানিক উপরে উঠতেই নিলয় তার শুচালো দৃষ্টি নিচে তাক করলো। কিনৃতু ও মাহ হালকা হালকা আলো ছাড়া কিছুই নেই,
নিলয় : শিট!!!!!!
বলেই শিটি মারলো সাথে সাথে চারিদিকের আলো নিবে গেলো। কিন্তু কিছু দূর হালকা হালকা আলো জ্বলছে নিলয় এর হ্যালিকপ্টার টি সেখানে এগিয়ে নিলো পাইলট। নিলয় দেখতে পেলো কিছু লোক হাতে অস্ত্র। সাধারন মানুষকে গুনছে আর একজন একজন করে কন্টেনারে ডুকাচ্ছে। নিলয় দেখলো তার মাঝে কিছু নারীও আছে। যাদের তারা বাজে ভাবে স্পর্শ করছে। যেই মেয়েগুলো বেশি সুন্দরী তাদের যার যার ভালো লাগে তারা এক এক করে সাইড করে রাখছে। নিলয় যানে বাছাইকৃত মেয়েদের তারা কী করবে। তাদের বিক্রি করার আগে তারা এই সুনদরী মেয়েদের ভোগ করবে তারপর পাচার করবে। নিলয় হাফছেড়ে বাচলো যাক ভালো সময়ে এসেছি। ইতিমধ্যেই তাদের সকল পুরুষ গোনা শেষ এখন বাছাইকৃত মেয়েগুলোকে কন্টেনারে নিয়ে যাচ্ছে লোকগুলো।
এটা দেখে নিলয় দ্রুত নিচে নামে এবং তার ফাইটিং ফোর্স ১০ গাড়ি করে আসে এসেই চারিদির ঘিরে নেয় কেউ যেনো পালাতে নাহ পাবে। নিলয় হ্যালিকপ্টার এর হাতল ধরে ঝুলো পরে স্টাইল করে নামে। তাকে দেখেই লোকগুলো ঢোক গিলে তারা হয়তো ভাবছে এটা তো অতি সিক্রেট ছিলো তাহলে এই মাফিয়া জানলো কেমনে ভাই?
নিলয় নামার পর বললো,
নিলয় : তোদের বস কে ডাক?
লোকগুলোর মধ্যে একজন একটু বড় কন্টেনারের সামনে গিয়ে ঠক ঠক করতেই বেরত থেকে কে যেনো এসে লোকটার বুকে সজরে লাথি দিলো। লোকটা ছিটকে পরলো। যেই লোকটি লাথি দিসে সে কন্টেনারের থেকে হালকা বের হলো। লোকটি অর্ধ উলঙ্গ এবং মাতাল। নিলয় নিজের দৃষ্টি তাক করলো লোকটির পুষাঙ্গে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে কিছু করছিলো। নিলয় একজন মেয়েকে পাঠালো কেনোনা তার ফোর্সে মেয়ে ও আছে মেয়ে টা এগিয়ে লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো। বেতরে গিয়ে দেখলো একটা মেয়ে নিজেকে ডাকার চেষ্টা করছে মেয়েটার বেশি কিছু হয় নি আরকি আসল কাজ করা হয়নি। ধস্তা ধস্তি হয়েছে শুধু। মেয়েটা নিলয়কে সকল কিছু জানাতেই নিলয় রেগে বললো,
নিলয় : রোদ,রেদু এই বাস্টার্ড কে আস্তানায় নিয়ে যা!
রোহিত নিলয়ের এমন হুংকারে দ্রুত তাকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে রেদওয়ান এর হাতে তুলে দিল! রেদওয়ান সেই লোকটাকে নিজেদের জিপ গাড়িতে তুললো। তুলে একজন লোককে দিয়ে পাঠিয়ে দিল নিজেদের আস্তানায়।
ওদিকে নিলয় সকল মেয়েদের লেডিগার্ড দিয়ে ব্যাকআপ দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যায় আর পুরুষদের আস্তে করে সরিয়ে দেয়। সে চায় না এ মিশনের জন্য তাদের কোনো ক্ষতি হোক তারা তাদের বাসায় সফল হয়ে ফিরুক। সে আশেপাশে যত সব গার্ডগুলো ছিল তাদের মারতে ইসারা করে আর নিলয় হেলিকপ্টারে চরে বসে। নিজেদের আস্তানায় চলে যায়।
আস্তানায় আসতেই রোহিত দ্রুত পায়ে এগিয়ে এলো। বললো,
রোহিদ : ভা……
নিলয় বলতে দিল না আর রাগ উঠে আছে রোহিত কে তার হাত যে থামিয়ে দিল রোহিত ও বেচারার কিছু বলতে পারল না আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল সে কাঙ্খিত মানুষের কাছে। গিয়ে তাকে পুরো উলঙ্গ দেখলো দেখে তার শরীরে একটা একটা করে পোচ দিতে লাগলো। লোকটি চিৎকার করতে লাগলো। লোকটির নখ উপরে ফেলা হলো। লোকটির উত্তম মাধ্যম এবং এ রকম টর্চার করার কারনে লোকটির জান আধমরা হয়ে গেছে। নিলয় আর কিছু করলো নাহ উঠে লোকটির পুরুষাঙ্গ বের করে পুরো কেটে ফেললো। কেটে ফেলার আগে লোকটির মুখে টেপ লাগিয়ে নিল। লোকটি যেন চিৎকার করতে না পারে। তাই হল চিৎকার করতে না পেরে লোকটি ছটফট করতে করতে অন্তিম বিশ্বাস ফেলল। বড় বড় ৩ টা নিশ্বাস নিয়ে লোকটি না ফেরার দেশে চলে গেল!!!
এখন,
কাজ করা শেষে রোহিদ দৌড়ে এগিয়ে এলো,
রোহিদ : ভাই ভাই ভাইইইই…..
নিলয় : বল আমি বয়ড়া নই ব্য ব্য করিস নাহ!
রোহিদ : বস ম্যাম কল করিছিলেন,
এটা শুনতে দেরি নিলয়ের হেলিকপ্টারে উঠতে দেরি হলো না। কেননা গাড়িতে গেলে লেট হবে হেলিকপ্টার তো গাড়ি থেকে দ্রুত চলে হেলিকপ্টার চরে সে এখন তার রোজের কাছে আরকি বাড়ী যাবে (বড়লকি কারবার🙂)
————————————–
রাত ২ টায় বের হয়েছিলো প্রায় ভোর ৫ টায় নিলয় বাড়ী গেলো। রক্তমাখা শার্ট প্যান্ট পড়ে আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে রুমে প্রবেশ করলো দেখলো রুম অন্ধকার। নিলেয় আবার পা টিপে টিপে ওয়াশরুমে প্রবেশ করল তবে লাইট জালালো না যদি রোজি কিছু দেখে ফেলে। ঢুকে সেন্সার লাইট অন করল। নিজের শার্ট আর প্যান্টটা খুলে দোয়ার জন্য রেখে দিল যেন রক্তগুলো না দেখে রোজী। একদম ফ্রেশ হয়ে নরমাল কাপড় পরে বের হল নিলয়।
নিলয় বের হয়ে লাইটটা অন করতে নিলয় দেখতে পেল এক জোড়া চোখ তার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এটার কেউ না তার রোজ!!!
নিলয় : জান নাহ মানে আমি……
বলার আগে রোজ নীলার মুখে একটা বালিশ ছুড়ে মারলো অপরদিকে ঘুরে শুয়ে পড়ল। দেখে বুঝলো রোজি বিশন রেগে আছে। সে এগিয়ে গেলো। রোজিকে জালাতে লাগলো তবে রোজি কিছুই করছে নাহ তাই সে। অনেকগুলো টক টক আচার, চকলেট, চিপস,জিস বের করলো তবে সকল কিছুই কেমন যেনে রোজি এগুলো কখনো দেখে নি। রোজি তো লাফ মেরে বসলো। নিলয় তা দেখে হাসলো। রোজি সেগুলো চিনতে নাহ পেরে ভ্রু কুচকে নিলয়ের দিকে তাকালো,
রোজি : এই এগুলো প্যাকেজিং এমন কেন?
নিলয় : কেমন?
রোজি : এই যে কেমন যেন তোর ডাক্তারের ডাক্তারি ভাব খাবারের জিনিসের উপরে?
নিলয় রোজির গলায় নাক ঘষতে কষতে বলল,
নিলয় : এগুলো হাইজেনিক জান এগুলো বাহির থেকে ইমপোর্ট করে এনেছি তোমার জন্য!
রোজি ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল, কেনোনা এত কেয়ারিং কেউ হয় তার নিলয় কে না দেখলে বুঝতো না রোজি!!!
রোজি একটা একটা করে একেকটা জিনিস ছিরে খেতে লাগলো টেস্ট তো ভালই। মনেই হচ্ছে না এগুলো যে এতটা হাইজেনিক। হাইজেনিক খাবার একটু টেস্ট ফাঁকা ফাঁকা হয় তবে এটা খুবই ভালো!
খাওয়ার পর নিলয় রোজিকে পানি নি খায়িয়ে দিলো।
সে তারপর রোজির মুখে একটা চকলেট দিয়ে রোজির ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। অনেকখন পর রোজিকে ছাড়লো। রোজির হাতটা নিজের নিষিদ্ধ স্থানে নিতেই রোজি হাত সরিয়ে নিলেই নিলয় ধমক দিলো,
নিলয় : রোজজজজজ!!!
রোজ একটু ভয় পেলো।
নিলয় : জান আর ইউ রেডি!
রোজি :………
নিলয় বুঝলো নীরবতা সম্মতির লক্ষণ!!!
নিলয় : বিসমিল্লাহ!!!
রোজি : আ**** নিলয় কুত্তা ছাড় আমায় !!!!
বলেই নিজের হাতের বিচরন করতে লাগলো রোজিবুকে,ঘারে,পেটে, কোমরে, আরও অস্পর্শনিয় স্থানে। রোজি কাপতে লাগলো।
দুজনেই ডুব দিলো মহা আনন্দে!!!!
চলবে,
নাম : #vilen
পর্ব : ২৭
লেখিকা : #আনু_Anu
ফেসবুক পেইজ : #আনু_অনুভবে_অনুভূতি ( আনু )
✅গল্পের লিগাল লেখিকা আমি আপনাদের আনু আপু!
⛔মুক্ত মন-মানসিকতার আপুরা পড়বেন এবং কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ!⛔
——————————————————–
তোরে মন দিয়া, মন দিয়া
আগুন জ্বালাই যে মনে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
তোরে মন দিয়া, মন দিয়া
আগুন জ্বালাই যে মনে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
বাড়ির ধারে সবুজ মাঠে
দুঃখ বিলাই পথে পথে
বাড়ির ধারে সবুজ মাঠে
দুঃখ বিলাই পথে পথে
তোর সুবাস মাখা ঘাসে
অঙ্গ বোলাই যে মনে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
প্রহর গুনি তোর আশাতে
আসবি তুই আমার বুকে
প্রহর গুনি তোর আশাতে
আসবি তুই আমার বুকে
তুই কি আর আসবি নারে
শূন্য হৃদয়ে মনে?
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
তোরে মন দিয়া, মন দিয়া
আগুন জ্বালাই যে মনে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
মনের আগুন মনেই জ্বলেরে
জানলার পাশে বসে গানটি শেষ করল রোজি!
আকাশের চারিদিকে মেঘ জমেছে। রোজির মনেও এমন মেঘ জমা যেকোনো সময় বর্ষণ হতে পারে। তবে বাধা দিয়ে রেখেছে যে একজন!
রোজি : তার অনুমতি ছাড়া তো কাদাও মানা! সে কর জানে সে আমাকে কতটা পোড়াচ্ছে? সে কী আমায় ভুলো গেছে? আমায় ছাড়া থাকতে পাবে সে? সে পারবে তবে আমি? আমি কেমনে পারবো?
কথাগুলো হালকা শব্দে বিড়বিড় করল রোজি! আজ প্রায় ১৩ দিন নিলয় নিখোঁজ! এই কয়দিনে মেয়েটা পাগল প্রায়। দিন যত যাচ্ছে রোজির মোনের আশঙ্কা তত বাড়ছে। এক’বার ভাবে নিলয়ের শত্রুরা নিলয়কে কিছু করলো নাহ তো?নাকি লোকটা কোথাও আটকে গেলো?নাকি লোকটা তাকে ভয় দেখাচ্ছে কিন্তু ভয় দেখাবে কেনো? সেতো কিছু করে নি তার প্রেমে মশগুল ছিলো এগুলোই ভাবছে।
তবে একটা কথা রেদোয়ান বাড়িতেই আছে কিন্তু রোহিদ নেই। রোহিদ নিলয়ের সাথেই আসছে তার মানে। এতোদিনে রোহিদের মোবাইলে রোজির কয়েক হাজার কল চলে গেছে। নিলয় নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন আগে। রোজির বোন অর্থাৎ আশার সাথে রোহিদের বিয়ে হয়েছে। কেননা তারা অনেকদিন আগের থেকে তাদের মধ্যে লুটুর পুটুর চলছিল তা রোজির কাছে ধরা না পড়লেও নিলয়ের কাছে ঠিকই ধরা পড়ে গিয়েছিল!
বিয়ে হওয়ার পর থেকে আশা রোজির সাথে নিলয়ের বাড়িতেই থাকে কেননা রোহিদ রেদওয়ান নিলয় একই বাড়িতে থাকে নিলয় কে তারা ভাইয়ের মতো মানে তাই তারা নিলয়ের বাড়িতে থাকে!
আশা প্রায় পাগল কেননা নতুন নতুন বিয়ে হয়েছে এর মধ্যেই রোহিদ এবং নিলয় ভাই নিখোঁজ!
রোজি প্রায়ই থানায় যায় কিন্তু তাদের কোনো খোজ এনে দিতে পারছ নাহ কেউ। পুলিশদের একই কথা,
-নিলয় স্যারকে কেউ কিছ করতে পারবে নাহ কেননা স্যার যতটুকু দেখার তার থেকেও বেশি হিংস্র ও শক্তিশালী তিনি।
-ভয় পাবেন নাহ ম্যাম স্যার এর কিছই হবে নাহ চলে আসবেন হয়তো নিজের কোনো কাজে ব্যাস্ত তিনি?
ভালোবাসার মানুষ নিখোঁজ আবার তার এতো এতো শত্রু যার হিসেব নেই। সে কী ভালো থাকে?
এতোটা দিন রোজি কান্না, ঘুম এর মধ্য দিয়ে গেছে। খাওয়া দাওয়া তো নেই ই বল্লে চলে।
আজ আবারো রোজি থানায় যাবে বলে বের হয়। গাড়িতে বসে থানয় পৌছায়। পৌঁছে রোজি থানায় দ্রুত প্রবেশ করলো করে সিনিয়র পুলিশের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো,
রোজি : আমার নিলয় কে কি আপনারা পেয়েছেন?
পুলিশ : ম্যাম আমরা ওনাকে পাইনি!
রোজি : আপনারা কিভাবে কাজ করছেন যে একটা জলজ্যান্ত মানুষকে খুঁজে পাচ্ছেন না তার সাথে তো রোহিত ও আছে ওকে তো খুঁজে পাচ্ছেন না?
পুলিশ : ম্যাম হাইপার হবেন না বেশিরভাগ মাফিয়া বা গ্যাংস্টাররা গোপনে কাজ করে থাকে এই গোপনীয়তা এত সহজে খুঁজে বের করা যায় না!
রোজি আর কী বলবে সে আরও অনেক কথা বলে কিন্তু ফলাফল শূন্য। রোজি কাঁদতে কাঁদতে থানা থেকে বেরিয়ে আসলো তারপর গাড়িতে বসে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করলো সাথে আশাও ছিল অবশ্য। কিন্তু আশা এত কিছু তো বুঝেনা তাই সে বেশি কিছু বলো না!
বাড়ি পৌঁছে যে যার মত রুমে চলে গেল রোজই রুমে বসে অঝোরে কাঁদতে লাগলো!
রোজি : কেনো করছেন এমন? কেনো কেনো?
রোজি নিজের পেটে হাত দিয়ে বললো,
রোজি : বাবুই তুই টেনশন করওস নাহ তোর বাবার কীছু হবে নাহ সে আমাদের ছেড়ে যেতে পারে নাহ। সে পিছু পা হবে নাহ বাবুই।
বলেও কাঁদতে লাগলো। এই ১২ টা দিন এর প্রত্যেকদিন রোজি এমনি করেছে । এটা যেন একটা রুটিনের মত হয়ে গেছে! ঘুম থেকে উঠে থানায় যাওয়া থানা থেকে এসে অঝোরে কান্না তারপর রাত্রে কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়া পরদিনও এমন ভাবেই চলতে থাকে এমনি এমনি কেটে গেলো আরও ৪ দিন।
এত দিনের কান্না, না খাওয়ায়, সারাক্ষণ টেনশনের মধ্যে থাকার কারণে রোজে শরীর আজ অনেক খারাপ বললে ভুল হবে রোজের শরীরে আরো আগে থেকে খারাপ। যেহেতু রোজী প্রেগন্যান্ট তার মধ্যে এত মানসিক চাপ। রোজের শরীরটা কুলিয়ে উঠতে পারছে না। বিছানা থেকে উঠার শক্তি সে পাচ্ছে না। তাই সে শুয়ে রইল জড় বস্তুর মত লাগছে তার দেহে প্রাণ আছে কিন্তু মনটা নেই।
আজ দুই দিন রোজি থানায় যাচ্ছে না। আজ হঠাৎ রোজির নামে একটা পার্সেল আসলো। শিউলি পাশে নিয়ে রোজ এর কাছে দিয়ে আসলো,
শিউলি : আপু আপনার নামে একটা পার্সেল এসেছে!
রোজি : কেন আমি তো কিছু অর্ডার করিনি?
শিউলি : আপু আপনার নামই এসেছে।
রোজি : আচ্ছা তাহলে রেখে যাও আমি পরে দেখে নিচ্ছি।
শিউলি চলে গেলো কেননা রেদোয়ান শিউলিকে ডাকছে। শিউলি এবং রেদোয়ান এর বিয়ে হয়েছে। রোহিদ ও আাশা এবং রেদোয়ান ও শিউলি এর বিয়ে হয়েছে একই সাথে।
শিউলি রেখে যাওয়া পার্সেলটা অনেকক্ষণ বেডে পড়ে থাকে রোজের কোন রেসপন্স নিয়ে ওটা খোলার অনেকক্ষণ পর সে একটু কষ্ট করে উঠে বসলো এসে একটু খুলে দেখবে ওটার মধ্যে কি আছে। পার্সেলটা কাছে টেনে নিয়ে খুলল। খুলে তার চক্ষু চড়ক গাছ!!!
কেনোনা সেখানে একটা রেকর্ডার আছে এখন রোজী ভাবছে রেকর্ডারটা কে দিয়েছে আর কেনই বা দিয়েছে? রোজি কোন কিছু না ভেবে রেকর্ডার টা চালু করল তখনই হঠাৎ নিলয়ের কন্ঠ ভেশে আসলো। তবে কথা কম গোলাগুলি এর শব্দ বেশি শোনা যাচ্ছে। রোজের বুকটা ধক করে উঠলো সে বুঝে গেছে নীলয় বিপদে আছে।
নিলয় : জান একদম ভয় পাবে না আমি জানি তুমি আমাকে নিয়ে টেনশন করবে নিজের এবং আমার বাচ্চার খেয়াল রাখবে আর আমি একদম ঠিক আছি আমি এত কাঁচা খিলাড়ি না যে আমি হেরে আসবো আমি জিতে আসবো একটু সময় লাগবে। আর আমি চলো জানত তোমার সামনে দাঁড়াবো!
এতটুকুই ছিল রেকর্ডারে তবে রোজির এখন ভয় আরো বেশি বেড়ে গেছে সে ভাবছে নিলয়ের যদি কিছু হয়ে যায়। তবে রেদওয়ান একেবারে নির্বিকার রেদওয়ান একবারই বলেছিল রোজিকে যখন রোজী রেদোয়ানের কলার ধরে কে যাকে জিজ্ঞেস করছিল,
রোজি : আমার নিলয় কই বল ইউ বাস্টা র্ড বল?
রেদোয়ান : আমি কানি নাহ ভাবি!
রোজি : চুপ আমাকে বাধ্য করিস না তোর বসের বউয়ের পাওয়ার দেখাতে!
ঠিক এতোটুকু বলার পরে রেদোয়ান হুর হুর করে বলতে লাগলো,
রেদোয়ান : ভাবি শুধু শুধু টেনশন করছেন ভাইয়ের কিছুই হবে না ভাই এতটা ছোট খেলোয়াড় না যে হেরে আসবে আপনি ভুলে যাচ্ছেন তিনি একজন গ্যাংস্টার আপনার সামনে সে নিজেকে নরম এবং সফ্ট দেখালেও তিনি মোটেও এমন না। আশা করি আপনি বুঝোছেন।
চলবে,